বাংলাদেশ একটি ইসলামিক দেশ-এই কথাটা লিখতে মোটেও আমার ভাল লাগে না। কারন এই দেশের লোকেদের যদ্দুর দেখেছি-কেওই খুব উগ্র মুসলমান না। তবুও ইসলামিক রাজনীতির চালে এই দেশটি ধর্ম নিরেপেক্ষ থেকে ইসলামিক হয় এবং বাকী ইসলামিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এর ইসলামিকরন বা আরবীকরন চলতে থাকে। পুরোটাই অবশ্যই শাসক শ্রেনীর স্বার্থে। কারন ধর্ম এবং ধর্মীয় অনুভূতিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখলে শোষণ কার্যের সুবিধা হয়। গরীব এবং বঞ্চিতদের শ্রেণীদ্বন্দজনিত ক্ষোভকে ধর্মের আফিং দিয়ে আটকে রাখা যায়। নইলে চোদ্দশ বছরে পুরানো কতগুলো বই আর ইতিহাসের এক বিতর্কিত চরিত্র মহম্মদকে নিয়ে এত নাটক হয় কি করে? আদতে কোরান আর মহম্মদকে দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালাতে সেই বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিই লাগে। যে দেশ যত বেশী বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যাবহার করতে পেরেছে, তারা তত সফল। এটাত একালে একজন বাচ্চাও জানে।সেখানে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ যখন ফেসবুককে নিশিদ্ধ করে বুঝতে হবে, ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির রাজনৈতিক ভিত খুব দুর্বল এবং মডারেট মুসলিম নামক হাঁসজারু মুসলিম শ্রেণীটি আসলে শোকেস-এই রাষ্ট্রগুলি পরিচালিত হয় গোডাউনের মালে।
ফেসবুককে আটকানো আর জোয়ারের জলকে আটকানোর চেষ্টা করা একই ব্যাপার। স্যোশাল নেটোয়ার্কিং একটা ইরিভার্সিবল মুভমেন্ট। জিমেইল, ইয়াহুও আস্তে আস্তে সোশ্যাল নেটোওয়ার্কিং এর দিকে যাচ্ছে। এবার কি তাহলে জিমেল, ইয়াহু মেইল বন্ধ হবে? যে ইসলাম বিরোধি পেজের জন্যে ফেসবুক নিশিদ্ধ হল, তার থেকে হাজারগুন বেশী ইসলাম বিরোধিতা চলে মুক্তমনা, সচলায়তন ব্লগ সাইটগুলোতে। বাংলাদেশের এই ব্লগ সাইটগুলো বাংলাভাষা সাহিত্য এবং জ্ঞান বিজ্ঞানে নতুন জোয়ার এনেছে। এবার কি এদের পালা? ইসলাম বিরোধিতার ধুয়োতুলে এই ধরনের নির্বোধ ছাগলামী কবে থামবে? এই সব রাষ্ট্রনেতাগণ কি বুঝতে পারছেন এই ধরনের বালখিল্য সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ইমেজটা কি হচ্ছে? পাকিস্তানের না হয় ইমেজের দায় নেই। সবাই জানে ওই দেশটা গাধার ঘারে গেছে। কিন্ত বাংলাদেশের এই নতুন প্রগতিশীল সরকার যে তালিবানি সিদ্ধান্ত নিল-তাতে গোটা বিশ্বের কাছে এটাই প্রমাণিত হল বাংলাদেশ একটি মৌলবাদি রাষ্ট্র। এখন ত দেখছি মডারেট মুসলিম বলে আসলে সত্যিই কিছু নেই।
ফেসবুক আটকানোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি না হলেও, ইমেজের ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। বাংলাদেশ যে মড়ারেট নয় একটা মোল্লা রাষ্ট্র সেটাই গোটা বিশ্ব জানবে। বাস্তবেও কিছু ক্ষতি অবশ্যই আছে। ফেসবুক বাংলাসাহিত্যের সব থেকে বেশী ফার্টাইল গ্রাউন্ড হয়ে উঠেছিল। আমার নিজের ফেসবুক ফ্রেইন্ড প্রফাইলে আছে ৫০০ র বেশী বাংলাদেশী। তারা কিছু লিখলে, সব সময় আমাকে ট্যাগ করেন। বস্তুত ফেসবুকের মাধ্যমে দুই বাংলার সাহিত্য আদানপ্রদান বেশ জমে উঠেছিল। দুই বাংলা এক হয়ে উঠছিল। কারন ভারতীয় বাঙালীদের আরেকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট অর্কুটে বাংলাদেশী খুব বেশী নেই। ফেসবুকই ছিল একমাত্র জায়গা যেখানে দুই দেশের বাঙালীরা মিলিত্ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন। আমরা এবার রবীন্দ্রজয়ন্তী করলাম ফেসবুকের মাধ্যমে-সেখানেও ২৩০০ জন গেস্টের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন ছিল বাংলাদেশ থেকে। কুষ্টিয়া সহ বাংলাদেশের নানান প্রান্ত থেকে আমি ইমেল পেয়েছি। ফেসবুক দুই বাংলার মধ্যে গড়ে ওঠা কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ফেলছিল। আমাদের সাহিত্য, গান এবং নাটকের গ্রুপেও প্রায় ৩০% বাংলাদেশী যা্রা নানান বাংলাদেশী ইপত্রিকা, গান এবং নাটকের সাথে ভারতীয় বাঙালীদের পরিচয় করাচ্ছিলেন যারা এত দিন বাংলাদেশ এবং তার সাহিত্য নিয়ে কিছুই জানতেন না।এদের ভারতীয় বাঙালী বলাই ঠিক হবে, কারন আমি ডেমোগ্রাফি নিয়ে দেখেছি দিল্লী, মুম্বাই থেকে প্রায় কোলকাতার সমান বাঙালী এই গ্রুপ গুলোতে আছে। আমি আশান্বিত ছিলাম, এই ভাবে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ বাংলা সংস্কৃতি ভারতীয় বাঙালীদের কাছে পৌঁছে যাবে। ইসলাম নামে এক অচলায়তন যা বাঙালী জাতিকে বিভক্ত করেছিল, তা আবার বাঙালীর ঐক্যের পথে কাঁটা হয়ে রইল।
আমার সত্যিই ক্ষোভ জানানোর ভাষা নেই। এই ধরনের অপরিণত নাবালক নাবালিকাকূল যদি কোন দেশের রাষ্ট্রনায়ক হন, সেই দেশকে সত্যই আল্লা ছাড়া কেও বাঁচাতে পারবে না।
আমরা আসলে বিভ্রান্ত একটা জাতি। আমাদের সরকারও আমদেরই মত বিভ্রান্ত। বঙ্গবন্ধুও ছিলেন বিভ্রান্ত। ছাত্র অবস্থায় করেছেন ফরোয়াড ব্লক, তারপরে মুসলম লীগ। পাকিস্থান প্রতিষ্ঠার জন্য কত আন্দোলন, কত সংগ্রাম।
তারপরে ৬ দফা, সেখানে সেকুলারিজমের কোন দাবি ছিল না। যুদ্ধ শেষ তিনি দেশে ফিরে এলেন। ততদিনে সেকুলারিজমের দাবি বেশ জোরালো হয়েছে।
তিনি যুদ্ধাপরাধীদের সাধারন ক্ষমা করে দিলেন। ও, আই, সির মেম্বার হলেন।
স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। পক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারেও তিনি ছিলেন বিভ্রান্ত।
ভারতীয় বাঙ্গালীদের থেকে একমাত্র অমিলটা আমদের ধর্মে। এটাকে বাদ দিলে, এটা যে একটা আলাদা রাষ্ট্র তার কোন যৌক্তিকতা থাকেনা। হিন্দু ধর্মের বর্নবাদ থেকে বাঁচার জন্য পূর্ব বঙ্গের শূদ্র জনগোষ্ঠির সংগ্রামের ইতিহাস বহু প্রাচীন।তারা কখনো বৌ্দ্ধ ধর্মে আশ্রয় পেতে চেয়েছে আবার উচ্চ বর্নের অত্যাচারে ফিরে গেছে হিন্দু ধর্মে। আবার যখন সুযোগ পেয়েছে গ্রহন করেছে ইসলাম। এটা তাদেরকে একটানা সবচেয়ে বেশীদিন ব্যাপি বর্ন হিন্দুদের অত্যাচারের থাবা থেকে মুক্ত রেখেছে।
যদিও এখন আর সেই রামও নেই সেই অযোদ্ধাও নেই। তবু পারস্পরিক অবিশ্বাস রয়ে গেছে পুরো মাত্রায়। ফলে ইসলামী বিশ্বের সথে এক ধরনের
একাত্ততা বোধ কাজ করে এখানকার জনমনে। এটা নিরাপত্তাবোধের সাথে জড়িত। যেমন ধরুন, আরব বিশ্ব থেকে প্রচুর খয়রাতি সাহায্য আসে। এছাড়া আনেক বাঙ্গালী সেখানে কাজ করে। এই বোধ আমাদের শাসক শ্রেনীতক বিস্তৃত।
আমাদেরকে বোঝান হয়ছে এবং আমরাও বুঝেছি যে আমরা হচ্ছি গিয়ে ভিখিরীর জাত। ভিক্ষা ছাড়া আমাদের চলে না। তাই আমাদের শাসকরা সুযোগ পেলেই আরব বিশ্বকে জানান দিতে ভুল করেনা যে তারা এখনো মুসলমানই আছে। ক্ষেত্র বিশেষে আরব দের চাইতেও বেশী।
এই যেমন এই ঘটনাটা, সৌদি আরব কিন্তু ফেসবুক ব্যান করেনি। আমরা করছি।কারন দাসত্ত্ব আমাদের মজ্জাগত। কছুতেই ঝেড়ে ফেলতে পারছিনা যেন।
বিপ্লব দা
ফেইসবুক নিয়ে হাসিনা সরকার যা করল তা এক ধরণের ডিজিটাল ফাজলামি
আচ্ছা, হাসিনা-খালেদার ওই ব্যঙ্গচিত্রটার লিংক কি পাওয়া যাবে? আমার খালি মনে হচ্ছে এখানে ধর্মকে ব্যবহার করে আসলে নিজেদের ইগো বাঁচানোটাই তাদের মূল লক্ষ্য।
@পৃথিবী,
আর এরা কী বলে-
বিকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি আমিনী বলেন, মলি নরীস রাসুলের ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিযোগিতার আহ্বান জানিয়ে রাসুলের চরিত্র হননের এমন দুঃসাহস দেখিয়েছেন, যা কোনো মুসলমান কখনও বরদাশত করতে পারে না এবং যারা তা বরদাশত করবে তাদের ইমান থাকবে না। যে পর্যন্ত এই কুলাঙ্গারদের বিচার এবং বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ না হবে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ২৮ জুন আমরা হরতাল ডাকতে বাধ্য হব।
তবে একখান কথা আছে। যারা চরম হতাশা প্রকাশ করে বলেন যে, দেশটা গোল্লায় গেল, এদেশ তালেবানী দেশ হয়ে যাবে, তাদেরকে বলবো, হতাশার কোন কারণ নেই। সময় একদিন নিজের বল-শক্তি দিয়েই সব উলট পালট করে দিবে। স্ম্বরণ করুন গ্যালিলিও – ব্রুনোর সময়ের পশ্চিমের কথা। আজ খ্রিষ্টান নতুন প্রজন্মের কাছে যীশু এক কার্টুন, হিন্দুদের কাছেই হনুমান, গণেশ, কালী হাস্যকর চরিত্র। কাল মুহাম্মদকে ন্যাংটা উলঙ্গ করে কার্টুন ছবি তৈরী হবে, তা দেখে মুসলমানরা আহত হবেন না। এটা সময় ও বিবর্তনের দাবী এবং তা ঘটবেই। পৃথিবী তার প্রয়োজনেই ধর্মকে টিকতে দেবেনা। সব ধর্মের বিলুপ্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
@আকাশ মালিক,
:yes:
ম. পাল -আপনার কলাম পড় েআম িবুঝতে পারলাম য েআল-কােরআন সম্পক সামান্ন ধারনা নইে.থাকবেই বা কনে আপনতি সইে বইগুলাের অনুসারী য েবইগুলাে একটা অন্যটার সাথ কােন মলি নইে.আম িজান িআপন িঅনকে শক্ষিতি কস্তিু এই শক্ষিতি মানুষগুলাের মুখ থকেে এসব কথা শুনল েখুব কস্ঠ হয়.ভাই দয়া কর কােরআন পড়ুন আর না পড়ত েপারল েএই বইগুলাে পড়ুন.
১.কোরআন ও আধুনকি বজ্ঞিান——ড.জাকরি নায়কে
২.কােরআন,বিজ্ঞান ও বাইবেল——-মরচি বুকারচি
৩.সু ভাগ্যের পরশ মন-ি——-ইমাম গাজ্জাল ি(রা:)
আল-কােরআন পৃথবিীর এমন কােন কছিু নইে তা বলা যাবনো কারণ এথান সব কছিুই আছ.েবিজ্ঞান,অথনীত,সমাজ বজ্ঞিান,রাজনীত,িভূগােল,সব কছিু………
তাই আপনাক েবলছ িআগ েপড়নে তারপর বলুন………..আর মুহাম্মদ (স:) কােন বতিকতি নন.মাইকলে এইচ হাট তার ১০০ মনষিরি বইয় েহযরত মুহাম্মদ (স:) ক েপ্রথম স্থান রখেেছে.আপনারা আমাদরে যা ইচ্ছা আঘাত দনে ও বলনে আমরা আপনাদরে কছিুই বলবনা কারণ আমরাত সইে ধমরে এবং কােরআনরে অনুসারী যখোন েবলা আছ ে…….মন্দ বলনা গাল িদওিনা অন্য ধমরে প্রভুক.ে…..সুরা আন-আম ১০৮ …..
কত দিন আর চলবে ধর্মকে নিয়ে এই পাগলামি। হাস্যকর।
পাকস্তানিদের সাথে একটু তাল মেলানোর সুখ-ই আলাদা!
এখন এ ফেসবুকাই। না জানি, এটি আবার কবে বন্ধ হয়! 😕
* bikolpofacebook.ning.com
@বিপ্লব রহমান,
নিংএ কোন নেটোয়ার্ক খুলবেন না-জুলাই মাসের পর থেকে ওরা ফ্রি নেটোওয়ার্ক সার্ভিস বন্ধ করে দেবে
দুই বাংলার লোকজনকে এক সংস্কৃতির মার্কেটের তলায় না নিয়ে আসতে পারলে, বাংলার মার্কেট বাড়বে না। স্প্যানিশ সাহিত্য যেমন একটা আন্তর্জাতিক মার্কেট। ল্যাটিন আমেরিকা, মেক্সিকো, কিউবা, স্পেইন-সবার জন্যে [ কিউবা অবশ্য অনেক সাহিত্যই ব্যান করে] । কই দেশ ত সেখানে বাধা হয় নি।
আর বাংলাদেশের লোকজন যদি পাকস্তান, মালেশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার লোকজনের সাথে ধর্মীয় কারনে বেশী একাত্মবোধ করে, তাহলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটার জন্ম দিলই বা কেন? পাকিস্তানের সাথে থাকলেই ত ভাল হত!
আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশীদের কাছে বাংলার স্থান ইসলামের ওপরে। কারন বাংলাটা বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ আইডেন্টিটি-ইসলাম না। যদিও সরকারের কাছে নয় হয়ত।
বাংলা সংস্কৃতিকে এক করা জরুরী। প্রবাসে এটা হয়। সব বাঙালী অনুষ্ঠানই এখানে দুই বাংলার লোকজন মিলেমিশে করে। দূর্গাপুজোতে এখানে প্রচুর বাংলাদেশী মুসলিম আসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্যে।
@বিপ্লব পাল,
ও ধরনের লোক এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, তবে তারা খুবই সরব। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক তাদের মতবাদে সোচ্চার হবার আরো বিরাট সুবিধে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য খুবই সোজা, বাংলা ভাষা বা সংস্কৃতির মূল হল হিন্দু সংস্কৃতি। কাজেই যা কিছুর মাঝে হিন্দু সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায় তার বিরোধীতা করা, সাথে সাথে ইসলামের নামে আরবী সংস্কৃতি প্রমোট করা। এটা অনেকে মুখে স্বীকার না করলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যেমন, আমাদের দিকে লোকজনের বিশুদ্ধ বাংলা নাম রাখার চল খুবই সীমিত। তাপস, রবি, এ ধরনের নাম মুসলমান পরিবারে তেমন পাওয়া যাবে না। এমনকি যারা তেমন ধর্মকর্ম পালন করেন না তারাও এ ব্যাপারে সজাগ।
এবার পহেলা বৈশাখের আগে ব্লগগুলিতে উল্লেখযোগ্য পোষ্ট পড়েছিল পহেলা বৈশাখ বর্জনের। তাদের সমর্থন যে খুব কম না ভাবার কোন কারন নেই। সংখ্যাগরিশষ্ঠ মানুষ তাদের সমর্থন না করলেও সোচ্চারে বিরোধীতা করার মত সাহস করে উঠতে পারেন না। কারন তাদের লেখায় নানান হাদীস কোরানের আয়াত ওয়ালা ব্যাখ্যা থাকে। শখ করে কয়জনে আর গুনাহর ভাগীদার হবার ঝুকি নেয়? এনাদের মূল বক্তব্য, পহেলা বৈশাখ হিন্দুয়ানী, এবং নানান ভাবে তারা তা প্রমান করে দেন।
নাহ, বাংলাদেশের মানুষের ইন্দোনেশিয়া/মালয়েশিয়ার কালচার কি তা নিয়ে কোন আগ্রহ নেই। আগ্রহ আছে মধ্যপ্রাচ্য ও পাকিস্তান নিয়ে।
আমাদের সমস্যা আসলে আমরা ডুয়েল আইডেন্টিটির সমস্যায় ভুগি। কোনটার উপর কোনটাকে প্রাধান্য দেব তা অনেক সময় ঠিক করতে পারি না, লেগে যায় সংঘাত। এটা হয়তবা একটা ট্রাঞ্জিশনাল ষ্টেজ। সময়ের সাথে এই সংঘাত থাকবে না।
প্রবাসে দুই বাংলা এক করা যত সহজ আমাদের দেশে তত সহজ নয়। অনেকে আপনাকে মুখের উপরেঈ ভারতের দালাল ইত্যাদী বলে দেবে।
@আদিল মাহমুদ,
এ ক ম ত। :rose:
@আদিল মাহমুদ,
এসব ক্ষেত্রে আমি জালালুদ্দিন রুমি থেকে দুলাইন আবৃত্তি করে দিই
Lover’s nationality is separate from all other religions,
The lover’s religion and nationality is the Beloved
যে প্রকৃত মানবপ্রেমিক, তার কোন জাতি ধর্ম দেশ থাকতে পারে না। জাতি ধর্ম দেশের ওপরের উঠতে না পারলে কোন মানবতাই সম্ভব না।
সব থেকে বড় কথা বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা-ইত্যাদি দেশগুলির সীমানা বলে আর কিছু থাকবে না আগামী শতাব্দিতে।
তাহলে বৃথাই কেন জাতিয়তাবাদ নামে এক পচা-গলা শবের গা জড়িয়ে
শুয়ে থাকা?
স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোর জন্যে দেশের সীমানা ভেঙে যাচ্ছে। ফেসবুকে আমার সব থেকে বেশী বন্ধু আছে বাংলাদেশ থেকে।
ইন্টারনেটে মুক্ত বাণিজ্য যত হবে, ততই দেশ নামক বস্তুটি কর্পূরের মতন উড়ে যাবে।
সত্যি কথাগুলো যতই অপ্রিয় হৌক কাওকে না কাওকে বলতেই হবে।
নইলে সময় বলবে এই কথাগুলো।
– এটা অনেকেই চায় না। দেশের একটা বড়সংখ্যক মানুষ চায় না ভারতের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ থাকুক, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক বিনিময় তারা অত্যন্ত ভয়ের চোখে দেখে। কারনটা আশা করি বলতে হবে না।
সামগ্রিকভাবেই বেশ কিছু লোক চায় আমাদের যাবতীয় নেটওয়ার্কিং হবে শুধুমাত্র বিশেষ কিছু দেশের সাথে।
বিপ্লব দা, আপনার এই লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল। আসলে আমার মনে হয় আমাদের দেশের দুই নেত্রির আঁতে ঘা লেগেছে তাই তারা ধর্মের নামে নিজের স্বার্থে প্রতিশোধ নিতে ফেসবুক বন্ধ করেছে।
@অভিজিত রায়,
উঁহু, যুক্তিসংগত মনে হয় না। প্রথম আলো ও আরো কিছু পত্রিকা তো নিত্যই তাদের বিকৃত কার্টুন প্যারোডী হিসেবে ছাপে। কই, কোনদিন তো এমন কিছু হল না।
দুই নেত্রীর ব্যাঙ্গচিত্র একটি ক্যামোফ্ল্যাজ। মৌলবাদ তোষণই নেপথ্য কথা। তীব্র ধীক্কার জানাই। :no:
এ থেকে বোঝা যায় মুসলিম বিশ্ব উল্টো পথে হাটতে পছন্দ করে ।
আওয়ামী লীগ হলো ডিজিটাল মৌলবাদীদের দল।।
এটা পলিটিকাল কারণে হতে পারে। মোল্লাদের একটু হাতে রাখার চেষ্টা। কিন্তু এর কারণে যে বিশাল যুবসমাজের চক্ষুশুল হতে হল সেটা আর চিন্তা করে নাই।
@স্বাধীন,
এটাই আওয়ামী লীগের মত একটি জনপ্রিয় দল বুঝেনি। ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এরা জানে না? কিছু মোল্লাকে হাতে রাখতে এত বড় ঝুকি? তবে আমি অনেকটা নিশ্চিত যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
মোল্লারা মনে হয় আজ বগল বাজাচ্ছে, তাদের একটা বড় ধরনের বিজয়।
@আদিল মাহমুদ,
আজ আপনার মন্তব্য কালের কন্ঠেও উঠে এসেছে! এটা খুবি সত্য কথা যে মোল্লারা আসলেই খুশি। কিছুদিন আগে আমার সহপাঠি আমাকে ফোন দিয়ে বলছিল, আনাস ফেসবুকে নাকি নবীকে নিয়ে কি করছে? আমি বললাম হ্যা তারা কার্টুন আকবে। সে আমাকে বলল, ভাই, আমরা তো এসব বুঝিনা। তোমরা কি করতে পার এর বিপক্ষে? আমি তাকে বললাম ভাই, আমি তো কার্টুন আকতে পারি না। বড় জোড় একটা গ্রুপ খুলে প্রতিবাদ জানাতে পারি যদি আমার খারাপ লাগে। ও বলল কি বল! এটা কত খারাপ কাজ না! তোমার খারাপ লাগেনা মানে কি! কথা এরিয়ে গিয়ে বললাম, হ্যা, দেখি একটা গ্রুপ খুলে প্রতিবাদ জানানোর ব্যাবস্থা করব। সে আজ আমাকে ফোন দিয়ে ভীষণ খুশি মনে জিজ্ঞাস করল। তোমার গ্রুপে মনে হয় কাজ হয়েছে! আমি বললাম, তাতে কি ভাল হল? যদি গ্রুপ খুলেও থাকি, সেটাতো এখন বন্ধ। ওর জবাব, আরে মিয়া, হারাম কাজ শুধুমাত্র প্রয়োজনে করা যায়। এখন তোমার আর এ হারাম কাজ করার দরকার নাই!
আমার মনে হয় সামনের বার এদের ভোট বর্তমান সরকার পাবে!
@আনাস,
উঁহু, সে আশায় গুড়ে বালি। মোল্লা চক্রের ভোট কোনদিনও নৌকায় পড়বে না।
তবে নবীর অবমাননার প্রশ্ন আসলে তো গোটা ইন্টারনেটই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ইনটারনেট এ নবী ও ইসলাম সংক্রান্ত যত তথ্য আছে সেগুলি দেশের মানুষ দিনের পর দিন পড়লে একটা বড় অংশের মানুষই মুরতাদ হয়ে যাবে।
@স্বাধীন,
শুধু মোল্লা বললে ভুল হবে, মোল্লাদের পিছনে যে বিশাল ইসলামি সাম্রাজ্যবাদ কাজ করছে সেটার তুলনায় বাংলাদেশের যুবসমাজ যে শাসকদলের কাছে নস্যি।
এটা আমাদের সরকারের “ধর্ম নিরেপেক্ষতা” বোঝা। তাছাড়া আর কিছু নয়।
তাহলে বুঝলেন অবশেষে!
যতদিন মুসলমাদের ওপর কোরান আর মোহাম্মদ এর ভুত রাজত্ব করবে।
@ভবঘুরে,
কালকে আমি সর্ব প্রথম মুক্তমনায় এই কথা জানাই,কোথায় জানাবো? কী করে জানাবো?তাই
রনদীপম বাবুর পোষ্ট এ জানাই এই ভাবে—
“কথাটা কোথায় জানাবো বুঝতে না পেরে জানাছি সবাইকে। এই মাত্র জানতে পারলাম বাংলা দেশে ফেসবুক ব্যান করা হয়েছে। নবীর অবমাননার কারনে নাকি? যার যার ফেস বুক আছে দেখুন। দেখুন কী উদার নীতির মুসলিম দেশ।
:-Y