মৃত্যু ভাবনা ও মোনাজাত
-মোকছেদ আলী*
আমি জানি আমি একদিন থাকবো না এই পৃথিবীতে। বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম শত বৎসর। কিন্তু সেটা যে হবে, আমার সেই আকাঙ্খা যে পূরণ হবে এমনটি বলা যাচ্ছে না। তবে মৃত্যু অবধারিত। চারদিকের মানুষের তো এই পরিণনতিই দেখছি। শেষ গন্তব্য তো মাটি। যদিও বলা হয়ে থাকে- এই মাটি থেকেই নাকি মানুষের পয়দা। মানুষের ঘরে জন্ম নিয়ে কিভাবে যে বলি মাটি থেকে পয়দা, আমি বুঝতে পারি না। কি রূপক রহস্য আছে তা আমার নিকট এখনও অজ্ঞাত। ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে বলেই কি বিশ্বাস করতে হবে? যাহোক, মাটির মানুষ মাটিতে মিশে যাবো অনন্তকালের জন্য। সেখান থেকে ফিরে আসে না কেউ। কেউ ফিরে এসে তার বর্ণনাও দিতে পারেনি। সে এক অজ্ঞাত ব্যাপার। কত জনের মৃত্যু দেখেছি, জানাজায় অংশ নিয়েছি। কতবার চোখের পানি ফেলেছি, তার তো হিসাব নাই। আবেগে আপ্লুত হয়ে পরকালের ভাবনা ভেবেছি।
সন্তানেরা দূরে থাকে। জীবিত থাকাকালেই জানতে পারি না কেমন আছে, যতক্ষণ না তারা পত্র দিয়ে জানায়। মরে যাবার পর, মাটিতে মিশে যাবার পর তো কিছু জানতে পারবো না। যদি জানতে পারতাম, তাহলে তো জীবিত থাকার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতাম। মরে গিয়েও সব দেখছি। জীবিতকালে যা পারিনি মৃত্যুর পর তা পারছি। ছোট্ট কবর। যার কোন জানালা নেই, দরজা নেই। ওখান থেকেই সব দেখছি। ছেলেদের কষ্টে কষ্ট পাচ্ছি। মেয়েদের সুখে সুখী হচ্ছি। তাকি সম্ভব? জীবিত থাকাকালে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে সামান্য দূরের বস্তু দেখতে পারতাম না। আর মৃত্যুর পর সব দেখছি- ঢাকা, রাজবাড়ি, খুলনা, পাবনা সব দেখছি!
মাঝে মাঝে মানুষ দু:খ কষ্ট পেলে কথায় কথায় বলে- মরে গিয়েও যদি শান্তি পেতাম। মরে গিয়ে আবার কিসের শান্তি? তখন কি কোন আবেগ অনুভূতি থাকবে? তখন কি কবর থেকে সবকিছু দেখতে পারবো? আমি তো মৃত, আমার রক্তমাংসহাড় মাটিতে মিশে বিলীন হয়ে অস্তিত্বহীন হয়ে গেছি। অস্তিত্বহীনরা আবার কি দেখবে? বলা হয়ে থাকে- আমার আত্মা দেখবে। কিন্তু এই আত্মা শরীর থেকে বের হয়ে কোথায় যাবে জানি না। উর্ধগামী হয় নাকি অধগামী হয়? আমার শরীরে প্রাণবায়ু ছিল। উড়ে গেল। নিথর হয়ে গেলাম। আমি তখন আর মানুষ না। ডেডবডি, লাশ, মাইয়েত, মরা। আমার মৃত্যুর পর আমাকে দেখতে এসে কেউ আর এভাবে সন্তানদেরকে বলবে না ‘তোমার আব্বা কোথায়?’ তখন বলবে ‘তোমার আব্বার লাশ কোথায়? বা মাইয়েত কোথায়?’ এখন কল্পনায় এসব ভাবছি, মৃত্যুর পর এর কিছুই ভাবতে পারব না। কারণ, জীবিতরা জানে যে সে একদিন মরবে। মৃতেরা কিছুই জানে না। মৃতরা কি জীবিত, যে জানবে? জানে তো জীবিতরাই। কবরে কোন সুখ নাই, কবরে কোন দুঃখ নাই। কারণ, তখন তো আমার কোন অনুভূতি নাই। অনুভূতিহীন মৃতের আবার সুখই কি দুঃখই কি? মৃত ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি বিলুপ্ত। ভালবাসা, হিংসা, ঘৃণা সবই চলে গেছে। সূর্যের নিচে যা কিছু ঘটে তাতে কি মৃতেরা আবার অংশ নিতে পারবে? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর- অবশ্যই পারবে না।
আমি আর নাতিদের সাথে খেলতে পারবো না। আমাকে গরম ভাত, ঠান্ডা ভাত, খিচুরী, পায়েস এগুলো আমার গিন্নি, বৌমা কেউ আর এনে দেবে না। চুল কাটার জন্য নাপিত ঘরে যাব না। কেউ নখ কেটে দেবে না। বকাঝকা করবে না। কোনকিছু লিখব না। কোন বিয়ের দাওয়াত খাবো না। ঈদের নামাজ পড়তে যাবো না। মসজিদমুখো হবো না। ভোট দেবার জন্য কোন ভোটকেন্দ্রে যাবো না। মাঠ থেকে মাথায় খড়ি নিয়ে আসবো না। কোন গাছ লাগাবো না। মিলাদ মহফিলে অংশ নেব না। কোরান আর পড়বো না। ধর্মীয় বই আমাকে আর স্পর্শ করবে না। সূর্যের নিচের কোন কাজই আর আমার দ্বারা ঘটবে না। সব শেষ। আসলেই কি সব শেষ নাকি শুরু? ধর্মের লোকেরা বলে- মৃত্যুর পরই আসল জীবন শুরু হয়।
আমার মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েরা কিছুদিন শোক প্রকাশ করবে। প্রয়োজনের তাগিদে, সময়ের কারণে এক সময় এই শোক হালকা হয়ে যাবে। তারা তাদের নিজেদের কাজ করতে থাকবে। তারপর একদিন তারাও আমার মত এই ক্ষণিক জীবন নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে। থাকবে তখন তাদের সন্তান। সেই সন্তানরাও মানে আমার নাতিপুতিরা চলে যাবে। আমাকে যেখানে কবর দেয়া হবে সেই স্থানে কি আমার বংশধরদের কবর হবে? কিছুই জানি না। ভবিষ্যতের কথা কিছুই জানি না। শুধু কল্পনা আর বিশ্বাসের আশ্রয় নিয়ে চলেছি। বয়সের এক-এক সময় বিশ্বাসের হেরফের হয়েছে। ছোটবেলায় যে বিশ্বাস ছিল, যুবক হওয়ার পর তা পরিবর্তন হয়েছে। পৌঢ়কালে আরেক ধরনের বিশ্বাস হয়েছে।
শুধু পরিবার, সমাজ কিম্বা ধর্মগ্রন্থের দ্বারা মনের ভিতরে বিশ্বাস আসে- মৃত্যুই শেষ নয়। হয়তো যেখানে মৃত্যু শেষ হয়েছে, সেখান থেকে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। কিছু একটা আছে। মৃত্যুর পর আবার জীবিত হবো। আমার পাপ পুণ্যের বিচার হবে। সে অনুযায়ী আমার পুরস্কার হবে। হয় বেহেস্ত না হয় দোযখ। তবে আমি বিশ্বাস করি যদি বেহেস্ত বলে কিছু থাকে, তবে আমি অবশ্যই বেহেস্তে যাব। কারণ আমি আল্লাহতে বিশ্বাস করেছি, নবীতে বিশ্বাস করেছি। শরিয়তের নামাজ রোজ পালন করতে চেষ্টা করেছি। জানামতে কারো কোন ক্ষতি করি নাই। অজানায় কোন গুনাহ করলেও প্রচুর তওবা করেছি। নিয়মিত জিকির করেছি আল্লাহর নামে। তারপরও কর্মের দ্বারা নিজেকে কোন সময় বেহেস্তের উপযুক্ত বলে মনে হয়নি। আমি প্রতি মুহুর্তে তার রহমের উপর নির্ভর করেছি। আমার কাজের গুণে নয়, আমার সৃষ্টিকর্তার মহা রহমতের কারণেই তাকে অনুরোধ করতে পারি। মুসলিম হিসেবে এক আল্লাহ ছাড়া কোন সৃষ্ট জিনিসে উপাসনা করিনি। তারপরও আমি বেহেস্তের অযোগ্য বলে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি। অতএব আমার বিশ্বাসই আমাকে বেহেস্তের দিকে ঠেলে দিবে।
পৃথিবীতে নবীরা কেন এসেছেন? সমাজকে পরিবর্তন করতেই তো এসেছেন। বলা হয়- “তারা ছিলেন সত্যবাদী। সমাজে তাদের সত্যতার ফল দেখা গেছে। সমাজকে পরিবর্তন করেছেন। তারা যা বলেছেন, সবই সত্য বলেছেন। তারা কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে কোন কাজ করেন নি। তারা ছিলেন সত্যিই আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে সমাজের প্রয়োজনে তাদেরকে পাঠিয়েছেন।” আচ্ছা, আল্লাহ কি শুধু নবীদেরকেই পাঠিয়েছেন? বড় বড় বিজ্ঞানী, মনিষী, সমাজ সংস্কারককে কে পাঠিয়েছেন? তাদেরকে কি আল্লাহ পাঠাননি? বিজ্ঞানীদের বড় বড় কীর্তির কাছে নবী রাসুলদের কোন কীর্তিই খাটে না। নবীদের এমন কোন আবিষ্কার আছে কি যা বর্তমানে মানুষের ভীষণ উপকারে লাগছে? যদিও বর্তমানে কোন নবী আর আসে না। কিন্তু তাদের অনুসারীরা তো আছে। সেই অনুসারী পীর হোক, ফকির হোক, আলেম হোক, মোল্লা হোক, পুরোহিত হোক, সবাই বিজ্ঞানীদের অনুসরণ না করলেও বিজ্ঞান কর্তৃক প্রদত্ত বস্তুর ব্যবহার দেদারছে করছে। ফ্যান, বাতি, জাহাজ, রেলগাড়ি স্টিমার, চশমা, ছাপাখানা, মাইক, কত শত জিনিস তারা ব্যবহার করছে। এত দামী উপকারী বস্তুগুলো তো কোন নবীরা আবিষ্কার করেনি।
তারপরও আমাকে বিশ্বাস করতে হয়- কোরান সম্পূর্ণ সত্য। আমার ভেতরের যত বিশ্বাস আছে সেগুলো দিয়েই আমাকে বিশ্বাস করতে হবে, যুক্তি সেখানে অচল। অনেক কিছু আছে যুক্তি দিয়ে বুঝা যায় না বা বুঝানো যায় না। কিন্তু অন্তরে উপলব্ধির মাধ্যমে বুঝতে হয়। আর আমি সেই যুক্তিহীন বিশ্বাসের উপলব্ধি পেয়েছি। সেই বিশ্বাস আর উপলব্ধির আলোকেই আমি আল্লাহর দয়া কামনা করি এবং মুনাজাত করে থাকি।
সেজন্য আল্লাহর কাছে মুনাজাত করি, “হে আল্লাহ, তোমার অস্তিত্বের উপর চরম সন্দিহান হয়ে কতবার যে তোমাকে অস্বীকার করেছি তার হিসেব নাই। কখনও কখনও তোমার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কখনও কখনও বলেছি- সমস্ত কবরস্থানগুলোকে চাষ করে ধান বুনে দাও, কবরের উপর ইমারতগুলো গুড়িয়ে দাও। তোমাকে কতবার অনুরোধ করেছি- আমার বিশ্বাস বাড়িয়ে তোল। কিন্তু আমার সেই অনুরোধ তুমি রক্ষা করোনি। বরং সন্দেহ থেকে আরো সন্দেহের জন্ম নিয়েছে। তুমি থাকলে থাকতে পারো, কিন্তু তুমি যে কোরান, বাইবেল, পাঠিয়েছ তা বিশ্বাস করতে পারিনি। কেন পারিনি তা তো তুমি জানোই। শুধু মনে হয়েছে তোমার মুখের বাণী কেন এত অসামঞ্জস্যপূর্ণ? নাকি আমার বুঝবার ভুল? যাহোক, মৃত্যুকালে তোমার উপর প্রকৃত ঈমান নিয়ে যেন দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারি এবং দুনিয়ার কারো প্রতি কোন অভিযোগ না করে শান্তিতে মৃত্যুকে গ্রহণ করতে পারি, সেই তৌফিকটা অন্তত:পক্ষে আমাকে দিও। যদি কোন অপরাধ করে থাকি, তবে আমার অপরাধের শাস্তি এই দুনিয়াতেই দিও। তবুও ঐপারে দিও না। অপরাধের শাস্তি তুমি সন্তানদের উপর দিও না। কবরের আজাব বলে যদি কিছু থেকে থাকে তা থেকেও আমাকে মাফ দিও। সন্তানদের সমস্ত অপরাধ তুমি মাফ করে দিও। তাদেরকে কখনও মাদ্রাসায় পড়াই নাই, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছি। সন্তানদের প্রতি আমার যে দায়িত্ব কর্তব্য ছিল সেটা হয়তো ঠিকমত পালন করতে পারি নাই, তাও তুমি মাফ করে দিও। বিভিন্ন সময়ে তাদের অন্তরে কষ্ট দিয়েছি। তাদের ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছি, তবুও সন্তানদের জন্য আমার বুকের মধ্যে হাহাকার করে উঠেছে। তদ্রুপ তাদের অন্তরে তাদের সন্তানদের জন্য মঙ্গল কামনা করার মনোভাব দিও। তাদের সন্তানরা যেন তাদের পিতামাতার সাথে উপযুক্ত আচরণ করে। হে আল্লাহ, আমি লিখিতভাবে তোমার কাছে কত মুনাজাত করেছি।১ সেই লিখিত মুনাজাতেও আমার ভুল থাকতে পারে। ঘটনার বিশ্লেষণ হয়তো ঠিকমত হয়নি। আবেগের বশবর্তী হয়ে কত কথা লিখেছি যা হয়তো লেখা উচিত হয়নি বলে অনেকের কাছে মনে হতে পারে এমনকি তোমার কাছেও হতে পারে। ভুল করে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চাই। আমার সন্তানেরা যেন এই ইহজগতে ধন দৌলতে তেমন ঐশ্বর্যশালী না হোক কিন্তু আমল আখলাকে উচ্চমার্গে অবস্থান করিয়ে দাও। ধন দৌলত তো বাতাসের সাথে উড়ে যায়। আজ আছে কাল নাই। যেমন আমার ছিল, আবার উড়ে গেছে। ‘তুমি বাদশাহকে ফকির বানাও, আবার ফকিরকে বাদশাহ বানাও’, এই কথাটা আমি আমার জীবনে উপলব্ধি করেছি। আমার ফ্যাক্টরী ধ্বংস হয়ে গেল। মাঠে নামলাম, সেখানেও একটার পর একটা গজব। অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, খড়ায় ফসল নস্ট হয়ে গেল। একে একে সব জমি বিক্রি করে সন্তানদের আহার জোগালাম, লেখাপড়া করালাম। এগুলো কি সবই আমার উপর পরীক্ষা? কেন পরীক্ষা দিলে? এই পরীক্ষা আমার সন্তানদের উপর দিও না, যা তারা সহ্য করতে পারবে না। সমস্ত ধরনের বালা মুসিবত থেকে তাদের হেফাজত করো। তাদের হাত পা অন্যের ক্ষতির কারণ যেন না হয়। সকলকে সত্যবাদী করে রেখো। যুবককালে নানা ধরনের মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হতেই পারে, যেমন আমি হয়েছিলাম। যদিও আমার দ্বারা সমাজের কোন ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি কি তোমার হয়েছে? ক্ষতি হয়েছে আমার। আমি সম্পদ হারা হয়েছি। এমন কোনো মতবাদে তাদের প্রভাবিত হতে দিও না যাতে তুমি বিমুখ হও এবং অন্যের ক্ষতি কিম্বা সমাজে বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। তাদেরকে ধর্মগোড়ামী, ধর্মান্ধতা থেকেও মুক্ত রেখো। যে নেক উদ্দেশ্য নিয়ে তুমি তাদের পয়দা করেছো, সেই নেক উদ্দেশ্য পুরণ করতে তাদের তৌফিক দান করো। যে কাজের মধ্যেই তারা থাকুক না কেন, ন্যায় ও সত্যের পথে হালাল রুজি উপার্জন করতে তাদের সাহায্য করো। প্রতি মুহুর্তে যেন তারা তাদের বিবেককে ব্যবহার করে। আমার ১৩ টি সন্তানদের পরস্পরের প্রতি সহনশীল মনোভাব দাও। একে অন্যের দুঃখে সাহায্যে এগিয়ে আসার মনোভাব দাও। তাদের পরস্পর সম্পর্ক সুদৃঢ় কর।
হে পরোয়ার দেগার রাব্বুল আলামিন, তুমি তোমার স্বাভাবিক গুণে তোমার উক্ত ১৩ টি বান্দার হায়াত দারাজ কর। ইহকালে পরকালে মর্যাদাশীল কর। মানবীয় গুণে গুনান্বিত কর। বিবেকের আদর্শকে বাস্তবায়িত করবার তৌফিক দাও। প্রকৃত যুক্তিবাদী জ্ঞানী বানাও ও সমস্ত বিপদমুক্ত রেখো। আমিন, ছুম্মা আমিন।”
অনুলিখন: মাহফুজ
*মোকছেদ আলী (১৯২২-২০০৯)। স্বশিক্ষিত।
১. মুনাজাতের উপর তিন খণ্ডের পান্ডুলিপি রয়েছে। লেখক আল্লাহর সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন। পান্ডুলিপিগুলো সুটনী এম জে, ১৩ ফন্টে কম্পোজ করার পর ইউএস লেটার পেপারে ২৮ পৃষ্ঠা হয়েছে।
আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।
সুন্দর প্রশ্ন।
:yes:
:yes: অসাধারণ
শৈশবে ব্রেন ওয়াসিং করে যদি মোকছেদ আলীর মধ্যে দোজখের ভয় না ঢুকিয়ে দেয়া হত তবে তিনি হয়ত অনেক বড় কোনো দার্শনিক হতে পারতেন। তাকে সবসময় একটা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যে দোলায়িত দেখা যায়।
@সৈকত চৌধুরী,
একেবারে খাটিঁ কথা বলেছেন।