২৫শে মার্চের কাল রাত্রির কথা বাঙালীরা ভুলতে পারবে না কোন দিনই। ১৯৭১ সালের মার্চের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলিতে চলছিল অসহযোগ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সারা বাংলাদেশে যে বেসামরিক প্রশাসন আওয়ামী লীগ হাতে তুলে নিয়েছিল তার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। ম্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব যেন ৭ই মার্চের পর থেকে তাঁর কাঁধেই অর্পিত হয়েছিল। অন্যদিকে মধ্য মার্চ থেকে সামরিক জান্তার প্রধান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সাথে বাংলাদেশের অবিসংবাধিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে শুরু হয়েছিল ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনা। এরই সাথে চলছিল বাঙালীর স্বাধীনতার সার্বিক সশস্ত্র যুদ্ধের প্রাথমিক প্রস্তুতি – “গঙ্গা যমুনা মেঘনা – তোমার আমার ঠিকানা“; “বীর বাঙালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন করা। “ এরই পাশাপাশি পাকিস্তানীদের চলছিল গোপন ষড়যন্ত্র, চলছিল পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আমদানি, আর ‘অপারেশন সার্চলাইটের গোপন মহরা”।
আসন্ন ২৫শে মার্চের ভয়াবহ কাল রাত্রির বিপুলতা আঁচ করতে না পারলেও যে ভয়ানক একটি ঝড় আসন্ন তার পূর্বাভাস যেন পাচ্ছিলাম, পাচ্ছিলাম একটি ভয়ানক গণহত্যার পূর্বাভাস। তাই জেনোসাইডের আশঙ্কা আঁচ করতে পেরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবী অনেক বিশ্ব নেতাদের ও ইউ.এন সেক্রেটারিী কাছে আমাদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে এই জেনোসাইড রোধে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ব নেতৃত্ব ও সেক্রেটারি জেনারেল পাকিস্তানীদের দুরভিসন্ধি আঁচ করতে পারেন নি। ফলে জেনোসাইড রোধে তারা কোন পদক্ষেপ নেন নি। আমাদের দুর্ভাগ্য। ২৪শে মার্চেই আমি ধারণা করেছিলাম যে মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনা স্থিতাবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রবল ঝড় অত্যাসন্ন -আমরা সবাই ভেসে যাব খড় কুটার মত … (এরপর পড়ুন এখানে :pdf: )
সত্য কথা বললে কাওকে পুজা করা হয় না । স্যার এর এই লেখা তাই প্রমান করে মানুষ দেবতা না , বঙ্গবন্ধুও দেবতা না । কিন্তু বঙ্গবন্ধু সাহসি,দেশপ্রেমিক এবং সর্বোপরি একজন নেতা ছিলেন । আমরা বাঙ্গালীরা আমাদের নেতাকে হত্যা করেছি । আমরা খুনি, বিকলাঙ্গ জাতি আমার অতীত ও ছিল না ভবিষ্যৎ ও নাই … পিত্রি-ঘাতক এই জাতিকে আমি ভয় পাই । তাই আমি দেশ ছেড়ে পালিয়েছি ঃ
ভেবেছিলাম একবার ৩২ নম্বর এ যাব
বিবেক আমাকে বলেছে ওখানে যেও না ঘাতক এর বুলেট এর দাগ আছে
তোমাকে দেখলে বিদ্রুপ এর হাসি দেবে ।
পরে ভাবলাম টুঙ্গিপারায় যাই
বন্ধুরা বলল, অনেক দুরের পথ… সোরওয়াদী উদ্যান এ যাও
যদি সেই কন্ঠের প্রতিধ্বনি শুনতে চাও।
আমি কোথাও যাইনি,পালিয়েছি…
আমার এই পলায়নের কারন ঃ
আপনারা যারা একাত্তরের শহিদ দের বিধবা স্ত্রি,পুত্র কন্যা,
বলে দেবেন আমি পিতৃ ঘাতক জাতিরই আবর্জনা !
অনেক না জানা কথা…
স্যার,
বাঙালির হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবগাঁথা — মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সেই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম।
জ য় বা ং লা ! :rose:
অবকাশ তারপরেও থাকবে। কারন, এর সাথে অনেকের রুটি-রুজির প্রশ্ন জড়িত কিনা।
@ মাহবুব সাঈদ মামুন।
বিডি নিউজ দেখলাম।
পাশাপাশি পাকিস্তানীদের চলছিল গোপন ষড়যন্ত্র, চলছিল পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আমদানি -স্যারের এই কথাটিও কিন্তু মনে রাখতে হবে। অতীতে যেমন যড়যন্ত্র ছিল, বর্তমানেও কিন্তু থাকবে।
@মাহফুজ,
ঠিকই, পরাজিত শত্রুরা তো তাই করে।যেমন আমাদের দেশের শত্রুরা গত সাড়ে তিন দশকের বেশী সময় ধরে তা করে বেড়াচ্ছে।
অজয় স্যার এর এ লেখাটা আশা করি বাংলাদেশের দৈনিক সব পত্রিকায় ছাপা হবে বা ইতি মধ্যে তা ছাপা হয়েছে।আর তা হলে লক্ষ লক্ষ বাংগালি এক যোগে এক সত্য ইতিহাস জানতে পারবে।তাহলে পু্রো জাতির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে আর বিভ্রান্তি ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অবকাশ থাকবে না।
শত্রুদের ও যুদ্ধাপরাধীদের অবিল্মবে বিচার ও সাজা চাই————– :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
অনেক না জানা প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল। ভেবেছিলাম যে স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক নিয়ে একটি পোষ্ট দেব। তার তেমন দরকার দেখছি না।
এ নিয়ে যারা কূটতর্ক করার তারা করেই যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতিচারণ একটি ইতিহাস। এই ইতিহাস পাঠ করে যুব সমাজ দেশপ্রেমে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে।
@মাহফুজ,
এই মাত্র বিডি নিউজে যুদ্ধাপরাধ: তদন্তকারী ও বিচারকদের নাম ঘোষণা বাংলাদেশ সরকার ঘোষনা করেছে।এখানে
স্যারের এই স্মৃতিচারণটি পড়ে যুব সমাজ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে উঠবে।
স্যার, আপনার এ লেখা পডার পর যারা দ্বিমত প্রকাশ করবে তারা “কাহার জন্ম, নির্নয় ন জানি”।
আর একটা কথা, “proclaim” আর “declare” এর পার্থক্য কি ?