‘নির্বাচিত কবিতা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রবিশঙ্কর মৈত্রী, ড. মহসিন আলী, প্রত্যয় জসীম, সারওয়ারুল ইসলাম, ও এ কে এম মিজানুর রহমান। ১৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নজরুল মঞ্চে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন সৌমিত্র দেব। পুরো অনুষ্ঠান ভিডিও করে স্বপ্নেরসিঁডি ডট কম।
২৭২ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থের প্রকাশক অনন্যা এবং দাম রাখা হয়েছে ৩০০টাকা। আটটি কাব্যগ্রন্থ, একটি ছড়া ও একটি অনুবাদগ্রন্থ থেকে বাছাইকৃত কবিতা স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে। দেশের বাইয়ে নিউইয়র্কের মুক্তধারা, লন্ডনের সঙ্গীতা ও টরেন্টোর বাংলামেলা এবং এটিএন মেগা স্টোরে বইটি পাওয়া যাবে। এইসব স্টোরে প্রয়োজনে আগেভাগে অর্ডার দিয়ে রাখা যেতে পারে।
অভিনন্দন। :rose2: তবে ‘ওয়ার্ডার’ না দিয়ে অর্ডার দিতে পারলে আরো ভালো লাগত। ফেব্রুয়ারী বলে ভুল টাইপিং ধরলাম। অপরাধ নেবেন না। কবিতা ভালো লেগেছে।
@আগন্তুক,
কবিতা ভালো লেগেছে জেনে অনন্দিত হলাম। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ। বানানটি সংশোধন করে দেয়া হলো। ফেব্রুয়ারি হোক আর ডিসেম্বর হোক ভুল তো ভুলই। ভালো থাকবেন।
@আগন্তুক,
ফেব্রুয়ারী নয়, সঠিক বানানটা হবে ফেব্রুয়ারি। আমিও এটা সেই সেদিন জানলাম। বিদেশী শব্দের বাংলা করলে ব্যাকরণরীতি অনুযায়ী ই-কার হয়। বিদেশী শব্দে দীর্ঘ-ই (ঈ) বা দীর্ঘ-উ (ঊ) বর্জনীয়। তাই, ‘ফেব্রুয়ারি’ ঠিক, ‘ফেব্রুয়ারী’ ভুল। 🙂
@অভিজিৎ রায়,
ঠিকই বলেছেন। বিদেশী শব্দে ‘ণ’ ও ‘ঈ’ পরিহার করার প্রথা চালু হয়েছে। তবে কিছু কিছু বানান নিপাতনে সিদ্ধ বলে ধরে নেয়া হয়; তার মানে লিখতে লিখেতে ভুলটাও প্রচলিত। যেমন ‘সোনালী’, আদতে হবে ‘সোনালি’। আমি অবশ্য ‘জানুয়ারি’, ‘ফেব্রুয়ারি’ দুই ভাবেই শুদ্ধ বলে মনে করি। কারণ, এই শব্দগুলো ব্যবহৃত হতে হতে বাংলাই হয়ে গেছে; অতএব উচ্চারণ গত ভাবে এদের ‘ঈ’-কার দিয়ে লেখাই ভালো। অন্যদিকে নতুন নিয়মে হবে ‘ই’-কার। ফলত দুটোই চলুক না কেনো!
অভিনন্দন। বই থেকে লেখায় যদি অন্তত একটি কবিতা যোগ করতেন! :yes:
@বিপ্লব রহমান,
অশেষ ধন্যবাদ। অপনার অনুরোধে প্রায় ১৪ বছরের ব্যবধানে রচিত দু’টি কবিতা তুলে দিলাম। ভবিষ্যতে অন-লাইনে পুরো বইটি রাখার পরিকল্পনা আছে। ভালো থাকবেন।
‘নির্বাচিত কবিতা’ থেকে
ঈশ্বর যখন মৃত
ঈশ্বর যখন মরে যাবে
আমি নদীতে সাঁতার
কাটবো, খেলবো ফুটবল
আর ভক্ত খুঁজে আনবো অসংখ্য
যারা মহানন্দে হাততালি দেবে।
ঈশ্বর যখন মরে যাবে
আমি আমার বাড়ির কাছে
ফরেস্ট পার্কের বড়ো বড়ো
গাছে উঠে
সবগুলো কাঠবিড়ালী ফেলবো মেরে─
যাতে আমার বাড়ির সামনের সব্জিক্ষেত
অনায়াসে রক্ষা পেয়ে যায়।
ঈশ্বর যখন মরে যাবে
আমি টুনা মাছের বিশাল স্যান্ডুইচ খাবো
সাথে থাকবে পাঁচটা ভাজা তেলাপোকা;
আর বন্ধুগণ, আপনাদের পা ধরে বলবো মুসা, ঈসা,
মোহাম্মদ ও কৃষ্ণকে নিয়ে আরেকবার ভাবতে
শতাব্দীর পর শতাব্দী যাদের জন্যে
আপনারা একে অন্যকে প্রকাশ্যে খুন করে চলেছেন।
ঈশ্বর যখন মরে যাবে
আমি কাব্য লেখা বন্ধ করে দেবো
এবং বিশ্বাস করো প্রিয়তমা,
তোমার সাথেই পরপর তিনদিন তিনরাত
এক নাগাড়ে থাকবো শুয়ে
এবং কখনো হবো না বিচ্ছিন্ন।
অবশেষে অপরূপা চাঁদ
খণ্ড খণ্ড মেঘের আড়াল ঠেলে অপরূপা চাঁদ
তুমি শেষে বের হয়ে এলে এই প্রকাশ্য রাস্তায়।
তোমাকে অভিবাদন জানাতে রয়েছে দেখো ঠায়
দাঁড়িয়ে অদূরে সবুজের আধুনিক অনুবাদ;
রাতের গোলাপ ভাঙে এই বেলা আনন্দের বাঁধ;
ভালবাসাময় তার শরীর নির্বিঘ্নে দিয়ে যায়
স্নিগ্ধ একান্ত সুবাস। শতাব্দীর শুষ্ক জানালায়
ঝোলে জীবনের অন্ধ অসম্পূর্ণ অনন্ত আস্বাদ।
তোমার গতর থেকে ছুটে আসা মিহিন আলোক
আমাকে পাগল করে। স্পষ্ট বুঝে যাই, বেঁচে থাকা
মানে হলো চাঁদ আর সবুজের মিলিত শোলক─
এতোদিন এইসব মেঘের বার্নিশে ছিলো ঢাকা।
তোমার চঞ্চল দিন খুলে দেয় আমার দু’চোখ─
চোখের গভীরে দেখি আছে আরো দু’টি চোখ আঁকা।
–হাসানআল আব্দুল্লাহ