অবসর প্রকাশনায় খুঁজছিলাম বন্যা আহমেদ ও অভিজিৎ রায়ের বই। এককপি করে প্যাকেট করতে গেলে বললাম, “দুই কপি করে দেন।” বই দু’টি ইতিমধ্যে আমার সংগ্রহে থাকলেও নিউইয়র্কের বন্ধুদের অনুরোধে আবার কিনতে গিয়েছিলাম। দুই কপি করে চাইতেই স্টলের কর্তব্যরত কর্মচারিরা আমার দিকে তাকালেন। চারপাশে আরো আরো মানুষ। বললাম, “দু’টি বই-ই ভালো। বিজ্ঞানের এমন বই এর আগে লেখা হয়নি।” অন্যান্য ক্রেতারাও আমার কথা শুনছিলেন। আমার দেখা দেখি তারাও চাইলেন। একজন জিজ্ঞেস করেলেন, “কি বিষয়ে লেখা?” আমি বিষয় ব্যাখ্যা করতে করতে বললাম, “বাংলা ভাষার সব পাঠকের এই বই দু’টি পড়া দরকার। এ বই যতো বেশী পড়া হবে, ততো আমরা আলোর দিকে আগাবো।”
ওদিকে ‘স্বপ্নেরসিড়ি ডট কম’ এর স্টলের সামনে আসতেই এগিয়ে এলেন দুই তরুণ। হাতে ক্যামেরা। জানতে চাইলেন নানা কথা: কেমন লাগছে মেলা, কি বই বেরুলো ইত্যাদি ছিলো তাদের প্রশ্নের কাতারে। পরদিন ওয়েব স্ক্রিনে ভেসে উঠলো তারই সম্পাদিত অংশ। মুক্তমনার সদস্যদের জন্যে এখানে তুলে দিলাম। যারা দেশের বাইরে আছেন কিছুটা হলেও হয়তো বইমেলার স্বাদ পাবেন।
http://www.swapnershiri.com/magazine/interview/hasan-abdullah/
বাজে প্রকাশনার থেকে সময় নিয়ে প্রকাশ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিক থেকে অঙ্কুরকে আমার অপছন্দ নয়। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ মিজবাহ সাহেবের সাথে কথা বলে মনে হলো তিনি বই পড়েন। ‘হুমায়ুন আজাদ: রক্তাক্ত কবির মুখ’ বইটির একটি ঘটনা তুলে ধরে তিনি স্টলে উপস্থিত সবাইকে হাসালেন। বললেন, “আগে আমি পাঠক, তারপর প্রকাশক।” এই ব্যাপারটি খুব একটা বেশী পাওয়া যায় না। অন্যদিকে সত্ত্ব কিনে ডব্লিউ ডব্লিউ নরটন, আলফ্রেট কেনফ ইত্যাদি প্রকাশনার বই বাংলাদেশে আর কেউ বের করে বলে আমার জানা নেই। তবে হ্যাঁ, লেখক মেলায় উপস্থিত না থাকলে সব প্রকাশকই তার বইটি নিয়মিত মেলায় আনা ও ডিসপ্লেতে রাখার ব্যাপারে উদাসিন। বাজারী বইয়ের বহুল প্রচারও এই মানসিকতার জন্যে দায়ী।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
এই কথাটা আপনি অবশ্য ঠিকই বলেছেন – বাজে প্রকাশনার থেকে সময় নিয়ে প্রকাশ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। অঙ্কুরের স্বতন্ত্র ভাবনার চেহারা সুরৎ, বাঁধাই আর প্রচ্ছদ দেখে সত্যই অভিভুত হয়ে গিয়েছিলাম। সেজন্যই আসলে ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়’ বইটাও অঙ্কুরকে দেওয়া। কিন্তু মাঝে মধ্যে তাদের ঢিলেমি দেখলে সত্যই গা গুলায়। এমন তো নয় যে বইগুলো বাজারে চলছে না। পাঠকদের যে বিশাল চাহিদা আছে – তা স্টক শেষ দেখেই বোঝা যায়। আসলে সত্যি বলতে কি প্রফেশনালিজম ব্যাপারটা বাংলাদেশে এখনো প্রকাশনা জগতে আসে নি। এমনি যে প্রকাশকেরা বইয়ের ব্যবসা করছেন – তারাও ব্যবসা করার উৎকর্ষতার মূল বিষয়গুলো রপ্ত করতে পারেননি। ব্যাপারটা দুঃখেরই। এমনিতে মানুষ হিসেবে মেসবাহউদ্দিন খারাপ নয়। আর প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় ভাল বই ছাপানোর ব্যাপারে কিছুটা দায়বদ্ধতাও আছে। এটুকুও কম নয়।
যাকগে, মেলা শেষ করে কি আবার ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন? আপনার নতুন বইটার প্রচ্ছদ আর ডিটেল পাঠিয়ে দিন। এখানে রেখে দেয়া যাবে।
@অভিজিৎ রায়,
ধন্যবাদ। মেলা থেকে ফিরে এসেছি রোববার। এবার বেরোলো ‘নির্বাচিত কবিতা’ (অনন্যা)। প্রচ্ছদ পাঠিয়ে দেবো। …এ পর্যন্ত আমার প্রকাশিত ১৯টি বইয়ের প্রকাশক ১১। এতোগুলো প্রকাশকের সাথে কাজ করে বাংলাদেশের প্রকাশনার ভালো মন্দ এখন নখদর্পনে। তবে আমি ধীর গতিতেই বই প্রকাশের পক্ষে; দ্রুততা বইয়ের জৌলুস নষ্ট করে। মার্কিন প্রকাশনা সংস্থা দ্যা ক্রস-কালচারাল কমিউনিকেশন্স আমার ‘ব্রেথ অব বেঙ্গল’ (২০০০), এই ৪৮ পৃষ্ঠার কবিতার বই প্রকাশ করতে ২ বছর নিয়েছিলো। অন্যদিকে ‘কবিতার ছন্দ’ (১৯৯৭) বইয়ের জন্যে বাংলা একাডেমী নিয়েছিলো একবছর।…অঙ্কুর আমার কোনো বই করেনি, তবে এই সংস্থাটির প্রকাশনার মান ভালো লাগে। মিসবাহ সাহেব অবশ্য আপনার বইটি বের হবে বলে জানালেন। ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম’ প্রকাশের সিদ্ধান্ত একটি সাহসী উদ্যোগ সন্দেহ নেই, কারণ আমার ‘কবিতার জন্মদাগ’ (মাওলা, ২০০৮) থেকে অনেকখানি প্রকাশকের অনুরোধে কেটে ফেলে দিতে হয়েছিলো। অন্যদিকে এই মেলায় প্রস্তাবিত ‘বিশশতকের বাংলা কবিতা’ শেষ মুহূর্তে আটকে গেলো; কবে বের হয় কে জানে। অথচ এই বইটির চাহিদার কথা মাওলার মাহমুদ ভাইয়ের অজানা নয়। …বাংলাদেশের অনেক প্রকাশক নানা কারণে বইমেলায় ৮০/৯০/১০০টি বই বের করেন। ব্যাপারটি সুখকর নয়। একমাসে এতো বই কোনো ভাবেই সুচারুরূপে বেরোতে পারেনা। একটি নীতিমালা দরকার যে ৪০/৫০টির বেশী বই মেলায় আনা যাবে না; তাহলে প্রকাশনা সারা বছর ধরে চলবে। মানও ভালো হবে। গতবছর বেরিয়েছিলো আমার ৮ম কবিতার বই ‘একপশলা সময়’ (সাহিত্য বিকাশ); বাধাইয়ের অভাবে এবছর মেলায় আসেনি। প্রকাশককে অনেক বলেও বইটি আনা গেলো না। অনন্যা থেকে দুবছর আগে বেরুনো নাজনীন সীমনের গল্পের বই ‘প্রতত রক্তাক্ত চিৎকার’-র কপি পাওয়া গেলো না। অতএব বাস্তবতা বেশ কঠিন। এর ভেতর দিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
হাসান ভাই, অঙ্কুরকে জামাত কানেকশান বলার অর্থ একান্ত আবেগীয় ক্ষোভের প্রকাশ। এটাকে আশা করি আক্ষরিক অর্থে নেবেন না কেউ। গত বইমেলায় ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম…’ বইটা প্রকাশের কথা থাকলেও কলেবর বিশাল হয়ে যাওয়ায় অখণ্ডভাবে তা প্রকাশে সমস্যা বিবেচনায় পরবর্তীতে তিন খণ্ডে প্রকাশের পরিকল্পনা নেয়া হয় বলে শুনেছি। এবারে আসার কথা প্রথম খণ্ডটা। এটার পাণ্ডুলিপি তো এবছরের নয় যে তা প্রকাশে এতোটা সময়ক্ষেপন কাম্য হবে। একে তো পাঠক চাহিদা, তার উপরে বিষয়গুরুত্বও অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ধরনের বই প্রকাশ না করে ফেলে রাখা আর যাই হোক প্রগতিশীলতা বলে আমি বিশ্বাস করি না।
আসলে পুঁজি বা বাণিজ্যের কাছে আদর্শ মার খাওয়ার দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ হবে এই বইটা এবার প্রকাশ না করা। মেসবাহ ভাইকে অশ্রদ্ধা করছি না। উনি নিশ্চয়ই প্রগতিমনা মানুষ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতার মধ্য দিয়ে ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম, সংঘাত না সমন্বয়’ বইটার অপ্রকাশের দায় কিন্তু প্রগতিশীল বোধের জন্য কোনভাবেই ইতিবাচক নয় বলে মনে হয়। এটা পরোক্ষভাবে প্রগতিবিমুখতারই পরিচায়ক হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের বর্তমান সমাজ-রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিলে এই বইটা এবারের বইমেলায় অন্যতম অতিগুরুত্ববহ বই হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত ছিলো।
কথাগুলো কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য বলিনি। বলেছি নিজের কষ্টটুকু ঢেলে হালকা হবার জন্যেই। বড় আশা করেছিলাম বইটা এবার পাবো। অনেককে বলেছিলামও তা-ই।
@রণদীপম বসু,
আমিও চাই বইটা বেরিয়ে যাক। প্রগতির জন্যে বিজ্ঞান শিক্ষা বা জানার বিকল্প দেখিনা। বিজ্ঞান মানুষকে আলোকিত করে আর ধর্ম ঢেলে দেয় অন্ধকারের দিকে; পশ্চিম ও পুবের দিকে তাকালে তা স্পষ্ট।
এটা আমার জন্য নতুন তথ্য! আমি তো হুমায়ুন আহমেদ বা জাফর ইকবাল নই। আমার বইয়ের স্টক শেষ হবে ক্যান?
আমার মনে হয় আপনি ভুল লেখকের বই চেয়েছিলেন। নয়তো এমনো হতে পারে – একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে অন্য দিনের তুলনায় ব্যাচা বিক্রি একটু বেশি ছিল, তাই যে কয়টা বই তারা ঐদিন বিক্রির জন্য এনেছিলো, সেগুলা হয়তো শেষ। দেখি প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করে – তাহারা কি বলেন শুনে দেখবোনে।
যা হোক, আপনি এর পরে মেলায় যাওয়ার আগে শুদ্ধস্বরের আহমেদুর রশীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে যেতে পারেন। তথ্য আছে এখানে। নিঃসন্দেহে কিছু বই পেয়ে যাবেন। সত্যই খারাপ লাগছে, আপনি কষ্ট করে মেলায় গেলেন কিন্তু বই পেলেন না।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ দা, গতপরশু টুটুল ভাই কিন্তু বলেছিলেন যে সমকামিতা ভালো চলছে। আসলেই তাই। ভাগ্যিস প্রথম দিনই একটা কপি নিয়েছিলাম !
স্বতন্ত্র ভাবনা’র চাহিদা দেখেও যদি অঙ্কুরের বোধোদয় না হয়, তাহলে ধিক তাদের প্রতি ! যে ক’দিন মেলায় গিয়েছি, জ্বালাতন করতে ভুল করিনি তাদের- ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম, সংঘাত না সমন্বয়’ কই ? তাদের প্রথম দিককার ইতিবাচক অভিব্যক্তি ধীরে ধীরে কেমন রহস্যময় হয়ে ওঠলো মেলার শেষের দিকে আসতে আসতে। মেলায় আসবেই প্রতিশ্রুতিটাও কেমন কমজোর হয়ে আসতে লাগলো। আসলে তাদের মনোভাবটা কী ! কোন জামাত কানেকশান আছে নাকি তাদের ? প্রকাশক হিসেবে একটা সামাজিক দায়িত্বও যে থাকতে হয়, সেটা কি আদৌ আছে তাদের ? প্রথম খণ্ডটা এবার না বেরোলে খুব কষ্ট পাবো আমি। প্রকাশক হিসেবেও অঙ্কুরকে কখনোই সৎ প্রকাশক হিসেবে মানতে পারবো না হয়তো।
যাক, বাকি ক’টা দিন দেখি !
@রণদীপমদা,
জামাতের কানেকশন আছে কিনা জানি না, তবে অঙ্কুরের গতি কচ্ছপরেও হার মানায় এইটুকু জানি। এইবার যখন মেলার প্রথম দিকে শুনলাম ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম, সংঘাত না সমন্বয়’ তারা বের করছে – সেজন্যই খুব অবাক হয়েছিলাম। কারণ অঙ্কুর যখন বই প্রকাশের টার্গেট করে – সেটা বের হয় তার পরের বছর, কিংবা তারও পরে, আনলেস ইউ রাইট হ্যারি পটার অর হিলারি ক্লিন্টন স্টাফ। সেজন্যই বলছিলাম – আপনি যদি অঙ্কুররে দিয়া এইবার বই বের করতে পারেন তাহলে বুঝবো আপনি কামেল পাবলিক। কামেল পাবলিকও ফেল মারতেছে বুঝতেছি … :)। যাই হোক হাল ছাইরেন না – একবার না পারিলে দেখো শতবার।
তবে শুদ্ধস্বরের কাজ কারবার এবার আমার খুব পছন্দ হয়েছে। খুব কম সময়ে আমার সমকামিতার বইটা টুটুল যেভাবে নামিয়ে ফেললেন – ঢাকার অনেক প্রকাশকই তা করতে পারেননি, পারবেনও না। আর উনার সবচেয়ে বড় সুবিধা – উনিই মনে হয় একমাত্র প্রকাশক – যিনি ইউনিকোডে লেখা দিলে ইউনিকোডেই ছাপায় ফেলতে পারেন – বিজয়ে কনভার্টের দরকার বোধ করেন না। এই জায়গাটাতেই অন্য প্রকাশকের সাথে পার্থক্য তৈরি হয়ে যায়। অঙ্কুরের মত প্রকাশককে পান্ডুলিপি দিলে তারা তো প্রথম কয়েক মাস অফিসের চিপাতে ফেলে রাখবে, তারপর যখন কাজ শুরু করবে তখন তাদের কম্পোজার দিয়ে নতুন করে বিজয়ে টাইপ করতে শুরু করবে। সময় এবং শক্তির এরকম অপচয় বোধ হয় আর কোথাও নেই। যাই হোক, আমাদের পরের বইগুলো নিয়ে আসলে আলাদা করে প্ল্যান করতে হবে, কি বলেন? প্রকাশকের গাফিলতির জন্য ভাল একটা বই বেরুচ্ছে না – এটা তো মানা যায় না।
আপনার বইয়ের কি অবস্থা? অধীর আগ্রহে আমি ওটার জন্যও অপেক্ষা করছি কিন্তু।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ দা, বাংলাদেশে প্রকাশনার ইতিহাসে ইতোমধ্যেই সম্ভবত শুদ্ধস্বরই একটা পাইওনিয়ার রেকর্ড করে রেখেছে ইউনিকোডে প্রথম বই প্রকাশের। গত বইমেলায় (২০০৯) ইউনিকোডে দুটো বই বের করে- একটি ‘সচলায়তন সংকলন ২য় খণ্ড’, অন্যটি প্রয়াত জুবায়ের ভাইয়ের ‘সিকি-আধুলি গল্পগুলি’। আর এবার হলো ‘সমকামিতা’।
আমার বইটা বেরোয় বেরোয় করছে ক’দিন যাবৎ। এতে টুটুল ভাই’র আসলে কোনো দোষ বা আন্তরিকতায়ও ঘাটতি দেখি না। উনি আসলে তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ফেঁসে গেছেন। তবে বইমেলায় তো অবশ্যই, আজ-কালকের মধ্যেই বইটা স্টলে চলে যাবে আশা করছি। অনেকেই বইটির খোঁজে এসে ফিরে যাচ্ছেন তা নিজের চোখেই দেখছি। আমাকেও জবাবদিহি করতে হচ্ছে অনেক। কী বিপদের কথা বলেন তো ! (ভেতরে ভেতরে যে আবার আরামও পাচ্ছি, এটা অবশ্য কাউকে বুঝতে দিচ্ছি না ! হা হা হা !)
আর আসিফ ভাই’র একটা বই ঐতিহ্য নামানোর কথা। গত পরশু পর্যন্ত সেটা মেলায় আসেনি।
লিটল-ম্যাগ ‘যুক্তি’ নাকি ভালো চলছে, এটাও একটা ভালো খবর।
@অভিজিৎ,
হ্যারি পটার শেষটার বাংলা হাতে পাইতে পাইতেও দুইবছর লাগসে!!
অঙ্কুরে বই না দিয়া নিজেরা হাতে লিখে বিলি করা ভালো!!!!! :-Y
@অভিজিৎ,
প্রশ্নই আসেনা।
তা হতে পারে।
আমাকে পরের দিন যেতে বলেছিল।
মান্নাদের গানের মত বলি। “আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে”। এই ধরনের বই স্টক শেষ হওয়া
মানে ভাল বইয়ের দিকে মানুষের আকর্ষন বাড়ছে।
আমি গতকাল গিয়েছিলাম বই মেলাতে। মানুষের উপচে পড়া ভীড়।
বেশ ভাল লেগেছিল। কিন্তু দুঃখের কথা হল অভিজিৎদার সমকামিতা বিষয়ে আর সতন্ত্র ভাবনা বই দুটো পাইনি। কারন হল স্টক শেষ।
এই কথা শোনার পরে অবশ্য ভাল লেগেছিল। যাই হোক মানুষ অন্তত ভাল বইয়ের দিকে ঝুকছে।
অনেকদিন পরে কবিকে দেখে বেশ ভাল লাগল। কবিকে শুভেচ্ছা।