মুক্তান্বেষার পঞ্চম সংখ্যা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০০৯) বাজারে বেরিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ এবং মুক্তমনার মুখপত্র হিসেবে ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্কতা এবং মানবকল্যানবোধ প্রতিষ্ঠা। মুক্তান্বেষার এই নতুন সংখ্যাটিতে মুক্তমনার নিয়মিত ব্লগারদের অনেকের লেখাই যেমন স্থান পেয়েছে, সেই সাথে পাওয়া যাবে পূর্বে অপ্রকাশিত একেবারেই নতুন কিছু লেখা।
যে প্রবন্ধগুলো নিয়ে বর্তমান সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে সেগুলো হল –
সূচীপত্র
সম্পাদকীয় … ০৫
মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা (প্রথম অংশ) অভিজিৎ রায় … ০৭
অপারেশন মোনায়েম খান কিলিং বিপ্লব রহমান …২৫
ধর্মের উৎস সন্ধানে রিচার্ড ডকিন্স (দিগন্ত সরকার) …৩৩
দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমস্যা ও সম্ভাবনা গোলাম আবু জাকারিয়া …৪৪
অধিবিদ্যার মৃত্যু সিদ্ধার্থ সংকর জোয়ার্দ্দার … ৪৭
দর্শন ও শিক্ষার পারষ্পরিক সম্পর্ক আকন্দ সামসুন নাহার … ৫৬
ইনশাল্লা মীজান রহমান …৬০
নারীর মূল্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় …৬৩
শ্রদ্ধাঞ্জলি: কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ অজয় রায় …৭১
একটি মৃত্যু ও এক অমরতা শ্যামল ভট্টাচার্য …৭২
কবিতা মো. আশরাফ হোসেন … ৭৫
ভালোলাগা মন্দলাগা … ৭৬
আমাদের সংগ্রাম চলবেই সাইফুর রহমান তপন …৭৭
ঢাকা (২৭/১১/১ ক, তোপখানা রোড, ৫ম তলা) থেকে প্রকাশিত মুক্তান্বেষা পত্রিকাটির সম্পাদনা পর্ষদে আছেন –
- অধ্যাপক অজয় রায়
- অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম
- অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক
- এবং অনন্ত বিজয় দাশ
সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইফুর রহমান তপন।
মুক্তান্বেষার পূর্ববর্তী সংখ্যা গুলো পাওয়া যাবে এখানে – (১ম সংখ্যা | ২য় সংখ্যা | ৩য় সংখ্যা | ৪র্থ সংখ্যা) ।
এটার পিডিএফ দেওয়া নাই। প্লিজ পিডিএফ দিন।
মুক্তান্বেষা পত্রিকাটির নতুন পুরন সংখ্যা গুল চট্টগ্রাম হতে আমি কিভাবে সংগ্রহ করতে পারি জানালে খুশি হব। মুক্তান্বেষার সম্পাদক ও সংস্লিস্ট সবাইকে ধন্যবাদ ।
[…] (১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব | ৫ম পর্ব) […]
(মুক্তান্বেষা পত্রিকায় প্রকাশিত পাঠকের পাতা থেকেঃ)
পূর্বে অজয় রায় স্যারের সাথে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি, ভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা, পেশা এবং সুদীর্ঘ দেড় যুগ রুটি রুজি রোজগারে প্রবাসে নিবাসের কারণে। তবে ইন্টারনেটের বদৌলতে উনার লেখা মাঝে মধ্যে পড়ার সুযোগ হয়েছিলো। সম্প্রতি তার সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে। মাঝে মধ্যে তার জ্ঞানগর্ভ কথা শুনতে পেরে আমি ধন্য।
শ্রদ্ধেয় অজয় স্যার সম্পাদিত ‘মুক্তান্বেষা’ ষান্মাষিকের মূল্যবান দুটি সংখ্যা একই সাথে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। সমান্তরাল চিন্তা চেতনার জিনিস এমনিতেই মূল্যবান, কাজে কাজেই এক বসাতে এক নিমেষেই শেষ, কিন্তু অনুধাবণে এতটুকু বেগ পেতে হয়নি। এটি প্রকৃত অর্থেই মুক্ত অন্বেষার মিশনে নেমেছে – এমনি এক ভূখন্ডে – যেখানে বিশেষ কিছু গোষ্ঠি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে নানা কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস ধর্মান্ধতা, অবরুদ্ধ চিন্তা ও মিথ্যাচারের লীলা ক্ষেত্রে পরিনত করেই চলেছে।
নামের স্বার্থকতা কাজে – প্রতিটি রচনাই তথ্যবহুল ও জ্ঞানগর্ভ, এবং কিছু লেখা একাধিকবার পড়তে হয়েছে। কয়েকটি লেখা, যেমন – “ভৌত বাস্তবতা : আইনস্টাইন ও রবীন্দ্রনাথ” আমার কাছে একেবারেই নতুন আমেজের। মুক্তান্বেষা মুক্তমনাদের প্রাথমিক সেতুবন্ধন বলেই প্রতীয়মান, এবং সম্পাদক অজয় রায়কে ধন্যবাদ সেই কাফেলায় আমাদের শরিক করাতে।
এ কথা সন্দেহাতীত যে, এমন একটি উদ্যোগকে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এগুতে হবে – কিন্তু দেশ মাতৃকা ও দলিতের কল্যাণে দমলে- থামলে চলবে না। আমি আশাবাদী ক্রমে ক্রমে মুক্তান্বেষার কলাকুশলীরা সমাজের প্রতিবন্ধকতাসমূহ সরাতে এবং শিক্ষা-যুক্তি-বিজ্ঞান-সংস্কৃতির প্রসারে যুক্তিবাদী ও মুক্তমনা মানুষদের দলবদ্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
আমি মুক্তান্বেষার নিয়মিত প্রকাশ সহ লেখক সংখ্যা ও লেখার কলেবর বৃদ্ধি কামনা করছি, এবং একই সংখ্যায় একই লেখকের একাধিক লেখা সম্ভবত না থাকাটাই শ্রেয়। যোগ্যতায় সমুদ্রসম ঘাটতি থাকলেও সময় এবং সুযোগমত আমি নিজেও ক্ষয়িষ্ণু সমাজের নানা অন্যায় অসঙ্গতি নিয়ে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখতে বদ্ধ পরিকর। পরিশেষে পত্রিকাটির প্রাথমিক অগ্রগতিতে মুক্তান্বেষার সম্পাদক ও পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
এম আশরাফ হোসেন
অধ্যাপক, অর্থনীতি
গণ বিশ্ববিদ্যালয়
ইমেইল – [email protected]
(মুক্তান্বেষা পত্রিকায় প্রকাশিত পাঠকের পাতা থেকেঃ)
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয়,
হঠাৎ করেই মুক্তান্বেষার একটি সংখ্যা (২য় বর্ষ, ২য় সংখ্যা) আমার হাতে এসেছে। এ ধরণের মননশীল পত্রিকা যে বাংলাদেশে বের হয় তা আমার জানা ছিলো না। পত্রিকাটি পড়ে সব বিষয় ভালভাবে বুঝতে না পারলেও এক কথায় চমৎকৃত হয়েছি। সব কটি লেখাই অনন্যসাধারণ ও ভিন্নধর্মী। তবু দু-একটি লেখার উল্লেখ না করে পারছি না – অজয় রায় এবং অভিজিৎ রায় লিখিত সঙ্গীত নিয়ে আইনস্টাইন-রবীন্দ্রনাথ আলাপচারিতা একটি চমৎকার লেখা, কবীর চৌধুরীর বিবেকানন্দ নিয়ে প্রবন্ধ, স্টিভেন ওয়েইনবার্গের পরিকল্পিত মহাবিশ্ব, লালন ভাস্কর্য নিয়ে লেখাটি এবং আবুল মোমেনের স্যেকুলারিজম প্রবন্ধ – এ সব লেখা আমার জ্ঞানের দিগন্তকে অনেকখানি প্রসারিত করেছে। কবীর চৌধুরীর লেখাটি পড়ে বিবেকানন্দ সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম, যা আগে জানতাম না। প্রাচীন ভারতে গো-মাংস প্রবন্ধটি আমাদের অনেক ভুল ভেঙ্গে দিতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া বেলাল মুহম্মদের কবিতাটি একটি ব্যতিক্রম ধর্মী কবিতা। এ ধরণের কবিতা লেখা নিঃসন্দেহে সাহসের পরিচয়।
আপনাদের এই সাহসী প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ – আশা করি পত্রিকাটি অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার দূরীকরণে বড় ভূমিকা রাখবে।
বাদল রহমান,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
কুষ্টিয়া
উল্টে পাল্টে কয়েক পৃষ্ঠা দেখেছি। দুইটা লেখাও পড়েছি। খুব ভাল লেগেছে। আজিজ থেকে এক কপি জোগাড় করতে হবে অচিরেই…
:laugh:
যাই হোক, মেইল করে এক কপি বুক করেছি। থ্যাংকস।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এর কল্যানে মুক্তমনার ইস্যুগুলো নিয়মিত পেতাম। এখন দেশের বাইরে থাকার কারনে পাওয়াটা মুশকিল। কিন্তু আগের ইস্যুগুলো থেকে যেটা আমার মনে হয়েছে যে, লেখার মান ডেফেনিটলি ভাল কিন্তু লে আউট ডিজাইন এবং ইলাস্ট্রেশনের দিক থেকে মুক্তান্বেষা’র কিছু ঘাটতি রয়েছে। এর সাথে যদিও অর্থনৈতিক বিষয়টা জড়িত আছে, তবু আরেকটু কিছু কি করা যায়? এ যুগে তো প্রেজেন্টশনের একটা গুরুত্ব থেকেই যায়। অন্তত আরো বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করার দিক থেকে।
@বকলম,
আপনার কথা ঠিক। মুক্তান্বেষার লে আউট ডিজাইন এবং ইলাস্ট্রেশনের দিকে আরো নজর দেয়া প্রয়োজন। কভার-প্রচ্ছদও খুবই গতানুগতিক হয়ে গেছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে প্রথম সংখ্যাটির কভার ডিজাইন বেশ পছন্দ হয়েছিলো। এখনকার ডিজাইনটা একেবারেই সেকেলে – আশির দশকে বেরুনো ‘বিজ্ঞান সাময়ীকি’ টাইপের পত্রিকাগুলোর মতো। প্রচ্ছদ আরো আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন।
বোধ হয় দামের কথা মাথায় রেখে যতদূর সম্ভব সুলভমূল্যে পাঠকদের ঘরে পত্রিকা পৌঁছে দেবার চেষ্টাতেই বোধ হয় এগুলো আনুষঙ্গিক ব্যাপারে নজর না দিয়ে পত্রিকার গুনগত মানের উপরেই বেশি জোর দেয়া হয়েছে। শুনেছি দু’ হাজার কপি ছাপানোর সাথে সাথেই এটি বাজার থেকে নিঃশেষ হয়ে যায়। মানের জন্যই বোধ হয় এটা সম্ভব। আর এই দুর্মূল্যের বাজারে মুক্তান্বেষার মত পত্রিকার দাম মাত্র ৩০ টাকা রাখাটাও চাট্টিখানি কথা নয়।
আরেকটা ব্যাপার – আমি যতদূর জানি দেশের বাইরেও মুক্তান্বেষা সাবস্ক্রাইবের সুযোগ রয়েছে। আপনি ইমেইলে সাইফুর রহমান তপন ([email protected] -এর সাথে যোগাযোগ করুন।