আমি কেমন?
এথিস্টের বাংলা হিসেবে নাস্তিক শব্দটা পছন্দ না। আমি নিধার্মিক ১। আমার মতো মানুষের অভাব চারপাশে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার অনেক বন্ধুকেই আমি এই পথের পথিক দেখেছি, দেখেছি সামনা সামনি, দেখেছি বিভিন্ন ব্লগে। তারপরও দলভুক্ত অনেকের মানসিকতার সাথে আমি নিজের অমিল পাই। আমি সাধারণত ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পছন্দ করি। এখানে যুদ্ধ বলতে আমার পথে আসো বলে বোমা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া বোঝানো হচ্ছেনা। বোঝানো হচ্ছে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্ম প্রচারিত মিথ্যা বক্তব্যকে বিজ্ঞানের আলোকে খন্ডন করাকে। এসব বক্তব্য বলার সময় অনেক ধর্ম বিশ্বাসীরা বলে থাকেন, ঈশ্বর যিনি কীনা, সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, তাকে সৃষ্টির মাপকাঠিতে মাপা আর বালখিল্যতা একই কথা। এর বিপক্ষে আমার বক্তব্য হচ্ছে, ঈশ্বর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, ভালো কথা, কিন্তু তার কাজ আমাদের পরিদর্শনযোগ্য। যেমন পৃথিবীর সৃষ্টি, প্রাণের সৃষ্টি, নুহের মহাপ্লাবন। যেহেতু এইসব ব্যাপার পরিদর্শনযোগ্য সুতরাং অবশ্যই একে বিজ্ঞানের ছুরির নীচে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পড়তে হবে। যদি সত্যতা যাচাই না করা যায়, তাহলে ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত মিথ্যাকে আমি মিথ্যাই বলবো (যেমন নূহের প্লাবন। আজ অবদি এর কোনও প্রমান পাওয়া যায়নি)। সোজা হিসাব।
এখানে সবাই আমাকে পার্টমারা পন্ডিত ভেবে বসতে পারেন। ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে খন্ডন করার মতো তেমন কোনও লেখা আমি লিখি নাই। দুই একটি চেষ্টা করেছি সত্য, তবে তার বেশীরভাগেরই দৌড় অন্যের ধারণাকে নিজের ভাষায় লেখা পর্যন্ত। বিবর্তন নিয়েও আমার লেখালেখির একটা বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে বন্যা আহমেদ ও অভিজিৎ রায়ের লেখা। লেখা কম হলেও সেটা আমার মানসিকতার ধারণাকে হীনবল করে দেয়না। এই পথে যদি এককোটি মানুষ থেকে থাকেন, তাহলে লাইনের শেষে দাঁড়াতে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি নিদেনপক্ষে সামনের সবার কাজটাকে এপ্রেশিয়েট করতে চাই।
তাহলে অন্য নিধার্মিকদের বৈশিষ্ট্য কী? তারা ধর্মের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। এই দলের বিজ্ঞানীরা ধর্ম নিয়ে বেশী তেড়িবেড়ি পছন্দ করেন না। মানুষজনকে আমরা বিজ্ঞানের পথে আনতে পারবোনা, বা সরকার থেকে অনুদান কমে যাবে এই ভয়ে তারা নিজেদের ধারণাটাকে সবসময় নিজের মধ্যে আড়াল করে রাখতেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন।
এই ব্যাপারটিকে সত্য বলে মানলেও আমি সেটা নিয়ে বেশি চিন্তিত নই। কারণ আমার মনে হয়, জোর গলায় বললে যে ক্ষতি হবে, না বলার ফলে, ধর্মের অযৌক্তিক চিন্তাধারা মানুষজনকে আরও অন্ধকারে নিয়ে যাবে। ভিক্টর যে স্টেংগরের নতুন বই পড়ছি- দ্য নিউ এইথিজম। বইটি মুহাম্মদকে উপহার দিয়েছেন অভিজিৎ দা। বইয়ের গঠন এবং ছোট ছোট হরফে অনেক অনেক লেখা দেখে আমি ভয় পেয়েছিলাম, প্রথম দেখায় পড়ার আগ্রহ পাই নাই। তারপর সেদিন উত্তরা থেকে আজিজ সুপার মার্কেটে আসার পথে ব্যাগের ভেতরে ফটোকপি করার জন্য রাখা বইটি উলটে পালটে দেখা শুরু করলাম। প্রথম পাতা থেকেই আটকে আছি বইয়ের ভেতর। এই বই আমার জন্যই লেখা হয়েছে।
পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভিক্টর যে স্টেংগর তার বন্ধু জীববিজ্ঞানী এবং বিবর্তন বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ডকিন্স, বিজ্ঞান লেখক ডেনেন্ট, হ্যারিসকে যেই গোত্রভুক্ত করেছেন অবাক হয়ে খেয়াল করলাম আমি সেই দলে পড়ি।
“Perhaps the most unique position of New Atheism is that faith, which is belief without supportive evidence, should not be given respect, even deference, it obtained in modern society. Faith is always foolish and leads to many of the evils of society. The theist argument that science and reason are also based in faith is suspicious. Faith is the belief in the absence of evidence. Science is the belief in the presence of evidence. And reason is just the procedure by which humans ensure that their conclusions are consistent with the theory that produced them and with the data that test those conclusion”২
রিচার্ড ডকিন্স। নিউ এইথিস্ট বা নব্য নিধার্মিক। ১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া এই জীববিজ্ঞানী ১৯৭৬ সালে প্রকাশ করেন”The Selfish Gene” বইটি। বিবর্তন আলাদা আলাদা জীবসত্তায় কাজ করেনা, বরঞ্চ কাজ করে মানবকোষে থাকা জীনে- নিজের এই গবেষণালব্ধজ্ঞান প্রকাশের পর প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন এই গবেষক। ডকিন্স নিজে এই বইটি সম্পর্কে বলেছেন৩, সেলফিশ জিনে পরিচিত প্রাকৃতিক বিবর্তনের অপরিচিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে (Unfamiliar version of an familiar theory of natural selection)।
দেখা যাচ্ছে, ডকিন্স মনে করতেন সবাই ইতিমধ্যে বিবর্তন বুঝে গেছে। এখন তার কাজ হচ্ছে, এটার বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলো আলোচনা করা। এই উদ্দেশ্যে থেকেই ১৯৮২ সালে তিনি প্রকাশ করেন “The Extended Phenotype”, ১৯৮৬ তে “The Blind Watchmaker”, ১৯৯৫ এ “River Out of Eden”, ১৯৯৬ এ “Climbing Mount Improbable”, ২০০৪ এ “The Ancestor’s Tale”।
প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বিশাল বিশাল বই লিখে বিবর্তনের কঠিন কঠিন বিষয় বোঝাবার চেষ্টা করতে থাকা ডকিন্স যেদিন হারুন ইয়াহিয়ার ৭৬৪ পাতার “ATLAS OF CREATION” হাতে পেলেন তখন তার কেমন লেগেছিল? পাতায় পাতায় ছবি দিয়ে অলংকৃত এই বইটির মাধ্যমে হারুন ইয়াহিয়া বিবর্তন তত্ত্বকে ধুয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন মিথ্যার মুত্রসোত্রে। মিথ্যার কিছু নমুনা পাওয়া যাবে এখানে http://richarddawkins.net/articles/3239।
তবে হারুন ইয়াহিয়া বই লিখে বিবর্তনকে ধৌত করতে না পারলেও হয়তো রিচার্ড ডকিন্সের মাঝে একটি মারাত্মক উপলব্ধি জাগাতে পেরেছিলেন। বিবর্তন নিয়ে প্রচুর গভীর আলোচনা করলেও সাধারণ মানুষকে প্রমান সহকারে বিবর্তন বোঝাবার জন্য তিনি তেমন কিছু করেন নি৪।
আর এই তেমন কিছুই করা হয়নি থেকে ২০০৯ সালে প্রকাশ হয়, “The Greatest Show On Earth”। এই বইটি আমাদের মতো নব্য বিবর্তন পাঠকদের ধরে ধরে বিবর্তন শেখাবার জন্য লেখা। বিবর্তন কী, বিবর্তন কীভাবে কাজ করে, ফসিল কী, ফসিল দেখে আমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, মিসিং লিংক কী, এইসব সাধারণ বিষয় ছাড়াও বর্তমানে বিবর্তন নিয়ে গবেষণা কতদূর, ডারউইনকে ছাড়িয়েও নতুন কী জিনিস জানতে পারলাম আমরা (এভোলিউশনারি ডেভলোপমেন্ট) ইত্যাদি সকল বিষয় এক করা হয়েছে করা হয়েছে।
রিচার্ড ডকিন্স তাড়াহুড়া করেননা। একটি নির্দিষ্টি বিষয়ে যেতে হলে তিনি প্যারাসুট দিয়ে সেখানে জাম্প না করে হেঁটে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানান। এর ফলে পাঠক হিসেবে অনেকসময় বিরক্ত লাগলেও আদতে লাভ হয়, বক্তব্য মাথায় গেথে যায়। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ আমার পড়া ডকিন্সের প্রথম বই, এবং আমার উপলদ্ধিটা এমন।
বইটিতে সর্বমোট বারোটি চ্যাপ্টার আছে-
1. Only a theory?
2. Dogs, cows and cabbages (artificial selection)
3. The primrose path to macro-evolution
4. Silence and slow time (discusses the age of the Earth and the geological time scale)
5. Before our very eyes (examples of evolution observed)
6. Missing link? What do you mean, ‘missing’? (the fossil record)
7. Missing persons? Missing no longer (human evolution)
8. You did it yourself in nine months (a statement attributed to J. B. S. Haldane; discusses developmental biology)
9. The ark of the continents (biogeography and plate tectonics)
10. The tree of cousinship (the tree of life, homology and analogy)
11. History written all over us (vestigiality and unintelligent design)
12. Arms races and ‘evolutionary theodicy’ (coevolution and evolutionary arms races)
13. There is grandeur in this view of life (based on the final passage of On the Origin of Species)
বিবর্তনে আগ্রহ আছে এমন সবার জানার জন্য একটি উপযুক্ত বই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বই সম্পর্কে ডকিন্সের একটি উদ্ধৃতি দিয়েই শেষ করা যাক-
“Evolution is a fact. Beyond reasonable doubt, beyond serious doubt, beyond sane, informed, intelligent doubt, beyond doubt evolution is fact. The evidence for evolution is as at least strong as the evidence for the Holocaust, even allowing eye witnesses to the Holocaust [[…]] We know this because a rising flood of evidence supports it. And this book will demonstrate it. No reputable scientist disputes it, and no unbiased reader will close the book doubting it. ”
কথা সত্যি। ডকিন্স ধর্মগুরুদের মতো আমি সত্যি, আমি সত্যি বলে শুধু চিৎকার করে ক্ষান্ত দেননি, কেন সত্যি তার পেছনে কারণ দেখিয়ে গিয়েছেন।
প্রাপ্তিস্থানঃ
১। আমাজন। মূল্য বিশডলার। বাংলাদেশে থাকলে অর্ডার দেবার পর হাতে আসতে মোটামুটি ২০ দিন সময় লাগে।
২। নীলক্ষেতের দুইতলায়, ফ্রেন্ডস।
৩। বন্যাপা। উনি আমারে গিফট দিসেন।
টিকাঃ
১। নিধার্মিক শব্দটা আমার তৈরী না। আবিষ্কারক, সংসারে এক সন্ন্যাসী।
২। দ্য নিউ এথিজম। পৃষ্ঠাঃ ১৩
৩। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ- প্রিফেইস।
৪। নিজের ধারণা। অন্য কারণেও হওয়া স্বাভাবিক। কারণ তাকে প্রায়ই প্রচুর অনভিজ্ঞ ক্রিয়েশনিস্টদের উদ্ভব প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হয়।
আমার কাছে ‘নাস্তিক’ শব্দটাই জোশ লাগতাছে, অন্তত ‘নিধার্মিক’ এর চেয়ে। নাস্তিক শব্দটার মধ্যে যে নেগেশন আছে- সেটা অলআউট। ‘নিধার্মিক’- তো কেবল ধার্মিক নই; আমার মা’রে এইটা বলা যায়, আমাদের যুক্তি-তর্কের ঠেলায় পইড়া এখন যিনি স্বীকার করেন যে, ‘ঠিক আছে- বুঝলাম প্রচলিত ধর্মগুলো সব ভুয়া- কিন্তু তারপরেও একজন কেউ যে আছে- সেই বিশ্বাসটা বাদ দিতে পারবো না!’
এমনকি- এথিস্ট শব্দটার চেয়েও ‘নাস্তিক’ শব্দটা অনেক বেশী জোরালো, অনেক এপ্রোপিয়েট- একদম পারফেক্ট। বিশ্বাসের পুরাপুরি অনুপস্থিতি বুঝাইতে- ‘নাস্তিক’ শব্দটা ছাড়া আর কোন শব্দ আমার চোখে আজ পর্যন্ত পড়েনি। (কইয়া রাখতাছি- আমার শব্দভান্ডার খুব ছোট)
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
Deist গডের কথা কইতেছেন?
আসলে যার কাছে যা। আর নিধার্মিক শব্দটাও সঠিক না মনে হচ্ছে। নির্ধার্মিক বা নিঃধার্মিক হওয়া উচিত। নিউ এথিস্টের কী বাংলা করা যায় কন তো?
@রায়হান আবীর,
বাংলায় নাস্তিক বা এথিস্ট দুটোই চলতে দোষ কী? শব্দ দুটো নিশ্চয় এদের অর্থ, বৈশিষ্ট বা প্রয়োজনীয় ভাবগাম্ভীর্য বহন করতে পারছে। নতুন শব্দ সৃষ্টি করলে তার সাথে আত্মার মিল ঘটাতে সময়ের দরকার পড়বে।
@রায়হান আবীর, নয়া নাস্তিক হইতে পারে। :laugh:
নব্য নাস্তিক পন্থি ও হতে পারে।আমি তো ব্লাইন্ড ওয়াচমেকারের বাংলা করেছি অন্ধ তীরন্দাজ।(জটায়ু হইতে অনুপ্রাণিত) :rotfl:
আহা, আমি যদি বইদুটি পড়তে পারতাম!
অনুবাদের বুদ্ধিতা দারুণ।নিজের খেয়ালে কিছু কিছু অংশ অনুবাদ করেছিলাম।লেনস্কি এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে লেখাটা কালকের মধ্যেই দিব ।
@শামীম,
আমার মনে হয়না, আপনি শুধুই ‘নাস্তিকতা’-কে প্রশ্ন করেছেন বলে আমি ধরেই নিয়েছি যে আপনি আস্তিক। মনে হ্য় (এটাকে ব্যাক্তিগতভাবে নিবেননা, কারন আপনাকে প্রশ্ন করলে পাছে আপনি মনে না করেন আপনার প্রতি লোকের আগ্রহ) আপনি সংশয়বাদী আস্তিক। তা হলে আপনিতো আস্তিকই, খালি আস্তিকের আগে সংশয়বাদী যোগ করতে ভুল হয়েছে। তবে আমি বলব একেবারে ভুল হয়নি, সংশয়বাদীর লেভেলটা ধরা ঠিক হয়নি। সংশয়বাদীর পরিমানটা হয়তো আমি আপনাকে দিয়েছি ০% বা ১০%, আর আপনি হয়তো নিজকে দিচ্ছেন ১০০% বা ৯০% বা যা হউক একটা, এই যা পার্থক্য। কিন্তু আপনি আস্তিক এতেতো কোন ভুল নেই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
কিছু মনে করবেননা, আমি বিষয়টাকে ব্যাক্তিগত হিসাবেই নিচ্ছি। কারন কথা হচ্ছিল আইডিয়া বা ধারনা নিয়ে (নাস্তিকতা-সংশয়বাদ-বিশ্বাস) কিন্তু শেষের দিকে এসে দাড়াল আমি কি আস্তিক? না নাস্তিক? না সংশয়বাদী? যদি সংশয়বাদী হই তাহলে কত পারসেন্ট? । এর আগে একজন আমার জ্ঞানের তালাশ করে যা পেল তা হলোঃ ‘ভাই আপনের জ্ঞান তো উপচাইয়া উপছাইয়া পড়তাছে।’, আরেকজন বের করলেন আমার এত কথার পিছনে নাকি আল্লাহ লুকায়িত আছেন।
এই গুলিকে কিভাবে আমার ব্যাক্তিগত বিষয়ে আগ্রহ না বলি?
মডারেটরকে এই বিষয়ে একটু নজর দেবার অনুরুধ করছি। আমি এখানে কোন ব্যাক্তি বিশেষকে কটাক্ষ করার জন্য আসিনি, তাই অনুরূপ ভাবে আমিও চাই আমার ব্যাক্তিগত বিষয়ে কেউ যাতে অযাচিত ভাবে টেনে নিয়ে না আসে। আইডিয়া নিয়ে যা খুশি বলতে পারেন অসুবিধা নেই।
ব্রাইটস্মাইল সাহেব নিচের উক্তি গুলো মিলিয়ে দেখুন তো আপনার হিসাবে কি বলেঃ
আর আপনি এক পোষ্টের কথা আরেক পোষ্টে না এনে সংশ্লিষ্ট পোষ্টে আলাপ করলে ভাল হয় (সংশয়বাদী আস্তিক -বিষয়টি এই পোষ্টের না)।
@শামীম,
দুঃখীত, আমার লেখা উচিত ছিল:
“সংশয়বাদীর পরিমানটা হয়তো আমি আপনার আইডিয়া পোষন করেন এমন ব্যাক্তিকে (পুর্বে ছিল আপনাকে) দিয়েছি ০% বা ১০%,”
“কিন্তু আপনার আইডিয়া পোষন করেন এমন ব্যাক্তি (পুর্বে ছিল আপনি) আস্তিক এতেতো কোন ভুল নেই”
এটা হলে নিশ্চয়ই আপনি বিষয়টাকে ব্যাক্তিগত হিসাবে নিবেননা।
মনে হচ্ছে শামীম সাহেব নিজকে সংশয়বাদী ভাবেন, আসলে আমার কাছে সংশয়বাদ ও নাস্তিকতার মধ্যে বিশেষ কোন পার্থক্য আছে বলে মনে হয়না, তাই আমি উনার পয়েন্ট ধরতে পারছিলাম না।
@তানভী
আপনি খুবই হাসাচ্ছেন! :laugh: আপনি যখন আঞ্চলিক ভাষায় কমেন্ট করেন পড়ে মজা পাই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ঠিক বলেছেন।
তানভী মামাকে এ যুগের গোপাল ভাড় উপাধি দেওয়া যেতে পারে 😀
মামার হাসি মনে হয় এবার বন্ধ হবে।
@আদিল মাহমুদ,
বন্ধ হবে কেন? গোপাল ভাড় উপাধি দেওয়ার জন্য?
@ব্রাইট স্মাইল্,
মনে হয় ভুল হয়েছিল।
মামা আরো দ্বিগুন উতসাহিত হয়েছেন দেখা যাচ্ছে।
ভালই তো, ব্লগগুলা এমনিতেই রনক্ষেত্রে রুপান্তরিত হয়। তার মাঝে দুয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক গোপাল ভাড় পাওয়া গেলে মন্দ কি।
@আদিল মাহমুদ,
🙁 :deadrose: :guli:
@ব্রাইট স্মাইল্,
😀 :rose2:
বই অনুবাদের প্রক্রিয়াটা সহজ করার জন্য সবার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার্থে একটা গ্রুপ করা যেতে পারে। আশা করি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই অনুবাদে হাত দিতে পারব।
এর মধ্যে স্টিভেন ওয়াইনবার্গের “A Designer Universe?” নামক একটা জম্পেশ প্রবন্ধ নামালাম। কেউ অনুবাদ করতে চাইলে এখানে যেতে পারেন 🙂
হায়রে, The New Atheism বইটি যে কিভাবে পাই। :-X :-X :-X :-X
@সৈকত চৌধুরী,
অনন্তর থেকে নম্বর নিয়ে রায়হান কিংবা মুহম্মদের সাথে যোগাযোগ করেন। দেখেন যদি তাহারা দয়াপরবশতঃ হইয়া কিছু দক্ষিণা দেয় … 🙂
@অভিজিৎ,
তাই করতে হবে দেখছি। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এতিম ছেলেপুলের মত আমাজনে গিয়ে কাভার দেখি আর মাগনা যে কয়েক পাতা আছে তা পড়ি (বোধহয় মুখস্ত হয়ে গেছে)। 🙂
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অনুবাদ হোক…
@শিক্ষানবিস,
:yes:
আসুন আমরা সবাই মিলে কাজটা করে ফেলি।
@সৈকত চৌধুরী, আমি আছি।
@শিক্ষানবিস,
আবার জিগস। 😀
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খুবই সুখপাঠ্য ছিল।
অফটপিক- ডারউইনের জীবনী নিয়ে নির্মিত ক্রিয়েশন মুভিটি কি কেউ দেখেছেন? আমার তো দেখার জন্য চুলকানি শুরু হয়ে গিয়েছে, অথচ সামনে এস.এস.সি পরীক্ষা :brokenheart:
@পৃথিবী,
ক্রিয়েশন এর পোস্টারটা অনেকদিন ধরে আমার পিসির ওয়াল পেপার। আমিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি চলচ্চিত্রটির।
আজ থেকে সাত বছর আগে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। বুড়া হইয়া যাইতেছি 🙁
@রায়হান আবীর,
আমাজন থেকে বই কিনার জন্য কিভাবে টাকা পাটাতে হয় এবং বইয়ের অর্ডার দিতে হয়?
রেপিড শেয়ার এর প্রিমিয়াম মেম্বার কি বাংলাদেশ থেকে হওয়া যায়? হলে কিভাবে?
জানালে খুশি হব।
@সৈকত চৌধুরী,
আমাজনে পে করতে হলে বিদেশীদের সাহায্য ছাড়া উপায় নাই। এইক্ষেত্রে বন্যাপারে ঠ্যাক দিতারেন। শুঞ্চি উনার টাকার অভাব নাই 😀
আর আইইউটিতে একবার একজন র্যাপিড শেয়ারের একাউন্ট বিক্রি করছিল মাসে ২৫০ টাকা রেটে। ওর এক বড় ভাই নাকি অনেক কিনছে। আপনাকে একটা মারাত্মক সফটওয়ারের সন্ধান দিচ্ছি, ঐটায় খালি র্যাপিড শেয়ারের লিংক (দুনিয়ার যাবতীয় ফাইল শেয়ারিং সাইটের লিংক) ফেলে দিবেন, ও নামায়ে দিবে। আমি নিজে তাই ব্যবহার করি।
আর নিউ এথিসজ আমি তিন কপি করিয়েছি। এরমধ্যে দুইটা বন্যাপা আর অভিদার, একটা মুহাম্মদের। মুহাম্মদেরটা আপনাকে পাঠাতে পারি। তবে এইক্ষেত্রে আমাকেও অনন্তদাকে বন্যাপা এভোলিউশনের যেই বইটা দিছেন সেইটা পাঠাইতে হবে, নাইলে খেলুম্না। 😀
http://wordrider.net/freerapid/download.htm
@পৃথিবী,
অই পুলা!! তুই আইজো ম্যট্রিক দেস না ক্যা? আমরা বুইড়া হইয়া যাই আর তেনে আইজো ম্যাট্রিক ফাস করে নাই!!! কয় বার ফেল দিসস!!!
😥 :-X :-Y
@তানভী,
আরে, তুমি তো এখনো বাচ্চাই হও নাই। 😀
না, মানে সে এখনো পাসই দেয় নাই, ফেল দেয়ার চান্স কই? এরে পাইলেই তোমার মাথা খারাপ হইয়া যায়, তাই না? আর কারো সাথে তো মাতব্বরি……।
দেখ, পৃথিবী কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই The Greatest Show On Earth বইটি অনুবাদ করে ফেলবে, তোমার মত ঘোড়ার ঘাস কাটবে না।
@সৈকত চৌধুরী,
কি খরতাম?!? 🙁
যেইসব পুলা ক্লাসে বেশি জানে বা বেশি প্রশ্ন করে তাদের কে মূর্খ মাস্টাররা(আমি!! 🙁 ) তো গালি দিয়া হৈলেও চুপ করায়া দেয়! তাইনা!!
বেদ্দপ পুলা ইডা ব্যবাক পইড়ালাইতেসে, আর আমরা আইজো ভ্যারান্ডা ভাজি!! :-X তাইলে গাইল দিমু না তো কিকরুম?
@তানভী,
তানভীর পৃথিবীকে করা কমেন্টসটি পড়তে গিয়ে হাসতে হাসতে মূর্চ্ছা যাওয়ার অবস্হা হইছে———– :lotpot: ঐ দিকে সৈকত এর কথা আর না-ইবা বললাম 😀
পৃথিবী যেন এস,এস,সি পরীক্ষা ভালোভাবে দিতে পারে সে-ই আশাই রলো।
@তানভী, যে জায়গায় সীট পড়তাছে, একবার ফেল দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দোয়া করেন যাতে ধর্মে পাস করি(সিরিয়াসলি, মোল্লাগোরে খুশি করমু কেমনে বুঝি না) 😥
@পৃথিবী,
ধুর মিয়া তোমার লিগা এইটা কুনো ঘটনা হইলো!!!
বই পড়ার দরকারও নাই!! নিজের ইচ্ছা মতন বানায়া বানায়া লিক্ষা দিয়া আসবা (যেমন হুদাবিয়া= হুদা হুদি বিয়া 😀 )।
খালি পৃষ্ঠা ভরাও, বাকি দায়িত্ব ঐ কাঠমোল্লাগো। ঐগুলান পৃষ্ঠা গুইন্না নাম্বার দেয়। পৃষ্ঠা বেশি দ্যাকলেই খুশিতে গদ্গদ হয়া যায়।
আরেকটা থিউরী আছে, একলাইন ঘুরায়া ফিরায়া কয়েকবার লিখে উত্তর বড় করা। [ যেমনঃ নারীর মর্যাদা প্রসঙ্গে নবী বলেছেন,” মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহশত”।………………………………………
.সন্তানদের নবীজী আদেশ করেছেন যেন তারা তাদের পিতা মাতা কে সম্মান করে। এপ্রসঙ্গে হাদিসে আছে,”মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”।…………………………
মায়ের জাতিকে অর্থাৎ নারী জাতিকে সম্মান করা সবার অবশ্য কর্তব্য। মায়ের সন্তুস্টি আল্লার সন্তুস্টি। এ কারনেই মহানবী (সঃ) বলেছেন,”মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”।…………………………… 😀 ]
আর কত হাদিস নিজে নিজে বানাইলাম!!
@পৃথিবী,
আরবিতে কি বিসমিল্লা(বিষ+মেলা) লেখতে পারো। যদি না পারো তবে শিখে নাও। আর খাতায় সবার আগে ওইটাই লেখ আর তারপর শুরু করো …। টিকমত কর কিন্তু নইলে ডায়মন্ড A+ মিস হবার সম্ভাবনা রয়েছে। 🙂
তোমার রেজাল্ট যেদিন বেরুবে সেদিন জম্পেস মজা হবে।
ভদ্রলোকের নামের উচ্চারণটা হবে ভিক্টর স্টেংগর। স্টেনজার নয়। বইটার লিঙ্ক উপরে নিধার্মিকের মন্তব্যে দিয়েছি। ইউটিউবে দশ পর্বের একটা ভিডিও আছে। দেখা যেতে পারে। আমি শুধু প্রথমটা দিলাম –
httpv://www.youtube.com/watch?v=CcKSvln2nP0
উৎসাহী পাঠক/দর্শকেরা বাকি পর্বগুলো ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন।
অধ্যাপক স্টেংগর ২০০৬ সালের ডারউইন ডে উপলক্ষে একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আমাদের, সেটা আছে এখানে–
Mukto-Mona Interviews Prof. Victor Stenger
@অভিজিৎ,
ওপস! প্রতীবর্নীকরণে আমি কোনওদিনই সঠিক ঢিল মারতে পারিনা। ভিডিও আর লিংকের জন্য ধন্যবাদ। সব নামায়ে নিচ্ছি।
সৈকত চৌধুরী,
আমারই ভুল হয়েছে, ই-মেইল আ্যড্রেসটা দিতে মনে নেই। যাই হোক আপাততঃ লাগছে না। ফরিদ আহমেদ এর কাছ থেকে ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছি :rotfl: । আপনাদের দু’জনকেই অনেক অনেক (গোনা নেই ক’টা!) ধন্যবাদ। আপাততঃ ক’দিন ডুব দেয়া যাবে!
ভালো থাকুন সবাই।
কেশব অধিকারী
@কেশব অধিকারী,
অনেক অনেক থেকে আমাকে একটা ধন্যবাদ দিবেন নাকি? 😀
faith নিয়ে আরো কয়েকটা কথা না যোগ করে পারছিনা।
নাস্তিক মানেই বিশ্বাসী। তারা বিশ্বাস করে যে “ঈশ্বর নেই”। কিন্তু “ঈশ্বর নেই” এটি প্রমানিত সত্য নয়। শুধু যুক্তি দিয়েই বুঝানো সম্ভন “ঈশ্বর নেই” বিবৃতিটি আসলে ফাকিবাজি।
১) যা নেই তা প্রমান / অপ্রমান করা যায় না। যেমন বিশ্বজগতে অনেক কিছু নেই, যা নেই তাকে কিভাবে অপ্রমান করা যাবে । এমন একটি জিনিশ কল্পনা করুন যা জগত সংসারে নেই এখন তাকে অপ্রমান করার চেষ্টা করুন। মজার ব্যাপার হলো যে মূহুর্তে আপনি এমন কিছু চিন্তা করবেন সেটি আর ‘নেই’ থাকবেনা ‘আছে’ হয়ে যাবে। তর্কের খাতিরে ধরুন চিন্তা করলাম ‘ংংং’ জগত সংসারে নেই। এখন একে অপ্রমান করতে হলে ‘ংংং’ কে আমাকে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। কিন্তু যা নেই তাকে সংজ্ঞায়িত করব কিভাবে? আবার সংজ্ঞায়িত করা গেলে সেটির অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়।
২) ধরা যাক ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করার দায়িত্ব আস্তিকদের। নাস্তিকদের কাজ তাকে অপ্রমান করা। এক্ষেত্রে নাস্তিকরা আস্তিকদের মুখাপেক্ষি। যেমন একজন আস্তিক বললঃ ‘ক’ হলো ইশ্বর। নাস্তিকরা প্রমান করল ‘ক’ নাই এখন আরেকজন আস্তিক বলল ‘খ’ হলো ইশ্বর সুতরাং নাস্তিকদের প্রমান করতে হবে ‘খ’ নাই, ধরা যাক তা তারা করল। এখন আরেকজন বলল ‘চরম সত্য’ হলো ঈশ্বর। এখন নাস্তিকদের দায়িত্ব হলো ‘চরম সত্য নাই’ এটি প্রমান করা (অনেক নাস্তিক যেটা সরাসরী দাবী করে)।
কিন্তু ‘চরম সত্য নাই’ এটি একটি প্যারাডক্স। ধরাযাক চরম সত্য নাই- এই কথাই সত্য প্রমানিত হলো , কিন্তু এই কথা প্রকৃত সত্য হতে পারেনা যেহেতু চরম সত্য নাই।
তাই একমাত্র বিশ্বাস করা ছাড়া “ঈশ্বর নেই” আর কোন ভাবে প্রমান করা সম্ভব না। সুতরাং নাস্তিকদের ভরসা বিশ্বাস। (স্মরনযোগ্যঃ নাস্তিক !=নি-ধার্মিক)
@শামীম,
“আপনে তো ভাই মারাত্মক যুক্তিবিদ!”
@রায়হান আবীর,
এইখানে মারাত্নকের কিছু নাই। আমি শুধু একটা প্যারাডক্স ব্যাবহার করেছি। । প্যারাডক্স হলো এমন একটা জিনিশ যা দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায়না। কারন যুক্তি নিজেই নিজের বিরোধিতা করে। আর দুনিয়া হাজারটা প্যারাডক্সে ভরা। আর বিজ্ঞানী, ফিলোসোফাররা প্রায়ই এই সব প্যারাডএক্সের মুখোমুখি হন। তাই জ্ঞান বিজ্ঞানের জগতে সংশয়বাদীদের সংখা সবচেয়ে বেশী।
অনেকেই ভূলবশতঃ সংশয়বাদীদের নাস্তিক মনে করেন। আসলে সংশয়বাদীরা নাস্তিক নন। যেমন অনেকেই বারট্রান্ড রাসেলকে নাস্তিক মনে করেন, কারন তিনি বলেছিলেন “কেন আমি খৃষ্টান নই”, তিনি কিন্তু বলেনন নি “কেন আমি নাস্তিক” আসলে তিনে একজন পাক্কা সংশয়বাদী যা উইকিতে গেলেই দেখতে পাবেন। একই ভাবে আইনষ্টাইনকেও অনেকে নাস্তিক মনে করে, তিনি আসলে একজন সংশয়বাদী।
নাস্তিক আর আস্তিক এরা দুই গ্রুপই তাদের বিশ্বাসে নিশ্চিত এরা প্রকৃতিতে ভিন্ন মেরুর হলেও এরা নিশ্চিত ক্লাবের মেম্বার আর সংশয়বাদীরা অনিশ্চিত ক্লাবের মেম্বার।
@শামীম,
নাস্তিক মানে বিশ্বাসহীন, বিশ্বাসী না।
যা নেই তা প্রমান বা অপ্রমান করবেন কেন?
নাস্তিকরা তা অপ্রমাণ করে যাবে। সমস্যা কোথায়?
সত্য আপেক্ষিক এর মানে এই নয় যে সিন্দাবাদের ভুতের কাহিনী সত্য হয়ে যাবে, অথবা ডানাওয়ালা ঘোড়া, বকচ্ছপ, রামগরুড়ের ছানা এগুলোর অস্তিত্ব আছে।
ঈশ্বর নেই তা নয়, নাস্তিকদের কাজ হল ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য, নির্ভুল যুক্তি পাওয়া যায় না তা প্রমাণ করা।
রাগ করবেন না, একটু ভেবেচিন্তে মন্তব্য করুন।
@সৈকত চৌধুরী, রাগ করার কি আছে আপনিতো আমাকে গালি দেননি।
“ইশ্বর নেই” – এই বিবৃতিটিকে কি বিশ্বাস করেন, না অবিশ্বাস করেন? নাস্তিক হলে এই বাক্য বিশ্বাস করবেন, তাই আপনি একজন বিশ্বাসী। আর যদি অবিশ্বাস করেন তবে আপনি একজন আস্তিক। এভাবে একজন নাস্তিক একাধারে বিশ্বাসী আবার অবিশ্বাসী (যা আসলে একই মুদ্রার উলটা পিঠ) এবং এটি নির্ভর করে বিবৃতিটির উপর।
এটুকু দেখানোর জন্য যে, নাস্তিকেরা আসলে প্রতিক্রিয়াশালী দল, তার নিজেরা কোন দাবী করতে পারেনা কেবল আস্তিকদের দাবী অপ্রমানই তাদের কাজ। এবং আস্তিকদের দাবী অপ্রমান যোগ্য কিনা তা নির্ভর করে আস্তিকদের সংজ্ঞার উপর। যেমন আমি একটি উদাহরন দিয়েছি যা আসলে অপ্রমান যোগ্য নয়।
ঐ একই কথা, লাউ এর নামই কদু। প্রথমে আস্তিকরা ইশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করবেন, এরপর শুরু হবে নাস্তিকদের কাজ। আস্তিকরা যত বোকামী করবে ততই সহজ হবে নাস্তিকদের কাজ। আস্তিকরা যত স্মার্ট হবে ততই কঠিন হবে নাস্তিকদের কাজ। আস্তিকেরা যদি খুব বেশী স্মার্ট হয়ে যায় তাহলে একমাত্র বিশ্বাসকে সম্বল করেই নাস্তিকদের এগোতে হবে, নাইলে দল চেঞ্জ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে! (তবে মনে হচ্ছে বর্তমান কালের আস্তিকেরা একটু বোকাটাইপের।)
@শামীম,
বিশ্বাস নয়, মনে করি- ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। বিশ্বাসের প্রশ্ন তখনই আসে যখন তাতে যুক্তির অভাব হয়।
@শামীম,
কোন ভাবে প্রমান করা সম্ভব না কিভাবে? আপনি কি ঈশ্বরকে কখনো নিজের চোখে দেখেছেন? আমিও দেখি নাই। কি আর্শ্চয্য, আপনি আপনার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না, আবার বলছেন প্রমান করা সম্ভব না।
@ব্রাইট স্মাইল্, ভাই আপনি কোন ঈশ্বর বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
আমি কিন্তু বলি নাই, ঈশ্বর আছে।
@শামীম,
তাহলে “বলি নাই, ঈশ্বর আছে” অর্থ কি দাড়ায় একটু বলবেন কি? ভীষন জটিলতো! 😕
@ব্রাইট স্মাইল্ ,
জটিলতার কিছু নাই, আসলে আমরা সবাই ষ্টেরিওটাইপের স্বীকার। যে মুহুর্তে আমি ‘নাস্তিকতা’-কে প্রশ্ন করলাম আপনি ধরেই নিলেন আমি আস্তিক, শুধু আস্তিক না ধার্মিক। এখানেই সমস্যার শুরু। জগত অনেক বিশাল, তাই এখানে অনেক চমক!
@শামীম,
‘তাই একমাত্র বিশ্বাস করা ছাড়া “ঈশ্বর নেই” আর কোন ভাবে প্রমান করা সম্ভব না। সুতরাং নাস্তিকদের ভরসা বিশ্বাস। (স্মরনযোগ্যঃ নাস্তিক !=নি-ধার্মিক) ‘
ভাই আপনের জ্ঞান তো উপচাইয়া উপছাইয়া পড়তাছে। ঈশ্বর শব্দটি আমদানী করছে আস্তকিরা। তাই এর থাকা বা না থাকা যাই বলেননা কেন তার সবই প্রমানের দায়িত্ব তাদের। নিজেদের বিশ্বাসের ভার নাস্তিকদের কাধে চাপানোর চেস্টা কেন?
আর নাস্তিকতাও এক ধরনের বিশ্বাস- আপনার কাছ থেকে তো দেখি নতুন করে শিখতে হবে নাস্তিক্যবাদের ভিত্তি।
@মিঠুন,
এর জন্যই তো আপনার মত একজনকে খুজতেছিলাম। কিছু জ্ঞান নিলে কৃতজ্ঞ হতাম। খামোখা কিছু জ্ঞান পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
ও আচ্ছা, আপনিতো আবার শিখতে লজ্জা পান! সরি ভূল করে আপনাকে অফার করে ফেলেছি। আমাকে অন্য কাউকে খুজতে হবে, যে শিখতে লজ্জা পায়না।
@শামীম,
আপনার সাথে এই পোষ্টে আবার পুরোনো তর্ক শুরু করতে চাইনা।
অভিজিতদার পোষ্টে তো বহুত শেখানোর চেস্টা করেছেন। আমরাও চেয়েছিলাম নতুন কিছু শিখতে। কিন্তু হতাশ- ‘লাউ মানে কদু, কদু মানে লাউ’ এই পুরোন কথাটাই আবার নতুন করে শিখা ছাড়া নতুন কিছু শিখতে পারলাম না।
অসংখ্য ধন্যবাদ শেখানোর জন্য।
রায়হান, আমিও আপনার দলে। আপনার লেখা পড়ে বইটা পড়ার জেহাদী জোশ পাচ্ছি 😀
তবে সর্বক্ষমতাবান গুগল আলাইহেসসাল্লাম-ও [সংক্ষেপে – গুগল (দঃ)] দ্য নিউ এথিজম ই-বইয়ের সন্ধান দিতে পারলেন না।
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ ই-বইটা পেয়েছি দিনকয়েক আগে। সেটি প্রকাশিত হবার আগে এই প্রমো-ভিডিও দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলাম।
httpv://www.youtube.com/watch?v=I-QWv_0Mjq0
এখানে পিডিএফ এবং আরটিএফ ফরম্যাটে বইটি পাওয়া যাবে। একেকজনের কাছে একেক ফরম্যাট পছন্দনীয় বলে সৈকত চৌধুরীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক এই লিংকটি দিচ্ছি।
Download [Ebook – 4 MB]:
http://rapidshare.com/files/309470371/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.rtf.pdf.rar
অডিও-বুকে কারও আগ্রহ থাকলে এখান থেকে নামিয়ে নিতে পারেন।
Download [Abridged Audiobook – 428 MB]:
http://rapidshare.com/files/280038697/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Audiobook.part1.rar
http://rapidshare.com/files/280123941/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Audiobook.part2.rar
http://rapidshare.com/files/280070913/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Audiobook.part3.rar
Download [Unabridged Audiobook – 801 MB]:
http://rapidshare.com/files/292687725/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Unabridged.Audiobook.part1.rar
http://rapidshare.com/files/292935487/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Unabridged.Audiobook.part2.rar
http://rapidshare.com/files/293146974/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Unabridged.Audiobook.part3.rar
http://rapidshare.com/files/293220352/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Unabridged.Audiobook.part4.rar
http://rapidshare.com/files/293187954/Richard.Dawkins-The.Greatest.Show.on.Earth.Unabridged.Audiobook.part5.rar
@একজন নির্ধর্মী,
The New Atheism: Taking a Stand for Science and Reason by Victor J. Stenger পাবেন এখানে
বইটি প্রকাশের সময় মুক্তমনাতেও একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিলো ইংরেজীতে। বইটি অবশ্য পাঠ্য!
@একজন নির্ধর্মী,
IELTS এর লিসনিং পার্টে সাড়ে আট পাইছি। এখন থেকে বই না পড়ে শোনা শুরু করবো নাকি ভাবতেছি 😛
@একজন নির্ধর্মী,
র্যাপিড শেয়ার ছাড়া আর কিছু নাই!?!?!? আমার র্যাপিড শেয়ার থেকে ক্যন জানি নামতেই চায়না!! 🙁
@তানভী,
শুধু আপনার জন্যে ই-বুকটা এখানে আপলোড করে দিলাম 🙂
http://www.sendspace.com/file/uewyt2
@একজন নির্ধর্মী,
ত্যাঙ্খু বিড়ি মাছ !!! :deadrose: 😀
সৈকত চৌধুরী,
এখ্খনি please!
বিজ্ঞানীদের কাজ গবেষনা করা ও নতুন সত্য আবিস্কার করা বা পূরাতন তত্ত্বের সত্যতা যাচাই করা। সমাজকর্মীদের কাজ বিজ্ঞান কতৃক আবিস্কৃত তত্ত্ব ও তথ্যকে সমাজের কাজে ব্যাবহার করা। তাই বিজ্ঞানী মাত্রই সমাজকর্মী হতে হবে তার আবশ্যকতা নাই (হলে ভাল না হলে তাদের দোষারোপ করা যায়না)। বরংচ বিজ্ঞানী যদি বাহ্যিক কোলাহল থেকে মুক্ত থেকে তার স্ব কাজে মনস্ক থাকে তাতেই সমাজের মঙ্গল। সমাজ পরিবর্তনের দায় কেন বিজ্ঞানী নিতে যাবে (এই দায় সমাজকর্মীর), তার দায় বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা।
আমি যদিও নিশ্চিত নই, ভিক্টর যে ষ্টেনজারের যে উদৃতি এখানে দেয়া হয়েছে তা আউট অব কনটেক্সট কিনা তবে তার এই উদৃতিতে faith কথাতে কন্ট্রাডিকশন আছে। যেমন faith সম্পর্কে বলছেনঃ ‘Faith is the belief in the absence of evidence।’ এবং ‘Faith is always foolish and leads to many of the evils of society’ কিন্তু উদৃতিটি শুরুই হয়েছে একটি faith দিয়েঃ Perhaps the most unique position of New Atheism is that faith, which is…. । সুতরাং faith যদি প্রমান বিহিন বিশ্বাস হয় তবে Atheism একটি প্রমান বিহীন বিশ্বাস আর faith যদি সমাজে মন্দ আনে তবে Atheism সেই কাজটিই করে।
সংজ্ঞানুসারেঃ faith হচ্ছে প্রমান ছাড়া বিশ্বাস। প্রত্যাশার প্রাবল্য অনেক সময় faith জন্ম দেয় এবং তা অনেকসময় সমাজে কল্যান আনে। সত্যিকারঅর্থে faith ছাড়া বিজ্ঞানী হওয়া যায় কিনা এই বিষয়ে সন্দের আছে। আইনষ্টাই সারা জীবন বিশ্বাস করেছেন গনিতের সৌন্দর্যের মাধ্যমে বিশ্বকে ব্যাখা করা সম্ভব। ইউনিফাইড ফিল্ড থিউরি বাস্তবে নেই, কিন্তু কত পদার্থবীদ তাদের রাতের ঘুম হারাম করেছেন এই থিউরিটিকে আবিস্কারের আশায়। কোয়ান্টাম মেকানিক্স আর আপেক্ষিকতা তত্ত্বের যে বৈষম্য এটি দূর করতে বিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা কত জল ঘোলা করেছেন তার ইয়াত্তা নেই।
বিজ্ঞানের যে কোন তত্ত্বই কিছু স্বতসিদ্ধের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই স্বতসিদ্ধগুলিকে প্রমান করা যায়না। বিন্দুর যে অবস্থান ছাড়া আর কিছু নেই এটি নেহায়েত বিশ্বাস। গ্রাভিটন কনা যার মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষন কাজ করে তা আজও বিশ্বাসের কাতারে। ফোটনের কোন ভর নেই, এর বিরুদ্ধে প্রমান থাকার পরও পদার্থবীদরা ফোটনকে ভরহীন কনা বলেই বিশ্বাস করেন। এই সব বিশ্বাস নিশ্চিত ভাবে সমাজে মন্দ আনেনি, বরং আমাদের বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার সম্পুর্ন করেছ।
@শামীম,
কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি প্রথম লাইনটির (Perhaps the most unique position of New Atheism is that faith, which is belief without supportive evidence, should not be given respect, even deference, it obtained in modern society.) অর্থউদ্ধার করতে পারেন নি। মাথাটা ঝাকি দিয়ে আবার একটু পড়ে দেখবেন প্লিজ?
@রায়হান আবীর,
আচ্ছা বাংলা করা চেষ্টা করছি দেখি কি দাঁড়ায়ঃ
মোটামুটি ভাবে (হুবুহু নয় কারন আমি অনুবাদে অত ভাল নই) ষ্টেংগর বলছেনঃ
সম্ভবত New Atheism এর অদ্বীতিয় অবস্থান হচ্ছে সেই বিশ্বাস (faith), যা মনে করে সহায়ক প্রমান ব্যাতিরেকে কোন অন্ধবিশ্বাসকে (belief) সম্মান, এমনকি সম্মানজনক-সহানুভূতি দেয়া উচিত নয়, যা আধুনিক সমাজে পাচ্ছে।
মানে দাড়াচ্ছে, New Atheism নিজেও কিছু বিশ্বাস করে। অথচ, ‘বিশ্বাস হচ্ছে প্রমানের অভাবে অন্ধবিশ্বাস’ বা ‘বিশ্বাস সবসময়ই বোকামী আর তা সমাজে অনেক মন্দ আনে’।
যদি আমরা ধরে নেই, ‘আমাদের’ আর ‘তাদের’ নামে দুটি ভিন্ন বিশ্বাস আছে, তবে ব্যাপারটা সহজে বুঝা যায় যেমনঃ
ষ্টেংগরঃ সম্ভবত New Atheism এর অদ্বীতিয় অবস্থান হচ্ছে ‘আমাদের’ সেই বিশ্বাস (faith), যা মনে করে সহায়ক প্রমান ব্যাতিরেকে কোন অন্ধবিশ্বাসকে (belief) সম্মান, এমনকি সম্মানজনক-সহানুভূতি দেয়া উচিত নয়, যা আধুনিক সমাজে পাচ্ছে।
এবং, ‘তাদের’ বিশ্বাস হচ্ছে প্রমানের অভাবে অন্ধবিশ্বাস, বা ‘তাদের’ বিশ্বাস সবসময়ই বোকামী আর তা সমাজে অনেক মন্দ আনে।
হতে পারে আমার বুঝতে ভূল হচ্ছে। কেউ যদি ভালো করে বাংলায় ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ হতাম।
@শামীম,
আপনার আক্ষরিক অনুবাদটা এরকম-
“সম্ভবত New Atheism এর অদ্বীতিয় অবস্থান হচ্ছে সেই বিশ্বাস (faith), যা মনে করে সহায়ক প্রমান ব্যাতিরেকে কোন অন্ধবিশ্বাসকে (belief) সম্মান, এমনকি সম্মানজনক-সহানুভূতি দেয়া উচিত নয়, যা আধুনিক সমাজে পাচ্ছে।”
এর সূত্র ধরে আপনি বলেছেন-
“মানে দাড়াচ্ছে, New Atheism নিজেও কিছু বিশ্বাস করে।”
ভাই,আপনার আক্ষরিক অনুবাদ সম্পূর্ণ ঠিক কিন্তু এর ভাবার্থ সম্ভবত আপনি যেমনটি বলেছেন ওরকম নয়।এখানে নব্য নাস্তিক্যবাদের অবস্থানকে “সহায়ক প্রমানহীন বিশ্বাসকে সম্মান দেয়া উচিত নয়”-এই মতবাদের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।
“নিউ এথিজম নিজেও কিছু বিশ্বাস করে” এমন কিছু এখানে বলা হয়েছে বলে মনে হয়নি আমার।
আরেকবার কষ্ট করে একটু পড়ে দেখবেন,ভাই?
অনেকদিন পর রায়হান আবীরকে দেখা গেলো।
এবং ৪ নম্বর -কেউ চাইলে পাটিয়ে দিতে পারি। ই-বুক আছে। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
অই মিয়া চাওয়া চাওয়ির কি আছে?!!?! সোজা সুজি দিয়া দেন।
ইমেইলে পাঠাতে হবে নাকি? তাইলে আমি লাইনে প্রথম!!
আমার ইমেইল আইডি- [email protected]
দ্যান পাডায়া। 😀
@তানভী,
দিলাম পাডায়া। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
ত্যঙ্খু বিড়ি মাছ!!! :deadrose: 😀
@সৈকত চৌধুরী,
জানজটে চার ঘন্টা শেষ হয় প্রতিদিন। কষ্টে আছি ভাই 🙁
@সৈকত চৌধুরী,
প্লিজ আমাকে এক কপি পাঠান,
ঠিকানা – [email protected]
@সংশয়,
দিলাম, সাথে গড ডিলিউশন বোনাস। 🙂
বহু দিন পরে আইলেন বস।
ধুর লেখা ভালু পাই নাই!! 🙁 শিরোনাম দেইখা ভাবলাম আপনি বইটার অনুবাদ শুরু করসেন, পইড়া দেখি ফাও গ্যাজানি!!!! ধুর মিয়া আপনারে এইগুলান মানায় না! অনুবাদে নাইম্যা পড়েন। আমার মত বঙ্গালের তাইলে সুবিধা হয়। (ইংরাজিতে পুরাই বকলম!!)
তাই প্লিজ ভাইয়া আপনার কাছে অনুরোধ থাকলো, আপনি এইরকম অধমদের জন্য ধীরে ধীরে হলেও অনুবাদটা শুরু করেন।
@তানভী,
বস, গুরু শব্দদুইটা কেউ আমাকে বললে ভয় লাগে 🙁
এই ব্লগে ভেবেছিলাম প্রথম মন্তব্যটা আমিই দিবো। আসলে সেদিন বন্যাপা, অভিদার সাথেও অনুবাদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। বন্যাপা দুই চ্যাপ্টার, অভিদাও বললো উনি দুই চ্যাপ্টার, আমি আর মুহাম্মদ মিলে হয়তো আরও দুই চ্যাপ্টার অনুবাদ করতে পারবো। আর কেউ এগিয়ে আসলে সেইটা দারুন ব্যাপার হতো। তাহলে আগামী বছর বইমেলা টার্গেট করা যেতো।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আচ্ছা উইকির তানভী কি আপনিই?
আছেন কেউ?
@রায়হান আবীর,
😀 চিনলেন ক্যমনে!?!
@তানভী,
আমার উইকি পাতায় গেলে একটা টেম্পলেট পাবেন। তাহলে কীভাবে চিনলাম সেইটা পরিষ্কার হবে 😀
সাম্প্রতিক পরিবর্তনে প্রায়ই তোমার নাম দেখতাম। তাই বললাম। কিন্তু এখন দেখি তুমি আমার ক্যাডেটাতো ভাইওও 😀
@রায়হান আবীর,
কিন্তু কথা হইল আপনার পাতায় যাব ক্যামনে!!! 🙁
@রায়হান আবীর,
এই রকম ফাঁকিবাজি লেখা আমি আর কখন দেখসি নাকি জানি না। লেখাটার হেডিং দেখে আমি তো ভাব্লাম, বাহ এর মধ্যেই রায়হান বইটা পড়ে ফেললো! অনুবাদ না হোক, ভাবসিলাম একটা রিভিউ অন্তত হবে, কিসের কি! হাতে সময় থাকলে আস্ত বইটা ফেরত নিয়া দেশ থেকে রওনা দিতাম। আবার কয় আমরা নাকি অনুবাদ করার কথা বলসি, এরকম কোন কথা কোনদিনও হয় নাই, রায়হান বইটা অনুবাদ করবে এই শর্তে চকচকা বইটা আনা হইসিল দেশে। এখন তো মনে হয় সবটাই ভাওতাবাজি।
@বন্যা আহমেদ,
আপনারে ধিক্কার।
@রায়হান আবীর,
সামী,
এই অধম সঙ্গে আছে যদি লাগে…তয় ফেব্রুয়ারি ১১ এর পর থেকে।
@মাসরুফ হোসেন,
মাসরুফ ভাই, একবছর টাইম আছে। আপনি হাত তুলাতে বরং সুবিধা হলো। এটলিস্ট তিন চ্যাপ্টার আপনাকে ধরায় দিতে হবে। জানাবো অচিরেই।