আমার লেখা পড়ে কেউ আমাকে ভাবতে পারে সংশয়বাদী হিসেবে। কোন এক লেখায় আমি মন্তব্য করেছিলাম ধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। সেটা যতটা না আমার মতাদর্শের জন্য তারচেয়ে বেশি হল স্ট্রাটেজীর জন্য। আমি মনে করি বিবর্তনের ধারায় মানুষের মস্তিষ্কের যে পরিবর্তন হয়েছে সেটাই দায়ী ঈশ্বর নামক কল্পিত বস্তুকে তৈরী করার জন্য। এ কারণেই বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি সত্বেও মানুষ অলৌকিক কাহিনী বিশাস করতে চায়, সুপার পাওয়ার কল্পনা করে সুখ লাভ করে। আরো একটি বিষয় হতে পারে যে মস্তিষ্ক বাদ দিলে মানুষ আসলে খুব দুর্বল একটি প্রানী। তাঁর নেই হাতীর মত শক্তি, বা চিতার মত গতি বা পাখির মত উড়ার ক্ষমতা। তার সমস্ত শক্তি হচ্ছে এই মস্তিষ্ক। তাই সেই মস্তিষ্ক দিয়েই সে কল্পনা করে যদি তাঁর সমস্ত শক্তি থাকতো কত না সুন্দর হত। এ জন্যই সুপার ম্যানের মত ছবিগুলোতে কাহিনী যতই অবাস্তব হোক বক্স অফিস হিট হবেই। মানুষ আসলে কল্পনা করেই তার সকল অক্ষমতাকে দূর করতে চায়। সেই দুর্বল মানুষের কাছে ঈশ্বর এক মহা শক্তি, তার বেঁচে থাকার প্রেরনা। এ কারণেই বোধ হয় সক্রেটিস, প্লেটোর মত দার্শনিকেরাও ঈশরের মাঝেই সকল সমাধান খুঁজে পেয়েছিল। আর সেখানে সাধারন জ্ঞানবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা যে সেই ঈশ্বরের পেছনে ছুটবে তা আর বলতে। তাই ঈশ্বর বিশাসীদের আমি স্বাভাবিক ভাবেই নেই। হাজার যুক্তি দিয়েও সে ঈশ্বরের ভুত তাঁদের মস্তিষ্ক থেকে সরাতে পারবেন না, যদি না নিজে কেউ এটা উপলব্ধি করতে পারে নিজের প্রজ্ঞা দ্বারা। এই ঈশ্বর বিশ্বাস প্রজন্ম হতে প্রজন্মে ধীরে ধীরে কমে যাবে, এবং সান্টা ক্লজের বা রাক্ষস/রাক্ষুসের মত প্রতীকী হয়ে রয়ে যাবে। আজ কয়জন মানুষ বিশ্বাস করে সান্টা ক্লজ/ বা রাক্ষস সত্যি। তারপরেও বহু মানুষ সান্টা ক্লজের কথা চিন্তা করে। কেউ একজন প্রতীকি সান্টা ক্লজ হয় এবং সবাইকে গিফট প্রদান করে। এভাবে একদিন সমাজে প্রতীকী ঈশ্বর থাকবে, শুধু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে যে একদা মানুষ ঈশ্বরের কল্পনা করতো, ঈশ্বরে বিশ্বাস করতো।
প্রচলিত ধর্মগ্রন্থগুলোকে আমার কাছে ভাববাদী দর্শনের একটি অংশ হিসেবেই মনে হয়। যে মানুষেরা সেগুলোকে ঈশ্বরের বাণী হিসেবে বিবেচনা করে পরকালের সুখের জন্য তাঁর ইহকাল বিসর্জন দিয়ে যায়, তাঁদের জন্য দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কি আরা করা যায়। অবশ্য উল্টো দিকে তাঁরাও আমার বা আমাদের জন্য সমপরিমান দুঃখ প্রকাশ করছে। আমাদের জন্য পরকালে যে নিশ্চিত নরক আছে সেটা চিন্তা করে তাঁরা উল্লাস বোধ করে, কেউ কেউ কষ্টও বোধ করে। এখানেই যে কোন ধর্মান্ধর সাথে যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষের পার্থক্য। যিনি প্রচলিত ধর্মকে অস্বীকার করেন তিনি সে জন্য কোন ধার্মিকের নরকবাস কামনা করে না, যা ধর্মান্ধ মানুষগুলো বা ধর্মগুলো করে থাকে। এখানেই ধর্মগ্রন্থগুলোর ব্যার্থতা। ধর্মগ্রন্থগুলো আদর্শবাদকে উচ্চে ধারণ করে মানবিকতাকে পদদলিত করেছে। এই কাজ শুধু ভাববাদি দর্শন বা ধর্ম কেবল করেছে বললে ভুল হবে। সেটা যে কোন আদর্শবাদ মতবাদ এই কাজ করতে পারে। যেটা করেছে স্টালিন বা হিটলারের মত লোকেরা। সাম্যবাদ, জাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বা যে কোন মতবাদকে মানবিকতার উর্ধ্বে ধরে তাঁরা চালিয়ে যায় গনহত্যার মত বিভৎশ্যকর কাজ। ঠিক এ রকম এক গণহত্যা ঘটে ছিল আজ হতে আটত্রিশ বছর আগে আমাদের প্রিয় জন্মভূমিতে। তখন আমাদের অনেকেরই জন্ম হয়নি। দেশ বিভক্তি রক্ষার নাম করে, ধর্ম রক্ষার নাম করে নির্বিচারে পাকিস্তানী বাহিনী এবং দেশীয় কিছু দোশররা চালিয়েছিল এই গনহত্যা। এটা জাতি হিসেবে লজ্জাকর যে আমরা এই গণহত্যাকারীদের বিচার করতে পারিনি। কিন্তু বিচার হবে না তা নয়। এদের বিচার হবেই। আজ হোক, কাল হোক। সময় এদের বিচার করবেই। ইতিহাস এদের বিচার করবেই।
আমি আস্তিক, নাস্তিক, সংশয়বাদী এই বিতর্কে সময় নষ্ট করতে চাই না। এ কারণে সেই বিতর্কে আমি অংশগ্রহন করি না। আমার কাছে ঈশ্বর থাকলেও আমার আদর্শ যা থাকবে ঈশ্বর না থাকলেও তা থাকবে। সেটা হল মানবের কল্যানেই আমার প্রতিটি কর্ম পরিচালিত হবে। এ কারণেই আবারো সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, আসুন আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কে আমরা যে বিপুল সময় ব্যয় করি তাঁর থেকে কিছু সময় মানবের কল্যানে ব্যয় করি। সচলে সম্প্রতি উইকিযুদ্ধ নামে একটি মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উইকিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধের দ্বারা আমরা পরবর্তী এবং এই প্রজন্মের কাছে আমাদের কথা বলে যেতে পারবো। আপনি যদি চান একটি মুক্তমনা সমাজ গড়ে উঠুক তবে সভ্যতার ইতিহাস, দর্শনের ইতিহাস, ধর্মের ইতিহাস, প্রতিটি দার্শনিকের কথা তুলে ধরুন উইকিপিডিয়ায়। আমি মনে করি উইকির মধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমরা যা চাই সেটা তুলে ধরতে পারি। আমরা যদি বসে থাকি তবে কি হবে? দেখা যাবে যে আমাদের বিপক্ষ শক্তিরা এই দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাবে। আসুন যে যার পক্ষ থেকে উইকিযুদ্ধে নেমে পড়ি। মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য যে যে ক্ষেত্রে জ্ঞান রাখুন তিনি সে সে ক্ষেত্রে কাজে লেগে যেতে পারেন। সবচেয়ে মজা হচ্ছে, এই কাজের জন্য আপনার কাউকে প্রয়োজন হচ্ছে না। নিজেই যে কোন একটি বিষয় বেছে নিয়ে নেমে পড়তে পারেন। তবে সবাই মিলে যদি একত্রে একেকটি বিষয় কাভার করা হয় তবে সেই ক্ষেত্রটি পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে। সেটি আমরা খুব সহজেই করতে পারি মুক্তমনার পক্ষ থেকে। আশা করি মুক্তমনা এই উদ্যোগটি শুরু করবে।
আমরা বিজ্ঞানের একেকটি শাখা শুরু করতে পারি, বা দর্শনের একেকটি কাল ধরতে পারি বা ইতিহাসের একেকটি কাল ধরতে পারি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি ইংরেজী উইকির অনুবাদ করে সেটাকে বাংলা উইকিতে দিয়ে দিতে পারি। বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং দর্শনের ক্ষেত্রে আমাদের কাজ আসলে অনেক কম। শুধু আমাদের কষ্ট করে ইংরেজী হতে অনুবাদ করে বাংলা উইকিতে নিয়ে আসতে হবে। আমরা যেটা করতে পারি, একেক সপ্তাহে ইংরেজী উইকি হতে কিছু বিষয় নির্দিষ্ট করলাম যেগুলো বাংলায় থাকা প্রয়োজন বলে মনে করি। তারপর যে যার সময় মত সেগুলোকে অনুবাদ করে যোগ করতে থাকি। এভাবে কেউ এক লাইন অনুবাদ করলেও অনুবাদ প্রক্রিয়াটি এগুতে পারে। আর যারা বানান বিশারদ উনারা বানান শোধরে দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। আমার নিজের চিন্তা হচ্ছে, গ্রীক দর্শনের ইতিহাস এবং বিভিন্ন দার্শনিকদের জীবনীগুলো ধীরে ধীরে অনুবাদ করে বাংলা উইকিতে দিব। এভাবে সভ্যতার ইতিহাস, মিশরীয় সভ্যতা, ব্যবলীনিয় সভ্যতা, গ্রীক সভ্যতা, হরোপ্পা সভ্যতা, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ, এই বিষয়গুলো চাই অনুবাদ করে বাংলায় নিয়ে আসতে। কেন প্রয়োজন? কারণ আমি যখন এই ইতিহাসগুলো পর্যবেক্ষন করতে পেরেছি, তখনই আমার পক্ষে বুঝা সম্ভব হয়েছে মানুষের মাঝে ধর্মের আবির্ভাব কিভাবে হয়েছে। আমি চাই মানুষ এগুলো পড়ুক। মানুষের জন্য জ্ঞানের ভাণ্ডার খুলে দেওয়া হোক। আর তাহলেই আমরা পাবো এক মুক্তমনা প্রজন্ম।
উইকিপিডিয়া প্রজেক্টের এখন ১০ম বছরে চলছে। এই প্রজেক্টের মূল দর্শনই ছিলো জনমানুষের সমবেত জ্ঞানকে এক সাথে সংকলিত করে রাখা।
খেয়াল করুন, বিশ্বকোষ লেখার কাজ মানবসভ্যতার ইতিহাসে অনেক আগে থেকেই হয়ে এসেছে, কিন্তু তা সব ক্ষেত্রেই ছিলো (১) অল্প কিছু মানুষের জ্ঞানের সংকলন (২) জনমানুষের নাগালের বাইরে।
১ম পয়েন্টটি এরকম, সব তথ্যের সব রকমের বিশ্লেষণ এক জন, দুইজন বা জনা কয়েকের পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাপিডিয়া প্রজেক্টে ১২০০ জন কাজ করলেও একেকটি নিবন্ধ একেক জন লেখকের লেখা, ফলে ব্যক্তিগত মনোভাব, তথ্য জানার ঘাটতি, এসব সমস্যা রয়ে গেছে। (“উপজাতি”রা “পোকা খায়” এমন ভয়াবহ অসত্য যোগ হয়েছে সেখানে!)। কিন্তু উইকিতে প্রতিটি নিবন্ধ লেখা হয় বহু মানুষের হাত দিয়ে, আর কোনো ভুল থাকলে যে কেউ শুধরে দিতে পারেন।
আর ইতিহাস জুড়ে লেখা সব বিশ্বকোষ সীমিত ছিলো লাইব্রেরিতে বা উচ্চবিত্তদের শোকেসেই। ব্রিটানিকার বহু খণ্ড, কিংবা বাংলাপিডিয়ার ১০ খণ্ড কি সবার কেনার সামর্থ আছে? তাছাড়া এসব বিশ্বকোষের জ্ঞানের মালিকানা নিয়েও অনেক কড়াকড়ি আছে … চাইলেই আপনি কিন্তু ব্রিটানিকা বা বাংলাপিডিয়ার লেখা ছাপাতে কিংবা বিশেষ অংশ জনমানুষের মাঝে বিলাতে পারবেন না। উইকিপিডিয়া দিয়েছে এই সুযোগ — জ্ঞান হবে মুক্ত, সবার হাতে গড়া, সবার কাছে বিলিয়ে দেয়ার জিনিষ।
—
উইকিপিডিয়ার দর্শন সংক্রান্ত আমার একটি ভাষণের অনুলিপি পাবেন এখানে।
—
বাংলা উইকিতে জ্ঞান বিজ্ঞানের লেখার অনেক অভাব রয়েছে। এক সময়ে বাংলাতে টাইপ করতে অভ্যস্ত মানুষের অনেক অভাব ছিলো, তাই বাংলা উইকির ভুক্তিগুলোর সংক্ষিপ্ত দশা মেনে নেয়া যেতো। কিন্তু আজ বিভিন্ন ব্লগে লেখার সুবাদে প্রচুর মানুষ নিয়মিত বাংলায় লিখেন, তারা যদি অল্প কিছু সময় দেন দিনে বা দুই দিনে কিংবা সপ্তাহেও, তা অনেক কাজ দেবে। জ্ঞান বিজ্ঞানের যেসব ভুক্তিতে কাজ করতে পারেন, তার একটা তালিকা এখানে পাবেন। (লাল চিহ্নিত ভুক্তিগুলো এখনো তৈরী হয়নি। প্রতি ক্ষেত্রে ইংরেজি উইকির সংশ্লিষ্ট ভুক্তির তালিকা দেয়া আছে)।
@রাগিব হাসান,
ধন্যবাদ বিষ্যগুলো পরিষ্কার করার জন্য এবং উইকিপিডিয়ার দর্শনটি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
মুহাইমিন সাহেব ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি না।
আমার মতে আমাদের দেশের অন্যতম বড় সমস্যা হল তীব্র শ্রেনী বিভাজন। এই শ্রেনী বিভাজন এত প্রকট থাকলে কোন অর্জনই ধরে রাখা যায় না।
তার মানে কি এই যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছের কিছু সুবিধে পৌছাচ্ছে না বা দেরীতে পৌছাচ্ছে এই অযুহাতে আমরা ভাল কোন করব না? ওইকিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার সাথে গরীব মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করার আন্দোলনের সম্পর্ক ঠিক সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সে হিসেবে গরীবদের ইন্টারনেটের আগে আরো অনেক মৌলিক সমস্যা আছে।
বস্তিতে যে পরিবারের ৮ সদস্য এক ঘরে থাকে, সকাল বলে ২ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে খাবার পানি আনতে হয় তাদের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করার আন্দোলন তো মশকরার মত শোনাবে। সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ছাড়া শুধু ইন্টারনেট সহজলভ্য কিভাবে করা যাবে?
ইন্টারনেট সমগ্র বিশ্বের কাছে জ্ঞানের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলেও আমাদের দেশের বাস্তবতায় তা অতটা নয়। তবে সে হিসেবে ইতিহাস নিয়েই বা আমরা কেনই বা এত শ্রম দেই? আমরা এখানে ভারতের কৃতিত্ত্ব কতখানি তা নিয়ে তর্ক করছি, নিয়াজীর বা নিজামীর যুদ্বপরাধ নিয়ে গলা ফাটাচ্ছি, কিন্তু গরীব মানুষদের কাছে এই আলোচনার কি মূল্য আছে? যুদ্ধপ্রাধীর বিচারের চেয়ে তাদের কাছে দৈনিক অন্নচিন্তা অনেক বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ। সংখ্যার হিসেবে মনে হয় এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। শুনতে হয়ত একটু কটূ শোনাবে, তবে এটাই বাস্তব। তবে তা বলে কি আমরা আমাদের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষন করব না? অবশ্যই করব। সঠিক ইতিহাস জানা ছাড়া কোন জাতি এগুতে পারে না। আর আমাদের ইতিহাস নিয়ে যথেষ্ট কাটাছেড়া মতলববাজী হয়েছে। আর ক্ষতি হবার আগেই সতর্ক হতে হবে। সময়েরও ব্যাপার আছে। আমরা ঘুমিয়ে থাকলে বা নিজেদের মাঝে হাতাহাতি করলেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যুদ্ধের অব্যহতি পর থেকেই আমাদের প্রকৃত ইতিহাস ভোলানোর কাজটা খুব নিপুনতার সাথেই করে যাচ্ছে।
দূঃখজনক হলেও টেকনোলজি যখন বিশেষ করে বাজারে নুতন আসে তখন মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীদের ঠেকানোর মত বাস্তব কোন উপায় মনে হয় না কোন দেশেই আছে বলে। তবে প্রতিযোগিতার বাজার উন্মুক্ত করে হয়ত কিছুটা কমানো যায়। কিন্তু বাস্তবতা হল চীন কিংবা কিউবা টাইপ হাতে গোণা কিছু দেশ বাদে মনে হয় আর সব দেশেই ব্যাবসায়ীরা এই সুবিধে নির্বিঘ্নে প্রকাশ্য দিনের আলোতেই পায়।
আমি গভীরভাবে সাম্যবাদী, যখন দেখি যে সকলে এই ইন্টারনেট জ্ঞান ভান্ডারে প্রবেশ করতে পারছে না তখন খুব কষ্ট হয়। আসলে শুধু এই জ্ঞান ভান্ডার তৈরী করে লাভ নেই, এই জ্ঞান ভান্ডার যাতে সকলের প্রবেশযোগ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। আমার মনে হয় আমাদের গরীব জনগণ যাতে ইন্টারনেটের প্রবেশাধিকার পায় সেদিকে খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরী। আমি দেখেছি আমাদের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তবিত্ত সমাজ সব সময় নিজেদের নিয়েই কথা বলে । কখনো সেই সব নিম্নবিত্তদের নিয়ে ভাবে না। আমরা ইন্টারনেটে এক বিশাল জ্ঞান ভান্ডার গড়ে তোলার কথা বলছি; কখনো কি এই জ্ঞান ভান্ডার সকলের হাতের নাগালে পোছাবে কিনা এই নিয়ে ভেবেছি? যতদিন না পর্যন্ত আমরা সকলের জন্য ভাবতে শিখব ততদিন পর্যন্ত এই বিশাল জ্ঞান ভান্ডার দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সুশীল সমাজ গড়ে তোলাটা বাস্তবতা বিবর্জিত কল্পনা মাত্র। আর আমরা ইন্টারনেটের আবির্ভাবে এই কারণে আশান্বিত হয়েছিলাম এই কারণে যে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জ্ঞান আরোহনে সমাজে যে বৈষম্য বিরাজ করছে তা কাটিয়ে একটি ‘জ্ঞানে সার্বজনীন সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার’ নিশ্চিত করতে পারব। কিন্তু কিসে কি হলঃ এই ইন্টারনেটও সাম্রাজ্যবাদীদের দখলে- আমাদের সবাইকে একটা গণ আন্দোলন তৈরী করতে হবে আমাদের দেশে যাতে এই ইন্টারনেট সবার আগে সর্বসাধারণের নাগালের মধ্যে আসে। আর আরেকটা বিষয় আমাদের দেশে সব প্রকার অশ্লীল সাইট নিষিদ্ধ করতে হবে কারণ তার মাধ্যমে আমরা যুব সমাজকে এই সর্বগ্রাসী নচ্ছার শক্তি থেকে মুক্ত করে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারব।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আগে তো একবার সংরক্ষন করতে হবে,তারপরেই না পৌছানোর ব্যপার। আমরা এখন সংরক্ষন করলে এক সময় অবশ্যই সবার কাছে এটা পৌছাবে,কারণ প্রযুক্তির খরচ দিন দিন কমছে। আজ থেকে ২০/৩০ বছর পর সারা বাংলাদেশে যখন নেট ছড়িয়ে যাবে,তখন আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম এর সুফল পাবে। আশাবাদী হোন,অদূর ভবিষ্যতের কথা না ভেবে সুদূর ভবিষ্যতের কথা ভাবুন। এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল পৌছে গেছে। মোবাইলের সুষ্ঠু ব্যবহার শিখলে তা থেকে নেট ও ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
আর অশ্লীল সাইটের কথা বলছেন? আলোর পাশেতো অন্ধকার থাকবেই,তাই না? বাকিটা আপনার সিদ্ধান্ত যে আপনি কোনটা নেবেন, আলো না আঁধার। আধারের কারনেই আলোর জন্ম,বা আধারের মধ্য দিয়েই আলোর সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়।
@তানভী,
আমি সংরক্ষণে কোন দোষ দেখি না। আমার কথা হল এই সংরক্ষণের সাথে ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করার জন্যও একটা আন্দোলন করা দরকার। হ্যা, আমি অদূর বা সুদূর ভবিষ্যতের কথা ভাবি না; আমি সব সময় ভাবি বর্তমান নিয়ে, কারণ আমি মনে করি বর্তমান নিয়ে ভাবাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বর্তমানে ইন্টারনেট হয়ে গেছে একটি মুনাফা লাভের সহজ উপায়। বর্তমানে সাধারণ গরীব মানুষের কথাই আমি বলেছি, আমি যদি খালি অদূর বা সুদূর ভবিষ্যতের কথাই ভাবি তাহলে এদের কি হবে, তারা তো বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে। আপনি বা আমি তো ঠিকই এই সেবা গ্রহণ করতে পারছি টাকা থাকার কারণে, মানবকল্যাণের কথা তো অনেক বললেন, এবার একটু বাস্তবের দিকে চোখ ফেরান, এক বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু না করে কি করে তাদেরকে বর্তমানে উপেক্ষা করতে হয় তা তো মানবতা সম্মত কিছু হল না। আর আমরা যদি চেষ্টা না করি তাহলে সেই সুদূর ভবিষ্যতেও হয় তো এই ইন্টারনেট জিনিষটা সর্বসাধারণের নাগালের মধ্যে আসবে না। কারণ এই নেট ব্যাবসায়ীদের একমাত্র উদ্দেশ্য মুনাফা লাভ, মানবকল্যাণের কথা এরা বাপের জন্মেও চিন্তা করতে পারে না।
@মুহাইমীন,
ভাই এইটাইতো নিয়ম, তাই নয় কি?
যখন বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল এল তখনকার অবস্থা চিন্তা করুন। কিছু বড়লোক ধনী ব্যক্তি লাখখানেক টাকা খরচ করে মোবাইল (সেটের যে সাইজ ছিল তাতে ওগুলোকে ওয়াকিটকি বলাই ভালো) কিনত আর আমাদের মত মধ্যবিত্ত ও গরীবরা তা চেয়ে চেয়ে দেখতাম আর ভাবতাম কি এক সপ্তাশ্চর্য হাতে নিয়ে ঘুরছে!! আর এখন? কার কাছে মোবাইল নেই? কলরেটও আরো কমে যাচ্ছে দিনদিন।
আর সব ব্যবসার উদ্দেশ্যই মুনাফা করা। এভাবেই বাজারে প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই দ্রব্য সহজ লভ্য হয়ে আসে। যেমন ধরুন এখন ঢাকায় ওয়াইম্যক্স চালু হয়ে গেছে। কয়েক বছরের মধ্যে খরচও কমে যাবে,আর অন্যান্য শহর গুলোতে ছড়িয়ে যাবে। তখন কি হবে? তখন ব্রডব্যন্ড ব্যবসায়ীরা তাদের খরচ কমিয়ে দিতে বাধ্য হবে,এবং মুনাফা করার জন্য গ্রামাঞ্চলের দিকে সরে যাবে।ফলে গ্রামের লোকেরাও নেটের আওতায় চলে আসবে কম খরচেই।
আশাবাদী হোন। বর্তমানকে ভবিষ্যতের জন্যই ব্যবহার করতে হয়। বর্তমানের প্রতিটি কাজ আপনাকে ভবিষ্যৎ দেখিয়ে দেবে। যিনি কম্পিউটারের আবিস্কর্তা তিনি কি স্বপ্নেও ভেবেছিলেন যে তার ভাবনা আজ এত দূর এগিয়ে আসবে? কিন্তু তিনি ভাবনাটার সূচনা করেছিলেন বলেই আজ এতদূর এগিয়ে আসা গেছে।
তাই বর্তমানকে ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করুন।মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জন্য যুদ্ধ করেন নাই। তারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন তাদের পরের প্রজন্মকে একটা দেশ দেবার জন্য,একটা পরিচয় দেবার জন্য। যুদ্ধে যারা বেচে গেছেন বা শহীদ হয়েছেন তারা জেনে শুনেই যুদ্ধে গেছেন। তারা জানতেন না যে নয় মাসে দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে, প্রায় সবারই ধারনা ছিল এটা একটা দির্ঘস্থায়ী যুদ্ধ হবে। তাহলে আপনি বলুন তারা কোন বর্তমানটার আশায় যুদ্ধ করেছিলেন? তারা যুদ্ধ করেছিলেন সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়।
স্বপ্ন দেখতে শিখুন। বাস্তবতা আপনাকে স্বপ্ন দেখাবে না এটা সত্যি। কিন্তু তবুওতো বেচে থাকার জন্য স্বপ্নই দেখতে হয়, নাকি?!!!? :rose2:
@মুহাইমীন,
বাংলাদেশে এখনো ইন্টারনেট জনমানুষের কাছে পৌছায়নি। এটা সত্যি। তবে উইকিপিডিয়াতে আমাদের অনেক উচ্চাভিলাসী কিছু পরিকল্পনা আছে। সিডি বা ডিভিডি সংস্করণ বের করে সেটা বাংলাদেশের সব স্কুলে এক কপি করে দেয়ার ইচ্ছা ছিলো। তার পর উইকির ভুক্তিগুলো প্রিন্ট সংস্করণ বের করারও ইচ্ছা ছিলো (যদিও সেটা অন্য সব বিশ্বকোষের মতোই দামী ও সবার নাগালের বাইরে থেকে যাবে)।
আমার মনে হয় গ্রামে গ্রামেও আজ কম্পিউটার পৌছে যাচ্ছে। নিদেনপক্ষে মোবাইল ফোন। উইকির মোবাইল সংস্করণ ইতিমধ্যেই চালু আছে, সেটার মাধ্যমেও যদি তথ্য জনমানুষের কাছে পৌছানো যায়, সেটা অনেক বড় একটা কাজ হবে।
@মুহাইমীন,
আপনার এতো হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আশা করছি অদুর ভবিষ্যতে ইন্টারনেট্ আরো অন্যান্ন টেকনোলোজির মতো সাধারন মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে চলে আসবে, আর তখন যদি মানুষের এইসব জ্ঞানের ভাণ্ডার
বাংলা ভাষায় ইতিমধ্যে তৈরী করে ফেলা যায় তাহলে ভাল হয়না?
@তানভী,
আপনার মন্তব্য ভাল লাগল, তবে মুহাইমিন সাহেবের সাথেও একমত, যারা চুড়ান্ত পর্যায়ের সংগ্রাম করে, তারা ভবিষ্যতের কথা ভেবেই করে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুবিধাভোগী শ্রেনী এই সংগ্রামের ফসল থেকে প্রাপ্যদেরকে বঞ্চিত করে। মুক্তিদযুদ্ধের পর থেকেই আমরা তাদের হাতে বন্দি হয়ে পড়েছি, আরও হতাশার বিষয় যে যারাও বা সচেতন অথবা সমস্যা বুঝে, বা যাদের কমনসেন্স আছে, তারাও ততটা সংগঠিত এখনো হতে পাড়ছে না। তাই এতবছর পরও আমরা যে যায়গায় পৌছনোর কথা ছিল, তা থেকে অনেক দুরেই আছি।
আমার প্রশ্নঃ কেন? মানে আপনার এই প্রেরণার পিছনে কি উদ্দীপনা কাজ করে? কোণ জিনিষটা আপনাকে এরকম ভাবতে প্রেরণা যোগায়?(মানে এর পেছনে আপনার কোন জ্ঞানটা কাজ করে?)
@মুহাইমীন,
যন্ত্রণা!! সোজা ঘটনারে প্যাচান ক্যান?? :-Y
আপনার স্বভাবে আজকাল এই দোষ অত্যন্ত প্রকট হচ্ছে।
আপনার প্রশ্নের উত্তর হল, আমরা নাস্তিক/সংশয়বাদীরা চারিদিকে মানুষ ছাড়া কোন অলৌকিক সত্তার দেখা পাইনা। বিপদে আমরা মানুষের কাছেই যাই,আনন্দও ভাগাভাগি করি মানুষেরই সাথে। তাহলে মানুষের কল্যানের জন্য কাজ না করে কিসের জন্য করব? আপনি বলুন এর জন্য আলাদা কি জ্ঞানের দরকার হয়?
নাকি খালি বেহেশতে যাবার জন্যই মানুষের কল্যান করতে হয়?
হ্যা, দরকার হয়। দরকার হয় কমনসেন্সের । যদি কারো মাথায় কমন সেন্স না থাকে তবে সে এর বিপরীতটা করতে দ্বিধা করবে না।
@তানভী,
:yes:
স্বাধীন, কয়েকটা প্রশ্ন, আপনার জন্য,
– এভাবে অনুবাদ করে দিলেই কি হয়? এর জন্য কি রেফারেন্স দিতে হবে?
– আমরা কি নিজেদের লেখা বা বই থেকে অংশ তুলে দিতে পারি কোন বিষয়ের উপরে?
– আপনি নিজে কি উইকির সাহে জড়িত? এটা অবশ্য একটা আজাইরা প্রশ্ন, জবাব না দিলেও হবে 🙂
@বন্যা আহমেদ,
১-ইংরেজিতে যে রেফারেন্সগুলো আছে তা অনুবাদ করে বাংলা রেফারেন্স বানিয়ে দিলেই হয়!!
২-আপনার বইতে আপনি নিজেই অনেএএক গুলো রেফারেন্স দিয়েছেন। ওগুলোই তুলে দিন। আর আমি বা অন্য কেউ যদি বিবর্তন নিয়ে লিখতে যাই (অর্থাৎ যারা বিবর্তনের জ্ঞানে প্রাথমিক পর্যায়ে) তাহলে আমি অবশ্যই আপনার বইকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করব( সাথে সাথে রেফারেন্স সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আপনার বইয়ের ভিতর যেসব রেফারেন্স ডিটেইল দেয়া আছে সেগুলোও জুড়ে দিব!! 😀 )।
তাহলে আর নিজের লেখা বইকে রেফারেন্স হিসাবে দিতে অসুবিধা কি!!
তবে যেসকল বইয়ের রেফারেন্স দেয়া হবে সেগুলো অবশ্যি সুলিখিত ও সর্বজন গৃহীত হতে হবে (ISBN নাম্বার তুলে দেয়া ভালো)।
এক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন যে,’তাহলে তো যে কেউ উলটাপালটা আজেবাজে বই কে রেফারেন্স হিসাবে যুক্ত করে দিতে পারে।’ আসলে হচ্ছেও তাই। রাজাকারের বংশধররা ঠিক ঐ কাজটিই করছে,আর আমাদের বারোটা বাজাচ্ছে।
৩- এবার স্বাধীন ভাইকে কিছু বলার সুযোগ দেয়া উচিৎ!! 😀
@বন্যা’দি
ইংরেজী উইকেতে যে লেখা আছে সেগুলো উম্মুক্ত, তাই অনুবাদ করে দিলেই হল। মূল রেফারেন্সগুলো অনুবাদ করে দিলেই চলবে। এই কাজটুকু খুবই সহজ কি বলেন। আমরা কিন্তু এটা করতেই পারি। সকল বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাসের বিষয়গুলো অনুবাদ করে দেওয়া। আমরা যদি না করি তবে কে করবে?
@ বন্যা’দি
প্রশ্নটি পরিষ্কার নয়। আপনি যদি বুঝিয়ে থাকেন আমি উইকির প্রশাসনের সাথে জড়িত কিনা, তবে জবাব না। আমি আপনার মতই উইকির একজন ব্যবহারকারী। উইকির বিশাল সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে নিজে থেকেই উইকির প্রচারনায় নেমেছি। এই কাজে আমাকে কেউ প্ররোচিত করেনি।
@স্বাধীন ও বন্যা আহমেদ,
আসলে নিজের বই থেকে নিজে রেফারেন্স না দেয়াটাই উত্তম, কারণ সেখানে conflict of interest এর সম্ভাবনা দেখা দেয়। কাজেই নিজে যদি বই লিখে থাকেন, তাহলে বইয়ের মূল সূত্রের রেফারেন্স দিতে পারেন।
উইকিপিডিয়ার প্রতিটি তথ্যই নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে যাচাইযোগ্য হতে হবে। এটা উইকিপিডিয়ার একেবারে মৌলিক নীতি।
আপনাকে ধন্যবাদ, স্বাধীন – মুক্তমনাদের এ ব্যাপারটা জানানোর জন্য! রাগিব হাসান এবং আরও কয়েকজন অনেকদিন ধরেই প্রচুর সময় এবং শ্রম দিয়ে এ কাজটি করে যাচ্ছেন। এখন সবাইকে উইকির নিয়মাবলী বা কীভাবে কী করতে হবে জানিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এটাতে অংশ নেয়ার জন্য। সচলায়তনের নীড় পাতায় এ সংক্রান্ত পোস্টটি স্টিকি করা আছে, আগ্রহীরা দেখতে পারেন।
এখানে ক্লিক করলেই সচলায়তনে রাগিবের পোস্টে পৌঁছে যাবেন।
নিঃসন্দেহে খুবই মহত উদ্যোগ।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমিও যুদ্ধে যোগ দিব। এই উইকি এন্ট্রিটা দিয়ে শুরু করলে ভাল হয়-> http://en.wikipedia.org/wiki/1860_Oxford_evolution_debate
আমি এখন ঊইকিতে ”১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার” এই প্রবন্ধটা দাঁড়া করানোর চেষ্টা করছি।কাজ মোটামুটি এগিয়েছি। আর কি কি যোগ করা যেতে পারে, কোথায় কোথায় সংশোধন করতে হতে পারে, নতুন প্যারা যোগ করা যায় কিনা…… এগুলো দেখে জানাবেন।
@তানভী,
এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখছি, সিমিন হোসেন রিমির “আমার আব্বা তাজুদ্দিন।।” এগুলোয় খুব ভাল তথ্য পাবেন, মনে হয় আপনি জানেন ভালই।
এ ছাড়া শামসুল হকের “একাত্তরের রনাংগন” একটা ভাল সূত্র। এটায় বিশেষ করে স্বাধীন বাংলা বেতার সম্পর্কে খুব মূল্যবান দলিল আছে।
@আদিল মাহমুদ,
সিমিন হোসেন রিমির বইটা থেকে বেশি কিছু পাইনি। ওটা তাজউদ্দিন সম্পর্কে নিবন্ধে লাগানো যাবে। এম আর আখতার মুকুলের টাও স্মৃতিচারণ মূলক, তাই ঐটাও খুব একটা কাজ দিচ্ছে না(ঐটা ভালোভাবে পড়িনি,তবে যতটুকু পড়েছি সেগুলো কাজে আসেনি)
শামসুল হুদা চৌধুরীর ”একাত্তরের রনাঙ্গন” অনেক কাজ দিয়েছে।
এগুলো থেকে যা সম্ভব সব নিয়ে নিয়েছি।
@তানভী,
মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের জন্য এই লাইব্রেরীটি ব্যবহার করুন। লাইব্রেরীটি উম্মুক্ত সবার ব্যবহারের জন্য। শুধু একটি একাউন্ট খুলতে হয়, যা সাথে সাথেই চালু হয়। একাউন্ট এর অপশন রাখা হয়েছে স্প্যাম প্রতিরোধের জন্য। এখানে মুক্তিযুদ্ধের উপর দেশি বিদেশি বই/জার্নাল মিলিয়ে পাবেন প্রায় ৪৮টি বই। আরো বই আসছে।
সাম্প্রতিক মিডিয়া খবরের জন্য, বিভিন্ন জনের সাক্ষাতকারের জন্য দেখুন এই মিডিয়া আর্কাইভটি। । এটিও সকলের জন্য উম্মুক্ত। তবে কোন একাউন্ট এর প্রয়োজন হয় না এটি ব্যবহারে।
http://www.wcsf.info/ এই গ্রুপটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি গ্রুপ যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে।
“আমি আস্তিক, নাস্তিক, সংশয়বাদী এই বিতর্কে সময় নষ্ট করতে চাই না। এ কারণে সেই বিতর্কে আমি অংশগ্রহন করি না। আমার কাছে ঈশ্বর থাকলেও আমার আদর্শ যা থাকবে ঈশ্বর না থাকলেও তা থাকবে। ”
খুব ভাল কথা বলেছেন। আমি নিজেও এমনটাই বিশ্বাস করি তাই কে আস্তিক কে নাস্তিক এসব পোষাকি নামে মাথা ঘামাই না। অংক কষে ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব প্রমানের চেষ্টা এসব নেহায়েতই পাগলামী বলেই মনে হয়।
ধর্ম লক্ষ্য যদি মানব কল্যানই হয়ে থাকে, নাস্তিকরাও যদি তাদের বিবেক অনুযায়ী মানবতাবাদী হতে পারেন তবে দুই শ্রেনীর মাঝে অদেখা ঈশ্বর আছে কে নেই তা নিয়ে অত টানাহেচড়া কিসের?
ধর্ম বিষয়ক বিতর্কে আমি তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব জাতীয় বিতর্কের থেকে ধর্মের নামে প্রচলিত বিভিন্ন কালাকালুন নিয়ে আলোচনা করতেই বেশী আগ্রহ বোধ করি।
ওউকিযুদ্ধে শরিক হবার আশা রাখি।