আমি কেন ইসলাম ছেড়েছি: প্রাসঙ্গিক বিবৃতি
খালেদ ওলিদ (সৌদি আরব)
ভুমিকা
[প্রায় তিন বছর আগে সৌদি আরবের এক পাঠক আমাকে একটি ই-মেইল করেন। এটা আমার জন্য ছিল নিতান্তই অপ্রত্যাশিত কিন্তু গুরত্বপূর্ণ।আমরা যারা ইসলামের সমালোচনা করি তারা চিন্তাই করতে পারিনা যে ‘ইসলামের জন্মভূমি’ সৌদি আরবেও কিছু লোকজন আছে যারা ইসলাম ত্যাগ করতে একপায়ে খাড়া, যদিও তাদের সংখ্যা নিতান্তই নগন্য। একটা সময় খালেদের সাথে আমার প্রচুর ই-মেইল আদান প্রদান হয়েছে—যদিও আজ আমার সাথে তেমন যোগাযোগ নাই। আমি খালেদের একটি ই-মেইল বাংলায় অনুবাদ করলাম। ভবিষ্যতে ইচ্ছা থাকল খালেদের আরো কিছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা বাংলায় অনুবাদ করে মুক্তমনায় প্রকাশ করবো। এখানে উল্লেখযোগ্য যে খালেদের ঐ লেখাগুলির কিছুটা একটা বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam.
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ: এটাই আমার অভ্র ব্যবহার করে মুক্তমনার জন্য প্রথম বাংলা লেখা এবং বলা যায় বাংলা টাইপে আমার হাতেখড়ি। পাঠকেরা আশা করি ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে দিবেন।
আবুল কাশেম
ডিসেম্বর ১৩, ২০০৯]
:line:
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন প্রতিদিন মসজিদে যেতাম। সেখানে আমি ইসলামি প্রার্থনা শিক্ষা ছাড়াও কোরান তেলাওয়াৎ, হাদিস এবং তফসির শিখতাম।
আমাদের মসজিদের শিক্ষক (ইমাম) এবং অন্যান্য ইসলামী পন্ডিতেরা আমাদের বলতেন যে, যেহেতু আমরা মুসলমান সেইহেতু আমরা হচ্ছি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। ওনারা আরো বলতেন যে সৌদি আরবের মুসলমানেরা হচ্ছে একমাত্র প্রকৃত মুসলিম। সেই জন্য বিশ্বের তাবত মুসলিমরা এক মাত্র সৌদি মুসলিমদের অনুসরণ করবে, অন্য কাউকে নয়। বলা বাহুল্য আমরা একবাক্যে,কোন প্রশ্ন ছাড়াই, দৃঢ় ভাবে ঐ সব মেনে নিতাম।
এই ভাবে আমরা নিজেরা মুসলমান হিসাবে খুবই গর্ব বোধ কোরতাম।
কিন্তু এখন আমি বুঝি যে, এসব ছিল একেবারেই মিথ্যা।
পাঠকবৃন্দ, আমি আমি সৌদি আরবের মসজিদ থেকে যা বুঝেছি এবং শিখেছি তার ভিত্তিতে আমি হলফ্ সহ বলতে পারি যে, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাই (কোরানের প্রাসঙ্গিক আয়াত সমূহ যেমন – তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করা হলো (২:২১৬),তাদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না (২:৮৯), তাদেরকে যেখানেই পাবে হত্যা কর (২:২৯১, ৯:৫ ) ইত্যাদি) ওসামা বিন লাদেনরা হুবহু পালন করার চেষ্টা করে। এতে কারো মনে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আসলে ইসলামের চোখে বিন লাদেন একেবারে পাক্কা মুসলমান। বিশ্বাস করুন, সৌদি আরবের প্রায় সবাই বিন লাদেনের সমর্থক এবং তাকে দারুন ভাবে তাকে ভালবাসে তার কার্য্য কলাপের জন্য (সামগ্রিকভাবে পুরো ইসলামী বিশ্বেই অবস্থা একইরকম, বিন লাদেন তাদের কাছে হিরো)।
বিন লাদেনের ক্রিয়া কলাপের জন্য আমরা কি তাকে দোষী করতে পারি? মোটেই নয়। তার পরিবর্তে আমাদের ইঙ্গিত করতে হবে ইসলামের প্রতি। বিন লাদেন তো অক্ষরে অক্ষরে ইসলাম পালন করছে। সে নিঃসন্দেহে ইসলামের নির্ভিক সেনানি, একে বারে খাঁটি মুসলমান।
এখন আমার কথায় আসা যাক। আমার ইসলাম ছাড়ার ঘটনা শুরু হয় আমি যখন পঞ্চম গ্রেডের ছাত্র।আমি কোরানের সুরা আল-কাহফ্ আয়াত ৮৬ (১৮:৮৬) পড়লাম। এখানে লেখা আছে যখন জুলকারনাইন সুর্যাস্তের প্রান্তে পৌঁছাল তখন সে দেখল অনেক লোক সূর্যের প্রচন্ড তাপে অসহনীয় ভাবে পীড়িত। এর কারন হল সূর্যটা তখন ঐ লোকদের খুব কাছাকাছি ছিল। ঐ একই ঘটনা ঘটল যখন সে সুর্য্যদয়ের প্রান্তে পৌছাল।
আমি ভাবলাম: এটা কি ভাবে সম্ভব! পৃথিবী তো একটা বলের মত গোলাকার। তা হলে জুলকারনাইন কেমন ভাবে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে পৌছাল? আমি আমার শিক্ষককে এ বিষয়ে জিজ্জাসা করলাম। আমার শিক্ষক একেবারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। তিনি কোন উত্তর দিতে পারলেননা, শুধু বললেন কোরানে যা লেখা আছে তাতেই বিশ্বাস করতে হবে-কোন প্রশ্ন করা চলবেনা।
এই ভাবে কোরানের প্রতি আমার সংশয় শুরু হয়।
এরপর একটা বিশাল বিস্ময় আমার মনকে পীড়িত করলো। আমি জানলাম যে আমি যদি ভাল মুসলিম হতে চাই তবে আমাকে অবশ্যই অমুসলিমদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আরো বিস্মিত হলাম এই জেনে যে আমি যদি অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করি তা হলে আমি কাফের হয়ে যাব (আল কোরান ৫:৫১,২:৮৯, ৩:২৮, ৪:১৪৪ ইত্যাদি দ্রঃ) ।
আমি অন্যন্য ক্রিয়া কলাপের মত চলচ্চিত্র দেখা,গান শোনা এবং খেলাধুলায় পারদর্শিদের সাথে বন্ধুত্ব করা খুবই পছন্দ করতাম। এদের বেশির ভাগই ছিল অমুসলিম। এখন ইসলামের নীতি আনুযায়ী আমি সত্যিই কাফের হয়ে গেছি। আমি শিখেছি যে স্বর্গে যেতে হলে নবী মোহাম্মদ কে শর্তহীন ভাবে ভালবাসতে হবে, যদিও আমি কোনদিনই তাঁকে দেখি নাই। এখন আমি সম্পুর্ন নিশ্চিত হলাম যে আমার স্থান নরকে।
আমি ইমামদের কথাবার্তা শুনে আরো বিক্ষুব্ধ হলাম। তারা অত্যান্ত গালিগালাজপূর্ণ ভাষায় অমুসলিমদের বানর এবং শুকরের নাতি/নাতনি বলে আখ্যায়িত করলো। আমি চিন্তা করলাম যদি কেউ পাপ করে তার শাস্তি আল্লাহ্ দিবেন। আমাদের ইমামরা কেনই বা ওদের আপমানজনক ভাবে নিন্দা এবং বিদ্রুপ করবে?
আমি আরো বিস্মিত হলাম যখন আমার মুসলিম বন্ধুরা এবং আমার নিজের ইমাম বললো যেহেতু অমুসলিমরা মুসলিমদের শত্রু সেহেতু আমাদের কর্ত্তব্য হবে সর্ব ভাবে অমুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করা এবং তীব্র ভাষায় কটুক্তি করা। আমি তাদের কথায় রাজী না হওয়ায় তারা আমাকে দুর্বল মুসলিম আখ্যায়িত কোরল। তারা আমাকে এটাও বললো যে একজন বিদেশী না জানা মুসলিম একজন অতি পুরাতন বিশ্বস্ত কাফের বন্ধুর চাইতে অনেক ভালো।
আমি কিন্তু আমার প্রশ্ন থেকে বিরত থাকলামনা। সবচাইতে উল্লেখযোগ্য যে প্রশ্ন আমার মনে সর্বদা বিরাজমান ছিল সেটা হলো: এ কেমন আল্লাহ্ যিনি নিজেকে সবসমই পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল হিসেবে দাবি করেন তিনি কেমন ভাবে তাঁর প্রিয় বান্দাদের একে অপরের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বলেন? তাকে কিঞ্চিৎ অবিশ্বাস করলে আল্লাহ্ কেন আগুনে পোড়ানোর এবং অসীম নির্যাতনের ভীতি প্রদর্শন করেন তাঁরই সৃষ্ট মানবকুলের প্রতি? আল্লাহ্ কি আমাদের উপাসনার জন্য এতই কাঙ্গাল? আমরা সর্বদা তাঁর উপাসনা করি এটা কি তাঁর জন্য সত্যিই এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই সব প্রশ্ন নিয়ে আমি গভীর চিন্তা করলাম। আমি কোরান ঘেঁটে ঘেঁটে দেখলাম যে আমাদের নিয়তি আল্লাহ্ আগেই নির্ধারিত করে দিয়েছেন। কে স্বর্গে যাবে, কে নরকে যাবে সেতো আল্লাহ্ বহু পুর্বেই ঠিক করেছেন। যুক্তিযুক্ত কারনে তাই বলা যায় যে প্রার্থনা করে কিইবা হবে? আমি যখন এই প্রশ্ন ধর্মপ্রান মুসল্লীদের করলাম তখন ওরা আমার প্রতি ভীষন ক্রদ্ব হয়ে গেল। ওরা আমাকে জিজ্ঞাসা করল আমি পুর্বথেকে কেমন করে জানি আমার স্থান কোথায়—স্বর্গে না নরকে? আমি উত্তর দিলাম যেহেতু আল্লাহ্ আমাদের সবার পরিনতি আগেই ঠিক করে দিয়েছেন কাজেই নামাজ পড়া আর না পড়া কোন পার্থক্য আনবেনা। ওরা আমাকে বিকৃতমস্তিষ্ক ঠিক করল কারন আমি আল্লাহ্র ব্যাপারে সন্দেহ করেছি।
এই ভাবেই আমার ইসলামের প্রতি ঘৃণার শুরু। কিন্তু সৌদি আরবে আমি হলাম অসহায়। আমি যে সমাজে বাস করি সেখানে খোলাখুলি ভাবে বে-ইসলামি কিছু করা যাবেনা।
১৯৯৯ সালে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং কিছুদিন পরে মারা যান। এই ঘটনা আমার জীবনের মোড় পরিবর্তন করে দেয়। আমি চিন্তা করে বুঝলাম আমরা মুসলিমরা কোন ক্রমেই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতি নই। অন্যান্যদের মতো আমরাও পীড়িত হই এবং সময়ের সাথে আমরাও মারা যাই। আমি এটাও বুঝলাম যে পরিশ্রমী হলে আমরাও উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারি। আর তা যদি না করি তবে আমাদের পশ্চাদপদতা একেবার সুনিশ্চিত। ‘আল্লাহ্র ইচ্ছা’ বলতে কিছুই নাই। মুসলিমদের বিশেষ স্থানের দাবি নিতান্তই হাস্যকর।
আজ আমি যখন ইসলামি বিশ্বের প্রতি তাকাই শুধুই দেখি চরম অন্যায়, অবিচার এবং নারী ও কাফেরদের প্রতি অসীম বৈষম্যমূলক আচরন আর নগ্ন ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। ইসলামি জগতে সীমাহীন অরাজকাতা ও দূর্নিতির কথা নাই বা বললাম।আমরা পরিষ্কার দেখি যে ইসলামি বিশ্ব এক গভীর সমস্যায় নিমজ্জিত।
আমি নিজেকেই প্রশ্ন করি: “ইসলামি বিশ্বের এই অসীম দূর্গতির কারন কি?” আমি আবার নিজেই বিশ্বাসযোগ্য উত্তর পাই—সেটা হল ইসলাম। আমি এখন সন্দেহাতীত যে ইসলাম হচ্ছে একটা অর্থহীন, মূঢ় এবং ভূল ধর্ম।
দুঃখের বিষয় হল: ইসলামের প্রতি আমার ঘৃনা বৃদ্ধি সত্তেও আমি ইসলামকে তখন আমার জীবন হতে বিতাড়িত করতে পারি নাই। মনের গভিরে আমি চিন্তা করতাম যে ইসলাম এত খারাপ হতে পারেনা—হয়তবা সমস্যা টা মুসলিমদের—ইসলামের নয়।
কিন্তু ৯/১১-এ আমি যা দেখলাম সেতো ইসলামের প্রকৃত রূপ। কোথায় এর প্রতিবাদ হবে না না – আমি বিস্মিত হয়ে আমাদের এখানকার লোকদের মুখে দেখলাম হাসি এবং সুখের ছায়া। এত সহজেই অগুনতি কাফের মেরে ফেলা যাবে সেটা তখন চিন্তাই করা যায়নি।আমি অসীম বেদনার সাথে লক্ষ্য করলাম আমার লোকদের উল্লাস—যেহেতু এত বেশী নিরীহ কাফের মারা গেছে। আমি দেখলাম প্রচুর মুসলিম আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানাল এই নির্দয় হত্যাকান্ডের জন্য। এই সব ইসলামি জনগণ ভাবে যে আল্লাহ্ মুসলিমদের কামনা বাসনা পরিপূর্ন করেছেন। এই ভাবেই বুঝি শুরু হল জগৎ জুড়ে কাফের ধ্বংসের খেলা।
কিন্তু আমার নিকট এ সব ছিল নিতান্তই অমানবিক আচরণ।
এর কিছুদিন পর আমাদের ইমাম আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা শুরু করলেন তালিবানদের বিজয়ের জন্য—মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে।আমি নিতান্তই ক্রুদ্ধ হয়ে নামাজ পড়া ছেড়ে দিলাম।
২০০৪ সালে আমার এক পাকিস্তানি ম্যানেজারের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হয়। আমার বিশ্বাস উনি ইসলামের উপর খাপ্পা এবং সন্দিহান ছিলেন। উনার সংস্পর্শে আশার ফলে আমার মানবচেতনা ফিরে আসে। উনি আমাকে আশ্বাস দেন যে আমি বিকৃতমস্তিষ্ক নই। এর পর আমি মসজিদে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম, এবং রমজান মাসের রোজা রাখা হতে বিরত থাকলাম। গত বছর আমি একটি রোজাও রাখি নাই।
আমার জীবন হতে ইসলাম মুছে দেয়ার পর আমি না এখন কতই মুক্ত এবং সুখী বোধ করছি। নিজেকে আর আমি দোষী বা অপরাধী ভাবি না। আমি এখন কোন চিন্তা ছাড়া চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারি—গানও শুনতে পারি। আমার মনে হয় আমার যেন নতুন জন্ম হয়েছে—আমি এখন সর্বভাবে মুক্ত ও আমার যা ভাল লাগে তাই-ই করতে পারি।
আমি আশা রাখি ভবিষ্যতে আমি ভয়ংকর ইসলাম সম্বন্ধে অনেক কিছু লিখব।
আপানাদের ওয়েব সাইটকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি—এর কারনেই আমি আজ আর একাকি বোধ করিনা। এখন আমি সম্পুর্ন ভাবে নিশ্চিত আমি ভুল করি নাই।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছান্তে।
খালেদ
সৌদি আরব
জানুয়ারী ১৩, ২০০৬
(এটি খালেদ ওলিদের এর ২০০৬ সালের একটি ইমেইলের অনুবাদ, যেখানে তিনি হাল্কাভাবে ব্যক্ত করতে শুরু করেছিলেন তার ইসলাম ত্যাগ করার কারণগুলো। উনি যা যা লিখেছিলেন, সেটাই মুক্তমনার পাঠকদের জন্য অনুবাদ করার চেষ্টা করা হয়েছে। মূল লেখকের সকল বক্তব্যের জন্য অনুবাদক দায়ী নয়)।
তুমিকি জান হে খালিদ।। তোমার নামটি তোমার মা বাবা কার নামে মিলিয়ে রাখছিলো।।ফিরে এস ভাই শান্তির মোহনা ইসলামে।।
এ যেন আমার নিজের গল্প।৯/১১ এ আমি যখন বাংলাদেশের মুসলীমদের খুশী হতে দেখেছিলাম তখন মনে খুব দাগ কাটে।আজ জাকির নায়েকের বলে সেই হামলা নাকি বুশ করেছিল এবং তিনি নাবি এই কনসেপ্ট আদভানির থেকে নিয়েছেন।তাহলে আমার প্রশ্ন বুশের কাজে মুসলীমগণ এত খুশী হল কেন
আমার মনে হয় খালেদ ভাইকে আরো বেশি করে ইসলাম সমপর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মে এমনও মাযহাব রয়েছে তারা আপনার যুক্তিগুলিকে বিশ্বাস করে। এমন আল্লাহ্কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
খালদে যা লখিছে েতা একদম সত্য কথা।
আমি ধর্মে বিলিভ করিনা । কাউকে করতেও বলিনা।
কিন্তু গডে বিলিভ করি। কেন আমরা শুধু ইসলামের গন্ডি দিয়ে গডের অস্তিত্য বিচার করব? ইসলামের বিস্লেশনে কোন গড না থকলে কী আমরা মেনে নিব যে কোন গড নেই?
ইসলাম কোন মাপকাঠি হতে পারে না
আমি এই লেখাটা অনেক আগে পড়েছিলাম।মন্তব্য করা হয়নি। কেননা মন্তব্য করার মতন জবাব খুজে পাইনি। আমাদের অনেকের দাবী আবুল কাশেমের হাতে যে যাদু আছে অনেক লেখা আছে তার ইসলাম সম্পর্কিয় তা যেন বাংলায় প্রকাশিত হোক। তাহলে অনেক বাঙ্গালি উপকৃ্ত হবেন। যতদূর জানি এই লেখকের অনেক বই বিভিন্য ভাষায় অনূবাদ হয়েছে তবে বাংলা ভাষায় অনেক কম, নাই বললে চলে। এমন কেন হবে?
আমিও ধর্ম বিসর্জন দিয়েছি মুক্তমনায় পড়া ধরার পর।
[…] ডিসেম্বর মাসে খালেদ ওলিদের ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন…অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম খালেদ […]
মাহবুব সাঈদ মামুন এর জবাব:
উত্তরঃ
আমি বাংলাদেশ ছেড়েছি প্রায় ৩৮ বছর। তার পর চিঠি লেখা ও উত্তর দেওয়া ছাড়া আমার বাংলা তেমন ব্যাবহার নাই। সত্যি বলতে লিখিত বাংলা আমার একেবারেই নাই। এরপর গত ২৫ বছ্রর যাবত চিঠি পত্রও তেমন পাই না। কাজেই মৌখিক বাংলা ছাড়া আমার আর তেমন বাংলা চরচা নাই।
প্রকৃত ভাবে আমি বাংলা বর্নমালাও ভুলতে বসেছি। আভিজিতের অনুরধে আমি অভ্র ব্যবহার শিখার পর এখন আমাকে নতুন করে লিখিত বাংলা শিখতে হচ্ছে। আপনি আমার বাংলা ঝরঝরে পেয়েছেন জেনে আমি আনন্দিত।
আবুল কাশেম
@আবুল কাশেম ভাই,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে কষ্ট করে হলেও আমার প্রশ্নের উত্তরটি দিয়েছেন।আর এখন বুঝতে পারলাম কেন এবং কোথায় আপনার সমস্যা ছিল।সব কিছুর পরে এখন যখন বাংলা শিখেই গেছেন তখন আরো বেশী বেশী করে আপনার লেখা মুক্ত-মনায় পেতে চাই।
ভালো ও সুস্হ্য থাকুন ।
মামুন।
”পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্মোহন হচ্ছে ধর্ম, আর সবচেয়ে বেশি সম্মোহিত জাতি হচ্ছে মুসলিম জাতি।”
লেখাটি পড়ে এই কথাটি আবার মনে পড়ে গেল।
এখন ব্লগে কেউ থাকলে প্লিজ হেল্প করুন। কোন প্রবন্ধে কোন লাইনের কোনায় উপরে১,২ দিয়ে মার্ক করে নিচে কিভাবে তার রেফারেন্স দিতে হয় যাতে উপরের সংখ্যায় ক্লিক করলে নিচের রেফারেন্স দেখাবে?
আমি উইকির জন্য লিখছি। একই পোস্ট এখানেও দেব।প্লিজ হেল্প!
@তানভী,
অফ টপিকের জন্য দুঃখিত। সাহায্য পাওয়া গেছে।
আবুল কাশেম বলেছেন, অভ্র ব্যবহার করে মুক্তমনার জন্য এটাই প্রথম বাংলা প্রবন্ধ। তিনি এর আগেও আমাদের সাইটে লিখেছেন, সবই ইংরেজীতে (এর মধ্যে একটি লেখা অবশ্য এর আগে এক ভদ্রলোক বাংলাইয় অনুবাদ করেছিলেন ‘খেলারাম’ নামে)। বাংলায় প্রথম লেখা হিসেবে প্রবন্ধটি নিঃসন্দেহে উৎরে গেছে।
তবে আমার কাছে লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে অন্য কারণে। সাধারণতঃ ইসলামের সমালোচনা যারা করেন, তাদের সম্বন্ধে ঢালাওভাবে বলে দেয়া হয় যে, তারা আরবী জানেন না; তারা নাকি কেবল অনুবাদ দেখে সমালোচনা করেন। খালেদের মাতৃভূমি তো সৌদি আরব। তার ক্ষেত্রে নিশ্চয় আরবী না জানার, কিংবা কোরাণ না বুঝে পড়ার অভিযোগগুলো নিশ্চয় ধোপে টিকবে না।
আসলে আমার ক্ষেত্রে সব সময়ই ব্যাপারটা উলটো মনে হয়। কেউ যদি ধর্মগ্রন্থগুলো একটু বুঝে পড়েন, তা হলে এগুলোতে বিদ্যমান অমানবিকতা, অবৈজ্ঞানিকতা কিংবা নির্বুদ্ধিতার ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
এ ধরণের লেখাগুলো আরো বেশি করে অনুবাদ করা প্রয়োজন। আমাদের সাইটে শবনম নাদিয়ার একটি চমৎকার লেখা আছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে – Why I Remain an Atheist. কেউ কি উদ্যোগী হয়ে এটার বাংলা করবেন?
সৈকত, তোমারো তো একটা টেস্টিমনি আছে বোধ হয় নেটে, ইংরেজীতে। ওটার বাংলা কিন্তু তুমি করতে পার।
@অভিজিৎ,
জাহিদ রাসেল নাকি জাজিদ আহমেদ কার যেন একটা এ জাতীয় ইংরেজী টেষ্টিমোনী দেখেছিলাম বহু আগের।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা জাহেদ আহমেদের। My Experience With Islam – An apostate’s testimony
ভুলেই গিয়েছিলাম ওটার কথা! জাহেদ যে কেন আর ইদানিং লিখছে না কে জানে…
কাশেম ভাইকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব ভেবে পাচ্ছি না। অনেক আগ থেকেই আমি আপনার ভক্ত। আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে মুখস্ত করে ফেলতে ইচ্ছে হয়।
আশা করি আপনি নিয়মিত এখানে বাংলায় লিখবেন এবং এধরনের আরো অনুবাদ উপহার দিবেন। :rose2: :rose2: :rose2:
@সৈকত চৌধুরী,
আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ।
আজ ৩৭ বছর পর আবার বাংলা শিখতে হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে, তবে আনন্দও পাচ্ছি।
এই সব কিছু শম্ভব হয়েছে অভিজিতের জন্য। তাকে আমার অকুন্ট ধন্যবাদ।
Ruth Hurmence Green বলেছিলেন: I am fond of saying that reading the Bible turned me into an atheist.
Preface to The Born-Again Skeptic’s Guide To The Bible, quoted from Annie Laurie Gaylor, ed, Women Without Superstition, p. 469
ভালো লাগলো খুব। খালেদের আরও লেখা পড়ার ইচ্ছে থাকলো।
মনে করেছিলাম অনেক কিছু লিখবো। কিন্তু বু্দ্ধিজীবীদের পোস্টে ঐ পত্রিকা পড়ে আর কিছু লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
যাই হোক, সুন্দর পোস্ট। ঝরঝরে অনুবাদ।
:yes: :yes: :yes:
আবুল কাশেম ভাই ,আমি আপনার একজন গুণমগ্ধ পাঠক।আপনার লেখাগুলো আমাকে সত্যের সন্ধানে ,আলোর পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে। এই লেখার ভদ্রলোকের মত একই রকমের সমস্যা আমরা বাংলাদেশে face করছি। আশা করছি বাংলায় এধরনের আরও লেখা পাব। ধন্যবাদ
@himubrown,
আমি আপনার মন্তব্য জেনে অভিভূত হলাম। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনা যে আমার লেখা কাউকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। ইসলামি বিশ্বে আমিতো সবচাইতে ঘৃণিত ব্যক্তি।
ইসলামের সমালোচনা করা সহ্জ কথা নয়।
@আবুল কাশেম, আপনার জবাব এই মাত্র পড়লাম। পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আপনি ঘৃণিত ব্যক্তি হতে যাবেন কেন?সত্য প্রকাশের জন্য?মিথ্যার বেড়াজাল থেকে মানুষ কে সত্যের সন্ধান দেয়ার জন্য?সত্য কে যারা ভালবাসে তাদের কাছে অবশ্যই আপনি পূজণীয় বরণীয়। আমার কথা বলতে পারি যে, কট্টর ইসলামী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করলেও আরজ আলী মাতুব্বরের বই ধর্মের ব্যাপারে সংশয়বাদী হয়েছি, আপনার এবংমি. আকাশ মালিক -এর বই পড়ে সত্যের সন্ধান পেয়েছি এবং অভিজিৎ দা এবং বন্যা আহমেদ এর বই আমাকে বিজ্ঞান মনস্ক হতে সাহায্য করেছে। এখন নিজেকে একজন মানুষ ভাবি ,মুসলমান নয়। কোনো ঈশ্বরের অধীন নই আমি,আমার মালিক আমি নিজে।নিজেকে এভাবে নতুন করে চিনতে পারার পিছনে আপনাদের লেখার অবদান অপরিসীম। ধন্যবাদ।
এটাই কিন্তু আসল কথা। এটিই যদি মুসলমানরা বুঝতো। আমাদের দেশের অধিকাংশই কোরানের অনুবাদ কখনো পড়ে দেখে না। অনেকে আবার পড়ে না ভয়ে। অথচ পড়লে কোরানের মাঝে শান্তির বানী খুব কমই খুঁজে পেতেন।
@আমি আশা রাখি ভবিষ্যতে আমি ভয়ংকর ইসলাম সম্বন্ধে অনেক কিছু লিখব। 😀 :yes:
আশায় থাকলাম খালেদ ওলিদের ভয়ংকর ইসলাম জানার জন্য আর অন্যদিকে হুইন্না মুসলামদের এ ব্যাপারে কি কি প্রতি্ক্রিয়া আসে দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
লেখক কে অনেক ধন্যবাদ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
প্রুচুর ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করছি শীঘ্র খালেদের লেখা অনুবাদ করব।
আজ প্রায় ৩৭ বছর পরে আমাকে আবার নতুন করে বাংল শিখতে হচ্ছে।কষ্ট হচ্ছে তবে আনন্দও পাচ্ছি।
@Abul Kasem,
আজ প্রায় ৩৭ বছর পরে আমাকে আবার নতুন করে বাংল শিখতে হচ্ছে।কষ্ট হচ্ছে তবে আনন্দও পাচ্ছি।
UN:F [1.4.6_730]
কাসেম ভাই, আপনি তো বাংগালী,লেখেনও কি চমৎকার ঝরঝরে বাংলা, কেন আপনাকে ৩৭ বছর পর আবার————— প্রশ্নটির উত্তর জানালে বাধিত হবো যদি মনে করেন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ আমার প্রথম বাংলা রচনা পড়ার জন্য।
এটা অপ্রিয় হলেও সত্য। ছোটবেলায় দেখেছি বন্ধুদের মধ্যে না বুঝে কুরান খতম দেবার অসুস্থ প্রতিযোগীতা। এখনো কিছু মানুষ ভাবে যেন আরবি কিছু শব্দ একটি দিয়ে একটি সিড়ি তৈরী করবে ও মৃত্যুর পর সে সিড়ি বেয়ে পৌছে যাবে স্বর্গের দরজায়। ধর্মের কোনো ব্যাপার হয়তো তার এক মূহুর্তে খারাপ লাগে কিন্তু সে চিন্তা সে মাথায় স্থান দিতেও ভয় পায়, ভাবে বুঝি ঈমান গেল।