হোমিওপ্যাথি কতটা বিজ্ঞানসম্মত?
সুমিত্রা পদ্মনাভন
২০০৭- এ বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ একটি বিশেষ প্রতিবেদন বেরিয়েছে যাতে লেখক জে. গাইল্স হ্যানিম্যানের হোমিও চিকিৎসার মূল পদ্ধতিকে ‘অপবিজ্ঞান’ আখ্যা দিয়েছেন। প্রথমত, ‘বিষে বিষক্ষয়’ জাতীয় উপায়ে রোগ সারানো অর্থাৎ রোগকে বাড়িয়ে তুলে তারপর সারানোর যে কথা হোমিও ডাক্তাররা বলে থাকেন, তাকে ভিত্তিহীন বলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যেভাবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হয়; বারবার জলে বা স্পিরিটে দ্রবীভূত করে ঝাঁকিয়ে, তার থেকে দশভাগ নিয়ে আবার সেটাকে আরও তরল করে তারপর আবার…আবারও…এভাবে আরও দশবারÑতাও অর্থহীন। কারণ এভাবে বার চব্বিশেক তরলীকরণের পরে ওষুধের গুণসম্পন্ন একটি অণুও অবশিষ্ট থাকতে পারে না সেই দ্রবণে। কিন্তু আমরা দেখছি তারপরও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাপদ্ধতি দিব্যি পসার জমিয়ে চলেছে। অন্তত আমাদের দেশে।
যুক্তিবাদীদের কছে অনেকবারই প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘আপনারা হোমিওপ্যাথি নিয়ে কী বলেন? এটাকে কি বিজ্ঞান বলবেন? কেন এ বিষয়ে আপনারা নীরব?’ আমাদের উত্তর ছিল : ‘এখনও তেমন পড়াশোনা করা হয়নি বিষয়টা নিয়ে।’ আমরা নিজেরাও তো দেখেছি মা, বাবাকে, দিদিমা-ঠাকুরমাকে; ছোট্ট ছোট্ট গুলি বা পুরিয়া খেয়ে দিব্যি সেরে উঠতে। কারুর জ্বর, সর্দি ভালো হয়েছে তো কারুর বাচ্চার তোতলামি সেরেছে। আবার কারুর দিদার হাতের আঁচিলের মতো গুটি একেবারে মিলিয়ে গেছে। আমরা জানি না, ওষুধ না খেলে ওগুলো নিজে নিজে সারত কিনা। বা কেউ মিষ্টি গুলি ছাড়াও বাচ্চাকে কাশির সিরাপ, জ্বরের ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন কিনা। তবে আমরা দেখেছি এমার্জেন্সি হলেÑযেমন হঠাৎ ধুম জ্বর, মাথা ফাটা, পা ভাঙা ইত্যাদিতে কেউ হোমিওপ্যাথি করার কথা মুখেও আনেন না। তাই আমরা এ ব্যাপারে অনেকটাই চোখ বুজে ছিলাম।
বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় রচনা দেখেছি হোমিও চিকিৎসার পক্ষে। ইংরেজি রিডার্স ডাইজেস্টের মতো পত্রিকাও একবার লিখেছিল, পশুদের ওপর হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। অর্থাৎ এটা ‘প্লাসিবো চিকিৎসা’ হতে পারে না। গরুর পায়ে মাদুলি বাঁধার কথা ভেবেছেন কি কেউ? না, কারণÑ‘বিশ্বাসের ব্যাপার’ পশুদের বেলায় খাটে না। কিন্তু এখন দেখছি এটাও অপপ্রচার ছিল।
২০০৫ সালে টেলার নামে এক বিজ্ঞানীর লেখা হতে জানা গেছে, ‘পশুর উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করে হোমিওপ্যাথি ওষুধের কোনও প্রভাব পাওয়া যায়নি।’ অর্থাৎ আগের খবরটা নেহাতই গল্প ছিল, কোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়াই মুখে মুখে ছড়ানো হয়েছিল। আজ হতে বহু বছর আগে মজার পরীক্ষা করেন রবার্টস নামে এক বিজ্ঞানী যা ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশ হয় ১৯০৯ সালে। পরীক্ষাটা এরকম : দুটো প্রচলিত কড়া হোমিওপ্যাথি ওষুধ নেওয়া হল। একটি ন্যাট্রিয়াম মিউরিয়েটিকাম থার্টি সি, আরেকটা সালফার থার্টি সি। হোমিওপ্যাথ ডাক্তারদের দৃষ্টিতে দুটোই খুব জবরদস্ত ওষুধ। দুটো ওষুধকে যথারীতি দ্রবীভূত করা হল। হোমিওপ্যাথের ওষুধ তৈরির পদ্ধতি অনুসরণ করে পোটেন্সি বা ওষধিগুণ বাড়ানোর জন্য যেভাবে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বারবার দ্রবণ তৈরি করা হয়, তা করা হল। এরপর একজন প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে দ্রবণ দু’টি দেওয়া হল। তিনি পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ক্লিনিকাল টেস্টÑযাবতীয় পদ্ধতি প্রয়োগ করেও দুটো ওষুধকে আলাদা করে চিনতে পারলেন না। অর্থাৎ একটাকে আরেকটার থেকে আলাদা করে কোনটা সালফার আর কোনটা ন্যাট্রিয়াম বুঝতে পারলেন না। তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি দুটোই এক। কোনওটাতেই আর ওষুধের অণুমাত্রও নেই। তাহলে কী আছে? কোন দাওয়াইটা কাজ করে শরীরের ওপর ?
আমরা মনে করতেই পারি কোনওটাই না। শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ‘ওষুধ খাচ্ছি’ এই মানসিক সাস্ত¡না, আর ধৈর্য ধরে ক’দিন অপেক্ষা করা। এর সবকটাই সম্ভত হোমিওপ্যাথি ওষুধের আপাত সাফল্যের কারণ। অনেক অসুখ, যেমন সর্দি-কাশি, অর্শ বা বাতের ব্যথা ইত্যাদি নিজে থেকেই বাড়ে, কমেÑসেরেও যায়।
এক সময় মনে করা হত জলে মেশানোর পর দ্রবণে মূল পদার্থ কণা কমতে কমতে যখন একটি অণুও থাকে না; তখনও জলে তার ‘স্মৃতিটুকু’ থাকে। আর এই স্মৃতিই মারাত্মকরকম ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু নাহ্! এই থিওরিও নাকচ হয়ে গেছে। ২০০৫-এ নতুন একরকমের স্পেকট্রোস্কোপিক পদ্ধতির সাহায্যে দেখানো হয়েছে যে ‘স্মৃতি’ বা যেটুকু ‘রেশ’ থাকে জলে দ্রবীভূত পদার্থের একটিও অণু না থাকার থাকার পরে সেটিও মুছে যায় ‘এক ফেমটো সেকেন্ড’-এর মধ্যে (ফেমটোসেকেন্ড হলো ১০-১৫ সেকেন্ড)। কাজেই সেই ‘মারাত্মক’ ক্ষমতাকে বোতলবন্দি করে ধরে রাখার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।
সাইলেসিয়া ২০০ খেলে শোনা যায় গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা গলে যায়। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষ সাইলেসিয়া ২০০ ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষণের উদ্দেশ্যে কাঁচের প্লেটে সাইলেসিয়া ২০০ নিয়ে তাতে দিনের পর দিন মাছের একটা ছোট্ট কাঁটা ডুবিয়ে রেখে দেখেছিলেন- কাঁটা যেমনকে তেমনই রইল!
আমরা বলতেই পারি হোমিওপ্যাথি একটি লুপ্ত বিজ্ঞান- যদি বা তা আদৌ কোনওদিন বিজ্ঞান বলে পরিগণিত হয়ে থাকত, আজ সেই ভুল ভেঙে গেছে। তার একটা বড় কারণ প্রায় দুশো বছর ধরে এই বিজ্ঞান স্থবির হয়ে রয়েছে। এটা নিয়ে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। যা হয়েছে তাতে বরং পুরনো ধারণাগুলো ভুলই প্রমাণিত হয়েছে।
পুরনো জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়া বিজ্ঞানের ধর্ম। যখন আর এগোনো যাচ্ছে না, তখন বুঝতে হবেÑআর এগোনোর মতো বা ধারণাগুলোকে প্রমাণ করার মতো কোনও তথ্য নেই, কোনও তত্ত্ব তাই খাড়া করা যাচ্ছে না। তখন বিজ্ঞানের ধারাটির সেখানেই মৃত্যু ঘটে। যেমন ঘটেছে জ্যোতিষ নামক বিদ্যার।
জার্মানির ক্যাসেল ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞান বিভাগের কুটশেরা নামে এক স্কলার মজা করে বলেছেন, আজ যদি হ্যানিম্যান আধুনিক যুগের হোমিওপ্যাতি পরীক্ষায় বসেন, ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করে যাবেন, কারণ তিনি তখন যা জানতেন, এখনও তার উপর আর নতুন কোন সংযোজন হয়নি। কিন্তু চার্লস ডারউন যদি বিবর্তনবাদ নিয়ে পরীক্ষায় বসেন, ডাহা ফেল করবেন। এখন তার চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ উবংপবহঃ রিঃয গড়ফরভরপধঃরড়হ নু ঘধঃঁৎধষ ংবষবপঃরড়হ ধারণাটা আরও গতি পেয়েছে, আরও উন্নত আরও জটিল হয়েছে। ডারউইন সাহেব সব প্রশ্ন বুঝতেই পারবেন না, কারণ নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক শব্দগুলোই তাঁর অজানা ঠেকবে। তা সত্ত্বেও ডারউইন তাঁর সময়ে যা প্রমাণ করেছিলেন ও প্রশ্ন তুলেছিলেন তা মানবসমাজের সামনে জ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল, তিনি পথপ্রদর্শক হয়ে রয়েছেন বিজ্ঞানের এই নতুন শাখাটির।
‘হোমিওপ্যাথি’ বিষয় হিসাবে তাই বদ্ধ, স্থবির। “একটা ওষুধ যত কম দেবে তত বেশি কাজ হবে। এক্কেবারে না দিলে সবচেয়ে ভালো কাজ হবে।” এর থেকে হাস্যকার যুক্তি আর কী হতে পারে! তাই বিজ্ঞানের সিলেবাসে হোমিওপ্যাথির স্থান নেই। এরপরও হোমিওপ্যাথির সমর্থকরা এতো জটিল সব কথার অবতারণা করেন, যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণ-রসায়নের বাইরে না-কী ‘স্পিরিচুয়াল’ ‘এনার্জেটিক’ নামের শক্তি আছে, যদিও বিজ্ঞান কখনো এগুলোর অস্তিত্ব স্বীকার করে না।
সোজা কথায় যা বোঝায়, আমাদের সব দৈহিক শক্তির মূলে আছে সঠিক খাওয়া ও ব্যায়াম করা, আর প্রয়োজনে ঔষধ খাওয়া। এর জন্যে শরীরবিজ্ঞানকে জানতেই হবে; অন্য কোন শর্টকাট পথ নেই। এই শরীরবিজ্ঞানের আধুনিকতম প্রয়োগ আজকের এ্যালোপ্যাথি মেডিসিন। ২৫০ বছর আগের অবস্থা থেকে আমাদের জ্ঞান অনেক এগিয়েছে। এখন আমরা জানি শুধু ‘জল’ বা ‘অ্যালকোহল’ এমন কোনো ‘অলৌকিক’ শক্তি ধরে রাখতে পারে না, যা শরীরে কাজ করবে অথচ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ধরা পড়বে না। তাই হোমিওপ্যাথির গোড়াতেই গলদ রয়েছে।
‘স্পিরিচুয়াল স্পিরিট’ বা আত্মা বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই। তবু যদি স্পিরিট বলতে মন বুঝি বা মানসিক বলে কিছু ধরে নেই, তাহলে বলতে হয়, ঔষধ বা ডাক্তারে ওপর বিশ্বাস বা ভরসা। এটার অবশ্যই কিছু প্রভাব আছে। এটাই চরম অবস্থায় ‘প্ল্যাসিবো’ চিকিৎসা, যা মানসিক বা সাইকোসোমাটিক রোগ সারাতে পারে। আর শারীরিক অসুখের ক্ষেত্রেও ডাক্তার এর ওপর আস্থা অনেক কাজ করতে পারে। কিভাবে? ঠিকমত ডাক্তারের কথা মেনে চলা, ‘আমি সুস্থ হবোই’ এই প্রত্যয় থেকে সবরকম চেষ্টা করে যাওয়া ইত্যাদি কারণে। এর বেশি আর কোন ‘স্পিরিচুয়াল’ কাজ ঔষধ করতে পারে না।
এরপরও প্রশ্ন উঠতে পারে, তবু কেন এত মানুষ ‘হোমিওপ্যাথি’ ঔষধে ভরসা করে?
১. ডাক্তারকে সব জায়াগায় পাওয়া যায় না, বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে।
২. চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখানো বেশি খরচসাপেক্ষ ব্যাপার।
৩. ডাক্তার অনেক সময় বেশি ডোজের ঔষধ দিচ্ছেন, ভুল ঔষধ, কড়া বা অপ্রয়োজনীয় ঔষধ দিচ্ছেন।
তারচেয়ে হোমিও-তে- একদম বসে না থেকে কিছু চেষ্টা অন্তত করা হল। একথা ঠিক দুর্নীতিগ্রস্থ ডাক্তাররা ফার্মেসি বা ঔষধ কোম্পানি থেকে বেশি কমিশন পাবার আশায় অতিরিক্ত ঔষধ দিতে চান। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, খুব ভাল ডাক্তাররা খুব কম ঔষধ দেন। আমার মেয়ের চার বছর বয়সে এক অ্যালোপ্যাথ এর ওভারডোজ গ্রহণের ফলে সাংঘাতিক অসুস্থ হয়। হাম (সবধংষবং)-এর তেমন কোন ঔষধ নেই; কিন্তু আমার মেয়েকে যেই ডাক্তার দেখিয়েছিলাম তিনি এমন কড়া এন্টিবায়োটিক এডাল্ট ডোজ দিয়েছিলেন, যে বেচারার সারা মুখ-নাক-চোখে ঘা হয়ে গিয়েছিল বিষক্রিয়া থেকে। অন্য দেশে ডাক্তারদের এমন ভুল প্রেসক্রিপশন প্রদান করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। হোমিওপ্যাথি ঠিক এই জায়গাতেই ‘শূন্যস্থান পূরণ’ করছে।
আপনারা বাড়িতে চেষ্টা করে দেখুন- হোমিওপ্যাথি ঔষধের বদলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কটা মিচড়ির বা চিনির দানা আর জল খাওয়ানÑভালোই ফল পাবেন। কম ঔষধ আর সঠিক ডায়েট/পথ্যে ভরসা রাখুন। আর ডাক্তার (অ্যালোপ্যাথি)-এর ডিগ্রি না দেখে আগে মানুষ ভালো কি-না, আন্তরিকতা আর সেবার মানসিকতা নিয়ে রোগী দেখেন কি-না সে খোঁজ নিন।
মুক্তমনায় লেখকের অন্যান্য লেখা
মানুষের ধর্ম মানবতা :pdf:
স্বেচ্ছামৃত্যু (যুক্তি পত্রিকায় প্রকাশিত) :pdf:
আমরা যুক্তিবাদী
খুবই একপেশে লেখা।
অ্যালোপ্যাথী, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, যেটাই হোক না কেন সুস্থতাই আসল। এসব নিয়ে চুড়ান্ত বাদি অবস্থানের সুযোগ নেই।
সবচেয়ে কুযুক্তি হল চিনি আর পানি গুলে খাবার পরামর্শ।
যদি হোমিওপ্যাথি শুধুই চিনি আর পানির প্লাসিবো ইফেক্ট হয়, তবে মানুষের কিডনির পাথর কিভাবে হোমিওপ্যাথি খেয়ে ভাল হচ্ছে?
কিভাবে অপারেশন ছাড়া দীর্ঘদিনের টিউমার ভাল হচ্ছে?
ছোট বেলা থেকেই আমার ইনহেলেশন অ্যালার্জি ছিল, অ্যাজমায় প্রচন্ড কষ্ট পেতাম, সাইনুসাইটিস ছিল। বাইরে বের হলে সামান্য ধুলা উড়লেই কাশি হত মারাত্বক। সব ২০১৭ সাল থেকে ৬/৭ মাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেবার পর সম্পুর্ন ভাল হয়ে গেছে। আর কোন অ্যালোপ্যাথী অষুধই আমার খেতে হয় না গত ২/৩ বছর। এগুলো সবই কি প্লাসিবো? নাকি চিনি আর পানি গুলে একটু পর পর খেলেই এগুলো সেরে যেত?
সব অ্যাজমা আর অ্যালার্জির রোগিদের কেই না হয় চিনি আর পানি গুলে খেতে বলেন।
তবে এতে রোগি মারা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে কাজটা সম্পুর্ন নিজ দায়িত্বে করবেন।
ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছে এলোপ্যাথি ডাক্তার এবং তার সহযোগীরা। বুঝতে পারছি না এরা sulphur এর ন্যায় গভীর কোন ঔষধের উচ্চশক্তি তাদের দেহে অপপ্রয়োগ করতে চাইলে ভয়ে পালিয়ে যায় কেন? ঔষধে যদি কিছুই না থাকে তবে খেতে অসুবিধা কোথায়?
কোন সত্য সন্দ্বানী ন্যায় নিষ্ঠ ব্যক্তির পক্ষে হোমিওপ্যথিকে অবিশ্বাস করা অসম্ভব। কোটি কোটি মানুষ হোমিওপ্যথি ঔষধ খেয়ে সুস্থতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। বাস্তব এ সত্যকে স্বীকার না করে গুটি কতেক কল্পনাশ্রয়ী ব্যক্তির হোমিওর বিরুদ্বে মিথ্যা প্রচার জনগণ বিশ্বাস করবে না। এ সব মিথ্যুকরা যদি সত্যটা বুঝতে আন্তরিক হত তবেপ্রকৃত হোমিওপ্যাথের কাছে বুঝতে চাইত। বাংলার কোন শব্দের মর্মার্থ ব্যাখ্যা কি এটা বাঙালির কাছেই জানতে হবে ইংরেজদের কাছে নয়।
হোমিও নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নিছক একটি মুক্ত পাগলামি এ ছাড়া আর কিছুনা?
হোমিওপ্যাথিকে খুব বেশি হলে প্লাসিবো-র সম্মান দেয়া যায়! Placebo হচ্ছে এমন কিছু যেটা রোগী ঠিকই ওষুধ মনে করে খাচ্ছে, আসলে এর ভেতরে কিছু নেই। এর কার্যকারিতা মানসিক পর্যায়ে শুধু, অনেকটা রাশিচক্রের মতো।
সুমিত্রা পদ্মনাভন,আপনি কি করে এত বড় মিথ্যা কথাটা পোস্ট করলেন?হোমিওপ্যাথি সমন্ধ্যে আগে জানুন,তারপর লিখুন,অনেক রোগি এলোপ্যাথিতে ভাল হয়নি হোমিওতে ভাল হয়েছে এরকম অনেক উদাহরন আছে,আপনার লিখাটা হোমিও কাউন্সিল দেখেনি,নাহলে আপনার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিত,ভারতের অনেক বিখ্যাত হোমিও ডাক্তার একসময় এলোপ্যাথিক প্র্যাকটিস করতেন, তারাও প্রথমে হোমিও বিশ্বাস করতেন না,
********* উত্তরঃ *********
******************************************************************************************************************************************
খাটি জিনিসের সংস্করন প্রয়োজন হয় না। আপনি হয়তো দেশিও কোনো মেডিকেল পড়ুয়া student. না হলে এমন কোনো পোস্ট দিতেন না। আপনি কি জানেন সারা বিশ্বের এলোপ্যাথি ডাক্তারগন তাদের পারিবারিক ছোট খাটো চিকিৎসায় homeyopathy ব্যাবহার করে,তবে সেটা গোপোনে। আমি কোনো homeyopathy এর ছাত্র নই বা কোনো Doctor ও নই। তবে অনেকগুলো ড্রাম একসাথে মিশিয়ে খেয়ে দেখেছি তাতে action বা re-action কি হয়। “আপনার বিশ্বাস না হলে আপনিও CM ক্ষমতা সম্পন্ন ১০-১৫ টা ড্রাম একবারে ঝেড়ে দিন তারপর দেখেন কোনো action-reaction টের পান কিনা।” এ অভিজ্ঞতা আমার আছে। আপনার কিছু না হলে তারপর আমি বিশ্বাস করব যে HOMEYOPATHY কোনো ঔষধই না। বুঝলেন??????
আর হ্যানিম্যানের বিষয়ে কতটুকু জানেন আপনি? wi-ki তে সব পাবেন না,কারন অ্যালোপ্যাথির ব্যাবসা মন্দা যাওয়ার আশংকায় আপনার অনুরুপ মানুষিকতা সম্পন্ন কোনো উচ্চ পদস্থ লোক সেখান থেকে মুছে দিয়েছে। পারলে পিটার মরেলের লেখা হ্যানিম্যানের জীবন ইতিহাস সম্পর্কিত বইটি পড়ুন।
*******************************************************************************************************************************************
আপনার কথা মতে, একজন স্বভাবিক মানুষের মানসিক বিশ্বাসের কারনে হোমিও ওষধ খেয়ে সে সুস্থ হয়। ঠিক আছে মেনে নিলাম কিন্তু যে মানুষ স্ট্রোক করেছে, যার তাকানোর, কথা বলার কোন শক্তি নেই। এমনকি তাকে যখন কোন ঔষধ খাওয়ানো হয় টিউব দিয়ে নাকে মাধ্যমে এমন কি তাকে বলাও হয়না কি ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে। হোমাওপ্যাথি নাকি অন্য কিছু। এমন রোগীর ক্ষেত্রে আপনার মানসিক বিশ্বাস কাজ করে নাকি ঔষধ।
আমার আব্বার ক্ষেত্রে আমি নিজে দেখেছি। কোন কিছু না জেনে না পড়ে কিছু রেফারেন্স জোগাড় করে ব্লগে লিখে বিদ্যান হওয়া যায় না। তথা কথিত আধুনিক চিকিসা যেখানে ফেল সেখানে হোমিও তার যোগ্য পরিচয় দিয়েছে। আমি নিজে দেখেছি। আব্বার স্ট্রোকের পরে উনার বিভিন্ন সমস্যার কারনে হোমাও পড়া শুরু করি। একসময় আমিও আপনার মত হোমিওর বিপক্ষে যুক্তি দেখাতাম। এখন মনে প্রানে বিশ্বাস করি হোমিও ফেলানোর জিনিস না।
আমি একমত না লেখায় , আমার আলার্জি এর সমস্যা ব্যাপক , খুব এ কষ্টে ছিলাম হোমিও খেয়ে সুস্থ আছি বেশ কয়েক মাস , 🙂
এলোপ্যাথি তে যে ঔষুধে কাটা চলে যায় সেই ঔষুধে কাটা ডুবিয়ে দিয়ে দেখেন যায় কি না?
দারুন বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো দিয়েছে। আমি এই প্রশ্নটাই প্রবীর বাবুর জন্য খুজছিলাম। বড় পরীক্ষা করেছেন বেচার!!!
ফালতু একটা লিখা। আমার অনেক রোগ আলপথিক ডাক্তার রা ভাল করতে পারে নাই। কিন্তু হোমিও ডাক্তার রা এগুলা ভাল করছে। যেমন আমার একজিমা ছিল ২ বছর। আমি অনেক স্কিন স্পেশালিষ্ট দেখাইসি কিন্তু ওরা ভাল করতে পারে নাই। এর পড়ে ৩ মাস হোমিও খাবার পর ভাল হয়ে গেসি। সব চেয়ে ফালতু একটা লিখা।
ভাই দয়া করে ওষুধ টার নাম জানানো যাবে? আপনার মোবাইল নং দেওয়া যাবে?
অনেক কিছু বাস্তবে যা ঘটে, যা দেখি, যা অনুভুত হয়,বা অনেক ঘটনার উত্তর আজো নির্দিষ্ট নয়, বা প্রমানিত নয়। তার হাইপোথিসিস থাকে কিন্তু ১০০% নিশ্চিত প্রমানিত তা বলা কঠিন, এবং হাইপোথিসিস সঠিক হিসাবে মেনে নিই মাত্র। কয়েকটা কথায় প্রকাশ করলে হয়তো বোঝা যেতে পারে—– কমন কোল্ড বা সাধারন সর্দি,জ্বরে কম-বেশি সবাই ভুগি, এটা সাধারনত শীতের শুরু বা শীতের শেষে হয়।
কমন কোল্ড বা সাধারন সর্দি,জ্বরে ভুগছে এমন ১০ জনের সিমটম এনালাইসিস করুন, দেখবেন তাদের সিমটমের কতো পার্থক্য—
কেউ বলবে আমার পানি পিপাসা বেশি ছিলো কিন্তু এখন পানি পিপাশা পাচ্ছেই না :-X , কেউ বলবে আমার পানি পিপাসা এত বেশি হচ্ছে এবং প্রচুর ও অনেকটা করে পানি খাচ্ছি, কেউ বলবে আমার পানি পিপাসা এত বেশি হচ্ছে কিনতু ১-২ ঢোক এর বেশি খেতে পারছি না, কিনতু বারে বারে খাচ্ছি, কেউ বলবে আমার পানি পিপাসা খুব কম, কিনতু সর্দি হওয়ার পর পানি পিপাশা পাচ্ছে খুব :-s ???
শুধু ১টা সিমটমের উপর বললাম— কিন্তু কেন এই পার্থক্য?
হা হা হা :lotpot: আবারও ফারুক :lotpot: …
দেখলাম প্রথম আধা মিনিট এবং বিস্তারিত ভাবাভাবি করে প্রথম যেই উপসংহারে উপনীত হলাম সেটা হচ্ছে- আকাশ থেকে উড়ে এসে পর্যাপ্ত এক্সাপার্টিজের অনুপস্থিতিতে সম্পুর্ণ সারবক্তব্যবিহীন একটা শলতপটকা কথা বলে বিজয়ী সাজার চেষ্টাটাকে সম্ভবত স্মার্টনেস বলে না বলে জার্কগিরি। তবে ফারুকে জার্কগিরি ছাড়া অন্য কিছু করছে এইটা দেখলেই বরং আশ্চর্য হতাম।
৩০ শতাংশ হাসপাতালে আসার আগে, ত শতাংশ হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় এবং বাকী ৪০ শতাংশ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে পরবর্তীতে কোন না কোন সময় মারা যায়। ফারুকতো দেখা যাচ্ছে ঠিক কথা বলে ফেলতেসে সব! হি ইজ দা মেসাইয়াহ 😀
ফারুককে আমি কয়েকটা জিনিষপত্র উইকিপিডিয়া করতে বলবো, তাহলেই ফারুকের বুঝতে পারার কথা স্ট্রোক সেটিং এ মেডিকল সায়েন্সের কি করার আছে বা না আছে। এমনকি বানানও ইংরেজিতে লিখছি তার যেনো ডিকশনারি নিয়ে বসতে না হয়. ডিকশনারি নিয়ে বসে ফারুকে যেমন একদা স্যামন মাছের বাংলা করেছিলো সালমান মাছ (হা হা হা) সেইরকম কোন ঘটনার রিপিটেশন রোধই আমার আন্তরিক লক্ষ্য –
alteplase reteplase tenecteplase angisplasty thrombectomy hemicraniectomy
ফারুকের যুক্তিমতেতো তাইলে একজন গলগন্ড রোগীকে আয়োডিন দেওয়াটাও গলগন্ডের নিরাময় না; একইভাবে একজন প্যালেগ্রা রোগীকে নিয়াসিন দেওয়া, একজন স্কার্ভি রগীকে এস্কর্বিক এসিড দেওয়া, একজন ভের্নিকা-কর্সাকফ সিন্ড্রোম রোগীকে থিয়ামিন দেওয়া একটাও কোন নিরাময় নয়; এরা নিরাময় নয় কেননা এরা রোগীদের জীবন বাঁচায়। এইসমস্ত রোগীকে ফারুকের সাথে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত, ফারুক এদেরকে পানি দিয়ে ডাইলুট করা সালমান মাছের চচ্চড়ি খাওয়াবে এবং সেইটাকে আমরা বলবো সত্যিকারের নিরাময় :lotpot:
দেখুন ও ভাবুন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=VCnulshlVdQ&feature=endscreen&NR=1
@ফারুক,
দেখলাম আর ভাবলাম, কিন্তু হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে আমার অভিমত পাল্টাচ্ছে না, সরি।
মেডিকেল সায়েন্সের সফলতার একটা ইতিহাস আছে। সেটা আপনিও ভাল করে জানেন, আমরাও। একটা সময় ছিলো যখন পেনিসিলিন আবিস্কৃত হয়নি, গুটি বসন্তের কিংবা জলবসন্তের টিকা ছিলো না, তখন গ্রামকে গ্রাম উজার হয়ে যেত এ সমস্ত রোগে। ম্যালেরিয়া, কলেরা, ডিপথেরিয়া থেকে হাজার হাজার রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত করা হয়েছে মেডিকেল সায়েন্সের অগ্রগতির কারণেই। চিন্তা করে দেখুন – যে শিশুটা ডায়াবেটিস নিয়ে জন্মাচ্ছে সে শিশুটা কেবল একশ বছর আগে জন্মালে শৈশব পেরুতে না পেরুতেই কবরে চলে যেত, আজ ইনসুলিন সহ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করে তাকে কেবল বাঁচিয়ে রাখাই হচ্ছে না, সুস্থ সবলভাবে বেঁচে থাকার স্বাভাবিক গ্যারান্টি দিচ্ছে। যে লোকটা আজকে স্ট্রোক করে মৃত্যুপথযাত্রী, রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আছে – তাকে মুহূর্তের মধ্যেই ওপেন হার্ট সার্জারি করে বাঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। এগুলো আমরা চোখের সামনেই দেখছি।
বিগত পঞ্চাশ ষাট বছরের ইতিহাসের দিকেই তাকান। আজকে সারা পৃথিবীতেই জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার এত কমে গেছে – এটার কারণ মেডিকেল সায়েন্সের সিস্টেমেটিক কন্ট্রিবিউশন, কোন ঝাড় ফুঁক, হোমিওপ্যাথি, বা এ ধরণের অলটারনেটিভ মেডিসিনের কল্যাণে নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে রিসার্চাররা টার্গেট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঔষধ তৈরি করে- যেখানে স্পেসিফিক অনুর সাথে ড্রাগ অ্যাগোনিস্ট বা এন্টাগোনিস্ট হিসেবে বন্ধন করতে পারে। এর পেছনে কেমিস্ট্রি, বায়োকেমস্ট্রি, এনাটমি, মলিকিউলার বায়োলজির খুঁটিনাটি জ্ঞান লাগে, এটা কোন পাচশ বালতি পানিতে এক পুরিয়া চিনির দানা মিশিয়ে বিলিয়ন বার ঘুটা দেওয়া নয়। হ্যা – ক্যান্সার জাতীয় কিছু রোগের ক্ষেত্রে মেডিকেল সায়েন্স এখনো শেষ উত্তর দিতে পারেনি বটে, কিন্তু প্রথামিক অবস্থায় ধরা পড়লে ক্যান্সার বহু ক্ষেত্রেই সেটা নিরাময় করা যায় এবং যাচ্ছে; আমাদের জানার পরিধি বাড়ছে দ্রুত। আর ভিডিওতে বললেই হল নাকি, ইন্ডিয়ার এক ডাক্তারের ক্যান্সার থেকে নিরাময়ের হার আশিভাগ? ইন্ডিয়ায় তো সেই আদিকাল থেকে আয়ুর্বেদ , হোমিওপ্যাথ প্রভৃতির চর্চা চলে আসছে, কি পরিমাণ লোক তারপরেও ক্যান্সারে মারা যায় জানেন? আমি আপনাকে বহু ইন্ডিয়ান সাইটের লিঙ্ক দিতে পারি – যেখানকার এলোপ্যাথি ডাক্তারেরা মনে করেন এগুলো আসলে বুজরুকি। ফাঁক ফোকর খুঁজে ঝোপ বুঝে কোপ মারলেই ত হল না।
যেখানে দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে সঠিক চিকিৎসা পোঁছুচ্ছে না, সেখানে আপনার মত লোকেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানকে দূরে ঠেলে দিয়ে অপচিকিৎসা আর কুসংস্কারকে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেবার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এটা শুধু হাস্যকরই নয়, রীতিমত বিপজ্জনকও বটে।
@অভিজিৎ,
@অভিজিৎ,
না না , সরি হওয়ার কিছু নেই। আপনার অভিমত এত সহজে পাল্টালেই বরং আশ্চর্য হতাম!
মেডিকেল সায়েন্সের সফলতার যে ইতিহাস শোনালেন , তা থেকে ১৯২৮ সালে ফ্লেমিং আবিষ্কৃত পেনিসিলিন ও পরবর্তি সকল এন্টিবায়োটিক এবং সার্জনদের ভূমিকাকে সমিকরন থেকে বাদ দিন , তাহলে মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে গর্ব করার জন্য খুব বেশি কিছু আর অবশিষ্ট থাকবে না।
আপনার জানায় ভুল আছে। কোন ধরনের স্ট্রোকের জন্যই ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় না। আসলে স্ট্রোকে ডাক্তারদের খুব বেশি কিছু করার নেই। লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয় বা বলতে পারেন শ্বাস নিতে সাহায্য করা , ইন্ট্রাভেনাস খাদ্য দেয়া ,ঘন্টায় ঘন্টায় পাশ ফিরে শোয়ানো যাতে বেডসোর না হয় ইত্যাদি। জানেন কি , হার্ট স্ট্রোকের ৩০শতাংশ রোগী হাসপাতালে আসার আগেই মারা যায় এবং ৩০ শতাংশ ডাক্তারদের চিকিৎসার ভুলে মারা যায়?
ডায়াবেটিস রোগীকে ইন্সুলিন দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয় , যাকে রিপ্লেসমেন্ট বা সাপোর্ট থেরাপি বলাই ভাল। একে কোন মতেই নিরাময় বলা যায় না।
আমার মতে হোমিও এটা কোন বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্দতি না। ধরুন এক জন পেটের আলসার এর রুগী ব্যথার ঔষধ নেয়ার পর পেটে ফুটো হয়ে গেল, রুগীকে দ্রুত হোমিও চিকিৎসকের নিকট নেয়া হল,হোমিও চিকিৎস তাকে কি চিকিৎসা দিবেন? হোমিও চিকিৎসক রা কি X-ray, MRI, CT scan, এই সকল আধুনিক যন্ত্র পাতির ফলাফল বোঝতে পারেন। ঊপরক্ত রুগী হোমিও চিকিৎসকের নিকট দুই দিন থাকলে রুগীর কি হতে পারে এক বার চিন্তা করুন। আবহমান কাল ধরে আমাদের সমাজে অচিকিৎসা,কুচিকিৎসা প্রচলিত আছে,দারিদ্রতা, শিক্ষা হীনতা এই এইসকল ব্যবশ্তা টিকিয়ে রাখে, আনেকেই উপকৃত হয় যতাটা না শরীরের তার চাইতে বেশী মনের। উন্নত বিশ্বে হোমিও চিকিৎসা পদ্দতি নাই বল্লেই চলে।
@হেলাল,
আমি যতবারই বলব হোমিওপ্যাথিতে কাজ করে আপনি ততবারি বলবেন হোমিওপ্যাথি কাজ করেনা।সুতরাং আপনাকে কিভাবে বুজাবো।তবে আপনার জন্য একটা সিস্টেম আছে আর তা হল হোমিওপ্যাথি ডাক্তাররা তাদের চিকিতসার জন্যে ১মে কেস টেকিং করে এবং তাতে তাদের একটা সিরিয়াল নাম্বার ও কন্টাক্ট নাম্বার থাকে। আমার পরিচিত এক ডাক্তার আছে তো আপনি যদি আগ্রহি হন তাহলে ওনার কাছ থেকে রোগীদের কন্টাক্ট নাম্বার নিয়ে আপনি নিজ দায়িত্বে যোগাযোগ করে দেকতে পারেন যে তারা উপকার পেয়েছে কিনা। কোন পেসেন্ট যদি উপকার না পায় তাহলে সে বার বার আসে না। ধোকা মানুষ একবারই খায়।
আপনার যেহেতু হোমিওপ্যাথিতে আল্যার্জি সেহেতু আপনাকে একটা বুদ্ধি দেই যে হোমিওপ্যাথি কাজ করে কি করে না তা দেখার। হোমিপ্যাথি হচ্ছে সিমটোম্যাটিক ট্রিটমেন্ট মানে হল যে মেডিসিন যে রোগের ওপর কাজ করবে সেই সুস্থ্য দেহে যদি কেউ সেই মেডিসিন সেবন করে তাহলে তা সেই রোগ সৃস্টি করতে সক্ষম। আপনি এক কাজ করেন কোন হোমিওপ্যাথি ফার্মাসী থেকে Rododendron 10M হাফ ড্রাম মেডিসিন কিনে নিয়ে আসুন তারপর ২ আউন্স এর একটি বোতলে এক বোতল distill water নিয়ে উক্ত মেডিসিন থেকে ২ ফোটা দিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ কর্ক মেডিসিন বোতলটাকে ১০বার ঝাকি দিয়ে ৭দিন সেবন করুন তারপর দেখুন কাজ করে কি করে না। সম্পুর্ন নিজ দায়িত্বে।
@ফাউল,
হাঃ হাঃ হ্যা এই অপদ্রব্য গিলবার ব্যাপারটা যিনি করবেন তার যে নিজ দায়িত্বেই করতে হবে, তা না বলে দিলেও চলবে। এনি ওয়ে, হোমিওপ্যাথি যদি কাজ করে, তাহলে ‘আপনার সেই পরিচিত ডাক্তারকে বলুন জার্নালে লেখা পাঠিয়ে কনভিন্স করতে। এনেকডোটাল এভিডেন্স যে বিজ্ঞানে গ্রহণযোগ্য নয়, বোধ হয় জানা আছে আপনার। কেউ হয়তো এসে দাবী করতে পারেন সাইদাবাদী হুজুরের পানি পড়াতেও তার রোগ ভাল হয়েছে, সাইদাবাদী হুজুরের কন্টাক্ট এড্রেস দিলে উপকৃত হয়েছে, এমন রোগীরও সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা বিজ্ঞান হয়ে উঠবে না যতক্ষন পর্যন্ত সেটা নিয়ন্ত্রনাধীন পরিবেশে রিপ্লিকেট করে দেখানো যায়। বলা বাহুল্য সেগুলো করা যায়নি বলেই বৈজ্ঞানিকভাবে হোমিওপ্যাথি পরিত্যক্ত হয়েছে। নেচারের মত জার্নালে হোমিওপ্যাথিকে অপবিজ্ঞান বলা হয়েছে যৌক্তিক কারণেই। আপনার অপছন্দ হলে আপনার পরিচিত ডাক্তারকে নেচারে রিবিউটাল পাঠাতে বলুন, কেমন?
আপনি আরো একটা কাজও আপনার পরিচিত ডাক্তারবাবুকে করতে বলতে পারেন। হোমিওপ্যাথিতে এত রোগ নির্মূল হয়ে যাচ্ছে, অথচ ওয়ার্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর মত শক্তিশালী সংগঠন কেন হোমিওপ্যাথিকে আপনার নামের মতোই ‘ফাউল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেটাও য়ামি বুঝতে পারছি না (হয়তো পশ্চিমা ষড়যন্ত্র হতে পারে) –
Homeopathy not a cure, says WHO
আপনার পরিচিত সেই ডাক্তারকে ওয়ার্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের রিপোর্টকেও রিফিউট করতে বলুন, তারপর না হয় আমাদের মত হোমিওপ্যাথে অবিশ্বাসীদের এইসব ছাইপাশ মেনে নিতে বলতে পারেন, কেমন?
[img]httpv://www.theatlantic.com/daily-dish/archive/2010/05/-weapons-of-mass-dilution/187472/[/img]
@ চরম ফাউল,
ঢাকা মেডিকেল এ ছিল অনেকদিন সেখান ডাক্তাররা নাকি পা কেটে ফেলার কথা বলেছিল তাই সে ওখান থেকে চলে এসেছে এবং তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে এখানে ভর্তি হয়েছে
ঠিকই বলেছেন। আমার এক গ্রামের আত্মীয়ের বেলায় একই ঘটনা ঘটে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে এবং শেষে আল-রাজি হাসপাতালে চিকিৎসা করে পা না কেটেই আজ প্রায় ১০ বছর যাবত ভাল আছে। আমার সেই আত্মীয়ের ধারনা ঢাকা মেডিক্যালে কোন রোগী পায়ের আর দাঁতের সমস্যার কথা বললেই ডাক্তার একটাই চিকিৎসা দিবে আর তা হলে কেটে ফেলে দেয়া। চাইলে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
মৌসুমি ( seasonal ) কাশি এমন এক রোগ, যার জন্য অনেক ডাক্তার ঔষধ খেতে বলেনা। কারণ খেলেও যা না খেলেও তা। কয়েকদিন পর এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। এখন আপনি ডাক্তারের কাছে যেয়ে এবং ঔষধ খেয়ে ঐ কয়েকদিন কিন্তু ঠিকই পার করেছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি পীরের পানি পড়া খেলেও ভাল হয়ে যেতেন।
তাছাড়া মসজিদের ইমাম, কবিরাজ বা খাজা বাবাদের মাধ্যমে উপকার হয় এমন দাবিদারদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
httpv://www.theatlantic.com/daily-dish/archive/2010/05/-weapons-of-mass-dilution/187472/
@ মোর্শেদ,
হোমিওপ্যথি বিঞ্জান নয় বিঞ্জানের চেয়েও আধূনিক তাই বলেই সূক্ষমাত্রা স্থুলু মস্তিকে এগুলো ঢুকবে না
আশাকরি আপনি শিক্ষিত একটু পড়াশুনা করেই মন্তব্য করবেন …..
অতি উচ্চ শিক্ষিত ও সূক্ষ্ম মস্তিষ্কের ভাইজান, আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইন থেকে-
হোমিওপ্যথি-হোমিওপ্যাথি, বিঞ্জান-বিজ্ঞান, বিঞ্জানের-বিজ্ঞানের, আধূনিক-আধুনিক, স্থুলু-স্থূল, মস্তিকে-মস্তিষ্কে,
ও আল্লাগো প্রথম লাইনেই এত বানান…..! আমাকে আল্যা প্যাঁক বাঁচাইছে আপনার মত অতি উচ্চ শিক্ষিত হয়নি, তা না হলে আমার বানানও আপনার মতই হইত।
আমি তো যুক্তি দিয়ে গুঁতা দিয়েছিলাম হোমিওপ্যাথি সিস্টেম কে এবং বাটপার হোমিও কবিরাজদের ( তাছাড়া সব হোমিও ডাক্তার যে বাটপারি করে তাও বলিনি) কিন্তু আপনার গায়ে জ্বালা ধরল কেন আর আমাকে কামড়াইতে আসলেন কেন বুঝলাম না? অবশ্য আপনি যদি হোমিওপ্যাথি কবিরাজ হন, তাহলে আপনার গায়ে চুলকানি ধরতেই পারে, এবং সেক্ষেত্রে লেখক এবং মন্তব্যকারীগন যে সকল যুক্তি দিয়েছেন তার পাল্টা যুক্তি দেয়াই শ্রেয় নয় কি?
আর যেহেতু আমাকে পড়াশুনা করতে বলেছেন, তাই হোমিও কবিরাজির পক্ষে কিছু আপডেটেড বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স দিয়ে এই মূর্খকে কিছু শিক্ষার আলো বিতরণ করুন।
😕
এতটা নিশ্চত ??
পরীক্ষাগারে আপনি বিশ্বাস বা ভালবাসা তৈরি করতে পারবেন না।
বিজ্ঞানের অবিভাজ্য পরমাণুও কিন্তু এখন বিভাজ্য! 😉
নিজের কথা কে বিজ্ঞানের কথা বলে চালিয়ে দেয়ার একটা প্রবণতা আজকাল ব্যাপক!
বিজ্ঞানের কথা আর বিজ্ঞানীর কথার মধ্যে যে একটা পার্থক্য বিদ্যমান, তা অনেক ক্ষেত্রেই উহ্য থেকে যায়। যা অনুচিত!
এরিস্টটলের সৌরজগৎ আর কেপলারের সৌরজগৎতের চিত্র দু’ই কিন্তু সময় ভেদে বিজ্ঞান!!
এতে কি আপনার খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে?? ডাক্তার ঔষধ সব কিন্তু রোগ মুক্তির লক্ষেই, রোগীর তো ভাই রোগ সারা নিয়ে কথা , গাদা গাদা ঔষধ খাওয়া টা উদ্দেশ্য না। আপনার কথামত যদি ধরেও নেই যে মানসিক সান্ত্বনা থেকেই রোগ ভাল হয়েগেছে, তাতে সমস্যা টা কোথায়?
কম মাত্রার ওষুধ সেবনে যদি রোগ ভাল হয় তাতেই বা সমস্যা কই? ক্ষুদ্র বলে তাকে উহ্য করাটা ভুল। অণু পরমাণু দেখিনা বলে এর কোন কর্মক্ষমতা নেই তা ক্যামনে বলি!
চিকিৎসকের অজ্ঞতা, তার ভুল ঔষধ নির্বাচন, ঔষধের ভেজাল উৎপাদনের কারনে সেই চিকিৎসা পদ্ধতিকেই বাতিক করে দিতে পারি না।
বাংলাদেশে বাবা কবিরাজ বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক থাকলে ছেলে ও বিনা ডিগ্রি তে চিকিৎসা শুরু করে দেন। তারা ও চিকিৎসক সেজে বসেন। আর এই শ্রেণীর অপচিকিৎসকদের কারনে এইসকল চিকিৎসা অপচিকিৎসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরছে।
হোমিওপ্যাথির সঠিক চিকিৎসায় যে অনেক অনেক রোগই ভাল হয় তা নিতান্তই দৈব ক্রমে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা হতে পারে না।
হোমিওপ্যাথি উন্নত ও সময় উপযোগী করে তোলা প্রয়োজন। হোমিওপ্যাথিক দের অনগ্রসরতা এবং ভুয়া চিকিৎসক দের ভুয়া ঔষধের প্রসারে একটি কার্যকর সহজলভ্য চিকিৎসা পদ্ধতি দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।
এ দেশে এখনো হোমিওপ্যাথির পসার আছে। শুধু গ্রামে নয়, অনেক শহুরে মানুষ এর উপর নির্ভরশীল। আসলে আমরা সত্যি যাচাই করি না এবং যাচাই করার খুব একটা সুজোগ পাই না। ফলে আদিম উদ্ভূত নানা কুসংষ্কার আজো বয়ে বেড়াচ্ছি উত্তারাধিকার সূত্রে। এই লেখার মাধ্যমে আমরা একটা সত্যকে চিনলাম এবং এ জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি…
সকলে জন্য শুভকামনা।।।
লেখাটি আমার প্রিয় পোষ্টে নিলাম।
আমাদের ফ্যামিলিতে হোমিও চিকিৎসার স্থান নাই। বাড়ির আশে পাশে বেশ কিছু হোমিও ঔষধালয় রয়েছে। এক ডাক্তারকে দেখেছি, তার নিজের অসুস্থতার জন্য এলোপেথিক ঔষধ খেতে।
এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলা পিডিয়াতে হোমিও সম্পর্কে লেখা আছে এভাবে-
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কখনই একান্তভাবে যাচাই করা হয়নি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অত্যন্ত অল্প মাত্রার ওষুধ ব্যবহৃত হয় এবং বহু বছর অসংখ্য ওপর এগুলির প্রয়োগ বস্তত ব্যবহার ও নিরাময়ের মধ্যে এক ধরনের কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে, আর এটিই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে প্রসার ঘটিয়েছে। ১৮২৫ সালে আমেরিকায় হোমিওপ্যথি চিকিৎসা শুরু হয় এবং নিরুৎসাহ করা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তা চালু আছে। উন্নয়নশীল দেশে এটি দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য অন্যতম প্রধান বিকল্প চিকিৎসা। ভারত উপমহাদেশে হোমিওপ্যাথি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিশ শতকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ইদানিং দেশের নগর ও শহরে আনুষ্ঠিক শিক্ষাদানের জন্য কয়েকটি হোমিও কলেজ প্রতিষ্ঠত হয়েছে। হোমিও ঔষধে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই। চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী সমাজে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গুরুত্ব না পেলেও পত্র পত্রিকা, এমন কি বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকীতেও মাঝে মাঝে তা উচ্চ প্রশংসিত হয়, যদিও এসব ঔষুধের সঠিন কার্যপ্রণালী আজও বহুলাংশেই অজ্ঞাত রয়েছে। ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক কারণে এবং দেশের ঐতিহ্যে আত্তীভূত বিধায় এই ধরনের চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ যথেষ্ঠ রয়েছে। অধিকতর উন্নয়নের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে ওঠার সুবাদে বহু উদ্যমী চিকিৎসক হোমিওপ্যাথির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। (সংক্ষেপিত)
হোমিও-র পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে মিষ্টি মধুর চাতুরীপূর্ণ কথা লিখেছেন প্রবণব বন্ধ্যোপাধ্যায় তার ‘আধুনিক চিকিৎসা’ নামে বইতে। বইটির ভূমিকা সাপ্তাহিক অমৃত, ৩১ আগস্ট ১৯৭৯ প্রকাশিত হয়েছিল। ভূমিকাটি লিখেছেন প্রশান্ত বন্ধ্যোপাধ্যায়। (বইটি কলিকাতা থেকে প্রকাশিত, ১৯৬৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ১৫ বার মুদ্রণ হয়েছে।) কিছু অংশ নিচে তুলে দিলাম।
আধুনিক বিজ্ঞানে চরম সত্য বলে কোন কথা নেই। কারণ বহু বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও দেখা যায় যে সিদ্ধান্ত এতদিন সম্পূর্ণ ভাবা হচ্ছিল তা হয়তো হয়তো অসম্পূর্ণ এবঙ তা হয়তো ত্রুটিমুক্ত নয়। বিজ্ঞানের কোন নিয়মই একেবারে নির্ভূল নয়। এমন কি নিউটনের গতিসূত্র যা নির্ভূল কিনা সে সম্পর্কে এতদিন সন্দেহের অবকাশ ছিল না, তাও আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। কে বলতে পারে যে অদূর ভবিষ্যতে আইনস্টাইনের মতবাদও পরিশোধিত হবে না? তাই বলে পদার্থ বিজ্ঞানী বা গণিতবিদ কিন্তু আইনস্টাইনকে দোষারোপ করবেন না, নিউটনের মত একজন প্রাচীন মনীষীর অসাধারণ বৈজ্ঞানিক সৃষ্টির পরিমার্জনার জন্য। পক্ষান্তরে তাঁরা নিউটনকে হেয় করবেন না তিনি তার যুগে বসে ভবিষ্যতের জ্ঞাত তথ্যগুলি সব অনুধাবন করতে পারেন নি বলে। এই বিশেষ দৃষ্টান্ত দিয়ে এই কথাটা জোর করে বলতে চাই যে, হ্যানেমানের আবিষ্কৃত তথ্য ও চিকিৎসাধারায় উত্তরকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যতি কিছু কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করতে হয়, তা হলে তা অবৈজ্ঞানিক হয়ে যায় না।
হোমিওপ্যাথি নিয়ে সকল তর্কে এই লেখাটা ব্যাবহার করি।
তাই এই লেখার লিংকা যক্ষের ধনের মতো মনে রাখি।
:yes:
এতকিছু করার দরকারটা কি? এক বালতি জলে এক ফোটা দিয়ে তারপর ইচ্ছামতো নাড়ালেই তো হয়ে যায়।
প্রত্যেকটা দ্রবণে দুই, চারটা বা দশটা অণু থাকলে রসায়ন , ক্লিনিক্যাল টেস্ট এগুলাতে কেমনে ধরা যাবে বলেন। উনার (হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কথা বলছি) ঘটে একটু বুদ্ধি থাকলেই রোগীর উপর টেস্ট করেই ধরে ফেলতে পারতেন, কোনটা ন্যাট্রিয়াম মিউরিয়েটিকাম থার্টি সি আর কোনটা সালফার থার্টি সি।
দয়া করে এটি যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন, 10-15 সেকেন্ড অণুর স্মৃতি টিকে থাকে এর মানে কি?
একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। শুধুমাত্র প্ল্যাসিবো চিকিৎসায় রোগী ভাল হলেতো , হোমিওপ্যাথি ডাক্তাররা আসলে একটা ওষুধই সবরোগের ক্ষেত্রে দিতে পারতেন। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি তারা বিভিন্ন রোগের জন্য যে রাসায়নিকগুলো প্রয়োগ করতে হবে তা কি প্রথমে আন্দাজে নির্বাচন করেছিলেন?
কি বিচিত্র এই বিজ্ঞানমনস্কতা!! বিজ্ঞানে ব্যাখ্যা নেই , তাই হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানসম্মত নয়। উপকার না পেয়ে ও লক্ষ লক্ষ মানুষ হোমিওপ্যাথিকে টিকিয়ে রেখেছে , ভাবতেও আশ্চর্য হতে হয়। আমি নিজে একজন হোমিওপ্যাথির সুফল ভোগকারী। কি জানি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আমি হয়তো বা মিথ্যাবাদী!!
@ফারুক, একজন হোমিওপ্যাথিও ডাক্তারের সাফল্য নির্ভর করে তার বাকচাতুর্যের উপর। সময়ের সাথে অনেক অসুখ নিজে থেকেই সেরে যায়। রোগী যদি হোমিওপ্যাথিক অষুধ খেয়ে থাকে, ডাক্তার এই গল্প তার কৃতিত্ব বলে দাবী কররে আজীবন। নতুন রোগীদের এই গল্প দিনের পর দিন শুনে যেতে হবে।
ডাক্তাররা বায়োকেমিক ওষুধ গুলোর আকর্ষনীয় ব্যাখ্যা বের করেছে। আমি হোমিওপ্যাথি অষুধে বিশ্বাস করি না। কিন্তু ব্যাখ্যাটা ভাল লেগেছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,ধন্যবাদ , আমার কমেন্টের জবাব দেয়ার জন্য।
আমার তো মনে হয় না এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। কেউ আধুনিক (এলোপ্যাথি) চিকিৎসা নেয়ার পরেও ভাল না হলে , তারপরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ভাল হয়ে গেলে তাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? সকল রোগ যে এমনি এমনি ভাল হয় তা কিন্তু নয়, আর মানুষ ও এত বোকা নয়। সুফল পেলে তাকে কিভাবে অস্বীকার সম্ভব? বিজ্ঞানে এর কার্যপ্রনালীর ব্যাখ্যা নেই বলে , হোমিওপ্যাথিকে ভুল বলার দর্শনটাই ভুল। বৃষ্টির বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা যখন মানুষ জানত না , তখন কি বৃষ্টি হোত না?
@ফারুক,
:yes:
@নৃপেন্দ্র সরকার, আমিও হোমিওপ্যাথি ট্যাথি এইসব মানি না এক্কেবারেই 😀 ।
@ফারুক,
অনেক জিনিসই পৃথিবীতে টিকে আছে। জ্যোতিষশাস্ত্র, কোরবানী, পশুবলি, খৎনা করা, পানি পড়া, মাদুলী, জোকের তেল, মাণ্ডার তেল, সাইবাবার ভস্ম থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম হিলিং পর্যন্ত। বিভিন্ন কারণেই নানা সংস্কার টিকে আছে পৃথিবীতে। বহুজনকেই পাওয়া যাবে জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে কিংবা রত্ন পাথর আঙ্গুলে পরে উপকার পেয়েছেন, কেউবা হারানো যৌনশক্তি ফিরে পেয়েছেন রাস্তার ধারের মাণ্ডার তেল মেখে। এরা কেউই মিথ্যেবাদী নন, তারা মানসিকভাবে ওগুলোতে বিশ্বাস করেই উপকার পেয়েছেন (বিজ্ঞান এটাকে বলে প্ল্যাসিবো এফেক্ট)। কিন্তু মিথ্যেবাদী না বলেই মেডিকেলের পাঠ্যপুস্তকে সর্বরোগহর ওষুধ হিসেবে মাণ্ডার তেলকে অন্তর্ভুক্ত করা যেমন হাস্যকর হবে, তেমনি অন্যায় হবে হোমিওপ্যাথিকে বিজ্ঞান বলা। কন্ট্রোল্ড সায়েন্টিফিক স্টাডিতে ফলাফল রেপ্লিকেট করা গেলে হোমিওপ্যাথিকে বিজ্ঞান বলতে কারোরই আপত্তি থাকতো না।
@অভিজিৎ, অনেক জিনিসই পৃথিবীতে টিকে আছে সত্য , তবে জ্যোতিষশাস্ত্র, কোরবানী, পশুবলি, খৎনা করা, পানি পড়া, মাদুলী, জোকের তেল, মাণ্ডার তেল, সাইবাবার ভস্মের সাথে হোমিওপ্যাথিকে এককাতারে ফেলাটা মনে হয় ঠিক হলো না। সবচেয়ে বড় পার্থক্য যেটা , তা হলো সর্বজনীনতা। জ্যোতিষশাস্ত্র বাদে বাকিগুলো নিতান্তই এলাকাভিত্তিক (পাকভারত উপমহাদেশ) ও অশিক্ষীত লোকদের মাঝেই প্রচলিত এবং সীমিত আকারেই। হোমিওপ্যথি কিন্তু সকল মহাদেশব্যাপী ও শিক্ষীত ও অশিক্ষীত সকলের কাছেই গ্রহনযোগ্য। হোমিওপ্যাথি নিয়ে গবেষনা ও লেখালেখি (experience sharing , নুতন নুতন চিকিৎসা পদ্ধতি) কম হচ্ছেনা। সর্বশেষ গ্রিক ভিতালকাসের একটি ভল্যুমের দাম দেখলে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। মানুষ যে এত টাকা দিয়ে দিয়ে হোমিওপ্যথির বই কেনে ও অসংখ্য শিক্ষীত মানুষ সেগুলো পড়ে ও চর্চা করে , তা সুফল না পেলে কি করত? সারা বিশ্বে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা চলছে এই হোমিওপ্যাথি নিয়ে। একেবারেই বোগাস একটা জিনিস নিয়ে সকলেই মাতামাতি করছে এটা বলা হোমিওপ্যথি রোগী ও চিকিৎসকদের আন্ডার-এস্টিমেট করা নয় কি? (আমি কোন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নই )
@ফারুক,
তাঁরা এতসব টাকার কিছু অংশ দিয়ে বৈধ বৈজ্ঞানিক স্টাডি-র মাধ্যমে প্রমাণ উপস্থিত করছেন না কেন? বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটাতো “অ্যালোপ্যাথ” দের একচেটিয়া জিনিসও নয়, বা ওর মধ্যে এমন কিছু নেই যা আগে থেকেই হোমিওপ্যাথি বিরোধী।
জ্যোতিষ-শাস্ত্র পৃথিবীর উন্নততম সভ্যতাগুলির মস্তিষ্কবিকার। আলেকজান্ডারের মাধ্যমে ভারতে আসে। এটা কখনই folk ব্যাপার ছিলনা — শিক্ষিতদেরই ব্যাপার এটা, তখনও, আজও।
@রৌরব,বিজ্ঞান সব কিছুই জেনে গেছে এবং আর কিছু জানার নেই এমন দাবী নিশ্চয় করছেন না। আমার তো ধারনা কোথাও না কোথাও হোমিওপ্যাথি নিয়ে বৈধ বৈজ্ঞানিক স্টাডি করছে এবং কোন প্রমান পেলে সেটা জানাবে নিশ্চয়। ততদিন পর্যন্ত কেউ যদি হোমিওর সুফল ভোগ করতে চায় , তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয় নিশ্চয়।
@ফারুক,
না করছি না। আমি তো বলছিই, হোমিওপ্যাথি মেনে নিতেও আমার সমস্যা নেই। প্রমাণ দেখতে চাই, এটুকুই।
এটা নির্ভর করে “আপত্তি” বলতে কি বোঝায় তার উপর। আমি ব্যক্তি-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কাজেই জ্যোতিষ, হোমিওপ্যাথি, হাত দেখা সব কিছুই চালিয়ে যাওয়ার অধিকারে বিশ্বাস করি, এবং এসব ব্যাপারে কোন আইনী আপত্তিও আমার নেই। তার মানে এই নয় যে অবৈজ্ঞানিক বা অপবৈজ্ঞানিক হিসেবে এর নিন্দা করা যাবে না। এটা বিজ্ঞানমনস্কদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শুধু তাই নয়, কোন বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি যদি মনে করেন যে হোমিওপ্যাথির উপযোগিতার প্রচুর anecdotal প্রমাণ আছে
তাহলে তাঁরো উচিত হোমিওপ্যাথিকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর খাড়া করার দাবি করা। একটা বিদ্যা ২০০ বছর যাবৎ ধরে চলে আসছে, অথচ কোন ধরণের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না, এটা খুবই সন্দেহজনক। এই সন্দেহ দূর করার দায়িত্ব হোমিও-ওয়ালাদেরই।
@রৌরব, -“আমি তো বলছিই, হোমিওপ্যাথি মেনে নিতেও আমার সমস্যা নেই। প্রমাণ দেখতে চাই, এটুকুই।”
কি ধরনের প্রমান চান আপনি?
যেহেতু আমি- আপনি সামনা সামনি নেই, তাই আমি যে ভাবে বলবো আপনি নিজেই সে ভাবে প্রমান করে নিতে পারবেন।
শুধু আপনি জানতে চাইবেন না— হোমিওপ্যাথিতে কি আছে, (এতে চিনি আছে, না পানি আছে, নাকি থুথু, মল মুত্র আছে)/ কি ভাবে কাজ করলো?
আমি আপনাকে প্রমান দেখি্যে দেব। তার আগে আপনাকে জানাতে হবে, আপনি কতোটা আগ্রহী/ আমি ্যেটা বলবো আপনি ১০০% সথ ভাবে করবেন কিনা? তানাহলে ব্যাটারী পুড়িয়ে লাভ নেই।
কয়েক টা কথা—–
পুর্নিমা/ আমাবস্য তে বাতের ব্যাথা বাড়ে, বাত ্যাদের আছে তারা জানেন কিনতু এলোপ্যাথ রা সেটা এড়িয়ে যান, কি কারনে জানিনা(তাদের কাছে ব্যাখ্যা নেই মনে হয় :-s ),
আর মহারথীরা কি ব্যাখ্যা দেবেন জানি না? ঐ সময় (পুর্নিমা/ আমাবস্য)নাকি আমাদের দেহে জলীয় অংশের তারতম্য ঘটে তাই ব্যাথা বাড়া কমা হয়, তাছাড়া কেউ কি অন্য ব্যাখ্যা জানেন তাহলে জানাবেন,আশাকরি।
সাইকোলজি পার্টটা কে এলোপ্যাথরা মেনে নিয়েছে। এবং নিলেও, আজও মন, শরীরের কোথায় থাকে তা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত নয়, তাহলে তার অস্তিত্ব কি ভাবে ১কথায় মেনে নিই (U) । আপনি কি অস্বীকার করবেন আপনার শরীরে মন নেই???
্যার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই, তা মেনে নেওয়া আর দ্বি-চারিতা করা সমান, আপনি/ আপনারা কি করছেন তা আপনারা জানেন?
@ফারুক,
আমার অ্যাজমা আর উচ্চ রক্ত চাপ দুটাই আছে।যাহোক একজনের কাছে শুনেছিলাম যে হোমিওপ্যাথিতে নাকি অ্যাজমা পুরোপুরি সেরে যায়।এইবার শীতে অ্যাজমা অনেক কষ্ট দিচ্ছিল আমাকে। তাই হোমিওপাথী খেতে গেলাম।কি হয়েছে জানেন?সে আমার উচ্চরক্ত চাপের ওষুধ খেতে মানা করেছে কারন অন্য ওষুধ খেলে হোমিও কাজ করে না।যাহোক, বোকার মতো উচ্চরক্ত চাপের ওষুধ বাদ দেবার ৩ দিনের মাথায় আমার উচ্চ রক্ত চাপ বাড়া আরম্ভ করে, আর তার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মারাত্তক আকার ধারন করে। ওই হোমিওপ্যাথ বলেছিল যে কোন সমস্যা হলে যেন তাকে জানাই। যাক এটা জানালেই সে বলল যে এটা উচ্চ রক্তচাপ না, একটা দৈহিক পরিবর্তন।এমনকি সে আমাকে উচ্চ রক্ত চাপ মাপতেও নিষেধ করে দেয়, কারন এইসব মাপা মাপির ফলেই নাকি মানুষ ভিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।আমিও বোকার মত সেটা মেনে নিলাম। কেন মানলাম নিজেও জানি না।মনে হয় অ্যাজমার কষ্টটা আমাকে দিশেহারা করে দিয়েছিল।জাক আর কয়েক ঘণ্টা পরে মনে হতে লাগ্ল যে আমি মারা যাচ্ছি।উচ্চ রক্তচাপ মেপে দেখা গেল ২০০/১২০ ( আমার বয়স ২৯+)। তাহলে বুঝুন যে কি অবস্থা। উচ্চরক্ত চাপের ওষুধ খেলাম, সাথে sedative, তার পর ঘুমিয়ে ছিলাম দিনের বেলায় অন্তত ৬ ঘণ্টা। তার অর থেকেই আস্তে আস্তে উচ্চরক্ত চাপ সাভাবিক হতে শুরু করল, তবু একদিনে না। আচ্ছা এর ব্যাখ্যা হোমিওপ্যাথির সমর্থক রা কি দিবেন?উচ্চ রক্ত চাপ মাপার যন্ত্রে ভুল ছিল?আমি ওইদিন মারা যেতে পারতাম। উচ্চরক্ত চাপের ওষুধ বন্ধ করা যায় না, এটা সারাজীবন খেতে হয়।তাহলে হোমিও সারাচ্ছে কিভাবে একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?হোমিও ডাক্তার তো ওটাকে রক্তচাপ বলে স্বীকার করতে চান নাই, তার হোমিও নাকি সব সারিয়ে দেয়, তবে মাত্র ৩ দিনের মাথায় আমি কেন মরতে বসেছিলাম?হোমিওপ্যাথ ভণ্ড গুলো বলে থাকে যে ধৈর্য ধরে ওষুধ খেতে হয়। আমার কি সেই অবস্থায় ধৈর্য মরে মৃত্যুর অপেক্ষা করাই উচিত ছিল?
@অচেনা, ভন্ড লোক , ভন্ড ডাক্তার (হোমিওপ্যাথি/এলোপ্যাথি) , ভন্ড ধার্মিক ও ভন্ড ধর্মপ্রচারকের অভাব কোন কালেই ছিল না। একারনে তো আর সকল মানুষকেই খারাপ বলতে পারিনা বা সকল মানুষের উপরে বিশ্বাস হারাতে পারি না , সকল ডাক্তারের কাছে যাওয়া বন্ধ করতে পারিনা বা ডাক্তারি শাস্ত্র মাত্রই ভুল একথা বলতে পারি না , তেমনি ভাবে ধর্মের সব কিছুই ভুল এমন দাবীটাও অযৌক্তিক।
হোমিওপ্যাথি বা এলোপ্যাথি সর্বরোগের মহৌষধ , এমনটা যারা দাবী করে , তাদেরকে এক কথায় নাকচ করে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আমি যেটা বুঝি – যাদের হোমিওপ্যাথিতে বিশ্বাস নেই , তারা ট্রাডিশনাল চিকিৎসায় ফেল করার পরে , হোমিওপ্যাথি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হারানোর তো কিছু নেই!!
ডকিন্সের ভিডিও থেকে আগেই কিছুটা জানতাম। প্রয়োজনীয় লেখা। এ রকম লেখাগুলো বেশি বেশি করে আসুক মুক্তমনায়।
যদি হোমিও ঔষধে উপকারী কিছু না থাকে। মানসিক কারনে রুগি ভাল হয়ে যায়। তাহলে এত পরীক্ষা এত খরচের দরকার কি? পৃথিবীর সমস্ত রুগী কে কোথাও থেকে পানি অথবা মিসরির দানা খাইয়ে দিলেইত পৃথিবীর সমস্ত রুগী ভাল হয়ে যায়। লেখক দয়া করে এ কাজটি করবেন কি? কমপক্ষে বাংলাদেশ কে রোগ মুক্ত করতে পারেন।
একবার একটা সামান্য স্বাস্থ্যগত কারনে এক হোমিও প্যাথিক ডাক্তারের কাছে গেছিলাম। বলতে লজ্জা নেই গেছিলাম মূলত কিছু অর্থ বাচাবার ধান্ধায় । এলোপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে গেলে তিন চারশ টাকা ভিজিট, অথচ হোমিও ডাক্তারকে বিশ ত্রিশ টাকা যাই দেয়া হোক না কেন তাতেই খুশী। তো তার সাথে গল্পচ্ছলে জানলাম যে যে ওষুধ যত বেশী পাতলা করা হয় তার শক্তি নাকি বেশী, মিলিয়ন , বিলিয়ন , ট্রিলিয়ন ইত্যাদি। তো আমি বললাম তাহলে যদি এক শিশি ওষুধ একটা পুকুরে ফেলে দেয়া হয় নিশ্চয়ই গোটা পুকুরের পানি ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গুন শক্তিশালী হবে , কি বলেন ? তাহলে আপনাদের আর পয়সা দিয়ে ওষুধ কেনা লাগে না। ডাক্তার বেচারা আমতা আমতা করে বলল – যেন তেন ভাবে মিশালে হবে না , মিশানোর কায়দা আছে। সেই কায়দাটা কি , কেউ কি বলবেন প্লিজ। জানা আছে কারো ?
@ভবঘুরে,
পুকুরে ফেলার দরকারটা কি? ওষুধ শেষ হবার পথে যে একবিন্দু বাঁচবে সেটাকে এক বালতি জলে তাদের কায়দা অনুযায়ী মেশালেই তো হয়ে যাবে।
অ্যাভোগ্রেডো বোধহয় ভুল ছিলেন, মনেহয় পদার্থে অনুর সংখ্যা অসীম।
:-/ :-/ :-/ :laugh: :laugh: :laugh:
সুন্দর লিখেছেন,
আমি সম্পুরন একমত নই তবে প্লাসিবো যে বিশাল ভুমিকা রাখে তা আমিও মনে করি।
একটি বিস্তারিত মন্তব্য করার আগে বায়োকেমিক ট্যাবলেট গুলা সম্পরকে আপনার কি একই ধারনা কিনা জানতে চাই
আমি বুঝতে পারছিনা কি বলব? আমার মেজো মামা হোমিওপ্যাথ ডাক্তার। উনি গ্রামেই বসেন।বই পড়ে ডাক্তারি শিখেছেন। হয়ত গ্রামে বলেই পসার পেয়েছেন। তবে উনি আমার আম্মুর অনেক চিকিতসা করেছেন। আম্মুর নাকের ভেতরের মাংস বেড়ে তা থেকে প্রচুর রক্তপাত হত। আম্মু হাসপাতালে গেলে অপেরাশনের কথা শুনে ভয় পেয়ে তার ভাইয়ের শরনাপন্ন হয়। এবং মামার ঔশধে আম্মুর নাকের মাংস আস্তে আস্তে কমে যায় এবং রক্তপাত বন্ধ হয়। এটা ঔশধ না খেলে এমনি এমনি সারত তা বলতে পারছিনা। আমার মামা বলে উনাকে খুব বড় ডাক্তার বলতে চাইনা এই ঘটনার পর। তবে উনার উপর নির্ভর করা যায় ছোটখাট বিশয়ে। ক্ষেত্রবিশেসে বড় ব্যাপারেও।
তবে আজকাল ইসলামিক টিভিতে কিছু ডাক্তারের বিজ্ঞাপন দেখি সারাদিন যারা ক্যান্সারেরও ঔশধ আবিস্কার করে ফেলেছেন! আমার মা তাদেরকে বিশ্বাস করেন ভালমতই। আমি শুধু একদিন বলেছিলাম যে আমি যদি উনাদের মত ক্যান্সার সহ সর্বরোগের ঔশধ আবিস্কার করতাম তাহলে নোবেলের জন্য চেস্টা করতাম। ইসলামিক টিভির মত অখ্যাত চ্যানেলে সারাদিন বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা খরচ করতাম না! আমি কোনমতে আম্মুর মার খেতে খেতে বেঁচে ছিলাম। :rotfl: সে বলে ‘ওরা ভাল ডাক্তার যদি নাই হবেন তাহলে বিজ্ঞাপন দিবে কেন? আর বিদেশ ফেরত রোগীরাই বা আসবে কেন তাদের কাছে???’ আমি আর কি বলব? :-Y
@লীনা রহমান, আপু আমিও এই হোমিওর ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছি না।এখানে প্রমাণ সহ তুলে ধরা হয়েছে যে এটাতে কোন কাজ করে না।কিন্তু বাস্তবে অনেক কেই অনেক সমস্যাতেই ভালো হতে দেখেছি।
আমার মাসি কানের সমস্যায় ডা প্রাণ গোপাল এর কাছে যান।তিনি বলেন যে কানের সমস্যা ভালো হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।অনেকদিন ধরে ঔষধ খেতে হবে।পরে এক হোমিও ডাক্তার সাহেব এর চিকিৎসায় দু’মাসেই ভালো হয়ে যান।ঐ সমস্যা আর হয় নি। এটাকে আমি কী বলবো??যে তিনি এভাবেই ভালো হয়ে যেতেন।তাহলে কী প্রাণ গোপাল বাবু ভুল বলেছেন?? নাকি হোমিও কাজ করলো??নাকি আমার মাসি মনে করছে তার সমস্যা ভালো হয়ে গেছে??
আমাই পুরাই কনফিউজড… :-X :-Y
কথায় বলে – যার নাই কোন গতি , সেই পড়ে হোমিওপ্যাথি।
আসলে অনেক সময় হয়কি মানুষের আভ্যন্তরীন যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে কোন ওষুধ ছাড়াই সে ব্যবস্থা মোতাবেক মানুষ অধিকাংশ সময় রোগ মুক্ত হয়। আবার অনেক সময় শরীরে সত্যিকার কোন রোগ না হলেও মনে হয় যেন রোগ হয়েছে। এটা একটা মানসিক অবসেসন মনে হয়। এমতাবস্থায় মানুষকে চিকিৎসার নামে কোন ডাক্তার তা সে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজ বা পাশ করা ডাক্তার যাই দেখানো হোক না কেন তাতে রোগীর মনোবল বৃদ্ধি পায় ও মনের রোগ সেরে যায় ও রোগী প্রায় কোন ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হয়ে যায়। ঠিক এ ধরনের কেসে মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভাল হয় বলে আমার মনে হয়। অর্থাৎ, ডাক্তার এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রোগীকে মানসিক উৎসাহ প্রদান করেন আর সেটাই হলো চিকিৎসা।
@ভবঘুরে,
কোয়্যাকরা বলে গা…গা…গা…গা…গা… হোমিওপ্যাথি খেয়ে আমার হেমোরয়েডের প্রদাহ ভালো হয়ে গিয়েছে। আমি বলি আরে! প্রদাহী হেমোরয়েড ভালো হতে হোমিওপ্যাথি লাগে নাকি, এইটাতো সময় দিলে এমনি এমনি ভালো হয়ে ায়। আপনাকে ধন্যবাদ, এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি খুবই খুবই জরুরী।
একটা ওষুধ যত কম দেবে তত বেশি কাজ হবে। এক্কেবারে না দিলে সবচেয়ে ভালো কাজ হবে। :lotpot:
@বিপ্লব রহমান,
:lotpot: :lotpot: :lotpot: click this link অবশ্যই নিজ দায়িত্বে।
ভিন্নমত।
এই পদ্ধতি কতটুকু প্রচলিত বিজ্ঞান্সম্মত সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে পারেন।কিন্তু এক ঝটকায় এই কথা বলতে পারেন না।
আর আমার জানা রোগি আছে যার বার-মাস আমাশয় ভালো হয়ে গেছে।এখন বলুন যে এটা ঘণ্টায় ঘণ্টায় চিনির জল খেলেই হয়ে যাবে।
আর সবা হোমিও ডাক্তার একই কথা বলে।কিন্তু সবার রোগি ভালো হয় না কেন??আবার কারো কারো চিকিৎসায় কেন ভালো হয়??কেউ জানেন আর কেউ না জেনেই লোক ঠকাচ্ছেন।
আপনি এই পদ্ধতিকে একেবারে উড়িয়ে দিতে পারেন না।বলতে পারেন মূলধারার চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে,তাই আমাদের এই পুরাতন পদ্ধতি ত্যাগ করা উচিত।
আমরা ডারউইনের তত্ত্বে বিশাসী।তাই বলে অন্যকোন বিজ্ঞানীর কোন তত্ত্বকে ফেলে দিতে পারেন না।যতক্ষণ না আপনি তা ভুল প্রমাণ করতে পারছেন।আর সঠিক প্রমাণ না করে গ্রহণ করাটাও ঠিক না।
@দেবাশিস্ মুখার্জি,
আপনি যে এভিডেন্সগুলোর কথা বলছেন সেগুলো সবগুলোই এনেকডোটাল এভিডেন্স। এনেকডোটাল এভিডেন্স কোন সায়েন্স নয়। বহু এনেকডোটাল এভিডেন্স থেকে আমরা জেনেছি পানি পড়া কিংবা ছু মন্তরেও বহু জনের রোগ ভাল হয়েছে। কিন্তু তা বলে ‘পানি পড়া’ বিজ্ঞান হয়ে যায় নি। কারণ কন্ট্রোল স্টাডিতে পানি পড়া জাতীয় ব্যাপার স্যাপারের ফলাফল রেপ্লিকেট করা যায়নি। হোমিও প্যাথির like cures like কিংবা হ্যানিমেনের ডাইলুশন শক্তির পেছনে কোন কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। হোমিওপ্যাথির ডাইলুশনের কার্যকারিতা কন্ট্রোল্ড সায়েন্টিফিক স্টাডিতে মিথ্যা প্রামণিত হয়েছে বহুবার এমনকি Nature জার্নালেও (Nature 446, 352-353 22 March 2007) হোমিওপ্যহাথিকে অপবিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আপনার বাবা কিংবা আমার খালু যেই ব্যক্তিগতভাবে এই চর্চা চালিয়ে যাক না কেন – সেটা বিজ্ঞান হয়ে যাবে না।
আপনি ডকিন্স আর জেমস র্যাণ্ডির এই দুইটি ভিডিও দেখে নিন –
প্রথমে ডকিন্সের টা –
httpv://www.youtube.com/watch?v=8KbLHii8M2A
তারপর দেখুন জেমস র্যান্ডিরটা –
httpv://www.youtube.com/watch?v=Xd23gBkhf9A
আপনি স্কেপ্টিক’স ডিকশনারি থেকে হোমিওপ্যাথির উপর প্রবন্ধটি পড়ে নিতে পারেন।
@অভিজিৎ,
মনের কথাটা একেবারে বলে দিয়েছেন।
@অভিজিৎ, এখানে প্রমাণ সহ তুলে ধরা হয়েছে যে এটাতে কোন কাজ করে না।কিন্তু বাস্তবে অনেক কেই অনেক সমস্যাতেই ভালো হতে দেখেছি।
আমার মাসি কানের সমস্যায় ডা প্রাণ গোপাল এর কাছে যান।তিনি বলেন যে কানের সমস্যা ভালো হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।অনেকদিন ধরে ঔষধ খেতে হবে।পরে এক হোমিও ডাক্তার সাহেব এর চিকিৎসায় দু’মাসেই ভালো হয়ে যান।ঐ সমস্যা আর হয় নি। এটাকে আমি কী বলবো??যে তিনি এভাবেই ভালো হয়ে যেতেন।তাহলে কী প্রাণ গোপাল বাবু ভুল বলেছেন?? নাকি হোমিও কাজ করলো??নাকি আমার মাসি মনে করছে তার সমস্যা ভালো হয়ে গেছে??
আমাই পুরাই কনফিউজড… :-X :-Y
হোমিওপ্যাথিতে কাজ করে না ব্যাপারটা সঠিক না।আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমার কাঁধে একটা আঁচিল হয়।তারপর শৈখিন হোমিও ডাক্তার আমার বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমি কী টাইপের সমাধান চাই।হোমিওতে দুই ধরণের সমাধান আছেঃ
১।ঐ আঁচিলকে সাময়িকভাবে নাই করে দেওয়া।তবে এতে ভবিষ্যতে আবার হবার সম্ভাবনা থাকে।
২।চিরতরে বিদায়।তবে এই ঔষধে প্রথমে সাড়া গা ভর্তি হবে তারপর একেবারে চলে যাবে।
আমি দ্বিতীয়টি বেছে নিয়েছিলাম।ঔষধ খেয়ে একদিন পর সাড়া গা ভর্তি আঁচিল হল।সেগুলো অনেক যন্ত্রণা দিয়ে পাকাপাকি করে চলে গেল।আর কখনও হয় নি।
@দেবাশিস্ মুখার্জি, হোমিওপ্যাথিতে কাজ করে না ব্যাপারটা সঠিক না। of course tell you brother একজন ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রের উপর এটি খুবই কাজ করতে পারে। আর বিশেষত হোমিওপ্যাথি প্রয়োগকারী ডাক্তারটি যদি হয় নিজের বাবাই তবে কোনধরণের হোমিওপ্যাথি ছাড়াই আচীল ভালো হয়ে যাওয়া উচিত। আমি যদি আপনার জাগায় থাকতাম তবে আমার বাবাকে বলতাম ‘আব্বু? এইসব কোয়্যাকারি ফোয়্যাকারি থুয়ে ভালো হয়ে যাও এইবেলা। কোনই গর্ব নেই মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ায়।’
যাই হোক এইবার সিরিয়াসলিই মন্তব্য করি। আপনি যেই ঘটনা বলছেন এটা যদি আমি নিজের চোখেও দেখে থাকতাম তারপরও বিশ্বাস করতাম না যেমন অবিশ্বাস করি আপনার মত আরও অনেকের মুখে শোনা জীন পরীর গল্প। আপনি যেমন নিজের চোখে হোমিওপ্যাথি দেখেছেন তারাও কিন্তু নিজ চোখে জিন দেখেছে। সমস্যাটা হচ্ছে একজন শিক্ষিত মানষ জিন দেখে না বা দেখলেও সেটা সে জনসম্মুখে বলে বেড়ায় না, মেডিকেল অ্যাডভাইস গ্রহন করে সে বরং তাতক্ষণীকভাবে। একইভাবে মুক্তমনার মত একটি জায়গাতেও আমি মনে করি হোমিওপ্যথি কাজ করে কি করে না এটি নিয়ে বিতর্কের কোনই অবকাশ নেই। হোমিওপ্যাথি কি কাজ করে? না করে না and thats the end of it.
@আল্লাচালাইনা, আমার বাবা মোটেও মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গেন না; কারণ তিনি বাণিজ্যিকভাবে কারো চিকিৎসা করেন না।তিনি পেশায় একজন শিক্ষক।
আপনি জ্বীন পরীর সাথে এটার তুলনা করলে তো ভাই কিছুই বলার থাকে না।
এটা কোন ভালো পদ্ধতি না হতে পারে,তবে এটাও একটা চিকিৎসা পদ্ধতি। আর অনেকে ভালো হচ্ছে।তবে কতটুকু বিজ্ঞান সাপেক্ষ তার ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায়।
আর শুনুন এটা হ্যানিম্যানের চিকিৎসা বিজ্ঞান যা আমারের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি না।ইবনে-সিনা ও এই প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে কাজ করেন নি।তাই বলে তিনিও কি মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেয়েছেন???
আর মুক্তমনার কথা বলছেন??আমি যতদূর জানি, মুক্তমনার উদ্দেশ্য আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।অন্যের বক্তব্য সঠিক না হলে যুক্তিদ্বারা তা ভুল বলে প্রমাণ করা।অন্যের উপর বক্তব্য চাপিয়ে দেওয়া না।
@দেবাশিস্ মুখার্জি, দুঃখিত সিরিয়াসলি নিবেন না এটা, আপনার বাবা আমার মন্তব্যের কোন ফোকাস নয়। এবং পেশায় উনি শিক্ষক হলেও কিন্তু ওনার শখের হোমিওপ্যাথি চর্চা কোয়্যাকারিই থেকে যায়। অবশ্যই আপনি আলোচনা করেই সিদ্ধান্তে পৌছবেন। কিন্তু আলোচনার টপিক যদি হয় পৃথিবি কি আসলেই সূর্যের চারপাশে ঘরে কিনা, আমি মনে করি মুক্তমনা সেই আলোচনার জায়গা হওয়া উচিতি নয়, কেনন এটি একটি প্রোসায়েন্স ফোরাম। আমি বলছি না যে এখানে কেউই এন্টিসায়েন্স নন, তবে এন্টিসায়েন্সেরা খুবই খুবই মাইনরিটি। ইবনে সিনা আর কি কি করেছেন জানি না তবে তার করা যেই যেই কাজগুলো মেডিসিনে বিপ্লব সাধন করেছে সেই সবগুলোই কিন্তু এভিডেন্সবিত্তিক। বিজ্ঞানের মজা হলো এটি ফলপ্রসু, এটি উতপাদন করে, এটি জীবন সহজ করে। রিপ্রডিউসিবিলিটি হচ্ছে বিজ্ঞানের প্রাণ। যেই ফলাফল রিপ্রডিউসিবল নয় তার কোন মূল্য বিজ্ঞানে নেই। আপনার যদি হোমিওপ্যাথি খেলে কাজ হয় তবে আরও একহাজার মানুষ খেলে তাদেরও কাজ করতে হবে। র্যান্ডমাইজড, ডাবল ব্লাইন্ড, কন্ট্রোলড ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই পর্যন্ত যতোবার হোমিওপ্যাথিকে নিয়ে আসা হয়েছে কোনবারই হোমিওপ্যাথি প্লেসিবোর চেয়ে ভালো ফল দিতে পারেনি। ১০০০ জনের একটি কোহর্টকে তিন ভাগে ভাগ করে যদি জ্বরের ট্রিটমেন্ট হিসেবে দেওয়া হয় কিছুই না, একটি ম্যাসাজ ও আইবিউপ্রফেন তবে এই ম্যাসাজ গ্রুপ কিন্তু পজিটিভ রিপোর্ট করবে ওই গ্রুপ অপেক্ষা যারা কিছুই পায়নি। এটাক বলে প্লেসিবো ইফেক্ট। এর মানে কি ম্যাসাজ কিছুই নার চেয়ে জ্বরের একটি ভালো ট্রিটমেন্ট? না, ম্যাসাজ ও কিছুই না উভয়েই সমান, উবভয়েই এরা কাজ করে না, তবে কনফর্মেশনাল বায়াসের কারণে ম্যাসাজ বোগাসভালো ফলাফলপ্রদর্শন করছে। আর হোমিওপ্যাথি যদি কাজ করেই থাকে, আমার প্রশ্ন হবে কি ক্রে এটা কাজ করে? আইবিউপ্রফেন কি করে জ্বর কমাবে আমি জানি। এটি পাকস্থলীতে অ্যাবজর্ব হবে, আমরা প্রোব করতে পারি আসলে অ্যাবজর্ব হচ্ছে কিনা; এটি রক্তে বাহিত হবে, আমরা অ্যাসে করতে পারি রক্তে আইবিউপ্রফেনের ঘনত্ব, এটি টার্গেটের সাইক্লোওক্সিজেনেস এনজাইম ইনহিবিট করবে, আমরা অ্যাসেরতে পারে কতো অ্যাফিিটিতে আইবিউপ্রফেন সেই ইনহিবিশনের কাজ করছে; সাইক্লোক্সিজেনেস ইনহিবিট হলে প্রস্টাগ্লান্ডিন সংশ্লেষ বন্ধ হবে, আমরা রক্তে মেপে দেখতে পারি কমে যাওয়া প্রস্টাগ্লান্ডিনের পরিমান, প্রস্টাগ্লান্ডিনের অভাবে মস্তিষ্কের হাইথ্যালেমাস যার কাজ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন তা আর মাত্রাতিরিক্ত ফায়ার করতে পারবে না, প্রত্যেকটি একক নিউরনের ফায়ারিং প্যাটার্ন আমরা অ্যাসে করতে পারি; এবং হাইপথ্যালেমাসের ফারারিং বন্ধ হলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকে নেমে আসবে, এবং থার্মমিটার দিয়ে মেপে আমরা দেখতে পারি আসলেই কমছে কিনা। এটাকে বল বিজ্ঞান। আর হোমওপ্যাথি কাজ করে কিভাবে, কিভাবে আমি অ্যাসে করতে পারি তার কার্যক্ষমতার প্রত্যেকটি প্রক্রিয়া আর ধাপগুলো? আপনি হোমিওপ্যাহতি ডিফেন্ড রতে চাইলে আপনাকে লিটারেচারের রেফরেন্স দিতে হবে। এই মুহুর্তে পাবমেডে জমা আছে হোমিওপ্যাথির সমস্ত ট্রায়ালগুলোর ৪৫ টি মেটারিভিউ ও শখানেক রিভিউ যাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকাশিত নেইচার, সায়েন্স ও নিউ ইংল্যান্ডে। এদের একটিও হোমিওপ্যাথি কাজ করে এই উপসঙ্ঘারে পৌছেনি। এই কারণেই হোমিওপ্যাথি কাজ করে না। আপনি যদি বলতে চান এটা করে, আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয় আমি দেখতে চাইবো এভিডেন্স, প্রমান। এবং কন্ট্রল্ড সেটিং এ সেই প্রমানের রিপ্রজিউসিবিলিটি।
আমি মানছি আপনার কথাটা পুরোপুরি সঠিক। তবে আমি টিভিতে দেখছি যে সরাসরি রোগীরা বলছে রোগীরা ঔষধ খেয়ে পুরোপুরি সূস্থ্য আছে।http://www.youtube.com/watch?v=MsXR59fK0Qg
এটার জবাব তাহলে কি ভাবে দেয়া যায়। প্লিজ উপরোক্ত লিংকটা দেখবেন।
আসলে হোমিওপ্যাথি কিভাবে কাজ করে তা জানার জন্য গবেষনার যে পদ্ধতি তা ভুল! আর এটা কিভাবে কাজ করে তা এর চিকিত্সকদের পক্ষে বোঝানো মুশকিল, কেননা তাদের আধুনি বিজ্ঞানে দুর খুব কম! তবে Nano-Technology নিয়ে পড়াশুনা করে আমি বুঝতে পারি এটা কাজ করতেও পারে, একেবারে অসম্ভব না! ধরুন Thuja 30 ওষুধের কথা ! এতে ৩০০ ভাগ alcohol এর সাথে এক ভাগ মূল নির্যাস আছে! এটা কিন্তু একেবারে “কিছু নাই” তা না! এক শিশি ওষুধে তাও কয়েক কোটি অনু পাওয়া যাবে! মাত্র ২ গ্রাম hydrogen কয়েক trillion অনু থাকে! আঁচিল বা wart এর চিকিত্সায় এটা আসলেই কার্যকর ! কিন্তু কিভাবে? সম্ভবত খুব সল্প পরিমান ওষুধের অনু আঁচিল এর আক্রান্ত কোষগুলো চিন্হিত করে সেগুলোতে nutrition transfer block করে ফেলে ! ফলে তা মরে শুকিয়ে ঝরে যায়! আমার মনে হয় এভাবেই cancer এর চিকিত্সাও সম্ভব হচ্ছে ! এটা কিন্তু nano কনসেপ্ট support করে! আসলে এই ওষুধে সাগর এর সমান জলে নির্যাস বা মূল উপাদান মেশানো হয়না যা discovery channel এ দেখানো হয়েছে! ওগুলো আসলে Pharmaceutical Company গুলার অপপ্রচার!
@Muhammad Talut,
আপনার উত্তর পড়লাম, খুব একটা মনঃপুত হলো না। Nano-Technology নিয়ে পড়াশুনা করুন আর যাই করুন, সাধারণ যুক্তি আর গণিতগুলো এড়িয়ে যাওয়া বোধ হয় সম্ভব নয়। ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে আমিও কিছুটা পড়েছিলাম, আমার মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্সে, কিন্তু সেটার সাথে হোমিওপ্যাথিকে মেলানো আমার চোখে কষ্ট কল্পিত।
হোমিওপ্যাথি কিভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যাটা আরেকবার দেই। দেখা যাক ঠিক কতটা লঘুকরণের কথা আমরা বলছি। আমি কিছুটা বলেছিলাম আদিলকে উত্তর দিতে গিয়ে (এই পোস্টের একদম প্রথম দিকে আমার উত্তরটা দেখুন) য়ারেকটু ভাল ভাবে বলি সবার জন্য। দিগন্তও বোধ হয় কোথাও লিখেছিলো এ নিয়ে। হোমিওপ্যাথিতে ডাইলুশনকে ১০ এর মাত্রায় ঘনত্ব হিসেবে প্রকাশ করা হয় আর তা রোমান হরফ X দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ,
1X হল 1/10,
2X হল 1/100 আর
3X হল 1/1000 ইত্যাদি …
বাজারে যে 30X অসুধ বাজারজাত হয়, যাতে ১-এর পিঠে ৩০টা শূন্য – এই রকম পরিমাণ জলে ১ পরিমাণ অসুধ মেশানো হয়।
তাও না হয় তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম। কিন্তু বাজারে 30C অসুধ পাওয়া যায়, তা কি রকম ডাইলুটেড, সে নিয়ে বোধ হয় অনেকেরই ধারণা নেই।
আমি ব্যাখ্যা দিছি। উপরে আমরা দেখেছি X যেমন 10 গুণ করে বাড়ে। সেরকম হোমিওপ্যাথি ডাক্তারেরা বলেন – C বাড়ে 100 গুণ করে। মানে,
1C হল 1/100,
2C হল 1/10000 আর
3C হল 1/1000000 ইত্যাদি।
এবার ভেবে দেখুন 30C মানেটা কি। ১ এর পিঠে ৬০টা শূন্য পরিমাণ জলে এক পরিমাণ অসুধ। যদি অষুধ ১ অনু হয় – তাহলে আমার ১ এর পিঠে ৬০টা শূন্য অণূর জল লাগবে সেটা মেশানোর জন্য। কতটা জল? মোটামুটি ৩০ বিলিয়ন গুণ আকারের একটা পাত্র লেগে যাবে সেই জল রাখতে। বুঝুন তাহলে। অষুধের একটি অনু মেশাতেই এই দশা। আর আপনার কথা মত ‘কয়েক কোটি অনু পাওয়া যাওয়ার’ জন্য কি রকম বড় আকারের পাত্র লাগবে!!! সত্যি যে ব্যাপারটা তা হল – 30C Nux vomica কিংবা Thuja 30 এ ধরণের দ্রবণে কোন ওষুধের একটি অনুও না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। উচ্চামাধ্যমিক শ্রেনীর রসায়ন বইয়ের এভোগেড্রোর প্রকল্প থেকেই সেটা জানা যায়। এভোগেড্রোর নাম্বার আমাদের কিন্তু সীমা বেধে দিচ্ছে কতদূর ডাইলুট করলে দ্রবনে দ্রাবকের অনু অবশিষ্ট থাকতে পারে। সে হিসেবে হোমিওপ্যাথির ঔযধগুলোতে কোন দানা অবশিষ্ট থাকে না। ন্যানো টেকনোলজি হোক আর বায়োমেকানিক্সই হোক – কোন কিছুই এ নিয়মের বাইরে না।
আঁচিল এর চিকিত্সায় এটা আসলেই কার্যকর বলছেন, দেখুন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের আমি ঢাউস ঢাউস বিজ্ঞাপন দেখেছি – ক্যান্সার থেকে শুরু করে এইডস পর্যন্ত সব রোগই সাড়াতে পারেন বলে তারা দাবী করেন। অথচ নির্মম সত্য হল, যখন ভেরিফিকেশনের প্রশ্ন আসে – তখন খোস, পাছড়া, দাউদ জন্ডিস, সর্দি কাশি, পেট ব্যাথা – এ ধরোনের মামুলি রোগ বালাই সারাবার কথাই জানা যায়। দেখুন জ়ণ্ডিসের মালা পড়েও কিন্তু লোকের জণ্ডিস ভাল হয়ে যায়, কিংবা সাধু বাবার বা পীর ফকিরের পানিপুরিতেও রোগ সারার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত আমরা সমাজে দেখি। ইংরেজীতে প্ল্যাসিবো ইফেক্ট বলে একটা ইফেক্ট আছে, যেখানে ডামি পিল দিয়ে রোগির চিকিৎসা করা হয়, কারণ ডাক্তাররা জানে বডি রেজিস্টেন্সের কারনে এমনিতেই কিছু রোগ দু-দশ দিনে ভাল হয়ে যায়। কিন্তু কোন কোন রোগি ওষুধ ছাড়া বাসায় ফেরৎ যেতে চায় না। সে ধরণের রোগির ক্ষেত্রে প্ল্যাসিবো চিকিৎসা করা হয় – ডামি পিল কিংবা ভিটামিন জাতীয় ওষুধ গছিয়ে দিয়ে। আমার ধারণা হোমিওপ্যাথিতে সে সমস্ত অসুখই সারে যেগুলো মানুষের বিশ্বাসকে বাড়িয়ে মনের জোর বাড়ানো হয়। রোগী ভেব নেয় ওষুধেই বুঝি কাজ হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে যেটা ভয়ঙ্কর তা হল – হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী লাগে না। আমাদের পাড়ার বহু বুড়া চাচা মিয়াকে দেখেছি চাকরি বাকরির পাশাপাশি শখ করে হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা করেছেন। লোকজনও ভাবছেন – কি বিরাট ডাক্তার। মানুষের জটিল রোগ সারানোটা যদি এতোই সোজা হত, তাহলে আর এত দিনের চিকিৎসাবিজ্ঞানের জ্ঞান আমাদের লাগতো না। এলোপ্যাথিতেও যে ভুল চিকিৎসা হয়না তা নয়, কিন্তু আমার ধারনা সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানবার উপায় সব সময়ই থেকে যায়। আর হোমিওপ্যাথি সব সময়ই আমাদের জন্য একটা ‘ব্ল্যাক বক্স‘। ব্ল্যাক বক্স কখনো সায়েন্স হতে পারে না। শুধু এভাবে বলে দিলেই চলবে না ‘অমুক্টায় কাজ হয়’, বরং ব্যাপারটা যদি বৈজ্ঞানিক হয় – আমাদের ্কাছে খোলসা করতে হবে পুরো প্রক্রিয়াটা কিভাবে কাজ করে। তবেই সেটা বিজ্ঞান হয়ে উঠবে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
@অভিজিৎ,
ভারতে লাগে। হোমিওপাথির জন্যে ডাক্তারী ডিগ্রিও আছে। ডাই্লুশন ইনফানাইট মানে শক্তি তত বাড়বে এটা কি সার্বজনীন সত্য হোমিওপ্যাথে না লিমিটেড ট্রুথ?
@বিপ্লব পাল,
আমি যতদূর জানি এটাকে ‘হোমিওবিজ্ঞানে’ সার্বজনীন সত্য হিসেবেই দেখা হয়। হানিম্যান সাহেব অনেক আগে এটা বলে গিয়েচ্ছিলেন। সেটাই মেনে চলা হয়। কিন্তু like cures like এর মত এই ডাইলুশন শক্তির পেছনেও কোন কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। Benveniste নামে এক জীববিজ্ঞানী হোমিওপ্যাথির ডাইলুশনের কার্যকারিতা একসময় দাবী করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে কন্ট্রোল্ড সায়েন্টিফিক স্টাডিতে তা মিথ্যা প্রামণিত হয়। এখানে দেখো (বিশেষ করে শেষ লাইনটা)। Nature জার্নালেও (Nature 446, 352-353 22 March 2007) হোমিওপ্যহাথিকে অপবিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এখানে দেখো।
Molecular Spin হয়তো এমন একটা কিছু করতে পারে যা আমরা এখনো আবিস্কার করতে পারিনি। যেমন আত্মা নামক যে শক্তিটি জীবদেহে বা কোষে থাকে তা কখনো দেখা যায়নি। আত্মা নামে সত্যিই কোন কিছু আছে কিনা এর কোন প্রমানও বর্তমান বিঞ্জান দেখাতে পারেনি। অথচ আত্মা এমন এক শক্তি যা জীবকোষ এর সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে। মৃত প্রানীর জীবকোষ নষ্ট না হলেও এর সব কর্মকান্ড থেমে যায় আত্মার অভাবে। হয়তো হোমিওপ্যাথিক ঔষধে নির্দিষ্ট কোন substance এর Spin একটা এমন Resonance তৈরী করে যা মানুষের Healing power জাগিয়ে তোলে। এজন্য আধুনিক গবেষনা প্রয়োজন। এখনো অজানা অনেক কিছুই।
হোমিওপ্যাথিক আমিও অবজ্ঞা করতাম। আমার দুটো হাতের তালু অস্বাভাবিক ঘামতো, সব সময়ই রুমাল রাখতে হতো, কিছু লিখতে গেলে হাতের ঘামে কাগজ ভিজে যেত, বিরক্তিকর ব্যাপার! অনেক নামকরা ডাক্তার দেখিয়েছি সবাই বললেন এটার তো কোন ঔষধ নেই, তুমি নার্ভাস, কেউ বললেন থাইরয়েড গ্লেন্ড এর প্রবলেম! ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশেষে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেলাম সাইলেশিয়া 1M, আরে হাত ঘামা বন্ধ! ঔষধ ছেড়ে দিলাম আবার কিছুদিন পর ঘাম ফেরত এলো। এবার খেলাম সাইলেশিয়া 1CM, পূর্বের ভেজা হাতের চামড়া শুখিয়ে ছোটো ছোট Crack দেখা দিল, মহা মুসকিল! আর ঔষধই খেলাম না। কিন্তু আবার হাত ঘামা ফেরত এলো মাস খানেক পর। তাহলে কি আজীবন ঔষধই খেয়ে যেতে হবে? এরপর বছর সাতেক পর সাইলেশিয়া 30X খেলাম (দুই সপ্তাহ)। এখন দেখছি পুরোপরি ভাল,হাত-ঘামা আর কখনোই হয়না্, টেনসানেও না! কিন্তু সিলিকন-ডাই-অক্সাইড (বালু) যা থেকে সাইলেশিয়া তৈরী হয়েছে, সেটি অত্যান্ত stable যৌগ, করো সাথে সহজে বিক্রিয়া করে না। তাহলে এটা হলো কি? এভাগাড্রো আর নিউটন কিংবা প্লাংকের ধ্রুবক যাই হোক না কেন, কাজ তো হলো! It really worked, how? its a greaty misrty. Certainly there is some thing else in Homeopathy.
@Masood,
ভুল কথা। আত্মা ব্যাপারটি মানুষের আদিম কল্পনা, এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই । আত্মার অস্তিত্ব বিজ্ঞান দেখাতে পারেনি, কারণ আত্মা বলেই কিছু নেই। একটা সময় মানুষ জীবন-মৃত্যুকে ব্যাখ্যা করতে পারতো না, তাদের কল্পনা করতে হয়েছিল অদৃশ্য আত্মার। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান আত্মার ধারণা ছাড়াই প্রাণকে ব্যাখ্যা করতে পারে। বস্তুত: জীববিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শরীরবিজ্ঞান, জেনেটিক্স আর বিবর্তন-বিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণা আত্মাকে আক্ষরিক ভাবেই রঙ্গমঞ্চ থেকে হটিয়ে দিয়েছে। আর সেজন্যই যুগল-সর্পিলের (ডিএনএ) রহস্য-ভেদকারী নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক বলেন , ‘একজন আধুনিক স্নায়ু-জীববিজ্ঞানী মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর আচরণ ব্যাখ্যা করার জন্য আত্মা নামক ধর্মীয় ধারণার দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না’। ১৯২১ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন একই ধারণা পোষণ করে বলেছিলেন, ‘দেহবিহীন আত্মার ধারনা আমার কাছে একেবারেই অর্থহীন এবং অন্তঃসারশূন্য’।
আমার অবিশ্বাসের দর্শন বইয়ে আত্মা নিয়ে সাম্প্রতিক জ্ঞানের আলোকে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা আছে, দেখে নিতে পারেন।
ব্লগেও কিছু লিখেছিলাম। এখানে দেখতে পারেন –
সচলায়তনে: আত্মা নিয়ে ইতং-বিতং (পর্ব-১, পর্ব-২, পর্ব-৩, পর্ব-৪, শেষ-পর্ব)
মুক্তমনায় : আত্মা নিয়ে ইতং-বিতং (পর্ব-১, পর্ব-২, পর্ব-৩, পর্ব-৪, পর্ব-৫)
লেখাটাতে আত্মা সংক্রান্ত যে পরস্পরবিরোধিতাগুলো উল্লেখ করেছি, সেগুলো দেখতে পারেন। আমার অনুরোধ লেখাটা (মানে সবগুলো পর্ব) পুরোটা পড়ে এসে তারপর এ নিয়ে আলোচনা করবেন। যে পয়েন্টে আপনার দ্বিমত বা কনফিউশন সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
আপনার বাকি পয়েন্টগুলো বিশেষতঃ হাত ঘামা ইত্যাদি নিয়ে যা বললেন, তা এনেকডোটাল এভিডেন্স। বিজ্ঞানে এনেকডোটাল এভিডেন্স খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। কন্ট্রোলড স্টাডিতে হোমিওপ্যাথির কোন গুণাগুণ পাওয়া যায়নি। নেচারের মত জার্নালে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করেই রিপোর্ট করেছেন। তবে মানুষের মস্তিষ্ক অনেক অদ্ভুত ভাবে কাজ করে। সেজন্যই ডামি পিল বা প্ল্যাসিবোতেও রোগী ভাল হয়। কোন হুজুরের পানি পড়া খেয়েও ছোটখাটো হাতঘামা রোগী ভাল হয়েছে এ রকম পাওয়া যাবে, কিন্তু তা বলে পানিপড়াতে কোন ঔষধীয় গুণাবলী নেই।
@অভিজিৎ,
আমি তো জানি, হোমিওপ্যাথিতে একটা medicine আবিস্কারের র্পূবে minimum ১০০ জন মানুষের উপর সরাসরি গবেষণা চালানো হয় । অ্যালোপ্যাথিতে কি তা করে ?? করে ইদুর এর উপর…ইতর শ্রেণীর প্রাণী আর মানুষের কি একই রকম physiology, pathology ??
Homoeopathy অবশ্যই একটা গবেষণালব্ধ science. হোমিওপ্যাথিতে একজন ডিগ্রীধারী ডাক্তার ও ছাত্র বলতে পারবে রোগ কি, তার কারণ কি বা মেডিসিন কিভাবে CNS system এ কাজ করে । Allopath রা কি এক জীবাণু ছাড়া রোগের আর কোন কারণ বের করতে পেরেছেন? বা কিভাবে তাদের মেডিসিন কাজ করে তার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন ? হাতুড়ে ডাক্তার নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই, কিন্তু একজন ডিগ্রীধারী (BHMS from DU) হোমিও ডাক্তার সরাসরি anatomy, physiology, pathology, forensic medicine, community medicine, pharmacy, medicine, psychology, philosophy, gynaecology, obstetrics প্রায় ৭-১০ বছর পড়ে, বুঝে তারপর certificate পায়। তাই বাটপারী বলার কোন সুযোগ নেই।
হোমিওপ্যাথ হচ্ছে অমিয় পথ, আর এলোপ্যাথ হচ্ছে এলোমেলো পথ।
@ফরিদ আহমেদ,
এক্কেবারে খাটি কথা।
তাই তো হোমিওপ্যাথির বড়িগুলি অমৃতের মতই মিষ্টি আর এলোপ্যাথিকগুলি তিতকুটে।
@আদিল মাহমুদ,
ছোট্ট একটু ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন আছে আমার মন্তব্যের বিষয়ে। উপরে যে মহান বাণীটি আমি লিখেছি সেটি কিন্তু আমার নিজের নয়। মন্তব্য করার সময় তাড়াহুড়ো থাকায় বিষয়টি বলা হয়নি। বাংলাদেশের একটি হোমিওপাথির বইয়ের ভূমিকায় সেই বইয়ের মহা পন্ডিত লেখক এই অমৃতবাণী প্রদান করেছিলেন। আমি শুধু সেই মহাজ্ঞানী ব্যক্তিটির কথাকেই উদ্ধৃত করেছি মাত্র। মুনি ঋষিদের বাণী সবারই জানা উচিত। নাকি, কি বলেন?
@ফরিদ আহমেদ,
এই মহান উক্তির তো তাহলে বানী চিরন্তনিতে স্থান পাওয়া উচিত। ঐ বইটা মক্তমনায় ই-বই হিসেবেও রেখে দেওয়া যায়। এখানের কারো কার মনে হয় হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান কিনা সন্দেহ থাকলেও রোগ সারালেও সারাতে পারে এই বিশ্বাস আছে।
আমার মনে হয় হোমিওপ্যাথী চিকিৎসা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় গুণ হল ডাক্তার(?) এর আন্তরিকতা ও শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার(এন্টিবডি) জন্য প্রদেয় প্রদত্ত সময়।
কিন্তু টিউমার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথী অব্যর্থ এটার বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি?
ডকিন্সের একটা ভিডিও না থাকলে হোমিওপ্যাথি নিয়ে আলোচনা অসম্পূর্ণ লাগে। নিচের ভিডিওটা দেখে নিন, মজাও আবেন, জ্ঞানও।
httpv://www.youtube.com/watch?v=8KbLHii8M2A
@দিগন্ত,
অনেকদিন ধরে তোমার লেখার খবর নাই। লেখা টেখা ছাড়ো…
নেচার/নারচার নিয়ে একটা লেখা লিখবে বলেছিলে…গেল কোথায় সেটা?
@অভিজিৎদা, ক্রিসমাসের ছুটিতে আসছে।
হোমিওপ্যাথী চিকিৎসা নিতে দেখিনি পরিবারের কোন সদস্যকে। আমার ধারণাও কম এ বিষয়ে। আচ্ছা- শুনেছি এরাও আ্যনাটোমি ফিসিওলজী পড়ে- তা হলে সেই জ্ঞানকে তারা কি ভাবে কাজে লাগায়? কারো জানা আছে কি?
@ক্যাথেরীনা,
আপনি লগ ইন করে মন্তব্য করুন। লগ ইন না করে মন্তব্য করলে মডারেটরদের এপ্রুভালের জন্য পড়ে থাকে। আপনার লগ ইন ইনফরমেশন একসময় ইমেইলে পাঠানো হয়েছিলো। লগ ইন করতে কোন সমস্যা বোধ করলে আমাদের জানান।
মুক্তমনার ডায়নামিক পরিবেশ বজায় রাখতেই ব্লগ সদস্যদের লগ ইন করে মন্তব্য করতে উৎসাহিত করা হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
হোমিওপাথি ওষুধে কাজ হয় না এমন না-তবে কি করে কাজ করে আমি জানি না। পেটের রোগে হোমিওপ্যাথি খেয়ে কিছু ভাল ফল পেয়েছি। ডাইল্যুশন ইনফাইনাইট হলে এমন হওয়ার কথা না। তবে পি পি এম লেভেলে ডাইলুশন হলে আনবিক মবিলিটি রৃদ্ধি পায় সেটা জানা কথা-তার জন্যে কি কিছু সুবিধা হয়?
যাইহোক হোমিওপ্যাথি অবশ্যই অবৈজ্ঞানিক-কিন্ত এলেপ্যাথিকেও সম্পুর্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক না বলে অভিজ্ঞতা ভিত্তিক বলা ভাল। বিভিন্ন ঘটনাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপরে আমার আস্থা এত কমে এসেছে, নিজের জন্যে গত ১০ বছরে একবার ও ডাক্তারের কাছে যায় নি ( একবার হাত ভাঙা ছাড়া)।
@বিপ্লব পাল,
বলেছেন ভাল।
ডাক্তারদের অনেক কথাবার্তাই রহস্যময় লাগে। খুব ছোটবেলায় জ্বর হলে পরামর্শ দেওয়া হত কম্বলমুড়ি দিয়ে পড়ে থাকতে, তারপর বলা হল তা ঠিক নয়; খোলামেলা থাকাই ভাল। এ তো শুরু। এরকম বহু উদাহরন আছে।
ডায়েট বিষয়ল অনেক সম্পূর্ণ বিপরীত পরামর্শের উদাহরন আছে। চিরজীবন জেনে এসেছি সবুজ শাকসব্জী অত্যন্ত উপকারী, সেদিন একটা আর্টিকেল দেখলাম তারা বলছেন এগুলির বেশ কিছু খারাপ দিক ও আছে।
@বিপ্লব পাল,
কেন, আপনি না বললেন-
আপনার তো দেখছি হোমিওপ্যাথি লাগবে 🙂 ।
হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানসম্মত নাকি অপবিজ্ঞান -এই তর্কে না জড়িয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও কান্ডজ্ঞান থেকে বলছি যে, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য নানা রকম চিকিৎসা (অপচিকিৎসার কথা বলছি না ) পদ্ধতি যথা এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি , আকুপাংচার ইত্যাদি প্রচলিত আছে । এই প্রতিটা পদ্ধতির শক্তি ও দূর্বলতা (সীমাবদ্ধতা ) আছে , ভাল ও মন্দ দিক আছে । এলোপ্যাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীর মৃত্যুও ঘটে । হোমিওপ্যাথে নাকি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এমন দাবি করা হয় । ক্রিয়াই যেখানে মন্দ ঘটাতে সক্ষম সেখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরকার কি ?
হোমিওপ্যাথেও রোগ সারাতে কিছু ভূ্মিকা রাখে -বিপ্লব ভাইয়ের সাথে আমিও এমন মনে করি । কবিগুরুও মনে করতেন এবং তার জমিদারি এলাকায় তিনি চিকিৎসা সেবা দিতেন ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কি ডাক্তার ছিলেন?
এই ব্যপার নিয়ে আমি আসলেই সন্দিহান। অনেকের অনেক রোগ আমি এই হোমিওপ্যথি খেয়ে ভালো হতে দেখেছি।পাইলসের মত রোগ ও নাকি হোমিওপ্যথি তে সেরে গেছে! কে জানে!
আমাদের চট্টগ্রামে বাদল ডাক্তার নামে এক বিখ্যাত হোমিও ডাক্তার আছেন যার বদৌলতে আমার আত্নীয়দের অনেক ছোট খাট রোগ সেরে গেছে। সে নাকি অনেক জটিল রোগেরও চিকিৎসা করে এবং ভালো করে দেয়।
আমার নিজের ই অভিঞ্জতা আছে বিপদে পড়ে হোমিও ডাক্তারের কাছে যাওয়ার- অন্য ডাক্তার না পেয়ে।
তবে ছোট বেলায় অন্যের ঔষধ ও খেয়ে ফেলতাম মিষ্টি বলে।
@আদিল ভাই,
এই লেখাটা প্রথমে সম্ভবত “আমরা যুক্তিবাদী”র জানু ০৯ সংখ্যায় বের হয়েছিল।
আর ডাইলুটটা বুঝতে হলে প্রথম প্যারাটা মনযোগ দিয়ে পড়ুন। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
পড়েছি, তবে বুঝতে পারছি না। এমন অর্থহীন তত্ত্ব কি করে তাদের শাস্ত্রে ব্যাবহার হয় তার নিশ্চয়ই কোন ব্যাখ্যা থাকতে হবে?
যতই হালকা দ্রবন তৈরী করা যায় ততই শক্তিশালী ঔষধ এটার যুক্তি হোমিওপ্যাথি মতে কি হতে পারে তাই ভাবছি।
@আদিল মাহমুদ,
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা দাবি করেন, যতই দ্রবণ ডাইলুট করে পাতলা করা হবে, ততই নাকি অষুঢের গুণাগুণ বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য তারা এক গামলা পানিতে এক বিন্দু ওষুধ দিয়ে প্রথমে খুব করে ঝাঁকান। তারপর সেই দ্রবীভূত দ্রবণ আরো দ্রবীভূত করে আবারো ঝাঁকিয়ে, তার থেকে দশভাগ নিয়ে আবার সেটাকে আরও এক গামলা পানিতে ছাড়েন… তারপর তরল করে তারপর আবার…আবারও… দশ ভাগ নিয়ে … এভাবে লঘু থেকে লঘুতর দ্রবণ তৈরি করার খেলা চলতেই থাকে। তারা দাবী করেন এভাবে যত ডাইলুট করা হবে, তত নাকি ওষুধের শক্তিমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বাস্তব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এভাবে কয়েক তরলীকরণের পরে ওষুধের গুণসম্পন্ন একটি অণুও অবশিষ্ট থাকতে পারে না সেই দ্রবণে। হোমিওপ্যাথিক বোতলের গায়ে 30X শক্তিমাত্রা যদি লেখা থাকে তার মানে হচ্ছে সেটাকে উপরের পরীক্ষার মত 1,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000 বার ‘লঘুকরণ’ করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির এক কোনায় এক বিন্দু ওষুধ ছেড়ে দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য দিকে (মানে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে) গিয়ে যদি আপনি সেই মহাসাগরের পানি এক খাবলা পান করে্ন, তবে আপনার রোগ সারার সম্ভাবনা যতটুকু হোমিওপ্যাথিতে রোগ সারার সম্ভাবনা প্রায় ততটুকুই।
এই ব্যাপারটা আসলে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেনীর রসায়নের জ্ঞান দিয়েই গানিতিকভাবে প্রমাণ করা যায়। ঐ যে মাদের কেমেস্ট্রি বইয়ের এভোগেড্রোর প্রকল্পের কথা মনে আছে? ওই চ্যাপ্টার টা খুলে দেখুন। আপনি নিজেই ধানাই পানাই বুঝে যাবেন। এর আগে ভিক্টর স্টেঙ্গরের একটা ভাল লেখা প্রকাশিত হয়েছিল এ নিয়ে। সেটা পাওয়া যাবে এখানে।
এছাড়া স্কেপ্টিক ডিকশনারীতেও কিছু ভাল তথ্য সন্নিবেশিত আছে। দেখুন এখানে।
@অভিজিৎ,
কিভাবে তত্ত্বটা কাজ করে তা বুঝতে পেরেছি, এভোগেড্রোর সংখ্যার কথাও মনে আছে।
কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছি না এই তত্ত্বের যথার্থতা তারা কিভাবে দাবী করেন?
এটা তো সাধারন জ্ঞানের পরিপন্থী, উচ্চতর রাসায়নিক বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা বাদই দিলাম। সাধরনভাবে, আমার যদি মাথা ব্যাথা হয় আমি টাইনেলন বা প্যারাসিটামল খাব। এখন আমি যদি একবারে দুইটা খাই (একই মাত্রার) তবে ব্যাথা তাড়াতাড়ি সারার সম্ভাবনা, একটা খেলে একটু দেরী সারার সম্ভাবনা।
কিন্তু কেউ যদি আমাকে বলে যে পেইন কিলার কাজ করবে সবচেয়ে বেশী যদি তুমি একটাকেই ভেঙ্গে চুরে তার ১০০০ ভাগের এক ভাগ খেলে, তাহলে প্রথমেই তো আমি জানতে চাইব এহেন অদ্ভূত ব্যাবস্থার যুক্তি কি? তারা যদি গবেষনা বা পরীক্ষা করে এক এক রোগের জন্য এক এক মাত্রা ঠিক করে সে আলাদা কথা। তাদের আবিষ্কৃত ওষুধ, তাদের গবেষনালব্ধ মাত্রা। কিন্তু সাধারণভাবে কি করে বলা যায় যে যেকোন ওষুধই যতই পাতলা করা যায় তার গুন বৃদ্ধি পায়?
@আদিল মাহমুদ,
কখনও যদি আমাদের বাস্তবে দেখা হয় তবে এই মন্তব্যটির জন্য আমার কাছ থেকে আপনার একটি আলিঙ্গন পাওনা থাকলো আদিল মাহমুদ। :yes: :yes: :yes:
@আল্লাচালাইনা,
চিন্তায় ফেললেন দেখি, কখনো রুয়েল লাইফে দেখা হয়ে গেলে দূরে দূরে থাকব। 😀
@আদিল মাহমুদ,
you better :laugh: :laugh: :laugh:
@অভিজিৎ,
হোমিওপ্যাথির কম ডাইলুট করা ওষুধেও কি কোন কাজ হয় না?
@ডারউইনের ভুত,
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া মুশকিল। হোমিওপ্যাথদের দাবীই হচ্ছে যতবেশি ডাইলুট করা হবে তত নাকি ওষুধের গুণ বাড়ে। এখন কেউ যদি বলেন কম ডাইলুট করা ওষুধেও কি কোন কাজ হয় কিনা – সেটা একটা দার্শনিক প্রশ্নের মতো হয়ে দাঁড়ায় – একজন বিলিয়নারের একটু কম টাকা থাকলে তাকেও গরীব বলা যায় কিনা- এরকমের!
হোমিওপ্যাথির অন্যান্য দাবীগুলোও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। স্কেপ্টিক এর লেখাটা দেখুন।
ডকিন্সের ভিডিও যেটা দিগন্ত মন্তব্যে দিয়েছে সেটা দেখুন,
জেমস র্যান্ডির এই ভিডিওটাও দেখতে পারেন –
httpv://www.youtube.com/watch?v=BWE1tH93G9U
@আদিল মাহমুদ,
এই প্রশ্নের উত্তর বিপ্লব রহমান (বিপ্লব পাল নয়) দিয়েছে নীচে।
:yes:
লেখাটি আগে খুব সম্ভব যুক্তি পত্রিকায় দেখেছিলাম। খুবই প্রয়োযনীয় লেখা, আমারো আগে ধারনা ছিল হোমিওপ্যাথি পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত। নাহলে আমাদের দেশের মীরপুরে সরকারী হোমিওপ্যাথি কলেজ আছে কেমন করে?
তবে যাই বলুন, হোমিপ্যাথের মিষ্টি মিষ্টি বড়িগুলি খেতে ছেলেবেলায় বেশ মজা লাগত।
যদিও হোমিওপ্যাথির মূলনীতি অষুধকে বার বার ডাইলুট করার মানে কি বুঝলাম না। তাদের ব্যাখ্যা জানতে ইচ্ছে করছে।
যদিও বাংলাদেশের শিক্ষিত শ্রেণী খুব একটা পা মাড়ায় ওদিকে এমনকি কোন এমপি বা মন্ত্রিকেও শোনিনি কোন হোমিও কলেজ হসপিটালে ভর্তি হতে কারণ তাদের নিশ্চিত জানা আছে এগুলো বাটপারি, তবু সরকার এতগুলো হোমিও কলেজ এবং আয়োবের্দীয় কলেজ বানিয়ে দেশে হাজার হাজার বাটপার, প্রতারক কেন বানাচ্ছে।বাটপার ,প্রতারক শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি করার আগে সত্যিই সত্যিই তাদের কাছে গিয়ে দেখুন। তাদের কথার ধরন দেখলেই বুঝতে পারবেন অসুখের মত সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এডভাইজ দেবার যোগ্যতা আদৌ তাদের আছে কিনা। প্রথমেই তারা এলোপ্যাথির চৌদ্দ গোষ্টির বিরোদ্ধে একটা লেকচার দেবে যাতে রোগি এখন কেন অদুর ভবিষ্যতেও যাতে এলোপ্যাথির কাছে না যায়। তারপর বেশ কিছু উদাহরণ দেবে বিখ্যাত অমুক লাখ লাখ টাকা খরচ করে ,ইন্ডিয়া ঘুড়ে এসে ভাল না হয়ে অবশেষে তার কাছে হোমিও চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। আর ক্যানসার, ব্রেণ টিউমার ইত্যাদি জটিল ব্যাধির ১০০% গ্যারান্টির বিজ্ঞাপন গুলোর কথা নাইবা বললাম।
যা বলছিলাম প্রতারণার সরকারি লাইসেন্স তারা পেলে ,যারা জারফুক, কবিরাজি, যাদুটোনা ,পীর-ফকিরের দোয়া দেয় তারা কেন পাবেনা? কি জানি ভবিষ্যতে ধান কণ্যা বা আপোষহীন নেতা-নেত্রীর নামে এসবের কলেজও দেখতে পারব হয়তো!আর হুজুরে সাইদাবাদীরা হয়তো এসবের মন্ত্রিও হতে পারেন।
এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@হেলাল, হোমিওপ্যথি বিঞ্জান নয় বিঞ্জানের চেয়েও আধূনিক তাই বলেই সূক্ষমাত্রা স্থুলু মস্তিকে এগুলো ঢুকবে না । কারন পারমানবিক , আইফোনের যুগে যারা ভেজাল ময়দার গোল্লা (ট্যবলেট) খান তাদের মস্তিকে এগুলো ঢোকার কথাও না । বর্তমান এলোপ্যাথি চিকিৎসা কেন্দ্র কষাইখানা ছাড়া আর কিছুই না , আর অধিকাংশ ডাক্তারই, ভেজাল ময়দার গোল্লা (ট্যবলেট) কোম্পানির মালিক এবং ল্যবরেটরির মালিকদের গোলাম ছাড়া আর কিছুই নয় । শিক্ষিত শ্রেণী, এমপি, মন্ত্রি, রাষ্টপতিরা হোমিও চিকিৎসা নেন বা নিয়েছেন কিনা তা আপনি জানেন না । আশাকরি আপনি শিক্ষিত একটু পড়াশুনা করেই মন্তব্য করবেন …..
@মোর্শেদ,
ভাল বলেছেন! (Y)
@হেলাল,
আমার বাসা মিরপুর ১৪ সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এর পাশে তো একদিন ওখানকার হাসপাতালে গিয়েছিলাম একটা কাজে সেখানে ১ বেডে দেখলাম ১৩/১৪ বছরের ১টা ছেলে তার পায় কাল ক্ষত নিয়ে শুয়ে আছে। কথা বলে জানতে পারলাম ওর নাকি পায়ে গাংগ্রীন হয়েছে এবং পায়ের গোরালির নিছ থেকে কোন সেন্স নেই।আর ও জানতে পারলাম ও নাকি এর আগে ঢাকা মেডিকেল এ ছিল অনেকদিন সেখান ডাক্তাররা নাকি পা কেটে ফেলার কথা বলেছিল তাই সে ওখান থেকে চলে এসেছে এবং তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে এখানে ভর্তি হয়েছে।তার প্রায় তিন থেকে চার মাস পরে একদিন জুম্মার নামাজ পরতে ওখানকার কলেজ মসজিদে যাই।কলেজ এর ভিতরে ঐ ছেলেকে দেখে কিছুটা আগ্রহ নিয়ে যাই এবং দেখতে পেলাম তার পা প্রায় অনেকটা ভাল(ক্ষত ভরাট হয়ে পুরবের মত) হয়ে গেছে এবং তাতে সে অনেক খুশি। তো আপনারা যারা বলেন হোমিওপ্যাথিতে কাজ করে না তারা এটাকে কী বলবেন। তারপর আর একটা কথা বলি কিছুদিন আগে আমার কাশি হয়েছিল, তো এক ফারমেসী (এল এম এফ ডাক্তার)থেকে ঔষধ নিয়ে খেলাম কাশি যায় না। কি করবো লাস্ট এ হোমিওপাথি হসপিটাল থেকে ১০টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ঔষধ নিয়ে সেবন করি।দুই দিনের মধ্যে আমার কাশি কমে যায়।তিন দিনের দিন আমি পুরা সুস্থ। আমি নিজে ও একসময় হোমিওপাথি পছন্ধ করতাম না। কিন্তু এ দুইটা কেইস দেখার পর আমি নিজে ও হোমিওপাথি ভক্ত হয়ে যাই। তবে আমি এটা মানি কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোমিওপাথি কাজ করেনা। তাই বলে হোমিওপাথি কাজ করে না এটা আমি মানি না।আর প্রতীটা প্যাথিরই তো কিছু না কিছু দুরব্লতা আছে।আলোপ্যাথি কি সব ভাল করতে পারে? আশা করি সেটা আপ্নারা সবাই ভাল জানেন আমার বলতে হবে না। সঠিক ঔষধ সিলেকশন না হলে হোমিওপ্যাথি অনেক সময় কাজ করেনা। এখন কোন ডাক্তার এর দুরব্লতার জন্য তো হোমিওপাথির ব্যারথতা বলা যাবেনা। হোমিওপাথি একটা জিনিস মেনে চলে আর তা হল like cure likes মানে যা রোগ তৈরী করতে পারে তা রোগ ভাল করতে পারে আপ্নারা যারা বলেন হোমিওপ্যাথি কাজ করে না আমি তাদের একটা কথা বলব আপ্নারা ঔষধ খেয়ে দেখেন। যেখানে মাত্রা এবং পটেন্সির ভুলের কারনে অনেক সময় রোগ অনেক সময় বেরে যায় আর আপ্নারা বলেন কাজ করেনা।আমি বলবো আপনারা কোন পাশ করা ভাল ডাক্তার এর কাছ থেকে ঔষধ খেয়ে দেখেন কাজ করে কিনা। কাজ ই যদি না করত তাহলে হোমিওপাথি এত যুগ যুগ ধরে চলে আসতে পারত না। আর একটা কথা বলব সেটা হল অনেকে বলেছেন টিভিতে add এর কথা, আমি বলব যারা জানে এবং রোগী ভাল করতে পারে তাদের add দরকার পরে না এবং যারা ভাল ডাক্তাররা add দেয় না।যারা দেয় তারা অনেক ক্ষেত্রে রোগী ভাল করতে পারে না এবং অনেক সময় দেখা যায় তাদের কোন ডীগ্রী নাই। সবাই ভাল থাকবেন। আমার এ লেখাটি এর আগে এই লিঙ্ক এ প্রকাশিত হয়েছে।
@হেলাল,
আজাইরা প্যাচাল আপনার ভাল লাগে না খাইয়েননা, মানুষকে ভড়কানোর কি দরকার। রোগ ভালো না হলে যুগ যুগ ধরে এই পদ্ধতি চলতো না, এত জনপ্রিয় হোত না । অনেকে বলেন এটা একটা বিশ্বাস আরে মিয়া বিশ্বাস করেও যাদি রোগ ভালো হয় তো খারাপ কি।আর এটা যদি কাজ না করত তাহলে এর উপর মানুষ বড় বড় ডিগ্রী নিত না। বাংলাদেশেওতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে হোমিওপ্যাথির গ্রাজুয়েশ্ন কোর্স চালু আছে । খোজ নিলে হাজারো উদাহরন পাবেন যারা হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে অনেক ভাল আছেন।অনেক ভাল ভাল হোমিও ডাঃ আছে যাদের এপয়েনমেন্ট পেতে হলে তিন চার ঘন্টা সিরিয়ালে থাকতে হয়। প্রতারক চক্র সব প্যাথিতেই আছে শুধু হোমিপ্যাথিতে নয়, কতিপয় গুটিকয়েক ভন্ড প্রতারকের জন্যতো আর হোমিওপ্যাথি খারাপ হতে পারেনা।
অসাধারণ। আসল জায়গাটা ধরতে পেরেছেন। যারা পানি খেয়ে ভালো হতে চায় হোক। ওদের বুঝানো যাবেনা লাইক কিওর লাইক নীতি। বকেই যাবে সারাদিন। পড়াশুনা না থাকলে যা হয়। নেটে যদি সার্চ করি হোমিও এর বিফলতা লিখে তাহলে সেটাই সামনে আসবে। কারণ এই বিদ্যা এলোপ্যাথির ব্যবসার ভিত্তি নড়িয়ে দিতে সক্ষম। এতো সার্চ না করে নিজের উপর প্রয়োগ করলেই লেটা চুটে যায়। হোমিও অব্যর্থ ভাবে কাজ করে সবসময়। ঔষধ নির্বাচন ভুল হলে সেটা ডাক্তারের ব্যর্থতা। ওমুক বিজ্ঞানী কি বলে সেগুলা না ঘেটে নিজে যাচাই করেন। কারণ ওমুক বিজ্ঞানী টাকা খাইসে কিনা আপনি সিওর না। প্রতিবাদী জনতার দাবি হতে পারে হোমিও কিভাবে কাজ করে কেউ জানে না এর শারীরিক মেকানিজম। সেটা হয়ত সঠিক দাবি। সাধরণ ভাতের কথাই ধরেন। কখোনো কি পুরোপুরি জানা সম্ভব, যে ভাত শরীরে কি কি চেঞ্জ আনে। শুধু আমরা জানি এটা কার্বোহাইড্রেট। এটা শক্তি উৎপাদন করে। কিন্তু যুগ যুগ মানুষ এটা খাইছে আর তারা ভালো আছে। তাই অভিজ্ঞতা বড় ব্যপার। হোমিও-ও তেমন কাজ করে। হয়ত ভবিষ্যতে মানুষ আরো বেশি জানবে এর ব্যপারে। কিন্তু রোগ যে সারে সেই বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। গাছের রস থেকে অনেক ঔষধ তৈরি হয় হোমিও তে। প্রতিবাদী জনতা আবার শিকার করবেন যে কিছু গাছের ঔষধি গুণাবলি আছে। আবার তারাই বলেন হোমিও কাজ করবে না। কি রকম স্ববিরোধী মানুষ জন ভাবলেই হাসি পায়।
আপনার হোমিওঃসম্পর্কে কোন ধারনা নেই। :lotpot: