তবুও আমাকে এই ধরীত্রির মায়া ত্যাগ করতে হবে
আমি যতই তাকে ভালবাসি না কেনো
তবুও আমাকে তোমার তীব্র আকর্ষন উপেক্ষা করতে হবে
যতই তোমাকে ভালবাসি না কেনো
ভালবাসি না যতই এই পৃথিবীর শীতল উত্তপ্ত হাওয়া
আমাকে যেতেই হবে
জানি আগুন হয়ে ওঠা কৃষ্ণচূড়া আমি একদিন দেখব না
দেখবনা পানিতে ভেসে থাকা পদ্ম
দেখব না নির্মল হাওয়ায় হয়ে ওঠা সূর্যদয়
দেখব না গ্রীষ্মের উত্তপ্ত বাতাসে হয়ে যাওয়া সূর্যাস্ত
আর কখনও তোমার পাশে বসব না নদীর তীরে
তোমার ঠোটে ঠোট রাখতে কখনোই অধীর হবনা
তোমাকে একদিন মাত্র না দেখার জন্য বিনীদ্র রজনী কাটাব না
আমার অবশ হয়ে আসা অনুভুতিগুল বোধকরি আর কোনদিনই জাগবে না
অভাগাদের অধিকার আদায়ের জন্য হয়ত বা আর কখনোই স্লোগান দেব না
যেতে পারব না কখনোই মিছিলে দৃপ্ত পায়ে
তোমাকে নিয়ে আর কখনোই সপ্ন দেখতে পারব না
আমার আর কখনোই কবি হওয়া হবে না
আমি বেচে থাকতে চাই আরও কয়েক হাজার বছর
বাসতে চাই ভাল তোমাকে
ভালবাসা পেতে চাই মানুষের
হারিয়ে যেতে চাই তোমাতে
@সবাই,
আমি ২০০৪এ ssc দিয়েছি। সুতরাং এখন থেকেই সাবধান আমাকে কেউ যেন আপনি করে না বলে। পরশ পাথর কে দেখলাম আমাকে সাহেব বানিয়ে ফেলল। 😀
এরপরও যদি কর ভুল হয় তাহলে কিন্তু… :guli:
অসাধারণ। এ বিষয়ে আমারও কিছু শব্দগুচ্ছ আছে। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম কেন সেগুলো কবিতা পদবাচ্য নয়! অনবদ্য লিখেছেন।কবিতা অঙ্ক নয়,তাই চার তারা। 🙂 :rose2: :yes:
ফরিদ অহমেদ,
ওফস্ দারুন! আমিও অনেক অনেক কাল বেঁচে থাকতে চাই এই মানুষের মাঝে, মানুষের কোলাহলে। গানটি যখন শুনছিলাম, মনে পড়ে যাচ্ছিল কবি জীবনানন্দদাসকে, কবি সুকান্তকে, জানিনা কেনো। যে অপার নৈকট্যকে হাতছানী দিয়ে ডাকে এ গান, অসাধারন! সেই একই আকুতিই যেনো ভাস্মর হয়ে উঠেছে সাইফুল ইসলামের কবিতায়। কেয়ার কন্ঠে কবিতাটি শোনার ইচ্ছে রইলো! অভিজিৎ দা’র তুলে দেয়া স্ক্রীপ্টটা সম্ভাব্য (যদি কখনো ঘটে) দুর্যোগ মোকাবেলায় সংরক্ষিত রইলো। 😀
😎 :yes:
অমরত্বের প্রত্যাশা নেই নেই কোন দাবী দাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকে চাওয়া
মুহূর্ত যায় জন্মের মতো অন্ধ জাতিস্মর
গত জন্মের ভুলে যাওয়া স্মৃতি বিস্মৃত অক্ষর
ছেঁড়া তাল পাতা পুঁথির পাতায় নিঃশ্বাস ফেলে হাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া
কাল-কেউটের ফনায় নাচছে লখিন্দরের স্মৃতি
বেহুলা কখনো বিধবা হয় না এটা বাংলার রীতি
ভেসে যায় ভেলা এবেলা ওবেলা একই শবদেহ নিয়ে
আগেও মরেছি আবার মরবো প্রেমের দিব্যি দিয়ে
জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমারই কোলে
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকে আবার দেখবো বলে
বার বার ফিরে এসেছি আমরা এই পৃথিবীর টানে
কখনো গাঙর কখনো কোপাই কপোতাক্ষর গানে
গাঙর হয়েছে কখনো কাবেরী কখনো বা মিসিসিপি
কখনো রাইন কখনো কঙ্গো নদীদের স্বরলিপি
স্বরলিপি আমি আগেও লিখিনি এখনও লিখিনা তাই
মুখে মুখে ফেরা মানুষের গানে শুধু তোমাকেই চাই
তোমাকে চেয়েছি ছিলাম যখন অনেক জন্ম আগে
তথাগত তার নিঃসঙ্গতা দিলেন অস্তরাগে
তারই করুনায় ভিখারিনী তুমি হয়েছিলে একা একা
আমিও কাঙাল হলাম আরেক কাঙালের পেতে দেখা
নতজানু হয়ে ছিলাম তখন এখনো যেমন আছি
মাধুকরী হও নয়নমোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই
আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার
আমি ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চিৎকার
দুঃখ পেয়েছ যতবার জেনো আমায় দিয়েছো তুমি
আমি তোমার পুরুষ আমি তোমার জন্মভূমি
যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা
কতো সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা
বার বার আসি আমরা দুজন বার বার ফিরে যাই
আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকেই চাই …।
@অভিজিৎ,
সুমনের এই গানটা আমার খুব প্রিয় একটা গান। কিন্তু কিছু হিডেন মিনিং আছে, যেটা আমার ধারণা আমি বুঝিনা। কেউ কি প্রতি লাইনের একটা ছোট্ট করে ব্যাখ্যা দিতে পারেন? আমার ধারণা এই গানের ব্যাখ্যা খুব ইন্টারেস্টিং হবে।
আরেকটা প্রিয় গান আছে আমার, যার অর্থ আমার কাছে পরিষ্কার নয়। কেউ জানলে এই গানটার ব্যাখ্যাটাও জানাবেন। দলছুটের ‘বায়োস্কোপ’।
সাইফুল সাহেবকে ধন্যবাদ। উনার লেখার রেফারেন্স ধরে আমরা এইসব গান নিয়ে কথা বলতে পারছি।নীচে বায়োস্কোপ গানটার লিঙ্কটা দিলাম।
বায়োস্কোপ গানের লিঙ্ক
অমরত্ত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোন দাবী দাওয়া;
এই নশ্বর জীবনের মানে অমরত্ত্বই চাওয়া। 🙂
@পরশ পাথর,
আমিও অমরত্বের বিপক্ষে একই কারণে। বারে বারে ফিরে আসতে চাই বুকের ভিতরে জমানো অতৃপ্তিটুকু নিয়ে, না পাবার বেদনাটুকু নিয়ে।
@ফরিদ আহমেদ,
“ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই।”
ফরিদ ভাই, এই লাইনগুলোর মানে কি? কোথাও ধর্মঘট-টর্মঘট হচ্ছে না কি? ব্যারিকেড দিতে চায় কেন? আপনিতো মুক্তমনার পুলিশ। যেহেতু এখানে ব্যারিকেড দেবার ব্যাপার আছে, সেহেতু পুলিশ হিসেবে আপনারও কিছু একটা করবার আছে। দয়া করে ব্যারিকেডটা সরান এবার।
@পরশ পাথর,
এত দুষ্ট দুষ্টু কথা কোথায় শিখলেন? পশ্চিমে আপনার যাওয়াটা একেবারেই ঠিক হয়নি। পূবে থাকতে কত ভাল ছিলেন আপনি।
@ফরিদভাই,
কিন্তু ফেরা যে যায় না,এটাই দুঃখ।
অল্প আর বেশীতে তুষ্ট বুঝিনা, আমি অমরত্ত্বের পক্ষে।
সাইফুল ইসলাম,
মুক্তমনায় স্বাগতম। প্রথম দিকে এসে অনেক কমেন্ট করলেও এখন আর আপনাকে দেখা যায় না। আপনি তো বলতে গেলে হারিয়েই গিয়েছিলেন। পুনর্দমে মুক্তমনায় ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। মুক্তমনার সাথে থাকুন এবং আলোচনায় অংশ নিন।
কবিতাটি ভাল লেগেছে।
(বিদ্রঃ আপনার প্রোফাইলের ছবিটা আসছে না, এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমি রাতে বাসায় ফিরে ঠিক করে দেব)।
@অভিজিৎ দা,
মুক্ত-মনা আসলে আমার রক্তে ঢুকে গেছে,আমি চাইলেও এখন মুক্ত-মনাকে ছাড়তে পারব না। 🙂
প্রতিটি লেখাই পড়া হয় কিন্তু কেন যেন কমেন্ট করা হয় না।এবার থেকে নিয়মিত হব ইনশাআল্লাহ( 😀 )
ধন্যবাদ অভিজিত দা কমেন্টের জন্য।
@ভাই সাইফুল,
কবিতা টা পছন্দ হয়েছে, চমৎকার আবৃত্তি যোগ্যতা আছে। আমার আবৃত্তির খেড়োঁ খাতায় তুলে নিলাম।
@কেয়া,
ধন্যবাদ কেয়াদি।
@আদিল মাহমুদ,
অমরত্বকেও অন্যচোখে দেখি 🙂
আক্ষরিক অর্থে যে মৃত্যু তার আগে যেন মনের মৃত্যু না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে চাই। মরার আগ পর্যন্ত যেন অমর থাকা যায়,শুধু এটুকুই(!) চাওয়া ।
@নিবেদিতা,
🙂
বলেছেন ভাল। আমি বেরসিকের এমন কবিসূলভ চিন্তা মাঠায় খেলে না। তবে মনের মৃত্যু ঘটে গেলে আর দেহ বয়ে বেড়াবার কোন মানে দেখি না। সেটা হবে অর্থহীন বোঝা।
@বোন নিবেদিতা,
আমি অনেক কে জানি যারা শুধু মাত্র মরছেন না বলেই বেচেঁ আছে্ন অথবা “পলায়নী আত্মহননের” পথ বেছে নিয়েছেন। আপনার উচ্ছ্বাসের সাথে বেচেঁ থাকার দৃঢ়তা দেখে ভালো লাগছে। আশা করছি নতুন বছরে নতুন করে চিন্তা করে অনেকেই আপনার মত আনন্দ নিয়ে বেচেঁ থাকুক।
@আদিল ভাই,
আমার কিন্তু সত্যিই হাজার বছর বাচতে ইচ্ছে করে।আসলে আমার মনে হয় এই ক্ষুদ্র জীবনে খুব বেশি কিছু পাওয়া যায় না,বা জানা যায় না।কিন্তু আমার জানার,পাওয়ার, দেয়ার ইচ্ছা খুবই বেশি।সেটাত আর এই অল্প কয়েক দিনে সম্ভব না,তাই এই আকুলতা। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আসলেই তাই, আমাদের মানব জীবন এইদিক দিয়ে বেশ সীমিত। মাঝে মাঝে মনে হয় সাগরের কাছিম হলে বুঝি জীবনটাকে আরো বেশী উপভোগ করা যেত 🙂
কারো কাছে হাজার বছর ও কম হতে পারে, মনে হয় আমরা যদি জানতাম যে গড় আয়ূ হাজার বছর তাহলে হয়ত বলতাম ১০ হাজারই বা কেন বাচব না?
সেই আবেগ অনুভূতিকে কবিতার ছন্দে ফুটিয়ে তোলার জন্য ধণ্যবাদ।
@আদিল ভাই,
“মাঝে মাঝে মনে হয় সাগরের কাছিম হলে বুঝি জীবনটাকে আরো বেশী উপভোগ করা যেত ”
মজার কথা বলছেন তো আদিল ভাই। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
@সাইফুল ইসলাম,
আমার যেহেতু ৪০০ বছর বাচার তেমন সাধ হয় না তাই কাছিম জীবন লাভের হাহাকার তেমন বড় মনে হয় না। তবে এ প্রসংগে একজনের কথা মনে পড়ল।
আমাদের এক বন্ধু ছিল বেশ একটু বড়সড় সাইজের, নাম ছিল আবু তাহের জাতীয় কিছু।
তাকে স্নেহ করে আবু কাছিম বলে ডাকা হত।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাইরে বাঁইচা থাকার মানে একেক সময় একেক রকম লাগে! যেমন এখন আমার বাঁচার ইচ্ছা খুব কম।
হয়তো বা প্রেম করলে নতুন করে ইচ্ছা জাগ্রত হবে।আমি মাঝেমধ্যে চরম হতাশা বাদী হয়ে যাই,তখন মনে হয় মরলেই বুঝি ভালো হয়।
যাই হোক কবিতাটা ভালই। ধন্যবাদ
যদি সত্যিই হাজার বছরের আয়ু পাওয়া যেত! এই আকুতি যেন সবারই!
ভাল লাগল কবিতাটি পড়ে 🙂
@নিবেদিতা,
আমার কিন্তু হাজার বছর বাচতে তেমন ইচ্ছে করে না।
শ দুয়েক হলেই খুশী হতাম 🙂
অল্পতেই তুষ্ট।
@আদিল মাহমুদ,
যেহেতু হাজার বা শত বছর বাঁচা অসম্ভব তাই যেটুকু সময় হাতে তার পুরোটা ভোগ করে নিতে চাই,পুরোপুরি নিজের ইচ্ছেমত ।
অল্পে আমিও তুষ্ট কিন্তু ‘অল্প’কে একেকজন হয়ত একেকভাবে সংজ্ঞায়িত করবে!
@নিবেদিতা,
শতভাগ সহমত। :yes:
@নিবেদিতা,
তাও ঠিক, সাধে কি আর কত পাগল ছাগলে অমরত্ত্বের পিছে দৌড়ায় :laugh:
@আদিল মাহমুদ,
শ’দুয়েক বছর আয়ু হলে কি করতেন? ভেবেছেন ফুয়াদের সাথে ফাটাফাটি বাহাসটা শেষ করে ফেলতেন ফট করে। দূরাশা, বড়ই দূরাশা! এই বিবাদ মেটাতে কাছিম জন্মেও হতো না আপনার। আর্ডি ফসিলের সমান আয়ুর প্রয়োজন হবে বলে দিচ্ছি। 😉
@ফরিদ আহমেদ,
ওনার কাছে আগেই আমি হার মেনে নিয়েছি, এবং সত্য বলতে হার মানা যে এমন প্রগাঢ় শান্তিময় অভিজ্ঞতা হতে পারে আগে জানা ছিল না। আপনি তো দেখছি আমার যায়গা নিয়েছেন, সহসাই শান্তির পথে এসে যাবেন আশা করি।