অন্ধকার,চারপাশে শুধুই অন্ধকার দেখি,
মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য কি?
মানুষ কেন জীবনের উপাসনা করে?
শুধু বাঁচার জন্যই কি বেঁচে থাকা?
নাকি মৃত্যুর জন্য জেগে থাকা?
আমিতো বাঁচতে চাইনা!
আবার কেন যেন, কেন যেন মরতেও চাইনা!
এই কি বেঁচে থাকা?
পাওয়া-না পাওয়া,চাওয়া-না চাওয়ার দদুল্যমান
স্বপ্ন দিয়ে মৃত্যুর ছবি আঁকা?
কে জানে! আমিই বা কতটুকুই বুঝি!
তবুওতো সবাই বেঁচেই আছে,
কেউ বা বেঁচে থাকার জন্য,কেউ বা মৃত্যুর জন্য।
নজরুলের মহান দারিদ্র্যের কাঁটা মাথায় নিয়ে
শুকনো হাড়জিড়জিড়ে এক একজন যীশু!
অনাহারে,রোগের ভারে দূর্দশা মাথায় নিয়ে
মৃত্যুর জন্য দিন গোনা,
চোখের জল কি তাদেরও লোনা?
নাকি তাদের চোখের জল ফেলাও পাপ?
কারন এওতো বাজে খরচ!
চোখের লোনা জল কড়া মাটিফাটা রোদে
বাস্প হয়ে উড়ে যায়,
আকাশও যেন তাদের বিদ্রুপ করে!
নেই কোন জল,কোন বৃষ্টি!
গ্রীষ্মের রুদ্র সূর্য তাদের শেষ রক্তবিন্দুটুকুও শুষে নেয়।
তবুও তো বেঁচে থাকা!
কেন?
মৃত্যুর কোন সুযোগ নেই বলে?
নাকি জীবনকে শেষ পর্যন্ত আঁকড়ে থাকাতেই সার্থকতা?
স্পার্টাকাসও তো বাঁচতেই চেয়েছিল-
জীবন কে আঁকড়ে ধরে!
তবুও সে জীবনকে উৎসর্গ করে দিল
মানবের তরে।
হে স্পার্টাকাস!আমাদের ক্ষমা কর!কেন আমরা তোমার মত নই!
আমরা যে শুধু বাঁচতেই চাই!!
[এটা ঠিক কি হয়েছে আমি নিজেই জানিনা। এটা আসলে জীবন নিয়ে আমার ক্ষোভের বহিপ্রকাশ।এতে সব টুকু আসেনি। সবটুকু আনতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। তাই শুধু শুধু সবার বিরক্তি উৎপাদন না করে শেষ করে দিলাম।।আমার এই ধৃষ্টতা পাঠকরা নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন বলেই আমি মানি]
আপনার কষ্টের অনুভবের লেখা খুব ভাল লাগলো। ছেলের সুটকেস এখনো বয়ে গাড়িতে তুলে দিতে পারছি, চারশ মাইল ড্রাইভ করে এখনো ওকে দেখতে যেতে পারছি। আর আপনার বাবার মত, আপনার দাদার মত না পারার দিন গুনছি। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
জটিল প্রশ্ন।
কবিতাটি বেশ ভালো হয়েছে।
জীবনবোধ নাকি জীবনযাতনার মর্মন্তুদ বহিঃপ্রকাশ?পরিপাটি উপস্থাপনা গভীর বক্তব্য।খুবই ভালো লেগেছে।অনার্স মার্ক্স!
@আগন্তুক,
ভাইয়া একে আমি জীবন যাতনাই বলব।
আর আসলে এই কবিতা কে বাস্তবতা বলা যাবেনা। কারন আমরা মধ্যবিত্তরা থাকি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে,যোজন যোজন দূরে। আমাদের চারপাশ ঘিরে রাখে স্বপ্ন।আমরা স্বপ্নে বিভোর হয়ে,স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে,স্বপ্নের জন্যই বেঁচে থাকি।আমাদের অর্জনও নাই তাই আমরা বর্জনও করতে শিখি না। আমাদের জীবন নাই,তাই মরণকেও খুঁজে পাই না।
আমরা জীবনকে চিনতে পারি না,তাই মৃত্যুও আমাদের কাছে ভয়ানক।
আমরা শুধু পারি জীবনকে বাস্তবতা থেকে অনেক উপরে রেখে,জোড় করে দুহাতে আঁকড়ে কামড়ে পরে থাকতে।
যারা জীবনকে খুঁজে পায়,মৃত্যুও তাদের কাছে পরাজিত।
যারা উচু তলার মানুষ তাদের জীবন শুরু হয় ঘাত প্রতিঘাত দিয়ে এবং জীবনের মধ্যদিয়ে তারা উচু তলায় পৌছে( হোক না দূর্নীতিবাজ! দূর্নীতি করতেও বাস্তব বুদ্ধি লাগে)
যারা নিচু তলার মানুষ তারা জীবনের সবটুকু রুদ্রতা দেখে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
আর আমরা – বেঁচে থাকি, শুধুই বেঁচে থাকি। :-((
মানুষ কেন জীবনের উপাসনা করে?
শুধু বাঁচার জন্যই কি বেঁচে থাকা?
নাকি মৃত্যুর জন্য জেগে থাকা?
তানভী,
মৃত্যু আছে বলেই তো জীবনের এত আরাধনা, এটাই প্রানের ধর্ম।মানুষ নামের প্রানীর অন্য সকল প্রানীর চেয়ে অধিকতর বেশী বুদ্ধিমত্তা ও ভাষা জ্ঞানের উত্পত্তির ফলে জীবনের,প্রেমের,ভালোবাসার,আনন্দ,জ্বালা-য্ন্ত্রনা ও বিরহের কারনেই এতো হাহাকার এটা হলো একদিক।অন্যদিকে বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় মানুষের অগ্রগতির গত ৬ /৭ হাজার বছর ধরে যে সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ হয়েছে তা এতো কঠিন জটিল হয়েছে বা করা হয়েছে যা এই মানুষ নামের বুদ্ধিমান প্রানটিই করেছে।যেদিন থেকে মানুষ নামের মানুষ মানুষকে শোষন করতে শুরু করেছে সেদিন থেকে আমাদের এই নশ্বর ক্ষনস্হায়ী জীবন ও সভ্যতার সংকট বিকটভাবে শুরু হয়ে গিয়েছিল যার রেশ আমরা পৃথিবীর মানুষেরা টেনে বয়ে চলছি।এর মধ্যে যে প্রতিষ্ঠান গুলি এর জন্য দায়ী তারা হলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।এ দুটি প্রতিষ্ঠানই মানুষে মানুষে ধর্মের এবং অথর্নীতির নামে সমাজে এতো উঁচু্-নীচু মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করেছে।এই বিভেদ ভাংগার জন্য যুগে যুগে স্পাটাকাস থেকে এক একসময়ে এক একনেতার জন্ম হয়েছে।এ প্রক্রিয়া মনে হয় এক অবিরাম চলমান ধারা যা মানুষের সমাজে চলতে থাকবে। আর এই কারনেই হুমায়ন আজাদ বলেছিলেন চূড়ান্ত অর্থে সব কিছুর ফলাফল শুন্য।এবার এটাকে যে যেভাবেই বিচার করুক না কেন !!সব কিছুর পরে আসলে বেঁচে থাকার জন্যই বেঁচে থাকা আর সংগ্রাম করা।
কি বলেন ???
আমার দারুন ভাল লেগেছে।এ জেন আমাদের সবার মনের ।
কথা ।ভাল থাকুন। :rose:
@shaon,
শাওন কে আন্তরিক অভিনন্দন।
ভালো থাকুন,সুন্দর থাকুন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ভাইয়া ঐ খানেই তো ভয়। শুন্যতা যে আমাকে তিমি মাছের ছোটমাছ খাওয়ার মত করে এক নিমেষে গ্রাস করে ফেলে।ঐ শুন্যতাকে আড়াল করতেই তো এত সব লম্বালম্বা লাইন লিখলাম!
শুন্যতা আমি সবসময়ই উপোভোগ করি, একাকিত্বের মধ্য দিয়ে। কিন্তু মাঝে মধ্যে ব্যপারটা এত ভয়ানক হয়ে ওঠে!
মনে হয় যেন আমি নিজেই আমার ভেতরে হজম(গ্রাস) হয়ে যাব!!
@তানভী,
যাক বাঁচা গেল।যেভাবে মামু ও চাচার স্বম্বোধন চারিদিকে শুরু হয়েছে!!বেশী বেশী করে মানুষের সাথে সম্পর্ক পাতান দেখবেন সব ভয় কেটে যাচ্ছে।শুন্যতা কে আরো বেশী বেশী করে উপভোগ করেন কিন্তু শুন্যতা যেন আপনার সাথে ভালবাসার নিটোল সম্পর্কে না জড়ায়।
উত্তম, অতি উত্তম।