ভাবলাম একটা কবিতাই লিখি,
আমি কবি নই
তবুও ছুয়ে সব দুঃখ,হাতে নিয়ে হতাশা-
ভাবলাম একটা কবিতাই লিখি।
বিবাদের পথ আমাদের ছিন্ন করল
মতবাদের তর্ক আমাদের সরিয়ে নিল,
তাই ভাবলাম একটা কবিতাই হোক।
কবিতার অর্থহীন সব শব্দ গুলো যদি-
তোমার আমার মাঝে নিরর্থক ভালো লাগা বয়ে আনে
তাতে ক্ষতি কি?
তাই তো আজ আমি কবিতা লিখি।
কবিতা আমায় ভাবায়,
নতুন কোন পথে যদি সাথী খুজে নিতে হয়
তবে আমি কবিতাই নেব।
আমি চাইনা কৃতদাস হতে,
চাইনা আমি বঞ্ছিত পৃথিবীর
নৃসংশ আর্তনাদ শুনতে-
যে পৃথিবী আমার মায়ের মত-
তার বেদনা কি আর সহ্য হয়?
তাইতো আমি কবিতা লিখছি।
কবিতার ছন্দহীন ধূসর শব্দ গুলো
আমার মনে অন্ধকারের নিস্তব্ধতা নামিয়ে আনে।
যে অন্ধকারে আমার মনের চাপা ব্যথারা সব ভোরের বাতাসে মিলিয়ে যায়।
তাই ভাবলাম আজ নাহয় একটা কবিতাই হোক।
(বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।অনেক বর্ণ লিখতে সমস্যা হওয়ায় উহ্য রেখেছি)
এত সুন্দর একটা কবিতা আগে কেনো পড়ি নাই ভেবে পাচ্ছি না। ধন্যবাদ তানভী
@সৈকত চৌধুরী,
ভাইয়া, যান!! কি যে বলেন এসব :pissedoff:
কবিতাটা আমার বেশ ভালো লেগেছে – পুরোটাই।
আমার এ অংশটুকু খুবই কাব্যিক মনে হয়েছে।গদ্যের গাঁথুনিতে কবিতার মুক্ত আবেগ সবাই আনতে পারে না।আপনি পেরেছেন। 🙂
@আগন্তুক, ভাইয়া থ্যাঙ্কু 😀
ভিন্ন মতের মানুষ থাকবেই, নানা কারণেই সেটা হয়। তবে মানুষ হিসেবে মানুষকে শ্রদ্ধা করা আমাদের দায়িত্ব। এটা আমাদের জন্মগত প্রবৃত্তি। তার মত্ যতই বৈরী হোক না কেন সেটা সহ্য আমাদের অবশ্যই করতে হবে; হয়তো এই চরম বৈরী মত্ থেকেই কোন অসম্ভব শক্তিশালী যুক্তি বেরিয়ে আসে। তাই ‘মতবাদের তর্ক আমাদের যেন কখনো সরিয়ে’ না নেয়। প্রত্যকটা মতবাদকে মনযোগ দিয়ে শোনাটাই মনে হয় মুক্ত, উদার, হিংসাহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ মনভাবের লক্ষণ। তবে কোন মতামত আমাদের যক্তিকে খন্ডন করতে না পারলে আমাদের সেই শক্তিশালী যুক্তিটি অবশ্যই প্রতিপক্ষকে জানাতে হবে যাতে এই যুক্তি প্রতিপক্ষের কল্যানের বার্তাবহ হতে পারে। আমি বলতে চাচ্ছি, বৈরী মতামত যেন আমাদেরকে কারও প্রতি বৈরী হতে না দেয়; তাহলে কিন্তু আমাদের ‘মানুষ’ নামক সত্ত্বাটার চরম অধঃপতন হবে। আমরা যেন যুক্তি তর্কের এক পর্যায় আমাদের মনুষ্যত্বকে হারিয়ে না ফেলি।
এই লাইনটা যেন এর ভেতরের অন্তমিল হারিয়ে ফেলেছে, চাঁপা ব্যথারা কিভাবে ভোরের বাতাসে মিলিয়ে যায় যখন মনের গহিনে অন্ধকার নেমে আসে? অন্ধকার আসলে তো ব্যথাগুলো আরওবৃদ্ধি পাবার কথা, বুঝলাম না।
যাইহোক ঐ একটি লাইন ছাড়া কবিতাটি খুব সুন্দর হয়েছে, হয়েছে উপভোগ্যও।
মনের ভাবগুলোকে এভাবে প্রকাশ করাটা চালিয়ে যান , মন কে বিকশিত করে শান্তির পানে যেন আমরা এগিয়ে যাই। তাই আসুন আমরা সবাই মনের কথাগুলো শুনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মনের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমাদেরকে শান্তি উপহার দেওয়ার জন্য।
@মুহাইমীন, থ্যঙ্কু ভাইয়া।
হ্যা আসলেই ওই লাইনটা এলোমেলো হয়ে গেছে।
আমি নিজেও পড়ে হেসেছিলাম।কিন্তু আর কোন লাইন খুঁজে পাইনি বলে ওটা আর সরাই নি।
যাই হোক কবিতার ভাবে সঅ অ অব চলে 🙂
আপনার বিশ্লেষনী মন্তব্যের জন্য আরো একবার ধন্যবাদ ।
@তানভী,
এভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ।
ভাল লেগেছে, তবে প্রথম ১১ লাইন বেশী ভাল লেগেছে।
@আতিক রাঢ়ী,
ভাইয়া থ্যঙ্কস।
আমারও মনে হচ্ছে ওই প্রথম প্যরাই ভালো হয়েছে।
তার পরের গুলা মনে হয় একটু এলোমেলো হয়ে গেছে।
ভালই লাগলো কবিতাটা, তানভী! এত সব উচ্চমার্গীয় আলোচনার মাঝে এ ধরনের কবিতা আসলে মন্দ হয় না।
@অভিজিৎ,
ভাইয়া
কি হয়েছে জানিনা।মনে হল তাই লিখলাম।
এই অর্থহীন কবিতাকে উৎসাহিত করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।