আমার অবিশ্বাসের সূত্রপাত -১
নাস্তিকের ধর্মকথা
এক
জন্মাবার পরে আমার বাবা-মা আমাকে একটি নিখাঁদ বাংলা নাম দেন। এবং ছোটবেলায় যে এলাকায় বেড়ে উঠি সেখানে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার ছিল, যাদের সাথে খুব স্বাভাবিক-সাধারণ সুসম্পর্ক ছিল- মানে পুঁজায় তাদের বাসায় আমাদের দাওয়াত খাওয়া- আমাদের ঈদে আমাদের বাসায় তাদের দাওয়াত খাওয়াটা নৈমত্তিক বিষয় ছিল। এটা আপাতভাবে সামান্য ব্যাপার মনে হতে পারে, তবে আমি মনে করি- আমার নিজের অসাম্প্রদায়িক হওয়ার পেছনে এ দুটি বিষয়ের ব্যাপক ভূমিকা আছে।
আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বেবি-ওয়ান-টু) এক হিন্দু শিক্ষক আমাদের পাশের বাসায় থাকতেন- এবং মাঝে মধ্যে তার সাথে স্কুলে যাওয়া আসা করতাম। তো, আমার বাংলা তথা হিন্দু নাম এবং একজন হিন্দু শিক্ষকের সাথে স্কুলে যাতায়াতের কারণে সেই ওয়ান-টু তেই ক্লাসের বিভিন্ন ছেলেমেয়ের কাছ থেকে একটা ছড়া মাঝে মধ্যেই শুনতে হতো- “হিন্দু হিন্দু তুলসীর পাতা, হিন্দু খায় গরুর মাথা”। আমাকে হিন্দু হিন্দু বলে খেপানো হতো (খেপাতো বাচ্চারাই- এখন যখন ভাবি, শিউরে উঠি- কত বাচ্চাকাল থেকেই এরা সাম্প্রদায়িক হয়ে গড়ে উঠে!!)। “হিন্দু” যেন একটা গালি!! আমার নামটিই যেন আমাকে বাচিয়ে দেয় ওদের মত সাম্প্রদায়িক হওয়ার হাত থেকে- এবং সেই বাচ্চাকাল থেকেই এই মুসলমান-হিন্দু বিভেদ মনে কষ্টের অনুভূতিই তৈরী করতো।
কিন্তু নাস্তিক্যের পাঠ আরো পরের ঘটনা, আরো কিছুটা বড় হয়ে।
ক্লাসের ধর্মের বই খুব মনোযোগ সহাকারে পড়া ও খুব আগ্রহ নিয়ে কায়দা-আমপারা- তারপরে কোরআন পড়াও শিখে নেই। পাড়ায় কম্পিটিশন করে নামাজ পড়া, বাসায় জোর করে রোযা রাখা এসবও চলতে থাকে। আর ধর্মের প্রতি এই আগ্রহের কারণে এমনটা অবস্থা হলো যে- ধর্মীয় বা ইসলাম সংক্রান্ত বই পেলেই তা মনোযোগ সহকারে পড়তাম। এটা করতে গিয়ে- একদম প্রাথমিক কিছু কিছু প্রশ্নও মনে তৈরী হতে থাকে।
তবে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সর্বপ্রথম মাথায় আসে- সেটা এখনো মনে আছে: ঠিক প্রশ্ন না- বলা যায় একটা আঘাত। তখন সম্ভবত ক্লাস ফাইভ কি ফোরে পড়ি। বাসায় এক স্যার বিজ্ঞান-অংক করাতেন, নামাজের সময় হলে একসাথে নিয়ে নামাজ পড়ান। ওনার সংস্পর্শেই বলা যায় নামাজের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস হয়েছিলাম। সেই স্যার একদিন বিজ্ঞান পড়াচ্ছিলেন- তো সূর্য ও পৃথিবীর আবর্তনের বিষয়টি বই এ যা ছিল; ঠিক বিপরীত একটি আলোচনা তিনি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞান যতই বলুক পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরুক; আসলে সূর্যই ঘুরে। কোরআনে এটা আছে- আল্লাহর সবকিছু সৃষ্টির মূলে আছে মানুষ- মানুষের পৃথিবীকেই কেন্দ্র করেই সূর্য ঘুরছে।
এই কথায় ঠিকই একটা ধাক্কা খাই। কোনটি ঠিক? বিজ্ঞান না ধর্ম? ওনার কথা পুরো বিশ্বাস করতে পারলাম না- আবার অবিশ্বাসও করতে পারিনি। মাথার মধ্যে থেকে গিয়েছিল। আরো পরে অবশ্য অন্য ইসলামী আলোচনায় দেখেছি- কোরআন এ কোথাও বলা হয়নি যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে- বরং পৃথিবীর ঘুর্ণনের ব্যাপারেই নাকি কোরআনের আলোচনায় সমর্থন পাওয়া যায়, তথাপি মনের মধ্যে এটি ভালো দাগ ফেলেছিল।
একজন মানুষের ভীষণ ভূমিকা আছে। তিনি সরাসরি নাস্তিকতার কোন পাঠ আমাকে দেননি- তবে বিজ্ঞানমনস্ক করার ব্যাপারে তার অবদান প্রথমেই স্বীকার করি। তিনি আমার এক দূরসম্পর্কীয় কাকা, আমাদের গ্রামের বাড়ির এক মাদ্রাসার বিজ্ঞানের শিক্ষক। এবং একজন বিজ্ঞান সাধক। বিজ্ঞান পাগল এই মানুষটি বিজ্ঞান সম্পর্কিত যে কোন বই পেলেই হলো- তা সংগ্রহ করেন এবং গভীর মনোযোগের সাথে পড়েন, নিজ হাতে টেলিস্কোপ, রেডিও… এরকম নানারকম জিনিস তৈরী করেন- তার সংস্পর্শেই আমার নিজেরো বিজ্ঞানের প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মে।
একদিন তার সাথে আলোচনা কালে তিনি (তখন সম্ভবত সেভেন-এইটে পড়ি) বললেন,
“বিজ্ঞানের একদম ছোট থেকে বড় যেকোন বিষয়ের আলোচনায় আল্লাহ-ভগবান-দেবতা-ফেরেশতা কারোরই কোন আলোচনা পাবেনা। বৃষ্টি কিভাবে হয়? এটার জবাবে যে পানি চক্র বা অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে যত যাই আলোচনা করা হবে- সেখানে কিন্তু কোন মিকাইলের বা কোন অতিপ্রাকৃত কোন কিছুর আলোচনা নেই।”
এই কথাটি আমার সামনে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দেয় বলা যায়। অনেক অনেক ভাবতে থাকি। এর আগে- ধর্ম ও বিজ্ঞানের যে দ্বন্দ্ব তৈরী হয়েছিল- সেখানে নিজের পক্ষপাত বিজ্ঞানের প্রতি ঝুকতে থাকে।
চলবে …
আচ্ছা আমি একটা বিষয়ে মোটেও পরিস্কার না। যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন তারা একবার বলেন সৃস্টিকর্তা একটা সত্তা যার বুদ্ধি আছে,মানবিক বোধ আছে, আবার তারা বলেন সৃস্টিকর্তা একটা পরম শক্তি,মহাশক্তি। আমার প্রশ্ন হল,কোনপ্রকার শক্তির কি মানবিয় বোধ থাকা সম্ভব?বা কোন প্রকার মানবিয় বোধ সম্পন্ন সত্তার কি স্বকীয় শক্তি থাকা সম্ভব, যা স্বতস্ফূর্ত ভাবে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে?
অনেকে বলবেন, মানুষের কি শক্তি নাই? তাদেরকে বলি মানুষ শক্তি আহরণ করে। শক্তি আহরণ করে সে বেচে থাকে। চাঁদের মত। নয় কি? শক্তির প্রাপ্ত ৯টি রূপের একটিরও কি বুদ্ধি আছে?
আর সৃস্টিকর্তা যদি শক্তিই হন তবে কি তিনি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল? কারণ শক্তি সর্বদা অন্য শক্তিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। যদি নিয়ত পরিবর্তনশীলই হবেন তবে তাকে কিভাবে অভিন্ন একক স্বত্তা রূপে কল্পনা করি?
[…] প্রথম পর্ব; দ্বিতীয় পর্ব প্রথম পর্বে জানিয়েছিলাম আমার এক বিজ্ঞান পাগল কাকার কথা, যার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্কতার শুরু। বিজ্ঞানকে দিন দিন আকড়ে ধরতে লাগলাম। বাসায় রাখা হতো দৈনিক সংবাদ, তার প্রতি মঙ্গলবার বেরুতো বিজ্ঞান পাতা (পরে তা দু পৃষ্ঠার করেছিল)। ঐ পাতাটি শুধু গোগ্রাসে গিলতাম না- সংগ্রহও করতাম, সংবাদের বিজ্ঞান পাতা দিয়ে সুটকেস ভরিয়ে ফেলেছিলাম। কত ক যে জানতে পেরেছিলাম ঐটুকু বয়সে! হয়তো অনেক কিছু বুঝিনি, তবে দুনিয়াটা যে আমার আগের জানা ছোট্ট গণ্ডির নয়, তার কত বৈচিত্র আছে- দুনিয়ার বা বিশ্ব জগতের সমস্ত কিছুর মধ্যেই একটা কার্যকরণ সম্পর্ক আছে- এটা বুঝতে শিখতে থাকি। […]
I do not think, your work at NASA. You are not
any big shot in US Government.Tell yourself who you are.
[…] প্রথম পর্ব… […]
To Author,
Thanks for very enlightening article. The anti feeling among muslims (which you mentioned in the second paragraph) towards non-muslims has ultimately kept the muslims in a small world of ignorance and darkness; mentally imprisoned in their own little world. Hope more writings from you will help to enlighten people, mainly the radical religious narrow-minded people. Thanks.
Regards.
Thik ek-i rakomer oviggyata amar-o ache. Baba-r chakuri shorte bivinnya shomoye bivinnyo elakaky amader poribar bash koreche, bere uthte hoyeche ekta cosmopolitan poribeshe. Mulato Baba-Ma er udar manobrittyi aar shikkhok der shahocharjya amar monke choto bela thekei ekta vinnyo gotipothe tene niyeche. Shomy kore kono ekdin amar galpo shunabo. Aar shunabo tader kotha, jara amar bere uthar onuprerona hoye uthechilen, shikkha diyechilen. Valo laglo je thik eki dharoner oviggyatar ek manusher shondhan pelam. Aponar chotto lekhati shotty-i darun legeche!
আল্লাহ সেই পরম শক্তি,পরম সচেতন সত্বা যিনি সর্বত্র বিরাজমান,যার শুরু কিংবা শেষ নেই।শক্তির নিত্যতার সূত্রটি জানেন নিশ্চয়-ই?এই মহাবিশ্বে সর্বমোট শক্তির পরিমাণ সর্বদাই সমান-সৃষ্টি ও নাই,ধ্বংস ও নাই।একজন বৈজ্ঞানিক এই বিশ্ব-জগতের স্রষ্টার যে ধারণা করবেন, ইসলাম ধর্মের বর্ণণা অনুযায়ী আল্লাহ সেই পরম Conscious,Ultimate force and source who brings the universe into existence.
@Al Murshed,
ভাই সৃষ্টি ও ধ্বংস যদি না থাকে তবে স্রষ্টা বা বিনাশকারী থাকার আদৌ কোন দরকার আছে???
@নাস্তিকের ধর্মকথা, ভাই, আপনার কথার আর কি জবাব দিব??
আপনি এখনো সৃষ্টি আর স্রষ্টার তফাৎ ই বুঝেন নাই। তবুও বলি, “আমরা সৃষ্টি হয়েছি বলেই আমরা স্রষ্টার মুখাপেক্ষি”
@Al Murshed,
‘আল্লাহ সেই পরম শক্তি,পরম সচেতন সত্বা যিনি সর্বত্র বিরাজমান,যার শুরু কিংবা শেষ নেই’।
খুবই শোনা কথা, অজ্ঞানতা ও ভয় ভীতি থেকে সৃষ্ট কল্পনাপ্রসুত অনুমান মাত্র, এর সাথে বিজ্ঞানের কোনই সম্পর্ক নেই। যারা নিউটনের ‘Cause end Effect’ সুত্র দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চান, তারা না বুঝেন বিজ্ঞান, না ধর্ম।
‘একজন বৈজ্ঞানিক এই বিশ্ব-জগতের স্রষ্টার যে ধারণা করবেন, ইসলাম ধর্মের বর্ণণা অনুযায়ী আল্লাহ সেই পরম Conscious,Ultimate force and source who brings the universe into existence’.
কথাটার মাঝে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। বৈজ্ঞানিক ধারণা করলে আর বিজ্ঞান থাকলো কই? ধারণা’র যায়গায় ‘প্রমাণ’ শব্দটি বসিয়ে বাক্যটি এভাবে লিখলে কেমন হয়- ‘একজন বৈজ্ঞানিক এই বিশ্ব-জগতের স্রষ্টার যে ‘প্রমান’ করবেন, ইসলাম ধর্মের বর্ণণা অনুযায়ী তিনিই আল্লাহ’। ইসলাম ধর্মের বর্ণণাকে বিজ্ঞানে না খোঁজে বরং কোরান হাদিসে আল্লাহর সন্ধান করুণ, দেখবেন সে পরম শক্তি নয়, পরম সচেতন সত্বা নয়, সে সর্বত্র বিরাজমানও নয় বরং তার সৃস্টি আছে, ধংস আছে, শুরু আছে, শেষ আছে, জন্ম আছে মৃত্যুও আছে। তিনিই ইসলামের আল্লাহ যার আসল নাম ‘মুহাম্মদ’।
‘যে-ই আল্লাহ সে-ইতো রাসুল / ইহাতে নাই কোন ভুল,
দলিলে কয়’। নিউটনকে অপমান না করে বরং লালনকে শ্রধ্বা করুন।
@Al Murshed,
আপনার কথা যদি সত্যি হত, তাহলে বিজ্ঞানের পাঠ্যসূচীতে ‘ঈশ্বর’ বলে একটি পারিভাষিক শব্দ সংযুক্ত হত অনেক আগেই, আর এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশই থাকত না। সমস্ত নাস্তিক বিজ্ঞানীরাই তাদের সংশয় ত্যাগ করে আস্তিক হয়ে যেতেন, আর ইসলামকে তাদের ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে নিতেন। ভিক্টর স্টেঙ্গরের মত পদার্থবিজ্ঞানী আর ‘God:The Failed Hypothesis‘ এর মত বই লিখতেন না, কিংবা রিচার্ড ডকিন্স লিখতেন না ‘The God Delusion’। সবাই আল মুর্শেদের কথা অনুযায়ী ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হয়ে যেতেন। কারণ – ‘একজন বৈজ্ঞানিক এই বিশ্ব-জগতের স্রষ্টার যে ধারণা করবেন, ইসলাম ধর্মের বর্ণণা তার সাথে মিলে যায়’ তাই না? কিন্তু পরিসংখ্যান তো বলে অন্য কথা। নেচার এর সার্ভে অনুযায়ী – National Academy of Sciences (NAS) এর তালিকাভুক্ত সায়েন্নটিস্টদের মধ্যে মাত্র ৭ ভাগ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, বাকি সবাই অবিশ্বাসী। দেখুন – Leading scientists still reject God
আর তা ছাড়া এই বিশ্বজগত সহ সবকিছু সৃষ্টির মূলে যেমন ঈশ্বরকে সতঃসিদ্ধভাবে মেনে নিয়েছেন, সেই অনুজ্ঞা মোটেই প্রশ্নোত্তীর্ণ নয়। আমি এ নিয়ে আগে লিখেছি। এ দুটো প্রবন্ধ দেখুন –
ঈশ্বরই কি সৃষ্টির আদি কারণ?
এবং
‘আস্তিকতা বনাম নাস্তিকতা’র প্রত্যুত্তরে
হেলাল,ক্ষেপে যাচ্ছেন কেনো?প্রদীপ কী ভুল বলেছেন?বিজ্ঞানের একটি অন্যতম মৌলিক নীতি হচ্ছে,Cause end Effect.নিউটন যা দেখিয়েছেন বল এবং ক্রিয়ার সম্পর্কের মাধ্যমে।এটি যারা অবিশ্বাস করবেন,বিজ্ঞানের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।কারণ ছাড়া কী কিছু হয়?
@Al Murshed,
এত যে কারণ কারণ করতাছেন, এখন যদি আমি জিগাই – আল্লাহর উতপত্তির পেছনে কারণটা কি? আল্লাহরে জন্ম দিছে ক্যাডা – এই প্রশ্ন করলেই আপনে কইবেন – আল্লাহর জন্য কোন কারনের দরকার নাই। তিনি সব সময়ই আছিলেন! সব কিছুর পেছনেই কারণ আছে কইতাছেন – আবার সেই নিয়ম থেইকা আবার আল্লাহরে আড়ালে রাখছেন – এই গোঁজামিলটা আপ্নের নিজের ধরা পড়ে না। কি আর কমু।
বিশ্বজগত আপনা-আপনি হতে পারে কিনা এ ব্যপারে বিশেষক্গরা মুক্তমনায় লিখেছেন এবং আরো বহু লেখা পাবেন। কিন্ত যদি ধরে নিয় একজন শ্রষ্টা আছেন তবে সেটা কোন ধর্মের? এ পর্যন্ত কোন ধর্ম কি পাওয়া গেছে যেখানে নূন্যতম বিশ্বাষযোগ্যতা রাথে? তাহলে যা এখনও নেয়, তা নিয়ে এত মাথা ব্যথার কি আদৌ দরকার আছে? নাকি আপনি কুরআনিক কিচ্ছা-কাহিনী ও বুশের বড় ভাই হযরত মুহম্মদের (স) ধর্মের কথা বলছেন? যদি তাই বুঝিযে থাকেন তাহলে সরাসরি বলেন ,কুরআনে বা মুহম্মদের(স)এর কোন ভুল আছে কিনা যা থেকে ইসলাম ধর্ম সঠিক নয় বলে ধরে নেয়া যায়।
সৌরজগতের যা কিছু আমরা দেখতে পাই এই সব কিছুর পেছনে কোন স্্রষ্টার অস্তিত্ত যিনি স্বীকার করেন তিনি আস্তিক আর যিনি সব সৃষ্টির পেছনে কারো অস্তিত্ত স্বীকার করেননা তিনি নাস্তিক।এখানে ধর্ম হছ্ছে একটা বিশ্বাসের নাম।যুক্তি দিয়ে কখনও কখনও এটাকে মেলানো যায়না।কারন যুক্তি বা বিজ্ঞানের অনেক সীমাবধ্বতা আছে কিন্তু বিশ্বাসের কোন সীমাবধ্বতা নেই।একটা আলপিন থেকে একটা রকেট পর্যন্ত কোনকিছুই আপনা আপনি গড়ে উঠেনি তাহলে সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন উঠা স্বভাবিক যে এই যে এতবড় সৌরজগত তার এতবড় সূর্য্য অসংক্ষ নক্ষএ পৃথিবী চন্দ্র অসীম নিলীমা এর সবই আপনা আপনি তৈরী হয়েছে এটা যারা বিশ্বাস করে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে নাকি যারা এসব সৃষ্টির পেছনে কোন সৃষ্টার অস্তিত্ত স্বীকার করেন তারা
আমারও িনজের কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে!
@ARIF,স্বাগতম এবং যত পারেন শুধু লিখেন। লিখে দুনিয়াকে আপনার ধর্ম সহ মনের যত দুঃখ-কষ্ট,ভাললাগা-মন্দলাগার কথা আছে তা জানিয়ে দেন।আমরা পাঠকেরা তার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।