[দ্বিতীয় খন্ডের পর] তৃতীয় পরিচ্ছেদ: নিউট্রিনোর স্পন্দন ১৯৩৬ সালে কার্ল ডেভিড এন্ডারসন পার্বত্যএলাকায় মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে নতুন একটি কণিকা পেলেন। মেঘ প্রকোষ্ঠে (cloud chamber) নতুন একধরনের গতিপথ দেখে বোঝা গেলো এই কণিকাটির উপস্থিতি এবং এই গতিপথ আগের কোনো কণিকার গতিপথের সাথে মেলানো যায় না। এর গতিপথ ইলেক্ট্রনের মতো একই দিকে বেঁকে যায় [...]
(প্রথম খন্ডের পর) দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ (নিউট্রিনো সনাক্তকরণ) নিউক্লীয় বলের প্রতি সাড়া দেওয়ার ভিত্তিতে কণিকাগুলো দুই প্রকার, হেড্রন এবং লেপটন। নিউক্লীয় বল দুই প্রকার, সবল এবং দুর্বল (strong and weak nuclear forces) এটি আমরা অনেকেই জানি। যেসব কণিকা সবল বলটির প্রতি সাড়া দেয় তাদের বলা হয় হেড্রন আর যারা শুধুমাত্র দুর্বল বলটির প্রতি সাড়া দেয় তাদের [...]
প্রথম পরিচ্ছেদ (পূর্ব কথা) পদার্থ বিজ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণশীলতা সূত্র বজায় আছে যার মধ্যে দু-একটি সবারই মোটামুটি জানা। যেমন: শক্তির সংরক্ষণশীলতা সূত্র। এর উপরেই তাপগতিবিদ্যার প্রথমসূত্র টিকে আছে। এই সূত্রটি বিবৃত করে শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না এবং মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমান সুনির্দিষ্ট। এছাড়া আমরা অনেকে চার্জের সংরক্ষণশীলতার বিষয়টিও জানি। এই সূত্রের ভাষ্যমতে [...]
লেখক: প্রীতম চৌধুরী বামন গ্রহ প্লুটো সৌরজগতের সাপেক্ষে আমরা যদি সূর্যকে ধরি মা, পৃথিবী, মঙ্গল এরা যদি হয় সূর্যের সন্তান সমতূল্য ; তাহলে এটা বলাই যেতে পারে প্লুটো পৃথিবীর সবচেয়ে দূরের সৎ ভাই। প্লুটোর পরিচয় এখন ‘বামন গ্রহ’। এই পুঁচকে গ্রহের গ্রহত্ব নিয়ে যেমন বিতর্ক ছিল, তেমনি আবিষ্কারের পর এর নামকরণ নিয়েও বেঁধেছিল [...]
ইলেক্ট্রোলুমিনেসেন্স (Electroluminescence) বা বৈদ্যুতিক প্রতিপ্রভা নামক একধরনের ঘটনা সম্বন্ধে পদার্থবিদগণ ১৯০৭ সাল থেকে অবগত আছেন। এধরনের ঘটনায় একটি বস্তুর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তা আলো নির্গত করে। তবে এই ঘটনা কৃষ্ণবস্তু নিঃসরণের চেয়ে ভিন্ন ধরনের। আমরা সাধারণ বৈদ্যুতিক বাতির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চালিয়েও আলো পেয়ে থাকি। বৈদ্যুতিক বাতিতে একটি ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত [...]
লেখক : প্রীতম চৌধুরী উৎসর্গ পত্র : প্রয়াত ড. অভিজিৎ রায়। বাংলাদেশে হাতে গোনা মুষ্টিমেয় যে সমস্ত লেখকেরা আধুনিক বিজ্ঞানের প্রান্তিক জ্ঞান এবং তথ্যের নিরিখে সুসংবদ্ধ বিশ্লেষণ সাধারণ পাঠকদের দুয়ারে নিত্য পৌঁছে দিচ্ছেন , অভিজিৎ রায় নিঃসন্দেহে ছিলেন তাদের শীর্ষস্থানীয় কাণ্ডারি। বিজ্ঞান এবং দর্শনের জগতে তার অবাধ বিচলন দেখে ইন্টারনেটের বাংলা ব্লগ সাইটগুলোতে তার গুণমুগ্ধ [...]
১৯৫১ সালের শেষের দিকে প্রিন্সটন থেকে কেমব্রিজ হয়ে পাকিস্তানে ফিরে এলেন আবদুস সালাম। তখনো তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়া হয়নি, কিন্তু পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এম-এ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-এ এবং বিদেশে গবেষণা ও গবেষণাপত্রের যোগ্যতায় লাহোর সরকারি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দিলেন আবদুস সালাম। সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানে সেই সময় আবদুস সালামই একমাত্র তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তাছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফরুল্লাহ [...]
অভিজিৎ রায়ের শেষ বই দুটির একটি ছিল শূন্য থেকে মহাবিশ্ব যা তিনি মীজান রহমানের সাথে যৌথভাবে লিখেছিলেন। বইটি রচনা এবং নামকরণের ক্ষেত্রে উনারা লরেন্স ক্রাউসের A Universe from Nothing: Why There is Something rather than Nothing দ্বারা নিশ্চিতভাবেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। উনাদের সম্মানেই বইটির বাংলা অনুবাদ শুরু করছি। অনুবাদটা খুব গুরুত্বপূর্ণও; হাজার হোক বইটি সম্পর্কে ব্রিটিশ [...]
আগের পোস্টে বলা হয়েছিল, "আইনস্টাইনের তত্ত্বের সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে সমন্বিত করে একটি একীভূত তত্ত্ব গঠন করতে হলে আমাদের প্রকৃতির মৌলিক বল, আপেক্ষিক তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে ভালমতো জানতে হবে"। এই পোস্টে প্রথম মৌলিক বল, "মহাকর্ষ" আবিস্কার ও চারটি মৌলিক বলের পরিচিতি থাকবে। ।এক। ইংল্যান্ড, ১০৬৬ সাল । ব্রিটিশ ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। নরমাল্যান্ডের ডিউক, [...]
[বাংলাভাষী কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটা বিজ্ঞান সিরিজ লেখা শুরু করেছি। অর্ক ও সূর্যমামা এই সিরিজের প্রথম বই। এবারের বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তমনার পাঠকদের জন্য বইটির প্রথম অধ্যায় এখানে প্রকাশ করছি। বইটির ইলেকট্রনিক ফরম্যাট শীঘ্রই পাওয়া যাবে রূপান্তর প্রকাশনী থেকে।] বৃহস্পতিবার থার্ড পিরিয়ড সেকেন্ড পিরিয়ড শেষ হতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ক্লাস সেভেনে ওঠার পর থেকে [...]
