‘বাংলা ব্লগের ভাষা ও দিকদর্শন’ শিরোনামের লেখাটি রচনার সময় মনে হয়েছে, ব্লগে অনেক সময়ই যে সব সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়, তা নতুন ব্লগার বা সাধারণের কাছে তেমন পরিচিত নয়। আবার সুধী সমাজে এ সব ব্লগীয় অপ-শব্দ অশ্লীল হওয়াটাও বিচিত্র নয়। এমন চিন্তা থেকে বাংলা ব্লগের অপ-শব্দসমূহ একত্র করার উদ্যোগ নিয়েছি।
বলা ভালো, এটি মোটেই কোনো গূঢ় গবেষণাকর্ম নয়। নিছকই ব্লগাড্ডা মাত্র। তবে এটি রীতিমত প্রাপ্তমনস্কদের জন্য লেখা।
সকলের সহযোগিতা কাম্য। হ্যাপি ব্লগিং।
—
১। ছাগু = ছাগলের সংক্ষিপ্ত রূপ। একটি বিশেষ গোষ্ঠিকে (যেমন তিন বাহু গং) বোঝায়। তারা জামাতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মগবাজারকে মক্কা শরীফ মনে করে আমোদিত হয়।
২। হিতা = হিযবুত তাহরীর। মডারেট জঙ্গি ইসলাম; অধুনা নিষিদ্ধ। তবে নানান ছদ্মবেশে ব্লগে তাদের আনাগোনা আছে।
৩। গদাম! = পশ্চাদে পদাঘাত। সাধারণত ছাগু তাড়াতে প্রযোজ্য।
৪। লাদি = ছাগুর পোস্ট বা মন্তব্য।
৫। ম্যাৎকার = ছাগুদের একক বা সম্মিলিত রব।
৬। কাঁঠাল পাতা = ছাগুকে আপ্যায়নের (?) ভাষা বিশেষ। ইদানিং কোনো কোনো ব্লগে দাবি উঠেছে, কাঁঠাল পাতার ইমোকটিন যোগ করার।
৭। ধনে পাতা = ধন্যবাদ। মতান্তরে, ধইন্যা।
৮। হা হা প গে = হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম। মতান্তরে, হা হা ম গে = হাসতে হাসতে মরে গেলাম।
৯। রেসিডেন্ট ভাঁড় = রাজ-রাজরার আমলের ভাঁড়দের মতো ব্লগের স্থায়ী বিনোদন হিসেবে পরিচিত বিশেষ প্রজাতির ব্লগার । যেমন, সরব।।
১০। মাইনাস = বাজে লেখা বা মন্তব্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ডা. আইজু বলেন, বা-ছা পোস্টে ডাবল মাইনাস! লেখায় এক তাঁরা চিহ্ন দিলেও মাইনাসই বোঝায়।
১১। তাঁরাইলাম = উত্তম লেখা বা প্রসংশাসূচক মন্তব্য। পাঁচ তাঁরা বা প্লাস চিহ্ন দিয়ে লেখাটিকে সর্বোচ্চ রেটিং করা হয়।
১২। হ = ঠিক তাই।
১৩। ঞঁ! = বলে কী রে! মতান্তরে, কস্কী মমিন?
১৪। ছিক! = ছিঃ কথাটির ভিন্নরূপ। দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
১৫। অশ্লীষ = অশ্লীল লেখা বা মন্তব্য। দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
১৬। কাফি = ব্লগারের অন্তিম পরিনতির উদাহরণ বিশেষ।
১৭। বিপ্লব = লেখায় পাঁচ তাঁরা। মতান্তরে, আপনাকে বিপ্লব।
১৮। চুলকাইতে মুঞ্চায়? = অন্যকে উত্যাক্ত করতে ইচ্ছে করছে কী না, তা বোঝাতে।
১৯। আছছালামু আলাইকুম = কহিনুল্লাহ। মতান্তরে, বঙ্গদেশ, সকলে ছহি ছালামতে থাকবেন – ইত্যাদি।
২০। পপকর্ন নিয়ে গ্যালারিতে বসলাম = ব্লগ বিতর্ক উপভোগ করছি, মতান্তরে, মজা দেখছি।
২১। জাঁঝা = উত্তম, লেখা বা মন্তব্য ভালো হয়েছে বোঝাতে।
২২। সুশীল = অতিশয় আঁতেল অর্থে। যেমন, এই ধেনু যাহ, নইলে ফুল ছুঁড়ে মারবো কিন্তু। অখবা, সুশীল ব্লগ = সাহেব বাবুর বৈঠকখানা বিশেষ।
২৩। লুল বা লুল পুরুষ = বালিকা, নাবালিকা দেখলেই লালা ঝড়ে, এমন ব্লগার। ইদানিং ব্লগে ‘লুল পুরুষ’ ইমোকটিন যোগ করার দাবি উঠেছে।
২৪। সিটিএন = ইয়ের টাইম নাই, কোনো ব্লগারের সঙ্গে বাদানুবাদে না জড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশে তীব্র ঘৃণায় এটি বলা হচ্ছে।
২৫। ডিজিএম = দূরে গিয়া মর।
২৬। মফিজ = এলেবেলে ধরণের সাধারণ জন।
২৭। ভাঁজ খুইল্যা গেছে = আসল রূপ ধরা পড়েছে।
২৮। বাঁচাও কালা কুদ্দুস = ছেঁড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি — এমন অর্থে। সাধারণতা উল্টো-পাল্টা মন্তব্য দেখলে এটি ব্যবহার করা হয়।
২৯। বুথে আয় বায়তুল = আবেগ সামাল দিন। লেখা বা মন্তব্যে মাত্রাতিরিক্ত আবেগের রাশ টেনে ধরতে বলা হচ্ছে।
৩০। চ্রম = চরম শব্দটির অপভ্রংশ। যেমন, চ্রম হৈছে — বলতে লেখা বা মন্তব্যটি অসাধারণ হয়েছে বোঝায়।
৩১। জটিল = খুব ভালো, মতান্তরে জট্টিল বা জটিলস্ = খুব ভালো লেখা বা মন্তব্য, এমন বোঝাতে।
৩২। খ্যাক খ্যাক = হাসি, দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
৩৩। মুঞ্চায় = মন চায়, মন চাইছে — অর্থে। মতান্তরে, মন্চায়।
৩৪। কোবতে = কবিতা, দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
৩৫। ভাদা = ভারতের দালাল।
৩৬। পৈতা টেষ্ট = ভারতের দালাল সনাক্তের ব্লগীয় পরীক্ষা। মতান্তরে, ঈমান পরীক্ষা।
৩৭। মডু = ব্লগের মডারেটর, মতান্তরে মডুরাম।
৩৮। ডেভু = ডেভোলপার, ব্লগের কারিগরদের সংক্ষেপে বোঝাতে।
৩৯। টেকি = টেকনোলজিস্ট, টেকনো কানা = প্রযুক্তিতে অজ্ঞ– এমন বোঝাতে।
৪০। খিকজ= খিক খিক করে হাসির সংক্ষিপ্ত রূপ।
৪১। জোসিল= জোস বা খুব মজা+ বোঝাতে।
৪২। চ্রম = চরম অর্থে, দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
৪৩। খ্রাপ = খারাপ অর্থে, দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
৪৪। ওকিজ = ওকে বা ঠিক আছে, দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
৪৫। খুদাপেজ = খোদা হাফেজ, দুষ্টুমী করে বলা হচ্ছে।
—
(চলবে?) 😉
বেশ মজাদার পোস্ট। ভাল লাগল।কোলকাতার যাদবপুরে যারা পড়শোনা করেছেন তাদের নিশ্চয় মনে পড়বে কলেজ লাইফে তাদের এরকম অনেকগুলি শব্দ ছিল যেগুলি বিশেষ বিশেষ অর্থ বহন করত।
তবে ডায়লগ থ্রো করার সময় এগুলো যতটা মানায় সবসময় এতটা মানায় না। সিরিয়াস লেখা তে বিরক্তির কারণ উদ্রেক করতে পারে।
@বিপ্লব দাস,
অনেক দেরীতে বলছি, ঐ রকম দু-একটি বচন শুনতে মঞ্চায়। প্লিইইইইজ… 🙂
@বিপ্লব রহমান,
আবার বিপ্লব দাস! মুক্তমনা ব্লগ দেখছি ক্রমশই বিপ্লবী (নাকি বলব বিপ্লাবিত) হয়ে যাচ্ছে 😉
@রৌরব,
কস্কী মমিন? 😀
নিচের দুটি বাক্য ব্লগীয় ভাষায় কী হবে-
১) ধুত্তুরী, ঘুম চাপছে।
২) লিখতে (টাইপ করতে) মন চাচ্ছে না।
@মাহফুজ,
ফ্ল্যাটাইতেছি = ঘুম চাপছে।
টাইপোতে মুন্নাই = লিখতে (টাইপ করতে) মন চাচ্ছে না। 😛
@বিপ্লব রহমান,
ভালো জিনিসই শিখছি। ধন্যবাদ শেখানোর জন্য।
আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
@মাহফুজ,
হ। এই মহান জ্ঞান দান করতে পেরে আমি গর্ভ বোধ করছি! 😀
আপ্নেরে ফ্রেশ এক গুচ্ছ ধইন্যা। :yes:
@বিপ্লব রহমান,
তবে লেখাটির শিরোনাম আমার পছন্দ হয়নি।
প্রথমে দিলেন: বাংলা ব্লগের অশ্লিল শব্দসমুহ।
তারপর দিলেন: বাংলা ব্লগের অপ-শব্দসমুহ।
এখন সেটার নাম চেইঞ্জ করে রাখতে পারেন – ‘ব্লগীয় বাংলা অভিধান’ বা ‘ব্লগীয় বাংলা ডিকশনারী।’
যে সমস্ত শব্দ এপর্যন্ত দিয়েছেন বা অন্যরা যোগ করেছে, সেগুলো রপ্ত করতে সময় লাগবে। গতকাল একটা শব্দ ব্যবহার করেছি। সেটা হচ্ছে মুঞ্চায়।
@মাহফুজ,
কৈফিয়ত:
যে সব ব্লগীয় শব্দ এই লেখার বিষয়বস্তু, সে সব শব্দকে কোন অভিধায় চিহ্নিত করা যায়, তা নিশ্চিত ছিলাম না। তবু যুৎসই অভিধা খুঁজে না পেয়ে এক ধরণের অস্বস্তিসহ ‘কিম্ভুত’ শব্দাবলীকে শিরোনামে ও লেখায় ‘অশ্লীল’ (নাকি অশ্লিষ?) বলে ডাকি (দ্র. ২ নং মন্তব্যর জবাব)।
কিন্তু অনেক পাঠকই আমার অস্বস্তিকে উস্কে দেন, তারাও এ সব শব্দকে ‘অশ্লীল’ বলতে রাজী নন। এ পর্যায়ে সহব্লগার সৈকত চৌধুরীর কথায় খুঁজে পাই যুৎসই অভিধা– অপ-শব্দ (দ্র. ১৬ নং মন্তব্য)।
তাই অনেক দেরীতে হলেও শিরোনামে ও লেখায় ওই পরিবর্তন এনেছি। আমার মনে হয়, সত্যিই এর দরকার ছিল।
অনেক ধন্যবাদ। হ্যাপি ব্লগিং! :yes:
@বিপ্লব রহমান,
থাক কিছু বললাম না! :clap2:
@রামগড়ুড়ের ছানা, 😀
এগুলো ব্লগীয় অপ-শব্দ, অশ্লীল নয়। বেশিরভাগই মুক্ত-মনায় ব্যবহারের অযোগ্য। হ্যা,
শিরোনামে ভুল, ‘অশ্লীল’ হবে।
আর এই ‘হট টপিক’ কোল্ড হয়ে গিয়েছে। মাননীয় মডারেটররা ওটাকে ওখান থেকে খসিয়ে আল্লাচালাইনার লেখাটা ওই জায়গায় দিয়ে দিলে খুশি হতাম।
ওইটা দেখিয়া মেজাজডা চ্রম বিলা হইল। ওটা যে সাম্প্রদায়িক ও অগ্রহণযোগ্য শব্দগুচ্ছ তা তো আপনি জানেন। আর এর মানে ‘ভারতের দালাল সনাক্তের ব্লগীয় পরীক্ষা’ নয় বরং ইমান আছে কি নেই তার পরীক্ষা।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনিসহ আরো কয়েকজনের কথা মেনে শিরোনাম পরিবর্তন করেছি। বানানশুদ্ধিও করা হয়েছে।
‘পৈতা টেস্ট’ প্রসঙ্গে আপনার মতটুকুও মূল লেখায় যুক্ত করা হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ। :yes:
বাংলা ব্লগের অশ্লিল শব্দসমূহ…
কেউ আমাকে প্লিজ বলুন, “অশ্লিল” শব্দটা ঠিক আছে। যতবার এই ক্যাপশনটি চোখের সামনে আসছে ততবারই চুট খাচ্ছি। কেউ একবার বলুন শব্দটা ঠিক আছে। আমি একটু সুস্থ বোধ করি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
অশ্লীল হবে।
@আশিকুর রহমান,
ধন্যবাদ।
আমি জানি অশ্লীল হবে। তবু কেউ কিছু বলছে না দেখে মনে হচ্ছিল আমারই ভুল। থ্রেডটা এতদিন চলছে কিন্তু কেন যে ঠিক করছে না বুঝতে পারছি না।
আরো কিছু বানানের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার ভুল হতেই পারে তবে এক এক লেখক এক এক ভাবে লিখছেন বিধায় আমি আমার confidence হারিয়ে ফেলছি।
ব্যবহার
ব্যবসা
ইত্যাদি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কিপিটাপ = কিপ ইট আপ! :yes:
@বিপ্লব রহমান,
অসাধারণ।
এটা আমার খুব ভাল্লাগছে।
কিপিটাপ।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপ্নে রে ফুলাইলাম! :rose:
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার আশা পূরণ হবে বলে মনে হয় না,শব্দটি মোটেও ঠিক নেই। নামকরণ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ পোস্টটাই তার প্রমাণ। পোস্টটাকে প্লাস, শিরোনামকে কইষ্যা মাইনাছ (শিরোনাম কে প্লাস-মাইনাস দেবার ফিচার যোগ করার কথা ভাবছি,অন্তত এই পোস্টের জন্য!!)
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ধন্যবাদ আপনাকেও। :rose2:
আশিকুর রহমানকে :rose2:
আমি সত্যই সুস্থ বোধ করছি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হুমম… এই তাহলে ঘটনা ! :-/
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মোকছেদ আলীর লেখা নিয়ে বকবকানী থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি:
বাংলা একাডেমী বইতেও অশ্লীল বাবানটি দেখলাম।
@মাহফুজ,
তোমার জন্যও একটি ফুল :rose:
বাবানটি লেখার জন্য ফুলটি ফুটে নি।
মোকছেদ আলীর বাক্যটি আমি লক্ষ্য করেছি যথাসময়ে। ধন্যবাদ আবার তুলে ধরার জন্য।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মনে হচ্ছে, সত্যি সত্যিই আমাকে ধুতুরাতে ধরেছিল। তা নাহলে আমার এই দশা হয় ক্যামনে?
@মাহফুজ,
ধুতুরা হৈতে সাবধান! 😀
@নৃপেন্দ্র সরকার,
:laugh:
আমার কাছে এই শব্দ নির্মাণ ভাল লেগেছে। আমিও এখান থেকে বেশ কিছু শব্দ গল্পে ব্যহার করি।
আমার কখনো কখনো লিখতে লিখতে দুএকটা হাসজারু শব্দ তৈরি করে ফেলছি। যেমন কদিন আগে লিখলাম–হাহিতেছে। হা হা হি হি করিতেছে–এটা এরকম হয়ে গেল। পুন্দানী শব্দটা যখন ব্লগে পাই–তখন মনে হল, এ শব্দে তো স্ক্যাড ক্ষেপনাস্ত্রের মত।
হোক না এরকম শব্দ নির্মাণ।
শব্দ বহুরৈখিক। শব্দ যখন প্রতীক অর্থে ব্যবহৃত হয়–তখন তখন শব্দ এক রৈখিক হয়ে পড়ে। মরা নদীর সোতার মত নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। বহু ব্যবহারে একটি শব্দ জর্ণি হয়ে পড়ে। আবার যখন আমরা ক্রিয়ার্থ বিধি অনুসরণ করি–তখন শব্দের মধ্যে হিরক খণ্ড জেগে ওঠে। অসংখ্য আলোকছটা বেরিয়ে পড়ে। শব্দের ভেতরে উঁকি দিলে দেখা যায় অসংখ্য অর্থ আছে। ক্রিয়ার ভাবকে দেখলেই প্রয়াজনীয় অর্থটি চলে আসে। এভাবে শব্দের জীর্ণতা আসে না। নবায়ন ঘটে।
ধন্যবাদ বিপ্লব, এই অসাধারণ পোস্টটির জন্য।
@কুলদা রায়,
ছিক! কি অশ্লিষ! 😛
@বিপ্লব রহমান,
একটা আপডেটেড লিষ্ট দিলে ভালো হয়। যেমন খিকজ, বিয়াপক জোসিলা ইত্যাদি উপরের লিষ্টে দেখছিনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ওকিজ! আপডেট দিচ্ছি। :coffee:
@বিপ্লব রহমান,
ওকিজ, ধইন্যা। খুদাপেজ। 😎
বিয়াপক জোসিলা হইছে। আপনেরে ধইন্যা।
@নিদ্রালু,
🙂
অনেকগুলিরই অর্থ জানা ছিল না। খুব মজা পেলাম।
:lotpot: :hahahee:
দারুন। আমার কাছে নিঃসন্দেহে এগুলি সৃজনশীলতা এবং রসবোধের ব্যাপার।
চলুক। :yes:
@আতিক রাঢ়ী,
খিকজ! 😀
@বিপ্লব রহমান,
এইটাতো উপরের তালিকায় দেখলাম না।
এটার মানে কি ? আমিতো ভাই ব্যকডেটেড মাল হয়ে যাচ্ছি। 🙁
খিকজ- মানে কি ? আপডেট করুন। প্লিজ……
@আতিক রাঢ়ী,
খিকজ= খিক খিক করে হাসির সংক্ষিপ্ত রূপ।
মূল লেখায় যোগ করছি। 😀
হুমম! তবে ঐ মহারথীর লেখার মান অতি উচ্চ। আর উনি যেই ব্লগে লেখেন সেই ব্লগে তাহার চেয়েও বড় লুল পুরুষের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে ঐ লুল পুরুষ এখন অন্যান্য ব্লগেই বেশি কারবার করে! 😉 😉 😉
লেখাটা চ্রম হৈছে। লেখায় বিপ্লব! এই গুলো অশ্লীল শব্দ না। এইগুলোরে মনে হয় স্ল্যাং বলে।
বি দ্রঃ হিজবুত ভাইদের হিজ*তিয়া বলিয়াও মাঝে মাঝে সম্বোধন করা হইয়া ত্থাকে!
@পথিক এবং বিপ্লব রহমান,
বিপ্লব রহমান যে মহারথীর কথা বলছেন তার সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত পরিচয় নেই, কোন ধরনের কোন যোগাযোগও নেই। ওর বেশ কিছু লেখা পড়েছি আমি। অত্যন্ত উঁচু দরের সব্যসাচী লেখক সে। গল্প লেখক হিসাবে এ বছর বাংলা একাডেমীর পুরস্কারও সে পেয়েছে। সেই হিসাবেই তার লেখার প্রচন্ড ভক্ত বলতে পারেন।
লুলপুরুষের উদাহরণ দিতে গিয়ে বিপ্লব রহমানের তার প্রোফাইলের বক্তব্যকে তুলে আনা আর পথিকের ‘তার চেয়েও বড় লুল পুরুষের সন্ধান পাওয়া যায়’ বক্তব্য থেকে তাকেই লুল পুরুষ ভেবে নেবার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
আগেই বলেছি ব্যক্তিগতভাবে তাকে আমি চিনি না। সে লুলপুরুষ কি, লুলপুরুষ নয় তার কিছুও জানি না আমি। কিন্তু না জেনে এই ধরনের বিরাট অভিযোগের বোঝা একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়াটাও বোধহয় ঠিক হচ্ছে না।
@পথিক, @ফরিদ আহমেদ,
লেখায় ঐ অংশটি সংশোধন করে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ। :rose:
অশ্লীলের প্রতি মানুষের কি আগ্রহ রে!!!
পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথে মৌমাছির মত সবাই জেকে বসেছে। :guli:
@মাহফুজ,
আপনিই তো সবচেয়ে বেশি পোস্ট করেছেন দেখতে পাচ্ছি 😀 :guli: :heart:
@রৌরব,
হা হা প গে কে ধ… :lotpot:
@রৌরব,
এখানে :heart: এই চিন্হের শানেনুযূলটি যদি ইকটু বলতেন….
@রামগড়ুড়ের ছানা,
olive branch এর বদলা দিসিলাম।
আপনেও লন :heart:
@শাফায়েত,
আমি জানি, কিন্তু কমু না! 😀
@রৌরব,
আমারে বাদ দিয়া কইচি নাকি? আমিও তো মানুষ, নাকি ছাগু পাগু?? মোক এমনি করি ছ্যাকা দিলি বাহে….আই কিন্তু তোয়ারে :heart:
@মাহফুজ,
বালাই-ষাট! আপ্নে ছগু হৈতে যাবেন কোন দুস্কে? তয় আপ্নেরে ইয়ে থিক্কা বাদ দেয়াটা মোটেই উচিৎ হয় নাই। 🙁
@বিপ্লব রহমান,
আয়ারে বাদ দিলি কি অইবো, আই এডে ঠিকই ঢুক্কুম।
@মাহফুজ, :laugh: :laugh: :laugh:
বস আরো কিছু বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা দেন–
১। কেপি টেস্ট
২। লেঞ্জা মতান্তরে লেঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড
লেখা ভালু পাইছি। চ্রম।
@বকলম,
আপ্নেরে ধইন্য। 😉
তাঁরাইলাম।
এটাকে urban dictionary-র রূপ দিন।
@রৌরব,
ঞ! 😛
@বিপ্লব রহমান,
হ 🙂
http://www.urbandictionary.com/
@রৌরব,
অ্যাঁ! :-/
সিরাম হৈছে। লেখায় বিপ্লব। :yes:
পাঁচুদাকে উত্তম এবং মধ্যম জাঝা। :rose:
দৌঁড়ের উপ্রে আছি। রাতে বাসায় ফিরা কমেন্টাইবো। 😛
@ফরিদ আহমেদ,
আপ্নের মন্তব্যখান লাইকাইসি। 😀
@ বিপ্লব রহমান,
আমাদের সমাজে একটা কথার প্রচলন রয়েছে- এক দেশের বুলি, অন্য দেশে গালি।
অশ্লীলের সঙ্গা কী? বড়ই আপেক্ষিক ব্যাপার। একজনের কাছে যেটা অশ্লীল, অন্যের কাছে সেটা শ্লীল। যেমন- আপনার দেয়া ৪০ টি শব্দের একটিও আমার কাছে অশ্লীল মনে হয়নি। অন্যের কাছে অশ্লীল বোধ হতে পারে।
আমরা যদি স্বীকার করি যে পৃথিবীতে বিভিন্ন রুচির মানুষ রয়েছে, তাহলে নিন্দার কিংবা আশঙ্কার কারণ থাকে না।
@মাহফুজ,
হ
আরো কিছু আছে।
ভালু = ভালো
কেনু = কেন
আমি তারে ভালা পাই = আমার তাকে ভালো লাগে
বর্দা = বড়দা
বন্যাপা = বন্যা আপা
রোমান্টিক হুজুর
তাব্দা
……
@অভিজিৎ,
আমিও দুটা দিলাম-
গিলমান> পুরুষ বেশ্যা
পুংটা> সমকামী
@মাহফুজ,
এইটা কি কন? আমিতো বেবাগ চরম দুষ্ট পোলাপানগো পোংটা ( পুংটা) বইলা জানতাম। 😥
@আশিকুর রহমান,
হ ! 🙁
@বিপ্লব রহমান,
ভাই, সত্যি কথা। আমি নিজেও এই বকা শুনেছি (খেয়েছি)। 😥 😥
@আশিকুর রহমান,
ঞঁ 😕
আরো আছে।
কম্পুকানা= কম্পিউটার সম্পর্কে অজ্ঞ
ডাউনলোডানো=ডাউনলোড করা
বন্টু= লিনাক্স উবন্তু
মিন্টু=লিনাক্স মিন্ট
তালগাছ শব্দটাও খুব চলছে
@শাফায়েত, তালগাছ শব্দটা ব্যবহার উচিত হয় নাই, অইটার কপিরাইট হয়রানপুরীর । 😀 সেটা ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয়।
আর কাগু শব্দটা কেউ কইল না দেখে আমি পুরাই তাব্দা! 🙁
মোজুকাংগুলালা শব্দটাও অন্তর্ভুক্ত করা হোক! 😉 (ফ্রি বিজ্ঞাপন কইরা নিলাম!)
@শাফায়েত,
এই যে আরো—
ডাউনলোডান = ডাউনলোড করুন।
ক্লিকান = ক্লিক করুন।
পোকাইলাম = পোক করলাম (ফেসবুকে)।
লাইকাইসি= লাইক করেছি (ফেসবুকে)।
আনলাইক চিপি দিসি = পছন্দ হয়নি।
টাশকিত হৈলাম = টাশকি খেলাম= বিস্ময়ে হতবাক হয়েছি। 🙂
@বিপ্লব রহমান,
আরো আছে। মাইনাস থেকে এসেছে মাইনাছ, তারপর প্লাসানো!
@শাফায়েত,
এর পর ডাবল/ কৈষা মাইনাচ! 😛
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তালগাছবাদী কথাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর মানে হলে যে নিজের যুক্তিতে গোঁ ধরে থাকে!
পড়তে এবং শুনতে অশ্লিল না হলে এসব ব্লগীয় সাংকেতিক ভাষাগুলো পড়ে আনন্দই পাই। এতে একটা নুতনত্ব আছে বলে ভালো লাগে। তবে বেশী ব্লগীং করা হয়না বলে বোধহয় ব্যবহারে অতটা অভ্যস্ত নই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
মমিন! 😀
@বিপ্লব রহমান,
আপনার ১৩ নং-এ
কস্কী মমিন পাওয়া গেলো, কিন্তু শুধু ‘মমিন’ -এর অর্থ কি একই না ভিন্ন কিছু?
@ব্রাইট স্মাইল্,
মমিন! = হায় আল্লা! 😀
ভাষা প্রবাহমান, একটি ভাষা কত নতুন শব্দ তৈরী করতে পারে, তার ওপর নির্ভর করে তার সারভাইভাল ফি্টনেস। অত্যন্ত আনন্দিত যে নিত্য নতুন নানান শব্দের আগমন হচ্ছে। এতে ভাষাতে শেওলা জমার সম্ভাবনা কম।
@বিপ্লব পাল,
এ ক ম ত। তবে কিম্ভুত শব্দের যথেচ্ছ ব্যবহার কাম্য নয়।
@বিপ্লব রহমান,
কিম্ভূত শব্দ আবার কি জিনিস? কিম্ভূত কি একটি আপেক্ষিক টার্ম নয়?
অশ্লীললতা প্রকাশ না করলে এসব শব্দে আমার আপত্তি নেই?
@শাফায়েত, 😕
@বিপ্লব রহমান,
প্রশ্নবোধক চিহ্নটা ভূলে দিয়েছি 🙁 ।
@শাফায়েত,
ওকিজ! 😉
@বিপ্লব পাল,
এ ধারণার সাথে একমত, তবে যে কোন শব্দ গ্রহণে নয়। মোবাইল এর বাংলা মুঠোফোন সানন্দে গ্রহণ করি। home pageকে নীড় পাতা হিসেবে তো সবাই খুশি মনেই নিয়েছে।গদাম বা লাদি এর মত শব্দ গ্রহণ করলেও বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হবে না। আর পৈতা টেষ্টের মত সাম্প্রদায়িক শব্দ সৃষ্টি না হওয়াই শ্রেয়।
@গীতা দাস,
আমি করি না। মোবাইল বললে ক্ষতি কি-চেয়ারের বাংলা কেদারা কি চলেছে? ইংরেজি শব্দ বাংলা ভাষাতে আরো বেশী করে আশা উচিত-আসছেও-কারন তাতেই ভাষার সমৃদ্ধি।
বিপ্লব রহমানে যেগুলো দিয়েছেন সেগুলি অশ্লীল না-এগুলিকে ভাষাতত্ত্বে বলে লিঙ্গো-যা বিশেষ কোন কমিউনিটি ব্যাবহার করে।
@বিপ্লব পাল,
কেদারা যে বাংলা শব্দ এই কথা কিভাবে জানলেন? কেদারা হচ্ছে পোস্তু শব্দ।
@মাহফুজ,
“শুনতে পেলাম পোস্ত গিয়ে তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে”, সেই পোস্ত?
@রৌরব, :lotpot:
@বিপ্লব পাল,
ইংরেজী ভাষা থেকে শব্দ আসার থেকে মূঠো ফোনের মত নতুন শব্দ সৃষ্টি কি বেশি আকাংঙ্ক্ষিত নয়?
যাহোক, এ নিয়ে বিতর্ক করার চেয়ে চমৎকার সব শব্দ সৃষ্টিতে মেধা খাটালে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হবে।
@বিপ্লব পাল, @গীতা দাস,
ইয়ে …আমরা কী শব্দগুলোর মজাটুকুর বাইরে গজাতে চলে যাচ্ছি? খিকজ! 😉
@বিপ্লব পাল,
মুঠোফোন না বলে “মুঠোদুরআলাপনী” আরও বেশী যুতসই বাংলা হত।
অনেকেই আজকাল মুঠোফোন শুধু লেখার বেলাতেই লিখে। মুঠোফোন কাউকে এখনও বলতে শুনিনি। মোবাইল বা সেলফোন সার্বজনীন (ইন্টারন্যাশনাল) শব্দ। নতুন শব্দ সৃষ্টির দরকার কী বাবা।
এই
বলতে নিশ্চয় ভৌগোলিক সীমাবদ্ধ কোন জাতি গোষ্ঠিকেই বুঝায়। আলোচ্য অপ-শব্দ গুলো নেটের লোকেরা হামেশাই ব্যবহার করছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
একমত। মুঠোফোন না বলে “মুঠোদুরআলাপনী” যা-ই বলুন না কেনো, কোনোটাই ঠিক শ্রুতিমধুর নয়, বরং দ্বিতীয়টি তো নয়ই। অনেক ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
চ্রম, জটিলস, জাঁঝা!
বিপ্লব রহমান,
অনেকগুলো কারণে ব্লগীয় এসব শব্দ ও ভাষার ব্যবহার আমার পছন্দ নয় বলে দুঃখিত। কারণগুলো বলে কারও কারও মনে কষ্ট দিতে চাই না। তবে মোদ্দা কথা , internet explore অথবা কোন লিংক অনুসরণ করতে গিয়ে কখনও ঐসব ব্লগে চলে গেলেও পড়ার মত ধৈর্য, রুচি এবং বয়স আমাকে অনুমোদন করে না।
অনাকাংক্ষিত এ মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি।
@গীতা দাস,
আপনার অনুভূতির সঙ্গে একমত। এ কারণেই লেখার শিরোনাম– ‘বাংলা ব্লগের অশ্লিল শব্দসমূহ’…
প্রত্যেকে তার ব্যক্তিগত পাঠরুচিকে প্রাধান্য দেবেন, তাই না? এরপরেও মনে হয়, খানিকটা আপডেট থাকা ভালো।
একই সঙ্গে লেখার রসটুকু চেখে দেখতে অনুরোধ করি।
দেখতে পাই, সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেট-ওয়ার্ক ফেসবুকেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এইসব কিম্ভুত শব্দাবলী।
অনেক ধন্যবাদ।