লিখেছেনঃ রাজেশ পাল

 

কিছু কিছু মানুষ আছে এই সমাজে , যাদের কুবুদ্ধিসম্পন্ন কথা বা কাজের কারণে বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতদের মাঝে ঝামেলা আর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। আর তখন এই প্যাঁচ লাগানোর নাটের গুরুটিকে অন্যরা বলেন ,

 

“বেটা এসব কিসিঞ্জারী বন্ধ কর”

 

প্যাঁচ আর কুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বোঝাতে উপমা হিসেবে যে নামটি উচ্চারিত হয় প্রবাদবাক্যের মতো , সেই “হেনরী কিসিঞ্জার” আজ পাড়ি দিলেন পরপারে পৃথিবীর কুটনৈতিক রাজনীতির ইতিহাসে “কুটচালের বাদশা ” হিসেবে আলোচিত এবং নিন্দিত সাবেক মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার্। যার কুটচালের ফলে বদলে গেছে অনেক রাষ্ট্রের সরকার , শাসনব্যবস্থা , রক্ত ঝরেছে অগণিত নিরীহ মানুষের্। আর যার পুরষ্কার স্বরূপ ডঃ  ইউনুছ আর অং সান সুচির মতোই যথারীতি “নোবেল শান্তি পুরষ্কার”  এও ভূষিত করা হয় এনাকেও। বলাই বাহুল্য সারা পৃথিবী জুড়েই নিন্দা আর বিতর্কের ঝড় বয়ে যায় তার এই পুরষ্কার প্রাপ্তিকে ঘিরে।

 

কিন্তু কে তিনি? কেন তাকে ঘিরে এই বিতর্ক? কেনইবা আন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টালগুলিতে তার ম্রৃত্যু সংবাদের নীচের কমেন্ট সেকশন ভরে উঠছে লাখে লাখে উল্লাসপূর্ণ কমেন্টে?

 

 

একটু তাহলে ঘুরে আসি অতীত থেকে। কিসিঞ্জার জন্মেছিলেন জার্মানীতে। হিটলারের নাজিবাহিনীর ইহুদীদের আর ভিন্ন মতাবলম্বীদের  বিরুদ্ধে তীব্র জাতিগত নির্মূলাভিযান শুরু হলে ১৯৩৮ সালে পিতামাতার হাত ধরে পালিয়ে আসেন আমেরিকায়। কারণ তারা ছিলেন ইহুদী ধর্মাবল্বী। ভাবতে অবাক লাগে জাতিগত বিদ্বেষ আর ঘৃণার ফলে মাতৃভূমি ছেড়ে বাস্তুহারাতে পরিণত হওয়া এই মানুষটির কুটচালের বলি হয়ে বাস্তুহারা হতে।হয়েছিলো বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষদের পরবর্তীকালে।

 

অসাধারণ তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী এই মানুষটি পড়াশোনা করেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্র হিসেবে শুরু করে অসাধারণ মেধার গুণে পরিণত হন ফ্যাকাল্টি মেম্বারে। এরপর তার গন্তব্য হয় ওয়াশিংটন। পেশা হয় কুটনীতি। আর আফ্রো এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ডেমিগডদের সভায় এক নিষ্ঠুর শকুনির পাশার সূচনা।

 

জন্মলগ্নেই যেন বিজয়লক্ষীর সবটুকু শুভকামনার বরপুত্র হিসেবেই জন্ম হয়েছিলো তার্। একাডেমিক অঙ্গণের মতো কুটনৈতিক অঙ্গণে একের পর এক সাফল্যের বিজয়মাল্য শোভিত হতে থাকে তার গলে। হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে একইসাথে  দেয়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আর সেক্রেটারী অফ দ্য স্টেটের দায়িত্ব। যা কেবলমাত্র খোদ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতারই সমান্তরাল বলা যায়।

 

মতাদর্শিক দ্বন্ধ থেকে কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে অপর কমিউনিস্ট শক্তি গণচীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ষাটের দশকের শেষের দিকে। সেসময় “শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু” নীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের নির্দেশে চীন মার্কিন মৈত্রী বন্ধন গড়ে তোলার মূখ্য কারিগর ছিলেন কিসিঞ্জার্। পরে এই গ্রুপে যোগ দেয় পাকিস্তান। কারণ জন্ম থেকেই “চরম শত্রু” বিবেচনা করা ভারত এর ততকালীন মিত্র ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইতিহাসে এই জোট “পিন্ডি -পিকিং-ওয়াশিংটন” জোট নামেই সমধিক পরিচিত। এভাবেই চীন আর পাকিস্তানের কাধে ভর করে এশিয়াতে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার আর উত্থানপতনের খেলায় মেতে ওঠে মার্কিনীরা। যার সাফল্যের সবটুকুই মূলত কিসিঞ্জারেরই প্রাপ্য।

 

নিজের দায়িত্বপ্রাপ্তকালীন সময়ে এমন কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন যা প্রচণ্ড দূর্ভোগ বয়ে আনে বিশ্বজুড়ে।তার পরিকল্পনাতেই ১৯৬৯ সালে গোপণে বোমাবর্ষণ এবং সামরিক অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী।

যার কারণে সেখানকার বৈধ সরকারের পতন ঘটে। কম্বোডিয়ার ক্ষমতা দখল করে পলপ্টের রক্তপিপাসু খুনী খেমারুজ বাহিনী। সংগঠিত করে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যা ও নির্যাতনের বিভিষিকা।

 

ইরানের সাধারণ জনগণের উপরে নির্মম নির্যাতন চালানো সম্রাট অত্যাচারী শাহ -এর পক্ষে পূর্ণ সমর্থন নিয়ে দাড়ানোর পরিকল্পনাটিও ছিলো তারই। মার্কিন বলে বলীয়ান হয়েই শাহ এর বাহিনী নির্যাতনের স্টিমরোলার চালায় রীতিমতো। কিন্তু এখানেও ব্যাক ফায়ার করে তার পরিকল্পনা। নিজেদের সকল দলীয় আর মতাদর্শিক ভেদাভেদ ভুলে একযোগে প্রতিরোধে নামে ইরানের জনগণ। পিছু হটে আমেরিকাতেই পালাতে বাধ্য হন শাহ স্বপরিবারে। আর এরপর এতদিন একসাথে আন্দোলন করা বামপন্থী ও অন্যান্যদের সহজেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে “ইসলামিক রেভুলেশন” সফল করেন আয়াতুল্লাহ খোমেনী। যা দেখে অনুপ্রাণিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের উগ্রপন্থী দলগুলো। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের এক নতুন অধ্যায়ের হয় সূচনা। যার ফলাফল আজ দেখছে বিশ্ববাসী।

 

ভিয়েতনাম যুদ্ধকালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকারকেও সমঝোতার বদলে সংঘাতের পথে যাওয়ার পরামর্শ দেয়ার অভিযোগটাও তার বিরুদ্ধেই। অসংখ্য নিরীহ ভিয়েতনামবাসীর রক্তে ভিজে যায় ভিয়েতনামের মাটি। আর হাজার হাজার মার্কিন সৈন্যের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে চরম লজ্জাকর পরাজয় মাথায় নিয়ে ভিয়েতনাম থেকে বিদায় নেয় মার্কিন শক্তি। যার কারণে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে সারা মার্কিন যুক্তরাস্ট্র জুড়ে তার বিরুদ্ধে।

 

এখানেই শেষ নয়।

 

 

১৯৭৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের সামরিক বাহিনীর বিপথগামী অংশকে মদদ দিয়ে জনপ্রিয় নির্বাচিত সরকারকে উতখাতের মূল পরিকল্পনার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। রয়েছে একই কায়দায় চিলির বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট সালভেদর আলেন্দে কে মার্কিনপন্থী সেনা অফিসারদের সাথে ষড়যন্ত্র করে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নৃশংসভাবে হত্যার পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দায়ী করা হয় তাকেই।

 

কিসিঞ্জারের কুটচাল এর থাবা একেবারে প্রকাশ্যেই জনসমক্ষে এসে পড়ে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। নিজের ব্রেইনচাইল্ড “মার্কিন – চীন -পাকিস্তান” এর অন্যতম শরিক পাকিস্তানের অখন্ডতা টিকিয়ে রাখতে উল্কার মতো বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। ছুটে গেছেন রাওয়ালপিন্ডি পাকিস্তানকে আশ্বাস দিতে। সেখান থেকে পিকিং এ যাতে বাঙালী হত্যার জন্য পাকবাহিনীর অস্ত্র গোলাবারুদের যেন কমতি না ঘটে। গিয়েছিলেন দিল্লীতেও। যাতে ভারত সরকার সহায়তা বন্ধ করে মুক্তিবাহিনীকে। অন্যথায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দেন। কিন্তু লৌহমানবী খ্যাত ইন্দিরা গান্ধী আর সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকে শাহ রীতিমতো অপমান করেন তাকে। সর্বশেষ আর কোনো উপায়ান্তর দেখে তার সব অপকর্মের গডফাদার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সাথে পরামর্শ করে পাঠিয়ে দেন মার্কিন নৌবাহিনীর অন্যতম শক্তিসেল সপ্তম নৌবহরকে। কিন্তু অনেক দেরী হয়ে যায় ততক্ষণে। ভারতের অনুরোধে বঙ্গোপসাগরের প্রবেশমুখে পথরোধ করে দাড়ায় সোভিয়েত নৌবাহিনী। বাধ্য হয়েই পিছু হটে সপ্তম নৌবহর্। অল্পের জন্য আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ দেখা থেকে রক্ষা পায় বিশ্ববাসী।

 

এভাবে একের পর এক অবিমৃষ্যকারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশ এর মানচিত্র রক্তে লাল করে দেন এই মানুষটি। ভিয়েতনামে নিহত মার্কিন সেনাদের কবরের সারি আর স্বজনদের আহাজারি ভরিয়ে তুলে খোদ আমেরিকার বাতাস। গড়ে ওঠে তীব্র গণবিক্ষোভ। কিসিঞ্জারের পররাস্ট্রনীতিকে পর্যবেক্ষণ করলে ধারণা করা যায় যে , মানবতার বা মানুষের প্রাণের কোন মূল্যই ছিলোনা তার কাছে। তার কাছে রাস্ট্রের পলিসি বাস্তবায়নই ছিলো মূখ্য। আর সেজন্য যখন যেদেশে যে পদ্ধতি প্রয়োগের প্রয়োজন বোধ করেছেন . সেটাই ব্যবহার করেছেন নির্দয় নির্বিকারভাবে। যখন পৃথিবীর যে প্রান্তে যাকে তার পলিসি বাস্তবায়নে সহুযোগী মনে করেছেন .ছলে বলে কলাকৌশলে তাকে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক চেস্টা করেছেন। আর যাকে মনে করেছেন চিলির আলেন্দের মতো বাধা , তাকে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিয়েছেন চিরতরে। ভিয়েতনামের লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু তাকে বিচলিত করেনি। পাকবাহিনীর নির্মম বাঙালী হত্যাযজ্ঞকে শুধু সমর্থনই নয় , সহায়তাও করেছেন সর্বাত্মকভাবে। এমনই শীতল কঠিন নিষ্ঠুর হৃদয়ের অধিকারী এক কোল্ড ব্লাডেড কিলার ছিলেন এই কিসিঞ্জার্।

 

কিসিঞ্জারের এই নির্মম ও অবিমৃশ্যকারী অনেকটা গুপ্তঘাতক স্টাইলের পররাস্ট্রনীতির বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে যুক্তরাস্ট্রের সচেতন মহলে। বিরোধীদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী , মানবাধিকার কর্মী ও  সাধারণ জনগণের সমালোচনার তোপের মুখে পড়েন নিক্সন ও কিসিঞ্জার্। দাবী ওঠে সর্বস্তরে তাদের অপসারণের্।

 

এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে .

 

“Two of the most vociferous critics, Christopher Hitchens and William Shawcross, branded Dr. Kissinger a war criminal. Journalist Seymour M. Hersh, in “The Price of Power,” said Dr. Kissinger and Nixon were basically two of a kind: They “remained blind to the human costs of their actions. The dead and maimed in Vietnam and Cambodia — as in Chile, Bangladesh, Biafra and the Middle East — seemed not to count as the President and his national security adviser battled the Soviet Union, their misconceptions, their political enemies, and each other.”

 

তার জীবনীকার সাংবাদিক ওয়াল্টার ইসাকন তার ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্তে লিখেছিলেন .

 

‘তার নতুন বৈশ্বিক ভারসাম্য তৈরি করার জন্য একটি সহজাত অনুভূতি ছিল যা আমেরিকাকে ভিয়েতনামের পরে তার প্রত্যাহার সিন্ড্রোম মোকাবেলা করতে সহায়তা করতে পারে।  কিন্তু আমেরিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্মুক্ততা বা নৈতিক মূল্যবোধের জন্য যা তার বিশ্বব্যাপী প্রভাবের প্রকৃত উৎস থেকে প্রাপ্ত শক্তির জন্য অনুরূপ অনুভূতির সাথে মেলেনি।

 

আর এসব অভিযোগের ব্যাপারে কিসিঞ্জারের নিজের ডিফেন্স ছিলো ,

 

“History presents unambiguous alternatives only in the rarest of circumstances,” he wrote in “Ending the Vietnam War,” published in 2003. “Most of the time, statesmen must strike a balance between their values and their necessities, or to put it another way, they are obliged to approach their goals not in one leap but in stages, each by definition imperfect by absolute standards. It is always possible to invoke that imperfection as an excuse to recoil before responsibilities, or as a pretext to indict one’s own society.”

 

(Washington Post)

 

ক্রমবর্ধমান গণবিক্ষোভের ফলে প্রেসিডেন্ট নিক্সন পদত্যাগ করেন সালে। তার স্থলাভিষিক্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট ফোর্ড। তিনি ব্যাপক পরিবর্তন আনেন প্রশাসনে। বলতে গেলে নিক্সনের বিদায়ের সাথে কিসিঞ্জারের বিদায়ঘন্টাও বেজে উঠেছিলো। কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেই ফোর্ড প্রশাসন আর নিযুক্ত করেননি তাকে। রীতিমতো শোপিস হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর ওই অবস্থাতেই শেষ হয় তার কুটনৈতিক জীবন। কিসিঞ্জার ফিরে যান তার একাডেমিক লাইফে। জড়িয়ে পড়েন ব্যবসাতেও। এরপরও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্ট্রীয় ডাকে অনারারি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি জর্জ বুশ , ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অনেকের সাথেই। আর প্রতিবারই বিশ্বের কোন বা প্রান্তে বয়ে গেছে রক্তগঙ্গা! একি শুধুই কাকতলীয়? নাকি এটাই হলো “দ্য কিসিঞ্জার ওয়ে ”

 

স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুরি আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। নিজের পররাস্ট্রনীতির ব্রেইনচাইল্ড ” পিন্ডি -পিকিং-ওয়াশিংটন ” ঐক্য “ঢাকা – দিল্লী-মস্কো” ঐক্যের কাছে লজ্জাজনকভাবে ব্যররথ হওয়াতে তীব্র ক্ষোভ ছিলো তার বাংলাদেশ এর উপরে। অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে ৭৪ সালের দূর্ভিক্ষে মার্কিন ভূমিকা আর ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে চিলির প্রেসিডেন্ট সালভেদর আলেন্দের হত্যাকান্ডের অস্বাভাবিক মিলের মাঝে কেবল একজন মাস্টারমাইন্ডের ছকের মিল পাওয়া যায় পৃথিবীতে। তিনি ওয়ান এন্ড ওনলি হেনরী কিসিঞ্জার্।

 

আজ ৩০ শে নভেম্বর ২০২৩ সালে ১০০ বছর বয়সে চিরবিদায় নিয়ে পৃথিবীটাকে একটু হলেও ভারমুক্ত করে গেলেন এই ইভিল জিনিয়াস।