এখন এখন পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে, ঘটছে তাতে বোঝা যায় বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলতেই থাকবে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ সংক্রামিত হয়েছে বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ১২৪ মিলিয়নের অধিক মানুষ। যেসব দেশে এই আলোচিত ভাইরাস ছিল না তেমন দেশেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েও আবার নতুন করে মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠছে। করোনা ভাইরাসকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা আদৌ সম্ভব হতো, তবে সেই সময়টা ইতিমধ্যে চলে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, করোনা কখনো চিরতরে নির্মূল হবে না।
করোনা ভাইরাস খুবই উচ্চমাত্রার সংক্রামক রোগ যা অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো মহামারী একসময়ে থেমে যায় কারণ বিপুল পরিমাণ মানুষ যদি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে যায় অথবা তাদের উপর ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা যায়, দীর্ঘদিন সংক্রমণের রেখাচিত্রের উঠা নামার বালিশ খেলায় কিন্তু তখনো হয়ত ভাইরাস বিশ্বজুড়ে স্বল্পমাত্রায় সংক্রমণ করতেই থাকবে। মহামারীর প্রাদুর্ভাব উঁকি দেবে যেখানে সেখানে। এমনকি বহু প্রতীক্ষিত ভ্যাক্সিন বাজারে এলেও তা শুধু ভাইরাসকে সাময়িক দমন করবে মাত্র কিন্তু এই রাবণের চিতার অবসান হবে না। মানুষের ভাইরাসবাহিত রোগের পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে ডজন-খানেক সংক্রামক রোগের ভাইরাস থাকলেও মাত্র গুটিবসন্তকে পৃথিবী থেকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে যদিও তার জন্য তাবৎ পৃথিবীর ১৫ বছরের সমন্বিত প্রচেষ্টা লেগেছিল। সম্ভবত আমাদের বাকি জীবনটা করোনা ভাইরাসকে সাথে নিয়েই কাটিয়ে দিতে হবে।
গত শীতে, যখন SARS-CoV-2 ভাইরাসের সবে সংক্রমণ শুরু তখনো গণস্বাস্থ্যখাতে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞগণ আশাবাদী ছিলেন এই ভেবে যে ভাইরাসটি SARS গোত্রের এবং ২০০২ সালের দিকে আক্রমণ করে মাত্র ৮০০০ মানুষকে সংক্রামিত করেছিল এবং মানুষের সংস্পর্শে না গিয়ে একাকী ঘরে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। ২০০৪ সালের মধ্যে SARS ভাইরাসটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। SARS-CoV-2 এবং SARS ভাইরাসের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য এবং মারাত্মক কারণ SARS-CoV-2 ভাইরাসটি খুব সহজে এবং অতি দ্রুত ছড়ায় এমনকি ক্ষেত্র-বিশেষে সংক্রমণের কোন লক্ষ্মণ থাকে না। যারা ইতিপূর্বে SARS ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে COVID-19 তেমন কার্যকর হয়নি, কেউ হয়ত বুঝতেই পারেনি যে তারা আক্রান্ত হয়েছে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মহামারী সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ স্টিফেন মোরস বলেন, “কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা ঘোষণা দিতে পারব SARS ভাইরাস জয় করে ফেলেছি”। যদি অনিশ্চয়তা থেকেই যায় তাহলে কেমন হবে COVID-19 ভাইরাসের ভবিষ্যৎ? এমন প্রশ্নের জবাবে হার্ভার্ডের সংক্রামক ব্যাধি গবেষক ইয়োনাতান গ্রাড বলছেন, COVID-19 ভাইরাসের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভাইরাসটির প্রতিরোধে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী এবং কতক্ষণ কার্যকর। ইয়োনাতান গ্রাড এবং তার সহকর্মী সংক্রমণ প্রতিরোধের কয়েকটি সম্ভাব্য মডেল তৈরি করেছেন। যদি সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মাত্র কয়েকমাস কার্যকর থাকে তাহলে প্রতি বছরই বড় থেকে মাঝারি ধরণের মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুই বছর পর্যন্ত শক্তিশালী করা যায় তাহলে হয়ত COVID-19 কয়েক বছর পর পর আঘাত হানতে পারে।
ঠিক এখানেই সমস্যা, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা COVID-19 কতদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে তা আমাদের এখনো জানা নেই। ভাইরাস কতদিন মানুষকে সংক্রমণ করছে না সেটা জানাই এখন জরুরী বিষয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত এবং যুক্তিসঙ্গত বিষয়গুলো তুলনা করা দরকার। SARS ভাইরাসের ক্ষেত্রে ধরে নিই যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুই বছর পরে দুর্বল হয় তবে COVID-19 এর ক্ষেত্রে হয়ত একবছর হবে এবং সাধারণ ঠাণ্ডা সর্দিতেও শরীর নাজুক হয়ে পড়বে। ইয়োনাতান গ্রাড এই প্রতিবেদনের লেখককে বলেন, “যত দ্রুত শরীর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে করোনা ভাইরাস নির্মূল ততই কঠিন হয়ে পড়বে।”
এই অনুমানের বাস্তব প্রয়োগ ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। COVID-19 ভাইরাসের ভ্যাক্সিন বাজারে এলে শরীরে একবার প্রয়োগ করলেও হয়ত চিরকালীন রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর রাখতে হয়ত বছর বছর প্রয়োগ করতে হবে ঠিক যেমনটা ‘ফ্লু শট’ আমরা বছর বছর নিয়ে থাকি।
এমনকি যদি কোনক্রমে মানুষ থেকে করোনা ভাইরাসের জীবাণু নির্মূল করা সম্ভব হয় তবুও প্রাণীর মধ্যে ভাইরাসটির বিস্তার সুপ্ত বা প্রকাশিত অবস্থায় বিরাজিত থাকবে এবং পুনরায় মানুষের মাঝে সংক্রমণ ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে। SARS-CoV-2 ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছিল বাদুর থেকে কিন্তু কোন প্রাণীর মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে মানুষের সংস্পর্শে চলে আসছে তা এখনো অজানা এবং তারা ভাইরাসের সম্ভাব্য পোষক হিসেবে থেকেই যাবে। SARS ভাইরাসেরও জন্ম হয়েছিল বাদুর থেকে এবং বিড়াল সদৃশ (সিভেট) একটা প্রাণী ছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের ভাইরাসের ধারক ও বাহক ফলে সেই সময় সরকার বিপুল পরিমাণ সিভেট হত্যা করতে বাধ্য হয়। চ্যাপেল হিলের নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ টিমোথি শিহান বলেন, “SARS-CoV-2 ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে মানুষই অন্য প্রাণীর শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে দেবে তখন সেই প্রাণীটি হবে ভাইরাসের নতুন বাহক। কারণ কীভাবে আমরা জানবো মানুষের থেকে বন্য বা পোষা প্রাণীর শরীরে ভাইরাস ছড়ানোর পরিধি ও প্রবণতা কতটা?” ফলে মানুষের মাধ্যমেই ব্রংক্সের চিড়িয়াখানার বাঘ বা ডাচ ফার্মের মিংকসের (পশমওয়ালা বিড়াল/ইঁদুর সদৃশ প্রাণী) শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ফার্মের মিংকের শরীর থেকে ভাইরাস আবার মানুষের শরীরে ফিরে আসতে পারে।
যতদিন প্রাণীর শরীর ভাইরাসের বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে ততদিন মানুষের পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যাবে ঠিক এই কারণেই বিজ্ঞানীগণ ভাইরাসের বিনাশ হবে কিনা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না। সম্ভবত ইবোলা ভাইরাসের জন্ম বাদুর থেকে। ২০১৬ সালের পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা মহামারী থেমে হয়ে গেছে, এমনকি মানুষের থেকে মানুষের শরীরে ইবোলা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ভীতিও এখন আর নেই তবে ইবোলা ভাইরাস কিন্তু পৃথিবীতে আছে, ইবোলার ধারক প্রাণীর সংস্পর্শে এলে মানুষ আবারও ইবোলাতে আক্রান্ত হতে পারে। মানুষের আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে ২০১৮ সালে কঙ্গোতে ইবোলা আবার সংক্রমণ শুরু হয়। ইবোলা আক্রান্ত মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে, একাকী থেকে এবং ভ্যাক্সিন প্রয়োগে কঙ্গোর ইবোলা দূর করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু ইবোলা চিরতরে নির্মূল হয়ে যায় নি। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না SARS ভাইরাস পুনরায় মানুষের শরীর আক্রান্ত করার জন্য প্রাণী দায়ী নয়, তেমনি করোনা ভাইরাস ফিরে ফিরে আসবে নিত্য নতুন রূপে ও পোষকের মাধ্যমে।
আশার কথা হলো, বর্তমানের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিয়েই COVID-19 রোগের ভয়াবহতা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে এবং এখন মনে হচ্ছে করোনা আর আগের মত প্রাণঘাতী ব্যাধি নয়। অচিরেই হয়ত ভ্যাক্সিনের সুসংবাদ চলে আসবে। সময়ের পরিক্রমায় করোনাও হয়ে যাবে অন্যান্য সাময়িক ভাইরাসবাহিত বা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের মতই সাধারণ। SARS-CoV-2 ভাইরাস হয়ে পড়বে নিতান্ত ঠাণ্ডা কাশির 229E, OC43, NL63, and HKU1 অসুখ। আমাদের সবারই জীবনের যেকোনো সময় এই রোগে আক্রান্ত হতে পারি, এমনকি একাধিকবার। করোনা ভাইরাস তীব্রভাবে আক্রমণ করতে পারে বয়স্কদের কিন্তু তার নিরাময় সম্ভব। করোনা ভাইরাসের শেষ খেলা হলো মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অদ্ভুত ক্ষমতা।
প্রকৃতপক্ষে ভাইরাস বিশেষজ্ঞগণ উদ্বিগ্ন হয়েছেন সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বরের লক্ষ্মণ নিয়েও করোনা শুরু করেছে মহামারী। ২০০৫ সালে বেলজিয়ামের গবেষকগণ করোনা ভাইরাসের OC43 বিভাজন এবং সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন করোনা ভাইরাসের মতই একটা ভাইরাস গরুকে আক্রমণ করে। জেনেটিক বিভাজন (মিউটেশন) একই হারে চলতে থাকে এবং গবেষকগণ ১৮০০ সালেই দেখতে পেয়েছেন ভাইরাস গরু থেকে মানুষে বিস্তার লাভ করে। একই সময়ে একটা ভয়ানক সংক্রামক রোগে অগণিত গরু মারা যেতে থাকে। তদুপরি কৌতূহলী বিষয় হলো ১৮৮৯ মানুষের মাঝেও মহামারী শুরু হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী, বয়স্ক মানুষেরা মরতে থাকে বিপুল পরিমাণ। মানুষের মাঝে কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিতো সাথে জ্বর এবং স্নায়ুতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাত, প্রায় অর্ধেক শতাব্দী পরে জানা গেল সেটা ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং যারা বেঁচে ছিল তাদের শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে গেল। কিন্তু আক্রান্তদের দেহকোষের নমুনা গবেষণা করে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেল না তাদের কী হয়েছিল।
তবে কি গরুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রামিত সেই ভাইরাসের নাম করোনা? এই প্রশ্নটা শুধুই অনুমান। ওয়েস্টার্ন কেইপ ইউনিভার্সিটির করোনা ভাইরাস গবেষক বার্ট্রাম ফিল্ডিং বলেন, “আমি অবাক হবো না যদি খুঁজে পাই অতীতের তিনটি ঠাণ্ডা জ্বর শ্বাসকষ্টের মহামারীর সাথে যোগসূত্র আছে এবং রোগের প্রকোপ প্রতিকারে কোন স্বচ্ছ দিকনির্দেশনা ছিল না। একই সাথে ইতিবাচক দিক হলো COVID-19 সময়ের সাথে সাথে দুর্বল হয়ে যাবে। করোনা মহামারী তখন হয়ে যাবে নিতান্ত সর্দি, কাশি জ্বর। ভাইরাসের ভয়াবহতা নিরূপণের উপায় হচ্ছে কতটা ছোঁয়াচে এবং কতটা সংক্রামক এই দুইটার বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশদ আলোচনা। এক্ষেত্রে আমরা SARS এবং SARS-CoV-2 এর মধ্যে তুলনা করতে পারি। পূর্বের ভাইরাস অধিক সংখ্যক আক্রান্ত রোগীদের মারতে সক্ষম ছিল কিন্তু এত দ্রুত এত সহজে ছড়িয়ে পড়ত না। ভাইরাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ছড়িয়ে পড়া, যদি জীবন্ত একটা পোষক শরীর পায় তাহলে তো কথাই নেই, কারণ মৃত শরীরের থেকে চলমান পোষক শরীর ভাইরাস ছড়াতে অধিক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা বিজ্ঞানের করোনা ভাইরাস গবেষক বিনীত মেনাচেরি বলেন, “ভাইরাস সংক্রমণের প্রক্রিয়াতে মৃতদেহ কোন কাজে আসে না”। করোনা ভাইরাসের সমগোত্রী ভাইরাস এখন আর তেমন প্রাণঘাতী নয় কারণ আমরা সবাই শৈশব থেকেই ভাইরাসের মুখোমুখি হয়েছি, এমনকি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বারবার ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে নাও পারে তবু অনেক জটিল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ভ্যাক্সিন প্রয়োগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে COVID-19 ভাইরাস আর ভয়ানক থাকবে না।
ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে ভাইরাস বিশ্লেষণের দরকারি অনুষঙ্গ। ফ্লু নির্দিষ্ট কোন ভাইরাসের কারণে হয় না, বরং বিভিন্ন ভাইরাসের মিলিত আক্রমণে আমরা বিপর্যস্ত হই। ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু (H1N1) মহামারীর কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেলেও, সোয়াইন ফ্লুর কবল থেকে আমরা চিরতরে মুক্তি পাইনি বরং প্রতি বছর শীতের মৌসুমে এর আক্রমণ তীব্র হয়। কিন্তু সোয়াইন ফ্লু এখন আর মহামারীর আকার ধারণ করে না, কারণ আমাদের শরীর ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তেমনি ভাইরাস গোত্রের নতুন কোন শাখা যার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ নেই তার আক্রমণেও মহামারী ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২০০৯ সালের H1N1 ভাইরাসের মহামারী এখন মামুলি মৌসুমি জ্বর। মৌসুমি জ্বর কখনো মহামারী আকারে ছড়ায় না কারণ মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে ঐ ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে।
ঠিক একই পরিণতি COVID-19 ভাইরাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, করোনা প্রেমিকার মত চিরতরে দূরে চলে যাবে না, বরং ফিরে ফিরে আসবে ভোগান্তি বাড়াতে। জোন্স হপকিন্সের ভ্যাক্সিন গবেষক রুথ ক্যারন বলেন, “করোনা ভাইরাস আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গী যেমন ভাবে আমরা ফ্লু ভাইরাস নিয়েও বেঁচে আছি কিন্তু ভাইরাসের জন্য সমাজ বন্ধ করে দেয়ার কোন বাস্তবিক ভিত্তি নাই। আমাদেরকে ভবিষ্যতে ভাইরাসের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।“
মূল প্রবন্ধ: The Coronavirus Is Never Going Away
লেখা টা আনেক তথ্য বহুল । আনেক তথ্য সঠিক ভাবে জানতে পেরে ভালো লাগলো বিকাশ মজুমদার ভাই । আপনার এই রেখা আমার একটা প্রতিবেদনে খুব সাহায্য করবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ