দেশের’ই চাকর, অথচ ভুলেছে আপন কাজ
নাগরিক ভাজে রোজই, সেই অসৎ ধান্দাবাজ,
নিলাজে চালায়ে রাজ। ওরা যে ভৃত্য বেতনভুক
মালিক যে নাগরিক, সবকিছু ভুলে গেছে আজ।
কবি ও লেখক কিনে, তাদেরে দিয়েছে পুরস্কার,
কত যে বাঘা সাংবাদিকের করেছে বিবেক নাশ,
রানী’র প্রিয় পোষ্য বনে, ভুলেছে তারা তিরস্কার।
পারেনি যাদের, উপহার রূপে, দিয়েছে সন্ত্রাস।
ক্ষমতার জোরে সেবক এখন প্রভু, বহুরূপী।
যখন যা সুবিধা, কাপড় অথবা ইস্পাত টুপি,
গদ্দিটি ধরে, জলপাইয়ে দেয় চুমু, নাই ঝুঁকি।
নিলাজ চুমুতে রাঙ্গায়ে পেছন, ডোবায় অতল,
গদিটা থাকলে, নাগরিক কে? কিসের অশ্রু জল।
চামচা’রা বলে চল, দে রে উড়ায়ে, বাধা সকল,
রানী পা বলে সব্বার সেরা, বলরে আয়না বল।
চেতনা ঝুলিয়ে কষ্টকে বেচি, রাজ-নৈতিক ছল,
ছদ্মবেশেতে স্বপ্নপূরণ, জাদুর আয়না বল।
জনতা কে হে? উত্তরাধিকারী, সে’ই সব্বার সেরা,
চিনেছেন? হ্যাঁ, সর্বদা সে যে চাটুকার দিয়ে ঘেরা।
মুক্তমতে সাতান্ন ধারা ও জেলখানা হবে ডেরা,
ভণ্ডামি-খানি টেকাতেই তার, ধূর্তের দলে ভেড়া।
সর্ব-কালে দেখবেন বটে শাসকের ভালোবাসা,
ধম্ম-ব্যাপারী জোচ্চোর নিয়ে জমে ওঠে বেশ খাসা।
কালো পাগড়ীর গুপ্ত ঘাতক মজুত সর্বনাশা,
সেই প্রেমে যে রক্ষাকবজ, শাষক বেঁধেছে আশা।
ক্ষয়িষ্ণু তেঁতুল বনে তাই কুঁজো হয়ে, নয়-ন বানে,
মোল্লা হুজুর বিবিধ লালা, কোথা মাথা গোঁজা, জানে,
কেন দুষো তারে? মন বলে কথা, ও, আহ্লাদী আশা,
টিকে থাকা দেখো, আর দেখো, ক্ষমতার ভালোবাসা।
বুদ্ধীজীবীরা তাদের মাথা বন্ধক দিয়ে দিছে সরকারের কাছে, এই বাচাল মন্ত্রীদের শায়েস্তা করা জন্য এখন একমাত্র ছাত্ররাই ভরসা।