আদিবাসী’র জমি ফসলে’তে হাসে পেশল দখলদার;
বীর যোদ্ধার প্রাণ ছদ্মবেশে লুকায় জোব্বার আস্তিনে,
শিশু বুড়ো আর মেয়েগুলো গুম খুন বা লুট হয়ে গিয়ে,
নুয়ে পড়ে; দূর্বল সমর্পণে দানব ঈশ্বরে বলে ধন্যবাদ।
মাটি মা’র দেওয়া বুনো আলু ভুট্টা, ভেট শেষে অবশিষ্ট্,
তা’ই খায় হাঁটু গেড়ে, বাঁচতে যে হয়, ঈশ্বর ধন্যবাদে।
আদিবাসী আবার মরে সমর্পণে; সাথে মরে বনমোরগ,
মিঠে কুমড়ো আর মেয়েগুলো; তবুও জানায় ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভিনদেশি ঈশ্বরে।
বীর মুকুটের পালক উড়ে যায় নতুন রাজের দাপটে,
টোটেম পোলগুলো খোঁজে দূর বনে নিরাপদ আবাস;
প্রতিদিন আসে নব্য দখলদার, দেঁতো হাসি ফন্দিতে,
টোটেম রাখাল ভয়ে’তে লুকায় চেনা দেবতারে, হায়,
হারে অত্যাচার আতঙ্কে, আর ধন্যবাদে পেশল ঈশ্বরে।
কাজীদার কবিতা পড়তে পড়তে হারিয়ে যাই, পরে দেখি আর মন্তব্য করা হয় না। বেশ আয়োজন করে পড়ি আপনার কবিতা।
আপনার সবগুলো কবিতা মিলিয়ে একটা ই-বই করার উদ্যোগ নেয়া দরকার।
🙂 জানতে পেয়ে ভাল লাগলো সৈকত। অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার!! পশ্চিমের টোটেম তবু তো সংরক্ষিত, দেশী টোটেমের যা অবশিষ্ট আছে তা আর কতদিন টেকে কে জানে?!!
দেশের ক্ষেত্রে সেই তো হয়েছে। নিজস্ব যা কিছু, মানুষ তা ধরে রাখতে চায়; আর আমাদের জন্মভূমিতে ঠিক উল্টোটা’ই সত্যি। ‘আশা’ হয়ে কালের একটা চক্র অবশ্য থাকছে, কিন্তু সেও তো এক সুদীর্ঘ্য যাত্রা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মুরশেদ ভাই।
‘ধন্যবাদে পেশল ঈশ্বরে’ কেন যেন মনে হয় মনে মনে এমন একটা লেখা খুজতেছিলাম।
মাহবুব লীলেন’এর মন্তব্য পেয়ে খুশি হয়ে গেলাম। আপনি আমার খুব পছন্দের একজন শক্তিশালী লেখক। শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।