Book Cover: ভালোবাসা কারে কয়
Part of the মুক্তমনা ই বই series:

অভিজিৎ রায়ের ‘ভালোবাসা কারে কয়’ বইটি সাবলীলভাবে বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে যেমন আলোচনা করেছে; তেমনি প্রেম-ভালোবাসা সংক্রান্ত আচরণে বিবর্তনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেছে খুবই প্রাঞ্জল ভাষায়। যাদের বিবর্তন সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নেই তারা যেমন এই বইটি পড়ে সহজে বুঝতে পারবেন; তেমনি প্রেম সম্পর্কে যাদের নিজস্ব কোনো দৃষ্টিভঙ্গী নেই তারাও বুঝে নিতে পারবেন প্রেমের বিজ্ঞান...

Excerpt:

প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের জ্ঞান সাহিত্য-সিনেমা কিংবা অভিজ্ঞতা নির্ভর। কেউ কেউ এর সাথে যৌনতার ফ্রয়েডীয় প্রাক-বৈজ্ঞানিক কল্পনানির্ভর তত্ত্ব জুড়ে এক ধরনের যুক্তিও দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও অন্যসব প্রাণিদের মতো মানুষ যেমন ক্ষুধা-ভয়- স্নেহ ও নিরাপত্তাবোধের মতো বিষয়গুলোতে বিবর্তন-প্রভাবিত প্রাচী

READ MORE

ন আচরণ করে; তেমনি করে বংশ-বিস্তারের ক্ষেত্রেও। আর যেকোনো প্রাণীর বংশবিস্তারের প্রস্তুতিটাই হলো বিপরীত লিংঙ্গের প্রতি আকর্ষণ কিংবা সম্পৃক্ততার তাড়না। যাকে মানুষের ক্ষেত্রে বলা হয় ভালোবাসা কিংবা প্রেম...

ভালোবাসা প্রভাবিত হয় ব্যক্তির মানব-প্রকৃতি দ্বারা। আর মানব-প্রকৃতি গঠনে পরিবেশ থেকেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে জিন বা বংশাণু। মানবপ্রকৃতি গঠনে পরিবেশের ভূমিকা সম্পর্কে সবাই কিছু না কিছু ধারণা রাখলেও বংশাণুর ভূমিকা বেশিরভাগের কাছেই অজ্ঞাত। মানব-প্রকৃতি গঠনে এই জ্ঞাত আর অজ্ঞাত বিষয়গুলোকে বিজ্ঞানের যে শাখাটি একসাথে আলোচনা করে তা হলো- বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান; যা বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান আর বৌদ্ধিক মনোবিজ্ঞানের সমন্বয়ে তৈরি তুলনামূলক নতুন একটি শাখা...

COLLAPSE
Reviews:ব্লাডি সিভিলিয়ান on মুক্তমনা বাংলা ব্লগ wrote:

জন্মেরও আগে, ভ্রূণাবস্থাতেই বইটার সাথে আমার, আমাদের পরিচয়, তাঁর অন্য একাধিক বইয়ের মতনই।

নতুন বই লেখার সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণত তিনি ব্লগে লেখা শুরু করতেন, এবং এর আলোচনাসমালোচনার পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার ব্লগজাগতিক সুবিধে নিয়ে তিনি সম্ভাব্য বইটির পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন করতেন। কৃতজ্ঞতাপ্রকাশে অকুণ্ঠ ছিলেন তিনি। এমনকি বইয়ের ভূমিকা থেকে আরম্ভ করে পাতায় পাতায় তিনি সহব্লগারদের অবদান, প্রভাব, এমনকি বিরোধের কথাও টেনে এনেছেন। সত্যিকার অর্থে বিনয়াবনত, নির্মোহ, নৈর্ব্যক্তিক একাডেমিক ও সত্যসন্ধানী শিল্পীর মতন তিনি তাঁর সৃজন আরো গুরুতর, আরো রূপদক্ষ, আরো সমৃদ্ধ, আরো বিশ্লেষণাত্মক, আরো অভিনিবিষ্ট করার বিন্দুমাত্র সুযোগ হাতছাড়া করতেন না। ভয়ঙ্কর সিরিয়াস উপাদানসন্ধানী হয়েও তিনি উপাদানগুলো পরিবেশনের সময় যেন যথাসম্ভব ভারমুক্ত ও রসমণ্ডিত হয়ে ওঠে, পাঠাভিজ্ঞতা হয় আনন্দময় এবং পাঠকের মস্তিষ্ক চাপমুক্ত হয়েও আকৃষ্ট হয় সম্যকভাবে, সেদিকে সুতীক্ষ্ণ নজর দিতেন। পপ সায়েন্সের বই লিখতে গিয়ে তিনি সততা, জ্ঞানবিস্তার, ও প্রশ্নোদ্রেকের দিকে দৃষ্টি দিতে যেমন ভোলেননি, তেমনই ভোলেননি ভাষা, উপস্থাপনভঙ্গি ও আকর্ষণের মূলধারা ধারণে।

তবে, বইটা নিয়ে আমার দুটো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। বলি সেসব।

প্রথমটা ২০১১-এর।