বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন :
‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ খুব বুদ্ধিমান ছিল। সে চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।গড়ে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়; প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। তাবলিগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’
এসব বলার কারণে তাঁর মন্ত্রীত্ব চলে গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের মিছিল বেরিয়েছে রাস্তায়। তাঁর ফাঁসির দাবি করা হচ্ছে। তাঁর মাথার দাম পাঁচ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। নানা মহল থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও পিছিয়ে নেই। লতিফ সিদ্দিকীকে নাকি আর ঢুকতে দেওয়া হবে না দেশে। মিডিয়াও নানা কায়দায় তাঁকে অপদস্থ করছে। কিন্তু কী অপরাধ তিনি করেছেন? তিনি প্যারিচাঁদ চাটুজ্জের পুত্রকে কৃষ্ঞ চন্দ্র দাসের পুত্র বলেননি। তিনি আবদুল্লাহর পুত্রকে আবদুল্লাহর পুত্রই বলেছেন। এটা ঠিক যে মুহম্মদের নাম বলার পর লতিফ সিদ্দিকী ‘তাঁর ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’ বাক্যটি উচ্চারণ করেননি। শান্তি বর্ষণের আশীর্বাদ না করলেও তাঁর ওপর শান্তি বর্ষণ না হওয়ার কোনও কারণ নেই। আল্লাহতায়ালা তাঁর ওপর নিশ্চয়ই শান্তি বর্ষণ করবেন। তিনি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার পরম বন্ধু এবং ‘প্রেরিত পুরুষ’। তাছাড়া লতিফ সিদ্দিকী হজ্ব নিয়ে যা বলেছেন, তা ইসলামের ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছি, খুব মনগড়া কিছু বলেননি। মুশকিল হল, অধিকাংশ বাঙালি মুসলমান কোরান এবং হাদিস সম্পর্কে খুব কম জানেন, এবং ইসলামের ইতিহাসও তাঁদের পড়া নেই। পাকিস্তানে শেখ ইউনুস নামের একজন ডাক্তার ছিলেন, তিনি একবার একটা বক্তৃতায় বলেছিলেন :
‘আমাদের নবী মুহম্মদ তাঁর চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত অমুসলিম ছিলেন, এবং শুধু তিনি নন, তাঁর বাবা-মাও মুসলিম ছিলেন না। কারণ তাঁর বাবা মা ইসলাম ধর্মের সূচনা হওয়ার আগেই মারা যান। নবী মুসলমান হন যখন তিনি ইসলাম ধর্মটির প্রবর্তন করেন তাঁর চল্লিশ বছর বয়সে’।
এই সত্য তথ্যের জন্য শেখ ইউনুসের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। শেখ ইউনুসের দুর্দশাই প্রমাণ করে, সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান প্রায় নেই বললেই চলে।
এ কেমন ব্যাপার, আমাদের ভদ্র হতে হবে, সুবোধ হতে হবে, পরিমিতিবোধ থাকতে হবে, যা কিছুই করি যুক্তি থাকতে হবে, এবং তাদের, ধর্মে যাদের বিশ্বাস আছে, বোধ শোধ কিছু না থাকলেও চলবে, তাদের কাজে যুক্তির য ও না থাকলে চলবে, তাদের উগ্র হলে ক্ষতি নেই, যে কারও মাথার দাম ঘোষণা করার অধিকার তাদের আছে, বর্বর এবং খুনী হওয়ার অধিকার আছে, কিন্তু আমাদের সেই অধিকার নেই, আমাদের বলতে আমি ধর্মমুক্তদের কথা বলছি। ঈশ্বরে বিশ্বাস করা লোকেরা ঈশ্বরে বিশ্বাস না করা লোকদের চেয়ে সব সমাজেই বেশি সুযোগ সুবিধে পায়, যদিও তারা আজ অবধি তাদের বিশ্বাস যে ঈশ্বরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেই ঈশ্বরের অস্তিত্বেরই কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
বাংলাদেশের নব্বই বা তারও বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম। অধিকাংশই বাবা মা যেহেতু মুসলিম সেকারণেই মুসলিম, কিছু মুসলিম ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে মুসলিম, স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন অথবা বাধ্য হয়ে গ্রহণ করেছেন। এই মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই দাবি করছেন লতিফ সিদ্দিকী ‘মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত দিয়েছেন। মুসলিমদের বলতে সব মুসলিম অথবা মুসলিমের সমষ্টি, অথবা মুসলিম গোষ্ঠি বোঝানো হচ্ছে। অনুভূতি কিন্তু ব্যক্তির থাকে, সমষ্টির কোনও অনুভূতি থাকে না, গোষ্ঠির অনুভূতি বলেও কিছু নেই। বলা যেতে পারে, লতিফ সিদ্দিকীর কথায় কিছু ব্যক্তির অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। একজন ব্যক্তির যে কেবল ধর্মীয় অনুভূতিই থাকে তা নয়, নানা রকম অনুভূতিই থাকে। অন্য কোনও অনুভূতিতে আঘাত লাগলে তারা এত মারমুখী হন না, যত হন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে। প্রশ্ন করা যেতেই পারে, ধর্মীয় অনুভূতিই কি তবে অন্যান্য সব অনুভূতির মধ্যে সবচেয়ে ভঙ্গুর এবং বিপজ্জনক অনুভূতি, যেটি সহজেই ভাঙে, এবং যেটি ভাঙলে যে কেউ সভ্যতার স্তম্ভগুলোকে –গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতাকে ভেঙে ফেলার অধিকার রাখে? মানুষের সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলেও ইসলামকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা আছে প্রতিটি দেশেই। আজ ইসলাম নিয়ে কোনও প্রশ্ন করলেই মৃত্যুদণ্ড, ফাঁসি, জবাই হয়ে যাওয়া , যাবজ্জীবন, দেশান্তর, হেনস্থা ইত্যাদি অবধারিত।
মুসলিম মৌলবাদীরা পাথর ছুড়ে নারীকে মারছে। এক কোপে ধড় থেকে মুণ্ডু কেটে ফেলে দিচ্ছে। ট্রাউজার পরলে মেয়েদের চাবুক মারছে, গাড়ি চালালে বেত্রাঘাত। সারা পৃথিবীর মানুষ দেখছে এইসব বর্বরতা। পৃথিবী জুড়েই এককালে বর্বরতা ছিল, কিন্তু বর্বরতাকে বেআইনী ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় সব দেশেই। কেউ স্বীকার করুক না করুক, আজ এ ঘটনা সত্য যে গত দু’ দশক ধরে মুসলিম মৌলবাদীর সংখ্যা এবং একই সঙ্গে মুসলিম সন্ত্রাসীর সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আল কায়দা, বোকো হারাম, তালিবান, লস্করই তৈবা, মুজাহিদিন, হিজবুল্লাহ, আইসিস ইত্যাদি নানা ছোট বড় দল গড়ে উঠেছে। পুরো পৃথিবীটাকেই তারা ‘দারুল ইসলাম’ বানানোর স্বপ্ন দেখছে, যে দারুল ইসলামে কেবল মুসলিমরা বাস করবে, আর কেউ নয়। পিউ রিসার্চের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের বেশির ভাগ মুসলিমই শরিয়া আইন চাইছে। আজ সারা বিশ্বে ইসলাম সম্পর্কে একটা বিবমিষা তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা। মুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, মুসলিমদের চাকরি দেওয়া, মুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসায়িক এবং সামাজিক সম্পর্ক রাখার ব্যপারে অনেক দেশের অমুসলিমরা অনীহা প্রকাশ করছে। মুসলিমদের প্রতি ভয়ংকর এক অবিশ্বাস জন্মেছে। পাশ্চাত্যের মানবাধিকার আইনটি এতই শক্তপোক্ত যে মুসলিমরা পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে নিজেদের পছন্দমতো জীবন যাপন করতে পারছে, তাদের মেরে ধরে তাড়িয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কোনও দেশের নেই। পাশ্চাত্যের বর্ণবাদ এবং জাতিবাদকে পাশ্চাত্যই ঠেকায়।
গণতন্ত্র অর্থহীন হয়ে যায় যদি মানুষের বাক স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের অধিকার না থাকে। সমাজ বদলাতে হলে নানান লোকের নানান অনুভূতিতে আঘাত লাগে। কারও কোনও অনুভূতিতে আঘাত দিতে না চাইলে সমাজটাকে বদলানো যাবে না। রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করতে গেলে বা নারীবিরোধী আইন দূর করতে গেলেও মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে। ধর্মানুভূতিতে আঘাত না দিয়ে খুব বেশি ভালো কাজ আজ অবধি সমাজে হয়নি। ইওরোপ থেকে গির্জার দুঃশাসন বন্ধ করার সময়ও প্রচুর লোকের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লেগেছিল। গ্যালিলিওর কথায়, ডারউইনের ভাষ্যে লোকের ধর্মানূভূতিতে আঘাত লেগেছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে কুসংস্কাচ্ছন্ন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। কিন্তু তাদের আঘাত লাগবে বলে যদি আমরা মত প্রকাশ করা বন্ধ করে দিই, যদি আমরা বিজ্ঞানের আবিস্কার এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিই, সভ্যতার চাকাকে থামিয়ে রাখি, তবে সমাজটাকে স্থবির জলাশয় হিসেবেই রেখে দিতে হবে, একে আর স্বতঃস্ফূর্ত স্রোতস্বিনী করে গড়ে তোলা হবে না আমাদের। অনেকে বলছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান, সুতরাং লতিফ সিদ্দিকীর বুঝে শুনে কথা বলা উচিত ছিল। মানুষের মন জুগিয়ে কথা বললে মত প্রকাশের অধিকারের বা বাক স্বাধীনতার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। বাক স্বাধীনতা একমাত্র তাদের জন্যই , যাদের মতের সঙ্গে অধিকাংশ লোকের মত মেলে না। যে কথাটা তুমি শুনতে চাও না, সে কথাটি বলার অধিকারের নামই বাক স্বাধীনতা। বাক স্বাধীনতা তাদের দরকার নেই যাদের মত শুনে কেউ মনে আঘাত পায় না। বাক স্বাধীনতার পক্ষে না থেকে যখন সরকার বাক স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নেয়, তখন নিজের দেশটার ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে।
ধর্মানুভূতি নিয়ে আজকাল ধর্মবাজ মৌলবাদীরা ভীষণ ভালো ব্যবসা করছে। এই ব্যবসায় বাংলাদেশে বরাবরই তারা লাভবান হচ্ছে। যতবারই তারা রাস্তায় নেমে চিৎকার করে ভিন্ন মতাবলম্বী কারওর ফাঁসি দাবি করে, জনগণের সম্পত্তি জ্বালানো পোড়ানো শুরু করে, ততবারই সরকার তাদের পক্ষ নিয়ে ভিন্ন মতাবলম্বীকে নির্যাতন শুরু করে। এতে ধর্মবাজদের শক্তি শতগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সমাজকে শতবছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। আমার বেলায় ঠিক এই কাণ্ডই ঘটিয়েছিল সরকার। মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপোসনীতি অবিকল আগের মতোই আছে। খালেদা সরকার ফতোয়াবাজ সন্ত্রাসীদের পক্ষ না নিয়ে সেদিন যদি ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করতো, তাহলে ওদের শক্তি এত এতদিনে এত ভয়ংকর হতো না। আমিও দেশের মেয়ে দেশে থাকতে পারতাম। মত প্রকাশের অধিকার বলে কিছু একটা থাকতো দেশে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা শুধু নয়, সরকারও ক্ষুদ্র স্বার্থে ভিন্নমতাবলম্বীর গণতান্ত্রিক অধিকার লংঘন করে। আজ যদি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা লতিফ সিদ্দিকীকে তাঁর মন্ত্রী পদ থেকে বহিস্কার না করতেন, তবে তিনি দিব্যি দেশে ফিরতে পারতেন। সব তাণ্ডব ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যেতো। চতুর ধর্মবাজরা বুঝতে পারতো এই সরকারের আমলে ধর্মানুভূতির রাজনীতিতে বড় একটা সুবিধে হবে না। লতিফ সিদ্দিকীকে বহিস্কার করা মানে মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের আগুনে মণকে মণ ঘি ঢেলে দেওয়া। তাদের অপশক্তি আবারও বেড়ে যাবে শতগুণ। দেশ পিছিয়ে যাবে আবারও শতগুণ।
লতিফ সিদ্দিকী সম্পর্কে নানারকম তথ্য প্রকাশ হচ্ছে আজকাল। মানুষটা নাকি বড্ড মন্দ ছিলেন। সরকার যখন কাউকে বিপদে ফেলে, তার বন্ধু সংখ্যা কমে গিয়ে শূন্যের কোঠায় চলে আসে। ঠিক আমারও এমন দশা হয়েছিল। আমাকে দেশ থেকে বের করার পর বন্ধু যারা ছিল, হাওয়া হয়ে গেল। আমার বিরুদ্ধে নির্বিচারে অপপ্রচারও শুরু হলো। লতিফ সিদ্দিকী সম্ভবত প্রচুর মন্দ কাজ করেছিলেন। আমি বলছি না তিনি খুব ভালো লোক। আমি শুধু তাঁর নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষ নিয়ে কথা বলছি। আমি লতিফ সিদ্দিকীর মত প্রকাশের অধিকারের যতটা পক্ষে, তাঁর বিরোধীদের মত প্রকাশের অধিকারের ততটাই পক্ষে। লতিফ সিদ্দিকীর মত পছন্দ না হলে তাঁর মতের বিরুদ্ধে লিখুন, বলুন, যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করুন তাঁর মত, কিন্তু তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা, তাঁকে শারীরিক আক্রমণ করা, তাঁকে ফাঁসি দেবো, মৃত্যুদণ্ড দেবো, তাঁকে মেরে ফেলবো, কেটে ফেলবো, মুণ্ডু ফেলে দেবো – এইসব বর্বর হুমকির বিপক্ষে আমি।
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু – আমি কেন জানি এই নীতিতে অভ্যস্ত হতে পারিনি। প্রকৃতপক্ষে আমি নীতিকে কোনো নীতি বলিনা – এটা আসলে দূর্নীতি।
লতিফ সিদ্দিকী ধর্মের বিপক্ষে বা কোনো অসাম্প্রদায়িক কথা বললেই আমি তার পক্ষ নিবনা। আমার নিজস্ব নীতিমালা আছে। আমি একজন corrupted লোককে কখনোই সমর্থন করবনা – তা তার কোনো কথা আমার ভাল লাগুক আর নাই লাগুক।
আপনি ভুল দেশে জন্ম নিয়েছিলেন, তসলিমা নাসরিন। আর ভুল সময়ে। আপনাকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করার মতো পরিপক্বতা বাংলাদেশ অর্জন করেনি। আমাদের প্রগতিশীল প্রধানমন্ত্রীটা গর্বের সাথে বলেন তাঁর পূর্বপুরুষ ইরাক থেকে এখানে এসেছিলেন ইসলাম প্রচার করতে। আর অন্য যে প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি সম্ভবত টিপসই দেন। এদেরকেই পালা করে ভোট দিয়ে যাওয়াই হচ্ছে আমাদের পরিপক্বতার মান।
যেখানেই থাকেন ভালো থাকবেন। আর নিয়মিত লিখবেন। আপনার প্রবন্ধ ও গল্পগুলো চমৎকার।
এ ক ম ত।
তবে আমার মনে হয়, সুইস ব্যাংকের টাকার হিসেব ধামাচাপা দিতেই লতিফ সিদ্দিকী সরকারকে একটি ইস্যু দিলেন, আর একই সঙ্গে পাকাপোক্ত করলেন বিদেশে তার রাজনৈতিক আশ্রয়। নইলে তিনি কোনোকালেই বিপ্লবী ছিলেন না, ওই রকম বিপ্লবী বোলচালও তার দেওয়ার প্রয়োজন হতো না। খুব খেয়াল করে।
মুক্তমনায় স্বাগতম। চলুক।
আপা দারুন লিখেছেন । আশা করি শাম্নে আপনার আরো লেখা পাব ।
তসলিমা নাসরিন,
মুক্তমনায় আপনাকে স্বাগতম, আশা করি নিয়মিত পাবো।
কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইলের মোড়ে মোড়ে দেখলাম লতিফ সিদ্দিকীর নামে বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত যে ছিল টাঙ্গাইলের গর্ব যার কোন দুর্নীতি কখনোই কেউ জানতো না আজ সে টাঙ্গাইলে হয়েছে নাস্তিক ডগ সিদ্দিকী আর দুর্নীতির বরপুত্র! বিলবোর্ডটি নিচে দেয়া হলোঃ
[img]http://i59.tinypic.com/rur1cl.jpg[/img]
শাহবাগের গন আন্দোলনের মুহুর্তে যখন তিন ব্লগারকে গ্রেফতার করা হলো তখনই বুঝেছিলাম কি চীজ এই আওয়ামীলিগ…! আমার কেনো যেনো মনে হয় নিকট ভবিষ্যতেই আফগানিস্তান-পাকিস্তান কে বাংলাদেশের চাইতে অনেক বেশী সেক্যুলার মনে হবে…!
লতিফ সিদ্দিকী বিষয়ক লেখায় শেখ ইউনুসের প্রাসঙ্গিক উদাহরণটি ( জানা ছিল না) ভাল লাগল।
এ মতামতের সাথে একমত এবং এখানেই আপনার লেখাটির বিশেষত্ব।
মুক্ত-মনায় আপনার নিয়মিত লেখা প্রত্যাশা করছি।
প্রবন্ধটা পড়ে ভাল লাগলো। একটা বিষয়ের উল্লেখ যথাযথ হয়েছে যে, ঈশ্বর বাদীদের ভদ্র হওয়া লাগে না, কিন্তু নিরিশ্বরবাদীদের বা সন্দেহবাদীদের ভদ্র মানুষ হওয়া লাগে। একই সরকার এই দুই গ্রুপের মানুষ ডিভাইড এণ্ড রুলের নিয়মে তাদের মাথার উপরে কাঠাল রেখে খেয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের বিকৃত রাজনীতি দেশে অভদ্র অমানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অসাধারণ লেখা ।
ভীষণ ভালো লেগেছে আপনাকে এখানে দেখে ! (F) (D)
১। লতিফ সিদ্দিকির মত ডোন্ট কেয়ার বেয়াদব টইপের মানুষ বাংলাদেশে খুব কমই আছে – শামীম ওসমান কিংবা জয়নাল আবেদিন ফারুক কিসিমের লোক… এরা গণতন্ত্রের জন্য উপযুক্ত নয়। সাথে দূর্নিতি!!
২। দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে কেউ জা খুশি তা বলতে পারেনা… এটা শুধু বাংলাদেশ না… পশ্চিম বঙ্গের রাজ্যমন্ত্রী, ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারিদের জন্যও… এর এনালোগাস উদাহরণ পাঠকই ভেবে নেবেন।
৩। আরবী লেখা যেকোন কাগজ দেখলেই তা অনেকে সযত্নে তুলে রাখেন – বাস্তবতা হলো দেশের বেশিরভাগ মানুষের অবস্থা এমনি!!!
পরিশেষে বলি – প্রাইভেট সিটিজেন লতিফ সিদ্দিকি সহ যেকোন ব্যক্তির জন্য আমি নিম্নের উক্তিটি মনে প্রানে মেনে চলি একটি উদিয়মান রিপাবলিক এর স্বাধীন নাগরিক হিসেবে –
মুক্তমনায় স্বাগতম (Y)
@সংবাদিকা,
আপনার কেন মনেহচ্ছে লতিফ সিদ্দিকি যে, কথা গুলো বলেছেন,সেগুলো “জা খুশি তা”?ঐ কথাগুলোকে “জা খুশি তা” বলে কনকুলুড করছেন কোন যুক্তিতে?
উনার কথাগুলো একদমই যা ‘জা খুশি তা’ টাইপের নয়।উনি যা বলেছেন,সেগুলো দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যাক্তিদের মধ্যে বলা কিছু দুর্লভ কথা।দুর্লভ মানে এই না যে,এগুলো বলা যাবে না।দায়িত্বপূর্ণ পদে বলতে উনি ছিলেন আইসিটি মন্ত্রী।তো আইসিটি মন্ত্রীকে ঘরোয়া আড্ডাতেও ধর্ম বাঁচিয়ে কথা বলতে হবে?পদে থাকলে কি তার ব্যাক্তিগত জীবন বা ব্যাক্তিগত মতামত বলে কি কিছু থাকতে নেই।
@সংবাদিকা, লতিফ সিদ্দিকীর সাথে ”একমত” না হয়েও যে তার মতের পক্ষে লড়ার সংকল্প জানাচ্ছেন- তাতেই আমরা কৃতার্থ! 😉
@সংবাদিকা, [img]http://ripostelaique.com/wordpress/wp-content/uploads/2013/03/EVOLUTION-ET-ISLAM.jpg[/img]
আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ নয় বৃহত্তর স্বার্থেই সরকার ভিন্নমতাবলম্বীর গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করে। ক্ষমতায় থাকাটা তাদের বৃহত্তর স্বার্থ। এজন্য মৌলবাদীদের এরা তোয়াজ করে চলে।
মুক্তমনায় স্বাগতম।
:guru: (F) (F) (F)
আপনাকে মুক্তমনায় দেখে খুবই ভাল লাগলো, মুক্তমনায় স্বাগতম। (F)
আমাদের দেশে মৌলবাদীরা যখন কোন নাস্তিকের উপর ফতোয়া জারী করে, তখন দেশের গণমাধ্যম গুলোকে মৌলবাদীদের ফতোয়াবাজীর বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে দেখা যায় না। চিন্হিত কিছু মিডিয়া বরং ঐ নাস্তিকের ব্যক্তিগত/রাজনৈতিক জীবন নিয়ে ভিত্তিহীন উল্টা-পাল্টা প্রচারনা শুরু করে। মৌলবাদীদের ফতোয়াবাজীকে “হালাল” করার এটাই মনে হয় সবচেয়ে সহজ পন্থা। :-X
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যেসব পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছেন তা কিন্তু নতুন কছু নয়; সবাই আমরা সেসব জানি। আমরা সেসব পয়েন্ট নিয়েই আজীবন লিখে আসছি। তিনি যে সত্যগুলো বলেছেন হাদিস কিংবা ইতিহাস কিংবা মোহাম্মদের জীবনী পুস্তক গুলোতে স্পষ্ট ভাবেই সেসব লেখা আছে। যারা তার বিচার চাচ্ছে হয় তারা সেসব আসলেই জানেনা নতুবা জেনেও না জানার ভান করে।
আমাদের মুসলমানদের সমস্যা হচ্ছে তারা সত্য জেনে গেলে ইমান কমে যাবে সেই ভয়ে সত্য জানতেই চায়না; তাই ভুলেও সেসব বই পড়েনা। ইভেন আরবি বুঝিনা অজুহাতে কোরআন বুঝে পড়ার থেকেও তারা বাহানা দিয়ে দূরে থাকে। আর যারা সত্য গুলো জেনে সেটা নিয়ে কথা বলে তাদের মুখ চেপে ধরে; পাছে শুনে ইমান কমে যায়!!! চেপে যে সবসময় ধরে তাই শুধু নয়; মাঝে মাঝে নামিয়েও দেয়। মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড; কারন ইসলাম শান্তির ধর্ম!!! যারা ইসলামের শান্তি অস্বীকার করে ইসলামের মাঝে অশান্তি আনে তাদের হত্যা করা ফরজ!!!
মুক্তমনায় স্বাগতম; নিয়মিত আশা করছি আপনাকে 🙂
লতিফ সিদ্দিকীর হজ বিষয়ক সাম্প্রতিক কথাবার্তা পড়ে মজা পেয়েছিলাম। বেশীর ভাগের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে বোঝাই যাচ্ছিল। কিন্তু আমার নিজের লাইনের অর্থাৎ মুরতাদদের রিয়েকশন কী হবে তা নিয়ে কিছুটা কৌতুহলী ছিলাম।
রিয়েকশন জানা গেছে। লতিফ সিদ্দিকী আমাদের সমর্থন পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার সেফ সাইডে থাকার জন্য বেশ পরিস্কার করে বলেছেন যে, আমি জানি ও বেটা বিশেষ সুবিধার লোক না। তার যাবতীয় কর্মকান্ডও আমি সমর্থন করছিনা। কেবল হজ ইস্যুতে তিনি যা বলেছেন তা ঠিক মনে করছি। এবং তার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি… ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, শুরু থেকেই আমার মাথার এক সাইডে ভেতরের দিকে এক কোনায় একটা জিনিস কুটকুট করছিল। তা হল- জনাব লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ দলভুক্ত। এই দলটি গত কয়েক বছরে বিরোধী দলগুলোর অপদার্থতার কারনে এবং শিক্ষিত সচেতন জনগোষ্ঠীর মেরুদন্ডহীনতার কারনে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। কনফিডেন্সের চরম সীমায় আছে। এই উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসের নিদর্শন হিসাবে আমরা দেখেছি, ড্রাইভারদের পড়াশুনা জানার দরকার নেই, গুরু ছাগল চিনলেই হবে, কিংবা রাতের লঞ্চে আরো বেশী লোক উঠতে পারবে, কিংবা মানুষের বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব না, কিংবা ঢাকা ভার্সিটির ভর্তি প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ- প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করা হবে ইত্যাদি। আমাদের সর্বজনাব লতিফ সিদ্দিকীও এর বাইরে নন। শোনা যায়, এক ইঞ্জিনিয়ার তার সামনে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বলে তিনি তাকে লাথি কষিয়েছিলেন। তাই আমার মাথায় কুটকুট করছিল- তাঁর এই হঠাৎ বিপ্লব আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক কনফিডেন্সেরই একটি বহিঃপ্রকাশ নয়তো? হয়তো একটু ব্যতিক্রমী।
আমরা নিজেরাই বরং নিজেদেরকে একটা ব্যাপার একটু মনে করিয়ে দিই- ধর্মবিরোধী বইপত্র কোনকালেই খুব রেয়ার আইটেম ছিলনা। আর আজকাল অনলাইন ম্যাটেরিয়ালের পরিমান তো হিউজ। তাই ওরকম দু’একটা কড়া সত্য কথা বলতে হলে নাস্তিকতার উচ্চ নৈতিকতা নিজের মধ্যে ধারন করার প্রয়োজন পড়ে না। কিছু কমন যুক্তি বা অবজার্ভেশন মুখস্ত করে নিয়ে অনেকেই স্টান্টবাজী করতে পারে। তাই এই লোকটির ব্যাপারে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ জাতীয় জিনিস টেনে আনার আগে পুরো বিষয়টিকে আরেকটু সতর্কভাবে বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি সকলের প্রতি। ধন্যবাদ।
সময়োপযোগী লেখা নিয়ে মুক্তমনায় স্বাগতম তসলিমা নাসরিন।
আমাদের মধ্যেই কেউ একজন যখন দেড় হাজার বছর আগের আরবের খুন, গণহত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ, বহুবিবাহ আর শিশু নির্যাতনের মতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, বা ইতিহাস থেকে তা উচ্চারণ করি, তাহলে মুহুর্তের মধ্যেই হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ হেফাজতী মুসলমানরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে জ্বালাও পোড়াও আর ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিবাদকারী বা সঠিক ইতিহাস উচ্চারণকারীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তার ফাঁসি বা শিরশ্ছেদ দাবী করে, তার মাথার দাম ঘোষনা করে। মূহুর্তের মধ্যে বিরাট সংখ্যক হেফাজতীদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া দেখে বুঝতে অসুবিধা হয়না- এরকম একই বিশ্বাস আর আদর্শের মুসলমানের সংখ্যা বাঙলাদেশে কোটি কোটি।
এবার এর বিপরীত চিত্রটি কল্পনা করুন। এই কোটি কোটি বাঙালী মুসলমান যদি দেশে ঘটে যাওয়া সম্প্রতি সব রাষ্ট্রীয় দূর্নীতি, হত্যা, গুম, ধর্ষণ সহ সকল অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে একই ভাবে মূহুর্তের মধ্যে রাস্তায় নেমে পড়তো, তাহলে আজ আমাদের দেশের অবস্থান আর বিশ্বে মুসলমানদের ভাবমূর্তি কোথায় থাকতো?
দিলাম আপনাদের একটা দূঃস্বপ্ন ধরিয়ে। আপনাদের মতো আমিও জানি বাস্তবে তা কোনদিনই হবার নয়। কারন ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ আর সত্য-মিথ্যার পার্থক্য যদি মুসলমানরা বুঝতো, তাহলে দেড় হাজার বছর আগেই ইসলাম ভ্রুনেই ধ্বংস হয়ে যেত।
আমাদের দেশে নাস্তিক মুরতাদ শব্দ গুলি ক্রমশ ই জন প্রিয় হয়ে উঠেছে । আর সেই জন প্রিয়তার করনেই অনেকেই নাস্তিক মুরতাদের পথে পা বারাচ্ছেন ডাক্তার, কবি, সাহিত্যক, বিচারপতি মন্ত্রী আমলার সাথে অনেক সাধারন মানুষ অতি সম্প্রতি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকির কিছু মন্তব্যে আমাদের দেশের ধার্মিক সমাজ তথা ধর্ম ব্যবসায়িরা তাকে নাস্তিক মুরতাদ বলে ঘোষনা করেছেন । লতিফ সিদ্দিকে নিয়ে রাজনিতীর মাঠ থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টক শো পত্রিকার পাতা সবটাতেই গরম ব্যবসা । আর ব্যবসা হবে ই না বা কেন আমদের দেশের এক শ্রেনী তো নিজের স্বর্থের জন্য সব কিছুই করতে প্রস্ত্তত । যেখানে একজন আমলা তার পদোন্নতির জন্য তার স্বীয় স্ত্রী কে রাষ্ট্রপতির বিছানা সংগী হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির বিছানায় পাঠাতে দ্বিধা বোধ করেন না যে খানে তথা কথিত ধর্মবাদীরা নারীনেত্রীত্ব হারাম বলে ক্ষমতার লোভে সুন্দরী রমনীর আঁচলের নীচে নেন সেখানে অসম্ভব বল কিছু আছে বলে আমি আদৌ মনে করিনা । যাই হোক লতিফ সিদ্দীকির ফাঁসির দাবিতে সাড়া দেশ আজ উত্তাল । ফেনী জেলার সত্তর বছর বয়ষ্ক এক গরিব ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন হাফিজাহুল্লাহ্ ইতোমধ্যে লতিফ সিদ্দিকির মাথার দাম দশ লক্ষ টাকা ঘোষনা করেছেন তার সাথে ফ্রি হজ্জ অফার । শুধু মাত্র পরোকালে জান্নাতের আশায় জয়নাল আবেদিন হাফিজাহুল্লাহ্ তার সহয়ায় সম্পত্তি বিক্রি করে টাকার বিনিময় প্রকাশ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে হত্যার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদ কে উৎসাহিত করেছেন আর এ ধরনের ধর্মীয় উগ্রবাদ কে উৎসাহিত করার জন্য মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন হাফিজাহুল্লাহের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নানিয়ে বরং তাকে অতি মাত্রায় আল্লা ভক্ত ও ধর্মের জন্য মহৎ প্রাণ হিসেবে অনেকেই প্রচার করছেন যাই হোক । উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী আমদের দেশকে বেশ কিছু দিন যাবৎ নাস্তিক- আস্তিক দুভাগে বিভক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্রমানয়ে ঐ গোষ্ঠি বাংলাদেশ কে জঙ্গীবাদের অভয়ারন্য পরিনত করতে তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ই রাখছে না ।
ক্ষমতার রাজনীতি এবং ধর্মানুভূতি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। সব যুগেই আমরা দেখতে পাই শাসকগোষ্ঠী ধর্মকে তাদের হাতিয়ার বানিয়ে ব্যাবহার করে।আমেরিকার শাসকগোষ্ঠী বারবার বাজার দখল করার জন্য নানা কৌশলে ধর্মানুভূতিকে ব্যাবহার করেছে।তাই সমস্যাটা সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।যে রাজনীতি এক চেটিয়া মুনাফা লাভের সাথে সম্পৃক্ত সে রাজনীতির ধারক বাহকরা কখনই চাইবে না যে গন মানুষ ধর্মীয় বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসুক।শুধুমাত্র ধর্মীয় দর্শনের বিরুদ্ধে লড়াই করলেই চলবে না।যারা ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ে মানুষের ধর্মানুভূতিকে ব্যাবহার করে মুক্তবাজার অর্থনীতির ইঁদুর দৌড়ে জিততে চায় তাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে। তাই ধর্মকে বিলুপ্ত করতে হলে ধর্মকে আশ্রয় দেয় এমন সবকিছুকে ভেঙে ফেলতে হবে।ঘরের শত্রুদেরকে চিন্হিত করুন এবং সজাগ থাকুন।
মুক্তমনায় স্বাগতম!!
অসাধারণ লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এই ব্লগে আপনার আরো অনেক লেখা পাবো।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন এ প্রবন্ধে। লতিফ সিদ্দিকী দুর্নীতিবাজ কোন সন্দেহ নেই। আমরা কেউ তার দুর্নীতির সাফাই গাইছি না এখানে। আপনি ঠিকই বলেছেন – লতিফ সিদ্দিকী যে মন্দ মানুষ তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু তার প্রকাশের অধিকার যেভাবে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে তা আশঙ্কাজনক। বোঝা যাচ্ছে আপনি যত বড় মন্ত্রী মিনিস্টারই হোন না কেন, যত পেশির জোরই দেখান না কেন, ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। এটাই বাস্তবতা। এরশাদ সাহেব লাম্পট্য, দুর্নীতি আর হত্যার রাজনীতি করে গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নেয়ার পরেও রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারেন, শামীম ওসমান ত্বকী হত্যা করেও মসনদ টিকিয়ে রাখতে পারেন, কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে টু শব্দ করলে রাজনীতির কুৎসিৎতম মানুষটিও তাগুদি জোশে বুকচিতিয়ে দাঁড়ায়। এরশাদ সাহেব লতিফ সিদ্দিকীকে ফাঁসি দিতে বলেছেন, গায়িকা ন্যান্সি নাকি আইসিসের মত গলা কাটতে বলেছেন, আর আধুনিক ব্যারিস্টার আন্দালিব বলেছেন পাথর ছুঁড়ে মারতে। এই হচ্ছে ‘সোনার বাংলা’।
দেশে কিছুদিন আগে দেখা গেল নাস্তিক এবং সেক্যুলার ব্লগাররাও নিরাপদ নয়। তাদের ধরে ধরে হাজতে পুরে হেনস্থা করা হয়েছে। নতুন এক ৫৭ ধারা করা হয়েছে যেখানে মুক্তচিন্তার ব্লগারদের গরাদে পোরা সহজ হয়, যেখানে ফারাবীর মত চিহ্নিত মুখচেনা জিহাদী – যে কিনা একে ওকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছে অবিরত – সে থাকে জেলের বাইরে।
বাংলাদেশে ধর্মের রাজনীতি এমনই যে একবার ধর্মীয় আইন বলবত হলে আর পেছনে যাওয়া যায় না। সংবিধানে বিসমিল্লাহ যখন বসানো হয়ে তখনই বোঝা গেছে এটা আর বাতিল করা যাবে না, যখনই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বানানো হয়েছে, তখনই বোঝা গেছে রাষ্ট্রকে আর ধর্মমুক্ত করা যাবে না। কেবল বিন এন পি আর জামাত নয়, আওয়ামিলীগও এই খেলায় দারুণ পারদর্শী। তারা জিয়া বিমানবন্দর বাদ দিয়ে শাহজালালের নামে বিমানবন্দর করেছে কারণ জানে এ নিয়ে অনুভূতির বাণিজ্য করা সহজ। এই নাম আর বদলানো যাবে না, কারণ দেশটি বাংলাদেশ। এই দেশে জিন্নার দ্বিজাতিতত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে এক সময় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেটা ভাবলেই বিস্ময় জাগে। বরং এ দেশে এক সময় শরিয়া আইন আসবে সেটাই মনে হয় বাস্তবতা।
আর হ্যা, মুক্তমনায় স্বাগতম!
আমি বোঝাতে পারবনা যে আমি কত আনন্দিত হয়েছি আপনাকে মুক্তমনায় দেখে । আশা করছি যে আপনি নিয়মিত লিখবেন নিয়মিত থাকবেন মুক্তমনায় । আর সময়োপযোগী অত্যন্ত যুক্তিনির্ভর এই লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
কাল রাতে টিভিতে সংবাদ দেখালো লতিফ সিদ্দিকীর এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত, মালিকানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও তার বিচার চাইছে! অনুভূতি কতটা নাজুক হলে এটা সম্ভব বলাই বাহুল্য। এদেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে তবু তার বদলে ইসলাম চায়। এই সরকারের বিগত চারটি সিটি নির্বাচনে যে মেয়ররা পরাজিত হয়েছিলেন তারা ছিলেন শতভাগ সফল। এলাকার উন্নয়ন ঐ এলাকার জনগণই স্বীকার করেছে যে তারা এতটা কোনদিনই আশা করেনি। কিন্তু হেফাজতকে মতিঝিলে কানে ধরে বের করে দেয়া ও কথিত “গণহত্যার” প্রতিবাদে ইসলামের পক্ষে ভোট বিপ্লবে সরকার দলীয় প্রার্থীরা পরাজিত হয়ে যায় শোচনীয়ভাবে। যাই হোক, লতিফ সিদ্দিকীর মত রাজনীতিবিদরা যত ধর্ম সম্পর্কে এরকম সাহসী ও অপ্রিয় সত্য বলবেন তত পরিবর্তন এগিয়ে আসবে। রাজনীতিবিদরাই একমাত্র “ধর্মানুভূতিকে” সবচেয়ে মোক্ষম গদাম দিতে পারেন। ভবিষ্যতে আরো লতিফ সিদ্দিকীরা সহস করে বেরিয়ে আসবেন এই স্বপ্ন দেখি…।
তাসলিমা নাসরিন, আপনাকে মুক্তমনায় স্বগতম। এই সাইটটি আপনার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন লেখার জায়গা। শুভ কামনা আপনার জন্য।
মুক্তমনায় স্বাগতম। আমার মনে হয়আপনার লেখা প্রকাশের জন্যে মুক্ত-মনার মতো কোন নিদৃষ্ট সাইটে লিখা পোষ্ট করা দরকার। যেখান থেকে পাঠক জানবে এটা আপনারি লেখা। কারণ পাঠকদের বিভ্রান্ত করার জন্যে আপনার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সাক্ষাতকার-লেখা বের হচ্ছে প্রায়ই।
মুক্তমনায় আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আপনার সাথে অবশ্য ফেসবুকে আছি একই নামে। কিন্তু সেখানে কোন কমেন্টস দিই না সংগত কারণে। ভালো লাগছে যে, এখানে কমেন্টস দিতে পারবো । আমরা যারা তথাকথিত ধর্মে বিশ্বাস করি না, তাদের একই প্ল্যাটফর্মে আসতে পারাটা সবার পক্ষে সুবিধাজনক। অাপনাকে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ভালো থাকবেন। (F)
অসম্ভব ভালো লাগলো ম্যাডাম আপনার লেখাটা পড়ে। অন্য সবার মতো আমি বরাবরই আপনার ভক্ত। শুধু আমি না, আমার স্বল্প শিক্ষিত মা ও আপনার ভীষণ রকমের ভক্ত। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম আপনার বই না পড়েও উনি আপনাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। যখন জ্ঞান হলো তখন বুঝতে পারলাম, আসলে আমার মা আপনার শক্ত লেখনী দেখে নয় (উনি কখনোই বই পড়েননি), বরং আপনার ‘বাক স্বাধীনতা’ দেখেই আপনার ভক্ত হয়েছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল নারীর প্রকাশ্যে না হলেও মনে মনে আপনাকে অসম্ভব ভালোভাসে। ভালোবাসে কারণ যে কথাটি তাঁরা জীবনভর চেষ্টা করেও বলতে পারেনি বা পারেনা সেই কথাটি আপনি নির্বিগ্নে সাহসিকতার সাথে বলে যাচ্ছেন…
আমি আপনার থেকে বয়সে অনেক ছোট হবো, এবং আমার জ্ঞানের পরিধিও একেবারেই কম। বন্ধু সমাজে যদিও নাস্তিকের উপাধী পেয়ে আসছি বছর দশেক ধরে তারপরও আমার ধারণা আমি পুরোপুরি হতে পারিনি, সংশয়বাদীতে রয়ে গিয়েছি। আমি প্রভুতে বিশ্বাস করি কিনা তাতে আমার সংশয় থাকলেও কোনো ধর্মে যে বিশ্বাসী নই তা আমি নিশ্চিত, এই মহাবিশ্বের সব কিছু কেউ সৃষ্টি করলেও তা যে ধর্মীয় বইতে লেখানুযায়ী কোনো গডের তা আমি মোটেও বিশ্বাস করিনা। এসব কথা বলার অর্থ হচ্ছে আমি আপনার এই লেখার বিপরীতে কিছু কথা বলতে চাই। আবারও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এটা বলে যে, আমি ধারণাতে অবশ্যই ভুল থাকবে। আর তাই যদি তা ক্ষমাস্বরূপ দৃষ্টিতে দেখেন তাহলে খুশী হবো।
একটি দেশের জন্য ধর্মীয় বিধিনিষেধ কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না। তাই যেকোন মৌলবাদী ধর্মীয় চিন্তাভাবনা মুক্ত একটি দেশ গড়া সকলেরই কাম্য। কিন্তু তা রাতারাতি কখনোই সম্ভব নয়। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলেই ধর্মীয় গোঁড়ামি কখনো না কখনো অবশ্যই ছিল। আর সেসকল অঞ্চলে আস্তে আস্তেই পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তনটা আসলে এসেছে সেই অঞ্চলের মানুষের প্রকৃত শিক্ষার উপর নির্ভর করে। যে অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার যত দ্রুত ঘটছে সেই অঞ্চলে এইসকল গোঁড়ামি তত তাড়াতাড়ি নির্মূল হয়েছে। বাংলাদেশেও এর আওতাধীন। আমরা নিশ্চয়ই আজ থেকে ১০০ বছর আগের সাথে আজকের বাংলাদেশের তুলনা করলে একই দৃশ্যপট পাবো না। আজ থেকে ১০০ বছর আগে কোনো তসলিমা নাসরিন বাংলায় ছিল না, এখন আছে। পরিবর্তন আসবেই। কিন্তু কত দ্রুত আসবে তা হচ্ছে বিষয়। লতিফ সিদ্দিকী যা বলেছে সেইসব কথার বিরোধীতা করার অবকাশ একজন প্রকৃত শিক্ষিত বা বোধোদয়সম্পন্ন মানুষের কখনোই থাকতে পারে না। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা যদি খরস্রোতা নদী ভরাট করতে চাই সেক্ষেত্রে নদীর দুইপাড় থেকে ভরাট করে আস্তে আস্তে পূরণ করতে হবে। মাঝখান থেকে ভরাট করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা যদি এই ধর্মীয় গোঁড়ামি বা বাক স্বাধীনতায় অযাযিত হস্তক্ষেপকে নদী হিসাবে বিবেচনা করি তাহলে তা অবরুদ্ধ করে আস্তে আস্তেই এগুতে হবে, হুট করে নয়। আজ যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো আমি নিশ্চিত লতিফ সিদ্দিকির মতো কেউ ক্যাবিনেটে থাকা তো দূরের কথা কেউ ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত আসে এরকম কোনো কথা মাথাতেই আনতো না। আওয়ামীলীগের ক্যাবিনেটে এরকম আছে, তা ভেবেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায়। ম্যাডাম, মন্দের ভালো হিসাবেও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় থাকা উচিত। আর ক্ষমতায় থাকতে হলে দেশের এই ৮০ ভাগ সাপ্তাহিক মুসলমানদের বুঝ দিয়ে চলতে হবে। বুঝ দিয়ে চলার মানে এই না যে তাদের কথা মতো চলতে হবে। বরং বুঝ দিয়ে চলার অর্থ হচ্ছে আস্তে আস্তে আবর্জনা সরিয়ে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। মুসলাম মানেই হচ্ছে রক্তগরম জাতি, কোলেস্টরেল যুক্ত গরু-খাসি বেশী বেশী খাওয়ার কারণেই হয়তো এই জাতি এতোটা রক্ত গরম। আর বাঙ্গালী মুসলমান হচ্ছে আরেক কাঠি সরস, হুজুগে মুসলমান। এরা না খেয়ে থাকবে, আন্দোলন করার কথা মাথাতেও আনবে না। কিন্তু ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত আসলে এরা হৈ হৈ করতে করতে রাস্তায় নেমে পরবে। এদেরকে তো আর মেরে ফেলা যায় না, তাই না? তাই আওয়ামীলীগ সরকার তাই করছে যাতে করে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে একটা প্ল্যাটফর্মে আগে নিয়ে আসতে পারে।
আর তাই আমি মনে করি লতিফ সিদ্দিকীর যা বলছে তা অবশ্যই দরকার ছিল। দেশের সকল স্তরের মানুষের কানে এখন অন্তত লতিফ সিদ্দিকীর কথাটা যাবে। প্রতন্ত্য অঞ্চলের মানুষ, যারা কিনা নিজেদের ধর্মের কুলষিত অধ্যায়গুলোর কথা জানে না, যারা কিনা এটাও জানে না কিভাবে জানতে হয় ঘেটে ঘেটে, তাদের কানেও যাবে কথাগুলো। কারণ গ্রামের এই সকল মানুষ অন্য কিছু না জানলেও সরকারের খবর খুটিনাটি সব রাখে। আর তাই একবারের জন্য হলেও তাঁরা ভাববে যে ‘আদো লতিফ সিদ্দিকীর কথাগুলো সঠিক ছিল কিনা’। তাই আমি মনে করি লতিফ সিদ্দিকির কথাগুলো দরকার ছিল। আবার একই সাথে আমি এটাও মনে করি যে সরকার লতিফ সিদ্দিকির ব্যাপারে যা স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাও সঠিক। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং ম্যাস পপুলেশনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কন্সিকোয়েন্স ইন্সিডেন্ট এর কথা বিবেচনা সরকার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
যাইহোক ভালো থাকবেন ম্যাডাম… সুস্থ থাকবেন… আমি আমার প্রিয়জনদের সব সময় কথা শেষে বলি “পানি বেশী করে খাবেন” তবে কখনোই তা কোনো পোষ্টে লিখিনি… আজ লিখতে ইচ্ছে করছে “পানি বেশী করে খাবেন…”
বাংলাদেশের মুসলিমরা(বেশিরভাগ) কি আদৌ বাঙালি? পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালিদের সাথে তাদের কিছুই মেলেনা। বাংলাদেশের বাঙ্গালিরা বোধ হয় আরবি ভাষাটা ভুলে গিয়েছে। বোধে , চিন্তায় কোন কিছুতেই তাদের সাথে এপার বাংলার কিছুই মেলে না।
@তসলিমা নাসরিন
আপনাকে এখানটায় পেয়ে উল্লসিত, আহ্বলাদিত, সম্মানিত এবং আনন্দিত। শুভেচ্ছা (F) (C)
আপনার চমৎকার লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ !
মুক্তমনায় স্বাগতম (F) । নিয়মিত লেখা পাবো, আশা করছি।