খুব আঁধারে চাদরমোড়া অনেক মানুষ,
বাদুড় চোখে মন পাখাতে রঙিন ফানুস,
ওটাই জীবন, যাপন তাদের ঐখানেতেই,
অনেক মানুষ, অনেক মানুষ, সবাই তারা ঐখানেতেই।
এদিক সেদিক রোদপুড়ে রয় অল্প কজন,
আলোয় ঘেরা দিনের বেলাও ঝাপসা সুজন;
তাদের কাছেই, চোখ গুলো যার দেখছে রাতে,
দিনের আলো সয়না তাদের, সবাই তারা ঐখানেতেই।
অনেক মানুষ অনেক মানুষ একখানেতে;
ছুটছে কেবল ধরতে আঁধার এক মনেতে,
শব্দবিহীন ঢাকের তালে নাচছে ওরা, সবখানেতে।
আলোটাকে ছায়া ভেবে বুদ্ধিহারা, সবাই ওরা ওইখানেতেই।
মুক্তিপাগল রোদপোড়ারা ছুঁড়তে থাকুক আলো যত,
মগজ ধোপার ছানারা সব ঘাড় ঘুরিয়ে পালায় তত,
সর্ষে-ভূতের ধোপায় বলো ভয় তাড়াতে দূর বনেতে,
জানলাগুলো নিপাট খোলো, আলোধরা রোদপোড়াদের এইখানেতে।
(Y)
(Y)
চলুক, ভাই কাজী রহমান!
@গুবরে ফড়িং,
নতুন মা বাবারা, কাছের মানুষেরা শিশুমনে আর ভয় যেন না ঢোকায়। এখনকার অভিভাবকরা হোক মুক্ত মনের, হোক সত্যিকার স্নেহপরায়ন আর দ্বায়িত্বশীল। শিশু বড় হলে তারপর তাকে তার জীবন দর্শন বেছে নেবার অধিকার দিক নতুন মা বাবারা।
আজকের শিশুদের মগজ ধোলাই বন্ধ হোক।
ভালো থাকুন।
পহেলা বৈশাখে কবির উপহারটি ভাল লাগল।
অনেক মানুষ ,মুক্তিপাগল রোদপোড়ারা্,মগজ ধোপা ,সর্ষে-ভূতের ধোপা, মগজ ধোপার ছানারা সব এ সব শব্দার্থের সংযোজনও কবির বাড়তি দায়িত্ববোধের লক্ষণ।
@গীতা দিদি,
আমাদের এই কবি খুব গোলমালের কবি। রোমান্টিক কবিতা ছাড়া যখন কবিতা লেখেন তখন এমন দাতভাঙা কিছু জিনিস যে উপহারের প্যাকেট খুলতেই জান বেরিয়ে যায়। অবশ্য এতে উপহারটার কদর বেড়ে যায় দেরিতে পাকলে নাকি ফল মিষ্টি হয় বেশি। আমাদের কবি ভাইয়ার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য 🙂
@অর্ফিউস,
এই জন্য তো প্রিকন্সিভ্ড মাইন্ড নয়; মুক্তমন নিয়ে সবকিছু দেখা ভালো :))
@কাজী রহমান ভাইয়া,
জি বুঝলাম। এইবার থেকে মনে থাকবে :))
@গীতা দাস,
ধন্যবাদ। আপনার ও আশপাশের সবার সময়টা সুন্দর হোক (F)
ধন্যবাদ এবং আবার নববর্ষের শুভেচ্ছা লড়াক্কু অর্ফিয়াস (C)
যে ভাবনায় এই কবিতাটা লেখা সেটার একটু ব্যাখ্যা দেয়া দরকার মনে হোল, তাই নীচের এই অংশটুকু:
অনেক মানুষ = মডারেট মানুষ যারা, গোঁড়া ধার্মিক নয় যারা
মুক্তিপাগল রোদপোড়ারা = জ্ঞানান্বেষীরা, মুক্তমনারা
মগজ ধোপা = বাবা, মা আর কাছের মানুষ যারা
সর্ষে-ভূতের ধোপা = বাবা, মা আর কাছের মানুষ যারা আমাদের ওপর ধর্ম চাপিয়ে দেন (ব্যতিক্রম রয়েছে বটে)
মগজ ধোপার ছানারা সব = নতুন মানুষ যারা অনেক প্রশ্ন করলেও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করে না (এখানেও ব্যতিক্রম রয়েছে নিঃসন্দেহে)
@কাজী রহমান, রূপক অংশগুলোর অর্থ জানার পর কবিতাটি অন্যরকম ভালোলাগার সৃষ্টি করলো 🙂
সুন্দর হয়েছে (Y)
@এম এস নিলয়,
ধন্যবাদ (C)
@কাজী রহমান ভাইয়া, এইবার বুঝলাম ভালমত 🙂 । (F) এবং আবার (C) পান করেন।
@কাজী রহমান,
রূপকের অর্থগুলো জানার পর পড়তে আরও ভালো লাগছে। আগে পড়েছিলাম অন্য অর্থে বা একটু না বোঝার বিভ্রান্তিতে ছিলাম।
@তামান্না ঝুমু,
এতদিন কোথায় ছিলেন …. …. ..? :))
@কাজী রহমান,
মনেও কি ছিলাম না?
@তামান্না ঝুমু,
হা হা হা হা মনে কেন প্রানেও আছেন। অনেকদিন দেখিনি তো তাই :))
আমার মনে হয় মগজ ধোপারাই যত গন্ডগোলের মূল। জন্ম থেকে ভয় দেখানো এইসব কাছের মানুষেরা আমাদের ওপর হয়ত না জেনেই অন্যায় করেছে। তাদের মা বাবারাও ঠিক তেমনি ভাবে করেছে তাদের। এটা বংশ পরম্পরায় চলছে। যুক্তিহীন ভাবে; মুক্তিহীন ভাবে। আমরা এখন গ্রহনযোগ্য করে নতুন মা বাবাদের কাছে মুক্তমনের কথা বলতে পারি। উৎসাহ দিতে পারি তাদের সত্যের অনুসন্ধানে। পথ দেখাতে পারি যুক্তি এবং আলোর। ভয় ভাঙাতে পারি। আশা করতে পারি চক্রবৃদ্ধি হারে নতুন মা বাবারা তাদের সন্তানদের ভয় না দেখিয়ে আলো দেখাবে। এগুলো যেমন রাতারাতি অর্জন সম্ভব নয় তেমনি ভয় ভাঙাতে ভয় দেখানোও মনে হয় ঠিক নয়।
ভালো থাকুন; লিখে চলুন (F)
@কাজী রহমান,
মনে যে আছি বললেন, এটা বিশাল পাওয়া।
@কাজী রহমান,
ধর্মীয় অনুভূতির তারল্য সংকট এ দেশে কখনই হয় না। ধর্মের নামে মানুষ মেরে ফেলা যাবে কিন্তু ধর্ম নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবে না।ধর্মীয় অনুভূতি বিক্রি করে ধর্মপ্রচারকরা ভালোই মুনাফা লুটতেছে!
(Y)
@রসি মজুমদার,
ধর্ম নিয়ে যে বদ্ধমনের সঙ্কট রয়েছে আর এই ব্যাপারটা যে একটা কিছু ব্যাপার এটাই তো বেশিরভাগ সর্ষেভুত; মানে মা বাবারা জানে না। মা বাবা যদি তা জানতো তা হলে তো ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়িই হোত না।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মা বাবারা তাদের সন্তানদের কাছে নিজেদেরকে হাস্যকর করে তুলছে। ধর্মানুভূতির সঙ্কট হবে ভায়া; নতুনরা বিনা প্রশ্নে কোন রকম যাঁচাই বাছাই ছাড়াই সবকিছু মেনে নেবে সেটা মনে হয় না। তবে নতুনদের সাহায্য করতে হবে আমাদের। সত্যের কাছাকাছি নিয়ে যেতে অবিরাম উৎসাহ দিতে হবে আমাদেরকেই; নয় কি?
শুভ নববর্ষ। কবির যে আনন্দ ধরে না 😀
এইযে ধরেন এক্কেবারে গরমাগরম (C)