তোমার অনুভুতির হিমালয় থেকে
নেমে এলো যাদুকর,
ঠিক তোমার বুকের প্রজাপতির পাখায়!
তোমার চোখে সোজা তাকিয়ে বললো
আমি সেই যাদুকর
যার কথা শুনেছিলে নিদ্রার ঐশী বানীতে।
আমি সেই মন্ত্র পিতা
যে এক ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে পারে
তোমার যন্ত্রণার দাবদাহময় মোমের শিখা।
তোমার নিদ্রা থেকে উঠে এসে জাগরনে
যদি অন্যায় করে থাকি
ক্ষমা করো আমায়।
আমি তোমার সুখ পুড়িয়ে
আগুন পোহাতে আসিনি।
যাদুকরের ঘন নীল চোখে তাকালে তুমি।
কেঁপে উঠলে
এক দমকা হাওয়ায় কেঁপে ওঠা মোমবাতির মত।
যাদুকর স্মিত হেসে বললেন,
ভয় পেয়েছ?
তুমি কাঁপা কাঁপা হাসিতে বললে,
না, তবে…..।
এতো দ্বিধা কেন?
কেন এত সংশয়?
তোমার দ্বিধার অবসান ঘটাতেই তো
আমার সহসা আগমন।
অতপর ঈশারায় একটা দিঘি গড়ে দিলে যাদুকর।
দৃষ্টির নির্দেশে
তুমি নেমে পড়লে সে দিঘিতে
সাথে যাদুকরও।
দিঘির জলে জোস্না
আর তোমার চোখে বিস্ময়।
যাদুকর তোমার গালে ছোঁয়ালেন
একটা পদ্মের ডগা।
আবারও কেপে উঠলে তুমি!
অবাক হয়ে দেখলে দিঘির একটা টলমলে ধারা
সোজা ঢুকে গেছে
যাদুকরের হৃৎপিন্ড বরাবর।
তুমি সম্মোহিতের মত ডুব সাতারে
পাগি জমালে যাদুকরের গহনে।
যাদুকর খুব শীতল চিত্তে
বন্ধ করে দিলেন ফেরার পথ।
আর তোমাকে রুপান্তরিত করলো
এক কোমল শ্বেত পদ্মে।
শ্বেতপদ্মটা অনেকদিন পর অভিমান করে জানতে চাইলো
‘আমার নাম কি যাদুকর?’
যাদুকর আকাশের দিকে তাকিয়ে
নিমীলিত আঁখি মেলে উচ্চারন করলেন,
তোমার নাম ভালবাসা।
লেখকঃ প্লাবন ইমদাদ
প্রকাশিত গ্রন্থঃ শাঁখের করাত
Leave A Comment