কয়েকদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিই। স্ট্যাটাস ছিল এরকম—
ইংরেজরা এদেশের মুসলিমদের হাত থেকে শাসন নেয়। যেহেতু তারা মুসলিমদের কাছ থেকে শাসন ও ক্ষমতা নেয় সেহেতু তাদের প্রধান শত্রু ছিল মুসলিমরা। অন্যদিকে হিন্দুরা ব্রিটিশদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সরকারী চাকরি নিতে শুরু করে। এই অঞ্চলের মানুষদের শিক্ষার জন্য ইংরেজ সরকার স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা শুরু করে। হিন্দুদের জন্য হিন্দু কলেজ আর মুসলিমদের জন্য মাদ্রাসা।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও ঔপনিবেশিক শক্তির টিকিয়ে রাখার প্রধান শর্ত একশ্রেণিকে সবসময় গরীব ও দূর্বল করে রাখা। এই বঙ্গে জমিদার ছিল হিন্দুরা আর গরীব প্রজা ছিল মুসলিমরা। ব্রিটিশরা মুসলিমদের মাদ্রাসায় শিক্ষায় শিক্ষিত করা শুরু করে। এখানে একটা জিনিস মনে রাখা দরকার; মাদ্রাসা আর স্কুলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু শব্দে অন্য আর কিছুতে নয়। আমরা দেখতে পাই হিন্দু কলেজ থেকে ডিরোজিও ধ্যান-ধারনায় আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও দর্শনে উজ্জ্বীবিত ছাত্ররা বের হচ্ছে কারণ হিন্দু কলেজগুলোতে শুধু রামায়ন মহাভারত পড়ানো হতো না। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষাকে ব্রিটিশ ও অবুঝ মুসলিমরা ধর্শীয় কোরান, হাদিসের বিদ্যালয়ে পরিণত করে। আবার কলকাতার মাদ্রাসায় হিন্দু ছেলেমেয়েরাও পড়ে কারণ ওখানে কোরান হাদিসের আলোকে পড়ানো হয় না বরং আধুনিক শিক্ষায় জ্ঞান দান করা হয়। ব্রিটিশদের থেকে বাঙালি মুসলিমদের মুক্তি ঘটলেও চিন্তায় চেতনায় ততটা মুক্তি ঘটানি বিশেষ করে ধর্মীয় ক্ষেত্রে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রামায়নের কাহিনি নিয়ে “মেঘনাধ বধ” লিখতে পারলেও মুসলিম সমাজ কিন্তু আজো ধর্মী বিষয়ে কঠিন রক্ষণশীল অবস্থানে আছে। তাই যতদিন পর্যন্ত মাদ্রাস শিক্ষায় সংস্কার না আনতে পারব ততদিন আমাদের ধর্মীয় মৌলবাদীদের থেকে রক্ষা নেই কারণ ধর্মীয় মৌলবাদের বীজ রোপিত হয় ঐ মাদ্রাসাতেই।
স্ট্যাটাসটি এখানে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হল- বাঙলাদেশে একটি বৃহৎ অংশই মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত এবং তাদের বেশির ভাগই ইসলামির শাসনতত্র ও ইসলামিক আইন ও রাষ্ট্রের পক্ষে। অপ্রিয় হলেও সত্য কথা হল- আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ ও শিক্ষিত সমাজ ধর্মীয় অনুভূতির কারণে মাদ্রাসা শিক্ষার বিপক্ষে না এমনকি সংস্কারের পক্ষেও না। তার বাস্তবতা আমরা নিজেই দেখতে পাচ্ছি। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করণের উদ্দোগ নিলে ইসলাম ধ্বংস করার পায়তারা করে মাদ্রাসা সমাজ ও ধর্মীয় সমাজ মাঠে নেমে যায়। বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা ও ইসলামিক আন্দোলন দেশ ও সমাজের জন্য বিষ ফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। সরকার না পারছে গিলতে না পারছে বমি করে ফেলতে।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবীতে ৫ ফেব্রুয়ারি তরুণ সমাজ শাহবাগ আন্দোলনে নামে। ঐ আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবীর সাথে সাথে ধর্মীয় রাজনীতি বাতিলের দাবী জানাননো হয়। পরে অবশ্য ধর্মীয় রাজনীতি বাতিলের দাবীতে আন্দোলন কর্মীরা সরে আসে। তার কিছু দিন পরেই ব্লগার রাজিব হত্যার পরপরই শাহবাগ আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন হিসেবে আক্ষায়িত করা হয়। এবং এই কাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখে; আমারদেশ পত্রিকা। পত্রিকাটি ব্লগ ও ফেসবুকের বিভিন্ন নাস্তিকদের কমেন্ট ও লেখা হুবহু তুলে দেয়। এবং আশ্চার্যজনক হলেও সত্য এর পরপরই মানুষের মনে আন্দোলন নিয়ে একটা ঠাণ্ডা ভাব চলে আসে। এর পরপরই জামাত শিবিরের ছায়া সংগঠন হেফাজতে ইসলাম শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধীতা করে সরাসরি মাঠে নামে এবং নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতারের দাবী করা হয়। এমনকি বিভিন্ন ইসলামিক অনলাইন পত্রিকা সহ বিভিন্ন পেইজ ও পত্রিকায় নাস্তিক ব্লগারদের লিস্ট প্রকাশ করা হয়। এবং হতাশা জনক হলেও সত্য সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাথে সুরেসুর মিলিয়ে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে কথা দিয়েছে। এবং এর জন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বাঙালির সামনে এখন দুইটি বাঘ। একটি বাঘ ঘাড়ে কামড় দিয়ে আছে আরেকটি দূরে বসে আছে। জামাত-শিবির হল ঘাড়ে কামড় দেওয়া বাঘটি আর ইসলামিক দল গুলো হল দূরে বসে থাকা বাঘটি। অনেক ইসলামিক দল জামাতের সরাসরি বিরোধী হলেও তাদেরকে আমি একই শ্রেণিতে পরিমাপ করি। কারণ আদর্শিকগত ভাবে তাদের মধ্যে পার্থক্য খুব সামান্যই। কারণ জামাত-শিবির ও ইসলামিক দল গুলোর উদ্দেশ্য একটাই তা হল; দেশে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা। আমরা তালেবানদের সামাজিক চরিত্র ও কর্মকাণ্ড ভুলে যাই নি। তালেবানরা কীভাবে বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস করল এবং জাকির নায়েকের মতন ধর্মব্যবসায়ী তার সার্পোটও করল। গততত্ত্বাবধায়কের আমলে বিমানবন্দর গোলচত্বরে মূর্তি ভাঙা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ইসলামি মৌলবাদীদের ভয়ংকর রূপ আমরা দেখেছি।
গত ২৯শে মার্চ চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে ইসলামিক আন্দোলনের সমাবেশ হয়। ঐ সমাবেশে নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি না দিলে ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করা হবে চরমোনাই পীর হুশিয়ার উচ্চারণ করেন। সমাবেশে আ্ল্লাহ ও রাসুলের উপর বিশ্বাস সহ, আল্লাহ ও কোরান অবমাননাকারীদের জন্য শাস্তির বিধানের দাবী জানানো হয়।
ইতোমধ্যে ব্লাসফেমি আইন করা নিয়ে ইসলামিক দলগুলো বেশ উঠে পড়ে লেগেছে। গত নির্বাচনের আগে নিজামী ব্লাসফেমি আইন করবে বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। ব্লাসফেমি আইন নিয়ে নতুন করে বলা কিছু নেই। পাকিস্তানে এমন জখন্য আইনটি কার্যকর আছে। এবং এই আইন করার পরিণতি আমরা ইতোমধ্যে খবরের কাগজেই দেখতে পাচ্ছি।
কোরান অবমাননা নিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ডিসেম্বর ২২, ২০১২ তারিখে ‘দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকার সাথে সাথে অন্যান্য পত্রিকায় সংবাদটি আসে , উগ্র মুসলিম জনতা এক পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে কোরান পুড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। শুধু এখানেই শেষ নয় কয়েকদিন আগেও দুই মাতাল মারামারির এক পর্যায়ে ধর্ম নিয়ে গালাগালির জের ধরে পঞ্চাশ খ্রিস্টান পরিবারে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
কয়েকদিন আগে রামুতে যে জখন্য সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয় তার পেছনে উগ্রধার্মিকদের অভিযোগ ছিল; কোরানের উপর পা রাখা একটা ছবি বড়ুয়া নামে এক ছেলের ফেসবুকে ট্যাগ করা হয়। এখানে হয়তো বলবেন এটা আগ থেকেই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। হ্যা সত্য তা পরিকল্পনা মাফিক-ই করা হয় কিন্তু পরিকল্পনার সাথে তারা জনগণের আবেগকেও ব্যবহার করে বৌদ্ধদের বাড়ি ও মন্দিতে আগুন দেয়।
এই লেখার লিখার সময় সংবাদ পেলাম-
৮৪ ব্লগারের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
___________________________ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা. সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যকারী ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নয়টি ব্লগের ৮৪ জনের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনউদ্দিন খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগ জানানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ইমেইল ([email protected]) অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
মইনউদ্দিন খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, ইসলাম ধর্ম ও মহানবী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যকরীদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ চাওয়া হয়েছে আলেম সমাজের কাছে। ইতিমধ্যে এই কমিটির কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলো দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হবে অনুসন্ধানের জন্য। পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, “নতুন খোলা ইমেইলে যে কেউ নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি লেখাটিও এখানে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।”
এ সময় দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মুহাম্মদ মাহবুব আলম আরিফ বলেন, “ব্লগারদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আসিফ মহিউদ্দিন। তার নেতৃত্বেই এসব চলছে।” তিনি বলেন, “বাকস্বাধীনতার নামে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা. সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যকারী নাস্তিকতারই নামান্তর। এদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। ভারতের কোনো ব্লগে বাংলাদেশীরা কোনো মন্তব্য করতে পারে না। অথচ বাংলাদেশের ব্লগে ভারতীয়রা মন্তব্য করতে পারেন।”
তিনি অভিযোগ করেন বিটিআরসি তাদের কাজ করছে না। এ জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারের নিজ উদ্যোগে একটি মামলা করার সুপারিশও করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেসব ব্লগারের তালিকা দেয়া হয়েছে তারা হলেন: আরিফুর রহমান, মনির হাসান, বৃত্তবন্ধি, সবাক, শয়তান, মনজুরুল হক, কখগ, রাসেল, নাস্তিকের ধর্মকতা, দূরের পাখি, আরিফুল হক তুইন, তিতি আনা, নাজিম উদ্দিন, আলমগীর কুমকুম, ফরহাদ ইদ্দন স্বপন, দুস্যবনহুর, ফারহানা আহমেদ, ঘনাদা, রাহান, অন্যকেউ, পাপী০০৭, হোরাস, প্রশ্নোত্তর, ভালমানুষ, ভন্ডপীর, বৈকুন্ঠ, সত্যান্বেষী, পড়–য়া, হাল্ক (সানাউল) বিপ্লব০০৭, রাস্তার ছেলে, ঘাতক, বিশাল বিডি, সাহোশি৬, লাইটহাউজ, মমতা জাহান, রাতমজুর, কৌশিক, মেঘদুত, স্বপ্নকথক, প্রায়পাস, আহমেদ মোস্তফা কামাল, লুকার, নুহান, সোজাকথা, ট্রানজিষ্টার, দিওয়ান, রিসাত, আমি এবং আধার, অরন্যদেব, কেল্টুদা, আমি রোধের ছেলে, ভিন্নচিন্তা, আউটসাইডার ও প্রণব আচার্য।
এছাড়া এ তালিকার বাইরে যেসব ব্লগারের নাম জমা দেয়া হয়েছে তারা হলেন: আসিফ মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন, অন্য আজাদ, অনন্ত বীজয় দাস, আশীষ চ্যাটানজি, অভিজিত রায়, বিপ্লব কান্তিদে, দাড়িপাল্লা ধমা ধম, নিতাই ভট্রাচার্য, ইব্রহীম খলিল সবাগ, (সুমন সওদাগর) কৈশীক, আহমেদ, নুরনবী দুলাল, পারভেজ আলম, রাজিব হায়দার শোভন (থাবাবাবা), রতন (শন্যাসী, সৈকত চৌধুরী, শর্মী আমিন, সৌমিত্র মজুমদার (সৌম্য), আল্লামা শয়তান, (বিপ্লব) শুভজিদ ভৈৗমিক, সুমিত চৌধুরী, সৈকত বড়ুয়া, সুব্রত শুভ ও সুসান্ত দাস গুপ্ত।
নিচের ছবির সাথে বর্তমান ব্লগারদের অবস্থার মিল পাওয়া যায়।
একদিনে জামাত শিবিরের নিষিদ্ধের দাবীতে শহীদ রুমী স্কয়ার্ডের সদস্যরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে অন্য দিকে নাস্তিকদের শান্তিক দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরেও ডাক দিয়েছে ইসলামিক দলগুলো। অনশনকারীদের পাঁচজন ইতোমধ্যে অসুন্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে আবারো অনশনে যোগ দেয়। আমরা কী পারব আমাদের দাবী আদায় করতে, আমরা কী পারব জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করতে নাকি মৌলবাদ রাজনীতি কাছে আমাদের পরজয় ঘটবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তবু্ আশা রাখি আমরা জয়ী হবোই। আমরা কী আমাদের সোনার বাঙলাদেশে আফগান করব নাকি এটাকে বাঙালির বাঙলাদেশ করব এটাই আমাদের কাছে প্রধান প্রশ্ন; পিছলানো বা সুশীল হওয়ার উপায় আমাদের আর নেই। রাষ্ট্র এখন কী মৌলবাদী শক্তির দিকে যাবে নাকি প্রগতিশীল শক্তির পক্ষে থেকে সমাজকে এগিয়ে নেবে তা নির্ধারণ করার সময় এসেছে। একহয় মৌলবাদী শক্তি আপনি গ্রহণ করবেন না হয় গ্রগতিশীল শক্তির পক্ষে থাকবেন।
যারা বলে সব আছে ঠিক তাদের প্রতি ধিক! দৈন্যতা, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে কবে কে ছোট হয়েছে? সরকারে গেলেই বলে সব ঠিক আছে। খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, যৌন হয়রানি ইত্যাদি ঘটনা নাকি ঘটছে না- সব ঠিক আছে। দ্রব্যমূল্য ও শেয়ারবাজার শতভাগ স্থিতিশীল। রাস্তাঘাট ঠিকঠাক, সড়ক দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে! কোথাও কোনো সঙ্কট নেই, সমস্যা নেই। ‘সব ঠিক আছে’ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার একটিই পথ- জনবিস্ফোরণ। নীরবতা মানে আমরাও ঠিক আছি। বলার সময় এসেছে- আমরা ঠিক নেই!
সুব্রত শুভ শীঘ্রই মুক্তি পেয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক, আবার তর্ক বিতর্কে তার ব্লগপোস্ট ভরে উঠুক এই কামনা করি।
সরকারের কারো কি এতটুকু উপলদ্ধি আছে যে সুব্রত শুভ এর এই সাধারন একটি পোস্টে কত উন্নত মানের আলোচনা হয়েছে? এই ধরনের আলোচনা একটা দেশের মনন এর উন্নয়নের জন্য যে কতটা দরকারী এটা কি বোঝার মতো ক্ষমতা তাদের আছে?
আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেlযারা এখনও মনে করে আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেlজামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ না করে মুক্তমনা ব্লগারদের গ্রেপ্তার এ সরকারের মনভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেl
আপনার পোষ্টের ”রাষ্ট্র কোন দিকে যাবে? রাষ্ট্র ও মৌলবাদ মুখোমুখি আজ” শিরনামটি উদ্দেশ্য প্রণদিত। এবং সত্য গোপনের অপপ্রয়াস মাত্র।কারণ দেশে আজ মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মুখোমুখি অবস্থান রাষ্ট্র ও মৌলবাদী মুখোমুখি নয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, সেরু পাগলা! আর কতদিন নিজের সাথে নিজেই প্রতারনা করবেন? ব্যাপারটা শুধু যদি মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার বিষয়ক হত তাহলে কি এই লেখক আদৌ গ্রেপ্তার হতেন?
গতকাল রাত ১১ টার পর থেকে সুব্রত শুভকে পাওয়া যাচ্ছিলো না । পরে শুনেছি ডিবি অফিসে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে মানুষটি পুলিশের উপর নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক কলম ধরেছে ফেসবুকে, তার উপর পুলিশ কিভাবে নির্যাতন করবে আমি জানিনা। শুধু প্রানপবে আশা করে যাচ্ছি তিনি মুক্ত হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
যুদ্ধপরাধীদের বাচানোর নামে রাজাকার/জামায়াত-শিবির ও বিএনপি হরতাল দিয়ে বাসে ও গাড়ীতে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারছে,পুলিশকে আক্রমণ করছে , হত্যা করছে. গাড়ী, অফিস,স্থাপনা ভাংচুর করছে। কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম সররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন এইসব সন্ত্রাসী কাজ যারা করবে তাদেরকে দেখা মাত্র গুলি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সরকার নিস্ক্রিয়. এদিকে ফকরুল ইসলাম বলেই দিয়েছে আগুন, ভাংচুর এসব সন্ত্রাসী কাজ করছে আওয়ামী লীগ. তাহলে সমস্যাটা কোথায়?গুলি খেয়ে মরলে তো ফকরুল দাবি করতে পারব না যে বিএনপি জামাতের লোক মরেছে। আমার কথা হচ্ছে সরকারের দায়িত্ত হচ্ছে সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষা করা। সন্ত্রাসীর মানবাধিকার এর চেয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের মানবাধিকার অনেক বড়। সরকার ঘাতক,
রাজাকারদের জন্য মাঠ ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল
হিসেবে ব্যবহার করে নির্লজ্জের মত ক্ষমতায় থাকতে চায়। এ যেন
মামার বাড়ীর আবদার, সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে আর সন্ত্রাসী,বিএনপি-রাজাকাররা নিরীহ মানুষ মারবে। সরকার না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিক।এদিকে বিএনপি বলছে আগুন,ভাংচুর,হত্যা আওয়ামী লীগ করছে।অন্যদিকে আবার বলছে সরকার নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে! বিএনপির অভিযোগ মতে সরকার গুলি চালালে তো আওয়ামী লীগের লোক মরবে, তো বিএনপির সমস্যাটা কি? ফকরুল ইসলাম ধোকাবাজি আর কাকে বলে?
হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চাদপদ চিন্তা, ধ্যান-ধারনা অথবা ধর্মের নামে প্রাগ্রসর মুক্তচিন্তাকে নানা উপায়ে দমন করার প্রচেষ্টা চলেছে। যেখানে এই অপচেষ্টা যত তীব্র হয়েছে সেখানে মুক্তচিন্তার শক্তি ততই শক্তিশালী হয়েছে। এটা দ্বন্দ্ব ও বিবর্তনের নিয়মেই হয়েছে। ইউরোপে গনহারে ইনকিউজিশনের পর চার্চকে পশ্চাৎ অপসারণ করতে হয়েছে। ভারত উপমহাদেশে ভাববাদী ও ভক্তিবাদী ধর্মতত্বের প্রভাবে এতদিন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অত্যাচারীর ভূমিকা নিতে পারে নি। কিন্তু, ক্রমেই ধর্ম অসহিষ্ণু রূপ ধারন করছে। পাশাপাশি মুক্তচিন্তার চর্চাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলামী বিশ্বে, বিশেষ করে সোভিয়েতের পতনের পর ইসলাম ধর্মের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহন করে মৌলবাদী আইনসমূহ প্রবর্তনের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে গনতান্ত্রিক সেক্যুলার শক্তিসমুহের প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলোকে সবল না হতে দেয়ার সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র এই দুয়ে মিলে এই সুযোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। যদিও ধর্মীয় শক্তিগুলি শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা ও বানিজ্যে অংশগ্রহন করে তাদের আদর্শিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করার ফলে তাদের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করার সুযোগ বাড়িয়েই চলছে কিন্তু যদি তারা এই শক্তিকে ব্যবহার করে সমাজে অত্যাচারী ও নিষ্পেষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয় তাহলে ক্রমেই, এই শর্তও সৃষ্টি হবে যেখানে গনতন্ত্র ও মুক্তিকামী মানুষ ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে বিযুক্ত করার সংগ্রামে শক্তভাবেই অবতীর্ণ হবে। ইতিহাসে এই নজির নেই যে, মুক্তচিন্তাকে আঘাত করে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হয়েছে। বরঞ্চ তার উল্টোটাই সত্য হিসাবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলতে পারি, মুক্তচিন্তা চর্চাকারী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বর্তমান সরকারের চিন্তা-ভাবনা ও পদক্ষেপ একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বৈ কিছু নয়। কেননা অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে মুক্তচন্তা চর্চাকারী তরুণ সমাজ শক্তিশালী সহায়ক শক্তি এবং এই শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা গনতন্ত্রকেই দুর্বল করবে। এটা স্মরণে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশের সাধারন মানুষ ও তরুণ সমাজ কোন অগনতান্ত্রিক শক্তিকে অতীতে মেনে নেয়নি এবং আজো নেবে না।
ধর্মের নামে,যুদ্ধ অপরাধী বাচানোর নামে রাজাকার/জামায়াত -শিবির,বিএনপি হরতাল দিয়ে বাসে,গাড়ীতে প্রকাশ্যে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারছে।গাড়ী ভাংচুর করছে,পুলিশকে আক্রমন করছে, হত্যা করছে ইত্যাদি | কয়েকদিন আগে দেখলাম এইসব নnnগনn
এটা কি সত্যি? না বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা (পারেন না = করেন না = কম করেন ইত্যাদি) ।
@বকধার্মিক,
আমি নিশ্চিত জানি না। বাংলাদেশ হতে ভারতীয় ব্লগে ব্লগিং করা কি ভারতীয়রা বন্ধ করে রেখেছে? জানি না।
তবে বাংলাদেশী তো বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের নানান দেশে আছে। আমেরিকা থেকে কেউ ভারতীয় সাইটে ব্লগিং করতে গেলে সে ভারতীয় নাকি বাংলাদেশী তা কেমন করে জানা যাবে?
– এটা নিশ্চিতই অতিকথন, টেকনিক্যালি তখনই একমাত্র সম্ভব যদি ভারত বাদে গোটা বিশ্ব থেকে ভারতীয় সাইটগুলিতে ব্লগিং বন্ধ হয়ে থাকে। এমন হবার সম্ভাবনা মনে হয় শূন্য।
@আদিল মাহমুদ,
ব্যাখ্যা করার জন্য :thanks:
@বকধার্মিক,
দিলেন যখন তখন কাঁঠাল পাতাই দিতে দয়া করে, তাহলে প্রমানের উপায় পেতাম যে আমাকে ছাগু বলা হয়েছে। সেটাই এখন নিরাপত্তা কবচের মত কাজ দেবে।
@আদিল মাহমুদ,
😀 :lotpot: :hahahee: :rotfl: (Y)
@বকধার্মিক,
আর একটি :)) নিন
বোঝা গেল ওসব ধর্মানুভূতি আসলে বিষয় নয়, বিষয় হইল ধর্মব্যবসায় টান পড়ার আশঙ্কা । আর এই কারণেই মোল্লাদের অত লম্ফঝম্ফ । ২ মাসে লক্ষ কোটি তরুণ তরুণীর প্রাগসরতা দেখে বিভিন্ন নামধারী মোল্লারা তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসার কারণেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। জামাত বিরোধী, জামাতপন্থী সব পক্ষের মোল্লারাই হিসেব নিকেশ করে দেখেছে এই ধারা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসা লাটে উঠবে । তাই সবাই ভেতরে ভেতরে একটা ঐকমতে এসে পৌঁছেছে বোধহয় । আর রাষ্ট্র যে মেকানিজমে চালিত তা সবসময়ই যাবতীয় ব্যবসাকে প্রমোট করে , তা যত অনৈতিকই হোক না কেন ।
@একুশ তাপাদার,
এটাই আসল কারন .
৮৪ জনের তালিকা জমা পড়েছে! কমিটি হয়েছে, ইতোমধ্যেই সনাক্ত হয়েছে, এবার বিচার হবে, ট্রাইবুন্যাল হবে, তওবা হবে। দেশ জ্বলবে, বাড়ি পুড়বে, গাড়ি পুড়বে, শহীদ মিনার ভাঙবে, জাতীয় পতাকা পদতলে পৃষ্ঠ হবে, আমাদের ছোট ভাইয়েরা অনশন করে করে মরে যাবে……খুনী-ঘাতক ঠিকই থাকবে, রাজাকার বেঁচে থাকবে। আমাদের ব্লগ বন্ধ হবে, আমাদের মুখ বন্ধ হবে, না হলে হয়তো আমাদের গলা টিপে ধরা হবে……জামাত-শিবিরের জিহাদি বই ঠিকই টিকে থাকবে, টিকে থাকবে মক্সুদুল মোমেনীন, টিকে থাকবে বাঁশের কেল্লা, টিকে থাকবে বুর্কা পরা সেই মেয়েটি। আবার ভোট হবে, নেতা-নেত্রীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন, নাস্তিকের বাড়িতেও ভোট চাইতে যাবেন, ভোটে জিতে ক্ষমতায় যাবেন, বাংলাদেশ যেমন চলচছে তেমনই চলতে থাকবে, সাঈদী হুজুর আবারো হয়তো গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে ঘুরবেন……প্রতিবাদ করার জন্য ততদিন বোধহয় আমরা থাকব না। মোল্লাদের চাপাতির ধারাল ফলা থেকে আমাদের গলা যদি ততদিনে বেঁচেও থাকে, সরকার বাহাদুর আর তার মাথামোটা পাচাটা আমলার দল ততদিনে আমাদের ঠিক ঝুলিয়ে দেবে!
তাই বলে কি আমাদের কী-বোর্ড থেমে যাবে? কলম থেমে যাবে? আমরা কি চুপ করে থাকব? —-না, আমার কী-বোর্ডের কসম, না। আমরা থামব না। আমাদের নিহত ভাইয়ের কসম, আমার দেশের কসম, আমরা থামব না।
@ফারহানা আহমেদ,
আমরা থামব না। আমাদের নিহত ভাইয়ের কসম, আমার দেশের কসম, আমরা থামব না।
@ফারহানা আহমেদ,
জয় বাংলা
আওয়ামী লীগের পুরোনো নাম পুনরুদ্ধারের জন্য একটি কমিটি করার প্রস্তাব দেখলাম ফেসবুকে।
আসিফ মহিউদ্দীন কে গ্রেফতার বিষয়ে প্রথম আলোর অনলাইন সংবাদটিতে একজন মন্তব্য করেছেন
যাইহোক আমি যেটুকু বুঝি ৫ তারিখে জয় বাংলা বলে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আবারও লক্ষ মানুষের জয় বাংলা ধ্বনিই এই পরিস্থিতে পথ দেখাতে পারে।
এই বিতর্কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটি ভুলে গেলে চলবে না। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধর্মান্ধদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারে।
হাসতে হাসতে মারা গেলাম……আমার নামও দেখি তালিকায় আছে!
@ফারহানা আহমেদ,
অভিনন্দন 😀 (F)
@ফারহানা আহমেদ,
তওবা মোবারক।
পাকিস্তান আমলে রাও ফরমান আলীর নির্দেশে প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে তাদের হত্যা করা হয়েছিল, মনে আছে? আজ ঘুম থেকে উঠেই চোখ কচলে দেখলাম পাকিস্তানে নয়, এই স্বাধীন বাংলাদেশে, স্বধীনতার বিয়াল্লিশ বছর পরে ৮৪ জন ব্লগার এবং লেখকের তালিকা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এদের অপরাধ মুক্তচিন্তা। অপরাধ ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখা। এত কিছুর মধ্যেও ঠা ঠা করে হেসে উঠলাম কাণ্ডকারখানা দেখে। মুক্তচিন্তা না করে বঙ্গবন্ধুরে নবী মানলে কিংবা এমনকি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মতো ধর্মীয় জিহাদি জোশে কাউকে হত্যা করলে কিংবা হত্যার ফতোয়া দিলেও নিঃসন্দেহে তালিকায় নাম থাকতো না।
আওয়ামীপনা যত দেখি তত হুমায়ুন আজাদের প্রবচনটাকে সত্য থেকে সত্যতর মনে হয় –
বাংলাস্তানে স্বাগতম।
@অভিজিৎ,
দেশ সে দিকেই যাচ্ছে।
যারা ভাবতেছেন আমি তো মুসলিম ঘরে জন্মাইছি আমার আর ভয় কিসের। যা হবে তা নাস্তিক ও অন্য ধর্মের উপর দিয়ে যাবে। আমিও তাদের দেখে এক গাল হেসে বলি; টেনশান নিয়েন না আমরা না হয় আজ কিন্তু আপনার সিরিয়াল কাল বা পরশু। নাস্তিক ও অন্যধর্মের উপর আঘাতে পর শুরু হবে কোন শালায় মুসলাম হয়ে পহেলা বৈশাখ করে, কোন মেয়ে মুসলিম ঘরে জন্মাই বোরকা পড়ে না।
এই চাপ্টারের পর শুরু হবে কোন শালায় দাঁড়ি রাখে না, কোন শালায় নিজের মেয়েকে নাচ খেয়ায়, স্কুলে পাঠায়। চান্দুরা সবে তো শুধু; পিকচার আবি বাকি হে।
এখনই যদি ধর্মান্ধশ্রেণি ও রাজনীতি বন্ধ করা না যায় সমাপ্তাটা হবে পাকিস্তানের পরিণতি দিয়েই। এ আমি কইয়া রাখলাম।
@অভিজিৎ,
ভাবছিলাম আপনাকে লিঙ্কটা দেবো। তা হলে ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। আসলে হচ্ছে টা কী??
It s so disgusting , Bangladeshi politic , I can’t get one things , what is afghan rastro? What u bloody guy think about? Is that means Muslim has no room for living ?
পরবর্তীতে ইংরেজি মন্তব্য বাঙলা ব্লগে প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
@Shahid,
ভাই মুসলিমরা কি অন্য কোন গ্রহ থেকে আসছে নাকি 😕 … তাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র কেন লাগবে ??? সব রাষ্ট্রইত সব ৰ্ধমের মানুষের জন্য. ভাইজান কি তালেবান বাহিনীর প্রশিক্ষন :guli: আর অমুসলিমদের আক্রমন করার জন্য আলাদা রাষ্ট্র চান ???
সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে আজ ২০১৩ তে এসে এদেশের তরুণরা কি চায়। আমি হলপ করে বলতে পারি, আর যাই হোক, দেশটাকে তারা ধর্মান্ধ তালিবান রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়না। যদি তাই হয়, তবে সম্মিলিত শক্তিতেই তা প্রতিরোধ করতে হবে। রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে পৃথক করা জরুরী। ধর্ম গুলো যদি আজকের ধ্যান ধারনাকে ধারন করতে ব্যার্থ হয় তবে তা পরিত্যাজ্যই বটে। বিশ্বাসের জায়গা অন্তর। রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র নয়। রাষ্ট্র চলবে রাষ্ট্রের মতো বিশ্বাস লালিত হবে অন্তরে, সংগোপনে।
নানান তন্ত্রে নানান রং-এ ক্ষমতা আর অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগের জায়গাগুলোকে ক্রমশঃ সংকীর্ন করে মুক্ত-চিন্তার বিস্তার, সে কারনেই রাজনীতিকদের এতো গড়িমসি। কিন্তু আধুনিক চিন্তার অগ্রযাত্রাকে প্রতিরোধ করে সাধ্য কার। আমি হতাশ নই। যারা জ্ঞানের বিপরীতে অস্ত্র ব্যবহার করেছিলো, তারা টেকেনি। ইতিহাস স্বাক্ষী। এখনো টিকবেনা, যতোই করুক লিস্টি আর যতোই করুক আইন, শেষ পর্যন্ত তা হবে নিজের গলার ফাঁস।
@কেশব অধিকারী,
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। (Y)
@কেশব অধিকারী,
কথাটি শুনতে অনেক ভালো লাগছে, কিন্তু কি জানেন এই বিশ্বাস যতই অন্তরে আর সংগোপনে লালিত হউক না কেন এর ভাইরাস রাষ্ট্রকে আক্রমন করবেই। এর মুলোৎপাটন করা না পর্য্যন্ত রাষ্ট্রের এর থেকে পরিত্রান নাই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
অলরেডি রাষ্ট্রে এই ভাইরাস ভালমতন ছড়িয়ে গেছে। বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ও সংবিধানে বিসমিল্লাহ যুক্তি করে রাষ্ট্রের খৎনার কাজ সম্পন্ন করেছে আমাদের রাজনৈতিক দল গুলো।
@কেশব অধিকারী,
সম্পূর্ণ সহমত।
লেখার অন্য কিছু নিয়ে মন্তব্য না করে শুধু প্রথমে, ‘সবকিছুর নষ্টের গোড়া ইংরেজ আমল থেকে’ এই তত্ব নিয়ে কথা বলবো।
এই বহুল মীথটি বারবার বুলি’র মতো আওড়ানোর আগে এই বিষয়ে একটু পড়াশোনা করুন। আপনার কি ধারনা ইংরেজরা আসার আগে মুসলিম-নবাব আমলে হিন্দু মুসলিমরা সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত হতো?
বৃটিশরা উপমহাদেশে ক্ষমতা সুসংহত করার পড়ে উপমহাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বসে ১৮২০-৪০ সালের দিকে। তাদের মূলনীতি সাব্যস্ত হয় যে ব্রিটিশ সরকার কেবল মাত্র ইংরেজীতে সেকুলার শিক্ষায় পয়সা দেবে। মাদ্রাসা শিক্ষা, সংষ্কৃত টোল এসবের প্রতি তাদের উন্নাষিকতা ছিলো স্পষ্ট। লর্ড ম্যাকলে’র নাম নিশ্চই শুনেছেন। এই এক ব্রিটিশ ভদ্রলোক যার প্রতি ঘৃনায় মনে হয় উপমহাদেশের হিন্দু-মুসলিম হরিহর আত্মা। তিনি পরিষ্কার ভাবে হিন্দু-মুসলিম ধর্মশিক্ষাকে অপ্রয়োজনীয় বলে তুচ্ছ করেছিলেন। এই কারনেই তার নাম এতো বিদ্বেষিত।
ইংরেজরা হিন্দুদের জন্যে যেমন কলকাতা কলেজ স্থাপন করেছিলো, তেমনি মুসলিমদের জন্যে করেছিলো দিল্লী কলেজ। ইংরেজদের এই ইংরেজী শিক্ষার প্রয়াসে র তীব্র প্রতিক্রিয়াতেই ভারতের মুসলমানরা দেওবন্দী এবং অন্যান্য মাদ্রাসা সিস্টেম চালু করে।
এবিষয়ে একটু পড়াশোনা করতে চাইলে এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন।
Traditional Islamic Learning in Colonial India: The Madrasa through the Eyes of a 20th Century Islamic Reformer Sohaib Baig
http://www.library.ucla.edu/pdf/Baig-ResearchPaper.pdf
@সফিক,
প্রথমেই লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
না মোটেই না। আমি শুধু বলতে চেয়েছি বর্তমান সিস্টেমটি কথা, কী ভাবে মাদ্রাস শিক্ষা আসে। মাদ্রাসায় কেন শুধু কোরান ও হাদিস পড়ানো হতো। কয়েক যুগ আগেও মাদ্রাসায় বিজ্ঞান ঠিক মতন পড়ানো হতো না। এখনো সম্পূর্ণ ভাবে পড়ানো হয় না তবে আগ থেকে একটু বেশি।
@সফিক,
ভাল বলেছেন। আমিও এটাই বলতে যাচ্ছিলাম প্রথমে। যাদের কাছে ‘৭১ এর চেতনার চাইতে ‘৪৭ এর চেতনা অনেক বড় তারা সকলে মনের হরষে ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার কারন হিশেবে হিন্দু-ইংরেজ মিলিত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দাঁড়া করিয়ে বিমলানন্দ পান। আজকাল এমনকি এও মাঝে মাঝে চোখে পড়ে যে ইংরেজ মাদ্রাসা চালু করেছিল এই বদ মতলব থেকেই। ধর্মভিত্তিক মাদ্রাসা শিক্ষা ইংরেজ নিজে নিজে শখ করে চালু করেনি, ততকালীন মুসলমান সমাজের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতেই চালু করেছিল, ইংরেজী ভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা ব্যাবস্থাকে সাধারন ভাবে ততকালীন মুসলমান সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছিল, তার মাশুল দিতে হচ্ছে আজো। হিন্দু সমাজ গোঁড়ামি থেকে মুক্ত না হলেও আধুনিক শিক্ষার প্রয়োযনীয়তা ঠিকই ধরতে পেরে প্রাচীনপন্থী ধর্মীয় শিক্ষার বদলে আধুনিক ইংরেজী শিক্ষায় আগ্রহী হয়। অথচ এখন কিছু লোকে এমনভাবে দাবী করে যে মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার পেছনে ভয়াবহ ধর্মনাশের ষড়যন্ত্র কাজ করেছে।
মাদ্রাসা ব্যাবস্থা ইংরেজ প্রথম চালু করেনি, প্রাচীন বাংলাতে ষষ্ঠ শতকেও মাদ্রাসা পাওয়া যায়, সুলতানি আমলেও মাদ্রাসা জাতীয় প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়তে ছিল, তখন বলা হত মকতব। আকবরের আমলে এ সকল প্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি সেক্যুলার এবং দৈনন্দিন জীবন ভিত্তিক। সেকালের তূলনায় বেশ মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল।
এই পেপারে মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ে ভাল রিপোর্ট আছে।
আজকের দিনে কওমী মাদ্রাসা সমূহের ভূমিকা কোন অপ্রত্যাশীত বিষয় নয়, তাদের যে ধারায় শিক্ষা দীক্ষা দেওয়া হয় তাতে ভিন্ন কিছু হলেই অবাক হবার থাকত। ওপরের পেপার পড়লেই বোঝা যাবে। দেশবাসী বছরের পর বছর এই ধারাকে লালন পালন করেছে, মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ভেবেছে আমার ছেলেমেয়ে তো আর সেখানে পড়ছে না তাই আমার বাবা কিসের ঠ্যাকা সংস্কার নিয়ে হাউকাউ করার। নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় না দিলেও উলটো মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার শুনলে ধর্ম গেল বলে অনেকে তেড়ে আসেন (কুদরত এ খোদা কমিশন রিপোর্টে মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার বিষয়ে এক মজার জনমত পাওয়া গেছিল)। এসবের মাশুল তো কোন না কোন ভাবে দিতে হবে। আজকে দেশে যুদ্ধপরাধী বিচার কেন্দ্র করে যেভাবে বিভাজিত মূল্যবোধ জাতিকে দুইভাবে দাঁড় করিয়েছে সেটা খুবই স্বাভাবিক, এটা আসলে যুদ্ধপরাধী বিচারের সাথে তেমন সম্পর্কিত নয়। এটা আসলে দুই ভিন্ন ধরনের মূল্যবোধের সহাবস্থানের অনিবার্য পরিনতি। হয় যে কোন এক ধারা টিকে যাবে, নয়ত দুই ধারার সঙ্ঘাত হতে থাকবে বারে বারে। কোনদিকে যাবে তা নির্ধারন করতে হবে দেশের মানুষকেই।
লেখক,
সরকারী নিয়ন্ত্রনে থাকা আলীয়া মাদ্রাসাগুলিতে কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষাও সাধারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সম্পরিমানেই দেওয়া হয়। কওমী মাদ্রাসাগুলিকে সে নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হচ্ছে না, তাই সংস্কার প্রস্তাবও বারে বারে মুখ থুবড়ে পড়ছে।
@আদিল মাহমুদ,
অনেক তথ্য পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।
কিছু ভুল তথ্য জানতাম। বিষয়টি পরিষ্কার হল।
@আদিল মাহমুদ,অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আগামী কয়েক বছরে এই সরকার বা অন্য যেকোনো সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার সংষ্কার তো দূরের কথা, সেকুলার সরকারী শিক্ষার উপরেই ছুরি কাচি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে। এই সিস্টেমে কেমন করে নাস্তিক, ব্লগার বের হয় এই গবেষণায় মত্ত হবে।
ওরা ৮৪ জনের লিস্টে আপনি আছেন নাকি? ধমাধম মোল্লা না কি নামে একটা নাম দেখলাম!
@সফিক,
মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার??? ওসব রাখেন। এখন সাধারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস সংস্কারের দিন আসছে, যে শিক্ষা ভয়াবহ সব নাস্তিক ব্লগার জন্ম দিচ্ছে সে শিক্ষআ?র সংস্কার লাগবে না? ব্রিটিশের শেখানো তথাকথিত আধুনিক শিক্ষা যে কি ভয়াবহ সে নিয়ে আগেই তো কত সতর্কবানী উচ্চারিত হয়েছিল। এখন তো হাতেনাতে ফলে গেল।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারী, বিজয় দিবস পালনে গান বাজনা বন্ধ হবে, রাস্তায় হিন্দুয়ানী আল্পনা আঁকা যাবে না, আরবী হরফে ধর্মীয় বানী লিখতে হবে (যেমনটা এরশাদ ‘৮৩ সালে চেষ্টা করেছিল)…বাংলা নববর্ষ বলতে কিছু পালন করা যাবে না। স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে ৩০ বছর আগে রাস্তায় লোকে নামতে পারলেও আজকের জমানায় রাস্তায় নামার লোক তেমন পাওয়া যাবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ, সেটাই তো হওয়া উচিৎ- ৯০% মুসলমানের দেশে। আজকাল দেখি কিছু চুশীল টাইপের নাস্তিক যারা ইসলামের সমালোচনা কোনদিন সহ্য করতে পারতেন না, ইসলামী জঙ্গীবাদ বা মুসলিম সন্ত্রাসীদের অস্তিত্ব মানতেন না, তারাও মাদ্রাসার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। দেখুন সরকারের ডানে হেফাজতে ইসলাম বামে ইসলামী শাসন আন্দোলন, সামনে জামাতে ইসলাম আর পেছনে বি এন পি। সুবহানাল্লাহ, আমি সাক্ষাৎ চোখের সামনে ১৫শো বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া মুসলমানদের স্বর্ণালী বর্ণালী সাপ্নিক সুখের দিনগুলো দেখছি। সুতরাং কোরান শরিফ হউক বাংলাদেশের সংবিধান, শরিয়া আইন চালু হউক আদালত প্রশাসনে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামের তাগুতি কুফরি ধারণার বিপরীতে ইসলামি চেতনা, বাঙ্গালি সংস্কৃতির পরিবর্তে ইসলামি সংস্কৃতি, ধর্মনিরিপেক্ষতার বদলে ইসলামি খেলাফত আর একমাত্র কোরান হাদিস সমর্থিত শিক্ষা ব্যবস্তা চালু হউক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
আওয়ামী লীগ ভোদাইরা, মনে রেখো, যদি একটা অনশনরত ছেলে মারা যায়, তোমাদের ইসলামপ্রীতি তোমাদেরকে বাঁচাতে পারবেনা। ইসলাম সুঁচ হয়ে ঢুকেছে তোমাদের পাছা দিয়ে, জাহান্নামের তপ্ত ফাল হয়ে মুখ দিয়ে বের হবে। তখন টের পাবে কেমন হয় মৃত্যুযন্ত্রণা।
@আদিল মাহমুদ, ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলমান দন্ধে ইংরেজদের টানলেই অনেকের দেখি গাত্র তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। ইংরেজরা তাদের উপনিবেষ পরিচালনায় হিন্দু-মুসলমান ধর্ম বিবাদের কার্ড ৪৭ সাল পর্যন্ত খেলেছে, যা অনেকে দেখেও না দেখার ভান করেন। ইংরেজদের উপনিবেষ পরিচালনার নিতী এবং শিক্ষানিতী উভয়ই সামাজিক বৈশম্যের স্রষ্টা এবং কোন ভাবে বিতর্কে উর্ধে নয়। যারা মুসলমানদের পশ্চাদপরায়নতায় ইংরেজদের দায়মুক্তি দিতে চান তারা প্রায়শই আপনার মত বলেন
কিছু দিন আগে এক পত্রিকায় পড়েছিলাম ভারতে কলেজ পর্যায়ে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ শতাংশ। তার মানে কি মুসলিমরা এখনো ইংরেজি শিক্ষা প্রত্যাখ্যান করে চলেছে? অবশ্যই না, এখানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনেক প্রতিবন্ধতা আছে যার ফলে মুসলমানরা এগোতে পারছেনা, যা ইংরেজ আমলেও ছিলো । সুতরাং এ ক্ষেত্রে ডালাও ভাবে ইংরেজ কিংবা মুসলমানদের আসামী করা উচিত নয়।
@আসিফ,
আপনি মনে হয় আমার পয়েন্ট বুঝতে ভুল করেছেন। আমি এখানে সাম্প্রদায়িক দাংগা কে কিভাবে লাগায়, কিংবা হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সম্যক আলোচনাওয়াই বসিনি। ইংরেজদের দায়মুক্তি দেবার তেমন অভিলাস আমার নেই, প্রশ্নই আসে না। ইংরেজ অবশ্যই হিন্দু-মুসলমান তত্ত্ব খেলে চিরন্তন ডিভাইড এন্ড রুল এঞ্জয় করেছে, সেটা ভিন্ন আলোচনা।
– আমার গা জ্বলার তেমন প্রশ্ন এখনো আসে না। হিন্দু মুসলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে আমি আলোচনায় আগ্রহী এখনো হইনি। আমি সামান্য আগ্রহী হয়েছিলাম মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা কিভাবে উপমহাদেশে এলো সেটা নিয়ে। অনেকের ধারনা ইংরেজরাই প্রথম মাদ্রাসা ব্যাবস্থা আবিষ্কার করেছিল সেটা ভঞ্জন করা ছিল মূল উদ্দেশ্য। প্রাসংগিকভাবে এটাও বলতে হয়েছে যে ততকালীন মুসলমান সমাজ রাজ ভাষা ফার্সীর স্থলে ইংরেজী শিক্ষা গ্রহন করতে পারেনি, তারা তাদের আরবী/ফার্সী/উর্দু ভিত্তিক মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষাকেই বেশী গুরুত্বপূর্ন ভেবেছে, এর অনিবার্য ফল হয়েছিল আধুনিক শিক্ষায় সামগ্রিভাবে পেছানো শুরু হয়েছে, হ্যাঁ, এর জের এখনো আছে এটা অবশ্যই বলছি। এখন কেউ যদি এ সরল সত্য পুরো গোপন করে ইংরেজ-হিন্দু মিলিত ষড়যন্ত্র তত্ত্বই দায়ী প্রচার করেন তো আপত্তি তো করাই যেতে পারে। কি বলেন?
মূল কথা ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার মূল কারন আধুনিক ইংরেজী ভিত্তিক শিক্ষার প্রতি অনীহা। হিন্দু সমাজ যতটা সহজভাবে তাদের সংস্কৃত ভিত্তিক টোল ব্যাবস্থা থেকে বেরিয়ে আধুনিক ইংরেজী ভিত্তিক ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে মুসলমান সমাজ সেটা পারেননি। স্যার সৈয়দ আহমদের মত আধুনিক ধারায় আগ্রহীকেও ততকালীন আলেম সমাজ কাফের মুরতাদ এসব বলেছে। এসব তো ভাই আমার বানানো নয়। ধর্ম কার্ড খেলে বিভক্তি, সাম্প্রদায়িক দাংগা লাগানো এক কথা আর কিভাবে কেউ আধুনিক শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রত্যাখান করে নিজেদের পেছায় সেটা ভিন্ন কথা।
আমার আগের দেওয়া রেফারেন্সটা কি পড়েছিলেন? সেখান থেকে কিছু কথা পড়ুন।
From the very dawn of the nineteenth century, there arose a heated debate regarding the aims, methods and medium of education in India. However, this debate was primarily limited to the British and the upper class Hindus. The Muslims were more or less silent on this matter. Apart from a few exceptions, for the most part they were in favor of the conservative tradition. Instead of modern education, they were satisfied with learning Arabic/Persian languages and maktabs and madrasshas. Still, after many debates, it was decided to introduce English classes in the Kolkata Madrassha in 1824 and in the Kolkata Sanskrit College in 182715.
It was in this continuity that in 1907-8, the famed Earl Committee under the leadership of the then Director of Mass Education Archdale Earl and the Nathan Committee formed in 1914 made recommendations for massive reformation of the Madrasah education system. The New-Scheme system for Madrasahs was initiated from April 1, 1915. The major characteristic of this scheme was to discard Persian and make English compulsory. During this time Bangla, mathematics, geography, history, English drawing, handicrafts and drills were included in the syllabus17.
A large number of students enrolled within the first three days when the General Committee for Education established the Mohsin College in Hoogli
Madrasah Education: An Observation
18
with funding from the Mohsin Fund in 1836. However, surprisingly, among 1,200 students enrolled in English and 300 in the Oriental Studies department there were only 31 and 81 Muslim students respectively.
আজকের দিনেও আমাদের কওমী মাদ্রাসাগুলি এমনকি সরকারী অনুদান গ্রহন করেও সিলেবাস সংশোধনের প্রস্তাব গ্রহন করে না।
– বর্তমানে ভারতের মুসলমানদের পুর্নাংগ অবস্থা কেমন তা প্রসঙ্গের বাইরে। আমাদের কওমী মাদ্রাসার অবস্থা বেহাল, ঐদিকে পশ্চীম বংগের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থায় বহু হিন্দু পরিবারের সন্তানও পড়তে যায়। তাতে কি কিছু প্রমান হয়ে যায়?
জেনারেশন এফেক্ট বলে যে কিছু হতে পারে সেটা তো মানেন? কোন জাতি দেড়শো দুইশো বছর এক তরফা পিছালে তাদের পার অবস্থায় আসতে নিশ্চিত সময় লাগে, সেটা স্বাভাবিক। আমেরিকায় বর্তমানে বহু বছর কালো সাদায় কোন ভেদাভেদ আইনত বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেই। এখন আপনি যদি নানান ষ্ট্যাট দেখেন তবে মনে হবে সর্বনাশ, এখানে তো কালোদের অবস্থা ভয়াবহ। এর মানে আমেরিকা রেসিষ্ট নয়, রাষ্ট্র সমতা দেবার পরেও তাদের আরো বহু বছর লাগছে সাদাদের সমানে আসতে সেটাই মূল কারন, আর কিছু রেসিজম অবশ্যই আছেই।
আমেরিকার এই হাল হলে সেখানে ভারতের মত দেশ যেখানে সাম্প্রদায়িকতা এখনো প্রকট মাত্রায় আছে আরো সময় লাগবে সেটাই স্বাভাবিক। আর আপনার দেওয়া তথ্যের বিপরীত কিছু চিত্র দেয় এমন কিছু ডাটাও আছে যা আপাতত টানার দরকার মনে করি না।
পাকিস্তান, ভারত একই সাথে স্বাধীন হল। যুক্ত পাকিস্তানে্র অবস্থা পার ক্যাপিটা হিসেবে ছিল ভারতের থেকেও উন্নত। আজকে বিশ্ব দরবারে দুই দেশের তুলনাটা কেমন? বাংলাদেশ পাকিস্তান মিলিয়ে ভারতের সাথে জ্ঞানী বিজ্ঞানী…সোজা কথায় জগতবিখ্যাতদের তুলনাটা কেমন হতে পারে? তার কারন কি বলা যায়? আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, নাকি নিজেদের বিদ্যা বুদ্ধির অভাব?
লেখক মনে হচ্ছে বলতে চাচ্ছেন, ইংরেজরাই প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষার সূচণা করে এদেশকে শাসনের সুবিধার জন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, তার আগে মুসলিমদের শিক্ষা-ব্যবস্থা কী ছিল? নাকি কিছুই ছিল না?
@আলমগীর হুসেন,
যতটুকু বলা যায়, তার আগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গণ্ডিতে পড়াশুনা করানো হলেও বৃহৎ আকারে শিক্ষাদান করা হয় নি।
মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। সময়ই সে প্রশ্নের উত্তর দিবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
জামাত শিবির নিষেধ হলেও নতুন কলেবরে কত উগ্রপন্থী আসবে তার ঠিক নেই। কেবল নামের আদল-বদল
মানুষকে আই ওয়াশ করা। আর এই সব দল’কে নিষিদ্ধ করার কি সাহস আছে সরকারের নাকী বিরোধী দলের? সব দল তো এই উগ্র দলকে লবনের মত ব্যবহার করে।
অতএব মনে হয়না কাজ সহজ হবে।
শ্লোগান হয়তো শ্লোগানেই থাকবে। হতাশায় ডুবছে এক জাতি। সে জাতির নাম বাঙ্গালি।
আমার ধর্ম আমার কাছে
রাষ্ট্রের কি বলার আছে
এ শ্লোগানের বাস্তবায়ন প্রত্যাশা করছি।মানে ধর্মকে রাষ্ট্র ব্যক্তিগত বিষয় বলে বিবেচনা করুক এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। তবে বাস্তবতা বড্ড কঠিন। রাষ্ট্র যে কোনদিকে যাবে!!!!!
@গীতা দাস,
আমার ধর্ম আমার কাছে
রাষ্ট্রের কি বলার আছে।
এক কালের এই স্লোগান আজ মিথ হয়ে গেছে। বর্তমান বড্ড কঠিন হয়ে যাচ্ছে।