বইমেলা নিয়ে লাইভ আপডেট টাইপ ব্যাপার করার দাবি এসেছে এই লেখায়। তাই ভাবলাম লাইভ না হোক, দেরিতে হলেও বইমেলার ১ম ও ২য় দিনের আমার কাহিনি লিখে ফেলা যাক।
ফেব্রুয়ারি মাস আমার ঈদের মাস, বাংলা একাডেমি আমার তীর্থ আর বই আমার স্বর্গসুখ। সারাটি বছর আগ্রহভরে অপেক্ষা করে থাকি বইমেলার জন্য। ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা এলে হালে একটু পানি পাই দুটো কারণে, প্রথমত এটা একটা বইমেলা আর দ্বিতীয়ত, এটা মনে করিয়ে দেয় ফেব্রুয়ারির আর দেরি নেই।(তবে অপেক্ষার পালা যত শেষ হয়ে আসে ততই বেশি অধৈর্য লাগে!!)
৩১শে জানুয়ারি থেকেই আমার হার্টবিট বেড়ে যায়, আগে যেটা হত ঈদের আগের দিন। বইমেলা এসে গেছে। প্রতিবারের মত এবারো সেই অনুভূতির মধ্য দিয়ে পেলাম ১লা ফেব্রুয়ারিকে। সন্ধ্যায় টিউশনির মত বিচ্ছিরি কাজ ছিল সন্ধ্যায় তাই ক্লাস ফাঁকি দিয়েই ছুটলাম মেলায়, খুশিতে আত্মহারা হয়ে। প্রধানমন্ত্রীকে ভালয় ভালয় পার হতে দেবার জন্য একটু দেরি করে গেলাম মেলায়,কিন্তু ৪.৩০ এ মেলার গেটে গিয়ে দেখি আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী স্বভাবতই দেরি করে এসেছেন,তাই উদ্বোধন দেরিতে হয়েছে এবং উনি তখনো ভেতরে ছিলেন বলে আমরা ঢুকতে পারলামনা। এত মেজাজ গরম হল!মেলা তো আমাদের উ্দ্বোধন করা উচিত, যারা জান দেই মেলার জন্য, কিন্তু উদ্বোধন তারা করে যারা কেয়ারই করেনা এখানে সময়মত আসার জন্য! আসলে আমি এটা সহ্যই করতে পারছিলামনা যে এতদিনের অপেক্ষার পর প্রথম দিন মিস করলাম। সারাদিন মন খারাপ ছিল এরপর। আরো মন খারাপ হল যখন শুনলাম মামুন ভাই, আফরোজা আপু এবং গীতা দি এত অপেক্ষার পরও মেলায় গিয়ে ভাল আড্ডা জমিয়েছিলেন। এই গেল প্রথম দিন মেলা ও আড্ডা মিস করার গল্প।
দ্বিতীয় দিন গেলাম মেলায়। এত খুশি লাগছিল যে কি বলব। প্রথমেই কিনে ফেললাম রাহুল সাংকৃত্যায়নের “ভোলগা থেকে গঙ্গা” বইটি। বাংলা একাডেমির ভেতরে তখনো ঢুকিনি, তবু বাইরে থেকেই এত বই দেখে আনন্দে নেচে উঠলাম। মেলায় এটাই ভাল লাগে…এত বই, এত্ত বই…
প্রথম দিকে মেলা আরো একটা কারণে বেশি ভাল লাগে। তখন মানুষ কম থাকে এবং মোটামুটি বই অনুরাগীরাই আসে তখন মেলায়। অবাঞ্ছিতদের দিয়ে মেলা প্রাঙ্গন ভারাক্রান্ত হয়না। এবার মেলার ভেতরে বাইরে সাজানো খুব সুন্দর হয়েছে। যারা এখনো যাননি মেলায় বা দেশের বাইরে আছেন তাদের জন্য কিছু ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হল।
মেলার ২য় প্রবেশপথ
নজরুল মঞ্চ
আমার খুব পছন্দের একটা ছবি, পরাজায়নামায় স্বাক্ষর করছে পাকিস্তানি বাহিনী
মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকে নজরুল মঞ্চ দেখে আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠলাম। কেন যেন নজরুল মঞ্চ আমার খুব ভাল লাগে দেখতে। বাইরের স্টল থেকেই শুরু করেছিলাম বইগুলো দেখে লিস্ট করা কি কি বই কিনব…
এত্ত এত্ত নতুন বই দেখা, হাতে নেয়া…অনুভূতিটাই অন্যরকম। সারাটি বছর এই অনুভূতির জন্যই হাহাকার করি। প্রতি মাসেই বই কিনি, কিন্তু বইমেলায় গিয়ে বই দেখা ও কেনার অনুভূতি আপনারা সবাই জানেন এবং কেউই সে অনুভুতি পুরোপুরি বোঝাতে পারবেননা, শুধু অনুভব করতে পারবেন।
মেলায় গিয়ে শুদ্ধস্বরের স্টলের খোঁজ করলাম। সেখানে গিয়ে ফর্সামতন একজন আপুকে জিজ্ঞেস করলাম রায়হান ভাই আছেন কিনা। উনি বললেন একটু পরেই আসবেন। এরপরই “অবিশ্বাসের দর্শন” বইয়ের লেখক মহাশয়ের সাথে দেখা হল, ফটোও খিচলাম :)) আমার কপিটা তখন সাথে ছিলনা, নইলে অটোগ্রাফ নিয়ে নেয়া যেত সেই চান্সে, কয়দিন পর উনি চেনে কিনা আমাগরে কে জানে 😉
এরপর সেই আপুর নাম জিজ্ঞাসা করলাম, শুনলাম “সামিয়া”। জ্বি হ্যা আমাদের সবার প্রিয় সামিয়া আপু, যার করা ব্যানার আমরা দেখেছি, প্রচ্ছদ আমরা দেখেছি, এবার দেখলাম তার করা শুদ্ধস্বরের স্টলের ডিজাইন। অ-সা-ধা-র-ণ।
এরপর চলল আরো কিছুক্ষণ বই দেখা ও লিস্ট করা। পা ব্যাথা করছিল এতক্ষন হেঁটে তবু ফিরতে ইচ্ছে করছিলনা! তবু বের হলাম আর বেরিয়েই হামলে পড়লাম উন্মাদের স্টলে। স্বাভাবিকভাবেই কিছু পোস্টার আর স্টিকার বগলদাবা করে বের হলাম। এরপর ফুচকা পার্টি দিয়ে শেষ হল দ্বিতীয় দিনের বইমেলা ভ্রমণ!
আজ গেল তৃতীয় দিন। মেলায় যাওয়া হলনা ;-(
চলবে…
“যাই যাই করে বয়ে বেলা
আমার হয়না যাওয়া”
দশটা বছর হয়ে গেল, পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাতে বুলাতে গালে হাত দিয়ে ঝিম মেরে বসে থাকা আর দীর্ঘশ্বাস এই তো হল আমার জীবন। আজ বই মেলার হালচাল নিয়ে আপনার লেখা পড়ে, চোখের পাতা ভারী হয়ে ওঠলো। টিউশনি ফাঁকি দিয়ে ….. আমিও
মেলার প্রথম দিনের আনন্দ আর শেষদিনের বিষাদ, মনে হতো এ মেলা যেন কোনদিন মরে না যায়। বইমেলা বেঁচে আছে, আমিই মরে গেছি। আমার মত যারা মৃত মানুষ, তাদেরকে একটুখানি মৃতসঞ্জীবনী সুধা দেবার জন্য ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
এভাবে বলবেননা, শ্বাস চলা অবস্থায় বেঁচে থাকা আর মরে থাকা আমাদেরই হাতে……ঢাকায় থাকেন? থাকলে চলে আসুননা মেলায় আবারো সেই প্রথম দিনের আনন্দ আর শেষ দিনের বিষাদের স্মৃতি তাজা করতে… 🙂
@লীনা রহমান,
মেলা প্রাঙ্গন থেকে ১২ হাজার মাইল দূরে আছি। ঢাকায় থাকলে কে আমাকে রুখে?
আমার একখানা বই আছে, খুব বিখ্যাত । এতটাই বিখ্যাত যে, কোন বইয়ের দোকানে পাবেন না, বিক্রি হবে না বলে কেউ রাখে না।
এখন দান-খয়রাত করে কিছু পূণ্য অর্জন করতে চাই। দান করলেই যে কেউ নেবে, ব্যাপারটা তা নয়। মুক্ত-মনার বই পাগলদের দেখে ভাবলাম, উঁইপোকার খাদ্য হওয়ার চেয়ে, আপনাদের মত পাগলদের কাছে চালান করে দিতে পারলে মন্দ হয় না।
যদি অনুমতে দেন তো আমার বোনের মাধ্যমে আপনার কাছে কিছু বই পৌঁছে দে’য়ার ব্যবস্থা করা যায়। মুক্ত-মনার সবার জন্য।
ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি, আপনি যদি আপনার বোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চান, অবশ্যই করবেন।
@লীনা রহমান,
আপনাদের লেখা পড়ে জানতে পারলাম শুদ্ধস্বর নামে ২ টা স্টল আছে, কোনটায় আপনাদের আড্ডা? আমার বোন আগামী শুক্রবার মেলায় যাবে।
যোগাযোগটা কিভাবে করলে আপনার জন্য সুবিধা হয়?
@স্বপন মাঝি, লেখক আড্ডার পাশে পরবাসী, মাওলা ব্রাদার্স, সৃজনী এগুলোর পরেই মেলার সবচেয়ে সুন্দর স্টলটা শুদ্ধস্বর। আপনার বোনের ফোন নম্বর ই বার্তায় পাঠিয়ে দিন। আমি তার সাথে যোগাযোগ করব।
@স্বপন মাঝি,
আপনি নিশ্চয় আমাদের সাথে দেখা করবেন। কবে যাবেন আমরা মানে লিনা, গীতাদি, মামুন রায়হান তো থাকেই সবাই থাকব। মুক্তমনার সবাই একত্র হলে আকার যে কি বিশালায়তন হবে কল্পনা করা মুশকিল।
@আফরোজা আলম,
অল্প কিছুদিন হলো, মুক্তমনায় আগমন। এ ক’দিনেই এখানে মানুষের গন্ধ পাচ্ছি। তারমানে এই নয় যে আমি মানুষ হয়ে গেছি।
১৫ বছর হয়ে গেল প্রবাসে। ২০০০ -এর পর আর আসা হয়নি। আড্ডাবিহীন দিন কেটেছে, মনে পড়ে না। আর এখন আড্ডা হলো – অধরা, সোনার হরিণ।
আপনাদের আড্ডায় আপনার উষ্ণ আমন্ত্রণ, আমার খুব মনে থাকবে। আপনি এবং আপনারা সবাই ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
এটা যে একটা পরিবার, আপনি আমরা যখনই আসি এক পরিবারের হয়ে যাই। বাঙ্গালিরা তো জানেনই আড্ডা প্রিয়। তাই মওকা পেলে ছাড়িনা। আপনি নিশ্চয় আসবেন, একদিন না একদিন,
সে দিনের অপেক্ষায় থাকব।
আর দূরের কথা বলবেন না। সবাই আমরা কাছেই। একদম হাত বাড়ালেই বন্ধুর মত।
খুব আবেগী, সেই সাথে খুব সাহসী একটা লাইন! ত.না.-র মত শোনাচ্ছে। (Y)
@শ্রাবণ আকাশ, কথাটা আসলেই মনে প্রাণে বিশ্বাস করি 🙂
একট ছোট টেকি আপডেট। পোস্টের টাইটেলের নিচে লেখককে বার্তা পাঠানোর সরাসরি লিংক যোগ করে দেয়া হয়েছে,মুক্তমনা সদস্যরা লিংকটি ব্যবহার করতে পারবেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা, :clap :clap :clap
@রামগড়ুড়ের ছানা, ওই, আমার লজ্জায় লাল নীল বেগুনী হওয়ার ইমো কই?? এক্ষনি দাও নইলে… :-[
অনেকেই দেখি প্রথমদিন গিয়েছিলেন। তাহলে একতু জানান দিলেও হত। আমি অনেকের খবরই নিয়েছি এমন কি রামগড়ুড়ের ছানাের সাথেও কথা বললাম ফোনে আমার অনূরোধে ও জানালো এখন যদি রওয়ানা দেয়, (তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা) তাহলে ক্যান্টনমেণ্ট থেকে আসতে দুই ঘন্টা লাগবে।
কি করা অগত্যা। :-Y
ওদিকে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মামুন অনেককেই ফোন করছিল। কিন্তু
@ লীনা আপনার সাথে দেখা না হওয়া সত্যি খারাপ লাগছে। আগামীতে হবে নিশ্চয়।
মেলা সম্পর্কে আপডেট নিয়ে অভিজিত যা বলেছেন আমি আসলেই আগেই করিনি, কেননা কি কারনে যেন সাহসে কুলায়নি 🙁 । কি লিখব কী বলব ইত্যাদি। তা লীনা যখন হাল ধরেছে আর ভাবনা কি?
তবে মজার মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা লেখা পোষ্ট করার ইচ্ছে আছে। সেটা হবে একদম বইমেলা শেষে ।
এইবার আশা করছি দেখা হবে সবার সাথে। কে কবে যাচ্ছেন এই খবরটা অগ্রীম জানালে মুক্তমনায় আমরা অনেকেই একত্রিত হতে পারি। ধন্যবাদ লীনা এই পোষ্ট দেবার জন্য।
@আফরোজা আলম,
অপেক্ষায় থাকলাম আপনার মজার পোস্টের…দেখা না হয়ে যায়ই না এবার। অবশ্যই দেখা হবে :))
@আফরোজা আলম,
বই মেলায় তোমরা সবাই মিলে যখন আড্ডা দিচ্ছো, পিঞ্জিরার পাখির মত আমার মনটা তখন ছটপট করছে। নিরুপায়ের শেষ সম্বল এই গানটি শুনছি আর তোমাদের আপডেইট পড়ে বারেবারে নয়নজলে ভাসছি। আমি যদি কোনদিন তোমাদের মাঝে আসি, আমাকে কিন্তু আমার দেশের ৫৫হাজার বর্গ মাইলের প্রতিটি ইঞ্চি ঘুরে দেখাতে হবে, আমি যে নিজের দেশেও প্রবাসী।
httpv://www.youtube.com/watch?v=u4Ia1afci90&feature=related
@আকাশ মালিক,
আমি কি ভাবে যে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছিনা। আমার এতো প্রিয় গান আপনি দিলেন, যে আমি অভিভূত হয়ে পড়েছি। অনেক অনেক দিনের পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। এই গান আমি এক ভারতীয় ছবিতেও দেখেছি। নিশ্চয় দেখাব। আপনি কবে কখন আসবেন জানাবেন। আমাদের মত কিছু দেশে থাকা হতভাগীরা যদি আপনাদের সুন্দর জায়গাগুলো না দেখাই তবে মনে তো অনুতাপ থেকে যাবে।
আমার ফোন নং থেকে বাড়ির ঠিকানা সব দিয়ে রাখব।
কথা দিলাম, যাব সাথে। একঝাঁক সদস্য (মুক্তমনা সদস্যরা) আমরা সাদরে নিয়ে আসব আপনাকে।
ঘুরে দেখবেন সাগর, পাহাড় কেবল আসুন আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
আহ! বইমেলা বইমেলা গন্ধ। এখন মনে হচ্ছে, আমার সবথেকে বড় দুর্ভাগ্য যে আমি ঢাকায় থাকি না। লীনা আপুকে ধন্যবাদ তাঁর এই পোস্টটির জন্য। প্রতিদিন যারা বই মেলায় যাবেন, একটু একটু করে লিখবেন প্লিজ।
@মোজাফফর হোসেন, কোথায় থাকেন আপনি? বইমেলা চলছে আর এক দিনের জন্য আসবেননা তা নিশ্চয় হবেনা। এসে যোগাযোগ কইরেন 🙂
@লীনা রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র আমি–বোধহয় মুক্তমনার কনিষ্ঠজন। পুরো বইমেলা জুড়ে থাকার ইচ্ছে ছিল কিন্তু শাশ্বতিকীর লোকসংস্কৃতি সংখ্যা করতে গিয়ে সব টাকা শেষ করে ফেলেছি। হা হা। এখন ভাবছি, ২১ তারিখে গিয়ে তিনচার দিন থাকবো। দেখা হলে আমার খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন, আপনি মোটেই কনিষ্ঠ না। আমি পড়ি ফিনান্সে ঢা.বি তে ৩য় বর্ষে, রামগড়ুড়ের ছানা মনে হয় এবার ২য় বর্ষ। শুধু তাই নয়, আমাদের পৃথিবী মাত্র কলেজে পড়ে!(যদিও ওর লেখা পড়ে ও এত পিচ্চি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়)
দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম…
@লীনা রহমান, বাহ! শুনে খুবই ভালো লাগলো। এখন মনে হচ্ছে মুক্তমনা আমাদেরই (তরুণদের) দখলে। হা হা। অপেক্ষায় রইলাম। । ভালো থাকবেন।
যাক, গীতা দাস, আফরোজা, কিংবা মামুন ভাইদের কাছে যখন মেলার আপডেট বিষয়ে পোস্ট দাবী করা হচ্ছিলো, তখন উনারা একে অন্যকে ঠালাঠেলি করছেন, আর তার মাঝে আপনিই আপডেট পোস্ট দিয়ে দিলেন। এজন্যই বলে উদাহরণ অপেক্ষা দৃষ্টান্ত শ্রেয়। এরকম আপডেট পোস্ট চাই প্রতিদিনই। আর যারা আগে মেলায় গিয়েও ঠেলাঠেলি করছিলেন, তারাও লীনার পদাংক অনুসরণ করে এবার পুরোদমে শুরু করতে পারেন।
ওদিকে তানভীরুল নাকি বাংলাদেশে গিয়েই মেলার সুন্দর সব ছবি তুলেছে, ছবির আপডেট চাই।
“অবিশ্বাসের দর্শন” বইয়ের লেখকরে কইসা মাইর দ্যান। কি সব হাবজাব বই লেখে।
এবারের শুদ্ধস্বরের স্টলের ডিজাইনও সামিয়া করেছে? আমার বিস্ময় কেবল বেড়েই চলেছে। (Y)
@অভিজিৎ, শুদ্ধস্বরের ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমার মোবাইল এত স্লো যে ছবি তোলার পর লোড নিতে নিতে নিতে এক ঘুম দিয়ে উঠা যায়, তাই বন্ধুরা বিরক্ত হয় যখন আমি ছবি তোলার তালে বারবার পেছনে পড়ে যাই। এজন্যই শুদ্ধস্বরের ছবি তোলা হয়নি। নেক্সট পোস্টে পাবেন ওটার ছবি।শুদ্ধস্বর ছোট একটা স্টল পেয়েছে, কিন্তু ওটাকেই সামিয়া আপু অসাধারণ করে তুলেছেন।
আর বন্যা আপুর কমেন্টের জবাবে তো বললামই লেখক মহাশয় বেশি পার্ট নিলে কি দশা হবে তার 😉
@অভিজিৎ,
উপদেশ না তো ;)?
লীনা রহমানকে ধন্যবাদ সিরিজটি লেখার জন্য।
@রৌরব,
উপদেশই হবে মনে হয়। :))
@ লীনা রহমান,
ছয়টি ছবি সম্বলিত পোস্টটি পড়ে ভালোই লাগলো। ছবিগুলোতে ক্যাপশন দিতে পারতেন। উপর থেকে গুনে গুনে ৫ নং ছবিটি (অনেকগুলো বইয়ের নিচে একজন মেয়ে) খুবই ভালো লাগলো। ঐ ছবি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত তথ্য জানাবেন কি?
মেলায় যাবার জন্য বুকের মধ্যে আনচান আনচান করছে। হাজির না পর্যন্ত মনে শান্তি আসবে না।
বন্যা আহমেদও বলছেন: “এইসব বড় লেখকদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা 🙁 ।”
এগুলোতে আমি আশ্চর্য হই না। সবই হইতাছে মনের বিবর্তন। (U)
@মাহফুজ,
ক্যাপশন দিয়েছিলাম, আসলনা কেন বুঝলামনা। আমি কিছুটা প্রযুক্তি প্রতিবন্ধী টাইপ মানুষ, বুঝতেছিনা সমস্যাটা। আর ৫ নং ছবির মাইয়াটার নাম লীনা রহমান, বইমেলার বাইরে গাব্দা সাইজের বইয়ের প্রতিকৃতি দিয়া সাজানো হইছে, সেইটা দেইখা আমার আন্দর কি বান্দর জেগে উঠল এবং এই ছবিখানি প্রসব হইল :))
@লীনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ, বইমেলার আপডেট দিয়ে পোষ্টটা দেওয়ার জন্য। রায়হানকে বলসিলাম কিছু ছবি পোষ্ট করতে, কোথায় কী? এখন কী সুন্দর আপনার পোষ্টে এসে মন্তব্য করে যাচ্ছে! এইসব বড় লেখকদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা 🙁 । আশা করি, আপনার কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট পাবো।
আর এর পরেরবার সামিয়াকে দেখলে আমাদের সবার পক্ষ থেকে একটা বড় ধন্যবাদ দিয়ে দেবেন। সামিয়া মুক্তমনার জন্য আরেকটা ব্যানার করে পাঠিয়েছে, একুশের জন্য আরেকটা নতুন ব্যানার করে দিবে বলেও কথা দিয়েছে।
@বন্যা হমেদ,
তাই তো মনে হচ্ছে। ইস সেদিন কেন যে অটোগ্রাফটা নিয়ে রাখলামনা :-s
আমি অবশ্য ছবি তুইলা রাখছি, আমার সাথে পার্ট মারার ট্রাই করলে আমার ভাই বেরাদারদের চিনায়া দিমু এই হইল রায়হান মিয়ে, এর রগ টগ কয়টা আছে দেইখা আস একটু (H)
সামিয়া আপুরে ধন্যবাদ দেয়ার চান্স পাইনাই উনার প্রশংসা করতে করতে, এইবার দিয়া আসুম ধইন্যবাদ। মেলার আপডেট দিয়া যামু যদ্দুর পারি।ছবি তোলা সময়ের ব্যাপার তবু ছবিও দেয়ার চেষ্টা করব 🙂
বন্যাপা, ইরাম করলে কিন্তু আর ব্যানার বানায়া দিবো না :D, আপনে কি শুরু করসেন??…আমিও একটা মানুষ, আমাকেও আবার মানুষ ধন্যবাদ দেয়…আপনি তার চেয়ে পরের বার দেশে এসে আমাকে একশটা আইসক্রীম খাওয়ায়েন। 😀
আর লীনা রহমান, আপনি নেক্সট টাইম খালি মেলায় আসেন…
@সামিয়া,
@বন্যা আহমেদ,
হুম। একমত এবং এইসব বড় লেখকদের বই কিন্তু বিখ্যাত লোকদেরকেই উৎসর্গ করা হয়। বির্তনবাদের দুইজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে এ বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে। এর একজন ড. ম আখতারুজ্জামান আর অন্যজন তারই উত্তরসূরী হিসেবে আলোচিত বন্যা আহমেদ । তাকে চিনেন নাকি?
ধন্যবাদ লীনা রহমান। মন পড়ে থাকে এইসসব বড় বড় দিনগুলির আনন্দে। যেতে পারিনা। যখন পারি তখন আবার বই মেলা, বৈশাখ ইত্যাদি পাই না। পরের দিনগুলির বর্ণনার জন্য তাকিয়ে থাকলাম। ভালো থাকুন। (O)
@কাজী রহমান, নিয়মিত আপডেট দেবার চেষ্টা করব, আমারই দম বন্ধ লাগে যখন কোন কারণে মেলা মিস করতে হয়, আপনাদের ব্যাপারটা বুঝতে পারছি
ধন্যবাদ লীনা,বই মেলার মহান অনুভূতি আমাদের সকলের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য।মনটা খুবই উচাটন করছে, যদি একবার যেতে পারতাম! কিন্তু এতো দূরে আছি যে তা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়।তাই মেলার আরো খবরা-খবরের জন্য উন্মুখ হয়ে রইলাম।
@তামান্না ঝুমু, বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা, আমার ঢাকায় থেকেই যা লাগে একদিন মিস হলে…
জীবনের প্রায় ১৪ টি বছর কাটিয়েছি মেলায় না গিয়ে।আমার পরিবারে বই পড়ার চল কম, তাই সেইসব পোষাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে মেলায় গিয়ে বসে থাকি
আমারও আপনার মতো দশা হইছে। প্রতিবার বইমেলার প্রথম দিন জাবি থেকে ফেরার পথে বইমেলায় যাই (প্রথমদিন যাবার মজাই আলাদা)। আগেরবার দেরীতে হলেও ঢুকেছিলাম। তবে এবার ৫ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে এসেছি। অন্তত এইদিনে প্রধানমন্ত্রীর সময়মতো আসা উচিত।
@রনবীর সরকার, উনাদের কত জরুরি কাজ থাকে…বইমেলার মত একটা ছোট্ট ব্যাপারে আসতে দেরি হতেই পারে :-Y
লীনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অন্যরা যারা বইমেলায় যাচ্ছেন তারাও একটু-আধটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। এ মাসটি হোক আমাদের জন্য বই মেলাময়।
@সৈকত চৌধুরী,
তোমার খবর কি ? মেলায় আসছো তো ?
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
শেষের দিকে আসার কথা ভাবছি।
আপনি সামিয়ার কাছে খোঁজ নেওয়ার পর, সে একটু পর আমি এলে কয়, কীরে তুই দেখি বিখ্যাত হয়ে গেছস! সুন্দর সুন্দর মেয়ে এসে তোকে খুঁজে :))
@রায়হান আবীর,
উদ্বোধনীর দিনে আমরা মেলায় যাবার আগে আমি তোমাকে একটি ফোন কল দিয়েছিলাম কিন্তু উত্তর পাই নি,মনে মনে ভাবলাম হয়ত তুমি শুদ্ধস্বরের স্টলে থাকবা,সেখানেও ছিলে না।লেখক এ রকম লাপাত্তা হলে যারা তোমাদের (অন্যজনকে না হয় মানা গেল) বইটি কিনবে তারা কিভাবে বা কার কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিবে ?
আগামীকাল বেলা ৪ টায় আমরা কয়েকজন মেলায় আসবো।তুমি কি শুদ্ধস্বরে তখন থাকবা ? নাকি অন্য কাজ আছে ?
লীনা তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবার আগে মেলার আপডেট দিয়ে দিয়েছো।কাল মেলায় দেখা হবে আশা করি।
ও মামুন ভাই,
গত দুইদিন সটান হয়ে মেলায় ডিউটি দিসি আপনি আসেন্নাই 🙁 কতো সখ ছিলো অটোগ্রাফ দিতে দিতে হাত ব্যথা করে ফেলবো, হলো কই :((
কালকে সারাদিন এক জায়গায় থাকতে হবে। কালকে আসতে পারুম না। অথচ কালকেই সবাই যাইতেছে। সবই ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র!
এরপর যেদিন আসবেন সেদিনই ফোন দিবেন। আমার ল্যাব ম্যালার সাথেই। একদৌড়ে চলে আসবো।
সেদিন আপনার ফোন পেয়েছিলাম। কিন্তু তখন সুপারভাইজার স্যারের পদচুম্বনে ব্যস্ত থাকায় … :))
@রায়হান আবীর,
ভাইবেননা যত টাওয়ার আছে সব উড়ায়া দিমু, ইহুদি নাছারারা পালানোর পথ পাইবনা
@রায়হান আবীর,
তো এর প্রত্যুত্তরে তোমি কি বল শুনি 🙂
সামিয়াকে বল না এখানে একটু উঁকি দিতে। আমরা যতবার উনার নাম নিয়েছি ততবার নাম নিলে মনে হয় স্বয়ং আল্ল্যাপাঁকই আইসা উপস্থিত হইত।
খ্যাক খ্যাক!
@সৈকত চৌধুরী,
অনেক অনেক ধন্যবাদ। উঁকি দিয়ে গেলাম। লজ্জায় মারা যাচ্ছি। 🙂 এই লীনা রহমান একটু বেশি কথা বলে…
@সামিয়া,
শুধু উঁকি দিলে হবে না। নিয়মিত লেখা এবং অংশগ্রহণ চাই।
@অভিজিৎদা, আমি বোকাসোকা মানুষ, লেখা আমার দ্বারা হবে না। তবে আমি কিন্তু প্রায়ই মুক্তমনায় ঘুরাঘুরি করি। 🙂
@সামিয়া,
হিহিহি… মাই প্লেজার… 😉 সেই সাথে অতি বিনয় দেখানোর জন্য :-[
এত সুন্দর ব্যানার আর ডিজাইন করার সময় মনে ছিলনা যে এমন কাহিনি হবে???
@রায়হান আবীর,
আচ্ছা এখানে লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার একটা ইমোর জন্য জোরালো আবেদন জানাচ্ছি,খরচ ফায়ারে ডর ভুইলা… রামগড়ুড়ের ছানা মিয়া কই?? 😛
আমি আরও আপনার খোমাদেওয়ালে বই মেলা নিয়ে পোস্টের আবেদন জানিয়ে এখন মুক্তমনায় ঢুকে তাব্দা! 😀
ধন্যবাদ লীনা। বইমেলা নিয়ে সমাচার শুরু করে দেওয়ার জন্য। এখন মন্তব্যে সংযোজন করা যাবে।
আমি কিন্তু মামুন থেকে আপনার মোবাইল নম্বর নিয়েছি মেলায় গিয়ে। যাচাই করার জন্য একটা ফোন দিলেই আপনাকে পেয়ে যেতাম। যাহোক, দুর্ভাগ্য। তবে এ ফেব্রুয়ারিতেই দেখা হবে। রহিমা খাতুন কল্পনাকে দেখলাম লেখক কুঞ্জে। ছাত্রজীবনে আমার হলমেইট। জুনিয়র। শামসুন্নাহার হলের বাসিন্দা। কোলাকুলির পর ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া চলল যা এ সময়কার সাধারণ চিত্র। কল্পনা জানাল তার একটা বই বের হয়েছে আলপনা প্রকাশনী থেকে। আমি স্টলটি গেটের বাইরে দেখেছি—– এ কথাটি জানাতেই সে দমে গেল। আমাকেপ্রশ্ন করল, বাইরে কেন? পরক্ষইণেই ড বলল, আলপনা বাইরে? ওদের তো ওখানে থাকার কথা নয়! আমরা তখনও শুদ্ধস্বরের স্টল পাইনি। বললাম বাইরে বলে কি হল। বইটাই হলো আসল কথা।
অবাক কান্ড !!!! অনেকক্ষণ অনেকজন গেটের বাইরে ছিলাম অপেক্ষায়। আর অপেক্ষারত মানুষ সাইন বোর্ড পড়বে না তো কি ঐসব স্টলে রাখা বই পড়বে? আমরাদের মত বহু লোক অপেক্ষারত মেলায় ঢোকার জন্য, তবে কেউ ঐসব স্টলে রাখা বই উলটে পাল্টেও দেখে বি।
@গীতা দাস, ছুটির দিনে লাইনে দাঁড়ালে বই টই দেখা যায়না, কারণ জায়গা পাছাড়া হওয়ার ভয় থাকে, আমি কিন্তু অন্য দিন বাইরেও বই দেখি। ভেতরে বাইরে বড় কথা না, বই আছে এটাই আমার কাছে বড় কথা।
আর দেখা তো হবেই এবার। অপেক্ষায় আছি…
ভাল লাগল। দুধের স্বাদ ঘুলে।
ধন্যবাদ, সেন্টিমেন্ট এবং ছবি শেয়ার করার জন্য। আরও আরও ছবি হলে আরও ভাল লাগবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার, আমার কোন ক্যামেরা নাই, মোবাইল দিয়ে ছবি তুলি…তবে নিম্নমানের আরো কিছু ছবি আসতাছে…কামিং সুন 😉
@লীনা রহমান,
আপনা্র বদান্যতায় নিম্নমান ছবির ভিতর দিয়েও তো বইমেলায় আমাদের ভার্চুয়্যাল ট্যুর হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ।