বাংলাদেশের সেনা বিদ্রোহের নেপথ্যে
বাংলাদেশে গত তিন দিনে তাদের প্যারামিলিটারি বিডিআর বিদ্রোহে আমি প্রায় সব বাংলাদেশী , ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদে চোখ রাখছিলাম। এখনো অনেক কিছুই ধোঁয়াশা আমার কাছে। সুত্র মিলিয়ে দুই দুই এ চার হচ্ছে না । তাই সমস্ত সম্ভবনাকে খাতিয়ে দেখতে এটা লিখছি-পাঠক আমার ভুল সংশোধন করবেন। ভবিষ্যতের অনুসন্ধান হয়ত অন্যকিছু বলবে-তবুও কিছুটা নিজেকে বোঝানোর তাগিদেই এই লেখা-কি করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে-যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যথার্থ ভাবেই একটি জনপ্রিয় সরকারের হাতে-সেখানে প্যারামিলিটারী ফোর্স তাদের উর্ধতন মিলিটারীর বিরুদ্ধে এই ধরনের বিদ্রোহ করতে পারে।
প্রথম জনপ্রিয় তত্ত্বটি অবশ্যই প্রলেতারিয়েত শ্রেনী সংঘাত। বি ডী আরের নিজস্ব বক্তব্য তাই। তারা শোষিত এবং তাদের উর্ধত্বন মিলিটারী কতৃপক্ষ দ্বারা নির্যাতিত। তাদের খাদ্যসরবরাহের , ডাল-ভাত প্রোগ্রামের টাকা পর্যন্ত মেরে উড়িয়ে দিয়েছে মিলিটারী। তাদের অভিযোগের সুত্র ধরে, শুধু এটাই জানা যায়-এই ধরনের অভাব অভিযোগ থেকে উর্ধত্তন অফিসারদের গণহত্যা কোথাও হয় নি।আবার এটাও ঠিক পৃথিবীর সবদেশের মিলিটারীতেই সাধারন সৈনিকরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, অফিসারদের ওপর আক্রমন চালান। আমার জানা প্রায় সব ভারতীয় এবং আমেরিকান সৈনিক মিলিটারী ক্যারিয়ারে এক বা একাধিবার কোর্ট মার্শাল হয়েছেন এই কারনে। মিলিটারীতে অফিসারের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিদ্রোহ করা-পৃথিবীর সর্বত্র অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এমন কি ২০০৪ সাল থেকে নেওয়া তথ্য অনুযায়ী-সেখানে সন্ত্রাসবাদিদের হাতে নিহত ভারতীয় সৈন্যের সংখ্যা ২৫৪, সেখানে একই সময়ে সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যা করেছেন ৩৩৩ জন। আর অফিসারদের হত্যা করেছেন প্রায় একশো জন।
অফিসারদের বিরুদ্ধে পুঞ্জিভূত রাগ পৃথিবীর সবদেশের মিলিটারীতে সর্বদা বিদ্যমান। কারন মিলিটারী একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনী-যার অস্তিত্ব আসতে আসতে ফুরিয়ে আসছে। রাষ্ট্রের সংজ্ঞাতেই আছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নাগরিকদের ভীতি দেখিয়ে আইন মান্য করানো- তাই সভ্যতার বিপরীত দিকে হেটেই মিলিটারীর বেঁচে থাকা (এই প্রবন্ধটি দেখতে পারেন)। সেখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের যে শিক্ষাটা তারা পায়-তার সাথে মানবাধিকার বা সভ্যতার সম্পর্ক নেই। এর ওপর লয়ালিটির পরীক্ষা সাধারন সৈনিকদের সব সময় দিতে হয়। আর চেইন অব কম্যান্ডের লয়ালিটি রক্ষা করার স্বার্থে সব সময়, অধীনস্ত সেনারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সমস্ত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে, তাদের মানানো হয়। কারন, এইভাবে তাদের স্বাধীন ইচ্ছাকে মেরে দিতে না পারলে চেইন অব কমান্ড তৈরী হয় না-সুতরাং মিলিটারীর স্বার্থেই সমস্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, নীচু তলার সৈনিকদের বাধ্য করা হয় ওপর তলার থুতু চাটতে। সুস্থ পরিবেশে বেড়ে ওঠা একজন যুবককে যখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের এই প্রাথমিক পাঠ দেওয়া হয়, তখনত প্রশ্ন ওঠে না ওদের কেন সভ্যতা বিরোধি রাগী যুবক হিসাবে তৈরী করা হচ্ছে? তখন ত আমরা নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থই দেখি।
এক্ষেত্রে যেসব অফিসাররা সেদিন সভাগৃহ থেকে পালাতে পেরেছিলেন তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এটা পূর্বকল্পিত অনেক দিনের চক্রান্ত। ভারতীয় মিডিয়া এর মধ্যে ইসলামিক চক্রান্ত্ব খুঁজে পাচ্ছে। আমি অবশ্য সেরকম কিছু দেখতে পেলাম না। এটা কি করে সম্ভব যখন সভাগৃহে অনেক মিলিটারী কর্ত্তা আছেন, তখন মাত্র একজন লুঙ্গি পড়ে গেঞ্জী গায়ে মেশিনগান চালিয়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করল? বাকিরা তার আগেই বেড়িয়ে গিয়েছিল। যদি পরিকল্পনা মাফিক বিদ্রোহের প্রশ্ন ওঠে এটা সম্ভবত খুব বাজে পরিকল্পনা। মানাই কষ্টকর। কারন সেক্ষেত্রে (১) তারা সভাস্থলকে বিদ্রোহের সুতিকা গৃহ হিসাবে ব্যাবহার করবে না-রাতের অন্ধকারে কোয়াটার টু কোয়াটার অতর্কিত আক্রমন করবে (২) আর যদি সভাগৃহকে বাছেও-তাহলে মাত্র একজন লুঙ্গী পরে মেশিন গান চালিয়ে বিদ্রোহের সূচনা করবে না। একটি দল পরিকল্পিত ভাবে সবাইকে ঘিরে ফেলবে। সেরকম কিছু হয় নি।
তাছাড়া যেভাবে মিলিটারী অফিসারদের জওয়ানরা খুন করেছে-তাতে ব্যাক্তিগত আক্রোশের ছাপ বড্ড বেশী। মানে মিলিটারী অফিসারদের বিরুদ্ধে তারা রাগে ফুঁসছিল এটা পরিস্কার। বিদ্রোহের লক্ষ্য মূল থাকলে-তারা রাষ্ট্রের সাথে দরাদরি করার জন্যে মিলিটারী অফিসারদের বন্দী করত-এই ভাবে চোখ খুবলে খুন করত না। সেনারা তাদের শত্রুর দেহকেও এই ভাবে বিকৃত করে হাত পা কেটে হত্যা করে না। এর থেকে তাদের পুঞ্জীভূত রাগের পরিমান প্রকাশ্য।
এছাড়াও গত তিনদিনে বিডিআর বিএস এফের কাছে অনেক চিরকুট পাঠিয়েছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চিদাম্ববরম তা স্বীকারও করেছেন। সেইসব চিরকুটের অধিকাংশতেই লেখা ছিল, বিডিআর মিলিটারীর অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই তারা ধরা না দিয়ে, ভারতের কাছে আশ্রয় চাইছে । যদি এটা ইসলানিস্ট গোষ্ঠির বিদ্রোহ হত, তারা ভারতের কাছে আশ্রয় এভাবে চাইত না।
বাংলাদেশের গুপ্তচররা এই খবর কেন আগে পেলেন না-সেটা নিয়ে অনেক জলঘোলা হচ্ছে। হতে পারে এরকম কিছু কংক্রীট চক্রান্ত ছিল না। অফিসারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মিলিটারীতে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই হয়ত ব্যাপারটাকে তারা অতটা আমল দেওয়ার প্রয়োজন ভাবে নি। আবার এটাও হতে পারে হাসিনা সরকারা আসায় অনেক গুপ্তচরের যে অতিরিক্ত ইনকাম ছিল -ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদি জঙ্গীদের কাছ থেকে বা আই এস আই এর কাছ থেকে- তা এখন বন্ধ। ফলে বর্তমান সরকার গেলে-তাদের পকেটে দুপয়সা আসে আর কি।
মিলিটারীর অনেক অফিসারই বলছেন তারা বি ডী আরের স্মাগলিং থেকে উপার্জন বন্ধ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ বি ডি আরের গরীব সেনাদের সামান্য যেটুকু অতিরিক্ত ইনকাম ছিল-তাও বন্ধ! গোদের ওপর বিষফোঁড়া। কিন্ত শুধু এইটুকুর জন্যে কেও গণহত্যা করবে না।
পরিশেষে একটা গণতান্ত্রিক দেশে রাজধানীতে কেন ৩০% বর্ডার সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ান বা মিলিটারীরা থাকে-সেটাও বুঝলাম না। আমি ভারতে দেখি বি এস এফের ১০-১২ হাজার লোকের থাকার আবাসনগুলি শহর থেকে অনেক দুরেই থাকে। বাংলাদেশে বি ডি আরের সংখ্যা ৬৫,০০০। আর ঘটনার সময় ঢাকায় হেডকোয়ার্টারে ১৫০০০ বিডীআর পাকাপোক্ত ভাবে ছিলেন। এটা একধরনের অপচয়।
রাষ্ট্র যত দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে মিলিটারী নামক সভ্যতা বিরোধি রাষ্ট্রযন্ত্রটির অবসান ঘটে ততই মঙ্গল। ভারতের এই বছরের মিলিটারী বাজেট
২৩ বিলিয়ান ডলার-বাংলাদেশের প্রায় দেড় বিলিয়ান ডলার। যেদেশগুলির অর্ধেক লোক আধপেটা খেয়ে থাকে, নিরক্ষর-সেখানে ওই টাকা শিক্ষা এবং উন্নয়নে খরচ করতে পারলে-দারিদ্র নিশ্চিত ভাবেই কমানো যেত।
যারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান ইত্যাদি দেশের অস্তিত্ব টেকানোর পক্ষে তাদের আবার লাল সেলাম!!! কারন দেশের অস্তিত্ব মানলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদিদের (মিলিটারী) পেছনে এই বাজে খরচ এবং তাদের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ রাষ্ট্রবিরোধি সন্ত্রাস মেনে নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে! আপনারা কি চান, আমি বাংলাদেশী, আমি ভারতীয় এইসব আবেগের মূল্য দরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্যের থেকেও বেশী?
I agree with some of the comments of Mr Biplab Pall. But the comment he made about joint military between Bangladesh and India is not
logical! Practically how is it possible for two countries to have joined military institute? In reality India is not a friendly neighbour of Bamladesh! Although India helped Bangladesh during the 1971 liberation but India’s main aim to weaken Pakistan by separating Bangladesh. Also if India is friendly to Bangladesh why India built Farakka Dam in river Gange defying international law and continues to build dams on more rivers? Also I am sure Mr Biplab remember the when BSF attack BDR in Romarri and BSF attack against Banladeshi citizens is almost daily incidence now. . I think Mr Biplab some of the comments are Bias.
অর্থহীন লেখা
@নুসরাত জাহান,
যদিও অনেক পুরনো লেখা, তবু বিপ্লব দা র এই লেখাটি আজকেই আমার চোখে পড়ল। আপনার কাছে কেন অর্থহীন মনে হচ্ছে জানিনা। আমার কিন্তু খুব ভাল লেগেছে।
সত্যি পৃথিবীর কোন দেশেরই সামরিক বাহিনীর দরকার নেই।
তবু তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে দরকার আছে। সারা দুনিয়াকে নিজের কবজায় রাখার জন্য, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের দরকার আছে সাময়িক বাহিনীর। সাম্যবাদের ধুয়াধারী দের ও দরকার আছে পুঁজিবাদী দের সোজা রাখতে, ভারতের দরকার আছে চীন আর পাকিস্তান কে রুখতে।কিন্তু বাংলাদেশের কি দরকার সেনা বাহিনীর তা আমি বুঝিনা আসলেই। আমাদের দেশটার ৩দিকে ভারত দিয়ে ঘেরা। সামান্য সীমান্ত আছে মিয়ানমার এর সাথে। যাহোক সত্যি যদি ভারত ভালমতো বাংলাদেশ কে আক্রমন করে, আমার মনে হয় যে বাংলাদেশের ৬ টা সবেধন নীলমণি মিগ ( বাকি গুলো কে আমি যুদ্ধ বিমান হিসাবে ধরি না;স্যাবর জেট দিয়ে আজকাল যুদ্ধ করা যায় এই নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে)
আকাশে উড়ার আগেই বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরে যাবে। কাজেই এই সেনাবাহিনী যারা বসে বসে খাচ্ছে আর মুটোচ্ছে,মিয়ানমার সৈন্য সমাবেশ করলেই নাকি অফিসারদের পেটের অসুখ করে ( শোনা কথা), কাজেই এই অপদার্থ সেনা বাহিনী না থাকলেই বরং দেশের অনেক টাকা বেঁচে যাবে।দয়া করে বলবেন কি যে সত্যি সত্যি এই বেকার সেনা বাহিনী দিয়ে কি হবে? যাদের কাজ বসে বসে বাংলাদেশের অন্য ধ্বংস করা? আর মাঝে মাঝে গনতান্ত্রিক সরকারের ( আই ওয়াশ, নাকি প্রকৃত গণতন্ত্র, সেটা এখন না হয় আলাপ নাই করলাম) বির
{আগের মন্ত্যব্য পুরো পোষ্ট হয় নি তাই আরেকটা করতে হচ্ছে}
আর মাঝে মাঝে গনতান্ত্রিক সরকারের ( আই ওয়াশ, নাকি প্রকৃত গণতন্ত্র, সেটা এখন না হয় আলাপ নাই ক
আর মাঝে মাঝে গনতান্ত্রিক সরকারের ( আই ওয়াশ, নাকি প্রকৃত গণতন্ত্র, সেটা এখন না হয় আলাপ নাই করলাম) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ছাড়া এদের কোন কাজ নেই।কাজেই এদের বিলুপ্ত করে শক্তিশালী একটি আধুনিক পুলিশ বাহিনী গঠন করে যদি দুর্নীতি মুক্ত রাখা যায়, এতেই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
অ্যাডমিন রা দয়া করে আমার এই মন্তব্য আর ২য় তা মুছে দিন।নেট সমসসার কারনেই এই বিপত্তি।
comments:
Military has a purpose
to serve the people .
if military expenditure goes up ,budget for education, health and many other important human development gets cutshort.
Religon of ISLAM is not like anyo other religon ,the bedouion concept with profound direct divident of ALLAH was absolute for no room for arguments or any logic.
when this opreating system of religo-politics works ,evry application software better obeys it otherwise out! sufi and lalon names are brought as emolient who feel it will increase the respectability and credibilty; doesn’t change the kernel of the OPERATING SYTEM!
EVEN THOUGH INDIA took great risk to deliver BANGLADESH AGINST THE ODDS of USA,CHINA ,UK UNO didn’t matter to even .0000001% bangladeshi and mistrust remained same.
BNAGLADESHI army plays the role emulating pakistani to become rich and in control.
it is corrupt getiing rich evry day thorugh smugling from INDIA COWS TO CUMBER but th juice was not tricking down to BDR – is the real cause of “MUCH ADO ABOUT NOTHING” .
CONSPIRACY THEORY ARE THE DISRACTORS.
pakistani terrorists caught in lahore are still trying hard to prove them as indian spies than state actors!! :pain:
ভারত-বাংলাদেশের জয়ান্ট মিলিটারি কমাণ্ডের কথাটি শুধু আপত্তিকরই নয়- ঔদ্ধত্যমূলকও।
সাম্রাজ্যবাদী ভারতের ভয়ে ভারতকে তোষণ করেই চলতে হবে আমাদের?
আমি ভারতীয়, আমি বাংলাদেশী-এই সব আবেগের মূল্য
ভবিষ্যতে থাকবে না-কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তাতেই জাতীয়তাবাদি চিন্তা আসতে পারে না। তবে হ্যাঁ বাঙালী হিসাবে আলাদা স্বতন্ত্র সংস্কৃতির অবশ্যই গুরুত্ব এবং মূল্য আছে।
এখানে আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে আপনি কি চান?
আপনি কি বাংলাদেশের গরীবদের উপকার চান? অর্থনীতির উপকার চান? সেটা কি ভাবে সম্ভব ভারতকে বাদ দিয়ে? বাংলাদেশের চারিদিকেই ভারত। সেটা যদি অসম্ভব হয়-তাহলে ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রাখতেই হবে। তা কি সম্ভব যদি বাংলাদেশ চিনের সাথে এলাইন করে? সব থেকে বড় কথা আপনি ভেবে দেখুন-মিলিটারীর এইসব বাজে খরচ-কি দরকার আছে? আমরা যদি সবাই মানুষ হই?
আমি প্রশ্নটা খুবই বাস্তববাদি দৃষ্টিতে তুলেছি। আমাদের জীবনের লক্ষ্য আগামী প্রজন্মকে একটি সুস্থির শান্তিকামি সমৃদ্ধ পৃথিবী উদ্ধার দেওয়া। সেটা সম্ভব না-এই সব মিলিটারী স্ট্রাটেজিক
এলাইনমেন্ট সমস্যা থাকলে। সবদেশ থেকেই মিলিটারি উঠে যাক। এটাই চাইছি।
বর্তমান বিশ্বে যে এমনিতেই সামরিক বহিনীর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাচ্ছে সেটা মানি।
কিন্তু বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে এমন নৃশংসতা করা সম্ভব সেটা মানতে পারছি না। এই খুনী জওয়ানদের কেউই হয়ত জীবনে কোন মানুষ খুন করেনি, কারণ বিএসএফ এর সাথে ক্ষণিকের কিছু গোলাগুলি বাদ দিলে তাদের কোন যুদ্ধর অভিজ্ঞতা নেই। এমন মানুষের পক্ষে কি করে এমন বর্বরতা করা সম্ভব? এজন্যই মন বলছে, এর পেছনে কোন বড় ষড়যন্ত্র আছে। কিন্তু এ নিয়ে কোন থিওরি দাড় করানো আমার পক্ষে সম্ভব না, আর কারও থিওরিই কনক্রিট না, কারণ যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
সবশেষে যদি দেখি এটা আসলেই বিডিআরদের কাজ তাহলে সবচেয়ে বেশী কষ্ট পাব। তখনও হয়ত বিশ্বাস হতে চাইবে না। আসলেই কি এমনটা সম্ভব? পৃথিবীর ইতিহাসে মিলিটারি বিদ্রোহে এত নৃশংসতার নজির কি আছে? আমি নিশ্চিত না অবশ্য। অনেক জায়গায় বিদ্রোহে হয়ত সেনা সদস্যরা মারা গেছে। কিন্তু এত বড় নৃশংসতা কি হয়েছে?
আর বিডিআর দেরও তো এমন কোন দাবী ছিল না যার কারণ এভাবে ফুঁসে উঠতে হবে, গণহত্যা করতে হবে।
এটাই মনে বাজছে।
বাক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার প্রথম সুযোগেই আপনাকে ধন্যবাদ বিপ্লব দা। এই একটি মাত্র লেখা যার মধ্যে বস্তুনিষ্ঠতা খুজে পেলাম। অনেক সময় একটু দূর থেকে দেখলে ভাল দেখা যায়। যা আপনি দেখছেন, এখানকার খুব লোক তা দেখছে বা দেখতে চাইছে। সকলে সমস্বরে যেভাবে ষড়যন্ত্র বলে কোরাস ধরেছে তাতে কোন একটা বের না কোরে থামবে না বোধহয়।
আপনার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে….
এখন চারিদকে শুধু ষড়যন্ত্র থিউরি শুনতে শুনতে হাপিয়ে উঠেছিলাম!!!!!!
সেনা বাহিনী কি করে একটা দেশের মাথা হল বুঝলাম না। আচ্ছে আপনি বলুন বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর কাজটা কি??? ভারত বাংলাদেশ কখনোই আক্রমন করবে না-সে রকম কোন কারন নেই। আর যদি করেও-সেনা বাহিনী থাকা না থাকা সমান ব্যাপার-সেক্ষেত্রেও আসল প্রতিরোধ কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছ থেকেই আসবে। বাংলাদেশের উন্নতির জন্যে চাই ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক। আর যদি মিলিটারী বাংলাদেশের একান্তই কাম্য হয়-ভারত, বাংলাদেশ জয়েন্ট মিলিটারি কমান্ড হৌক। শুনছি সেই প্রচেষ্ঠা শুরু হয়ছে জয়েন্ট মিলিটারী এক্সারসাইজের মাধ্যমে। এটা অনেক দিন আগে থেকেই দরকার ছিল। এতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব্ব ক্ষুন্ন হবে না-ভারতীয় আক্রমনের কোন ভয় থাকবে না-এবং বাংলাদেশের মিলিটারী অনেক অল্পমূল্যে ভারতীয় অস্ত্র বা বিমান পাবে। কিন্তু সেটা না করে, বি এন পি যে ভাবে চীন থেকে অস্ত্র এবং অস্ত্রবিসারদ আনছিল-তাতে ভারতের সাথে বিরাট বিবাদ তৈরী হচ্ছিল। যাতে বাংলাদেশের আখেরে ক্ষতিই হত। কারন বাংলাদেশের উন্নতির জন্যে, বাংলাদেশের শিল্পের জন্যে, ভারতীয় মার্কেট একান্তই দরকার। সেটা আটকে যাচ্ছিল। এখন হাসিনার আমলে দেখুন-কোন ঝামেলা নেই। প্রনব মুখার্জি , বাংলাদেশের প্রায় সব আর্জি মেনে নিয়েছেন। বি এন পির আমলে বাংলাদেশের সাথে শুধু ঝগড়াই হচ্ছিল। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীরা। বাংলাদেশের অর্থনীতি। ভারতের ত এতে কিছু হবে না। এই যে প্রণব মুখার্জি সব দাবি মেনে নিলেন-এটা কি বাংলাদেশের মিলিটারীর ভয়ে???? না বাংলাদেশ ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে বলে? এই হাসিনা সরকার যদি চিনাদের আনা বন্ধ না করত-ভারত কোন মতেই সমস্ত সুযোগ দিত না। কারন তাহলে বিজেপি প্রণব মুখার্জির ধুতি খুলে দিত পার্লামেন্টে। সুতরাং একটা দেশের মাথা সেই দেশের গণতন্ত্র এবং মানুষ। আমি মনে করি -সেখানে মিলিটারীর ভবিষ্যতে আর কোন ভূমিকা থাকবে না।
@biplab,
আপনার মূল পোস্ট খুব ভালো লাগলেও- এই কমেন্টের সাথে একমত হতে পারলাম না, খুব আপত্তিকরই মনে হলো…।
ভারত-বাংলাদেশের জয়ান্ট মিলিটারি কমাণ্ডের কথাটি শুধু আপত্তিকরই নয়- ঔদ্ধত্যমূলকও।
সাম্রাজ্যবাদী ভারতের ভয়ে ভারতকে তোষণ করেই চলতে হবে আমাদের?
সুখপাঠ্য লেখা সন্দেহ নেই। তবে, অনেক গুলো কথা থেকে গেলো।
ঐ অফিসারদের মাঝে সকলেই অত্যাচারী ছিলেন না নিশ্চয়ই; বেশ কয়েক জন তুমুল জনপ্রিয় এবং চৌকস অফিসার ও ছিলেন। কিন্তু রেহাই পান নি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুব কম সংখ্যক জওয়ানই হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলো। আর ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলাফল হিসেবে নিরস্ত্র নারী-শিশু ও আক্রান্ত হবে, তা মেনে নেয়া যায় না, কোনমতেই। এছাড়া, একজন মানুষ অত্যাচারী হতে পারে, হতে পারে অসৎ, তাই বলে তাকে নিরস্ত্র অবস্থায় কুকুরের মত গুলি করে মারা, কিংবা পুড়িয়ে ফেলা- অচিন্ত্যনীয়। নিছক ব্যক্তিগত আক্রোশের ফল হিসেবে এ ঘটনগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
বলাবাহুল্য, ঘটনার পূর্বদিনই বিডিআর সপ্তাহ’২০০৯ শুরু হয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতে এতো জওয়ান ও কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন।
সবশেষে, রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর বিকল্প এখন আবিষ্কৃত হয় নি। সন্দেহ নেই, মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ অনেক গর্হিত কাজেই সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই বলে, এর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গিয়েছে, এটা মানতে রাজি নই। মাথা ব্যাথায় অতিষ্ঠ হয়ে মাথাটাই কেটে ফেললে কোন সমাধেই পৌঁছানো যাবে না। সেনাবাহিনীকে আমার সেই ছুরির সাথে তুলনা করতে ইচ্ছে হয়, যেটি একটা ডাকাতের হাতে গিয়ে পড়েছে, মানুষ মারা ছাড়া যাকে আর অন্য কাজে ব্যবহার করা হয় না! আমরা যদি ছুরিটিকে একজন চিকিৎসকের হাতে তুলে দিতে পারি, তবেই হয়তো কিছু মৃত্যু পথযাত্রী বেঁচে যেতে পারে।
ধন্যবাদ।