মুক্তমনা ব্লগ প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা অপরাধের সাথে জড়িত দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন সহ ঐ হত্যা আক্রমণে জড়িতদের সম্পর্কে জানাতে পারলে ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে আমেরিকার ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট। তাদেরকে +1-202-702-7843 এই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস তাদের রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস অফিসের মাধ্যমে ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ এ একটি প্রেস রিলিজে বলেছে যে, মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায় হত্যা ও গুরুতর ভাবে আহত রাফিদা বন্যা আহমেদের উপর সন্ত্রাসী এই আক্রমণে জড়িত যে কোন ব্যক্তিকে যে কোন দেশ থেকে ধরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারলে ৫০ লক্ষ পর্যন্ত মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। কঠিন গোপনীয়তা বজায় রাখবার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এতে। টেক্সট করতে বলা হয়েছে RFJ via Signal, Telegram, অথবা হোয়াটস্এপে +1 (202) 702- 7843 এই নম্বরে।
বিস্তারিত, এখানে ক্লিক করলে দেখা যাবে ।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয় আসামির মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু এদের মধ্যে অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদের ওপর আক্রমনের মূল পরিকলল্পনাকারী আসামিদের মধ্যে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান জিয়াউল হককে বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনি ধরতে পারেনি, পলাতক আছে আকরাম হোসেনও।
মুক্তমনা, অসাম্প্রদায়িক, অসাধারণ মেধাবী অসীম সাহসের অধিকারী ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ রায়ের এমন করে হিংস্র মৌলবাদী নরপশুদের হাতে খুন হওয়া ও বন্যা আহমেদের গুরুতর জখম হওয়া মানুষ বা যেকোন প্রাণী মাত্রই ভীষণ বেদনায় মর্মাহত হবেন। আমি এই মহাবিশ্বের একজন প্রাণী হিসেবে তেমনি মর্মাহত। এই খুনিদের ধরিয়ে দেয়া বা এদের সম্পর্কে যেকোন খবর পাওয়া আমাদের অধিকার বলে মনে করি। এ বিষয়ে আমেরিকার এই উদ্যোগ সত্যি মানবিক । এতে সকলের পূর্ণ সমর্থন থাকা দরকার। বাংলাদেশ সরকারেরও পলাতক খুনিদের ধরার ব্যাপারে জোরালো ব্যবস্থা নেয়া অবশ্যই দরকার। আট বছর হয়ে গেলো সেরকম কোন তৎপরতা দেখছিনা।