আজ ১৬ আগস্ট।জাতীয় শোক দিবসের শোকের আনুষ্টানিকতা শেষ হয়ে গেছে তাই অনেকটা কোলাহলমুক্ত পরিবেশে এ লেখাটি লিখতে বসেছি। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমানের কাছে ১৫ আগস্ট শোক দিবসের সমান্তরালে একটি নিরব সুখস্মৃতিও যে রয়েছে তা আমরা প্রায় ভুলতেই বসেছি।কারণ এ দিনটিতেই মুসলিম জাহানের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।একাত্তরে দেশ স্বাধীন হলেও সৌদি স্বীকৃতি মিলে পঁচাত্তরের ১৫ ই আগস্ট যেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।সৌদি আরব যখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় তখনও হয়তো গুলিতে ঝাঁজরা হওয়া বঙ্গবন্ধুর লাশটি সমাহিত হয়নি।হয়তো কারফিউ কবলিত টুঙ্গিপাড়ার বিষন্ন নির্জন পরিবেশে কাপড় কাঁচার সাবান দিয়ে তাঁর দেহটিকে শেষবারের মতো ধৌত করা হচ্ছিল।নিষিদ্ধ শোকের সেই সময়টিতেই সৌদি বাদশাহ খালেদ বিন আব্দুল আজিজ আল সউদ পবিত্র কাবাঘরের দরজাটি বাংলাদেশের মুসলমানের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এরপর থেকে বাংলাদেশী পরহেজগার মুসলমানকে আর ভারতীয় পাসপোর্টে হজ করতে যেতে হবেনা নিজ দেশের পাসপোর্টেই পবিত্র হজব্রত সম্পন্ন করতে পারবে সেটি যে মুসলমানের জন্য কতবড় উপহার তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।কারণ সম্পদশালী কিছু মুসলমানের জন্য হজ করাটা সমাজ দেশ জাতি এমনকি স্বাধীনতার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিক ধর্মাচার।এর প্রমাণ, একাত্তরে যখন এদেশে গণহত্যা চলছে যখন শরনার্থী ক্যাম্পগুলোতে খাদ্যের অভাবে অগনিত মানবসন্তান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে ঠিক সেই ভয়াল দুঃসময়েও যুদ্ধরত বাংলাদেশ থেকে ২৭০১ বাঙ্গালী মুসলমান হজ করতে সৌদি গেছে।(সূত্র দৈনিক বাংলা,২৪ জানুয়ারী,১৯৭২) সেই ২৭০১ পূণ্যার্থীর হজের টাকায় হয়তো অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো যেতো,আহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করা যেত,মুক্তিযুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনা যেত।ভাবা যায় কতটুকু আত্মকেন্দ্রিক হলে পরে প্রিয় স্বজনের লাশের স্তুপকে মাড়িয়ে ব্যক্তিগত পূণ্যার্জন একদল মানুষের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে? অথচ একই সময়ে ভারতে এবং বিভিন্ন দেশে শরনার্থীদের সাহায্যের জন্য অগনন নিবেদিতপ্রাণ মানুষ বা প্রতিষ্টান দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করছে, স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা টিফিনের পয়সা রিলিফ ফান্ডে দান করছে,দেশে দেশে উন্মুক্ত কনসার্ট আয়োজন করে ফান্ড তৈরি করে শরণার্থীদের জন্য পাঠানো হচ্ছে।ভয়াবহ গণহত্যাকালেও যারা হজ করার জন্য এমন ব্যকুল হয়ে উঠেছিলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের সেই ব্যাকুলতার মাত্রা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছিল একবার ভেবে দেখুন।পূণ্যার্থীরা অনেকটা স্মাগলিং করে ভারতীয় পাসপোর্ট জোগাড় করে হজ সম্পন্ন করতে শুরু করেন পরে বঙ্গবন্ধুর আহবানে এবং ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় এটি সাময়িকভাবে রাষ্ট্রীয় বৈধতাও লাভ করে যা আমাদের স্বাধীন সার্বভৌমত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।বঙ্গবন্ধু নিজেও এই পূণ্যার্থীদের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন তার প্রমাণ মেলে ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া বঙ্গবন্ধু এবং সৌদি বাদশাহ ফয়সালের মধ্যকার বৈঠকের আলাপচারিতায়।নানা কারণে ফয়সাল-মুজিব বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাদশাহ ফয়সালের সাথে এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রথম সাক্ষাৎ।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই সৌদি আরব প্রবলভাবে এর বিরোধীতা শুরু করে।অর্থ অস্ত্র আর কূটনৈতিকভাবে তারা পাকিস্তানকে সাহায্য করে গেছে যুদ্ধের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত।এমনকি আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের পূর্বমুহুর্ত একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মক্কাভিত্তিক সংগঠন রাবেতা আল আলম ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে পাকিস্তানে যুদ্ধা ও অস্ত্র সরবরাহের জন্য মুসলিম দেশগুলির প্রতি আহবান জানায়।(Pakistan Horizon,voll-xxv-no-1,1972,page 72) সৌদি বাদশাহ ফয়সালের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল একটি ইসলাম বিরোধী যুদ্ধ আর এই যুদ্ধের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল তার সীমাহীন ক্ষোভ আর ঘৃণা।সেই ঘৃণার ধারাবাহিক বহিপ্রকাশই হল ঘাতকদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু নিহতের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান।দিন কয়েক বা সপ্তাহ দুয়েক পরেও সৌদি আরব এই কাজটি করতে পারত যেমন করেছিল চীন। চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৩১ আগস্ট ১৯৭৫,ততদিনে বঙ্গবন্ধুর কবরে হয়তো ঘাস উঠতে শুরু করেছে।এমনকি যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধ্বে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হল সেই পাকিস্তানই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় ৪ মে ১৯৭৪ সালে।কিন্তু সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় ঠান ঠান উত্তেজনায় টিভি পর্দায় খেলা দেখা একজন সমর্থক যেমন নিজ দলের গোল করা দেখে উত্তেজনায় চিৎকার করে ওঠে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সৌদি প্রশাসন বাংলাদেশের সেই রক্তাক্ত সময়ে তাকে স্বীকৃতি দিয়ে তেমনি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।আমারতো মনে হয় বৈরিতা প্রদর্শণের এমন ঘৃণ্য নজীর সভ্যতার ইতিহাসে খুব বেশি নেই।এর অবশ্য সংগত কারণও আছে।ফয়সাল এবং তাঁর উত্তরসূরীরা জানতেন মুজিব নামের মানুষটি আপন মতে কতটুকু অনড় একরোখা এবং স্পষ্টভাষী। আমাদের দেশে এখন মুজিবভক্তের প্লাবন জেগেছে।এই চাটুকা ভক্তের দল মুজিবের এই সাহসিকতার দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে অহরহ ইন্দীরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করেন কিন্তু অজানা কারণে আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে মুজিব-ফয়সাল বৈঠকের বিষয়টি বেমালুম চেপে যান।অথচ সেই ঐতিহাসিক আলাপচারিতায় সদ্য স্বাধীন দরীদ্র একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ফয়সালকে যেভাবে যুক্তি ও প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন তা ছিল চাবুক মারার মতই সাহসিকতাপূর্ণ কাজ।তাহলে আসুন সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশ বেতারের তৎকালীন মহাপরিচালক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী এম আর আখতার মুকুলের বিবরণটিতে একবার চোখ বোলিয়ে নেয়া যাক।
“ ফয়সাল-এক্সিলেন্সি, আমি শুনেছি যে বাংলাদেশ আসলে আমাদের কাছ থেকে কিছু সাহায্য প্রত্যাশী।কিন্তু কথা হচ্ছে যে আপনারা কোন ধরণের সাহায্য চান?দয়া করে বলুন আপনারা কী চান? অবশ্য এসব সাহায্য দেবার জন্য আমাদের কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে।
মুজিব-এক্সিলেন্সি, বেয়াদবী নেবেননা।আমি হচ্ছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।কিন্তু আমারতো মনে হয়না-মিসকিনের মতো বাংলাদেশ আপনাদের কাছে কোনো সাহায্য চেয়েছে।
বাদশাহ-তাহলে আপনারা কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া থেকে কী চাচ্ছেন?
মুজিব-বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবা শরীফে নামায আধায়ের অধিকার চাচ্ছে। এক্সিলেন্সি,আপনিই বলুন সেখানেতো কোনো শর্ত থাকতে পারেনা।আপনি সুমহান এবং প্রতিটি বাঙ্গালী মুসলমান আপনার উপর শ্রদ্ধাশীল।আপনি হচ্ছেন পবিত্র কাবা শরীফের হেফাজতকারী।এখানে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের নামায আদায়ের হক রয়েছে।সেখানে আবার শর্ত কেন?এক্সিলেন্সী আমরা আপনাদের কাছ থেকে ভ্রাতৃসুলভ সমান ব্যবহার প্রত্যাশা করছি।
বাদশাহ-এসবতো আর রাজনৈতিক কথাবার্তা হলনা।এক্সিলেন্সি,বলুন কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া থেকে আপনারা কী চাচ্ছেন?
মুজিব-এক্সিলেন্সি,আপনি জানেন এই দুনিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ।তাই আমি জানতে চাচ্ছি কেন সৌদি আরব আজও পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছেনা?
বাদশাহ- আমি পরম করুণাময় আল্লাহতাআলা ছাড়া কারো কাছে জবাবদিহী করিনা।তবুও আপনি একজন মুসলমান,তাই বলছি সৌদি স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ করতে হবে।
মুজিব-এই শর্তটা কিন্তু অন্তত বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হতে পারেনা। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট জনসংখ্যা মুসলমান হলেও এদেশের প্রায় এক কোটির মতো অমুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে।সবাই একই সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হয় অংশগ্রহণ করেছে নাহয় দুর্ভোগ পোহায়েছে।তাছাড়া এক্সিলেন্সি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে পরম করুণাময় আল্লাহতাআলাতো শুধু আল মুসলেমিন নন তিনি হচ্ছেন রাব্বুল আলামিন।তিনি শুধুমাত্র মুসলমানের আল্লাহ নন তিনি হচ্ছেন সবকিছুর একমাত্র অধিকর্তা।তিনিই হচ্ছেন সবকিছুর একমাত্র স্রষ্টা।এক্সিলেন্সি, বেয়াদপী মাফ করবেন-আপনাদের দেশটার নামওতো ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি এরাবিয়া’ নয়।এই মহান দেশের নাম আরব জাহানের অন্যতম শ্রেষ্ট মনীষী ও রাজনীতিবিদ মরহুম বাদশাহ ইবনে সউদ এর সম্মানে কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া। কই, আমরা কেউইতো এই নামে আপত্তি করিনি?
বাদশাহ- এক্সিলেন্সি,এছাড়া আমার অন্য একটা শর্ত রয়েছে এবং তাহচ্ছে অবিলম্বে সমস্ত পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে।
মুজিব-এক্সিলেন্সি,এটাতো বাংলাদেশ পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার।দুটো দেশের মধ্যে এধরণের আরও অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে।যেমন ধরুন-বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ পাকিস্তানী নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেয়া এবং বাংলাদেশের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করা এমন বেশকিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে।এসবের মীমাংসা কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।তাই শুধুমাত্র বিনাশর্তে ৯১ হাজার পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দি ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নটি পৃথকভাবে বিবেচনা করা বাঞ্চনীয় হবেনা।আর এজন্য সৌদি আরবই বা এতো উদগ্রীব কেন?
বাদশাহ-এক্সিলেন্সি,শুধু জেনে রাখুন সৌদি আরব এবং পাকিস্তান একই কথা।পাকিস্তান আমাদের সবচেয়ে অকৃত্রিম বন্ধু।তাহলে এক্সিলেন্সি,আরতো কথা থাকতে পারেনা।তবে আমাদের দুটো শর্তের বিষয় চিন্তা করে দেখবেন। একটা হচ্ছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা।আর একটা বিনা শর্তে যুদ্ধবন্দির মুক্তি।আশা করি বাংলাদেশের জন্য সাহায্যের কোনো কমতি হবেনা।
মুজিব-এক্সিলেন্সি,একটি বিষয় বুঝিয়ে বললে খুশি হতাম।
বাদশাহ-এক্সিলেন্সি, বলুন কী বিষয়?
মুজিব-প্রায় দুবছর সৌদি আরব স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ায়যে সেখানকার পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র হজ আদায় করতে পারছেননা,সেকথা ভেবে দেখেছেন কি এক্সিলেন্সি?এভাবে বাঁধার সৃষ্টি করা কি জায়েজ হচ্ছে?পবিত্র কাবা শরীফেতো দুনিয়ার সমস্ত দেশের মুসলমানদের নামায আদায়ের হক রয়েছে।তাহলে কেন এই বাঁধার সৃষ্টি?কেন আজ হাজার হাজার বাঙ্গালী পরহেজগার মুসলমানকে ভারতের পাসপোর্টে পবিত্র হজ পালন করতে হচ্ছে?
(সূত্র-মুজিবের রক্ত লাল- এম আর আর আখতার মুকুল,পৃষ্টা-৪২-৪৪)
এখানে এসেই ফয়সাল-মুজিব বৈঠকের আকষ্মিক এবং অসফল পরিসমাপ্তি ঘটে।এই তীক্ষ্ণ উত্তপ্ত আলাপচারিতার পর বঙ্গবন্ধুর উপর বাদশাহ ফয়সালের সঞ্চিত ঘৃণা আরও বেশি পুঞ্জিভূত হয়েছিল এবং তাঁর হত্যাকন্ডের পর পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে বাদশাহ ফয়সালের সেই পুঞ্জিভূত ঘৃণারই অশোভন প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন ফয়সালের তৎকালীন উত্তরাধিকারী বাদশাহ খালিদ ।
বাংলা ও বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাসে এমন দৃঢ়চেতা বুক উঁচু করে তর্জনী তুলে কথাবলা দেশপ্রেমিক সিংহপুরুষ একজনই জন্ম নিয়েছিলেন।সেই উন্নতশীর মানুষটিকে যারা হত্যা করেছিল অথবা যারা তাঁর হত্যাকান্ডে উল্লসিত হয়েছিল তারা কি বুঝতে পেরেছিল তারা শুধু ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করেনি তারা হত্যা করেছিল আমাদের সার্বভৌমত্বের আইকনকে,তাঁকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের ঋজু মেরুদন্ডটিকেই তারা গুঁড়ো করে দিয়েছিল।সেই ভাঙ্গা মেরুদন্ড আজও জোড়া লাগেনি।আমরা এখন চার পায়ে হামাগুঁড়ি দিয়ে চলি।
Leave A Comment