আমার এক ভাগ্নী। বয়স পঞ্চাশোর্ধ। এই লেখায় তার নাম বিলু। দুটো ইন্দ্রিয় হীনতা নিয়ে ওর জন্ম – মুক এবং বধির। ইন্দ্রিয় প্রতিবন্ধীদেরকে নাকি বাকী ইন্দ্রিয় গুলো খুবই প্রখর হয়। কিন্তু আমার ভাগ্নীর ক্ষেত্রে তা হয়নি। জন্ম থেকেই সে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। কখনও হাসে। তবে মলিন হাসি। হয়ত বুঝে সবটা সে বুঝেনি। তাই পুরোটা হাসতে পারে না। দেশ-কাল-পাত্র, এই পৃথিবী, এবং মানুষ সমন্ধে তার কোন ধারণাই জন্মেনি। কিন্তু মাত্র গত একটি বছরে সে এই পৃথিবীর হিংস্র মানুষ সমন্ধে কিছু ধারণা লাভ করল।
প্রতিবন্ধী হলেও অসম্ভব ভাগ্য নিয়ে জন্মেছিল বিলু। সুধাংশু নামে এক অসম্ভব রকম ভাল ছেলের সাথে বিয়ে হয় বিলুর। সুধাংশু এমএ পাশ করে বেকার। কিন্তু দাঁড়াল বিলুর পাশে। বলল – “সুখে-দুঃখে আমি ওর সাথী। পৃথিবীতে কোন ভাল কাজ করার মত বিদ্যা এবং বুদ্ধি আমার নেই। কিন্তু বিলুর সমস্ত দুঃখ-বেদনা আমি ঘুচিয়ে দেব।” সংসারে যোগ হল একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। ছেলের বয়স বাইশ আর মেয়ের নয়। ছেলেটি প্রায় একবছর গা ঢাকা দিয়ে থাকল। তারপর জীবণ নিয়ে ভারতে পাড়ি দিল। সুধাংশু চেষ্টা করল দোকানটা চালু রাখতে। খেয়ে পড়ে বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
ছোট এক মফস্বল শহরে সুধাংশু একটা গিফট শপ চালায়। দারূণ চলছিল ব্যাবসাটি। ফলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নজরে বিলম্ব হয়নি। ব্যাটা ১০০% মালাউন, কাফের, বিধর্মী। বিশ্ব শান্তির দেশ, মদিনা সনদের দেশে বাস করবে এবং ব্যাবসা করবে অথচ জিজিয়া কর দিবে না, তা কি চলে? লুন্ঠন, চাপাতি, ধর্মান্তরকরণ ইত্যাদি ঈমানী দায়িত্ব পালন না করলে হবে কী করে? শুরু হলো চাঁদাবাজি, নানাবিধ উপদ্রব আর হাঙ্গামা এবং দেশ ছাড়ার হুমকি। ছেলের জীবন নাশের আশংকা সৃষ্টি হল। সুধাংশু দেখলো – সন্ত্রাসীদের মন যুগিয়ে থাকলেও প্রাণটা থাকে ওদের হাতে। ছেলেকে ভারতে পাঠিয়ে দিল। ছেলে বাড়ী আসে না। কেন আসে না, বিলু তা বুঝতে পারে না। বাংলাদেশ আকাশ-পাতাল পালটে গেছে। বিলু এসব খবর জানে না, বুঝে না। সুধাংশু বুঝাতে চেষ্টা করে। বিলু মন খারাপ করে বসে থাকে। মানুষ তার ছেলেকে কেন মারবে এটা বিলুর মাথায় কিছুতেই ঢুকে না। সুধাংশু হাতের ঈশারায় কথা বলে। রান্নাঘরের ছুড়িটা সুধাংশু নিজের গলায় ধরে দেখায় সন্ত্রাসীরা কী ভাবে তার ছেলেকে গলা কেটে মেরে ফেলবে। বিলু জানে পৃথিবীতে সুধাংশুর চেয়ে বড় ভরসা তার আর কেউ নেই। বিলু ফ্যাল ফ্যাল নয়নে তাকিয়ে থাকে। সুধাংশু ছাড়া বিলুর জীবনে আর কোন সত্য নেই। বিলু দেবতার পায়ে ফুল জল দেয়। প্রার্থনা করে। ছেলে যেন ভাল থাকে।
সুধাংশু একটা জমি কিনেছিল। স্বপ্ন ছিল তিন তলা বাড়ী বানাবে। দুটো ফ্লোর ভাড়া দেবে। একটাতে নিজেরা থাকবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হল – জমিটা চুপি চুপি আগে বিক্রী করবে। তারপর দোকানটা বিক্রী করে বিলু এবং মেয়েকে নিয়ে এক অন্ধকার রাতে পালাবে। কিন্তু সুধাংশু তা করতে পারলনা।
চুপি চুপি জমিটা ৩২ লক্ষ টাকা বিক্রী মূল্য ধার্য হল। কিন্ত এ খবর আওয়ামী লীগের কমিশনারের কানে যেতে সময় লাগল না। ডেকে পাঠিয়ে বলল – কীরে মালাউনের পুত, জমি বিক্রি করবি, তো কমিশনার জানে না কেন? মাথায় বুদ্ধি বেশী অইচে? অক্টোপাশের নাম শুনছস? সমুদ্রে থাকে। আটখানা পা। চাইরপাশের সমস্ত জিনিষ থাকে তার দখলে। আমার কয়টা জানস? পঞ্চাশটা। ঢাকা থাইক্যা খবর রাখি, নারায়নগঞ্জের খবর, মানিকগঞ্জের খবর, টাংগাইলের খবর। যা পরশুদিন রেজিষ্ট্রি দিবি এবং নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যাবি।
আওয়ামী লীগের টিকিটে এই কমিশনার জিতে। একই পার্টির অন্য নেতা “দন্ত–ন” নমিনেশন না পেয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ আছে। সুধাংশু তার তার শরনাপন্ন হলো। দন্ত-ন মূল খরিদ্দারকে ৩২ লাখ টাকা নিয়ে তার কাছে খবর পাঠিয়ে দিল। দন্ত-ন ১৫ লাখ আলাদা করে সুধাংশুর হাতে দিয়ে বললেন – এই নে ১৫ লাখ। বাকীটা থাক আমার কাছে। পরে নিস। ঐ হালার পুত তোকে ২ লাখ দিব কইছে। এক পয়সাও দিত না। আমার জন্য তুই ১৫ লাখ টাকা পেলি। এখনই রেজিস্ট্রি অফিসে যেয়ে ওকে জমিটা রেজিস্ট্রি করে দে।
সুধাংশু বলল – আমার দোকানটাও আপনে ন্যান।
নেতা – কত দাম?
সুধাংশু দামটা কমিয়েই বলল – ২০ লাখ টাকার বেশীই হবে। তবে আপনার বিবেচনায় যা হয়, তাইই দেন। দন্ত-ন রেগে গেলেন – তোর কাছে বিশ লাখ টাকাই বড়, নাকি তোর আর বৌ-পুলাপানের জীবন বড়? শালার মালাউনরা জীবন দিব, কিন্তু ট্যাকা ছাড়ব না।
পকেট থেকে পাঁচ হাজার টাকা বের করে বললেন – এই নে। এই ট্যাকা দিয়ে বর্ডার পার হবি। এইটাই তোর দোকানের দাম। পকেট থেকে আরও এক হাজার টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন – জমি রেজিস্ট্রির পরে একটা সিএনজি নিবি। বাসা থেকে বৌ-পুলাপান তুলে সোজা বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবি। ওই হারামজাদা কমিশনার যদি টের পায় যে, তোর জমির এখন আমার হাতে, ও শালা আমারে নিয়া ঝামেলা করব না। কিন্তু তোরে সতর টুকরা কইর্যা বুড়িগংগায় ফালাইয়্যা দিব। যা, এক মিনিটও দেরী করবি না কোথাও।
সুধাংশু ঘরে ঢুকেই নিজের ঠোটে আংগুল রেখে মেয়েকে ফিস্ফিসিয়ে বলল – চুপ। তারপর এক হাতে বিলুর মুখ চেপে ধরল। অন্য হাত দিয়ে নিজের গলা কাটার দৃশ্যটা বুঝিয়ে দিল। দরজার দিকটা দেখায়ে বলল – ওরা আসছে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতে। বিলু জানে না কী করতে হবে। আতংকে বিলুর মুখটা ধূসর হয়ে গেল। সুধাংশু মেয়ে এবং বিলুকে টিনে হিছড়ে ঘর থেকে বাইরে দাঁড়ানো সিএনজিতে ঢুকিয়ে দিল। বিলু আলনা থেকে কয়েকটা শাড়ি নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সুধাংশু বিলুর হাত থেকে সব কটা এক ঝামটায় মেঝেতে ফেল দিল।
তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে গেছে। রাস্তায় বিজলী বাতি জ্বলে উঠেছে। কাছে না এলে মুখ বুঝা যায় না। সেটাই সৌভাগ্য। ওদের দেখলে যে কেউ জিজ্ঞেস করত – কী ব্যাপার? কাউকে মেরে টেরে পালাচ্ছ নাকি? সুধাংশু সচকিতে দেখে নিল – কেউ দেখেনি। সিড়ি বেয়ে সবাই এক কাপড়ে এক বন্ধুর বাসায় উঠল। ওখানে আট দিন থাকল। একদিনও একটা জানালা পর্যন্ত খুললো না।
ঘটনা প্রবাহ শুনে আমার অন্তরাত্মা শুকিয়ে গিয়েছিল – এই বুঝি কমিশনারের লোকেরা সুধাংশুদেরকে ধরে ফেলেছে। বা পত্রিকাতে সুধাংশুদের লাশের খবর বেরিয়েছে। আমি প্রতিদিন সকাল-বিকাল সংবাদ নিই। প্রথমেই প্রশ্ন করতাম – সব ঠিক আছে কি? ওপাশ থেকে যখন ‘হ্যা’ সুচক শব্দটা শুনতাম, উতকন্ঠা কমত। কিন্তু দেশ না ছাড়া পর্যন্ত শান্তি ছিল না।
ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে প্রতিনিয়ত লোক যাতায়াত করে। দু-দেশের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা নাই। কিন্ত দুপাশের পুলিশের মধ্যে টাকা পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে সুসম্পর্ক আছে। এরা টাকা পায় থার্ড পার্সনের কাছ থেকে। থার্ড পার্সনরা দালাল নামে পরিচিত। সাধারণ লোকেরা এসব দালালকে টাকা দেয়। দালাল কিছু নিজে রেখে বাকিটা দুপাশের পুলিশকে দেয়। দুপাশের পুলিশেরা সেলফোনে কথা বলে সুবিধা জনক সময় দালালকে জানিয়ে দেয়। লোকজন তখন এপাশ-এপাশ যাতায়াত করে। ভারতীয় গরু এভাবেই বাংলাদেশে ঢুকে। সুধাংশু এরকম একজন দালাল খুজছে। আমি বলে দিলাম – নিশ্চিত হওয়া চাই দুপাশের পুলিশের হাতে যেন টাকা পৌছে। টাকা না পেলে সুযোগ পেলেই পুলিশ – যে পাশেরই হউক – ফেলানী করে ছাড়বে। এক একটা ফেলানী বানাবে আর দেখিয়ে দিবে পুলিশরা কত সৎ চরিত্রবান, নিষ্ঠাবান আর দায়িত্ববান। এসব পুলিশদের নাকের ডগা দিয়ে সুধাংশুদের বর্ডার ক্রস করতে হবে। এটা সমস্যা না। সমস্যা হল – কমিশনারের চরেরা যদি পিছু ধাওয়া করে বর্ডার পর্যন্ত চলে আসে। ধরা পড়লে কমিশনারের লোকেরা ওদেরকে একেবারে ফেলানী করে ফেলবে।
আজ আমার এখানে এখন সকাল। ঘড়ির কাটায় হিসেব করে আমি ভাতিজাকে ফোন করলাম। ভাতিজা সুসংবাদ দিল। আমার বুকের উপর থেকে মস্ত একটা পাথর সরে গেল।
– আপনাকে ফোন করতে যাচ্ছি তখনই আপনি ফোন করলেন। এখনই সুধাংশুরা নিরাপদ জায়গায় পৌছে গেছে।
ভাতিজার আতংকের অবসান হয়েছে। এখন আনন্দের সীমা নাই। দন্ত-ন ১৭ লাখ টাকা মেরে দিল। ওটা কোন ব্যাপার না। ভাতিজা আনন্দ প্রকাশ করে শেষ করতে পারছে না। কথার পর কথা বলে যাচ্ছে। সুধাংশুকে নিয়ে ইতিমধ্যে হাস্যরস শুরু হয়েছে, সেকথাটাও ভাতিজা বলল। সুধাংশু খুবই তৃষ্ণার্ত ছিল। ভারতে পা দিয়েই প্রচুর জল খেয়েছে। পাশ থেকে একজন বলল – ও দাদা, পশ্চিম বঙ্গে ঢুকেই সব জল তো আপনি একাই খেয়ে ফেললেন। ফারাক্কায় একফোটা জল নেই, আছে শুধু বালির স্তুপ। আপনার মত জলখাদক আর দুটো এলে পশ্চিম বংগ মরুভূমি হতে আর সময় লাগবে না, দাদা।
একটা ছবি দেওয়ার চেষ্টা করছি
বাংলাদেশ সংখ্যালঘু শূন্য হচ্ছে প্রতিদিন। সরকার এবং সাম্প্রদায়িক গুষ্টি এটাই চাচ্ছে।
ব্যাপারটি বুঝতে আমি সারা পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকাই। ১৪০০ বছর আগে থেকে
এই যাত্রা শুরু।প্রতিটি মুসলিম দেশের দিকে তাকাই। মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে থেকে ভারত,
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই। মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক, সিরিয়ায় যা কিছু সংখ্যালঘু অবশিষ্ট
ছিল তা ISIS ঠ্যালায় শেষ হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম মাত্র কয়েক দশকের ব্যাপার। রাতারাতি
উপজাতিরা সংখ্যালঘু হয়ে গেল। ভারতের সীমানার সাথে এদের অবস্থান। এরা ধীরে ধীরে
ভারতে মিশে যাচ্ছে। এদের অস্তিত্ব হয়ত দুই কি বড় জোড় তিন দশক।
আর হিন্দু? এরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সর্বত্র। একেবারে নিম্ন আয়ের হিন্দুরা সরতে পারবে না।
এদের জায়গা জমি চলে যাবে গ্রামের মাস্তানদের হাতে। বুজে যাওয়া পুকুরের ছোট মাছগুলো যেমন
কোথাও যেতে পারেনা, জলের অভাবে মারা যায়, এদের অবস্থাও তাই হতে চলেছে।
আমার আশে পাশের অনেক গুলো গ্রাম হিন্দু শূণ্য হয়ে গেছে। এদের অনেকেই ভারতে চলে গেছে,
যারা যেতে পারেনি তারা অন্য হিন্দু গ্রামকে নিরাপদ মনে করে সেখানে বসতি স্থাপন করছে। কতদিন
এভাবে পালিয়ে ”
২০০১ সালে পশ্চিম বঙ্গে গিয়ে দেখা হয়েছিল পূর্ব পরিচিত কয়েক জনের সাথে। (চেষ্টা করছি একটা ছবি যোগ করতে)
যেখানে সেকুলার মুসলমানদেরই ভয়ে থাকতে হয়,সেখানে হিন্দুরা তো কোন্ ছাড়। নষ্টের দখলে আজ দেশের উচু পদগুলো , সুধাংশু বাঁচবে কিভাবে এখানে ?
এরপর ও কি সুধাংশু হবার ভয় করবে না ওরা।তাই রাতের আধারে পথ দ্যাখে ওরা!কত দিন দেখবে?
সরকার প্রধানের আশীর্বাদ পুষ্ট একটি বহুল-আলোচিত পরিবারের এমপি মহোদয় ধর্ম-অবমাননার অভিযোগ এনে সম্প্রতি একজন হিন্দু প্রধান শিক্ষককে কানে ধরিয়ে উঠবস করিয়েছেন। ভিডিওটি দেখে একজন মানুষের এমন অপমানে আবেগ চেপে রাখা কঠিন হয়ে যায়। একজন শিক্ষক, কিংবা যেকোনো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কখনই এই শাস্তি পেতে পারেন না। একজন এমপি কি করে এত ক্ষমতাধর হতে পারেন? বিচার করা, শাস্তি দেয়া কি তার কাজ? শ্যামল কান্তি ভক্ত নয়, কান ধরে উঠবস করেছে বাংলাদেশ, উঠবস করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পেছন দিকে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এই পশ্চাতগামীতা, এই অধঃপতনের কলঙ্ক আমাদের সবার।
Dear Manzur Morshed, wonderfully said…I am going to archive your comment for posterity ( tears in my eyes now for this—- “এই পশ্চাতগামীতা, এই অধঃপতনের কলঙ্ক আমাদের সবার”।)
যে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার হিম্মত রাখে না, তার দ্বারা যে হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় তা বলাই বাহু্ল্য। যেখানে সেকুলার মুসলমানদেরই ভয়ে থাকতে হয়,সেখানে হিন্দুরা তো কোন্ ছাড়। সমস্ত আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকাই যাদের একমাত্র লক্ষ্য, হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়া তাদের কাজ নয়।
শুধাংশুদের তবুও যাবার যায়গা আছে, প্রাণ নিয়ে বংশ রক্ষা করতে পারছে হয়ত অন্তত। কিন্ত আজাদ রহমান এরা তো যাবার যায়গাও পাবে না। এ দানব না ঠেকাতে পারলে কারো রেহাই নেই…
ওহ মাই ডগ!!
সুধাংশু দের জন্মই যেন আজন্ম পাপ। বিলুর মত ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছি আমরা সবাই। ছিঃ!
হৃদয় বিদারক। হত্যার হুমকি, মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে পাওয়া সত্যি অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা। পরিবারের প্রিয়জনকে জানানো যায় না তাদেরকে আতঙ্কিত করে তুলবে বলে, নিজেকে রাখতে হয় আড়াল করে।
সুধাংশু দা সব কিছুর উপরে বেঁচে থাকা। বাংলাদেশে মৌলবাদ আর আওয়ামীবাদ মিলে মিশে একাকার। এখন শুনছি দেশরত্নের আঁচল তলে শফি হুজুরকেও নাকি আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটা হলে আর কি বাকী থাকবে?
🙁
বাংলাদেশের সুধাংশু’রা যদি ঘুরে না দাঁড়ায়, রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের সমস্যার সমাধান না করে, নৌকায় চড়লে নিরাপদভাবে দেশে থাকতে পারবে এমন চিন্তা বাদ না দেয়; তাহলে বাংলাদেশ কয়েক দশকের মধ্যে সুধাংশু শূন্য হয়ে পড়বে।
ঘুরে দাঁড়াতে চাইলেই তো কিমা হতে হবে আওয়ামী কিমালীগের হাতে।
ঘুরে দাঁড়ানোটা কিভাবে সম্ভব? সমাজে যখন প্রবল ইসলামীকরণ চলছে তখন প্রতিবাদ করলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কতজনকে পাশে পাওয়া যাবে।
হিন্দু ধর্মের প্রায় সমস্ত প্রথাই ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। ইসলাম ধর্মের প্রসার যত বেশি হবে অন্য সংখ্যালঘুরদের অবস্থান ততই সংগিন হবে। অন্তত ইসলামিক দেশগুলোর ইতিহাস তাই বলে।
হয়ত ইতিহাসের ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারায় একদিন দেশেও একটা কিছু হবে( ইসলামের সংস্কার ছাড়া?) কিন্তু তখন সংখ্যালঘু খুঁজতে মাইক্রোস্কোপ লাগবে কিনা কে জানে।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপষকতা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয়। তা না হলে যেতে হবে বিপ্লবের পথে। সে আবার রক্তপাতবিহীন নয়। আর
lockquote>তাহলে বাংলাদেশ কয়েক দশকের মধ্যে সুধাংশু শূন্য হয়ে পড়বে। পরিসংখ্যান ( আদম শুমারী) তাই বলে। দিন দিন দেশ সুধাংশু শুন্য হচ্ছে। গ্রামে গেলে সুধাংশুদের দেশ ছাড়া দেখতে গবেষণা লাগে না।