বিকালে আমি মিথ্যা কথা বলি।
এজন্য কোনো দু:খবোধ নেই। কারণ বিকেলে আমি রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য দেই। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে এক কিলোমিটার রাস্তায় এক ঘণ্টা ধরে যে কয়েক হাজার মানুষ চেহারায় প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে বসে থাকে তাদের সামনে ভিআইপিদের রোড ব্লক করার রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক বক্তব্য দেই।
মিথ্যে কথা এরপর আরো আনন্দের সাথে বলি। পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে পুলিশের নিপীড়ণ শঙ্কায় প্রতিবেশীদের তড়িঘড়ি ঘরে ফেরা দেখে বিদ্রুপ করি। তারা যখন অধিক রাত পর্যন্ত বাইরে না থাকার জন্য ছলছলে চোখে অনুরোধ করে তখন আমি পুলিশের পক্ষে বিশাল এক লেকচার দেই। কত টাকা বেতন, কত হতদরিদ্র তাদের ডরমেটরী, কত পোকা তাদের খাবারে থাকে তার হুমায়ূনী বর্ণনায়।
রাত হলে আমার মিথ্যা কথায় বিপ্লব ঘটে যায়। শহরের মেয়রী লাইটগুলো রঙিন হতে হতে ধুয়া উড়াতে শুরু করলে আমি নিজের কাছেও মিথ্যা কথা বলতে শুরু করি। এই যে মানুষের জন্য আমার মানবতা…এটা তো পরিহাস্যময় নয়! আমি আসলে যাই করি না কেনো মানবতা আমার ঠিকঠাক! অ্যাবসলিউটলি মানবতা…ওদেরকে তাদেরকে এবং উহাদেরকে…আমি এবং আমিই ই ই ই করছি।
শুধু সকালটা আমার পছন্দ হয় না। একটা মিথ্যে সকাল হলে ভালো হতো। ঘর থেকে বের হবার সময়ে যে আমার এখন ভাবতে হয় পুলিশী ইয়াবার ভয়ে কি শার্টপ্যান্টের পকেট ফেলে দেবো? আন্ডারওয়ার পরবো না?
আমাদের দেশে পুলিশই হচ্ছে বর্তমানে বড় সন্ত্রাসী।
ফেইসবুকে পোস্টিং মনে হলো যে!
শুরু না হয়েই লেখা শেষ!
কিছু যদি নাও পড়েন তবুও কি রক্ষে হবে???
খবরে দেখেন না; মলদ্বারের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার!!!
তেমন যদি কিছু করে বসে :/
তখন আমাদের কি হপে 🙁
ভিআইপি প্রটোকলের দোহাই দিয়েই বলুন আর যাই বলুন না কেনো এখন আর কেবল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের মধ্যেই ট্রাফিক জ্যাম সীমাবদ্ধ নেই। ট্রাফিক জ্যাম পুরো ঢাকাকেই ঢেকে ফেলেছে। আর প্রায় প্রতিটি পাবলিক যানবাহনই হয়ে উঠছে যেনো এক একটা রাজনৈতিক মঞ্চ। যেখানেই সকলেই কখনো বক্তা আবার কখনো শ্রোতা।
পকেট থাকবে কিন্তু নিচে সেলাই থাকবে না যাতে করে মায়া বড়ি-ইয়াবা কিছুই আটকে না থেকে পড়ে যেতে পারে । হায়রে পুলিশ!!!!!!!!!!!!
গহীন অরণ্য
সন্ত্রাসবাদী, চোর-ডাকাতের ভয়ে, গেলাম পুলিশ মামার কাছে, মামা মারল ডাণ্ডা, হয়ে গেলাম ঠাণ্ডা।
বাংলাদেশের মতো দেশের পুলিশ যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।
“মাছের রাজা ইলিশ,
দেশের রাজা পুলিশ” :yahoo:
ভাই শোনেননি কথাটা? :yahoo:
বাস্তবতা এমন দাড়িয়েছে যে সন্ত্রাসী ও পুলিশ দুই পক্ষই একই, সন্ত্রাসীদের থেকে যেমন তফাৎ চলি, তেমনি শুরু হয়েছে পুলিশ হতে তফাৎ থাকা। তা না হলে পুলিশই আপনাকে সন্ত্রাসী, ইয়াবা খোর/ব্যবসায়ী বানিয়ে দিবে।
লেখাতে কি পেলাম?
তা’হলে পুলিশ কি নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে উৎপাত, চাঁদাবাজি, অত্যাচার আর গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে? ধিক। রক্ষক যখন ভক্ষক তখন নাগরিক কি স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে দল বেঁধে নিজেদের রক্ষা নিজেরাই করবে নাকি? পুলিশ কি নাগরিকের বন্ধু নয় মোটেও?
কৌশিক আহমেদের লেখা আগ্রহ করে পড়তে শুরু করবার আগেই দেখি শেষ ! এইটা কেমন হলো?
এইটাতো কবিতা হইছে। সিরিজ কইরা ফালান