পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সংবাদের ভিত্তিতে ভিন্ন সম্প্রদায়ের উপর হামলার রিপোর্টগুলো করা। হামলা, হত্যার ঘটনার পাশাপাশি জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মতন ঘটনাও সংগঠিত হয়েছে। সংবাদের বাহিরে কতোগুলো অপ্রকাশিত কিংবা অজানা ঘটনা ঘটেছে তা আমরা কেউ জানি না।
মার্চ ২০১৫ মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর হামলার রির্পোট
মার্চ মাসে মোট হামলার সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে জমি দখলের ঘটনা ৯টি, ধর্মান্তকরণ ও অপহরণের সংখ্যা ২টি, মন্দিরে হামলার সংখ্যা ২টি। এছাড়া মহিলা পুরুষসহ আহতের সংখ্যা ৮০ জন।
ঘটনা ১
স্থান বাগেরহাট
বিভিন্ন নির্যাতনে দেশত্যাগ ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ডা. গৌর চন্দ্র পাল, ২০০৪ সালে গৃহশিক্ষক পরিমল পাল, ২০০৬ সালে রতন কুমার পাল, পরের বছর বকো পাল এবং অসীম পাল পরিবারসহ দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। বাগেরহাট পৌরসভাধীন মালো পাড়া থেকে স্বাধীনতার পর প্রায় ৮০টি পরিবার পর্যায়ক্রমে ভারতে চলে যায়। এছাড়া জেলার কচুয়া, ফকিরহাট, মোড়েলগঞ্জ এবং চিতলমারী উপজেলার পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর সীমান্তঘেষা হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক সম্পত্তি দখল করে ইট ভাটা করেছে চিতলমারী এলাকার আওয়ামী লীগ দলীয় একটি বিশেষ মহল।
-দৈনিক সংবাদ-১ মার্চ, ২০১৫
ঘটনা ২
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
টঙ্গী, গাজীপুর বিষ্ণু মুর্তি উদ্ধার
১টি কষ্টি পাথরের একটি বিষ্ণু মুর্তি উদ্ধার করেছে র্যাব, প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার।
-দৈনিক ইনকিলাব, ২ মার্চ, ২০ ১৫
ঘটনা ৩
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
জলঢাকা, নীলফামারী সম্পত্তি দখল
বসতভিটা ও আবাদী জমির অবৈধ দখলকারীদের হুমকিতে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে পথেপথে দিন কাটাচ্ছে লক্ষণ চন্দ্র বর্মণ।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ২ মার্চ, ২০ ১৫
ঘটনা ৪
সমগ্র দেশব্যাপী বসতবাড়ি, প্রতিমা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট
আহত ৩৩ জন নারী, ক্ষতিগ্রস্থ ১৪৪পরিবার, ৯টি প্রতিমা ভাংচুর
৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় ১৪৪টি পরিবার, ৯টি প্রতিমায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর এবং লুটপাট হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬৩
-সংবাদ, ৪ মার্চ, ২০ ১৫
ঘটনা ৫
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
জেলা দিনাজপুর, উপজেলা-খানসামা, ইউনিয়ন-ভেড়ভেড়ি
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় একটি কালীমূর্তিতে ভাংচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে।
-সংবাদ, ৫ মার্চ ২০১৫
ঘটনা ৬
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
হবিগঞ্জ, মাধবপুর, শাহজাহানপুরে জমি দখলের চেষ্টা
উৎসব কমিটির সেক্রেটারি দিলীপ পাল প্রতারণা করে ১০০ শতক উৎসবের জায়গা নিজ নামে দখলের চেষ্টা করে।
-ভোরের কাগজ, ৯ মার্চ, ২০ ১৫
ঘটনা ৭
৪ মার্চ, ২০১৫
বারহাট্টা, নেত্রকোনা অপহরণ
বারহাট্টা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির হিন্দু ছাত্রী স্কুল শিক্ষক কর্তৃক অপহৃত।
-বিডব্লিউএমডব্লিউ
ঘটনা ৮
৭ মার্চ, ২০ ১৫
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মূর্তি চুরি
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় একটি গাভী মূর্তি চুরি হয়।
-সংবাদ, ১২ মার্চ ২০১৫
ঘটনা ৯
১০ মার্চ, ২০১৫
শ্যামনগর উপজেলা, সাতক্ষীরা বাড়ি দখল
নিমাই চন্দ্র বিশ্বাসের ঘরবাড়ি সুশীলন বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।
-দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ মার্চ, ২০১৫
ঘটনা ১০
১৪ মার্চ, ২০১৫
গ্রাম- সিংড়া বাউনিয়া, উপজেলা- পাথরঘাটা, জেলা- বরগুনা অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণ
লেমুয়া ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নরত হিন্দু তরুণী ১৪ মার্চ ২০১৫ পিতার সাথে মটরসাইকের যোগে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত এবং পরে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত।
– বিডব্লিউএমডব্লিউ
ঘটনা ১১
১১ মার্চ, ২০১৫
ময়মনসিংহ সদর মন্দিরের জমি দখল
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ বাজারে শতবর্ষের দুর্গাবাড়ী মন্দিরের জমি দখল করেছে এক যুবলীগ নেতা। স্থানীয় মিজান, কামাল এবং হাবিবসহ তাদের সহযোগীরা এসে ঐ জমির মালিকানা দাবি করে।
-কালের কণ্ঠ, ১৪ মার্চ ২০১৫
ঘটনা ১২
২১ মার্চ, ২০১৫
বিজয়নগর, পিরোজপুরে তিনটি বাড়ি দখল
৫ বছর আগে সন্তোষ পারিবারিক প্রয়োজনে নাসির মৃধার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদ নেয়। সুদেআসলে সেই টাকা ফেরৎ দিতে অপারগতায় সন্তোষসহ তিন সহোদরের বাড়ি দখল করে নেয় এবং দুইজন ইতিমধ্যে ভারতে চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ তার বসতবাড়িতে ১০লাখ টাকার মালামাল ছিল।
-দৈনিক সংবাদ, ২২ মার্চ, ২০১৫
ঘটনা ১৩
(তারিখ অজ্ঞাত)
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় শ্মশানঘাট বেদখল
স্থানীয় প্রভাবশালী ভাটপাড়া এলাকার আরজান আলী ও তার ছেলেরা শত বছরের পুরানো শ্মশানঘাট দখল করে নিয়েছে।
-আমাদের সময়, ২৭ মার্চ ২০১৫
ঘটনা ১৪
১৩ মার্চ, ২০১৫
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন, চন্দনতলা গ্রামে ১৪টি পরিবারের বাড়ি দখল
স্থানীয় বিএনপি নোত আঃ রশিদ আকন, আওয়ামী লীগ নেতা আঃ ছালাম ও যুবলীগ নেতা জাকির সরদার এই তিন নেতার যোগসাজসে বসতবাড়িসহ ৪০ একর জমি দখল করে নেয়।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৯ মার্চ, ২০১৫
ঘটনা ১৫
২৭ মার্চ, ২০১৫
যশোর কেশবপুরে বাড়ি দখলের চেষ্টা
যশোরের কেশবপুরে দুই জামায়াত নেতা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক হিন্দু পরিবারের বসতবাড়ি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে হামলা, মামলা, অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ট করে তুলেছে, পরিবারটি আত্মহননের ঘোষণা দিয়েছে।
-দৈনিক সংবাদ, ২৯ মার্চ, ২০১৫
ঘটনা ১৬
৩০ মার্চ, ২০১৫
মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় হিন্দু বাড়িতে হামলা
পূর্বশত্রুতার জের ধরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পিংরাইল গ্রামের শম্ভুনাথ মল্লিকের বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এতে আহত হয় মহিলাসহ ৫জন।
-সংবাদ, ৩১ মার্চ, ২০১৫
ঘটনা ১৭
৩০ মার্চ, ২০১৫
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রাজনগর কনকেষ্টি গ্রামে পূজা চলাকালে মন্দিরে হামলা
বাসন্তী পূজা চলাকালে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল বখাটে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করে এবং তাদের বাধা দিতে গিয়ে ৩ নারীসহ আহত হয়েছে ১২জন।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ৩১ মার্চ, ২০১৫
এপ্রিল ২০১৫ মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর হামলার রিপোর্ট
মোট হামলার সংখ্যা ১০ টি। এর মধ্যে মহিলাদের শ্লীলতাহানি ঘটনা ১টি, ধর্মাান্তরকরণের সংখ্যা ১টি, বাড়ি-দোকান-মন্দিরে হামলা ও লুটের সংখ্যা- ৫টি, দখল ১টি, আহত ১০ জন এবং খুন হোন ২ জন।
ঘটনা ১
৩০ মার্চ, ২০১৫
রাজধানীর মোঃপুর থানা ইকবাল রোড় বাসায় ঢুকে খুন এবং আহত ৩ জন
শেয়ার ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড়ের একটি বাড়িতে ঢুকে বিআরটিএ কর্মকর্তা সিতাংশু শেখর বিশ্বাসসহ ২ মেয়েকে আহত এবং তার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা।
-ভোরের কাগজ, ইনকিলাব, আমাদের সময়, ১ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ২
৩১ মার্চ, ২০১৫
চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীর আকবর শাহ থানা
অপহরণের পর হত্যা
দুপুরে মাকে ভাত দিতে বলে পুকুরে গেলে নিখোঁজ হয় সুমিত দত্ত এবং ২দিন পর নির্মাণাধীন মন্দিরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
-কালের কন্ঠ, ২ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ৩
৫ এপ্রিল, ২০১৫
সাতক্ষীরা, আশাশুনি উপজেলা, শ্রীউলা ইউনিয়নে প্রতিমা ভাঙচুর
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের একটি মন্দিরে ঢুকে ৩টি প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ৫ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ৪
১২ এপ্রিল, ২০১৫
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া পৌরশহর প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়ী ভাঙচুর ও লুট
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লার কালীবাড়ি মন্দিরে ৭-৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনী।
-কালের কণ্ঠ, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ৫
১৪ এপ্রিল, ২০১৫
নীলফামারী জেলা, ডিমলা উপজেলায় মন্দিরে আগুন
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানি মন্দিরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
-যুগান্তর, জনকন্ঠ, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ৬
১৪ এপ্রিল, ২০১৫
সাতক্ষীরা জেলা বাড়িতে হামলা
সাতক্ষীরা জেলা সদরের ভোমরা দাসপাড়ার একটি বাড়ীর ৭ জনকে বেঁধে নির্যাতন।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ৭
১৭ এপ্রিল, ২০১৫
গ্রাম- হাজিপুর, উপজেলা- কুল্উাড়া, মৌলভীবাজারে অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় হাজীপুর গ্রামে হিন্দু নাবালিকা তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গত ১৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯ টায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর তার জাল জন্মনিবন্ধন সনদপত্র তৈরি করে গত ১৯ এপ্রিল নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তার নতুন নাম দেওয়া হয় মোছাঃ সাবিনা আক্তার। গত ২০ এপ্রিল আরেকটি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে অপহরণকারীর সাথে তার বিবাহ দেখানো হয়।
– thebdtimes24.com, Sunday, May 17, 2015
ঘটনা ৮
তারিখ অজ্ঞাত
ঢাকা জেলা নবাবগঞ্জ থানায় বাড়ি ও দোকান দখল
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন বাজারের একটি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের বাড়ি ও দোকান দখল।
-আমাদের সময়, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ৯
১৯ এপ্রিল, ২০১৫
গাজীপুর জেলা, জয়দেবপুর উপজেলার বনগ্রাম মন্দির, বাড়ি ও দোকানে হামলা ও লুট
গাজীপুর জেলা, জয়দেবপুর উপজেলার বনগ্রামে ৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ২৫টি বাড়ি ও ৫টি দোকানে হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় ৬ জন।
-দৈনিক জনকণ্ঠ, যুগান্তর, সংবাদ, ২১ এপ্রিল, ২০১৫
ঘটনা ১০
৮ ও ১১ এপ্রিল, ২০১৫
বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ি ইউনিয়নের কাঠাদুরা গ্রামে বাড়ী দখল, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ
বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার আটজুড়ি ইউনিয়নের কাঠাদুরা গ্রামে সুধন্য কুমার বিশ্বাস এর বসত বাড়ী দখলের চেষ্টা।
-সংবাদ, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫
মে ২০১৫ মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর হামলার রিপোর্ট
মোট হামলার সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে একজন আদিবাসী নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, ৩ জন নারীকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের পর খুন। অপহরণ করা হয় একজনকে। দখল করা হয় ২টি বাড়ি। এছাড়া ৬ বার হামলার চালিয়ে ১০টির বেশি পরিবার’কে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়।
বাংলাদেশে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি অভাগা। যাদের ঘটনা কোন বিশ্ব মিডিয়া প্রচার করে না। যারা রাতের অন্ধকারে প্রাণ ভয়ে দেশ ত্যাগ করলেও ভিন্ন রাষ্ট্রে অন্যদের মতন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ হয় না।
ঘটনা ১
৩০ এপ্রিল, ২০১৫
স্থান-আকবরপুর, পত্নীতলা, নওগাঁ
হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর গ্রামের ওরাঁও সম্প্রদায়ভুক্ত আদিবাসী পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও তাদের বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এতে ঐ পল্লীর ৮টি আদিবাসী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
-দৈনিক জনকন্ঠ, ইত্তেফাক, ৩ মে ২০১৫
ঘটনা ২
৩০ এপ্রিল, ২০১৫
স্থান-মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
মুক্তাগাছার শালবন অধ্যুষিত নালিখালী গ্রামে জমির ধান কেটে নিতে বাধা দেয়ায় এক আদিবাসী গারো পরিবারের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে আহত ও এক আদিবাসী নারীর শ্লীলতাহানি করে। আহত হয় ৪ জন।
-দৈনিক সংবাদ, ৩ মে, ২০১৫
ঘটনা ৩
৩ মে, ২০১৫
স্থান- কাপ্তাই, রাঙামাটি
আদিবাসী নারী ধর্ষণ
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে এক আদিবাসী নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গী অন্য এক নারীকেও লাঞ্ছিত করা হয়। আহত হয় ২ জন।
-দৈনিক সমকাল, ৫ মে, ২০১৫
ঘটনা ৪
১ মে, ২০১৫
স্থান-নাদপাড়া, শৈলকুপা, ঝিনাইদহে চাঁদাবাজি
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার নাদপাড়া গ্রামের সমরেন মন্ডল ও বিপুল মন্ডল সংসারের প্রয়োজনে ১২ কাঠা জমি বিক্রি করেন। এর পর থেকে পার্শ্ববর্তী আউশিয়া গ্রামের একদল সন্ত্রাসী চাঁদা দাবী করে আসছিল। সেই সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির ভয়ে দুই ভাই পরিবার- পরিজন নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
– দৈনিক ইত্তেফাক, ৬ মে, ২০১৫
ঘটনা ৫
৮ মে ২০১৫
স্থান-৩নং বড়নাল ইউনিয়ন, মাটিরাঙ্গা, খাগড়াছড়ি
১টি মূর্তি চুরি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৩নং বড়নাল ইউনিয়নে তাককোয়া বৌদ্ধ বিহারে ৪ টি বুদ্ধমূর্তি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
-দৈনিক সংবাদ, ১০ মে ২০১৫
ঘটনা ৬
৯ মে ২০১৫
স্থান-মহাদেবপুর, নওগাঁ
আদিবাসীর ঘরে অগ্নিসংযোগ
নওগাঁর মহাদেবপুরে একটি আদিবাসী পল্লীর ঘর-বাড়িসহ খড়েরে পালা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে মাদকসেবনকারীরা। এ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
-ভোরের কাগজ, ১২ মে ২০১৫
ঘটনা ৭
তারিখ অজ্ঞাত
স্থান-যশোর বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ
যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা খ্রিষ্টানপাড়ায় ৭-৮ টি ঋষি সম্প্রদায়কে বাড়ি-ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাবার হুমকি দিয়েছে প্রতিবেশী আইনজীবী আবুল কালামসহ তার পরিবার।
-দৈনিক যুগান্তর ১২ মে ২০১৫
ঘটনা ৮
তারিখ অজ্ঞাত
স্থান-যশোর ঋষি সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করতে নির্যাতন
যশোরের খোলাডাঙ্গা খ্রিষ্টানপাড়া থেকে ঋষি সম্প্রদায়কে উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওই এলাকারই এক এডভোকেট আবুল কালাম ঋষি সম্প্রদায়কে বাড়ি ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি প্রদান করে আসছে।
-দৈনিক সংবাদ, ১৩ মে, ২০১৫
ঘটনা ৯
তারিখ অজ্ঞাত
কালকিনী, মাদারীপুর নিখোঁজ হিন্দু যুবকের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ
মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে নিখোঁজ নগেন্দ্র নাথ মন্ডলের বসতবাড়ি দখল করে নিয়েছে পার্শ্ববর্তী এস্কান্দার আলী হাওলাদার। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে।
-দৈনিক সংবাদ, ১৩ মে, ২০১৫
ঘটনা ১০
তারিখ অজ্ঞাত
স্থান-শাহজাহানপুর, বগুড়া
পালপাড়ায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী মোরশেদ আলম
সংখ্যালঘু শতাধিক পাল পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোরশেদ আলম প্রায় এক যুগ ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। এলাকার মধ্যে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সেখানে মাদক ব্যবসা শুরু করে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হলেও কোন কাজ হয়নি।
-প্রথম আলো, ১৬ মে, ২০১৫
ঘটনা ১১
১৫ মে, ২০১৫
আত্রাই, নওগাঁ সংখ্যালঘু গৃহবধূকে অমানুসিক নির্যাতন
নওগাঁর আত্রাইয়ে স্বামী আব্দুল মালেকের সাথে সংখ্যালঘু গৃহবধূ পলির অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে পলিকে ব্লেড ও চাকু দিয়ে স্তনসহ বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতবিক্ষত করে নির্যাতন চালায় মালেকের স্ত্রী লাকি বেগম।
-জনকণ্ঠ, ১৭ মে, ২০১৫
ঘটনা ১২
১৫ মে, ২০১৫
স্থান-গ্রাম- রামেশ্বর, উপে জলা – মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ
ধর্ষণের পর হত্যা
হবিগঞ্জের মাধবপূরের পল্লী রামেশ্বরের শিল্পীরানী দাস (১৮) এর মৃতদেহ বাড়ির পাশের ঢেড়শ ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্নসহ ধর্ষণের আলামত ছিল।
-জনকণ্ঠ, ১৮ মে, ২০১৫
ঘটনা ১৩
তারিখ অজ্ঞাত
স্থান-ভুড়–ঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
৪ বাড়ির প্রতিমা ভাঙ্চুর, অলঙ্কার লুট
কুড়িগ্রামের ভুড়–ঙ্গামারী উপজেলার নলেয়া গ্রামের ৪টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে মুর্তি ভাঙ্চুর করে এবং মুর্তির সাথে থাকা সকল স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
-সংবাদ, ১৮ মে, ২০১৫
ঘটনা ১৪
১৪ মে, ২০১৫
স্থান-আলিয়াবাদ, ফরিদপুর
মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার পূর্ব আলিয়াবাদ গ্রামের পাটপাশা সার্বজনীন কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
-সংবাদ, ১৮ মে, ২০১৫
ঘটনা ১৫
২১ মে, ২০১৫
স্থান-সিংজুরি, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
মন্দিরে ভাঙচুর, ইউপ সদস্য গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার, সিংজুড়ি গ্রামে সার্বজনীন কালীমন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আক্কাস আলী ও তার ছেলে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-প্রথম আলো, জনকন্ঠ, ২৩ মে, ২০১৫
ঘটনা ১৬
২১ মে, ২০১৫
স্থান-কুড়িল, ঢাকা
গারো তরুণীকে গণধর্ষণ
রাজধানীর কুড়িল এলাকা থেকে এক গারো তরুণীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ভাটারা এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
-সমকাল, জনকন্ঠ, ২৩ মে, ২০১৫
ঘটনা ১৭
২ মে, ২০১৫
গ্রাম- উত্তর চৌদ্দশত, কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ
এক ছাত্রীকে অপহরণ
কিশোরগঞ্জের বিন্নাদি মজিদ মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর হিন্দু ছাত্রী মায়ের সাথে মাসির বাড়ি হতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে অপহৃত।
-২ জুন, ২০১৫
জুন ২০১৫ মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর হামলার রিপোর্ট
পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে বলা যায় গত ছয় মাসে সংখ্যালঘুদের উপর কম হামলা হয়েছে জুন মাসে। জুন মাসে মোট হামলা হয় ছয় টি। কথাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই; সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হওয়ার সংবাদগুলোর ভিত্তিতেই রিপোর্টগুলো করা হয়। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘটে যাওয়া অনেক সংবাদ বেশির ভাগ সময় পত্রিকায় আসে না। তাই প্রকাশিত হামলাগুলোর বাহিরেও অসংখ্য হামলার ঘটনা আমাদের অজানা থেকে যায়! ছয়টি ঘটনার মধ্যে দুইটি ঘটনা ধষর্ণের পর জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা ১
২৯ মে, ২০১৫
স্থান-মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর শহরের পয়ারকান্দি এলাকায় একটি হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারায় বাড়ি ঘরে হামলা করা হয়েছে।
-সংবাদ ৪ জুন, ২০১৫
ঘটনা ২
৩ জুন, ২০১৫
স্থান-চৌগাছা পৌর এলাকা, যশোর
ইন্টারনেটে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র প্রকাশ, গৃহবধূর আত্মহত্যা
দলিত গৃহবধূকে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সিডি ও ইন্টারনেটে প্রচার করে চৌগাছা পৌর এলাকার জামাত আলীর ছেলে রানা, লোকলজ্জার ভয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা।
– দৈনিক জনকন্ঠ, ৫ জুন, ২০১৫
ঘটনা ৩
নির্দিষ্ট তারিখের উল্লেখ নেই,
স্থান-শালিখা, মাগুরা
৫ সংখ্যালঘু পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা
উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের ৫টি সংখ্যালঘু পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বাড়ি ঘরে হামলা, অগ্নি সংযোগও করা হয়েছে। দুইমাসে চারবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।
-দৈনিক ইত্তেফাক, ৯ জুন, ২০১৫
ঘটনা ৪
৫ জুন, ২০১৫
গ্রাম- তেঘরিয়া, ইউনিয়ন – গৌরিপুর, উপজেলা – বালাগঞ্জ, জেলা – সিলেটঅপহরণের পর ধর্ষণ, ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা
অপর্ণা রাণী দাস (১৪) কে রাতের অন্ধকারে ঘরের পেঠন থেকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ এবং ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা। এ ঘটনার প্রতিবাদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
-যুগান্তর, ২৪ জুন ২০১৫ এবং শারি’র অনুসন্ধান
ঘটনা ৫
১৪ জুন, ২০১৫
গ্রাম- হারাতলী, ইউনিয়ন – চতুলবাজার, উপজেলা- কানাইঘাট, জেলা – সিলেট
অপহরণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ
গত ১৪ জুন, ২০১৫ গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী সোমা রানী দাস (১৭) কে কলেজে যাওয়ার পথে অপহরণ এবং ২৩ জুন জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ।
-দৈনিক সিলেটের ডাক, ২৪ জুন ২০১৫ এবং শারি’র অনুসন্ধান
ঘটনা ৬
২৫ জুন, ২০১৫
গ্রাম- শিশিরচালা, থানা – জয়দেবপুর, জেলা- গাজীপুর।
অপহরণ
বাগের বাজার হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির হিন্দু ছাত্রী ২৫ জুন ২০১৫ সন্ধ্যায় মাজার রোড থেকে মাইক্রোবাস যোগে সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত।
-BDMW
হ্যা এটা ঠিক একদিন মানুষ সবধর্ম বাদ দিয়ে কেবল মানবধর্ম প্রতিষ্ঠা করবে বিশ্বে, হয়তো আমরা দেখবো না, আমাদের প্রজন্মের সন্তানরা দেখবে
একদিন মানুষ সবধর্ম বাদ দিয়ে কেবল মানবধর্ম প্রতিষ্ঠা করবে বিশ্বে, হয়তো আমরা দেখবো না, আমাদের প্রজন্মের সন্তানরা দেখবে
@মুক্তমনার কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন
আমি মনে করি মুক্তমনার প্রতিটি পোস্টের মতন প্রতিটি কমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অপ্রাসঙ্গিক, অহেতুক বক্তব্য যাতে কোন পোস্টে না হয় তার দিকে খেয়াল রাখা উচিত বলে মনে করি। “মুক্তমনা” অন্য ব্লগগুলোর মতন না যেখানে হাজারো ফালতু অপ্রাসঙ্গিক কমেন্টে পোস্টগুলো মাছের বাজার হয়। তাই এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের দেশের সংসদে “মানব ধর্ম” (মানুষ হিসেবে আমদের সবার যে বৈশিস্ট্য) কে ধর্ম হিসেবে পাশ করা উচিত। ভারতে এর প্রচলন আছে।
লেখককে তার লেখার জন্য ধন্যবাদ। তিনি যেভাবে তথ্য ও সংখ্যা দিয়ে ঘটনাগুলি উপ্সথিত করেছেন পাঠক হিসাবে বলতে পারি, এটা একটা খুব উচ্চ স্তরের সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে। পৃথিবীর ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ মানুষ ধর্মের উপর সরাসরি বাঃ পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল বা ধর্ম মেনে চলে। খুব নগণ্য সংখ্যক মানুষ ধর্ম মানেনা। তাদের নাস্তিক হিসাবে গ্ন্য করা হয়। সুতরাং যারা ধর্ম মানে বা ধর্মের আচারাচ্রন মেনে চলে তারা সংখ্যায় অধিক। তাদের মধ্যে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোক আছে। বিশ্বে কয়েকটি ধর্মের মধ্যে হিন্দু ধর্ম, ইসলামধর্ম, বৌদ্ধধর্ম এবং খৃষ্ঠানধর্মে বেশী সংখ্যক মানুষ অনুগামী। তারমধ্যে ইসলামধর্মের অনুগামী মুসলমানেরা অত্যোধিকভাবে কট্টর মৌলবাদী। এদের অধিকাংশ ধর্মের ভিত্তিতে দেশ শাসন ও পরিচালনা করতে চায়। ইসলামের সূচনা থেকে দেখা যায় যে, ইস্লামধ্রমের বিস্তারের জন্য মুসলমানরা বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ প্রক্রিয়াকে বেশী প্রাধ্ন্য দিয়েছে। সেই ট্রডিশান সমানে বহে চলেছে আজও।ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্থান ও বর্তমান বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়া চলছে। অতীতে এরজন্য বাদশা, সুলতান ও নবাব প্রভৃতি শাসকগোষ্ঠীরা পরোক্ষ বাঃ প্রত্যক্ষোভাবে মদত দিত, ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করে। অতীতে বৌদ্ধের (উপর বেশী) এবং হিন্দুদের উপর অত্যাচার হত। স্বাধীনতা উত্ত্রযুগ থেকে বর্তমান অবধি সেই ধারা শাসক দলের মদতে অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে। ভারত স্বাধীনতার সময়, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্থানে হিন্দু ও আন্যান্য অমুসলিম জনসংখ্যা ৪০% এর উপর ছিল। তখন পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন, অত্যাচার ও দাঙ্গা করে বহু মানুষ্কে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় ও তাদের ধনসম্পত্তি লুট করা হয়। বহু হিন্দুর স্রীদের ও মেয়েদের উপর বলপ্রয়োগ বাঃ ধর্ষণ করা হয়। বহু হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মনে করা হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র রূপে দেশ প্রিচালিত হবে।কিন্তু সে আশায় ছাই দিয়ে মৌলবাদী শাসকেরা দেশটাকে ধর্মের ভিত্তিতে শাসন করে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীদের মধ্যেও মৌলবাদীদের ভিড় লেগে গেছে। তারাই অমুস্লিমদের উপর অত্যাচার,দাঙ্গাহাঙ্গামা,নিরয্যাত্ন ও ধর্মান্তরকরণ করছে। সরকার ভোটের ভয়ে চোখ বুজে থাকে এবং কোন প্রতিক্রিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়না। সংখ্যালঘুরা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হচ্ছে। সরকার নিজের গদি বাঁচাবার জন্য মৌলবাদীদের ভয়ে চুপ করে আছে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন করছে। যতদিন সরকার মৌল্বাদীদের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে পারবেনা, ততদিন অমুস্লিমরা নির্যাতিত হবেই, একে বন্ধ করা যাবেনা। দেশে যে কয়জন ধর্মনিরপেক্ষ লোক আছে, তারা সংখ্যায় অতি নগণ্য, তাদের কণ্ঠস্বর সরকারের ‘সর’ অবধি পৌঁছায় না। তাদের নাস্তিকতার লেবেল সেঁটে মারা হচ্ছে বা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এরা যারা প্রতিবাদ করে, তাদের নিরাপত্তা সরকার দেয় কি? সরকারের পিঠ গণ্ডারের চাম্রায় মোরা ও চোখ আছাদন থেকে (ঘোড়ার চোখের মত), যারজন্য কিছু দেখতে পায়না। এরজন্য একটা গণআন্দোলন হওয়া খুব প্রয়োজন। বুদ্ধিজীবীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশে একটাই ধর্ম হবে, সেটা হবে, মানবধর্ম এবং প্রত্যেক দেশবাসী যেন নিজ নিজ মত ও ধর্ম অনুযায়ী বসবাস করতে পারে। লেখককে আমার অনুরোধ, তিনি এই লেখাটি আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরার ব্যবথা করলে ভালো হয়।
ধর্মের বিদ্যমানতাই যদি অন্যায়-অত্যাচার আর নির্যাতনের কারণ হয় তবে ধর্মহীনতাই আমার কাম্য। অন্যায়-অত্যাচার আর অন্যায্যতা পূর্ণ ধর্মযুক্ত সমাজের চেয়ে ধর্মবিহীন অন্যায়-অত্যাচার-অন্যায্যতামুক্ত সমাজই শ্রেয়তর।
বিষয়টি যতোটা না ধর্মের না থেকে বেশি সম্পদের দখল। সম্পদ দখলই মূল উদ্দেশ্যে। আর বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরোক্ষভাবে তা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।