লেখকঃ নিকসন কান্তি
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ- একটি অতি পরিচিত বাক্য। হাজার বছর ধরে অন্য বহু কিছুর পাশাপাশি এই বাক্যটিও চলে আসছে। পুলিশ প্রহরায় কেন পুজা উদযাপন করতে হয়- এর ব্যাখ্যা খুব পরিস্কারঃ গুটিকয়েক বিচ্ছিন্নতাবাদীর জন্য ‘আমাদের যেন বদনাম না হয়’; ঐসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ধর্মের কোন যোগ নেই.. এরা কেউ প্রকৃত মুসলমান নয়.. বিরোধীদল যাতে সাবোটাজ করতে না পারে.. ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আমারও কিছু বলার নেই। যস্মিন দেশ যদাচার। আমি একেবারেই পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে, স্বাভাবিক জীবন যাপনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কি পর্যায়ে আছে তা একটু দেখতে চাচ্ছি।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কিভাবে খুঁজবোঃ
হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি যুগ যুগ ধরে বাস করছে।একজন আরেকজনের বিপদে আপদে এগিয়ে আসছে। কোন ঝুটঝামেলা নেই। সব ঠিক ঠাক। এটাকে কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরবো? না, ধরবো না। কারন যতক্ষন পর্যন্ত ধর্ম একটা ইস্যু হিসাবে সামনে না আসছে ততক্ষন কেউই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য হিসাবে আচরন করছে না। বেশিরভাগ সময় মানুষ সামনে আসছে পেশাগত পরিচয়ে, বিহেভ করছে অর্থবিত্তের তারতম্যের নিরিখে, এমনকি রাজনৈতিক মতপার্থক্যের আলোকে। যুগের ব্যস্ততার ফাঁকে, মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়েনের চক্করে ধর্মের ইস্যু হয়ে ওঠার সুযোগই কম। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নিয়ে ভিন্ন ধর্মের লোকজনের মধ্যে আলাপচারিতা মাঝে মাঝে হলেও ধর্মীয় দর্শন নিয়ে বাহাস হয় না বললেই চলে। তাই দুই বা তার বেশি ভিন্ন স্রোত খুব সতর্কভাবে পাশাপাশি বয়ে যায় দিনের পর দিন। অপেক্ষাকৃত দুর্বল ধারাটিকে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয় যেন বেখেয়ালে বিপদসীমা পেরিয়ে না যায়, আর সবল ধারাটিও ভদ্রতার খাতিরে কিংবা সংখ্যালঘুকে আমানত মনে করে অধিকাংশ সময় তর্ক এড়িয়েই চলে। এটাকে কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলা যাবে? আযান আর শাঁখের সুর এক পাড়ায় শোনা গেলেই কি সেটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোন নিদর্শন? বোধহয় না।
তাহলে নিদর্শনগুলো কিরকম হবে? কিকরে বুঝবো কোথাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে বা নেই?
সম্প্রীতির রকমফেরঃ
ধরা যাক, শহীদ এবং শৈলেশ দুই বন্ধু। তরুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ক্লাসের ছাত্র। পাশাপাশি বাড়ি। দুই পরিবারের সখ্যতা তাদের জন্মের আগে থেকেই। কোরবানীর গরু কেনার জন্য শহীদ এবং তার বাবা হাটে যাচ্ছে।
১। সম্প্রীতির একটা প্রচলিত ধরন এরকম- শৈলেশ ঈদের দিন বাসা থেকে বের হয় না। তার অস্বস্তি লাগে। বন্ধুরাও কেউ তেমন জোর করে না। ধর্ম নিয়ে তাদের মধ্যে কখনো কোন আলোচনা হয় না। অর্থাৎ ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা, বন্ধু চিরকাল, রেললাইন বহে সমান্তরাল’। তথ্য-উপাত্ত ছাড়া নিশ্চিত করে বলা যাবে না; তবে আমার ধারনা, সারা দেশ কভার করে, শুধু শহুরে মধ্যবিত্ত অঞ্চলে নয়, মেথডিকালী সার্ভে করা হলে সম্প্রীতির এই রূপটাই সবচে প্রচলিত হিসাবে বেরিয়ে আসবে। এবং এই জিনিসকে আমি আদৌ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলতে নারাজ।
২। শহুরে মধ্যবিত্ত বলয়ে বেশ স্মার্ট একটা রূপ দেখা যায়। আমাদের মিডিয়ার ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ টাইপ রূপ। এখানে দেখা যায় আমাদের শৈলেশ ঈদের দিন তার মুসলমান বন্ধুদের সাথে হৈচৈ করে আড্ডা দিচ্ছে। যদিও গরুর মাংস খাচ্ছে না। আবার পুজার সময়ও খাওয়া দাওয়া আড্ডা হৈ-হুল্লোড় একসাথেই হচ্ছে। লক্ষ্যনীয়, এখানে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের হিসাব আদৌ আসছে না। ধর্ম আসছে উৎসবের উপলক্ষ্য হয়ে, দর্শন হিসাবে নয়। মতপার্থক্যগুলোর সামনে আসারই সুযোগ নেই। রাজনীতি, খেলা, বই, সিনেমা আর ‘মাইয়ামানুষ’ নিয়ে তুমুল আড্ডায় ধর্ম পুরোপুরি উপেক্ষিত এবং অনুপস্থিত। এই যে কেউ কারো সীমানায় না ঢোকা; ধর্ম নয়, সম্পুর্ণ ভিন্ন কোন প্লাটফর্মে একত্রিত হওয়া- এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কি করে হয়? এ তো স্রেফ বন্ধুত্ব (এক ধরনের)।
৩। তৃতীয় আরেকটি ধরন কল্পনা করা যাক। গরুর হাটে যাবার সময় শহীদ শৈলেশকে ডেকে নিল। উদ্দেশ্য পরিস্কার। বাবাকে গরু বাছাবাছি দরদাম এসবের জন্য সামনে সামনে রেখে দুই বন্ধুতে দীর্ঘপথ আড্ডাবাজী করা। অবশ্য শৈলেশ এসেই চাচাকে বেশ করে বুঝিয়ে দিলো যে যেহেতু তার দাদার গরুর খামার আছে এবং সে প্রায়ই গ্রামের বাড়ি যায় সেহেতু সে শহীদের চেয়ে গরু ভালো চেনে। গত বছর দুর্গাপুজাতে শহীদও ‘এভাবেই’ শৈলেশদের খুব সাহায্য করেছিলো। তার যুক্তিও যথেষ্ঠ জোরালো ছিলো- যেহেতু তার বড় বোন চারুকলা থেকে পাশ করা সেহেতু সে গেরাইম্যা শৈলেশের চেয়ে ঘরবাড়ি সাজানোর ব্যাপারটা ভালো বোঝে।
হাঁটতে হাঁটতে দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে। বিষয় ধর্ম, ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মীয় সংস্কৃতি ইত্যাদি। দুজনেই পরস্পরের ধর্ম নিয়ে কৌতুহল প্রকাশ করছে। সতর্ক কৌতুহল; কোন অবজ্ঞা নয়। দুজনেই যে যার ধর্মকে সাধ্যমতো ডিফেন্ড করছে কিংবা ‘জানি না’ বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। কৌতুহল সংবরণ করছে। প্রসঙ্গ পাল্টে যাচ্ছে।
তো এটাও কিন্তু ঐ ‘রেললাইন বহে সমান্তরাল’ কেস। পার্থক্য এটুকুই- এখানে বন্ধুত্বের অভিনয় তুলনামূলক কম।
৪। এসবের বাইরে বোধহয় আর একটাই ধরণ থাকতে পারে- দুটাই নাস্তিক কিংবা এগনস্টিক কিংবা ধর্মকে স্রেফ কালচার হিসাবে দেখে এবং মোটেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করে না। অর্থাৎ এখানে সম্প্রদায়গত বিভেদটাই নেই। সম্প্রদায়ই নেই। কাজেই ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ অপ্রাসঙ্গিক।
তাহলে? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কি তবে শুধুই একটা মিথ?
খুব সম্ভবত।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অন্ততঃ এখনকার পরিস্থিতিতে আমারও মিথ বলেই মনে হয়। লেখক হয়তো আরো রূঢ় উদাহরন ব্যবহার করতে পারতেন, কিন্তু অল্পের উপর দিয়েই গেছেন, যদিও বক্তব্য স্পষ্টই হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতাকে বহু মানুষই আত্মতৃপ্তির একটা অবলম্বন ভাবেন অর্থাৎ আমি মুসলমান হিসেবে জন্মেছি তাতেই অন্য ধর্মের মানুষের চেয়ে আমি সেরা অবস্থানে আছি, আমার মর্যাদা অন্য ধর্মাবলম্বীদের চেয়ে বেশি। এই ব্যাপারটা নিজের ইগোকে আত্মশ্লাঘার এতই পুষ্টিকর খাবার জোগায় যে এর নেশা থেকে খুব কম মানুষই বেরিয়ে আসতে পারে। কিছু মানুষ অন্য যে কিছুর চেয়ে মানবিক সম্পর্ককেই মূল্য দেন বেশি এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নামে চালানো হচ্ছে। কিন্তু এরা সব সময়ই “কিছু মানুষই “ থাকে বেশি হয়না। বেশি সংখ্যক মানুষ আরে হিন্দুতো….. মালোয়ান….মালু ইত্যাদি বিলেই ফেলে। জাগতিক-বৈষয়িক সুবিধা অর্জনের জন্য এই ভেদটা ব্যবহার করতেও বহু মানুষ পিছপা হয়না। যাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাম দেওয়া হয় সেই সম্প্রীতি কতখানি সম্প্রীতি তা নিয়ে আমারও সন্দেহ আছে। আমি লেখকের সাথে একমত।
উপরের ভদ্রলোকের মতো মানুষ যেমন আছেন, তেমনি ছলেবলে কোন হিন্দুকে গোমাংস খাইয়ে দিয়ে আত্নতৃপ্তি লাভ করেন এমন মানুষেরও বাংলাদেশে কোন অভাব নেই। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার তো জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছি; বাপ-দাদাদের কাছেও শুনেছি দেশভাগের আগে মুদ্রার অন্যপাশের গল্প। এই অবস্থা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়তির দিকে হলেও সব দেখেশুনে আমার মনে হয় দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোনও অস্তিত্ব নেই বা এটি কেবল মিথ একথা সত্যের অপলাপ। তবে সার্বিক বিচারে আপনার কথা ঠিক যে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে বড় গলায় প্রচার চালানোরও কোন কারণ নেই, অন্তত সেসময় এখনো আসে নি।
আপনার বাস্তব-ধর্মী বিশ্লেষণে ভরা লেখাটি বেশ ভাল লেগেছে। তবে মানুষের মনের গতি-প্রকৃতি সবসময় সূত্র মেনে চলে না বলেই হয়তো এ নিয়ে শেষ কথা বলা মুশকিল। ভিন্ন ধর্মের অনুসারী বন্ধুরা জেনেশুনেই ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে সংঘাতে যাচ্ছে না, এটাকেও একধরনের সম্প্রীতি রক্ষার চেষ্টা হিসাবে দেখা যেতে পারে। এই অস্থির পৃথিবীতে যেখানে কেবল কেউ গোমাংস ভক্ষণ বা কোরান অবমাননা করেছে এমন সন্দেহ মানুষের নির্মম মৃত্যুর কারণ হতে পারে সেখানে এটাই বা কম কি! নিজের দেখা বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষের কথা বলি। এই অবসরে যাওয়া মানুষটি ঢাকার একটি আবাসিক এলাকার বাড়ীওয়ালা; তাঁর বাড়ীর একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন অল্পবয়সী এক হিন্দু দম্পতিকে। ভাড়া দেয়ার পর থেকে ভদ্রলোক আর নিজের বাড়ির খোলা চত্বরে গরু কোরবানি দিতে দেন না, নিজের কোরবানিটিও অন্যদের সাথে ভাগে দিতে শুরু করেছেন। ভদ্রলোককে প্রায়শই নিজের বাগান থেকে ফুল তুলে তরুণী গৃহবধূটিকে পূজার ফুল পাঠাতে দেখি। একদিন কথা প্রসঙ্গে জানালেন যে হিন্দু পরিবারটিকে দেখলে তাঁর বহুদিনের প্রবাসী পুত্র-কন্যার কথা মনে পড়ে যায়, তাই এই অপত্য স্নেহের প্রকাশ। এদিকে ভদ্রলোক আবার হজ করেছেন, এক ওয়াক্ত নামাজও বিনা কারণে কাজা করেন না। হিন্দু পরিবারটি পূজা-পার্বণে ভদ্রলোকটিকে মিষ্টি পাঠায়, তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন; নিজে খান না, বিলিয়ে দেন; পাছে ভোগের মিষ্টি খেয়ে পাপের ভাগী হন এই ভয়ে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে এই ভদ্রলোকের মতো মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম হবে না। এরা ধর্মভীরু হলেও নিজেদের জীবনযাত্রা আর দর্শনের সাথে মিলিয়ে ধর্মের একটি পরিবর্তিত সহজিয়া রূপ যা নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের পরিপন্থী হলেও অনুসরণ করছেন। হয়তো ভদ্রলোকের আচরণের কোন বাস্তব-ধর্মী ব্যাখ্যা থাকবে, তবে আমার কাছে মানুষের এই ধরণের আচরণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরই নিদর্শন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ওভাবে সবাই দেখলে এই লেখাটার দরকারই ছিলো না। ওভাবে সহজ করে দেখতে তো আমিও চাই ভাই। আমরা কম বেশী সবাই অমন সহজিয়া পরিবেশেই তো বড় হয়েছি। দুনিয়াশুদ্ধ সবার নাস্তিক হয়ে যাবার তো দরকার নেই। সেটা কোন বাস্তবসম্মত চাওয়াও নয়। সহজিয়া ধর্মের পরিবেশে আমরা যে কেউ স্বস্তি বোধ করবো। সমস্যা হলো, ধর্মের সহজিয়া রূপ কিন্তু ধর্ম নয়। কালচার। তাই আমি ঐ পরিবেশকে ধর্মীয় সস্প্রীতির পরিবেশ হিসাবে দেখতে চাচ্ছি না। ধর্মের একটি পরিবর্তিত সহজিয়া রূপ যারা অনুসরণ করেন তারা অন্যের সাথে চলার সময় ধার্মিক হিসাবে চলেন না; চলেন প্রতিবেশী হিসাবে, আসেন মানুষ হিসাবে। এমন মানুষ অবশ্যই বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এখন কথা হচ্ছে, এই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কী লাভ হয়েছে? সংখ্যায় অতি লঘিষ্ঠ (ধরে নিচ্ছি) চাপাতিওয়ালা এবং তাদের সমর্থকরা কিভাবে তৈরী হলো এদেশে? এমন সম্প্রীতির দেশে? এত হাজার বছরের ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ এত দ্রুত ভেঙে গেলো কি করে? ভেঙে গেলো কারন আমরা সবাই ব্যাপাটাকে সহজ করে দেখেছি। আমি ঠিক আছি বলেই ধরে নিয়েছি সব ঠিক আছে। কিন্তু ঠিক কি থাকলো শেষ পর্যন্ত? ঠিক যেহেতু থাকলোই না, কি করে বুঝবো যে আগে ঠিক ছিলো?
অন্যভাবেও দেখুন না; নাস্তিকরা সংখ্যায় কম হলেও, বরাবরই তো ছিলো কিছু না কিছু। আস্তিকদের পাশাপাশি আমরা চলেছি। আমাদের ধর্মচর্চাহীনতা সবাই টের পেয়েছে। খুব কাছের যারা তারা অবিশ্বাসটাও টের পেয়েছে। কোন সমস্যা হয় নি। সব ঠিক ছিলো। তো এটাকে কি আস্তিক-নাস্তিক সম্প্রীতি বলবেন? যদি বলেনও, সেই তথাকথিত সম্প্রীতি কি আমরাই ভেঙে ফেলিনি? অন্ততঃ ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ এর পর; ধর্ম-নিধর্ম যখন সত্যিই ইস্যু হয়ে উঠলো? যে যার মত করে চেঁচিয়ে উঠিনি? বিভাজনের রেখাটা স্পষ্ট করে তুলিনি? কেন করেছি অমন? কারন সেদিন আমরা বুঝেছিলাম, সুতোয় দুলতে থাকা সম্পর্ক আদৌ কোন সম্পর্ক নয়। তাসের ঘর কোন ঘর নয়; সেটা দেখতে যত সুন্দরই হোক।
এদেশের তথাকথিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও তেমন। কতদিন আর নিজেরা নিজেদের মিথ্যা প্রবোধ দেবো? আর কতকাল আমরা শুন্যের ওপর ঘর বানাবো?
@নিকসন কান্তি
মন্তব্যের উত্তর নীচে দেখুন। ধন্যবাদ!
“মাইয়ামানুষ” জিনিসটা পুজায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাত মুসলমান বন্ধুরা পুজায় বেরই হয় “মাইয়ামানুষ” দেখার জন্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাপারটার কোনও অস্তিত্ব নাই।
এই ভাবে কখন-ও তো ভাবি নি! সত্যি-ই তো। ভীষণ সত্যি। ঝামেলায় ফেললেন মশাই।