লেখকঃ সোহরাব হোসেন
যদি ঈশ্বর থেকেই থাকেন তাহলে তার তো একটা শুরু থাকবে। প্রথমে তার নিজেরই অস্তিত্বে আসতে হবে। নাহলে তিনি সৃষ্টি করবেন কীভাবে? তাহলে স্রষ্টার অস্তিত্বে আসার আগে কী ছিল? স্রষ্টা কীভাবেই বা অস্তিত্বে এলেন? এগুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যৌক্তিক প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর ধর্মগ্রন্থে থাকাটা বাঞ্চনীয় ছিল। নেই যখন তখন কী আর করা। আর অস্তিত্বে আসার পর তিনি ঠিক প্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন তা জানাটা খুবই দরকার। কারন তার প্রথম সৃষ্টি কী তাই যদি না জানি তাহলে এত শত ধর্ম পালন মানবজাতির জন্য বৃথা। আর স্রষ্টা নিজে কী দিয়ে তৈরী তাও ধর্ম গ্রন্থে স্পষ্ট নয়।অনেক ধর্মে বলা হয় ঈশ্বরের নাকি নূরের পর্দা আছে। আচ্ছা ঈশ্বরের পর্দা লাগবে কেন? তিনি নাকি আরশে সমাসীন। সেই আরশটা কীসের তৈরী। এইসব প্রশ্নের উত্তর হাবিজাবি কথা বলে এড়ানো মানে নিজের ধর্মের প্রতিই অনাস্থা। কারন ধর্মের মতে জীবন চালাতে হলে ঈশ্বর সম্পর্কে যদি সেই ধর্মই নীরব থাকে তাহলে সেই ধর্মের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর প্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন তার চেয়ে বড় ব্যাপার তিনি তার প্রথম সৃষ্টি কী দিয়ে বানিয়েছিলেন? কেনইবা বানিয়েছিলেন। তার প্রথম সৃষ্টির উপকরন কী ছিল? তার উদ্দেশ্যই বা কী ছিল। ঈশ্বর যখন প্রথম নিজেই আত্মপ্রকাশ করলেন তখনতো একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কিছুই যখন ছিল না তাহলে বুঝা যায় কোন খারাপ কিছুও ছিল না। তাহলে প্রথম খারাপ কিছু কীভাবে অস্তিত্বে এলো? বিশাল মহাবিশ্বের অনেক সৌরজগতের অত্যন্ত ছোট্ট একটা গ্রহে মানুষের বসবাস। তাহলে বাকী গ্রহগুলো বানানোর কীইবা দরকার ছিল। এখনো অনেক গ্রহই আবিষ্কার হয়নি। হয়ত অন্যান্য গ্রহেও থাকতে পারে প্রান। তাদের বুদ্ধিমত্তা হয়ত মানুষের চেয়েও বেশি হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে। ঈশ্বর কেনইবা তৈরী করলেন স্বর্গ-নরক। তার সৃষ্টির প্রক্রিয়া কী এটাও ধর্মে বলা যায় অনেকটা জাদুর মত। হও বললেই নাকি হয়ে যায়। তাহলে তার মুখ দিয়ে উচ্চারন করতে হয়। কেন ঈশ্বরকে কেন মুখ দিয়ে উচ্চারন করতে হবে? তিনি কি মুখ দিয়ে উচ্চারন করা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারেন? তার ভাষা কী? তিনি কি অস্তিত্বে আসার পরই ভাষার ব্যবহার করতে লাগলেন? এই পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ কথা বলে। তাহলে ঈশ্বরও কি মানুষের মতই কথা বলেন নাকি তার কথা অন্যরকম।তার কন্ঠ কেমন তা কোন ধর্ম গুরুই বলে যাননি। ঈশ্বরের কথার কম্পাংক কেমন? তা কি কোন মানুষের শ্রবনযোগ্য হতে পারে? নাকি তিনি তার কন্ঠের কম্পাংক কমিয়ে ফেলেন।
ঈশ্বরের কন্ঠের বর্ননা কোন ধর্ম গ্রন্থেই নেই। মহাবিশ্বে প্রতিনিয়ত অনেক বিস্ফোরণ হচ্ছে যেগুলো পৃথিবীতে শোনাই যায়না, কারণ সেগুলোর কম্পাংক মানুষের শ্রবনশক্তির বাইরে। ঈশ্বর কথা বলেন তার মানে তাকেও ভাবের প্রকাশ করতে হয়। প্রকাশ না করেও কি কাউকে কিছু জানাতে পারবেন এই ঈশ্বর নামক প্রাচীন ধারনাটি। ধর্ম গুরুরা বিনা বাঁধায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতেন অথচ আজকের যুগে একজন প্রেসিডেন্টও ভিসা ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারেননা। তাহলে কেন ধর্ম গুরুদের যুগে ছিল না ভিসার সিস্টেম। তাহলে কি ভিসা পদ্ধতি ধর্মানুভুতিতে তীব্র আঘাত হানার কথা নয়? তাহলে কেন আজ ধার্মিকেরা ভিসার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন দীর্ঘ লাইনে। দিন দিন কেন কমে যাচ্ছে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা। দূর্বল চিত্তের মানুষকে নরকের ভয় দেখানো ঈশ্বর নামক ধারনা নিজেই কেন সর্ব প্রথম খারাপ বা নেতিবাচকতা তৈরী করেছিলেন। আগে থেকেই নাকি নরক বানানো এবং ঈশ্বর নাকি পরীক্ষা নিচ্ছেন তা তিনি নিজে কয়টা পরীক্ষা দিয়েছেন? যদি ঈশ্বর নামক প্রাচীন ধারনা থেকেই থাকেন তাহলে অন্তত একটা দিনের জন্য কি পুরো সৃষ্টির কন্ট্রোল অটো মুডে দিয়ে একজন মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসে মানুষের জীবন কাটাতে পারেন না? যে কোন একটি ধর্ম পালন করতে পারেন না? তারপর নিজেই বুঝে যাবে পরীক্ষার ধান্দায় পড়ে আজ এই পৃথিবীই হয়ে যাচ্ছে নরক। ঈশ্বরের তো কোন স্বজন নেই। তাহলে তিনি কীভাবে বুঝবেন স্বজন হারানোর ব্যাথা। ঈশ্বর নামক এই প্রাচীন ধারণা পৃথিবীকে প্রাচীনই রাখতে চায়।
ঈশ্বর বলতে কিছু নেই
যদিও তিনি থেকে থাকেন উনার শক্তি খয় হয়ে গেছে,
ঈশ্বর একটি কুসংস্কার কথা
আমরা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী, তারা যখন এই লেখাগুলো পড়ি হৃদয় কাচের মতো ভেংগে চৌচির হয়ে যায়,লেখকের কলামে আর মন্তব্যে এটাই বলতে চাইছে আমরা অন্ধভক্ত।এই সমগ্র সৃষ্টির মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিন কত সহিষ্ণু, ধর্যশীল যে এসব নাস্তিকদের মাথার উপর গযব নাযিল করেন না, এতেই প্রতিয়মান হয় সব গুনের অধিকারী সৃষ্টিকর্তা বিদ্যমান আছে,মরার পরে তিনি কহ্হার রুপ ধারন করবে আর এদের বিচার করবে।
খ্রীষ্টানদের কাছে গড এর ভাষা ইংলিশ , হিন্দু ধর্মের মতে ঈশ্বরের ভাষা সংস্কৃত আর মুসলিমদের কাছে আল্লাহ’র ভাষা আরবি! ব্যাপারটা অনেকটা হাস্যাত্মক! প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষই তাদের ভাষাকেই তাদের সৃষ্টিকর্তার ভাষা বলে জোড় দাবি করেন এটাও অস্বাভাবিক । আবার নিজেদের প্রতিষ্ঠিত সৃষ্টিকর্তাকে সবার উপর চাপিয়ে দিতেও হাতে তুলে নিয়েছেন ক্ষুরধার তলোয়ার! এমন কি অপরের ধর্মটাকেই মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে নিষ্ঠুর আক্রমণাত্মক হতেও পিছপা হন না! How Fool the People! How foolish the Philosophy!
ধর্ম মানে ভূমধ্য সাগরে কোটি ডলারে
রাজ রাজার নীল উষ্ণ জলে স্নান
ধর্ম মানে দরিদ্র সিরিয়াতে শত শত
অবুঝ নিরীহ শিশুর রক্ত স্নাত প্রাণ।
ধর্ম মানে নাস্তিক ইউরোপে লক্ষ প্রাণের আশ্রয়
সমস্ত আরব কীভাবে চুপ আছে পৃথিবীর বিস্ময়
ধর্ম মানে যুদ্ধ, হানাহানি, লক্ষ প্রাণের ক্ষয়
ধর্ম মানে তরবারীর কাছে মানবতার নিদারুন পরাজয়।
ধর্ম মানে বৃদ্ধার আর্তনাদ, পিতৃহীন অবোধ শিশু
সংসার ফেলে, প্রাণ নিয়ে ছেড়ে যাওয়া সব পিছু
ধর্ম মানে রাজনীতি আর ডলার তেলের খেলা
ধর্ম মানে মানুষ নয়, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।
ধর্ম মানেই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা যদি হয়, তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় দুটি যুদ্ধ-প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেন হয়েছিল? আমেরিকা ইরাকে আক্রমণ কোন ধর্মের জন্য করেছিল? আমেরিকা -ভিয়েতনামযুদ্ধ কেন হয়েছিল?
আপনি কষ্ট করে একটু পড়ে নিবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধর্মের কি ভূমিকা ছিলো … নেটে সার্চ দেয়া মাত্রই আসবে আর বুশ আফগানিস্তান আক্রমনকে “ক্রুসেড” নামে অভিহিত করেছিলো যেটা হলো খ্রীস্টিয় “জিহাদ” … কিছু লেখার আগে একটু পড়ে নিলে ভাল হয়
ইরাক আক্রমন আফগানিস্তান আক্রমনেরই ধারাবাহিকতা
ঈশ্বর যদি মহাজাগতিক হয় তাহলে জাগতিক বস্তু বা বিষয়াদি দ্বারা ঈশ্বরের পর্যালোচনা কি অযৌক্তিক নয়?
ঈশ্বরে বিশ্বাস করা আজকের দিনে অর্থহীন,আর নাস্তিকরা যদি লেখালেখি বা অন্য কিছুর মাধ্যমে ধার্মিকদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকে তাহলে তো একই যুক্তিতে ধার্মিকরাও নাস্তিকদের অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে
মন্তব্য…good
এই যৌক্তিক প্রশ্নগুলি কারুর মনে আসার পরে সে আর ভুয়া ও অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাসে থাকতে পারে না।
মুক্তমনায় স্বাগতম :rose: :rose:
ঈশ্বর যখন প্রথম সৃষ্টি করেছিলেন তখন কোনো পদার্থ বিদ্যমান ছিল না, একথা বলা ঠিক নয় কারণ একটা পদার্থ ছিল আর তা হলো আকাশ | তাহলে নিশ্চই তিনি তার সৃষ্টি আকাশ দিয়ে বানিয়েছিলেন | আকাশ অনন্ত , অক্ষয় পদার্থ | মহাপ্রলয়ের পরেও তা থাকবে আবার সৃষ্টির আগেও তাই ছিল |
সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল আনন্দ উপভোগ | তাই আজও আমরা কোনো কিছু সৃষ্টি করে আনন্দ পাই |
প্রথম খারাপ কিছু তখনই অস্তিত্বে এলো যখন মানুষ কোনো কিছুকে খারাপ বলে ভাবতে শিখল |
আরশ টা আকাশ দিয়ে তৈরী |
ওই গ্রহগুলোতে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান প্রাণীর বাসস্থান |হয়ত ঈশ্বর ভেবেছিলেন যখন মানুষ অমানুষ হয়ে পর্বে তখন এই বুদ্ধিমান প্রানিগুলি ঈশ্বরকে পূজা করবে |
মানুষকে ঠিক পথে চালনা করার জন্য |
নিখিল বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর ভাষাতেই ঈশ্বর কথা বলেন | তিনি অস্তিত্বে আসার পরই ভাষার ব্যবহার শুরু হলো | প্রথম দুটো প্রশ্নের উত্তর শুধু ঈশ্বর দিতে পারবেন |
লেখক এত নিশ্চিত হলেন কিভাবে?
নিজের বিবেকের কন্ঠস্বর হলো ঈশ্বরের কন্ঠস্বর | তার কম্পাঙ্ক কেমন তা নিজেই হিসাব করে বার করুন |
ঈশ্বর এক কিন্তু বহুরুপী | তিনি এক হলেও বহু হয়েছেন | বহুরূপে বিদ্যমান আছেন | তিনি মানুষরূপে স্বজন হারানোর ব্যথাও অনুভব করেন | সময়মত তার অমোঘ দন্ড নেমে আসে | যারা ঈশ্বরের নামে দুরাচার করে তার নাম খারাপ করছে তারা সময়মত দন্ড পাবে | চিন্তার কিছু কারণ নেই |
মন্তব্য…বাহ! বড্ড কৌতুহলি মনে মুর্খতা স্বম্বলিত নিখাদ ও বিশাদ আলোচনা।এতে করে আপনার নির্বোদ্দিতার পরিচয় প্রতিয়মান হয়েছে।
আমি বিশ্বাস করি যে,ধর্ম সম্পর্কে আপনার নুন্যতম ধারনা নাই।ইশ্বরের অস্থিত্ব কিংবা সুচনা নিখাত লিখা রয়েছে ধর্মিয় গ্রন্থাবলীতে,,,,,,,,,,,,,!
যাইহোক,আপনাদের এহেন কু-রুচিপুর্ণ লিখাতে আমি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
মন্তব্য…বিস্তর আলোচনা চাই।
আমার সৃষ্টিতে যদি ঈশ্বরের ভূমিকা থাকে , তাহলে ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছেন ? @mohammad Masood
(বিঃ দ্রঃ মুক্তমনার লেখাগুলো পড়ুন আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন । ধন্যবাদ)
মন্তব্য…ইশ্বর বা স্রষ্টা না থাকলে আপুনাকেই বা সৃষ্টি করেছেন কে?
আর মো:জানে আলম আপনিতো সহমত দিয়েছেন কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনার নামের আগে মো: শব্দ টি কোন ধারনা থেকে এসেছে?
আপনারা স্রষ্টা কে নিয়ে চিন্তা না করে বরং সৃষ্টি কে নিয়ে চিন্তা করতে পারেন!!!
“ঈশ্বর নামক এই প্রাচীন ধারণা পৃথিবীকে প্রাচীনই রাখতে চায়”
সহমত ।
প্রশ্নের সঙ্গীত, প্রশ্নের পর প্রশ্ন, অনেকগুলো জিজ্ঞাসা চিহ্ন মিলে নিজেই একটা উত্তর হয়ে ওঠা; ভালো লাগলো ছোট্ট রচনাটা।
এখানে অনেকেই নীলাদ্র হত্যা র পক্ষে বিপক্ষে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেছেন।আসলে আমার নিজের কাছে মনে হয় কেউ যদি
নাস্তিক হয় এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।কিন্তু কোন নাস্তিক ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলে হোক ইসলাম কিংবা হিন্দু ধর্ম তাহলে কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষের মাথা ঠিক থাকার কথা না।কারণ ধর্ম অনেক সংবেদনশীল বিষয়।তাই আমি বলতে চাই আপনারা যারা নাস্তিক দয়া করে অন্যের বিশ্বাসের উপর আঘাত করবেন না।
ভ্রান্ত বিশ্বাসে আঘাত করা মোটেও দোষের না । -_-
কোন ধর্ম অন্য ধর্মকে আঘাত করে নাই? ইসলামও কি আঘাত করে নাই মূর্তিপূজারীদের বিশ্বাসের উপর?
চমৎকার ও প্রাঞ্জল লেখা। সহমত।
ধরেই নিলাম ঈশ্বর বলতে কিছু নেই,তারপরও প্রশ্নটাতো থেকেই যায়,প্রথম সৃষ্টি কী?
‘বিগব্যাং’-স্বভাবতই প্রশ্ন পুনোপৌনিক।
………তর্কে বহুদূর”
লেখক খুব ছোট আকারে ঈশব্রের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সফল ভাবে আলোচনা করেছেন। খুব ভালো লাগলো । অশেষ ধন্যবাদ। ধর্মীয় চেলাদের উত্ত্রের অপেক্ষায় রিলাম।
“কিসের” অস্তিত্ব সম্বন্ধে সফল ভাবে আলোচনা করেছেন ?
অসাধারণ ধারনা প্রকাশিত হয়েছে,, অনেক প্রশ্নবাণ, কিন্তু উত্তর দিবে কে???
সহমত