রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাশ এর পর আজ জঙ্গিদের চাপাতির আঘাতে নিহত হয়েছেন মুক্তমনা লেখক, ব্লগার এবং একটিভিস্ট নিলয় নীল। তিনি “নিলয় নীল” (টুইটার: #NiloyNeel) নামে মুক্তমনা, ইস্টিশন, ফেসবুকে লিখতেন। লেখালেখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সাথে জড়িত নিলয় নীল ছিলেন ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা। বাসার ভেতরে ঢুকে নিজ পরিবারের সামনে লেখালেখির জন্য নিলয় নীলকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (এআইকিউএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম। জঙ্গিরা কলমের জবাব চাপাতি দিয়ে দেয়ার ধারা বজায় রেখেছে, বাংলাদেশ সরকার জঙ্গিদের চাপাতিতে শান দেয়ার মশলা সরবরাহ করা বজায় রেখেছে, একে একে নৃশংসভাবে খুন হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকিত সন্তানেরা, মুক্তমনা লেখক, সমাজকর্মীরা। সমাজের যতো অন্যায়, অনাচার, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াই তাদের একমাত্র অপরাধ। কিন্তু চাপাতি দিয়ে একজন রক্ত-মাংশের মানুষকে কাপুরুষের মতো মেরে ফেলা সম্ভব, তার আদর্শকে না। আমরাও আমাদের সংগ্রাম বজায় রাখব, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের মনের কথা, আমাদের স্বপ্নের কথা বলেই যাবো। যতদিন মুক্তমনা সমাজের একজনও জীবিত আছে ততদিন পর্যন্ত, যতদিন মুক্তমনা লেখকদের একটি বাক্যও টিকে আছে ততদিন পর্যন্ত।
নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে নিলয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস
এ বছরের ১৫ই মে, অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দিয়ে ফেরার পথে নিলয়কে কয়েকজন অনুসরণ করছিল। বুঝতে পেরে তিনি পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন জিডি করতে, তার জিডি কেউ নিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, নিজের জীবনের শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন। নিজের জীবন দিয়েই তিনি প্রমাণ করে গেলেন যে বাংলাদেশে নাস্তিক, নির্ধর্মী, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, মৌলবাদবিরোধী, বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের কোনো নিরাপত্তা নেই, দেশত্যাগ ছাড়া তাদের বাঁচার আর কোনো উপায়ই যেন নেই। নিজের বাসায়ও কেউ নিরাপদ নয়; নিলয় নীলকে বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয়েছে। বাসা ভাড়া নিতে আসার ভান করে তার বাসায় প্রথমে একজন এবং পরে আরো কয়েকজন ঢুকে বাসার অন্যদেরকে এক ঘরে আটকে রেখে তাকে অন্য ঘরে কুপিয়ে খুন করে। নিলয় ঘটনাস্থলেই মারা যান, রক্তের দাগ রেখে যান তার প্রিয় বইগুলোর প্রচ্ছদে, তার প্রিয় লিখনযন্ত্র কম্পিউটারের পর্দাতে।
নিলয়ের বাসার ছবি। ছবি সূত্র: বাংলানিউজ ২৪
মুক্তমনা পরিবার সবসময় নিলয় নীলের পরিবারের পাশে থাকবে। অকালে এবং নৃশংসভাবে এমন সন্তান বা স্বামী হারানোর বেদনা ভোলার নয়। কিন্তু জানবেন আরও লক্ষ সন্তান আপনাদের পাশে আছে, থাকবে চিরকাল। নিলয় নীল সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছাতে, এবং তার পরিবারের সদস্যরা যেকোনো প্রয়োজনে মুক্তমনার সাথে যোগাযোগ করতে হলে লিখুন এই ঠিকানায়: [email protected]
‘মুক্তমনা’ একের পর এক কুপিয়ে লেখক, ব্লগার, মানবতাবাদী হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারকে আমাদের আহ্বান, মৌলবাদকে আর প্রশ্রয় দেবেন না। কারণ, মৌলবাদের সাথে আপোষ করে কোনো রাষ্ট্রই কখনো রেহাই পায়নি। জঙ্গীবাদ দমনে এবং এদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করুন।
টুইটার থেকে আপডেট:
There will be attacks on the free thinkers, but we cannot stop, and we will not stop. We love the human being. Anything that divides us should be ignored.
প্রিয় Shawn,
আপনার অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে, মুক্তমনা বাংলা ব্লগে ইংরেজীতে লেখা মন্তব্য এবং ইংরেজী হরফে লেখা বাংলা মন্তব্য প্রকাশিত হয় না। আপনি গত ক’দিন বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন ইংরেজীতে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সেগুলো আমরা ছাপাতে পারছি না। আশাকরি বাংলায় আপনার মন্তব্য পাবো।
আপনি এই মেসেজটি পাবার পর এই ইংরেজী মন্তব্যটিও মুছে ফেলা হবে।
ধন্যবাদ।
লিখে রাগিয়ে লাভ নেই, কারণ এই হত্যা চলতেই থাকবে; আর কলম দিয়ে মুখ বুজিয়ে ফেলা অসম্ভব … বরং তার চাইতে একজন একজন করে মানুষ গড়ে তোলার কাজ যদি করতে পারা যায় তবে কিছুটা হলেও সমাধান হবে… সবার আগে ব্যক্তি চেতনার জাগরণ দরকার।
আমি বাঙালি..এবং স্বাধীন| মুক্তমনার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই| কিভাবে?
সুইসাইড করব বলে উপায় খুজছিলাম…sureshot কোনো উপায় ই পাচ্ছিলাম না. মুক্তমনা কে পেয়ে স্বস্তি পেলাম | শুনলাম, সাহস করে সত্যি কথা বললে মৃত্যু নিজেই উপহার হয়ে আসে| সত্যি নাকি?
ইসলামের বর্তমান ভিত্তি হল কিছু মৌলবাদী জঙ্গি সংঘটন। তারা বর্বর গোষ্ঠী বিশেষ।তারা আজ শিখেছে কিভাবে যুক্তিবাদীর যুক্তি, মক্তমনার মুক্ত চিন্তা প্রতিহত করা যায়। আর সেইজন্যেই তারা কলমের জবাব দেয় চাপাতি দিয়ে ।
আর এসব মৌলবাদীদের পক্ষেই রায় দিচ্ছে সরকার। তা নাহলে একের পর এক যুক্তিবাদী মুক্তমনা ব্লগার, লেখক খুন হত না। যারা লড়াই করছে দেশব্যাপী ছড়ানো বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।
একবার ছেড়ে দে মা ঘুরে আসি। হাসি হাসি পড়ব ফাঁসি দেখবে জগতবাসী।
@ বঙ্গজ বিহঙ্গ,
শেষেরটাই উত্তম ও গ্রহনযোগ্য হবে মনে হয়।
অভিদা,অনন্তদা,ওয়াশিকুর,নীলাদ্রি এঁদের কারোর হত্যার বিচার হবে না-হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এরি মধ্যে আইজিপি,ডিবি কমিশনারসহ কয়েকজন মন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেঃ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।বাংলাদেশের একমাত্র আইন,তথ্য প্রযুক্তি অধিকার আইনে চৌদ্দ বছরের কারাবাসের হুমকীও দেওয়া বাকী নেই।
এখন আমাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিরও আগে যা করা উচিৎ তা হলোঃ ঐ আইনের সংশোধনের দাবি এবং মতপ্রকাশের অধিকারের জন্যে আন্দোলন।
তা না হলে হয়তো আগামি কিছুদিনের মধ্যে অনেক মুক্ত-চিন্তককে ওই সাতান্ন ধারা দেখিয়ে জেলে পুরা হবে।তখন পরিস্থিতি অগ্রসর হবে আরো খারাপের দিকে।
৯/১১-র পরের দিনে অনেক বাঙ্গালী শিক্ষিত-অশিক্ষিত অনেক লোক এটিকে আমেরিকার শাস্তি আর ইসলামের জয় ভেবে আত্নতুস্টি পেয়েছিল. অনেকে বিন লাদেনকে অনেকটা নব্য মুসলিম ক্ষুদিরাম ভেবেেছিল, এখন বুঝুন সেই বাংলাদেশে কি করে নাস্তিক খুনের সুবিচার সম্ভব? বিশেষ করে হিন্দু নাস্তিক !! এ যেন ছেলের হাতে বিচিকলা !!! বাঙ্গালী এখনও বুব্ধিগত ভাবে ২oo বছর পিছিয়ে.
মুক্তমনা মানুষদের এখন থেকে নিজেদের বাঁচাতে অস্ত্র ধরা ছাড়া কোন গতি নেই. সাপের বিষদাত ধারালো ছুরি দিয়েই তুলতে হয়. মিনমিনে আতেল হয়ে অকালে শহিদ হওয়ার কোন মানে হয় না.
আমি হিন্দু এবং আস্তিক। মাঝে মাঝে মনে হছহে নীলয়ের রক্ত বুঝি আমার হাতেও লেগে গেল। আমি আস্তিক বলেই এই তথাকথিত আস্তিকদের পাপের বোঝা কিছুটা হলেও মাথায় নিতে বাধ্য হচ্ছি, এই ঘাতকেরা যদি প্রমাণ করতে পারে যে তারাই প্রকৃত আস্তিক, তাহলে কাল থেকেই নাস্তিকের দলে নাম লেখাব। ভাল থাকবেন নীলয়, পারলে ক্ষমা করে দেবেন
বিচার হবে না। লিখে নিন
আমি ভারতে থাকি। জন্ম কর্ম সবই এখানেই। সত্যি বলতে আপনাদের দেশের খবর আমাদের এখানকার সংবাদপত্রের এক কোণায় প্রকাশ পায়। আগেও আমি এই ব্লগ এর লেখা পড়েছি কিন্তু কমেন্ট করি নি। আজ কিছু না বললে হয়তো নীলয় নীলকে অপমান করা হবে। আমি জানিনা যে আজ আমরা কোন দিকে এগিয়ে চলেছি যেখানে একটা মানুষের প্রাণের নিশ্চয়তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ। এ কেমন সময় যখন মৃত্যু এত সহজ? এ কোন পৃথিবী আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে দিয়ে যাচ্ছি! আমি সত্যি জানিনা আপনারা কি করে এত সাহসিকতার সাথে এখনো লিখে চলেছেন। এই কঠিন সময় কাটবে এই আশা রাখি। মুক্তমনাদের মৃত্যু যেন মুক্ত চিন্তার জন্ম দিতে পারে এই কামনা করি। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
:good:
পুলিশবাহিনী যদি এই ব্যাপারটা সামান্য তম গুরুত্ব দিয়েও দেখতেন তাহলে হয়তো নিলয় নীল বেঁচে থাকতেন। নীল জিডি করতে চেয়েছিলো, জিডিটাও নেয়নি পুলিশ! উল্ট পুলিশপ্রধান বলেছে, ব্লগাররা যেন সীমা লংঘন না করে, মানুষের ধর্মানূভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কিছু যেন না লেখে এতে খুনিরা কাজে উত্সাহিত করা.
যে সমাজের মানুষ ভাবে যে দোয়া পড়লে সব অসুখ ভালো হয়ে যায়্, সব অশান্তি চলে যায় আর সত্তর বার সুরাইয়াসিন পড়লে সব গুনাহ্ মাপ হয়ে যায়, সে সমাজে বর্বর মুসলিম খুনীদের কথনও সত্যিকার বিচার হয় না কিংবা এই পেশাচিক মানুষিকতা সে সমাজ থেকে সম্পুর্ণ মুছে ফেলা যায় না.
কারন, বালকসুলোভ মুর্খতা অার অজ্ঞতার রক্ত সে সমাজের প্রতিটি শিরা উপশিরায় প্রভাহিত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে.
সেই মুর্খতার মগজ ধোলাইর যন্ত্রের নাম হচ্ছে ধর্ম
কুত্তার লেজ বারো বছর চোঙের ভিতর রাখলেও কখনো সোজা হয়না
বাঙ্গালী হচ্ছে কুত্তার লেজ
ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের আমলে রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নিলয় নীল ইসলাবীস্টদের হাতে খুন হয়। রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর, লিস্ট করে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার পরও অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নিলয় নীল এর খুন রোধ করতে না পারা, এ লজ্জা ব্যাক্তিগতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।
একদিকে একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার চলমান, অন্যদিকে ভাবী-বুদ্ধিজীবীরা একের পর এক খুন হচ্ছে। বর্তমান খুনিরাতো একাত্তরের খুনিদেরই যোগ্য উত্তরসূরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখেন তবে মনে রাখবেন, জংগী-জঙ্গিদের ভোট আপনি কখনো পাননি এবং কখনো পাবেনও না। কিন্তু ব্লগার খুনে সরকার উদাসীন থাকলে অনেকে ভবিষ্যতে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত হতে পারে।
বতর্মান সরকারকে স্মরন রাখা উচিৎ ব্লগাররাও ভোটার, এবং তাদের প্রায়-সব ভোট মন্দের ভালো হিসেবে তারাই পায়। না-ভোট বা swing ভোট প্রভাবিত করার ক্ষমতাও লেখা-লেখির জগতের লোকদেরই সবচেয়ে বেশী।
সরকারের বিভিন্ন আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিকর অথচ ভবিষ্যৎ-কল্যাণকর পদক্ষেপ ব্লগাররাই সরকারানুকুলের জনমত তৈরিতে লেখালেখি করছে।
নিলয় নীলের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন খুনিরা নিয়ে গেছে। তাই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে খুনিদের ধরা সহজ। ইসলাবীস্টদের ঘোষণানু্যায়ী আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে আর একজন ব্লগার খুন হওয়ার কথা।
কেউ আপনাকে ফলো করছে সন্দেহ হলে কৌশলে তাদের ছবি তুলে সাথে সাথে বিশ্বস্তজনকে পাঠান। এবং জিডি করুণ। পুলিশের সাথে কথা বলার সময় মোবাইল ফোনে রেকর্ড করুণ। সম্ভব হলে ভিডিও করুণ। জিডি নিতে না চাইলে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হোন। দরজায় নিরাপত্তা শিকল লাগান। সামর্থ্য থাকলে CCTV camera অলক্ষ্যে স্থানে বসান। অথবা চলাফেরা সময়ে বডিগার্ডসহ গণভবনে একটি বাসা বরাদ্দের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবার আবেদন করুন।
‘ধর্মকে ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করছে তাদের রেহাই নেই’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করবেন আশাকরি।
আমি গর্বিত আমি নাস্তিক।
আমাকে ব্যাথিত হতে হয়েছে একের পর এক আলোক বর্ষির মৃত্যুতে।
আমার তখনই ভাল লাগে যখন দেখি আমাদের অগ্রজদের মৃত্যুতে কেউ পিছপা না হয়ে নতুন দমে সামনে চলে। একদিন অামরা সকল ধর্মের বাধা পেড়িয়ে বিশ্বটা মানুষের করতে পারব যেখানে মানুষ থাকবে কোন কাল্পনিক কল্পকাহিনীর ধর্ম না।
যেতে হবে অনেক দুরে বাধার পাহার ভেংগে গড়ে।
এটা আশা মণির ফেইসবুক থেকে নেয়া। দেখলাম পড়লাম আর কাঁদলাম। এত সুন্দর মনের মানুষ পৃথিবীতে আছে বলেই এখনও পৃথিবীটা সুন্দর।
মনে হচ্ছে প্রাইভেট করে দিয়েছে, পেলাম না পড়তে
@ তানবীরা,
উপরের লিংকে ক্লিক করলে একটা পাইজ আসবে, সেখানে গিয়ে আপনার ফেইসবুকে লগ ইন করুন।
https://www.facebook.com/ncmone
ওহ দেখেছি, আমি বড় কোন লেখা ভেবেছিলাম
ওরা গ্যালিলিওকেও মেরেছিল, তাই বলে সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরা শুরু করেনি…
ধর্মান্ধ-নরপিশাচ-বর্বরদের দ্বারা সংঘটিত এই সকল নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানোর সঠিক ভাষাও আমার জানা নেই ! রাফিদা আহমেদ বন্যার ভাষায় বলতে হয় জানোয়ারের অধম এই সকল কীটদের ” ঘৃনা করতেও আমার ঘৃনা হয়”! আর একের পর এক এই সকল হত্যাকান্ডে বর্তমান সরকার যে ভাবে নির্বিকার উদাসীন ভাবে বসে আছে এতে করে এই কথা বলতে আমার দ্বিধা নেই এই সরকার ভোট হারাবার ভয়ে – ক্ষমতা হারাবার ভয়ে এই দেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে ! যদি এই সরকার রাজীব হত্যার বিচার করত তবে এই খুনীরা অভিজিৎ, ওয়াশিকুর, অনন্ত, আর নিলয়কে হত্যা করার সাহস পেত না ! আমি মনে করি অভিজিৎ, ওয়াশিকুর, অনন্ত আর নিলয় হত্যার জন্য এই সরকার ১০০ ভাগ দায়ী ! এই সরকারের মুখে আমার থু থু দিতে ইচ্ছে করে ! এই নপুংশক সরকারের আমি অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করি ! অভিজিৎ, ওয়াশিকুর, অনন্ত ও নিলয় হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী এই সরকারের বিরুদ্ধে আওন্তর্জাতিক আদালতে অচিরেই মামলা দায়ের করা উচিৎ!
আজ আর কিছু বলার নেই। বললেই বা কী হবে!
এখন আর মন্তব্য করার মত মনের জোর পাইনা । নিজের মনে দোষী হয়ে থাকি বলে বড় গলায় বলতে পারিনা ওদের বিচার চাই । এমন জানোয়ার এর মত মানুষ গুলোকে শেষ করে দেয়া হোক ।
ধর্মসমূহ হাজার বছরে যা পারে নি, মুক্তমনারা অর্ধ শতাব্দীতে তা করে দেখিয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ একাত্ম হচ্ছে ধর্ম বিরোধী চেতনায়। নীলয় নীল সেই চেতনার এক বলিষ্ঠ নাম। আমরা প্রত্যেকে নীলয়ের চেতনা ধারণ করি, ওরা কজন মারবে? একেকটা লাশ এই পৃথিবীতে ধর্মের জীবনকালকেই ক্ষীয়মান করে তুলবে। আর বেশি দিন নেই।
শহীদ বন্ধুটির শক্তিশালী অস্তিত্বময় স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
খুনীরা জেনে রাখো,নিলয়কে নিয়ে গত ছয় মাসে চারজন মুক্তমনা ব্লগারকে নৃশংসভাবে খুন করলেও,তোমাদের অস্ত্রের ধার কমে যাবে কিন্তু এদের উত্তরসূরীদের কলমকে কিছুতেই স্তব্ধ করা যাবে না।
এ রকম কাঁপুরুষোচিত হত্যাকান্ডের নিন্দার কোনো ভাষা নেই । এসব নির্লজ্জ ঘাতকদের কর্মকান্ডে স্তম্ভিত হতে হয় । এটা কোন দেশ ? এখানে কী কোনও সরকার ক্ষমতায় আছে ? কোন প্রশাসন আছে ? আইনের শাসন বলে কী কিছু আছে এই দেশে ? এই বীরপুঙ্গবেরা কী এই দেশের গৌরব ?
মানুষ যখন যুক্তিতে পিছিয়ে পড়ে তখন এরকম পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করে । ধর্মান্ধ এই শয়তানদের অচলায়তনে মুক্তমনারা আঘাত দিতে পেরেছে । এখানেই মুক্তমনারা জয়ী । এক মুক্তমনা শহীদ হলে হাজার মুক্তমনা জন্ম নেবে ।
ধিক ঘাতক, ধিক খুনি, ধিক মৌলবাদ ।
আমি নীলাদ্রি নিলয়।
এ রকম অদৃশ্য খুনীদের ধরতে পুলিশ আন্তরিক নয়। বাবুর একজন খুনি ছিল হাট হাজারি মাদ্রাসার ছাত্র। দৃশ্য মান খুনি বানানের কারখানার দিকেও কেউ নজর দিচ্ছে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবারও মুখ খুলবেন না।
আনাসারুল্লাহ বাংলা টিমকে তিনি ভীষণ ভয় পান। কাজেই খুন হবার অপেক্ষা ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই।
তারপর ইসলাম কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হল? বোঝা যাচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠাকারিরা আজ বড্ড অসহায়। তাদের মতাদর্শ এতই রুগ্ন, দুর্বল যে হত্যা করা ছাড়া তাদের হাতে কোন অস্ত্র নেই।
নিলয় নীল হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মুক্তমনা ব্লগারদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনার যত শীঘ্রই সম্ভব দেশ ছাড়ুন। দেশ ছাড়লে আরেকটা দেশ পাবেন। জীবন গেলে আরেকটা জীবন পাবেন না।
ভোটের জন্যে ব্লগার হত্যাকারিদের শাস্তি না দেয়ার যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন শেখ হাসিনা তারই বলি নীলয় নীল। দেশের কোন আদালত মামলা নিবে না। তা না হলে শেখ হাসিনাকে ব্লগার হত্যা মামলার এক নাম্বার আসামী ধরে একটা মামলা করতাম।
ঘাতক জানে না আমাদের নীলকন্ঠী ফিনিক্স পাখী হুমায়ুন আজাদ, রাজিব, অভিজিৎ, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্তবিজয়, নিলয় নীল-রা বারেবারে ফিরে আসবেই। আমরা গভীরভাবে শোকাহত কিন্ত যারা বেঁচে আছি এ শোকই আমাদের শক্তি। আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধের সময় এসেছে।
এগুলোই চরম সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরই তৈরী করে রাখতে হবে।
খারাপ পরিস্থিতে কি করতে হবে আগে থেকেই ভেবে রাখুন। নিরাপদে থাকুন। এখন প্রতিরোধের সময়।
মক্ত মনের মানুষ বা প্রগতিশীলদের জন্য দেশ আর নেই, দেশ খুনি মোল্লা আর তাদের খুনের নিরব সমর্থক উল্লসিত মডারেট মুসলমানদের হয়ে গেছে।
দেশে যারা লিখছেন; আক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না, তার আগেই বাইরে থেকে যারা লিখছেন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। যোগাযোগ সূত্রের রেফারেন্স দিন।
এ ভাবে্ চলতে পারে না। মুক্তমনাদের সাংগঠনিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়ে এ জাতীয় হত্যার বিরুদ্ধে প্রবল আন্দালন শুরু করতে হবে।
মুক্তমনাদের বলবো, আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধের সময় এখন। একজোট হোন, সংগঠিত হোন। সরকার নিরাপত্তা না দিতে পারলে সেটা তারা স্বীকার করুক। কিন্তু প্রতিবাদ না করে বসে থাকা এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করাটা কোনো কাজের কথা নয়।
ব্লগার/লেখক হত্যা চলছে, চলবে, এ থেকে সহসা মুক্তি নেই। সরকার এইসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলে হয়তো পরিস্থিতি অন্যরকম হতো, কিন্তু সংশ্লিষ্টদের সাম্প্রতিক আচরণ আর বক্তব্যে একথা পরিস্কার যে সরকার আপাততঃ সে পথে হাঁটছে না। আর হাঁটবেই বা কেন? এইসব ব্লগারদের দিয়ে সরকারের কোন স্বার্থটা উদ্ধার হয়েছে? কাজের মধ্যে তো নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো; রাজনীতিকদের জন্য শর্তহীন ভক্তি-শ্রদ্ধাতো নেইই, আছে কেবল এটার সমালোচনা, সেটার বিরুদ্ধে যুক্তি-তর্ক আর মুক্তচিন্তার চর্চা (ভয়াবহ ব্যাপার!!)। এদের পাশে দাঁড়ালে বরং ইসলাম-বিরোধীতার গন্ধটা তীব্রভাবে গায়ে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনিতেই জনসমর্থন নিম্নগামী হতে হতে তলানীতে, এরপর ইসলাম-বিরোধী ট্যাগটা দৃশ্যমান করে পরিস্থিতি আরও জটিল করবে কোন আহাম্মক? তারচেয়ে ব্লগার নামের এই উটকো ঝামেলাগুলো দেশ, এমনকি ধরাধাম ত্যাগ করলেই সবদিক রক্ষা হয়। এর মধ্যেই ব্লগারদের পাশে না দাঁড়িয়ে ইসলামের ব্যাপারে আপোষহীন ইমেজটা বেশ পোক্ত করা গেছে। আর তাছাড়া এই পরিস্থিতিতে যারা এখনও ভোটের অধিকার বা বাকস্বাধীনতার পক্ষে মিনমিন করে কিছু বলার চেষ্টা করছে, তাদের কাছেও একটা ভাল মেসেজ গেছেঃ ক্ষমতার বাইরে থেকেও জামাত-শিবির পন্থিদের এতো দাপট, ক্ষমতায় গেলে তো একেবারে ঝাড়ে-বংশে উধাও করে দেবে……… অতএব সা্ধু সাবধান!
দেশের উগ্র-ধার্মিকদের কাছে ব্লগার-নিধন এখন পাখি শিকারের মতই সহজ……… তবু পাখি শিকার করতে গেলে আশেপাশের লোকজনের প্রতিরোধ বা পুলিশী হয়রানির সম্ভাবনা থাকে, এক্ষেত্রে সেটারও ভয় নেই!!
নিলয় নীলের হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সরকারের হুজুর-তোষন নীতির কারণেই চাপা ও চাপাতিবাদী জানোয়ার-বর্বরেরা সত্যান্বেষী মুক্তমনাদের একের পর এক হত্যা করে চলেছে। যাদের ট্যাক্স থেকে বেতন নিচ্ছেন, পরিবারের ভরণপোষণ করছেন, তাদের নিরাপত্তা নাদিতে পারলে, খুনিদের খুঁজে না ধরতে পারলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, IGP পদত্যাগ করুণ। খুনিদের অনতিবিলম্বে ধরা হোক। যে পুলিশ সদস্যরা নীলের GD নেয়নি তাদের প্রত্যাহার করে গ্রেফতার করে কারণ জানতে চাওয়া হোক। নিলয় নীলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।
এখন শুধু প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ করতে হবে । এটা কি জামাত-শিবিরের কাজ নয় ? গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যারাই সম্পৃক্ত তাদেরই খুন করা হচ্ছে । আনসার আল ইসলাম কি জামাত এর আরেকটি প্রতিষ্ঠান নয় ? লিখতে হবে , সংঘটিত হতে হবে সকলকেই এদের রুখতে ।
নইলে কাল হয়ত আমার বা আপনার পালা ।
বাংলাস্তান এখন আর দু:স্বপ্ন না, বাস্তবতা…
বারেবারে শঙ্কিত হচ্ছি, এরপর কে, নাকি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন, নাকি এভাবেই আমাদেরর সহযোদ্ধারা বলি হবেন।
He was my facebook friend.Nothing to say………….
গতকাল যখন বন্যা আহমেদের পোস্টে আমার মন্তব্য লিখছিলাম, তখন খুনীরা নিলয়কে মারার জন্য শান দিচ্ছিল চাপাতিতে। এবারে আর রাস্তায় নয়, একেবারে বাড়ীর মধ্যে ঢূকে। মুক্তমনাদের বলবো, আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধের সময় এখন। একজোট হোন, সংগঠিত হোন। অযথা তর্কে সময় নষ্ট করার সময় নেই আর।
ঠিক কথা…
আর কতো মৃত্যু আমাদের দেখতে হবে ?