সমকামীদের বিয়ের পক্ষে কথা বলেছেন, তো সেরেছে। বেশ কিছু কমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। সেই প্রশ্নগুলো এবং সেগুলোর সহজ “বাংলা” উত্তর নিয়ে একটা পোস্ট লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। এটা মূলত আমার ফেসবুকের পোস্টগুলোর কমেন্ট সেকশনে “জ্ঞানপিপাসু”-দের করা প্রশ্নগুলোতে আমার উত্তরগুলো নিয়ে সাজানো। আমাকে নতুন করে কোনো প্রশ্ন করার আগে এখান থেকে প্রশ্নোত্তরগুলো দেখে নেবেন দয়া করে। নতুন প্রশ্ন এলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজিয়ে দেবো।
ব্যক্তিগত আক্রমণকারী/ad hominem প্রশ্নকর্তাগণ
প্রশ্নঃ আপনি কি সমকামী?
উত্তরঃ আরে না রে ভাই, সমকামীদের পক্ষে কথা বললেই কাউকে সমকামী হইতে হয় না। ভোট দিচ্ছি, নির্বাচনে দাঁড়াই নাই। সমকামিতাকে ভোট দিতে গিয়ে বিষমকামিতাকে আবার বন্ধ করতে বলছি না। আমি দুটোকেই সমান চোখে দেখতে বলছি।
প্রশ্নঃ আপনার সন্তান যদি সমকামী হয়, মেনে নিতে পারবেন?
উত্তরঃ যারা সমকামিতাকে সমর্থন করে, তারা এটা জেনেবুঝেই করে যে – আমার আশেপাশে বন্ধু-বান্ধব, সন্তান, ভাই-বোন, এমনকি বাবা-মা’ও যদি কোনোদিন সমকামী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। যে এখন হুজুগে সমর্থন করে পরে পাশে দাঁড়াতে পারবে না, সে একটা হিপোক্রেট।
প্রশ্নঃ আপনার কাছে ভালোবাসা আর যৌন আকাংক্ষা পূরণ সমার্থক।
উত্তরঃ এখানে প্রশ্ন ভালোবাসা আর যৌন আকাংক্ষার না। প্রশ্ন হচ্ছে, অধিকারের। আপনার যদি নিজের সংগী খুঁজে নেয়ার অধিকার থাকে, ওদেরও আছে।
প্রশ্নঃ আপ্নারে আমার বন্ধুর খুব পসন্দ হইসে! আইজ রাইতে আইসেন!
উত্তরঃ আমারো তো আপনার বন্ধুকে পছন্দ হইতে হবে, নইলে ক্যামনে? মেয়ে বন্ধুদেরকে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিঃদ্রঃ সমকামী না হইলে সমকামীদের পক্ষে কথা বলে না কেউ – এই ধরনের হীন মানসিকতা পরিত্যাগ করুন।
ন্যাচারালিটির ভার রক্ষাকারী প্রশ্নসমূহ
প্রশ্নঃ সমকামিতা স্বাভাবিক না। এটা একটা বিকৃতি। এটাকে কিভাবে সমর্থন করা যায়?
উত্তরঃ বিকৃতি কী জিনিস? স্বাভাবিক কী জিনিস? এগুলো কে ডিসাইড করে? এগুলো একেক সমাজে একেকরকম। যেটা বিবেচনা করতে হবে (যে কোনো ক্ষেত্রেই), সেটা হলো – এতে কি কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে? যদি ক্ষতি না হয়, তাহলে এতে সমস্যা কোথায়? মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি শুধু একরকম না। স্বাভাবিকতাও একরকম না। চেয়ারেও বসা যায়, সোফাতেও বসা যায় – দুইটাই স্বাভাবিক।
অনেক কিছুই আগে স্বাভাবিক ছিলো না। আগে বাধা ছিলো – এই বর্ণের ছেলে ঐ বর্ণের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। এরপর এই ধর্মের মেয়ে ঐ ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না। অমুক জাতির ছেলে তমুক রেইসের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। এগুলো অনেকটাই সমাধান হয়েছে। অনেকটা বলতে কী বোঝাচ্ছি, ভালোই বুঝেছেন। আইনত বাধা নেই অন্তত।.তারপরেও ওপরের পুরো প্যারাগ্রাফটার মধ্যে একটা জিনিস স্পষ্ট। যেন ধরেই নিয়েছি – বিয়ে শুধু ছেলে আর মেয়ের মাঝেই হয়। এটা আমাদের অনেকের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা। আমরা বিয়ে বলতে ছেলে আর মেয়ের মধ্যেই বিয়ে বুঝি। ভালোবাসা এই সীমাবদ্ধতা মানে না। দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ (নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ) নিজেদের ইচ্ছায় একে অপরের জীবনসঙ্গী হতে চাইতেই পারে। এতে কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
প্রশ্নঃ ঠিক করে বলেন, সমকামিতা কি ন্যাচারাল?
উত্তরঃ Yes, it is, perfectly natural. সব ন্যাচারাল জিনিসই যে ভালো, তা কিন্তু বলছি না। ন্যাচারাল কিনা সেই প্রশ্নটা অবান্তর – ন্যাচারাল হলে কী, না হলেই বা কী। অনেক কৃত্রিম জিনিসও তো ভালো হতে পারে। But to conclude the answer, yes, it is natural. বেশি জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে – Is it harmful? যদি হার্মলেস হয়, তাহলে কেন এটাতে সমস্যা হবে?
প্রশ্নঃ সমকামীতা মানুষের মনের তৈরি ফ্যান্টাসী । তাছাড়া আর কিছু না । তাছাড়া এই ব্যাপারটা ভালবাসাও না । এটা শুদ্ধ ভাষায় বলতে গেলে সমলিঙ্গের প্রতি মানুষের মনের তৈরী ফ্যান্টাসী থেকে সৃষ্ট শারীরিক আকর্ষণ।
উত্তরঃ শারীরিক আকর্ষণ শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি হয় – এটা একটা সংকীর্ণ চিন্তা। ওরকম হলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণও ফ্যান্টাসী। এক ফ্যান্টাসি খারাপ না হলে একইরকম অন্য ফ্যান্টাসিটা খারাপ হবে কেন?
প্রশ্নঃ সমকামিতা ব্যতিক্রম। এটা মেনে নেয়া যায় না।
উত্তরঃ ব্যতিক্রম মানে হচ্ছে এরা সংখ্যায় কম। সংখ্যায় কম বলে এদেরকে দমন-পীড়ন করতে হবে, এদের অধিকার আদায় করতে দেয়া যাবে না। এটা কেমন কথা? আপনি সংখ্যায় বেশি বলে আপনার কথামত ওর সেক্স লাইফ পালন করতে হবে? সমকামিতা সংখ্যায় কম, কিন্তু এটা অস্বাভাবিকও না, মানসিক রোগও না। রাদারফোর্ডিয়াম নামক মৌলটা সংখ্যায় কম, কিন্তু অস্বাভাবিকও না, কোনো মৌলের বিকৃত রুপও না।
প্রশ্নঃ এটা জঘন্য একটা চিন্তা!
উত্তরঃ ১৮৬৪ সালে যখন আমেরিকাতে দাসপ্রথা রদ হয়, তখনও অনেকেই ফুঁসে উঠেছিলো। অথচ, আজ সবাই দাসত্ব প্রথার সত্যটা বোঝে। ১৯৬৫ তেও কৃষ্ণাঙ্গদেরকে ভোটাধিকার নিশ্চিত করায় অনেকেই রেগে গিয়েছিলো। বলেছিলো, “কেন নিগ্রোদেরকে ভোট দিতে দেয়া হবে?” অথচ আজ সেই যুক্তরাষ্ট্রেই, একজন কৃষ্ণাঙ্গ আজ প্রেসিডেন্ট। আজ থেকে ৫০ বছর পরে মুক্তচিন্তকরা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দেখানোর জন্য আরেকটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেবে। তখনও অনেক সংকীর্ণমনা ফুঁসে উঠবে। ওদেরকে ১৮৬৪, ১৯৬৫ এর পাশাপাশি ২০১৫ এর উদাহরণও দেখানো হবে।
আজ সমকামিতা, কাল পশুকামিতা – এই Slippery Slope ফ্যালাসিতে আক্রান্ত প্রশ্নকর্তাগণ
প্রশ্নঃ আজকে সমকামিতাকে সমর্থন করলে কালকে পশুকামিতা শুরু হবে। এই ব্যাপারে কী বলবেন? সেটাও সমর্থন করবেন?
উত্তরঃ একটা পশু যদি স্বজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে আপনার সাথে যৌন সঙ্গম করতে রাজি হয়, করুন গিয়ে। আমার আপত্তি নাই। তবে হ্যাঁ, পশুকে এটা বুঝতে হবে যে আপনি কী চাইছেন, এবং তাকে রাজি থাকতে হবে। পশুকেও ধর্ষণ করা যাবে না, যেমনটা করা যাবে না মানুষকেও।
প্রশ্নঃ পশুপাখিরাও সমকামী হয় না। সমকামীরা পশুর চেয়েও অধম।
উত্তরঃ ওরে ভাই, বায়োলজি পড়েন গিয়ে ঠিকমত। অনেক অনেক প্রাণীর মধ্যেই সমকামিতা দেখা যায়। ছোটো প্রাণী থেকে শুরু করে বড় প্রাণী – অনেক প্রাণীর মধ্যেই এই উদাহরণ আছে।
ধর্ম গেলো, ধর্ম গেলো
প্রশ্নঃ সমকামিতা পাপ। এটা যে কত বড় পাপ মুসলিম ধর্মে, তা তো নিশ্চয় জানেন। হোক হাজার রিজন!
উত্তরঃ পাপ মানে কী? কারো ক্ষতি করা হচ্ছে পাপ। যাতে কারো ক্ষতি হচ্ছে না, সেটা পাপ না। আপনি ওদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে ওদের ক্ষতি করলেই বরং আপনি পাপী হবেন। কোনো কিছু ধর্মে আছে বলে সেটাকে সারাজীবন মেনে যেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। পরিবর্তনশীল বাস্তবতার সাথে আমাদেরকে বারবার মানুষকে মানুষ হিসেবে সনাক্ত করতে পারতে হবে।
প্রশ্নঃ সমকামীদের ওপরে আল্লাহর অভিশাপ নাজিল হবে। ওদেরকে সমর্থন দিলে আমাদের ওপরেও আযাব নেমে আসবে।
উত্তরঃ আল্লাহর বুঝি আর খেয়েদেয়ে কাজ নাই? ওর বান্দা সমকামী হইলে ওর সমস্যাটা কোথায়? ওর বান্দারা খুন করে, ধর্ষণ করে, রাহাজানি করে, এজন্য তো আযাব নেমে আসে না। কারো ক্ষতি না করে নিজেদের ভালোবাসা বা কাম চরিতার্থ করলে আল্লাহর সমস্যা কেন হবে?
প্রশ্নঃ আল্লাহ বলেছেন, সমকামিতা খারাপ। আমি সেটাতে বিশ্বাস করি।
উত্তরঃ কে কী বিশ্বাস করলো, সেটা দিয়ে তো নৈতিকতা যাচাই করা যায় না। আপনার, আমার – কারো বিশ্বাসেরই কোনো মূল্য নেই। এগুলো যাচাই করতে হবে ঐ এক রুল দিয়ে – এটা কারো কোনো ক্ষতি করছে কি না। বিশ্বাস তো কিছুরই মাপকাঠি হতে পারে না।
প্রশ্নঃ বিশ্বাস দিয়ে যদি কোনো লাভ না হয়, তাহলে এটা কেন বিশ্বাস করেন যে, জন্মের পর যাকে বাবা বলে দেখানো হয়েছে সেই আপনার বাবা? ডিএনএ টেস্ট করাইসেন?
উত্তরঃ আমার বাবা আসলেই আমার বাবা কিনা, সেটা সত্যি বলে ধরে নিলেই কী, মিথ্যা বলে ধরে নিলেই কী? তাতে মহাবিশ্বের কী এসে যায়? আর জন্ম দিলেই কেউ পিতা হয় না। আমি তো দেখেছি, তাকে সারাজীবন আমাকে খাওয়ানো পরানোর জন্য কষ্ট করতে। সেটা একটা শুক্রাণু দানের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ এত কথা বলে সমকামিতাকে হালাল করা যাবে? এটা পুরাই অনৈতিক।
উত্তরঃ হালাল কী? হারাম কী? নৈতিকতা কী? এগুলো না বুঝে প্রশ্ন করতে এলে হবে? যাতে কারো ক্ষতি হয় না, তাই হালাল। যাতে কারো কিছু নষ্ট হয় না, তাই নৈতিক। আপনি ওদের অধিকার হরণ করে ওদের ক্ষতি করেন, আপনিই অনৈতিক!
প্রশ্নঃ ভাই, নীতি একটার কথা বলেন। হয় বিষমকামী, নইলে সমকামী!
উত্তরঃ আরে আলামত! কেন এক নীতিতে থাকতে হবে? দুনিয়ার সবাইকে ভাত খাইতে হবে – এটা কি এক নীতি? কেউ রুটি খাইতে পারবে না? আর আসলে আমি এক নীতির কথাই বলছি – যদি নারী+পুরুষের বিয়ের অধিকার থাকে, সমকামীদেরও বিয়ের অধিকার থাকা দরকার। নীতি একটাই, সবার অধিকার আছে নিজের সংগী খুঁজে নেয়ার। সেই নীতি লিঙ্গের ওপর ডিপেন্ড করবে না।
প্রশ্নঃ আল্লাহর বানানো দুনিয়াতে বসে এতো বড় বড় কথা বলতে লজ্জা লাগে না?
উত্তরঃ oops……. সমকামী এলান ট্যুরিং এর বানানো প্রথম মডার্ন কম্পিউটারের বংশধর ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে বসে, সার্নের নাস্তিক বিজ্ঞানীদের বানানো ইন্টারনেট লাগিয়ে, নাস্তিকের ফেসবুকে এসে সমকামী আর নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে লজ্জা লাগে না?
জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তিত চিন্তাবিদ
প্রশ্নঃ একটা স্বাভাবিক ছেলের পক্ষে আজীবনেও একটা সন্তান প্রসব করা সম্ভব নয়। তাহলে সমকামী হয়ে লাভ কী? অথবা সমকামী পুরুষদের জন্য দুঃসংবাদ ___ তারা জীবনেও মা হতে পারবে না।
উত্তরঃ বাচ্চা পয়দা করতেই হবে; না করলে ভালোবাসা সার্থক হবে না – এটা কী ধরনের যুক্তি? তাহলে যে দম্পতি বাচ্চা চেয়েও নিতে পারছে না কোনো সমস্যার কারণে, ওদের ভালোবাসা কি ব্যর্থ বা অপ্রয়োজনীয়?
প্রশ্নঃ সবাই যদি এই রীতিতে আকৃষ্ট হয়ে এই পদ্ধতি গ্রহণ করে তাহলে জনসংখ্যা কই যাবে ভেবেছেন?
উত্তরঃ সবাই এই পদ্ধতিতে আকৃষ্ট হবে না। আপনি সমকামী নন, আপনি কি আকৃষ্ট হচ্ছেন সমকামী হবার জন্য? ব্যস, খেল খতম। যদি কেউ আকৃষ্ট হয়, তাহলে বুঝতে হবে – তার ভেতরে আগে থেকেই সমকামিতার বীজ ছিলো। নিজেকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছিলো এতোদিন।
প্রশ্নঃ একবারও কি ভেবেছেন সবাই যদি এই রীতিতে চলে তাহলে পৃথিবী মনুষ্যবিহীন হয়ে যেতে কত সময় লাগবে?
উত্তরঃ আরে কী আশ্চর্য! আপনাকে কি কেউ সমকামী হতে বাধ্য করছে? যার যেটা ইচ্ছা, সে সেটা করবে। মানবসভ্যতা বিলুপ্তির প্রশ্ন আসছে কেন? আপনি সমকামী নন, আপনাকে কেউ সমকামী হতে বলছে না। আপনি কেন আপনার প্রেফারেন্স ওদের ওপর চাপিয়ে দেবেন? আপনি ফুলকপি খান না, বাঁধাকপি পছন্দ। কেন আপনাকে ফুলকপি খেতেই হবে? পৃথিবীর সবাই কেন আকৃষ্ট হবে বলে ধরে নিচ্ছেন। এই এজাম্পশনের ভিত্তি কী?
প্রশ্নঃ এখন আমেরিকার সরকার এটার বৈধতা দিয়েছে। এর ফলে জনসংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকলে আপনি কি মনে করেন না যে তখন আইনীভাবে এটা নিষিদ্ধ করবে না? আর তখন যদি আইনিভাবে নিষিদ্ধ করার দরকার হয় তাহলে এটাকে এখন আইনি বৈধতা দেওয়ার কী দরকার?
উত্তরঃ এখন যেহেতু জনসংখ্যার বৃদ্ধির কথা চিন্তা করে এই রায় দেয়া হয়নি, জনসংখ্যা কমতে থাকলে এটাকে বাতিল করা হবে না। এই রায় দেয়া হয়েছে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। কারো ক্ষতি না করে নিজের সুখ আর ভালোবাসার অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়া দোষের কিছু নয় – সেই দৃষ্টিকোণ থেকে – দৃষ্টিভঙ্গি বড় করার প্রেক্ষাপট থেকে।
প্রশ্নঃ বলতে চাইছেন – kill the baby before they are born?
উত্তরঃ কত মানুষ হস্তমৈথুন করে নালায় বীর্য ফেলে দিলো, তখন বেবি আনবর্ন কিনা সমস্যা হয় না। এখন এই প্রশ্ন কেন আসে? ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? আপত্তি আসলে ছোটোবেলা থেকে দেখে আসা কালচারের সাথে মিলছে না বলে আসছে
সমকামীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কি কোনো উপায় নেই?
চমৎকার লেখা। সমকামিতা অধিকারের কথা উঠলে আমাকে যে বিষয়টা বারং বার শুনতে হয় সেটা হোলো আমি কেন সমকামিতা প্রোমোট করছি। বোঝানো মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় যে কোন কামিতাই আমি প্রোমোট করি নে।
If a normal child is developed with the homosexual idea, eventually he/she will be converted biologically and mentally. So is it expected or not? It can be intrigued in anyway to human mind as the way perverted mind may develop in time though he/she was not born this way.
আমার এক ফ্রেন্ড RU তে সঙ্গীতে তে পড়ে কিন্ত সে বাইসেক্সুয়াল ।প্রথমে সে ছিল আমার ফ্রেন্ড এর ফ্রেন্ড।তার আমার মধ্যে কোন পরিচিত ছিল না।কিন্ত ঐ প্রথম দেখা ও পরিচিত হওয়ার পরে ঐ রাতেই আমাদের একই সাথে রাতে শুতে হয়।কিন্ত মধ্য রাতে সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ইনিশিয়েট করতে থাকে।কিন্ত আমি সমস্ত কিছু বিবেচনা কনে সে যা করতে চায় দিলাম।কিন্ত আমি যেহেতু হ্যাটারোসেক্সুয়াল তাই তাকে বিজ্ঞান চিত্রাাগদা মুভি যা দিয়েই বুঝাতে চেষ্টা করি সে বুঝতে চায় না যেহেতু সে সাইন্সএর ছাত্র না।সে বলে” সে আমার প্রেমে পড়ে গেছে ঐ দিন থেকে “।কিন্ত আমার মধ্যে যেহেতু কোন আকর্ষন নেই তার জন্য তার কথায় কেমন বিরক্তি লাগে, তবুও যতটুকু ঠান্ডা মস্তিষ্কে বোঝানো যায় চেষ্টা করি,,
গুরুচণ্ডালী ফেসবুক পেজে একটা আলোচনায় লেখাটা শেয়ার করছি। অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। অনুমতি না নেওয়ার জন্য দুঃখিত।
সমকামিতা নিয়ে এত কথা বলার কী আছে? সমকামী হোক আর যেই কামী হোক, পরস্পর আকর্ষিত হয় শরীরের ভিতরে থাকা হরমনের জন্য হয় । হরমোন কে তৈরি করেছেন? নিশ্চয় এটা বলে দিতে হবে না যে যার অঙ্গুলি হলনে গোটা ব্রহ্মাণ্ড পরিচালিত হয় । তার নাম করণ করেছি সার্বজনীন ঈশ্বর । আমি দেখছি এই সামান্য মনুষ্যজাতি সেই মহান সর্বজনীন ঈশ্বরের উপর মাতব্বরি করছে । একটা নারী ও পুরুষ যখন যৌনতা করে তাকে আমরা বলি বিভেদকামী । তাদের বিশেষ হরমোনের জন্য তারা পরস্পর আকর্ষিত হল । আবর যখন নারী নারীতে, পুরুষ পুরুষে যৌনতা করে তখন আমরা বলি সমকামী । এই সমকামীতাও এক বিশেষ হরমোনের জন্য হয়ে থাকে । অর্থাত্ এটাও ন্যাচারাল । ঐ হরমোন আমরা তৈরি করতে পারি না । সুতরাং সমকামীতার উপর আমরা কোন রায় দিতে পারি না । সমকামীদের বিয়ের ব্যবস্থা করে সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক । হে মনুষ্যজাতি
মহান সর্বজনীন ঈশ্বরের উপর মাতব্বরি করবেন না । ফল ভালো হবে না ।
মাসুম বাবুর লেখাটি ও তাঁর লেখার বিষয় বস্তু ভালই লাগলো । আমি তাকে সমর্থন করেও কিছু বিষয় বলতে চাই । আমাদে সমাজ জীবনে ও ব্যাক্তি জীবনে এমন কিছু ধ্রুব সত্য আছে যা গোপনেই বাস । এমন অনেক কিছু আছে যা গোপনে থাকাই ভাল , প্রকাশ্যে এলে অনেক সমস্যা হয় বা হবে । যেমন ধরুন আমাদের মধ্যে এমন খুব কম নারী পুরুষ আছে, যারা হস্ত মৈথুন বা বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে যৌন সম্বন্ধ করেন নাই । কিন্তু চার রাস্তার মাঝে এর সমর্থনে কথা বলা অসুবিধা আছে , পাছে সমাজের সামনে আমার ভাল মুখটা খসে পরে । সমাজ জীবনে ভাল থাকাটা জরুরী , নাহলে অনেক সমস্যা । যেমন ধরুন আমি সমকামিতাকে সমর্থন করলেও বিবাহ-টাকে সমর্থন করতে পারছি না । আমার মনে হচ্ছে আমার যেমন সন্তান আছে , আমি সারাদিন পরিশ্রম করে , যখন ফিরে আসি আমার ছেলে বাবা – বাবা করে দউরে আসে আমায় জড়িয়ে ধরে তখন আমার সব কষ্ট গলে জল হয়ে যায় । বড় হয়ে আমার বৃদ্ধ বয়সে সেবা করবে কিনা জানি না । কিন্তু আমি আশা রাখি , যখন আমি আর কোন কাজ করতে পারব না ও আমায় দেখবে । ওর ছেলে মেয়েদের নিয়ে খেলা করব , আমার শিশু কালে ফিরে যাবো । এমন ভাবে সেও জীবন কাটাবে । কিন্তু ও যদি সমকামী হয়ে যায় তখন কি হবে ? আমকেই বা কে দেখবে অকেইবা কে দেখবে ? আচ্ছা বলুনতো আমরা কি আমাদের সন্তানদের জন্য অনেক আশা – আকাঙ্খা , ভালবাসা- ভাললাগাকে কি বলি দিই না ? দিতে হয় । শুধু ব্যাক্তিগত আনন্দকেই প্রাধান্য না দিয়ে সংসারে অন্নেরও ভাললাগা না লাগাতার গুরুত্ব থাকা দরকার । সমাকামিতার বিবাহে কেবল দুইজনের সুখ হয় , কিন্তু বিপরিত লিঙ্গের বিবাহে অনেকের সুখ হয় । যে কোন কাজ করতে হলে , কিছু মানুষের ভালো ও কিছু মানুষের খারাব হয়। ধরুন কোথাও নদী বাঁধ দিলে, কিছু মানুষে ক্ষতি হয় কিন্তু বিপুল মানুষের উপকার হয় । তাবলে বাঁধ দেওয়া বন্ধ হয় না । এটা ধর্মীও বা একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয় নয় , এটা পারিবারিক কর্তব্য ও ভালবাসার বিষয় । সমকামী বিবাহিত সন্তান আর নিসন্তান একই, সমাকামিতা ও সমকামী বিবাহ এক জিনিস নয় । তবে যার যেটা ইচ্ছা সে তাই করুক , এ স্বাধিনতা থাকা দরকার । আবার তাঁরা যেটা করতে চাইছে তাঁর ভালো মন্দ দিকটাও ভেবে দেখা দরকার । সব জিনিসেরই ভালো ও মন্দ দিক আছে ।
সন্তানের কথা ভেবে, বা ভবিষ্যতে আমাকে কে দেখবে, সেই কথা ভেবে তো আর নিজের ওরিয়েন্টেশন জোর করে পাল্টানো যায় না। দত্তক নেয়ার ব্যবস্থা তো আছেই। নীল প্যাট্রিক হ্যারিস আর তার বয়ফ্রেন্ড তো তাই করছে, and I am sure they will turn out to be great human being.
“শুধু ব্যাক্তিগত আনন্দকেই প্রাধান্য না দিয়ে সংসারে অন্নেরও ভাললাগা না লাগাতার গুরুত্ব থাকা দরকার ।”
নকুল্ বাবু, এই যে আপনার কথাটি এইটেই আপনার যুক্তি কে সম্পূর্ণ খন্ডন করলো। আপনি-ই তো কেবল আপনার ব্যক্তিগত আহ্লাদ ও নিরাপত্তার জন্য সমকামি দের গোটা জীবনটাই নষ্ট করে দিতে বলছেন। আর বিষমকামি মানুষ যদি বা-মাকে বয়েসঅকালে দেখতে পারে তবে সমকামি রা দেখবে না বা দেখতে পারেই না এরকম ধারনা কি করে হোলো? হ্যা জৈবিক নাতি নাতনি তারা আপনাকে দিতে পারবে না। কিন্তু সে যদি অকৃতদার হয়? তাহলেও তো সে আপনাকে নাতি নাত্নি দিতে পারবে না। সে অর্থে বিবেকানন্দ ও তার বাব মাকে নাতি নাতনি দিতে পারে নি। কিন্তু তার সম্বন্ধে আমরা কখন বলি না যে তিনি এটা উচিত কাজ করেন নি। বা বিয়ে না করা কে আমরা হীন চোখে দেখিও না। বলিনা সেটা অন্যায় বা অনুচিত। নৈতিকতার প্রশ্ন উত্থাপন করিনে। এইটা কেমন যুক্তি হোলো?
মুক্তমনায় স্বাগতম।
সহজ, সাবলীল ও দরকারী নোট। চলুক ?
পুনশ্চ: মুক্তমনা’র ব্যানারটি বাংলা ভাষার পুরো কমিউনিটি ব্লগকেই চমকে দিয়েছে।
জয়তু মুক্তমনা।
তথ্যবহুল লেখাটা পড়ে ভালো লাগল। আরো ভালো কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি বলেছেন যে , হস্তমৈথন করে যখন মানুষ নালাতে বীর্য ফেলে দিচ্ছে সুতরাং সমকামিতা করলে কি সমস্যা । যদিও এই কথা টা ভুল নয় কেননা দুটোতেই বীর্য নালাতেই ফেলার মতোই । কেননা তা কোন কাজে আসবেনা। আমি বলছি প্রতিটি মানুষকে তার সঙ্গী নির্বাচন করতে দেওয়া হোক ছেলে কিংবা মেয়ে। কেউ যদি ছেলেতে ছেলেতে বা মেয়েতে মেয়েতে সঙ্গম করে ভালো থাকে তাতেও আমার আপত্তি নাই । কিন্তু আপনি তো জানেন, সমকামীদের এইডসের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি । যদি এটাকে মেনে নেওয়া হয় তাহলে কি এদেশে এইডস বৃদ্ধির হার বেড়ে যেতে পারে না ।
AIDS বা STD আটকানোর পদ্ধতিগুলো নিলেই তো হয়।
রক্ত নিলে বা দিলেও এইডস ছড়াতে পারে। এটা আসলে কোনো অজুহাত না। আরো অনেক ভাবেই ছড়াতে পারে। মূল যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে সকল যৌনবাহিত (শুধু এইডস না, সবগুলো) রোগের বিরুদ্ধেই সতর্ক থাকতে হবে। আর এটাও বুঝতে হবে, সমকামিতা কিন্তু এইডসের কারণ না।
চমৎকার একটা কাজ। নিজেই আমি এমন একটা লেখা লিখবো ভেবেছিলাম, কিন্তু এটাও মন্দ হয় নি, যদিও ধরনটা কিছুটা আলাদা।
মুক্তমনায় স্বাগত। কলম চলুক।
লিখে ফেলুন না। ধরন যেহেতু আলাদা, আরেকটা জিনিস থাক।
সময় উপযোগী একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
🙂
যারা আজকে মানতে পারছে না তারাও একদিন এটা সমর্থন দিবে।
Amen!
মুক্তমনায় স্বাগতম, মাসুম। ভাল লাগলো তোমাকেও এখানে লিখতে দেখে। এরকম প্রশ্নগুলো নানা আঙ্গিকের উত্তরসহ জড়ো করে রাখা ভাল। আর কিছু না হোক, সমমনারা কী ভাবছেন বা কী উত্তর দিচ্ছেন সেটা জেনে নেয়া যায়।
আজকে যেমন একজন দেখলাম লিখেছেন, “এই বঙ্গদেশের যারা আজ রেইনবৌ তারা কি নিজের ছেলে/মেয়ের সমকামিতা আনন্দের সাথে নেবেন?”
আমার উত্তর এটা ছিল-
“আমার সন্তান ভালবেসে কাউকে জীবনসহচর হিসেবে বেছে নিলে আমি তাতে পূর্ণ সমর্থন দিবো। যদি সে সমকামী হয়, এবং সমাজ ও রাষ্ট্র দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে আমি তাকে রক্ষা করবো। শুধু তাই না, আর দশজনের মত সমান অধিকার যেন সে পায়, সেই আন্দোলনে আমি সামিল হবোই।
আমার সন্তান নারী হিসেবে নিগৃহীত হলে আমি তার পাশে দাঁড়াবো। নাস্তিক হলেও তাকে চাপাতির কোপ থেকে বাঁচাবো। পহেলা বৈশাখ বা বইমেলায় তাকে নিয়ে যাব। কোন চৌদ্দশ বা দুই হাজার বছর আগের বই ও নিয়ম আমাকে আমার সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও তাকে রক্ষার চেষ্টা থেকে থামাতে পারবে না।”
হ্যাঁ, অবশেষে চলেই এলাম। রায়হান ভাইয়ের আদেশে সুড়সুড় করে ঢুকে পড়লাম।
চমৎকার উত্তর, কাঁপিয়ে দিয়েছেন। হোমোফোবিকদের প্যাটার্ন হচ্ছে, একটা প্রশ্নের কড়া এবং সুন্দর জবাব পেয়ে তর্ক থামাবে না। আরেক প্রশ্ন করবে, এরপর উত্তর পেলে আরেকটা। আসলে সমস্যা যখন “জাস্ট-ভালো-না-লাগা” অথবা “জাস্ট-উনি-বলেছে-অমুক-বইতে”, তখন নতুন নতুন বাহানা বানাতে সমস্যা হয় না।
সেই থ্রেডে আরেকটি চমৎকার উত্তর পেলাম, শেয়ার করছি। তর্কের এক পর্যায়ে অপর পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠলো, “সমকামীরা অভিভাবক হিসেবে বাচ্চাকে অ্যাবিউজ করলে কে ঠেকাবে? তাকে তো লিগাল গার্ডিয়ান করে দেয়া হয়েছে। বাচ্চা নাবালক থাকা পর্যন্ত যদি কোনরূপ অত্যাচারের শিকার হয়, তাহলে সেটার দায় কি সমকামিতা নিবে?”
একজন উত্তর দিলেন, “কোন পরিবারে বাবা-মা বাচ্চার ওপর অত্যাচার করলে কি প্রথমে এইটা ভাবেন যে তারা হেটারোসেক্সুয়াল? নাকি ভাবেন যে তারা “পাষণ্ড, বাবা-মা হবার অযোগ্য”? সমকামীদের মধ্যেও ভাল খারাপ মানুষ আছে, কেউ বাচ্চাকে অ্যাবিউজ করলে সে জঘন্য একজন মানুষ। তার শাস্তি দাবি করি। পিরিয়ড।
কিন্তু আপনি যদি অ্যাবিউজিভ বাবা-মায়ের হেটারোসেক্সুয়ালিটিকে কারণ না ধরেন, তাইলে হোমোসেক্সুয়ালিটিকেও কারণ ধরতে পারেন না। সেক্সুয়াল প্রেফারেন্স কখনই মানবতার প্রি-রিকুইজিট না!”
(উত্তরটা ভাল লাগছে)
🙂 স্বাগতম।
কথা তো হচ্ছিল সমকামিতা নিয়ে। নাস্তিকতা এলো কোথা থেকে।
উপর থেকে; মূল লেখা থেকে। ভাল করে পড়ুন। উদ্ধৃতি দেখুন। ধন্যবাদ।
মুক্তমনায় স্বাগতম এবং অভিনন্দন এই চমৎকার চিন্তাজাগানিয়া লেখাতির জন্য।
চমৎকার একটা লেখা পড়লাম, লেখককে ধন্যবাদ এবং মুক্তমনায় স্বাগতম।
ভালো লিখেছেন।
কিন্তু এমন অনেকে আছেন, যারা সমকামিতা মানতে পারলেও সমকামী বিবাহ মানতে পারেন না। এই মুহুর্তে মুক্তমনার প্রথম পাতায় আপনার পরের পোস্টটাই তেমন মতামত নিয়ে। এই লেখাটায় সেই অ্যাঙ্গেলটা কভার হয়নি। সেসব প্রসংগ ও প্রশ্নের উত্তর যুক্ত করলে লেখাটা পূর্ণতা পাবে। বিশেষ করে প্রথম লাইনে আপনি বিবাহের প্রসংগ এনেছেন।
অনুবাদ নিয়ে আপনার কাজ অনেকদিন ধরেই মুগ্ধতা নিয়ে অনুসরন করছি। মুক্তমনায় স্বাগতম। 🙂
আমার কাছে এমন কোনো প্রশ্ন আসেনি এখন পর্যন্ত। হয়তো আমাকে যারা প্রশ্ন করেছে, তারা এটুকু লিবারেলও না, এজন্য হয়তো। এলে যোগ করে দেবো।
সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ। অনুবাদ কাজগুলোর ব্যাপারে জানার জন্যেও 🙂
মুক্তমনায় স্বাগতম মাসুম। আশাকরি নিয়মিত লিখবেন।
সময় পেলেই লিখবো। চমৎকার একটা প্ল্যাটফর্মের জন্য প্রতিষ্ঠাতা (sigh!) এবং সকল সম্পাদককে ধন্যবাদ।