( অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ কিংবা অভিজিৎ রায়কে হত্যা ক’রে কি সত্যান্বেষণ থামিয়ে রাখা যাবে? “কোপ দিয়ে গলা কাটা যায়, কিন্তু কণ্ঠস্বরকে দমানো যায় না”। তাই ধর্মকে জানতে অকুতোভয়ে প্রশ্ন করুণ, সমালোচনা-আলোচনা করুণ, অনৈতিক-অমানবিক-অযৌক্তিক-অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস তথাকথিত ধর্মগ্রন্থে লিপিবদ্ধ থাকলেও প্রশ্ন করুণ। বলুন- “ সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”।)
(১)
ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি,“ যাহা নাই মহা-ভারতে, তাহা নাই ভারতে”। অনেকেই আবার জ্ঞানগম্ভীর স্বরে বিজ্ঞপন্ডিতের মতো বলতেন, এখানে শেষের “ভারত” মানে কিন্তু পৃথিবী। অর্থ্যাৎ মহাভারতের কাহিনীর বিশালত্ব বোঝাতে সারা পৃথিবীকে সারা “ভারত” হিসেবেই মান্য কিংবা গন্য করা হতো। এটা তর্কের খাতিরে সঠিক ধরে নিলে আরেকটি নির্মম সত্যকেও মেনে নেয়া হয় যে, মহাভারতে ভারতের চেয়ে অনেক অনেক গুন বিশাল পৃথিবীর (ভারত ব্যতিত) প্রকৃতি ও মানুষের কথা এক বিন্দুও নেই।
মহাভারতের কাহিনী ভারতবর্ষের তখনকার সময়ের এক কাব্যিক বা মহাকাব্যিক বর্ণনা। সেখানে তাই ভারতবর্ষের বাইরের অন্যান্য স্থানের প্রকৃতি, মানুষ ও সমাজব্যবস্থার বর্ণনা না থাকাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখনি যখন এ মহাকাব্যের কোন চরিত্রকে সর্বজ্ঞানী ও সর্বদ্রষ্টা ঈশ্বর কিংবা ভগবান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয়। কেননা, তখন এই সর্বজ্ঞানী ও সর্বদ্রষ্টার দৃষ্টি ও জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতেই পারে?
শুধু মহাভারত কেন, সে সময়ে রচিত আরেক মহাকাব্য রামায়ণ, সেখানেও তখনকার বৃহত্তর ভারতবর্ষের ( বর্তমানের শ্রীলঙ্কাসহ ) বাইরের অন্য কোন জায়গার উল্লেখ নেই। এটা শুধু রামায়ন কিংবা মহাভারতের ক্ষেত্রেই নয়, তারও এক-দেড় হাজার বছর আগের যে প্রাচীন গ্রন্থ বেদ, যাকে অনেকেই একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ( যাঁদের সময়ের পরিবর্তণে হিন্দু বলা হয়ে থাকে) ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মনে করেণ, সে চতুর্বেদের কোথাও ভারতবর্ষের বাইরের মানুষ, প্রকৃতি,পশু-পাখি, জীবজন্তু, সমাজব্যবস্থা, সভ্যতা, আচার-ঐতিহ্য কোন কিছুরই উল্লেখ নেই। অথচ বেদেরও প্রায় হাজারখানিক বছরের পুরানা দক্ষিন আমেরিকার মায়াসভ্যতা ( খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০) কিংবা ভারতবর্ষ থেকে বেশী দূরে নয় মিশরিয় সভ্যতা (খ্রিষ্টপূর্ব ২৮০০/২৯০০)। বেদ, রামায়ণ,মহাভারত এ সমস্ত গ্রন্থপুরাণে ভারতের বাইরের কোন মানুষজনের অস্তিত্বের কথাও আকার ইংগিতে উল্লেখ নেই; অথচ পরিকল্পিত স্বর্গ কিংবা নরকের আনুলম্ভিক ঊর্ধ্ব কিংবা অধঃ অবস্থানের ঠিক-ই উল্লেখ আছে; নেই শুধু আনুভূমিক অন্যপ্রান্তের মানুষের কথা।
তাই যাঁরা এ সমস্ত গ্রন্থে উল্লেখিত কোন চরিত্রকে দেব-দেবী কিংবা ঈশ্বর-ভগবান হিসেবে মান্য-গন্য করতে চান, তাঁরা তাঁদের আরাধ্যের সাথে সর্বজ্ঞানী,সর্বদ্রষ্টা,সর্বজনীন, সর্বমানুষের স্রষ্টা –এ সকল গালভরা ভারী কথার বিশেষণ বসানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত ভেবে দেখবেন। কেননা, তাঁদের সর্বদ্রষ্টার রাডারে ভারতবর্ষের বাইরের কিছুই ছিল না, এখনো আছে কিনা কে জানে?
(২)
সময়ের হিসেব করলে চতুর্থ (অথর্ব) ও প্রথম (ঋক)বেদের রচনাকাল খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০/১৩০০; আর মহাভারত ও রামায়নের রচনা কাল খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে খ্রিস্টাব্দ ২০০/৩০০ কিংবা মতান্তরে রচনাকালের একটু-আধটু হেরফের হতে পারে। তবে এ প্রাচীন গ্রন্থগুলো যে কয়েক হাজার বছরের পুরানো সে ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। কিন্তু আরেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ( যাঁদে্রকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বলা হয়) তাঁদের ধর্মীয় গ্রন্থ, যার নাম “কুরআন” কিংবা “আল- কুরআনুল করীম” কিন্তু সে তুলনায় অনেক অনেক সমসাময়িক (কন্টেম্পোরারি) কালে রচিত বা অবতীর্ণ, যাই বলি না কেন। সময়ের হিসেবে সে সময়কাল খ্রিস্টাব্দ ৮/৯ শতক।
ইসলাম ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় গ্রন্থটির কোথাও কিন্তু মুসলিম,ইহুদি,খৃষ্টান বা বিধর্মী কাফের (মূলত যাঁরা সে সময়ে আরবে মূর্তিপূজক)ব্যতিত অন্য কোন সম্প্রদায়, অন্য কোন দেশ-কাল-স্থান, অন্য কোন সভ্যতা-ইতিহাস-সংস্কৃতি-কৃষ্টি-ঐতিহ্য কিছুরই উল্লেখ নেই। এমনকি সে সময়ে আরবের অনতিদূরের সভ্যতার কথাও উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই ভারতবর্ষের কথা। উল্লেখ নেই ইউরোপ কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার কথাও।
অনেক ইসলামী চিন্তাবিদকে বলতে শুনি এক হাদিসের কথা, সেখানে উল্লেখ আছে জ্ঞানার্জণের জন্য সুদূর চীন দেশেও যাও। অথচ চীনের চেয়ে অতিকাছের মিসর কিংবা ভারতবর্ষ তখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক সোনালী সময় অতিক্রম করছে। উল্লেখ করার মতো শুধু একটি ঘটনার কথাই বলা যায়। এ ধর্মীয় গ্রন্থটি রচিত কিংবা নাজেল হওয়ারও প্রায় ৪শ’ বছর আগেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে সুদূর চীন দেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে লেখাপড়া কিংবা জ্ঞান ও বানিজ্য বিনিময় করেছেন। আরবের একেবারে ঘরের কাছেও ছিল অনেক সমৃদ্ধশালী সভ্যতা। সে সবের উল্লেখ কোথাও নেই। উল্লেখ নেই ভারতবর্ষ, আফ্রিকা, এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসকারী অন্য কোন মানবসম্প্রদায়ের কথাও। শুধু উল্লেখ আছে এলাকায় অবস্থিত ইহুদি, খৃষ্টান ও আরবের মূর্তিপূজকদের কথা, যাঁদের সাথে ছিল নবীজী ও তাঁর গোত্রের বিবাদ-বিসম্বাদ।
(৩)
পূর্বেও যে কথা বলেছি এখানেও তাঁর পূনরোক্তি করা যেতেই পারে। স্রষ্টা যদি সর্বজ্ঞানী, সর্বদ্রষ্টা ও সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন, তবে তাঁর প্রেরিত গ্রন্থ এত আঞ্চলিকতা ও বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ কেন? পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মানুষ, যাঁরা বাস করে সুদূর দূরে, যাঁরা এ নতুন অবতীর্ণ হওয়া স্রষ্টার অগোচরেই বিশাল বিশাল নগর-সভ্যতা-সংস্কৃতি সৃষ্টি করে চলেছেন হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই, তাঁদের কি আর নতুন করে নতুন স্রষ্টার দরকার আছে? যদি এ নতুন স্রষ্টাকে ছাড়াই এত কিছু ঘটে যেতে পারে, তবে তাঁকে এক, অদ্বিতীয়, সর্বজ্ঞানী, সর্বদ্রষ্টা কিংবা সর্বশক্তিমান বলবেন কোন্ যুক্তিতে?
শুধু হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, ইহুদি-খৃস্টান-বৌদ্ধ-শিখসহ সকল প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রেই একথা কম-বেশী প্রযোজ্য। তাই মোদ্দা কথা, গ্রন্থের ভিতরে ঈশ্বর না খুঁজে বরং নিজের ভিতরের ঈশ্বরকে খোঁজাই উত্তম। গ্রন্থে আরোপিত ঈশ্বরে আছে অলৌ্কিক শোনা কথা আর অন্ধ বিশ্বাস কিন্তু নিজের ভিতরের যুক্তি, বোধ ও জ্ঞান দিয়ে যে সত্য পাওয়া যাবে তা শাশ্বত, মানবিক, আধুনিক ও পরিবর্তণশীল। আর তাই এ পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মগুলো দিনে দিনে পর্যবসিত হচ্ছে শেওলা জমা এক বদ্ধ ডোবায়, সেখানে পরিবর্তনের স্রোত নেই, নেই অগ্রগতির হাওয়া-জলও। মানুষ যত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে এই গ্রন্থারোপিত ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে, তত শীঘ্রই বইবে বিশ্বমানবতার সুবাতাস।
মুক্তি আসুক যুক্তির আলোয়…
যুক্তি দিয়ে সব বুঝি। আমি কেন দুই নম্বর? এইটা বুঝান।
ভালো লাগলো ৷
অাব্দুস সাত্তার
পয়লা,তেরশ্রী
ঘিওর
মানিকগঞ্জ ৷
”অামি ভেবে পাইনে দিশে/সব জিনিস যে পয়দা করলো/সে পয়দা হইলো কিসে?”শিরোনামের লেখাটি ভালো লাগলো ৷লেখককে অান্তরিক ধন্যবাদ ৷
অাব্দুস সাত্তার
তেরশ্রী,ঘিওর
মানিকগঞ্জ ৷
বিভিন্ন গ্রন্থ যারা লিখেছেন , তাঁরা কেবল তাদের সামনে দেখা জানা অথবা শোনা বিষয় বর্ণনা করেছেন মাত্র । যা তাঁর লেখায় আবশ্যক বা প্রয়োজন , তাঁর বাহিরে জান নাই । তবে এক যবন রাজার ও সুমেরুর কথা মহা ভারতে উল্লেখ আছে ।
শাওন ভাই – কলকাতার জাদু ঘরে এসে দেখে যাও , কিভাবে বন মানুষ থেকে মানুষ হল । তাঁর জিবাস্ব ও বিভিন্ন প্রমান সুন্দর করে সাজান আছে । ভাই কখনো খেয়াল করা হয়েছে কি ? মানুষের শরীরের বা দিকের অংশটি ডান দিকের থেকে দুর্বল ও রোগা হাতটা একটু মেপে দেখো বুঝতে পাড়বে । যেহেতু বা হাতটা কম ব্যাবহার হয় ।
জ্ঞান অর্জন এর উদ্দেশ্য যদি সত্য অনুসন্ধান না হয়ে কোনো পূর্ব ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে হয় তবে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ধর্ম হচ্ছে এক ধরণের দার্শনিক ভাবনা যা একজন ব্যক্তির চিন্তাপ্রসূত বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয় । এটি ব্যক্তিবিশেষ গ্রহণ করতেও পারে আবার নাও করতে পারে সেই স্বাধীনতা প্রতিটা মানুষের রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি ।
আমরা কোন বস্তুকে চোখ দিয়ে দেখি, আসলে কি চোখ দেখতে পায় ? চোখ হচ্ছে একটি লেন্স যা প্রতিছবিকে প্রেরন করে আমাদের মগজে সেটি বুঝতে পারে আমাদের মন । অথচ মনকে আমরা দেখতে পাই না । মন কি ? এই প্রশ্নের জবাব আমরা যেদিন জানতে পারবো সে দিন আমরা ঠিক ঈশ্বর এবং তার সৃষ্টির রহস্যও যেনে যাব।
এখন মুল সমস্যা হল এটি নির্ধারণ করা ‘ডিম আগে না মুরগি আগে’ ?
ধর্মগ্রন্থগুলো আঞ্চলিকতায় পরিপূর্ণ, ভুলে আর অসঙ্গতিতে ভরা। এগুলো এতদিন টিকে আছে লোভ দেখিয়ে আর ভয় দেখিয়ে।
Shawan seems to be a Kath Mulla. He is brain washed, if he has one.
ইসলামি চিন্তাবিদকে বলতে শুনেছেন জ্ঞান অর্জনের জন্য চিনদেশে যাও সত্যই শুনেছেন কিন্তু এটা হাদিস নয়। এটা আরবদের একটা প্রাচিন প্রবাদ। মুহাম্মাদ (স:) এর জন্মের অনেক আগথেকেই আরববাসীদের মধ্যে এ প্রবাদ প্রচলিত ছিলো সুতরাং একথা কে হাদিস বলা যাবে না ।
@ শাওন
আপনার যুক্তিগুলো আপনার কাছে জোড়ালো মনে হলেও আরেকটু পড়াশোনা করলে বুঝতে পারবেন কেন আপনি সত্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। তবু আপনাকে ধন্যবাদ এজন্য যে আপনি যুক্তির মাধ্যমে জিনিষটি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন । মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যই তাই। সবকিছুকে যুক্তির মাধ্যমে বোঝা। আসলে যে কোন কিছু বুঝতে চাইলেই যুক্তির প্রয়োজন। বিচার, যাচাই, বাছাই, এবং ক্রমাগত প্রশ্নের পর আসে একেকটি ধারনার প্রতিষ্ঠা। এই প্রক্রিয়াই হল বিজ্ঞান। নিউটন যেমন বিজ্ঞানী, আইনষ্টাইনও বিজ্ঞানী। আইনষ্টাইন নিউটনের অনেক আবিষ্কারকে ভুল প্রমানিত করেছেন, তাতে নিউটনের শিষ্যরা মোটাও মর্মাহত হয় নি। বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান ক্রমাগত সত্যের নিকটবর্তী হয়। পক্ষান্তরে ধর্ম আমাদের কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই নানা জিনিষ বিশ্বাস করতে আদেশ করে, যা বুদ্ধিমান প্রানী হিসেবে মানুষের পক্ষে সহজ ভাবে মেনে নেয়া স্বাভাবিক নয়। এজন্য দেখবেন ধর্ম নিয়ে সর্বদাই প্রশ্ন উঠে। ধর্ম আর বিজ্ঞান নিয়ে ঘাটা ঘাটি করতে চাইলে আপনাকে একটু নির্ভীক হতে হবে। গুনাহর ভয়ে প্রশ্ন করবেন না , যাচাই করবেন না, এই যদি আপনার মানসিকতা হয়, এদিকে পা না পাড়ানোই ভাল। আর যদি সাহসী হন, পড়ুন, উত্তর খুঁজুন, উত্তর পাবেন। তারপর আপনি যে সিদ্ধান্তেই পৌছেন, আমার আপনার প্রতি শ্রদ্ধার কমতি হবেনা। শর্ত একটিই, আমার সিদ্ধান্ত যদি আপনার চেয়ে ভিন্ন হয়, চাপাতি হাতে নিবেন না প্লীজ! ভালো থাকুন।।
চমৎকার
বিজ্ঞান যেকানে অকার্যকর, বিশ্বাস সেখানে প্রতিষ্ঠিত ৷
যৌক্তিক প্রশ্ন করা নিষেধ, তাতে অনুভূতি আহত হয় …………
বিজ্ঞান কোন কিছু সৃষ্টি করেনি, বিজ্ঞান সরবদা ছিল এর পর্যবেক্ষক । যেমন পানি , বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে পানিতে হাইড্রোজেন এবং অক্স্যিজেন আছে । কিন্তু পানি সৃষ্টি করেনি । বিজ্ঞান শুধু বিদ্দমান বা আছে এমন কিছু এর উপর গবেষনা করেছে , এবং বিদ্দমান বস্তু গুলো ব্যাবহার করে আরও একটি বিদ্দমান জিনিস বানিয়েছে।
আজ ধরুন আপনি একটি গ্লাস এ পানি নিয়ে একটি বদ্ধ জায়গায় রেখে দিলেন এবং সেই পানিতে কিছু প্রান এর জন্ম নিল যেমন ধরুন মশা । তাহলে কি আপনি বলবেন আপনি প্রাণ এর সৃষ্টি করেছেন ?? বা বিজ্ঞান এই প্রাণী টাকে সৃষ্টি করেছে । নাকি ঈশ্বর এর কথা ভাব্বেন যিনি পানি, গ্লাস তৈরির উপকরন সৃষ্টি করেছেন এবং বলছেন তিনি প্রানের সৃষ্টি পানি থেকে করছেন ।
নাকি ঈশ্বর কে মূর্খ দাবি করবেন এবং বলবেন তিনি যা বলেছেন তা ভুল এবং পাগলের প্রলাপ, আর বলবেন আপনি নিজেয় ঈশ্বর ।
একই জিনিস পাঁচ জন কে পর্যবেক্ষণ করতে দিলে তাদের উত্তর হবে পাঁচরকম আর এটা বিজ্ঞান এর শুরু থেকে আজ পযন্ত একটু পর্যালোচনা করলে খুব স্পষ্ট বোঝা যায় । যেমন ধরুন পারমানবিক গবেষনা, যেমন ভিন্ন গ্রহের মানুষ এর থেকে বেশি বুদ্ধিমান প্রাণী নিয়ে গবেষনা, আর চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যা বিজ্ঞান এদের মত পার্থক্য কার না জানা ।
তাহলে পর্যবেক্ষক এর কথাই সৃষ্টিকারী ঈশ্বর কে ভুল বলে দাবি করা কতটুকু সটিক আমার বোধগম্য নয় । যেমন ২+২ = ৪। এই ক্ষেত্রে আপনার যদি উত্তর হয় ৮ তাহলে বুঝতে হবে আপনি কোথাও ভুল করছেন , আপনি দাবি করতে পারেন না যে এই সুত্র আবিষ্কার করেছে সে ভুল, যদি করেন তাহলে আপনার কথা হবে পাগলের প্রলাপ ।
ঈশ্বর জানেন বলেই বলেছেন তিনি মানুষ কে বানিয়েছেন সৃষ্টি এর সেরা জীব হিসেবে, আর বুদ্ধিজীবী এবং অতি মাত্রাই আত্মবিশ্বাসী রা বলেন এই পৃথিবী এর বাহিরে মানুষ এর থেকেও বেশি বুদ্ধিমান প্রাণী আছে ।
ধর্ম বিশ্বাসীদের ঈশ্বর বলেন তিনি প্রথম এ সৃষ্টি করেছেন হযরত আদম (আঃ) কে, আর পরবর্তীতে সৃষ্টি করেছেন হযরত হাওয়া (আঃ) কে, আর বিজ্ঞান বলে আমাদের পূর্ব পুরুষ বানর ছিল, আজ পর্যন্ত কখনও দেখলাম না , একটি বানর মানুষ এর রুপে দেখতে একটি বাচ্চা’র জন্ম দিল, অতবা মানব গর্ভে একটি বানর বাচ্চা এর জন্ম হয়েছে । যেখান এ দেখা যাই যদি কারও জন্মগত একটি সমস্যা থাকে তার কয়েক পুরুষ ধরে একই সমস্যা জন্মগত ভাবে হতেই থাকে ।
যেই ঈশ্বর বলে গাছের প্রতিটি পাতা তার পার্থনা করে, যার অর্থ বোঝা যাই যে গাছ এর ও প্রাণ আসে, সেই ঈশ্বর কে ভুল র সেই বিজ্ঞানী যিনি আবিষ্কার করলেন যে গাছের ও প্রাণ আছে তাকে সম্মান প্রদর্শন করেন । সেটি কতটুকু যোক্তিক একবার ভাব্বেন ।
তারপরও হয়তো বলবেন ঈশ্বর ভুল আর বিজ্ঞান সটিক ।
ঈশ্বরকে অবিশ্বাস আর পরিবর্তনশীল বিজ্ঞান কে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস আজকের সমস্যার মুল কারণ ।
ধর্ম বিশ্বাসীদের ঈশ্বর বলেন তিনি প্রথম এ সৃষ্টি করেছেন হযরত আদম (আঃ) কে, আর পরবর্তীতে সৃষ্টি করেছেন হযরত হাওয়া (আঃ) কে, আর বিজ্ঞান বলে আমাদের পূর্ব পুরুষ বানর ছিল, আজ পর্যন্ত কখনও দেখলাম না , একটি বানর মানুষ এর রুপে দেখতে একটি বাচ্চা’র জন্ম দিল, অতবা মানব গর্ভে একটি বানর বাচ্চা এর জন্ম হয়েছে । যেখান এ দেখা যাই যদি কারও জন্মগত একটি সমস্যা থাকে তার কয়েক পুরুষ ধরে একই সমস্যা জন্মগত ভাবে হতেই থাকে ।”
জনাব, আপনার এই বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আপনার বিবর্তন বিদ্যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নাই। দয়া করে ওটা আগে ভালো করে পড়ে বোঝেন। তাহলে এই রকম যুক্তি বের হবেনা আপনার মাথা দিয়ে।
জনাব এই যুক্তি শুধু এই জন্যই দেওয়া হয়েছে, যে বিজ্ঞান কে দেখুন তারা পর্যবেক্ষণ করছে, তাদের যুক্তি একটি সিমাবদ্ধতা তে আছে । তারা ভাবতে পারেনা কিভাবে মানুষ এর সৃষ্টি হল । তাই তারা বিদ্দমানদের মাঝে আগে মিল কুজেছে । অতপর যার সাথে বৈশিষ্ট্য গত মিল পেয়েছে তাকেই আমাদের পূর্ব পুরুষ বানিয়েছে । শুধু কি বৈশিষ্ট্য গত মিল ই যতেস্ট এটা বলার জন্য ??
যদি বানর এর মানুষ এর সাথে এতই মিলই থাকবে , তবে বানর কেন আজকে মানুষ এর মত বসবাস করে না ।
যদিও এটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে ডি ন এ এর উপর । যেখানে মানুষ মানুষে এর পরিবর্তন দেখা যায় । সেখানে ভিন্ন জাতের একটি প্রাণী কিভাবে আমাদের পূর্ব পুরুষ হয় ।
যদিও বিজ্ঞানীদের মতে বিষয় টি সুধু ধারনা করা হয় বলে প্রকাশ পেয়েছে ।
যত সহজে আপনি দু লাইনে বেপারটা বুঝাতে চাইলেন বিবর্তন মোটেই অত সহজ একটা তত্ত্ব নয়। বিজ্ঞান শুধু পর্যবেক্ষণ করেই বিবর্তনের মতো একটা তত্ত্ব দেয়নি। সাথে পর্যবেক্ষণলব্ধ বেশ কিছু প্রমাণও আছে। বলেছেন বিজ্ঞান ভাবতে পারেনা মানুষ এর সৃষ্টি কিভাবে হল, আমিতো বলবো ধর্মেরই বরং একজন সৃষ্টিকর্তা লাগে এই ভাবনাটা বন্ধ করার জন্য। একই রকমভাবে ধর্মও এটা ভাবতে পারেনা যে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কিভাবে হল।
মোটেই যার সাথে বৈশিষ্ট্য গত মিল পাওয়া গেছে তাকেই পুরবপুরুশ বানানো হয়নি। শুধুমাত্র বৈশিষ্ট্য গত মিল দিয়ে কিছুই প্রমান করা যায়না।
আমার মনে হচ্ছে আপনি অনেকটা জেনে বুঝেই একটা তর্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে বরং বিবর্তন নিয়ে কিছুটা পড়ালেখা করে নিয়ে তারপর তর্ক করলে ভালো হয়।
আপনি মানুষের বিবর্তন স্বীকার করতে চান না কিন্তু অন্য সব কিছুর বিবর্তন ঠিকই স্বীকার করেন, এই লেখাটা পড়লে আশা করি বুজতে পারবেন আর বিবর্তন বাদ কোন ধারনা নয় এটি প্রমাণিত গুগল করেন প্রমাণ পেয়ে যাবেন।