মানুষ পোড়ে, পোড়ে যে হাড়।
গদিও পোড়ে, গদির জন্য।
ভোগ এবং উপভোগ করে
ক্ষমতায় ছদ্মবেশী দল।
রক্তের উত্তাপে উত্তেজিত
ওরা লুটে, সবুজ ও লাল।
বর্জ্যখেকো হায়েনা দানব
লোভী টাকলা শকুনদের
আস্ফালনে হয় ন্যুজ, তৃপ্ত।
নির্ঝঞ্জাট নাগরিক যারা
মালিকানা করে নিবেদন
দানবেরে, ছেড়ে অধিকার।
যুদ্ধশিশুর চিৎকার শুনে
বীরাঙ্গনা কয়, হতাশায়,
“ওম দে রে আমায়, না’হয়
পোড়া মাটির দুটো ইঁট দে,
বর্জ্য মূল্য দেব উপহার।
চোখ মেলে দ্যাখ স্বাধীনতা
আমার এই শীর্ণ উদরে,
এখনো সঞ্চিত বিনিময়
আছে আমাতে, হে গদিখোর,
আছে বঞ্চনার যত বর্জ্য”।
“ভালো করে শোন কান পেতে,
সবুজ ও লালের গর্জন,
সমাগত বেদনার্ত বটে,
আহত গম্ভীর, পরিণত,
বিস্মরণের মূল্য মেটাবে
নাগরিক যারা, অবিরত”।
মনে করিয়ে দিল ————
‘নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে।’
(যমুনাবতী’ /শঙ্খঘোষ )
তবে কবিতাটির কোথায় যেন ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
@গীতা দাস,
ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয়েছে নাগরিকের স্বাধীনতার চেতনার। বিস্মরণ ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগের এবং অর্জনের বিশালত্বের।
এখন নাগরিকপোড়া মৃত্যুর গন্ধ ছড়ায় দেশী বর্বর আর ক্ষমতালোভী পেশল দালাল ; দখলদারেরা নয়। স্বাধীনতার চেতনায় ধারাবাহিকতার অভাব প্রকট ভাবে দৃশ্যমান আজ। আজকের বেশিরভাগ নাগরিকদের দেখলে মনে হয় তারা নুয়ে পড়া আপোষপ্রিয় আরামপ্রিয় নাগরিক, মার খেয়ে ল্যাজ গোটানো; গা এড়ানো অদ্ভুত নাগরিক। যেন এটাই খুব স্বভাবিক জীবন, ভাবখানা এমন। অথচ বাঙালি মোটেও তা নয়। একাত্তরে এবং তার আগে পরে বীর বাঙালি আপনি যেমন দেখেছেন; আমিও দেখেছি। আজকের বেশিরভাগ নাগরিক তার অধিকার আদায় করছে না; ল্যাজ গুটিয়ে মার খাওটাই যেন তাদের বেশি পছন্দ। এখন জেগে উঠবার সময়। বিস্মরণ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে হুঙ্কার দিয়ে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে ফের প্রতিষ্ঠিত করবার সময়। অত্যাচারীদের প্রতি ঘৃনা এবং বর্জ্য ছোঁড়ার সময়।
সবই সত্যি কথা, কবি।
@তামান্না ঝুমু,
নতুন মানুষের মত নতুনরা জ্বলে উঠবে আবার। আর কত মার খাবে নিরীহ মানুষ?
হ্যা, একটি অভিশপ্ত নাম।
@গুবরে ফড়িং,
অভিশপ্ত!
নিত্য প্রয়োজনের নির্ঝন্ঝাট বাংলাদেশের নুয়ে থাকা নাগরিক মানুষ হয়ত এখন আবার নতুন করে জানান দেবে দেশটা কার। মুক্তিযুদ্ধের মত আবার ঘটবে নতুন মুক্তি; দেশী হায়েনা আর ক্ষমতালোভীদের হিংস্র থাবার যন্ত্রণা থেকে। আবার আরেকটা মুক্তির কাল সমাগত প্রায়। নতুনদের দিকে তাকিয়ে আছি।