পিকেটিংয়ের একটা ইটের টুকরো
আমার চোখের খুব কাছ দিয়ে,
ধর্মাবতারের বিবেকের পাশ দিয়ে
অবশেষে গিয়ে পড়লো
রমরমা এক বিপণী কেন্দ্রে।
ব্যবসায় একরত্তি লোকসান গুণতে হলো না তাতে।

আরেকটি ইটের টুকরো
পুরান ঢাকার দলিত মুদির শূন্য ক্যাশবাক্সের পাশ দিয়ে,
রাণা প্লাজার শ্রমশিল্পিদের খাই-খাই পেটের ধার দিয়ে,
সৌখিন কলুদের ঘুমের ঠিক মাঝখানে গিয়ে পড়লো।
তাতে তাদের নিরাপদ ঘুমের বারোটাও বাজলো না।

পিকেটিংয়ের আরেকটা ইটের টুকরো
কোন এক নিহত সাংবাদিকের এতিম ছেলেটার
উড়ন্ত ঘুড্ডির পাশ দিয়ে,
কোন এক ভ্রাম্যমান পতিতার ত্রস্ত হাটুর ধার দিয়ে
কথিত এক ত্যাগী মন্ত্রীর সদ্য চুরি করা
পুকুরটার ঠিক মাঝখানে গিয়ে পড়লো।
ন্যুনতম একটা ছোট্ট তরঙ্গও উঠলো না তাতে।
পিকেটিংয়ের আরেকটা পাটকেল
সবার বিবেকের ব্লাইন্ড স্পট গড়িয়ে
কোন কথা না বাড়িয়ে,
সোজা গিয়ে পড়লো সদ্য ফোটা একটা গোলাপের উপরে।
পৃথিবীর সব সুবাতাস বন্ধ হলো তাতে।
মুখ থুবড়ে পড়লো যত কবি আর সৃষ্টিশীলের দল।
লজ্জায় মুখ লুকালো ছাইয়ের গভীরে
হিরোসিমা আর নাগাসাকির লিটিল বয় আর ফ্যাট ম্যানেরা।
হায়রে পিকেটিংয়ের পাটকেল,
তোকে আমার ধিক্কার আর ধিক্কার-
ষোল কোটি নির্ভাজাল ধিক্কার।