বিশ্বব্যাপী সমকামীদের অধিকারের বিষয়টি আজ আবার আলোচনায় এসেছে। ফেসবুক সমকামিতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সমকামিতা একটি প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক বিষয়- আমি সেটা প্রমাণ করতে এ ব্লগটি লিখছি না। সমকামিতা একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়,- এর পক্ষে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে অভিজিৎ রায় মুক্তমনায় যা লিখে রেখেছেন তারপর আর মুক্তমনায় এ বিষয়ে আর কোন ব্লগ লিখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। সমকামীদের সামাজিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কিছুদিন আগে মুক্তমনা ব্লগার সৈকত চৌধুরীও লিখেছেন। যারা এখনও সমকামিতার বিপক্ষে অবস্থান করেন অথবা সমকামিতাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেন না, তারা অভিজিৎ রায়ের ব্লগগুলো পড়ুন। বিভিন্ন সময়ে যারা সমকামিতার বিপক্ষে অবস্থান করেন, অথবা সমকামিতাকে প্রাকৃতিক মনে করেন না, কিংবা সমকামিতাকে অপরাধ বলে মনে করেন, তাদেরকে অভিজিৎ রায়ের ব্লগ এবং এ বিষয়ে তার বইয়ের লেখাগুলো নিয়ে ফেসবুকে অনেককে আলোচনা বা সমালোচনা করতে দেখেছি। আমিও বিভিন্ন সময়ে প্রাসঙ্গিক ভাবে সমকামিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলি। আমার নাম উল্লেখ করেও অনেক ধর্মান্ধকে অযৌক্তিক লেখালেখি করতে দেখেছি। ধর্মান্ধ ও বিজ্ঞান বিমুখ লোকেরা সমকামিতা সম্পর্কে যে সকল ভুল ধারনা পোষন করে থাকেন আমি এখানে তাদেরই ভাবনা গুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

১) সমকামিতা প্রাকৃতিক নয়, কারন, সমকামীরা সন্তান জন্ম দিতে পারে না।

আমার প্রশ্ন- সন্তান জন্ম দেয়াই কি যৌনতার একমাত্র উদ্দেশ্য? দুজন মানুষ সন্তান জন্ম দেবে কি দেবে না- সেটা তো কেবলই তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। অন্যরা তাদের উপর সন্তান জন্ম দেবার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবার কে? ধরুন দুজন বিপরিত লিঙ্গের যুগল, স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা জীবনে হাজার বার মিলিত হলো, তারা কি হাজারটা সন্তান জন্ম দেয়? অথবা কোন যুগল যদি জীবনে একটি সন্তান জন্ম দিতে চায়, তাহলে তো তাদের জীবনে একবারই মিলিত হওয়া যথেষ্ঠ। তাছাড়া সব বিপরীত যুগলই কি সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে?

২) সমকামিতার পক্ষে যারা কথা বলে তারা সমাজের অন্যদেরকেও সমকামী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করে।

ধার্মিকদের এ যুক্তিটি হাস্যকর। কাউকে উৎসাহ দিয়ে সমকামী বানানো যায় না। যৌনতা বা সমকামীতা দুটোই মানুষের শারিরীক চাহিদা। এবং মানুষ তা প্রাকৃতিক ভাবেই পায়। রক্ষণশীল সমাজের চাপেই সমকামীরা তাদের সমকামীতার কথা চেপে যায়, অথবা তা প্রকাশ করার সাহস পায় না। কোন একজন সমকামী বা তার সমর্থক কেউ যখন মুখ খুলে সমকামীতার অধিকারের পক্ষে কথা বলে তার মানে এই নয় যে সে আজই সমকামিতা অর্জন করেছে। সে আগে থেকেই সমকামী ছিল।

৩) সমকামীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উভয়গামী।

কোন কোন ব্যাক্তির বেলায় তা সত্যি হতে পারে। একজন মানুষ যদি উভগামী হয় সেটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তাতে তার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। কারন এটি সভ্য সমাজে আইনগত ভাবে অপরাধ নয়।

৪) সমকামীরা বিকৃত রুচির মানুষ, কারন এরা কিভাবে মিলিত হয় তা ভাবলেই ঘৃণা হয়।

আচ্ছা, এটা আপনাকে ভাবতে বলেছে কে? আপনি আপনার সঙ্গীর কথা ভাবুন।

৫) কোরাণে সমকামী ঘৃণা করতে বলা হয়েছে এবং এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

কি আশ্চর্য, আপনার মধ্যযুগীও বাতিল কোরাণের কথা মতো কি আর সভ্য বিশ্ব চলবে নাকি? এই কোরাণেই তো আবার পুরুষদের কে বেহেশতে সমকামিতার লোভ দেখানো হয়েছে।- (সুরা আত-তুর: আয়াত২৪, এবং সুরা দাহর: আয়াতে ১৯) কোরাণের এই আয়াতটির কথা উল্ল্যেখ করলেই ধার্মিকরা তেড়ে আসেন। তারা বলতে চান বেহেশতে সুদৃশ্য বালকদের কে যৌনভোগের জন্য দেয়া হবে এ কথা লেখা নাই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে,- এই ছোট ছোট বালকদেরকে দিয়ে বেহেশতে চা বিস্কুট বা পান সিগারেট আনানো হবে এমনটিও তো লেখা নেই। আর ফুট ফরমাশ খাটার জন্য তো আল্লাহ প্রাপ্ত বয়স্কদেরকেও নিয়োগ দিতে পারতেন, শুধুমাত্র সুদৃশ্য বালক কেন? তাছাড়া বেহেশতে চাইতেই সব কিছু পৌঁছে দেয়ার জন্য ফেরেশতারা আছেনই।

৬) যারা সমকামিতার পক্ষে কথা বলে তারাও সমকামী।

গত কয়েক দশকে বিশ্বের যে সকল সুপরিচিত রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী বা মানবাধীকার কর্মীরা সমকামিতার পক্ষে কথা বলেছেন বা এখনো বলে যাচ্ছেন, তারা সবাই কি সমকামী? ইউরোপের সব দেশেই সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। এ সব দেশের রাষ্ট্র পরিচালকরা বা সব রাজনৈতিক নেতা কি সমকামী? অথবা ইউরোপের প্রতিটি দেশেই শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশী মানুষ সমকামিতার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। আপনাদের কি মনে হয় এসব দেশে কি শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সমকামী?

এবার দেখা যাক পৃথিবীর কোন কোন দেশে সমকামিতার বৈধতা দেয়া হয়েছে।

২০০১ সালে নেদারল্যান্ড প্রথম সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার পর তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেছে ইউরোপের অন্যান্য সব জাতি। ইউরোপ ইউরোপের কোন দেশেই সমকামিতা বিরোধী আইন নেই। শুধু সাইপ্রাসে ছিল এবং তাও এ বছর জানুয়ারীতে সেই আইন রহিত করা হয়েছে। সর্বাধিক সমকামিতা পক্ষে সমর্থন পেয়েছে যে দেশ সেটি হচ্ছে স্পেন। স্পেন ৮৮ শতাংশ মানুষ সমাজিক ভাবে সমকামিতাকে গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করে। জার্মানিতে ৮৭ শতাংশ, এবং চেক প্রজাতন্ত্র ৮০ শতাংশ, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে এ সংখ্যা ৬০ শতাংশ। স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স সহ নয়টি ইউরোপীয় দেশে ইতিমধ্যে আইনগতভাবে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।

আমি নিজেও সমকামিতার পক্ষে কথা বলি কিন্তু আমি সমকামী নই। আর আমি যদি সমকামী হতাম তা বলতেও দ্বিধা বোধ করতাম না।

দেখা যাক কোন কোন দেশে সমকামিতা আইনগত ভাবে অবৈধ:

অপেক্ষাকৃত ধর্মীয় রাষ্ট্রগুলোতে সমকামিতা আইনগত ভাবে অবৈধ। আব্রাহামীক ধর্ম, যথা ইহুদী, খ্রীষ্টান ও ইসলাম ধর্মপন্থাগুলি শুরু থেকেই সমকামিতাকে অনৈতিক ব্যাখ্যা দিয়ে পাপ, গুনাহ রুপে প্রচার করে আসছে কোনও কারন বা যুক্তি ছাড়াই। তোরাহ্ (বাইবেল ও কোরান সহ) মতে সদোম ও ঘমরা নামে দুটি শহর ছিল যেখানে লোকেরা গণহারে সঙ্গমে লিপ্ত হতো, সমকাম সহ। সৃষ্টিকর্তা যখন তার সৃষ্টির এহেন কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ তখন তিনি তার নবী লোটকে পাঠিয়েছিলেন সেখানকার লোকদের সাবধান করে মন ফিরাবার সুযোগ দিতে! সেটা না হওয়ায় শহর দুটিকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়, ধারনা করা হয় যা আরব সাগর বা লোহিত সাগরের কোথাও হয়ত ছিল। ধারনা করা হয় একারনেই আব্রাহামিক ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সমকামীদের প্রতি বিদ্ধেষ অতিরিক্তমাত্রায় বেশি। তাছাড়া ধর্ম তিনটি সমকামীত্বকে পাপ বা গুনাহ হিসেবে দেখিয়েছে যার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

আফ্রিকায়: আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বেনিন, কমোরোস, মিশর, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, ঘানা, গিনি, কেনিয়া, লেসোথো, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, মালাউই (স্থগিত আইন প্রয়োগকারী), মরিতানিয়া, মরিশাস, মরোক্কো, মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, নামিবিয়া, নাইজেরিয়া, সাওটোমে, সেনেগাল, সিসিলি, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সোয়াজিল্যান্ড, তানজানিয়া, টোগো, টিউনিস্, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে

মধ্যপ্রাচ্য সহ এশিয়া: আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, ভারত, ইরান, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন / গাজা স্ট্রিপ, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, তুর্কমেনিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন

এশিয়ান / মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে আইএলজিএর মাধ্যমে আলাদা ভাবে তালিকা করা আছে এবং বলা আছে , “সমকামী আইনি অবস্থা অস্পষ্ট বা অনিশ্চিত কাজ”।

ইরাকে সমকামিতা বিরুদ্ধে কোন লিখিত আইন নেই, কিন্তু সমাকামভীত, সহিংসতা অবারিত এবং স্বনিয়োজিত শরিয়া বিচারকরাই বেশি সমকামী আচরণের বিরুদ্ধে বাক্য আরোপ করেছেন।

ভারতে সমকামী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আদালতের আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ড স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে ১১ই ডিসেম্বর ২০১৩ তে ক্ষমতাসীনরা বদলে যাওয়ায় ভারতে আবারো সমকামিতা-বিরোধী আইন দেশের আইন প্রনয়নের তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমকাম-বিরোধী আইন ২০০৩ মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে, কিন্তু সেই আইনটি ১৩ রাজ্যের বই এখনও উল্লেখিত আছে: আলাবামা, ফ্লোরিডা, আইডাহোর, কানসাস, লুইসিয়ানা, মিশিগান, মিসিসিপি, উত্তর ক্যারোলিনা, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলিনা, টেক্সাস, উটাহ এবং ভার্জিনিয়া. রক্ষনশীল রাষ্ট্র আইন প্রণেতারা আইন প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে এবং, কিছু ক্ষেত্রে, পুলিশও এ ব্যাপারে এখনও সমকামীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভাবে জোর প্রয়োগ করে থাকে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে আরো প্রায় এক ডজন সমকামী মানুষ যারা আইন লঙ্ঘনের জন্য গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় কারন বিলুপ্ত আইনের অধীনে আইনজীবিরা কাজ করতে চাননি।

প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ, কুক আইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া (আচেহ প্রদেশ ও দক্ষিণ সুমাত্রা), কিরবাতি, নাউরু, পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, টুভালু, এসব দেশে সমকামিতা এখনো গ্রহনযোগ্যতা পায়নি।

দেখা যাক সমকামিতার শাস্তি কোন কোন দেশে মৃত্যুদন্ড।

ইয়েমেন, ইরান, ইরাক, নাইজেরিয়া, মরিতানিয়া, সুদান, কাতার, সৌদি আরব সোমালিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এই দেশগুলোতে সমকামীতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

এখানে লক্ষ্য করলেই দেখবেন অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত এবং উন্নত দেশগুলোতেই সমকামিতা বেশী গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে এবং সমকামিতা এসব দেশে কোনো আইনগত অপরাধ নয়। আর কম শিক্ষিত এবং অনুন্নত দেশগুলোতে সমকামিতা এখনো আইনত অপরাধ এবং ইসলামী বা শরিয়া দেশগুলোতে তা মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধ।

৭) সমকামিরা মানসিক বিকারগ্রস্থ।

কিছু বিখ্যাত এবং কর্মক্ষেত্রে সফল সমকামীর নাম দেখা যাক। সঙ্গীত জগতে বৃটিশ কন্ঠশিল্পী এলটন জন্, জর্জ মাইকেল, রিকি মার্টিন, বিশ্ব বিখ্যাত ব্যান্ড কুইনের শিল্পী ফ্রেডি মার্কারী, জেনিফার ক্রাপ ও মার্শা ষ্ট্যাফানস জুটি সমকামি। কিন্তু সমকামিতার কারনে কেই তাদের গান কম শোনেনা কিংবা সমাজ তাদের কম মূল্যায়ন করেনি।

অভিনয়ে নীল পেট্রিক হারিস ও ডেভিড বুর্টকা জুটি, টিলা টেকুইলা জুটি সমকামী এবং তাদের সফলতার পেছনে সমকামিতা কোন সমস্যা সৃষ্টি করেনি।

বিশ্বের নামকরা লেখক ও সাহিত্যিক প্ল্যটো, টি এস এলিয়ট, ওসকার ভিলডে, ভার্জিনিয়া ভোল্ফ, আর্থুর রিমবাউড, পল ভার্লেন, লর্ড বায়রন, ওয়ার্ডসওয়াড, চিত্রশিল্পীদের মধ্যে ভিঞ্চী, মাইকেল এঞ্জেলো, সালভাদর ঢালি সমকামী ছিলেন এবং সমকামিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন।

খেলা ধুলায় জার্মান জাতীয় দলের ফুটবলার টমাস হিলসপার্গার, জার্মান জাতীয় মহিলা দলের ফুটবলার নাদিনে আনগেরার, ইংলিশ বক্সার নিকোলা এডামস, আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় কি আলুম্স সমকামী। এরাও বিখ্যাত তাদের কর্মে, তাদের সমকামিতা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না।

বিশ্ব বিখ্যাত ইতালিয়ান ডিজাইনার জর্জিও আর্মানী, রাজনীতিতে অষ্ট্রেলিয়ায় ইয়ান হান্টার ও পেনি ওং; টেক্সাসের গে মেয়র আনিসে পার্কার; বৃটেনে স্টিভ গিলবার্ট, ষ্ট্যাফান উইলিয়ামস সহ অসংখ্য সমকামী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। গিডো ভেষ্টারভেলে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন সমকামী। দেশের জনগণের তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি।

তাহলে, এসব সমকামীরা অথবা সমকামীদের পক্ষে সমর্থন দেয়া ইউরোপের ৮০ ভাগ মানুষ কি মানসিক বিকারগ্রস্থ? নাকি আপনার সমকামিতা সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব?

সভ্য পৃথিবীতে যে কোনো দেশের, যে কোনো ধর্মের, যে কোনো লিঙ্গের দুজন মানুষ দুজন মানুষকে ভালোবাসবে, আমাদের তাতে অসুবিধা কোথায়?