সূচনাঃ
বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রই অন্য কোন রাষ্ট্রের চির বন্ধু কিংবা চির শত্রু নয়। স্বার্থ ছাড়া একটি রাষ্ট্র, আরেকটি রাষ্ট্রকে সাহায্য খুব কমই করে – কখনো করেছে বলেও উদাহরণ হিসেবে কেউই দিতে পারবেনা। অনেকে বলতে পারেন – কোরিয়ান যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে চীনের অংশগ্রহণ। মাওয়ের সেই অফিসিয়াল উক্তি “উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য না করা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক হবে” বেশি প্রচার হলেও , মূল ব্যাপার হচ্ছে কোরিয়ার যুদ্ধ ছিল চীনের কম্যুনিস্টদের অস্তিত্বের লড়াই।
১৭৭৬ – ১৯৮৩ সালে আমেরিকা ছিল, ব্রিটিশ-ফ্রান্সের গ্লোবাল লড়াইয়ের একটি থিয়েটার। ১৯৭১ সালের বাংলাদেংলশও তেমনি, আমেরিকা এবং সোভিয়েত রাশিয়ার জন্য তাদের নিজেদের মধ্যর গ্লোবাল কনফ্লিক্টের একটি থিয়েটার। আমেরিকা এবং সোভিয়েত রাশিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধি ছিল পাকিস্তান এবং ভারত। তবে ভারত, পাকিস্তান এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জন্য নিশ্চিত ভাবে এটা একটা নিয়ামক ছিল – এসবই পশ্চিমা পয়েন্ট অফভিউ। সবাই ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে কম বেশি জানেন – প্রথমবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে, এর পর আমেরিকার বিরুদ্ধে; তবে এরপর আরও দুটো বৃহৎ যুদ্ধ/সামরিক অপারেশন করতে হয়েছিল – একটি কম্বোডিয়ার সাথে অপরটি চীনের সাথে। চীনের সাথে ??? যারা কিনা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভিয়েতনামকে সহায়তা করে গিয়েছে!! – – এটা শুধু আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিলতার একটি উদাহরণ – যা এই লেখার স্কোপের বাহিরে।
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত এবং সোভিয়েত রাশিয়া যা করেছিল, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ফ্রান্স একাই সেই কাজটি করেছিল – অর্থাৎ টেক্টিক্যাল এবং স্ট্রাটিজিক দুটি সহায়তাই একসাথে করা। স্বাধীনতা সবসময় মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ। যতক্ষণ স্বাধীনতা পাওয়া যাবেনা ততক্ষণ বিচ্ছিন্নতাবাদী – একবার স্বাধীনতা অর্জন করে ফেললে আস্তে আস্তে সবাই স্বীকৃতি দেবে কিংবা নীরবতার মাধ্যমে স্বীকার করে নেবে। বাংলাদেশও কৌশলগত কারণে বেশ কয়েকটি দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি (আরও সরাসরি বললে ২০১৪ পর্যন্ত ১৪ টি ডি ফ্যাক্টো স্বাধীন দেশকে বাংলাদেশ স্বীকার করেনা), এরমধ্য মুসলিম দেশও আছে। মৌলানা ভাসানি যখন স্বাধীনতার আহবান জানান তাঁর বিখ্যাত “সালাম” এর মাধ্যমে তখন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব আরও কিছুদিন সময় নিতে চেয়েছিলেন।
রাষ্ট্রকে সহসা একটি বৃহৎ পরিবারের সাথে তুলনা করা হয়। কেননা রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজ একটি পরিবারের সাথে সম্পর্কিত – বাজেট, কাজের বণ্টন, অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ। তেমনি – রাষ্ট্রের গোপন কাজগুলো মানুষের যৌন জীবনের ন্যায়। পর্ণ ছবির তারকারা ছাড়া অন্য কারও যৌন জীবন প্রকাশ্য আসলেই ছি ছি পরে যায় – কতভাবে – কত বৈচিত্রে যৌন চাহিদা মানুষ মেটায় এটা ভেবে – অথচ কেউই এটা থেকে মুক্ত নয়। অনেকে বাহির থেকে আরেকজনের যৌন জীবন নিয়ে হাসি তামাশা করলেও নিজে সে ভাল করেই জানে তারটা কম নয়- বরং ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেশি। এটা অন্যদের জন্য ডার্টি কিন্তু সবার নিজের জন্য প্রয়োজনীয়। স্নোডেন কর্তৃক ফাঁসকৃত আমেরিকার “প্রিজম” প্রোগ্রাম নিয়ে অনেকের চোখ কপালে উঠলেও – সত্য হচ্ছে এটা মূল কাজের খুবই ক্ষুদ্র অংশ।
রাষ্ট্রের এসব “ডার্টি” কাজ করার দায়িত্ব গোয়েন্দা বিভাগের – অনেকে তাদের বলতে পারেন গুপ্তচর কিংবা টিকটিকি – তবে রাষ্ট্রের টিকে থাকার জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য। এর প্রয়োজনীয়তা দুই হাজার বছর আগে ভারতের কোটিল্য এবং চীনের সান জু লিখে গিয়েছিলেন।
শত্রুর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির সাথে সাথে – সহযোগীর উপর গোয়েন্দাগিরি, প্রতিযোগীর বিরোধীদের দমনে সহায়তা আবার প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরোধীদের সহায়তা প্রদান খুবই স্বাভাবিক এবং তা সবই হয় রাষ্ট্রের স্বার্থে। হয়ত প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য হয়ত সরাসরি কিংবা হয়ত সরাসরি ভাবে নয়। হয়ত ফার্স্ট হ্যান্ড হয়ত ফোর্থ কিংবা ফিফথ হ্যান্ড।
এই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ব্যাপারটাও সে রকম।
ধারনাঃ
একটা উক্তি মনে পরছে – আমেরিকার এনএসএ এর সাবেক প্রধান – এডওয়ার্ড স্লোডেন ধরা পরার পর বলেছিলেন যে “চাইনিজরা স্লোডেন থেকে যদি বিভিন্ন প্রকার গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে তাহলে আমি তাদের (চাইনিজ গোয়েন্দা) দের প্রতি সম্মান হারাবো”। সম্মান হারাবার কোনই প্রয়োজন নেই – চাইনিজরা স্নোডেন হতে এক বিট তথ্যও না নিয়ে থেকে তাকে রাশিয়ায় পাচারে সহায়তা করেনি – আমেরিকা এটা ভালো ভাবেই জানে।
যদি আসলেই এমন হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিংবা তিব্বতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে ভারতের কোন যোগাযোগ নেই কিংবা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে পাকিস্তানের যোগাযোগ নেই তাহলে আমিও “আইএসআই” এবং “র” এর প্রতি সম্মান হারাবো (কার্যকর গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান হিসেবে)। একই ভাবে সত্য – আমেরিকার সিআইএ, জার্মানির বিএনডি, যুক্তরাজ্যর এসআইএস, ফ্রান্সের ডিজিএস, রাশিয়ার এসভিআর কিংবা চীনের এমএসএস কিংবা ইসরায়েলের মোসাদ সহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশের প্রধান প্রাথমিক এবং বিশেষায়িত গোয়েন্দা বাহিনীর।
মজার ব্যাপার হচ্ছে – এসব সংস্থার সাথে তুলনীয় (প্রাথমিক) হল এনএসআই তবে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে – সবচাইতে ক্ষমতাবান সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই। আসলে, পুলিশি অপরাধ দমন এবং ভিআইপি সিকুরিটি গোয়েন্দা ছাড়া, রাষ্ট্রীয় কৌশলগত সিভিলিয়ান গোয়েন্দা বাহিনী সেভাবে গড়েই উঠেনি – এটা সম্ভবত সামরিক শাসনের একটি কুফল। আশ্চর্যের কিছু নেই – পাকিস্তানের মতই। এমনকি এসএসআই এর শীর্ষ কর্মকর্তারাও বেশিরভাগ সামরিক বাহিনীর সদস্য।
এখনও – গোয়েন্দাগিরি বলতে আমাদের দেশে মূলত “হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স” কেই বোঝানো হয় যা মূলত শুধু একটি অংশ; এটাও আমাদের দেশের একটি বড় দুর্বলতা।
আমার প্রস্তাব, শীর্ষ নেতৃত্ব দেবার মত যোগ্যতা সম্পন্ন একটি শক্তিশালী সিভিলিয়ান গোয়েন্দা অফিসার কোর অতিসত্বর গঠন করা উচিত – এর মূল কারন – গোয়েন্দা জগতের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই অ্যানালিটিক্যাল – সেই রকম অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা সম্পন্ন মানুষ সব সময় সামরিক বাহিনীতে থাকেননা কিংবা বিভিন্ন কারণে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারেননা কিংবা দেননা। “হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স” এ হয়ত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ভালো করতে পারেন – বাকি কাজ গুলোর জন্য অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা সম্পন্ন মেধাবী সিভিলিয়ান নিয়োগ দেওয়া যায় – হতে পারে সরাসরি কিংবা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে। তাছাড়া দেশের শীর্ষ/ মূল গোয়েন্দা বাহিনীকে অবশ্যই সিভিলিয়ান কিংবা মূল সামরিক বাহিনী হতে আলাদা থাকতে হবে।
বিভিন্ন কারণে অস্ত্র গোলাবারুদ পাচার গোয়েন্দা জগতের একটি সুপ্রাচীন কর্মকাণ্ড – একজন সিনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার মাত্রই তা জানেন। আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা সেইরকম যুদ্ধাবস্থা ব্যতীত আসলে সামরিক বাহিনী সরাসরি কিছুই করতে পারেনা। এসময় কাজ করে গোয়েন্দারা।
খুব আগে যাওয়ার প্রয়োজন নেই – গত শতাব্দীর বিভিন্ন যায়গার অস্ত্র পাচারের বিষয়টি স্টাডি করলেই পাওয়া যাবে।
চেতনাঃ
আমার কথার আর্গুমেন্ট হল – এই অস্ত্র পাচারে আমি কোন অদ্ভুত কিছুই খুঁজে পাচ্ছিনা বিশেষত গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপারে। যদি ধরতেই হয় তাহলে পলিসি মেকারদের ধরা উচিত – সোজা কথায় বললে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। তবে মতিউর রহমান নিজামিকে ধরে ফাঁসিতে লটকানো রাজনৈতিক ভাবে লাভজনক কিন্তু খালেদা জিয়াকে ফাঁসি দেওয়া রাজনৈতিক ভাবে সুবিধাজনক নয়। এখন অনেকে আমাকে মতি রাজাকারের পক্ষ নিয়েছি বলে টিটকারি করতে পারে – যারা পরিস্থিতি না বুঝে এসব করবে সেইসব গর্দভ রাগিণীদের জন্য আরও কতগুলো বাক্য ক্ষয় করে সময় নষ্ট করতে আর চাচ্ছিনা।
আমেরিকার কোন গোয়েন্দার (বিশেষত সিআইএ এর) পরিচয় প্রকাশ করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। আর আমাদের দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রের পলিসি মেকিং পরিপূর্ণ করতে যেয়ে প্রকাশ্য বিচারের মুখোমুখি হতে হয় – যেখানে প্রধান পলিসিমেকারের কিছুই হয়না!!!!
বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র – যা আসলে চীন-ভারতের সানজু-চাণক্য খেলার অংশ মাত্র। চীন থেকে অস্ত্র গুলো ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নদাবাদী / স্বাধীনতাকামী দের কাছে যাচ্ছিল।
অস্ত্র সরবরাহের কারণ হতে পারে –
১. রাষ্ট্রীয় গোপন কৌশলের অংশ হিসেবে
২. কেবল ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য
এর উৎপাদন হতে পারে –
১. সরবরাহকারী দেশে উৎপাদিত
২. ভিন্ন দেশে উৎপাদিত
সরবরাহের মাধ্যম হতে পারে-
১. সরবরাহকারী দেশ কর্তৃক সরবরাহ
২. ভিন্ন দেশের মাধ্যমে সরবরাহ
অস্ত্র সরবরাহ সড়ক পথ এবং নৌ পথে বেশি হয় এমনকি কার্গো বিমানে আকাশ পথেও হয়!!
দশ ট্রাক অস্ত্র গুলোর মুল উৎপাদক চাইনিজ কোম্পানি নোরিঙ্কো – বিভিন্ন প্রকার সমরাস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স প্রাপ্ত ১১ টি রাষ্ট্রয়াত্ত চাইনিজ কোম্পানির একটি। গোপন হালকা অস্ত্র সরবরাহে সবচাইতে এগিয়ে আছে এখন চীন – এর পর পরই পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো সহ অন্যান্য দেশ। সামগ্রিকভাবে সকল প্রকার অস্ত্র রপ্তানিতে যদিও চীনের অবস্থান পঞ্চম । চীনের এসব কোম্পানীর একটি কার্তুজ রপ্তানির হিসেবও রাখা হয় – সুতরাং এটা ভাবা হাস্যকর হবে যে চাইনিজ উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিগণ এই দশ ট্রাক অস্ত্রের ব্যাপারে অবহিত নন।
উল্লেখ্য, সংবাদ মাধ্যমে যত রংচং দিয়ে অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতার ব্যাপারে বলা হউক না কেন – সামরিক দিক থেকে সবই হালকা অস্ত্র যা মূলত হালকা পদাতিক ইউনিট, নন কমব্যাট কিংবা সার্ভিস ইউনিট এবং প্যরামিলিটারি ব্যবহার করে যেমন বিজিবি, বিএসএফ, পিরেঞ্জার, আইটিবিপি ইত্যাদি। সেই সঙ্গে অবশ্যই “গেরিলা এবং সন্ত্রাসী বাহিনী” ( যার কাছে যেটা যেমন!!)
অবৈধ অস্ত্র রপ্তানি পৃথিবীতে অরগানাইজড ক্রাইম থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দাঙ্গা কিংবা গৃহযুদ্ধের ব্যাপ্তির অন্যতম নিয়ামক। আফ্রিকাতে এখন পাঁচটির বেশি দেশে গৃহযুদ্ধ চলছে – যা এই অস্ত্র ব্যবসার অন্যতম।
গোপন অস্ত্র রপ্তানি / সরবরাহ সবসময় খারাপ??? নিশ্চয়ই নয়… শত শত উদাহরণের মধ্য সর্বশেষটিই বলা – পশ্চিমারা সিরিয়ার যোদ্ধাদের সরাসরি সাহায্য না করতে পারলেও গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করছে যা চীন কিংবা পূর্ব ইউরোপে উৎপাদিত – যদিও তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন তবে নৈতিক দিক হতে রিলেটিভ।
আমি নিশ্চিত – দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের ব্যাপারে ভারতের কর্তাব্যক্তিরাও এতটা আশা করেনি – হয়ত মনে মনে হেসেছে – আশে-পাশের দেশে তাঁবেদার কেউ থাকলে অনেক সুবিধা হয়!!!!
ঘটনাঃ
বিচারক বলেছেন-
“বিশ্বের ইতিহাসে এত বড় অস্ত্র চোরাচালান মামলা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। এটা অনেক বড় একটি মামলা।”
বিচারকের কথা একদিক থেকে সত্য – এরেকদিক হতে পুরো “________” যেহেতু এটা বিচারকের অন দ্যা রেকর্ড বক্ত্যব্য, এজন্য শূন্যস্থান আর পূরণ করলামনা। কেননা আমাদের দেশে যেখানে বিচারকগণ যমুনা ব্রিজে টোল ছাড়া উঠার পর দায়িত্বরত কর্মকর্তা টোল চাইলে তাকে গ্রেপ্তার করান এবং কয়েক সপ্তাহ হয়রানি করা হয় বিনা বিচারে – যদিও তাতে কিছুই হয়না বিচারকের, সেখানে……!!!
বিচারকের কথার সুর ধরে আমার বলতে ইচ্ছে হচ্ছে –
বিশ্বের ইতিহাসে কোন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের শান্তিকালীন সময়ে প্রকাশ্য এত বড় মামলায় হাজির হতে হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। এটা অনেক অদ্ভুত একটি মামলা।”
কোন রাষ্ট্র যদি নিশ্চিত হতে পারে যে, অপর রাষ্ট্র থেকে তার নিজ রাষ্ট্রে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেওয়া হচ্ছে, তাহলে তার অধিকার আছে যেকোনো উপায়ে তা দমন করা – এর জন্য যদি সামরিক আক্রমণ করতেও হয়, তাহলেও। তবে এখানেও অনেক ফ্যাক্টর কাজ করবে – যেটাকে বলা যায়, কৌশলগত কস্ট বেনেফিট এনালাইসিস। তিব্বতে মদদ দেবার জন্য চীন- ভারতকে, কিংবা সেভেন সিস্টার্সে মদদ দেবার জন্য ভারত- চীনকে কিংবা কাশ্মীরে মদদ দেবার জন্য ভারত- পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বসতে পারেনা – কেননা কষ্ট-বেনেফিট অ্যানালাইসিসে সেই আক্রমণ বেনেফিট সীমা অতিক্রম হতে পারেনা। দশ ট্রাকের ব্যাপারটাও তা। এর জন্য আর যাই হোক ভারত বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে পারতোনা।
আমি মনে করি এই দশ ট্রাক মামলা ব্যাপারটা রাজনৈতিক। কেউ যদি এক ডজন ডিম চুরির অপরাধে ধরা পরা চোরকে গুলি করে মেরে ফেলে – তাহলে দোষী কে??? মামলাটা যেভাবে এগিয়েছে – বিএনপি প্রথমে এর থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেবার চেষ্টা করে বিরোধীদলকে ফাঁসাতে চেয়েছিল – এখন আওয়ামীলীগও একই কাজ করছে তবে যা করতে যেয়ে রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে ফেলছে। এই অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ ভাবেই বলা যায় – বহিঃশত্রুর আক্রমণে এই দুটি রাজনৈতিক দলও অত্যন্ত নীচ আচরণ করবে – হয়ত দেখা যাবে আক্রমণের সময়কার বিরোধীদল “নিরপেক্ষ” থেকে সরকার দলকে দোষারোপ করবে আর সরকারী দল উক্ত বহিঃ আক্রমণের জন্য বিরোধীদলকে দোষারোপ করবে।
এই মামলায় যদি আসলেই কাউকে বিচারের আওতায় আনতে হয় তাহলে আনতে হবে একেবারে শীর্ষ নীতি নির্ধারককে – তাকে না ধরে তৃতীয় এবং এর পরের গুলোকে ধরা মানে হল এখানে আইনের শাসনের অভাব। কিন্তু তা করা হয়নি কারণ তা রাজনৈতিক ভাবে লাভজনক হবেনা। তবে সবচাইতে বড় ব্যাপার হল – এই মামলার বিচার এভাবে প্রকাশ্য করা কিংবা করার ফলে রাষ্ট্র হিসেবে আমরা কি একটা স্যাটেলাইট, বানানা, ক্লায়েন্ট, ট্রিবিউটারি – যেভাবেই বর্ণনা করা হোক না কেন – তেমন পরিচয়ের ধারক হবনা ???
যাতনাঃ
আমার মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টি আসলে হ্যান্ডল করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় এবং প্রশাসনিক অনভিজ্ঞতায় । এমন অনভিজ্ঞতা বিভিন্ন ব্যাপারে দেখা যায় – যেমন কোন বড় দাগী সন্ত্রাসী ধরা পরার পর ঐ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা কিংবা সহকারীরা গর্ব সহকারে পরিচয়ের সাথে ছবি তুলেন – ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য বিপদের (নিজের, পরিবারের কিংবা রাষ্ট্রের উপর) কথা না ভেবেই। কিংবা রাজনীতিবিদেরা যেখানে সেখানে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা ইত্যাদি। আসলে স্বাধীন ভাবে নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়াটাও এটার একটা কারণ হতে পারে।
আরেকটি ব্যাপার, যদিও, অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন – আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, দ্রুত দেশ স্বাধীন হওয়াতে ( মূলত, সাত মাসেরও কম সময়ে), সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীন হবার যেমন ফলাফল- তা থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন হলে যেমন হয়, তেমন হয়েছে অর্থাৎ – পূর্ববর্তী শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা থাকা – যেমনটি হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনীতে – যেখানে দীর্ঘ মেয়াদী সামরিক শাসন দ্বারা কলুষিত পাকিস্তানী রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কালচারের অনেক কিছুর ধারাবাহিকতা ছিল।
বিএনপি-আওয়ামীলীগ দুটি দলই রাষ্ট্র চালানোয় চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। দ্বিতীয়ত এই মামলায় বেশ কিছু নিরীহ মানুষ (প্রাইভেট সিটিজেন এবং পাবলিক সার্ভিস হোল্ডার) অযথা হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে। তদন্তকারী দুই সার্জেন্ট এর উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা বারবার লিমন নামক অসহায় নিরপরাধ ব্যক্তিটির কথা মনে করিয়ে দেয় – দুই জনই র্যাব নামক একটি এডহক বাহিনীর কতগুলো সদস্যর অত্যাচারের স্বীকার। তবে সবচাইতে ইন্টারেস্টিং এবং আইরনি বটে – এই দশ ট্রাক মামলার অন্যতম প্রধান আসামী হলেন “ফাদার অফ দ্যা র্যাব” সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুতফর রহমান বাবর। র্যাব কে অতি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা দরকার।
আমার আরেকটি প্রস্তাব হল – সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন অফিসার যারা সেচ্ছায় চান একটি নির্দিস্ট কাল সামরিক বাহিনীতে ডিউটি করার সিভিলিয়ান চাকুরী করতে – তাদের মধ্য নির্দিস্ট সংখ্যক অফিসারদের স্থায়ীভাবে, সিভিল সার্ভিসে যোগ্যতা এবং প্রতিযোগীতার ভেতর দিয়ে, বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে, নির্দিস্ট কয়েকটি ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
কিছুদিন আগে ভারতের কূটনীতিক গ্রেপ্তারের ঘটনার পর- কতগুলো হাস্যকর আচরণের হেতু একজন বলেছিলেন – “ভারত পরাশক্তি হতে চায়, কিন্তু সে রকম আচরণ করেছেন” (অনেকগুলো আচরণের একটি ছিল, আমেরিকার দূতাবাসের নিরাপত্তা শিথিল করা যা রাশিয়া কিংবা চীন করত কিনা সন্দেহ – একি ঘটনার প্রেক্ষিতে!!) । আসলেই ভারতের বর্তমান নেতৃত্ব তেমন আচরণ করছেনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে – হয়ত তারা একটা পরাশক্তি রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় তেমন দক্ষ হয়ে উঠেনি। আমাদের দেশের রাজনৈতিকবৃন্দ একটি পরাশক্তি না হোক, একটি উদীয়মান রাষ্ট্র সুস্থ ভাবে চালানোয় দক্ষ হইয়ে উঠেছেন কিন তাতে যথেষ্ট স্বন্দেহের অবকাশ আছে।
যারা অস্ত্র উৎপাদন, রপ্তানি কিংবা পাচার সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী তাদের জন্যঃ
১. সুইডিশ থিঙ্কট্যাঙ্ক – স্টোকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিউট (সিপ্রি)
২.ইলিগ্যাল ট্রাফিকিং ওয়াচ সাইট – হ্যাভোকস্কোপ
সংবাদঃ
(ডেইলি স্টার বাংলাদেশ)
২. 10-TRUCK ARMS HAUL VERDICTS RELEASED. ‘Intel high-ups tainted foreign policy’
তৎকালীন দায়িত্বে থাকা যে সব কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটেছিল, তাদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া কাম্য।
পোস্ট আর মন্তব্যগুলি পড়ে একটা জিনিষ বুঝলাম যে, কারুরই সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। ব্যাক্তিগত ভাবে বাংলাদেশ থেকে টাকা দিয়ে পিসতুতো ভাইকে ছাড়িয়ে এনেছি তাই একথাটা বললাম। এখন কথা হচ্ছে, পোস্টের লেখক এবং আরও কিছু মন্তব্যকারী মিনমিন করে এবং সাইফুল ইসলাম (ইনি কি কবি?) সোজাসুজি ভাবে যেটা বলেছেন,
“কিন্তু একটা ব্যাপার আমাদের মাথায় রাখতে হবে যদি আমরা “রাষ্ট্র” বুঝে থাকি তাহলে যে, “রাষ্ট্র” তার স্বার্থ মনে করলে যে কোন কিছু করতে পারে এবং সেটাই জায়েজ হয়ে যায় তখন। এটা হতে পারে আরেক দেশের উপরে হামলা করা, এটা হতে পারে আরেক দেশে অস্ত্র সাহায্য ”
এরকম ধারনা অন্য ফোরামেও দেখছি, কিন্তু এটা কি লাভজনক, পাকিস্তানের অবস্থা দেখুন। আফগানিস্তানে আমেরিকার অস্ত্র সাপ্লাই রুট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আজকে গড়ে প্রতিদিন ২০ জন মানুষ সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে। ৭১এ ভারতের কাছে পরাজয়ের পর ভুট্টো হাজার বছরের যুদ্ধ ঘোষণা করলেন আর তার রূপায়ন করলেন জিয়াউল হক। আজকে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম চালানোর খরচ করতে করতে এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে বিদেশি অনুদান একমাস না পেলে না খেয়ে মারা যাবে। ফ্রাংকেনস্টাইন বোতল থেকে বেরিয়ে পড়েছে, এমনভাবে চললে আমরা আগামী দশ বছরের ভেতর আলাদা বালুচিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম দেখতে পাব। ভারত তার তামিল ভেঞ্চারে একজন প্রধানমন্ত্রী হারিয়েছে আর এখন তো শ্রীলংকায় ভারতের আম আর ছালা দুটোই গেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে জামাত ও বৃহত্তর জামাতের বিএনপি শাখার ( সৌজন্য, “দৈনিক মতিকন্ঠ”) প্ল্যান অনুযায়ী চললে এর কোল্যাটারেল ড্যামেজ কি বাংলাদেশ সামলাতে পারবে? গরিবের কি ঘোড়ারোগ সাজে? তাছাড়া ভারতে যেকোনো রকম বিচ্ছিন্নতাবাদই মোটামুটি ৮ বছর চলে, (‘Being Indian’, Pawan Varma) এত বছর টানার শক্তি আছেতো।
কাজেই অস্ত্র টস্ত্র বাদ দিন, ব্যবসা করুন। কাপড় পাঠান, ইলিশ মাছ আর জামদানি শাড়ি, প্রান তো পাঠাচ্ছেনই। মাসে অন্তত দশ ট্রাক সিমেন্ট তো আমার চোখের সামনেই আসতে দেখি। মাসুদ রানার বই পাঠান, সন্দেশ প্রকাশনীর বই পাঠান সস্তায় যাতে কিনতে পারি, আপনারাও ধনী হোন আমরাও হই। পরিশ্রম করে ধনী হলে এসব অস্ত্র-টস্ত্র, সন্ত্রাসবাদ, ধর্ম-টর্ম এমনিতেই অচল হয়ে যাবে।
@অজয় রাউত,
সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে বিশ্বের তাবৎ রথী মহারথী সমাজবিজ্ঞানী ঠিকমত স্ট্যান্ডার্ড সংজ্ঞা দিতে পারলনা… আমরা কোন ছাড়। অবশ্য – ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনে সেকেন্ড ওয়েভে (১৮৫০-৭০ এর পর) যারা আন্দোলন করেছেন তাদের সবাই ব্রিটিশদের আছে সন্ত্রাসী – এমনকি তৃতীয় ওয়েভ তথা শেষ ওয়েভেও অনেককেই সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল – যে ভারত স্বাধীনতার জন্য যারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিল তাদেরই তৎকালীন ভারত সরকার বিচারের কাঁথগড়ায় দাড় করিয়েছিল – আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন হলে যা হয় আর কি!! এজন্যই সকল দেশের সন্ত্রাস বাদের সংজ্ঞা ভিন্ন ভিন্ন – তাদের নিজ সুবিধা অনুযায়ী।
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জিউ-পলিটিক্স সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন।
।
ভুট্টোর ঐ কথা তার জাতিসংঘের পরিষদের বৈঠকে কাগজ ছেড়ার মতই নাটকীয় – এবং এর উদ্দেশ্য মোটেও আন্তর্জাতিক নয় বরঞ্চ আভ্যন্তরিক। যেমন অনেক ভারতীয় রাজনীতিবিদ মনে করতে আনন্দ পান যে ভারতের মূল প্রতীজোগি চীন, পাকিস্তান নয়। যদিও চীন তা মনে করেনা, সে ভারতকে এ অঞ্চলে আমেরিকার নতুন সাইড কিক হিসেবেই দেখে।
আজকে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম চালানোর খরচ করতে করতে এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে বিদেশি অনুদান একমাস না পেলে না খেয়ে মারা যাবে।
কাশ্মীরে পাকিস্তান কেমন সাহায্য দেয়?? একটু খোঁজ নিয়ে দেইখেন… তিব্বতীয়দের যেভাবে আপ্যায়ন করে তেমনি কাশ্মীরিদের পাকিস্তানিরা করলে কাশ্মীরিরা আর স্বাধীনতাই চআইতনা!!
কাশ্মীরে পাকিস্তান কেমন আর কতটুকু অর্থ সাহায্য দেয়?? একটু খোঁজ নিয়ে দেইখেন… তিব্বতীয়দের যেভাবে আপ্যায়ন করে তেমনি কাশ্মীরিদের পাকিস্তানিরা করলে কাশ্মীরিরা আর স্বাধীনতাই চাইতনা!!
কাশ্মীর, সেভেন-সিস্টার এবং দক্ষিনাত্যর সাথে, পশ্চিমবঙ্গে বসে সেই মানসিকতা দিয়ে তাদের ভাবলে বড্ড ভুল হবে!! বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের কথা যদি বলতে হয়!!! আমি দক্ষিণী এবং কাশ্মীরি মানুষদের সাথে কাজ করেছি… তাদের অনেকে হিন্দি ঠিকমত জানেইনা –কিছু জানলে তাও বলতে অনিচ্ছুক। আর ওপারের পশ্চিমবঙ্গের দাদারাতো হিন্দি বলতে পারলে যেন বড়তে যান!!! এর একটা প্রমাণ পাওয়া যাবে – কলকাতার টিভি চ্যানেলে হিন্দি ভাষার অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি অথচ দক্ষিণের তা হিন্দি বিষয়টা সম্পূর্ন অনুপস্থিত।
আর হবে নাওবা কেন?? ভারতে হিন্দিকে একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করার বিরোধিতার আন্দোলনও তো পশ্চিম বঙ্গে হয়নি – হয়েছে দক্ষিনাত্য :)) আগেই যেমন বলেছি- ওপার বাংলার দাদারা যেমন হিন্দী বরন করে নিয়েছে – তারা ভাবেন সবাই নেবেন – কিন্তু তা হয়নি অন্যান্য অঞ্চলে।
আর আম ছালার ব্যাপার ?? বৃটিশরা ভারত শাসন করেছে মোটামুটি ১৯০ বছর কিন্তু তাদের চলে যাওয়াটা এখনও ১০০ বছরও অতিক্রম করেনি… এমনকি হীরক জুবিলিও পালন করার সময়ও এখনও হয়নি… এত তাড়াতাড়ি কঙ্কলুশন ??
হা হা হা…… এখন একটা ঘটনা মনে পড়ছে… সম্ভবত আমি সারা জীবন ভূলবনা। বারখা দত্তের বা কোন মহিলা সাংবাদিক সম্ভবত বলিউডি হিরো জন আব্রাহামের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। এনডিটিভির উক্ত অনুষ্ঠান ভোট দেওয়ার দিন – তারকাদের ভোটে যোগদানের দৃশ্য দেখিয়ে আমজনতাকে ২০০৯ এর ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনের ভোটে যেতে উদ্ভত করার জন্য সম্ভবত। একটা জিনিষ লক্ষ্য করলাম – মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রায় সব বলিউডি তারকা এক কথা – যে মুম্বাইয়ে যে স্লাম তথা বস্তি আছে তা যেন উচ্ছেদ করা হয় – ওটা অনেক নোংরা (তাদের ভাষায়) :))
অডি গাড়ী চালাতে চালাতে জন আব্রাহাম একটি বস্তি দেখিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহীতাকে বলছে – “বস্তির অবস্থা দেখেছেন, দেখে কি মনে হয়না এটা “লিটল বাংলাদেশ”” – মনে মনে বললাম – পৃথিবীর সবচাইতে বিশাল বিশাল বস্তিগুলো প্রায় অর্ধেক তোমার দেশে তার তুমি কিনা বল…… ডিকহেড আর কাকে বলে!! অবশ্য এমন অনেকেই আছে – যারা নিজের দেশের খবর ঠিক মত রাখেইনা।
তা তো চলবেই… যতদিন রাষ্ট্র থাকবে ততদিন তো আন্ত রাষ্ট্রীয় ব্যবসাবাণিজ্য করেই চলতে হবে… আমরা এটাও চাই ভারত ফেডারেল থাক… নাহলে খামাখা আমাদের ফরেন সার্ভিস ক্যাডার এবং কলেবর বাড়াতে হবে – ওটা অনেক ব্যয়সাধ্য।
তবে আমরা শুধু ধনী হতে চাইনা… আমরা চাই আমাদের সম্পদের যেন সুস্ত বণ্টন হয়। আমরা চাইনা কয়েকজন রাষ্ট্রীয় লাইসেন্সড প্রাপ্ত বিলিয়নিয়ার আর তার অ্যাসোসিয়েট হায়ার মিডল ক্লাশ এক্সিকিউটিভ দেখে সাইনিং এর তৃপ্তির ঢেঁকুর কেউ ফেলুক!!
@সংবাদিকা,
সত্যি কথা বললে যদি কিছু না মনে করেন তবে বলতে হবে যে আপনার এই লেখায় আমি এইমাত্র বাংলাদেশের মত একটা দেশের জন্য সবচেয়ে বাস্তববাদী আর ইতিবাচক কথাটা পড়লাম বলেই আমার অভিমত।
বাকিগুলোর কথা বলব না আর, কারন হাল ছেড়ে দিসি।
@অর্ফিউস,
আপনি এটার সাথে একমত এবং ওটা “আপনার” অভিমত… এখন সবই যদি আপনার কিংবা অন্য কারও “অভিমত” মত হত তাহলেতো আর “গণতন্ত্র”, “ভিন্নমত” কিংবা “মত” ইত্যাদি শব্দের ব্যবহারের প্রয়োজন হতনা!!
বাকিগুলোর সঙ্গে আপনি একমত পোষণ করেননা বোঝাই যাচ্ছে – এবং আপনার দ্বিমত কে আমি শ্রদ্ধা করি।
@সংবাদিকা,
সেতো বটেই।
তবে আসেন আপাতত তর্ক বাদ দিয়ে একটু এক হই। মনে হয় এটার সময় এসেছে। নিচে একজন বিদেশী আধিপত্যকামী টাইপ মন্তব্য করেছেন। উনার প্রতি মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি আমি। যদি উনি মিন করে থাকেন তবে আসেন বাংলাদেশী হিসাবে তার কথার একটু হিসাব নিকাশ করা যাক।
@অর্ফিউস,
আপনি যার কথা বলেছেন – সে নিজের দেশ এবং তার ইতিহাস নিয়েই ঠিক মত অবগত নন. বেশীরভাগ সময়ই বিভিন্ন ব্লগে ব্লগে “অন্দাজী” / “মর্জি” মত কমেন্ট করে বেড়ায় এবং সবজায়গায়ই ঐ সব কমেন্টের উপযুক্ত “উত্তর” শোনে – এই পর্যন্ত কিছু লিখেছে বলে আমার জানা নেই। তবে মানতেই হবে তিনি “ট্যাকনিক্যালি” মুক্তমনা ব্লগের ব্লগার – সুতরাং, উনার কমেন্ট করার অধিকার আছে – যা ইচ্ছা উনি বলতে পারেন কেননা মুক্তমনা একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাট ফর্মের মতই।
মুক্তমনা ব্লগে অনেক শ্রুড ভারতীয় আছেন; সো এমন একজন শেলোও পাবলিকের সাথে তর্কে জড়ানো এবং সময় নষ্ট এক জিনিষ….. তাও আবার আন্ত রাষ্ট্রীয় বিষয়ে!!
@সংবাদিকা,
শ্যালো লোকদের দিয়েই বরং আমজনতার কিছুটা হলেও উপকার হয়, অন্যদিকে ডিপ ডিপ লোকদের দ্ব্যার্থবোধক, ধোঁয়াশাপূর্ণ, চালিয়াতিপূর্ণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গোলমেলে লেখা আমজনতার মাথার উপর দিয়েই যায় শুধু!
আর সময় নষ্ট কাকে বলে, এ লেখাটি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যেমনটা আদিল ভাই বলেছেন।
মুক্তমনা প্রচলিত ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার জায়গা, যেমনটা আগেও বলা হয়েছে। অথচ এই লেখায় কোন সুনির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না নিয়ে (বা বলা ভাল, স্ট্যান্ড না নেয়ার ভান করে) সুকৌশলে খালেদা সরকারের প্রত্যাক্ষ তত্ত্বাবধানে উলফার অস্ত্র খালাসের কাজটিকে জায়েজ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমরা অত্যন্ত আগ্রহী ছিলাম জানতে, কেন উলফার অস্ত্র বাংলাদেশে খালাস করা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে, তা জানতে! আমরা আগ্রহী ছিলাম, যুক্তিগুলো শুনতে, বুঝতে; হয়ত আমরা বিতর্ক করতাম, কিন্তু একটি সমৃদ্ধ আলোচনা তো হতে পারত!! অথচ লেখককে বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি স্ট্যান্ডটি পরিষ্কার করলেন না, ধার কাছ দিয়েই গেলেন না বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার! লেখকে এও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, উনি আসলে কি বলতে চেয়েছেন এই লেখায় সহজ করে আমজনতার জন্য বলতে, অন্তত চারপাচটি পয়েন্ট আকারে বললেও তো হত! কিন্তু তিনি এড়িয়ে গেলেন স্কোপের বাইরে, যেমনটা তিনি আগেও করেছেন বিভিন্ন আলোচনায়! শেষ পর্যন্ত আলোচনাটি খিস্তি-খেউরে মোড় নিল; বস্তুত উদ্দেশ্যপ্রনোদিত আর ধোয়াশাপূর্ণ লেখা এমন পরিনতিই লাভ করে থাকে, তবে নীট লস আমজনতারঃ তাদের বিস্তর শ্রমঘন্টা নষ্ট হল!
তবে লেখক বোধহয় কিছুটা সফল হয়েছেন বা নিজেকে মনে করছেন, অন্তত কাউকে না কাউকে ঠিকই কনফিউজড করতে পেরেছেন; বাংলাদেশে দুটো কার্ড খেলে খুব সহজেই মানুষকে আবেগপ্রবণ করে ফেলা যায়, একটি ধর্ম কার্ড, অন্যটি ইন্ডিয়া কার্ড। লেখক এখানে ইন্ডিয়া কার্ড খেলে কাউকে কাউকে এতই উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন যে, তারা এখন বাংলাদেশকে উলফার ঘাঁটি বানাতেও রাজি, দেশকে উলফার অস্ত্রে ভরিয়ে দিতেও রাজী!
@সংবাদিকা,
বুঝ জন যে যান সন্ধান
@সংবাদিকা, অন্য ব্লগের খবর জানি না তবে উনি আমাকেও তার বক্তব্য পরিষ্কার করে বলেন নি। কাজেই পরিষ্কার করার আগ পর্যন্ত কি হবে এটা উনাকে আমি জানিয়ে দিয়েছি। আপনারাও সেটা চিন্তা করে দেখতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আমাদেরও অধিকার আছে যে কাউকে প্রত্যাখ্যান করার।
@অর্ফিউস,
যার কথা বলেছেন, সে যে আমাকে উদ্ধৃত করে কমেন্ট করেছে… হা হা হা 🙂 যদিও দাবী করেছিল
😛
দেখেন আবার যেটা সুবিধাজনক মনে হয়নি তার লিংক দেয়নি আর যেটা সুবিধাজনক মনে হয়েছে শুধু তার লিংক দিয়েছে… কয়েকজন তাকে কয়েকটি সদোপদেশ দিয়েছে… পরে দেখি অন্য আরেকটি ব্লগেও শ্যালোও কমেন্ট করে একই ধরণের উপদেশ পেয়েছে 😛
উক্ত ব্লগে এই “অজয় রাউত” নামক পাবলিক কে বলা হয়েছে –
এর পর অবশ্য তার আর কমেন্টই পড়েনি উক্ত ব্লগে 😛
আরেক মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে, এই মুক্তমনা ব্লগেই ওনার দেশেরেই একজন ব্লগার এই “অজয় রাউত” নামক ইন্ডিভিজুয়ালকে বলেছেন –
কি লাভ বলুন অযথা তর্কাতর্কি করে সময় নষ্ট করে!! যাই হোক মুক্তমনার মডারেটরগণ তাকে কোন যে কোন কারনেই হোক মুক্তমনার ডি জুরি সদস্য করে নিয়েছেন – সো উনি এখানে স্বাধীন ভাবেই মন্তব্য করতে পারেন… ওটা ওনার স্বাধীনতা – মৌলিক আন্তর্জালিক অধিকার 🙂
@সংবাদিকা,
NOTORIETY BRINGS THE FAME :rotfl:
@সংবাদিকা, সচলে করা মন্তব্য দেখে হাসলাম 😀
সেতো বটেই। সত্যিকার সভ্যলোকরা তো আর যাই হোক অসভ্যতার প্রতিবাদ না করে পারেন না।
সেটাও সঠিক। অকে উনার কাজ উনি করুন, তর্কাতর্কি না করাই ভাল। খালি খালি ব্লগ গরম করার চেয়ে ইগ্নোর করাই বেটার। ধন্যবাদ আপনাকে।
@সংবাদিকা,
সন্ত্রাসবাদ মোটামুটি কি বুঝার জন্য এই প্রিভিউটা দেখতে পারেন। বাকি বক্তব্য আমার ওয়েভ লেংথের উপরে।
রাধারমণ জিউ না শ্রীকৃষ্ণ জিউ বুঝলাম না, তবে কেউ যদি প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগাতে যায়, আগুন থেকে তার নিজের ঘরও বাঁচাতে পারবেনা।
এজন্যই ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছে।
হুম, আমেরিকাকে ঘিরে ধরার জন্যই কোকো দ্বীপ, হাম্বানটোটা, গয়াদর এসব অঞ্চলে নৌঘাঁটি স্থাপন করছে। সাইডকিকের পরপরই বাংলাদেশের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কিছুই বুইঝতে পাইরলাম না, বেরেইন বুধহয় কম আছে।
পড়ার চেস্টা করছি না, ইমো দেখেই ব্রেনে কঙ্কাসন হচ্ছে।
কালাহারিতে বৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশে বরফ পড়ছে, আচ্ছা ডিক হেডের উপরে গজালে কি ডিকহেড বলা হয়।
এটা একশ শতাংশ সত্য। আপনারা চান বলেই দশ ট্রাক অস্ত্র আটকে দিয়েছেন, নইলে তো এতদিনে উত্তরপূর্ব স্বাধীন হয়ে যেত। (ইমো খুঁজে পাচ্ছিনা, লটপটেও পুরোপুরি আসছে না)।
বামগন্ধে এলার্জি থাকায় অসুস্ত বোধ করছি।
আমি আর আপনার কোনও উত্তরের উত্তর দেব না। আমার জ্যোতিষশাস্রে π নং ডিগ্রী আছে, তাই আমি বুঝতে পারছি আপনার পরের মন্তব্য হবে “আমরা সবাই তালিবান, বাংলা হবে আফগান”।
@অজয় রাউত,
হা হা…… মনে হচ্ছে বইয়ের শুধু রিভিও পড়ার অভ্যাস… অথবা শুধু নাম – কোন বই কিসের উপর!!
বেশি বুঝে কাজ নেই
বটে…… সবই কর্ম… এবং রর্মফল…
পত্রিকার সংবাদ শিরোনামই বোধয় শুধু পড়ার অভ্যাস – বই গুলোর শুধু রিভিঊর কিংবা তালিকা পড়ার অভ্যাসের মত।
কিছু না ধুকাতে চাইলে বুঝতে চাইলে আইন্সটাইনি কিংবা সত্যেন্দ্রনাথি বেরেনেও কম্ম হবিনানি…
বোঝাই যাচ্ছে পড়ার তেমন অভ্যাস নেই যদিওবা তাহকে তাও ঐ পাঠ্য বইয়ের বাহিরে নয় – মনে হয় পত্রিকার শিরোনাম দেখে এবং বইয়ের রিভিউ দেখেই কম্ম খতম করার অভ্যাস।
বোঝাই যাচ্ছে – কারও কারও অভ্যাস পোঁচ ডিমের কুসুম কেন একেবারে মাঝে না হয়ে একটু এদিক সেদিক কেন হল তা ধরে তুলকালাম কাণ্ড করা……
এটা কে চায়, কিংবা চায় না এখনও তো বের হলনা – কেউ কেউ মনে হয় – ডি জি টা ল কা পা লি ক – আগেই খোঁজ পেয়ে যায় ঐ ঠুটো জগন্নাথের মত, যে কিনা চেয়ারে বসে বসেই তাবৎ দুনিয়া নিয়ে অ্যানালাইসিস করে ফ্লে…
হা হা… ওপাড়ে কারও কারও দ্বিমত মানেই বাম গন্ধ খুঁজে ফেরা… এই গন্ধ খুঁজে ফেরে নর্দমা অনেকে আবার ভুলে শাল তাল গায়ে দিয়ে ফেলে
আমি তো প্রশ্নই করলাম না হে!! উত্তরের কে ধার ধারল :-s
@অজয় রাউত,
আপনাকে কাছে দুটো প্রশ্ন করব আর দুটো তথ্য দেবো। তারপরে আপনি চাইলে আলোচনা হতে পারে। না চাইলে নাই।
আপনি কি ভারতীয়?
তাহলে আপনার সাথে কথা বলে লাভ নেই। কারন রাষ্ট্রীয় ইন্টারেস্টের ব্যাপারে আপনার সাথে আমার কোনদিনই মিলবে না। সেই হিসাবে শুধু শুধু বায়বীয় আলোচনা করে লাভ নেই।
সম্পূর্ণ মন্তব্যের সাথে এই প্রশ্নটি তোলার কোন আপাত কারন খুজে পেলাম না। এই প্রশ্নটি তোলার কারন কী?
তথ্য একঃ আপনি বোধ করি পোস্টটি ঠিক করে পড়েন নি বা পড়লেও এই বিষয়টিকে অনুধাবন করতে পারেন নি। পোস্টটি দুই দেশের মধ্যে কীভাবে পেঁয়াজ রসুন আনাজপাতি বেচাবিক্রি করে আপনি আমি লাভবান হবো সে বিষয়ে নয়। পোস্টটির বিষটি আপনি যতটুকু ভেবেছেন তার চেয়ে আরেকটু শিক্ষিত পর্যায়ের। বিষয়টি মূলত দুটি দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ঘটা একটা ঘটনা নিয়ে। সেই ঘটনার ফলশ্রুতিতে ঘটে যাওয়া বিচার নিয়ে। বিস্তৃতভাবে “রাষ্ট্রতত্ত্ব”ই পোস্টের মূল ফোকাস। আপনার ব্যবসার প্রতি আলাদা প্রীতি থাকতে পারে তাতে দোষ নেই, আপনি আগানে বাগানে ঝোপে ঝাড়ে বাজারও খুজতে পারেন, সেই অধিকার আপনার আছে। স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি শুধু একটু মনে করিয়ে দিতে চাই আপনি ভুল জায়গাকে বাজার ভেবে ঢুকেছেন। এখানে সন্দেশ বিক্রি হয় না। সন্দেশ পেতে হলে আপনাকে মতিকন্ঠেই যেতে হবে।
তথ্য দুইঃ
আপনি এই বাক্যের আগে পরে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থার কারন সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তার হাস্যকরতা সম্পর্কে কোন মন্তব্য না করে ৭১ সম্পর্কে যে ভুল তথ্যটি দিয়েছেন সেটি শুধরে দিতে চাচ্ছি। ৭১-এ পাকিস্তান ভারতের কাছে হারে নি। হেরেছিল বাঙলাদেশের কাছে। অফিশিয়ালি ভারত-বাঙলাদেশ যৌথ বাহিনীর কাছে। যে পুস্তকে এই তথ্য পেয়েছেন তার লেখক লেখালেখির উপযুক্ত নয়। বড়ো জোর পাঠক হতে পারে। আপনার স্মরণকোষে তথ্যটি সম্পাদনা করে নিন অনুগ্রহ করে।
একটা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন মনে হয় করা যায় এই প্রেক্ষিতে। ৭১-এ বাঙলাদেশকে তথা তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানকে ভারতের পক্ষ থেকে কোন লুকোচুরি ব্যাতিত অস্ত্র, প্রশিক্ষন দিয়ে পাকিস্তান ভাঙন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন? এই নিয়ে পাকিস্তান আজকে বিচার চাইলে এবং বর্তমান ভারত সরকার ইন্দিরা গান্ধি যোগ ঐ সময়ের “র”সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মরনোত্তর মৃত্যুদন্ড দিলে আপনার স্ট্যান্ড কী থাকবে?
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
জানতাম, এই প্রসঙ্গটি আপনি তুলবেনই, তবে কিনা এতদিনেও তুলছিলেন না দেখে খানিক দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম, আর কি! সব সন্দেহের নিরসন করে প্রশ্নটি তুলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। যে কুয়াশারোগে এই লেখাটি ভুগছে, আপনি কিন্তু বার বার তা পরিষ্কার করে স্পষ্ট করে তুলছেন অবস্থান অনেকটা নিজের ঘাড়ে দায়িত্ব তুলে নিয়ে।
ভারত কর্তৃক পাকিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীতা আর বাংলাদেশ কর্তৃক ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীতার মধ্যে যোজন যোজন পার্থক্য আছে। যেমনঃ
১.আসলে বাংলাদেশ যখন ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীতা করে, তখন কিন্তু আসলে নিজের ডিসিশানে/ নিজের কস্ট-বেনিফিন এনালিসিস/স্ট্রাটেজিক্যাল স্বার্থে করে না, বিএনপি-জামাত এ কাজটি করে পাকিস্তানের মদদে, আসলে বাংলাদেশ এখানে এজেন্ট হিসেবে কাজ করে পাকিস্তানের; অন্যদিকে, ভারতের সহায়তাদান পাকিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদে একজন প্রিন্সিপাল হিসেবে, এজেন্ট হিসেবে নয়।
২.ভারতে দেড় কোটি বাংলাদেশী শরনার্থী আশ্রয় নিয়েছিল, হয়ত এ শরনার্থীদের হাত থেকে বাঁচতেও ভারতের জন্য পাকিস্তানী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তাদান জরুরি হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে কি এমন উলফা শরনার্থী আশ্রয় নিয়েছিল?
৩.পাকিস্তান ভাঙ্গলে ভারতের লাভ, কিন্তু ভারত ভাঙলে বাংলাদেশের কি লাভ? ভারত ভয় পেয়ে বাংলাদেশকে তখন গঙ্গা-তিস্তায় পানি দিয়ে দেবে? বন্ধ করে দেবে টিপাইমুখ পরিকল্পণা?
৪.ভারতের পক্ষে হয়ত পাকিস্তান ভাঙ্গার পরিকল্পণা করা সহজ, কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে ভারত ভাঙ্গার পরিকল্পনা ততটাই কঠিন ও অবাস্তব নয় কি?
আরও অনেক পয়েন্ট তুইলা ধরন যায়। কিন্তু এখন ঘুম পাইতাছে। তয় যাওনের আগে আপনেরে আরেকবার ধইন্যা জানাইয়া যাইতে চাই, কারণ আপনি কুয়াশা-কুয়ারা করেন না, নিজের অবস্থান খুব স্পষ্ট করেই ব্যাক্তু করেন। যা অনেক মুক্তমনার কাছ থেকেই পাওন যায় না!
@সাইফুল ইসলাম,
মাফ করবেন, আরেকজনের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।
বিষ না হয়ে বোধহয় বিষয় হবে। তবে বিষ হলেও ক্ষতি নেই। দুটি দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে
মানে কি? কোন দুটি দেশের? চিন-বাংলাদেশ না পাকিস্তান-বাংলাদেশ। ভারতের উদ্দ্যেশে পাঠানো হচ্ছিল এটা তো অনুমান মাত্র। আর পাঠালেই কি সবকিছু ঢুকানো যায়। অশিক্ষিতকে বাজার করতে দেওয়া মডারেটরদের দোষ, কাজেই কিছু মনে করাতে হলে ওদেরই মনে করান। এমনিতেই আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল।
আপনার হাস্যকর আবেগের প্রতি সন্মান জানিয়েই জিগ্যেস করছি, পশ্চিম ফ্রন্টে লড়াইটা কি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী (অফিসিয়ালি) লড়েছিল? ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতের পশ্চিম সেক্টরে বোমা বর্ষণ করে যেটা ভারতকে খোলাখুলিভাবে পূর্বদিকে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ এনে দেয়।(সৌজন্য রামচন্দ্র গুহ, ইন্ডিয়া আফটার গান্ধী)। বাংলাদেশের ইতিহাসে এসব তথ্য পড়ানো হয় না? স্বতসিদ্ধ জ্ঞানপাপীর অবশ্য পড়াশুনার প্রয়োজন নেই।
প্রাসঙ্গিক! ঘোড়ার হাসি শোনা যাচ্ছে। যদি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া উলফা নেতৃত্বাধীন স্বাধীন আসাম সরকারকে বাংলাদেশ স্বীকৃতি দিত, যদি ভারত সরকার ৩০ লক্ষ আসামবাসীকে হত্যা করত, যদি বাংলাদেশ ভারত আক্রমণ করে উত্তরপূর্বকে আলাদা করে দিত, যদি মুখে প্রগতিশীল ছুপা রাজাকাররা আসামে বসে এখনও ছড়ি ঘুরাত তখন নাহয় মরনোত্তর মৃত্যুদন্ড (খাব না মাথায় দেব)মাথা পেতে নিতাম।
হ্যাঁ আমি ভারতীয়, একজন আধিপত্যকামী হিসেবে নাহয় একটু ক্ষমাঘেন্না করে মেনে নিন।
@অজয় রাউত,
মনে হচ্ছে আপনি এবিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। এ নিয়ে একটা পোষ্ট দিন, পড়ে দেখি। আপনার পিসতুতো ভাইকে বাংলাদেশ থেকে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছেন, তার সাথে সন্ত্রাসবাদের ধারনা না থাকার কি সম্পর্ক?
আমরা এখানে কবিতা নিয়ে আলোচনা করছি না, কাজেই সাইফুল ইসলাম কবি নাকি অভিনেতা নাকি অন্য কিছু সে প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর।
এই বাক্য এবং এ সম্পর্কে মন্তব্য-কারীর প্রাসঙ্গিক মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হয়েছে উনি এর মাধ্যমে কেবল একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার কথা বোঝাতে চেয়েছেন, কেবল সেই রাষ্ট্রের দৃষ্টিকোন থেকে। একথা মনে করার কোন কারণ নেই যে উনি আরেক দেশের উপরে অন্যায় হামলা করা, বা আরেক দেশের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করাকে সার্বজনীনভাবে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন। একটা সময় ভারত শান্তিবাহিনী বা তামিল টাইগারদের নৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য দিয়েছে তার সার্বভৌম ক্ষমতার বলে। এজন্য এইসব কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী কোন রাজনৈতিক নেতা, আমলা বা সামরিক কর্মকর্তাকে কখনো কোন প্রকাশ্য আদালতে বিচারের সম্মুখীন হতে হয় নি। কিন্তু তার মানে এই না যে এই কাজগুলো বৈধ বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে এই অস্ত্র পাচারের ঘটনার সবচেয়ে বড় হতাশার দিক হল একে ঘিরে রাজনীতিবিদদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কোন দলই এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে পারে নি। দেশের মাটিকে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র পাচারে ব্যবহার করতে দেয়ার ঝুঁকি নেয়া কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। একদিকে যেমন অতীতে বিএনপি/জামাত এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ কে জড়ানোর চেষ্টা করেছে, অন্যদিকে নির্বাচনের পরপর তাড়াহুড়া করে দেয়া গণ-ফাঁসীর রায় দেখে মনে হচ্ছে কোন মতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে বিএনপি/জামাতের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণই এর আসল উদ্দেশ্য ছিল। সত্য ঘটনা যে কি কে জানে! আসলে আমাদের বিচার ব্যবস্থার এমনই দুরবস্থা যে কোন রায় সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে দেয়া আর কোনটা নয় তা অনেক সময় বোঝাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। খুব সাম্প্রতিক একটা উদাহরণ দেই। বিশ্ব-বেহায়া স্বৈরশাসক এরশাদ ভালোই গ্যাঁড়াকলে পড়েছিল এক সামরিক কর্মকর্তার হত্যা মামলায়। শুনেছিলাম রায় প্রদানের দিনক্ষণ ঠিক, সাক্ষ্যপ্রমাণে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু হলে কি হবে, উনি যে এখন সরকারের বিশেষ দূত! তাই শেষমেশ বিচারক পরিবর্তন, আবার শুনানি! এবার মানে বুঝে নিন।
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে এই অস্ত্র পাচারের বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয়া যেত? জটিল প্রশ্ন, এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এপ্রসঙ্গে অন্যদেশগুলো তাদের আভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থকে সরিয়ে রেখে যেভাবে এধরণের সমস্যার সমাধান করে থাকে তা খতিয়ে দেখা যায়।
আধিপত্যকামী? ভুল জায়গায় এসে পড়লেন না তো? 🙂 তবুও স্বাগতম!
@মনজুর মুরশেদ,
ইরান কন্ট্রা কেলেঙ্কারিটা একটু দেখে নিতে পারেন।
@অজয় রাউত,
আপনি যেহেতু ভারতীয় আপনার সাথে বাঙলাদেশের রাষ্ট্রস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাপারে আমি আলোচনায় যাচ্ছি না। সেটার কোন মানেই হয় না। ভারতীয় হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমার অনেক কষ্ট কমিয়ে দিলেন।
যদি অনুমানই হয় ব্যাপারটা তাহলে আপনি এই পোস্টে ভাড়ামো করছেন কেন? একটা অনুমানের উপরে নির্ভর করে আপনি আরেকটা দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে মতামত দিতে আসছে কোন সাহসে, কোন অধিকার বলে?
অশিক্ষিতদের এই ব্লগে পদচারনা করতে দেয়ার ব্যাপারটা আপনার সাথে গলা মিলিয়ে মডারেটরদের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি। তারা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন অশিক্ষিতদের দিয়ে আনাজপাতি ক্রয় বিক্রয় হলেও হতে পারে, তবে শিক্ষিত ব্লগিং নয়।
আর আপনার স্মৃতিশক্তির দূর্বলতার প্রেক্ষিতে আপনাকে আমার আন্তরিক সহমর্মিতা। কোন ভালো সাইকায়াট্রিস্ট দেখাতে বলব এই ব্যাপারে। প্লিজ এই ব্যাপারে হেলাফেলা করবেন না যেন!
আমি যে তথ্যটা দিয়েছি সেটা আবেগীয় পদার্থ নয়। এবং আপনি এখন যে তথ্য দিচ্ছেন সেটাও ভুল নয়। আপনি হয়ত খেয়াল করেন নি কিংবা মন্তব্য লিখার সময় আপনার দূর্বল স্মৃতিশক্তির কারনে মনে রাখতে পারেন নি আমি বলেছি পাকিস্তান অফিসিয়ালি, ভারত-বাঙলাদেশ যৌথবাহিনীর কাছেই আত্মসমর্থন করেছে, ভারতের কাছে না। কিন্তু ৯ মাসের যুদ্ধে দু-চার দিন যুদ্ধ করে সেটা আপনার কাছে তথা ভারতীয়দের কাছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলেই বিবেচিত হয়। সেটার সম্পর্কে আমি অবহিত আছি। এবং এটা নিয়ে আমি খুব যে চিন্তিত তাও না, আপনার রাষ্ট্রের বিবেচনায় সেটাই স্বাভাবিক। আমি শুধু আপনার ভারতের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়ের ব্যাপারটাকে একটা ভুল তথ্য বলেছি এবং এখনও সেটাতেই স্টিক করছি। কারন ৭১-এ যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছিল পাকিস্তানের পরাজয় এবং বাঙলাদেশ-ভারতের যৌথ বিজয়। আমাদের দেশে ইতিহাস পড়ানো হয় কী না সে খোজ খবর নেয়ার আগে আপনার জানা শোনাটাকে একটু ঝালাই করে আসুন। মানে হলো, আমি যে তথ্য দিয়েছি সেটা যে ভুল এমন কোন বিরুদ্ধ তথ্য যেটাকে অবশ্যই অফিসিয়াল হতে হবে, নিয়ে আসুন। এর থেকে মনে হয় আর সহজভাবে প্রমান করা যাবে না। যদি যায় বলুন, আমি রাজি আছি।
আপনার জ্ঞ্যাতার্থে জানিয়ে দিচ্ছি কারন আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আপনি এই শব্দটির মানে জানেন না, যার জন্য আপনার দূর্বল স্মৃতিকোষগুলোর সার্কিটে গন্ডগোল হয়ে ঘোড়ার হ্রেষা ডাক শুনতে পাচ্ছেন (সিরিয়াসলি আপনি চিকিৎসকের সাহায্য নিন!)। প্রাসঙ্গিক কথাটার মানে হলো, একটা পূর্ব বাক্যের বা বিষয়ের সাথে একই রকম মানে করে এমন অন্য একটি বাক্য কিংবা বিষয়কে আলোচনার জন্য কিংবা তথ্য হিসাবে হাজির করা। ৭১-এর আলোচনা যেহেতু এসেছিল এবং ৭১-এ যেহেতু ভারত বাঙলাদেশকে অস্ত্র, প্রশিক্ষন দিয়েছিল, এবং যেহেতু পোস্টের সাথে এই অস্ত্র সাহায্য দেয়ার বিষয়টি সম্পর্কিত সেজন্য আমি ৭১-এ বাঙলাদেশকে দেয়া ভারতের সাহায্যের উদাহরন দিয়ে বর্তমান পোস্টের খাতিরে বিষয়টি অবতারনা করেছি। সেজন্য ৭১ এর বিষয়টিকে প্রাসঙ্গিক বলছি। এরপরেও যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আবার বলবেন, আবার বুঝিয়ে দেব। কেমন?
বোঝা যাচ্ছে বাঙলাদেশকে ভারতের সহায়তা করার মূল কারন সম্পর্কে আপনি জ্ঞ্যান নন, হলেও আপনার দূর্দান্ত দূর্বল স্মৃতিশক্তি আপনাকে পুনরায় হ্রেষা ডাক শুনিয়ে বিভ্রান্ত করছে। আগে মনে করে দেখুন তো যদি আপনার জানা থাকে আর কী, ভারত বাঙলাদশকে কবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো? ট্রাই রিয়েলি হার্ড প্লিজ! এটা যদি জানা থাকে তাহলে বোধ করি আর আপনার অন্য প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না। যদি হয়ও, তখন দেবো।
আধিপত্যকামী?!
মাননীয় ব্লগার এবার আমি আপনার কথা শুনে চোদনা হয়ে গেলাম!
দুটো কারনে।
প্রথম কারন হলো আপনি একজন ভারতীয় হিসাবে একজন বাঙলাদেশিকে আধিপত্তকামী বলছেন!!
দ্বিতীয় কারনটা হলো, উপরে যে সমস্ত শিক্ষিতরা এতক্ষন প্রতিবেশী দেশ প্রতিবেশী দেশ চোদাচ্ছিল তারা এখন আপনার এই সুমধুর বিশেষন দেখে হয়ত স্বমেহন করছে। যার জন্য উত্তেজনায় এখানে এসে মন্তব্য করতে পারছে না।
সীমান্তে প্রতিদিন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে, ফেলানিকে হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রেখে পরবর্তীতে রায় নিয়ে মামদোবাজি করে, তিস্তার ন্যায্য পানি না দিয়ে, টিপাইমুখ বাধ তৈরী করে বাঙলাদেশকে মরুভুমি বানানোর দিকে ঠেলা দেয়ার চেষ্টা করে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান করে সুন্দরবন ধ্বংস করার চেষ্টা করে, বাঙলাদেশের রাজনীতিতে দিবানিশি হস্তক্ষেপ করার পরে এবং সেই দেশের পলিসির একজন সমর্থক হয়ে আপনি আমাকে একজন “আধিপত্তকামী” বলছেন, এবং আমার ফেলো প্রতিবেশি দেশ চোদানো বাঙলাদেশি ভায়েরা হাত মারছে। এই দেশে সবই হয় দাদা। এই দেশে সবই হয়। তারপরেও আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম। একজন ভারতীয় পলিসি সমর্থন করা দূর্বল মস্তিষ্কের আনাজপানি বেঁচে খাওয়া দুপেয়ে প্রানির কাছ থেকে এর থেকে বেশি আমি কিছু আশা করি না। কারন আপনাদের, আমরা যারা বিন্দুমাত্র চিন্তা করতে পারি তারা চিনি। আপনারা ধর্ষন করার পরে বলবেন মাগি ঠিক মতন করতে দেয় নাই! মাগি একটা চুৎমারানি। আপনাদের চেনা আছে দাদা। বেশ ভালোভাবেই চেনা আছে।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার আবেগের উৎস বেশ বুঝতে পারছি, যুক্তি-তর্কও পরিষ্কার, কিন্তু ভাষার ব্যবহারে একমত হতে পারছি না। এখানে সবাই এধরনের ভাষা প্রয়োগ শুরু করলে অবস্থা কোথায় দাঁড়াবে তা ভেবে দেখেছেন? স্বীকার করছি, এধরনের গা-জ্বালানো মন্তব্য পড়ে আমার মুখ দিয়েও অনেক সময় খিস্তি বের হয়ে আসে। কিন্তু তা নির্জনে উচ্চারণ করা আর ব্লগে লিখে প্রকাশ করার মধ্যে পার্থক্য আছে। এখানে নবীন-প্রবীণ অনেকেই আসেন। অন্তত তাদের কথা ভেবে হলেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বেশ কিছু মন্তব্যে পড়েছি অনেকেই আপনার সাথে আলোচনা চালাতে ভয় পান। আপনার কি মনে হয়না এতে এই ব্লগের যে মূল উদ্দেশ্য তা অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে? আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ; আপনার সাথে আলোচনা করে অনেক কিছুই শেখার আছে। কিন্তু এভাবে চললে সেই সুযোগটি আর থাকবে না বলেই মনে করি।
জানি না আপনি কোন প্রজন্মের, কিন্তু আমার কাছে আপনাকে নতুন প্রজন্মের ঋজু আর দৃঢ় বাংলাদেশ বলেই মনে হয়, যার কাছে দেশটাই সবচেয়ে আগে। আপনার মন্তব্য আর লেখা আরও অনেককে প্রভাবিত করুক এই কামনাই করি।
@সাইফুল ইসলাম,
৬ ডিসেম্বর, জানলাম ১৬ ডিসেম্বর নামক হিন্দি ফিলিম দেখে।
আপনার ভাষা ও চিন্তার দ্যৈনতা আমাকে হতাশ ও ক্লান্ত করছে, ক্লান্ত ক্লান্ত করছে, এই ভাষার জন্যই কি সালাম বরকতরা বলিদান দিয়েছিলেন।
@অজয় রাউত,
আপনি নিশ্চয়ই সিরিয়াস নন? যদি এটা শুধুই ভারত বিদ্বেষী কিছু লোকের কথার পরিপ্রেক্ষিতে শ্লেষাত্বক মন্তব্য হয় তবে আমি যে কথা গুলো এখন বলব তা দয়া করে গায়ে মাখবেন না, কারন সেগুলি আপনার জন্য নয়।
তবে যদি আপনি মিন করে থাকেন, তবে কিছু কথা বলা খুবই জরুরী দরকার মনে করছি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে যদি ভারত বা কোন ভারতীয় কথাবার্তা বলে শুধুই বন্ধু হিসাবে তবে আমি তাকে স্বাগত জানাই, তবে যদি ভারত বা সেই দেশের কোন নাগরিক আধিপত্যকামী দাদাগিরি করার মনোভাব নিয়ে নাক গলায় তবে সে নাকটা আমি কেটে রেখে দেবার পক্ষপাতী।। এই কথাটা যেকোন দেশ বা তার নাগরিকের জন্যেই প্রযোজ্য। শুনুন, আপনি যদি কথাটা মিন করে বলেই থাকেন তবে আপনাকে বাংলাদেশের কাছে এবং বাংলাদেশীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রকাশ্য ফোরামে। না হলে সব বাংলাদেশী ব্লগারদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনার সব লেখা বয়কট করার, সোজা কথায় আপনাকে অবাঞ্ছিত হিসাবে ঘোষণা করার।
আপনার মনে রাখা ভাল যে আমাদের দেশ বাংলাদেশ হয়ত খুবই ছোট একটি দেশ, তবে আমরা কিন্তু ভারতের খাস জমিতে বাস করিনা যে আপনি এসে আধিপত্যকামীতা দেখাবেন। আমরা ভারতের কোন করদ রাজ্য নই যে কোন ভারতীয়ের আধিপত্যকামিতাতে মেনে নেব। কাজেই অবিলম্বে আপনার কথা ব্যাখ্যা করুন, আর মিন করে থাকলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের কাছে। না হলে অন্যদের কথা জানি না, আমি আপনাকে বয়কট করলাম।
@অর্ফিউস,
আমার মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের মধ্যে করা দুটো লাইন তুলে দিচ্ছি, একটু ভেবে দেখবেন।
আরেকটা জিনিষ খেয়াল করবেন আমি যখন কারো মন্তব্য উদ্ধৃত করি তখন পুরোটাই করি, যাতে পাঠক প্রাসঙ্গিকতাটা ধরতে পারেন, মন্তব্য কেটেছিড়ে মন্তব্যের উপর আধিপত্য দেখাই না।
আজকেই এক বন্ধুর সঙ্গে এনিয়ে আলাপ হচ্ছিল, সে দিলীপকুমার রায়ের একটা উদ্ধৃতি দিল, (হেয়ারসে, কালকে বাংলা উদ্ধৃতি-অভিধান দেখে ক্লারিফিকেশন দেব)কথাটা ভালো লাগায় বলছি,
আর বিদ্বেষ, বাদ দিন, বৃহত্তর জামাতের বিএনপি শাখার সদস্যদের এবং ছুপা রাজাকারদের লেজে পা পড়লেতো ফোঁস করবেই, আর সেটা অশ্লীল ও ব্যাক্তি আক্রমণ হবে সেটাও জানাই আছে।
এখন আপনি বয়কট করবেন না অন্যদের বয়কটে উদ্বুদ্ধ করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
@অজয় রাউত, আপনি আপনার বক্তব্য পরিষ্কার করেন নি। আপনি যখন কারো মন্তব্য উদ্ধৃত করেন তখন পুরোটাই বা যাই করেন, আপনাকে প্রশ্নটা করেছিলাম যে আপনি কথাটা মিন করে বলেছিলেন কিনা? সেটা না হলে আপনার একটি সরাসরি জবাব পাব আশা করি।
আপনি মিন করে না থাকলে আমার মন্তব্য আপনার উপরে বর্তাবে না তা আগেই বলেছি। মিন করে বললে আমি আপনার বিশেষ কিছু করতে পারব না, শুধু নিন্দা আর ধিক্কার জানানো ছাড়া। তবে ভদ্রলোকদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট বলেই আমি মনে করি।
আর আধিপত্যকামী কথাটা মিন করে বলে থাকলে মনে রাখবেন যে আপনার সাথে সংলাপের এখানেই ইতি। আরেকটা কথাও মনে করিয়ে দেই আর তা হল, আপনাদের উত্তরেও আপনাদের চেয়ে ৩গুন বড় রাবন আছে, মনে হয় তারাও আধিপত্য ইতিমধ্যেই শুরু করতে চাচ্ছে, এখন দেখেন তাদের কতটা ঠেকাতে সক্ষম হন।
@অর্ফিউস,
বয়কট করেননি এরজন্য ধন্যবাদ। আপনি জাজমেণ্ট চাইছেন অথচ নিজে জাজমেণ্ট পছন্দ করেননা। আমার বক্তব্য জানতে হলে আমার মন্তব্যগুলোই পড়তে হবে কারণ আমি নিজের ঢাক নিজে পেটানো পছন্দ করিনা। আর E.Q এত বেশি থাকা কি ঠিক?
এখানে আসলে মামলার রায়ের সাথে দ্বিমত পোষন করা যেতে পারে যে অস্ত্র পাচার মামলা তথা অবৈধ অস্ত্র বিষয়ক কোন মামলার রায় আদৌ ফাঁসী হতে পারে, কি না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিলো এই যুক্তি দেখিয়ে উলফার তথাকথিত স্বাধীনতার সংগ্রামে আমাদের গার্ড অফ অনার দিয়ে অস্ত্র প্রেরণ করতে হবে এটা সঠিক মত নয়।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে যাওয়া অস্ত্র আটকে দিলে ভারতের তাবেদারী করা হয়, এই যুক্তি দিয়ে আইএসাই কর্তৃক প্রেরণকৃত অস্ত্র দেশের উপর দিয়ে পাচার হতে দেয়া, এটা কি পাকিস্তানী তাবেদারী হয় না? আচ্ছা যান মেনে নিলাম এতে তাবেদারী হয় না। তাহলে আইএসাই যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র পাচার করে, বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গা ট্রেনিং ক্যাম্প চালায়, তা নিয়েও আমাদের মাথা ঘামানো উচিৎ না, তাইনা? কারণ এ অস্ত্রগুলো তো রোহিঙ্গারা মিয়ান্মার গিয়ে ব্যবহার করবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিভিন্ন দিকে পাচার হওয়া কোন একটা চালান পাচার না হয়ে যদি দেশেই থেকে যায় এবং এদেশেরই কোন গোষ্ঠী যদি তা ব্যাবহার করতে চায় তখন কি হবে?
@এনালিস্ট,
মামলার রায়ের সাথে দ্বিমত করার খুব একটা সুযোগ আছে বলে কি মনে হয়??
আমি লেখাতেই উল্লেখ করেছি – একটি এন্টিটি কারও জন্য স্বাধীনতাকামী আবার কারও জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা কারও জন্য মুক্তিকামী কারও জন্য সন্ত্রাসবাদী হতে পারে।
এটার আলোচনা অনেক দীর্ঘ। এখানেও ডিলেমা – আপনি এটা নিয়ে কিছু লিখছেননা কেন 🙂 আপনি কি মনে করেন??
পুনশ্চঃ উপরে বইগুলোর যে লিংক দিয়েছিলাম তা কি পড়েছেন 🙂
একটি আদর্শ ফ্ল্যাটারির উদাহরনঃ
সূত্রঃ আদালত অবমাননা বনাম আদালত সমালোচনা
লেখকঃ সংবাদিকা
http://blog.mukto-mona.com/?p=35285
মন্তব্যকারী (ফ্ল্যাটারার)- আদিল মাহমুদ
– লেখক আদিলের ফ্ল্যাটারিতে খুব সম্ভবত বিব্রত বোধ করেছিলেন। সে কারনে আদিল ক্ষমাপ্রার্থী।
@আদিল মাহমুদ,
এখন আসলেই মনে হচ্ছে আপনি বোধয় পুরাই ইমোশনাল হয়ে গেলেন!!! যাই হোক পুরানা জিনিষ ঘাটাঘাটি করে আমিও অনেক কিছুই এখানে পেস্ট করে লিংক দিতে পারতাম… কি লাভ?
আশা করি, আপনি এখানে কিছু ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না। মতের মিল নাই থাকতে পারে – আক্রমন-প্রতিআক্রমণ হবেই। তবে এগুলো শুধু আন্তর্জালে কিংবা ব্লগে নয় – ভিন্ন ভিন্ন জায়গারটা ওখানেই রেখে আসা উচিৎ।
আপনার সাথে আলোচনাটি খুবই ভালো লাগলো ।
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
এই পোষ্ট পড়ে আমার মনে হয়েছিল দশ ট্রাক অস্ত্র চালান করাটাকে এখানে জায়েস করা হয়েছে এবং এটার পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়েছে।সেই মত দুটো মন্তব্য করেছিলাম আমাদের মত দেশের পক্ষে এই ধরণের অস্ত্র পাচারে যুক্ত থাকা কতটা ভয়ংকর,অবিবেচক, অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত হয়েছে তাই বলে। কিন্তু পোষ্টের সৃষ্টিকর্তা বললেন, না,এমনটা করা হয়নি…
তাই পোষ্টটা আবার পড়লাম।পড়ে বুঝলাম এই পোষ্ট অস্ত্র পাচারের ভাল মন্দ নিয়ে কিছুই বলা হয়নি শুধু এই বাক্যগুলি ছাড়া
পোষ্টের সৃষ্টিকর্তার চিন্তা চেতনার মুন্সিয়ানা প্রকাশ পেয়েছে এই বাক্য গুলিতে
তারপরও নাকি অস্ত্র চালানকে জায়েস করা হয়নি, ভাল মন্দ নিয়ে কিছু বলা হয় নি!
এবার আসি পোষ্টের মূলভাব নিয়ে,মাঝখানে কিছু সময় মনেহচ্ছিল, কেন বিচার করা হল এটাই মূল আর্গুমেন্ট,তারপর পোষ্টের সৃষ্টিকর্তা বললেন
খুব আশান্বিত হওয়ার মত কথা।তবে কিছুক্ষণ পর পোষ্ট সৃষ্টিকর্তা বললেন,কিভাবে হ্যান্ডাল করলে উত্তম হতো তা উনি বলবেন না।আমার মত ক্ষুদ্র ব্যাক্তির পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে গেল পোষ্টের মূল আর্গুমেন্টটা বোঝা!না জানি কত রহস্যময় সেই মূল আর্গুমেন্ট!
@প্রাক্তন আঁধারে,
হুহু এইটা আবার নাজায়েজ নাকি ভাই? সবাই মিলে আমাদের ব্যবহার করুক আর আমরা ব্যবহৃত হই, এইটাই হল একমাত্র জায়েজ কাজ। আমাদের গায়ে লিখে রাখার সময়ে এসেছে যে
আমাদের ব্যবহার কর, আমরা হলাম অস্ত্র পাচারের নর্দমা।
বুঝলেন রাষ্ট্রীয় ভাবে ভারতকে ( পড়ুন মালাউনের ভুমি) ট্রানজিট দেয়াটা যেমন হারাম এবং কবিরা গুনাহ , এই উলফা সহ নানা ভারত ( পড়ুন স্বৈরাচারী দেশ) বিদ্বেষী মুক্তিকামী মহান সংগঠন গুলির রুট হিসাবে বাংলাদেশের ভুমি ব্যবহার করতে দেয়াটা হল ততোধিক সোয়াবের কাজ, বিশেষ করে এইটা যদি আল্লাহর অনুমোদিত জামায়াত সরকার (আমি কিন্তু বি এন পি নামের কোন দলের অস্তিত্ব আছে বলে স্বীকার করি না, কারন ওটি হল জামাতের কর্মসুচী ঘোষণাকারী অংশের নাম, যেমন শিবির হল জামাতের স্ট্রাইক ফোর্স যারা তাদের কর্মসুচী বাস্তবায়ন করে থাকে খুন খারাবীর, জালাও পোড়াও, জনগন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কে হত্যার মাধ্যমে) করে থাকে তাহলেতো জান্নাতে যাবার রাস্তা পরিষ্কার করা আর কি। এতোবড় মহান কাজকে আমরা শুকরিয়া করার পরিবর্তে বিরোধিতা করতেছি, সত্যি আমরা নাশুকুর বান্দা :-s
@প্রাক্তন আঁধারে,
কোন কিছু আগে থেকেই ঠিক করে রাখলে আপনার কিছুই বুঝতে ইচ্ছে করবেনা – বার বার মনে হবে যা ভেবে রাখা হয়েছিল তাই সঠিক… প্রেজুডিস নিয়ে বসে থাকলে কি আর করা!
@সংবাদিকা,
দেখেন ব্রাদার, যদি কোন কিছু শিক্ষার্থী বুঝতে সক্ষম না হন, তবে শিক্ষকের উচিত সেটাকে আরো ভালভাবে পরিষ্কার করা। না পারলে ব্যর্থতার দায় কিন্তু শিক্ষকের।
ঠিক তেমনি লেখকেরও দায়িত্ব থাকে হয় পাঠককে বুঝানোর সব ধরনের চেষ্টা করা, না হলে সোজাসুজি স্বীকার করে নেয়া যে লেখায় কিছু একটা বুঝাতে লেখক সক্ষম হচ্ছেন না 🙂 । তা না করে যদি যদি আপনি কাউকে বলেন যে বুঝতে ইচ্ছে করছে না বলেই তিনি বুঝতে পারছেন না, সেটা কেন হবে বলুন?
আপনি নিশ্চয়ই শুধু সমমনাদের পাঠ এবং তাদের সমর্থন পাবার আশায় লেখেননি! বিপরীত মনারাও নিশ্চয়ই আপনার পোষ্টে আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন এটা মেনে নিয়েই আপনি লিখেছেন। সেখানে কি বিপরিত মনাদের প্রতি আরেকটু উদার হলে চলত না? আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে একটা লেখায় যদি গঠনমুলক বিতর্ক হয় এবং উত্তপ্ত বিতর্ক হয়, তবে সেটা লেখার আবেদন মোটেও কমিয়ে দেয় না, বরং লেখাটাকে আরো বেশি সার্থক করে তোলে।
লেখকের লেখা থেকে যদি শুধু সমমনারাই তালি বাজায় আর সেই তালিতে লেখক নৃত্য করেন তবে আর মতবিনিময় করে লাভ কি? সরাসরি বলে দিলেই হয় যে বিপরীত মনারা বুঝলে বুঝুক না বুঝলে রাস্তা মাপুক, তাই না?
@অর্ফিউস,
১. আর কি ভাবে বোঝানো যেতে পারে!!! আমি কয়বার বলব??? শুধু আমি না আরও কয়েকজন বলেছেন –
আমি বলেছি – এই লেখায় এবং মন্তব্য – যে ঘটনা যাই হোক – “এই ঘটনা এভাবে প্রকাশ্য বিচারে আনা রাষ্ট্রীয় ভাবে আত্মঘাতী আন্তর্জাতিক জগতে।” তারপরেও অনেকেই হার্পিং করেই যাচ্ছেন – মামলা, অস্ত্র পাচার সমর্থন করি কিনা করিনা ইত্যাদি ইত্যাদি… বিএনপি, জামায়াতকে বাঁচাতে চাচ্ছি… আইএসআই এর ইয়া করতেছি – ইত্যাদি ইত্যাদি!! আর কি করা যায়??
২. মুক্তমনাতে ব্লগ লেখিই যেন বিরোধিতার মুখে পরি… বিরোধিতা না থাকলে আমি আসলে কিছুই জানতে কিংবা শিখতেই পারবনা… ইনফেক্ট জ্ঞানের চাকাই চালু হবেনা অনেকটা মটরের ব্যাক ইএমএফ এর মত।
@প্রাক্তন আঁধারে,
লা জবাব ‘প্রাক্তন আঁধারে’! আমিও অতি মুখ্যসুখ্য মানুষ বুঝতে পারিনি, এখনো নয়! উনি আসলে কি বলতে চেয়েছেন তা সরল ভাবে বলবেন না, কি জানি হয়তো অক্ষম কিনা; তবে আমি নিশ্চিত যে আমি বুঝতে অক্ষম। অতি উচ্চমার্গীয় ব্যপারস্যাপার আসলে বুঝিনা।
😀
এই লেখা কাল প্রথম দেখার পর ভেবেছিলাম কিছু কথা বলি, এরপর আবিষ্কার করলাম যে এত বেশী কমেন্টের প্রত্যুত্তরে এত বেশী কথা লিখতে হবে যে আমার সপ্তাহ খানেক ছুটি নিয়ে এই প্রজেক্টে বসতে হবে।
খুব মজার কিছু দৃষ্টিভংগী দেখতে পাচ্ছি। অনেকে দাবী করছেন (এদের মধ্যে সম্ভবত পোষ্টের লেখক কিংবা লেখিকাও আছেন) যে তারা অস্ত্র পাচার সমর্থন করছেন না……শুধু বিচার যেভাবে হল তার সমালোচনা করছেন। খুবই ভাল কথা, আমিও নিজেও এই দলে বলা যায়। এই গ্রুপের সবচেয়ে পরিষ্কার প্রতিনিধিত্ব করেছে আমাদের ব্লগার সফিক তার এক ফেসবুকে ষ্ট্যাটাসে। সে পরিষ্কারভাবেই উল্লেখ করেছে যে এমন মামলায় ১৪ জনের ফাঁসীর রায় অস্বাভাবিক যা প্রমান করে যে ঘটনা নিন্দনীয় এবং বড় ধরনের ক্রাইম হলেও এটাকে পূঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
যে কারনে এই গৌরচন্দ্রিকা করলাম, তা হল এখানে কয়েকজন বলার চেষ্টা করছেন যে তারা অস্ত্র পাচার সমর্থন করেন না, কিন্তু তারা আবার বিচার করা হল কেন সেটাতেও ক্ষুব্ধ। এখানে যা মনে হয় তারা বিচারের রায়ে নয় (তারা অস্বাভাবিক ২৪ জনের ফাঁসীর রায় নিয়ে তেমন কিছু বলেননি), বিচার হয়েছে তাতেই মনে হয় ক্ষুব্ধ। কেউ আবার বেসামারিক আদালতে বিচারের সমালোচনা করেছেন……অন্তর্যামীর ভূমিকা গ্রহন উচিত নয়, তবে মনে হয়েছে অনেকেরই মত এমন যে ঘটনাটা যেভাবেই হোক ধামাচাপা দেওয়া দেশের স্বার্থেই অতি জরুরী ছিল। হয়ত তাই ভাল হত, মুশকিল হল এটা অতীতের বহু রকমের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিষয়ক কোন মস্তিষ্ক প্রসূত কাহিনী নয়, অতি বাস্তব একটি ঘটনা যা অস্বীকার করা যায় না। ১০ ট্রাক অস্ত্র ছেলেখেলা নয়, কোন না কোন একশন না নিয়ে কিভাবে সব হজম করা যায়? শুধু গুজব যে এমন হয়েছে জাতীয় কোন কেস এটা না।
লেখক বা লেখিকার দৃষ্টিভংগীও স্বচ্ছ নয় মনে হয়েছে। উনি অস্ত্র পাচার ভাল কি খারাপ সেটা আলোচ্য নয় বলছেন কিন্তু মূল লেখায় এমন কিছু কথা বলে ধারনা দেবার চেষ্টা করেছেন যে এমন ঘটনা হতেই পারে, মানে এমন কিছু অস্বাভাবিক নয়।
আরো মজার কিছু যুক্তিও এসেছে যা আরেক ক্যাটাগরিতে সাধারনভাবে ফেলা যায়। এমন উলফার অস্ত্র ধরে বিচার করে আমরা এখন উলফার থ্রেটে পড়ে গেছি। মজাটা হল বিচার বা তেমন কিছু না করে নির্বিবাদে ভারতে অস্ত্র পাচার করতে দিয়ে উলফাকে খুশী করার নীতিটা কেমন বিবেচনার হত? ভারত সরকার আংগুল চুষে? তারা জানতো না কিভাবে অস্ত্র যাচ্ছে? ক্ষতি করার প্রশ্ন আসলে উলফার থেকে ভারত সরকারের ক্ষতি করার শক্তি কম? কেউ আবার এতই সরল যে বুঝতে পারছেন না আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে ভারতে অস্ত্র পাচার করতে দিলে কিই বা এমন ক্ষতি হত! প্রতিবেশী একটি সুপার পাওয়ারে পরিনত হবার দিকে ধাবিত এক দেশের ভেতর আপনি নির্বিবাদে সরকারী ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠান লাগিয়ে অস্ত্র পাচার করবেন আর তারা নীরবে দেখে যাবে? নীরবে থেকে হজম করে গেলে এ রকম চালান আর ক’টা চালালে যে বাংলাদেশে ট্রুপস মুভ করানোর মত উপযুক্ত ছূতা তাদের দেওয়া হয় এটা বুঝতে খুব কষ্ট হয়? নাকি এভাবে দেশপ্রেম দেখানো যাবে, আমরা তাবেদার নই তা প্রমান করা যাবে? পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয় ট্রেনিং উদাহরন তূল্য নয়। মনে রাখতে হবে এটা ন্যায় অন্যায় প্রশ্ন নয়, বাস্তবতার প্রশ্ন। ভারতের আমাদের সাথে সরাসরি টক্করে যাবার ক্ষমতা আছে, আমাদের নেই। ভারতের যায়গায় মালদ্বিপ বা ভূটান গোছের কোন দেশ শান্তিবাহিনী অস্ত্রায়ানের সাথে যুক্ত হলে অবশ্যই আমরা মিন মিন করে নয়, অস্ত্রের জোরেই তাদের শায়েস্তা করতে পারতাম। সোজা কথায় ভারতের শান্তি বাহিনীর কানেকশনের কারনে আমরা ভারতে নির্বিবাদে আইএসআই এর সহায়তায় অস্ত্র পাচার করায় সক্রিয় সহায়তা করে যাব এমন ভাবনা অবাস্তব এবং আত্মঘাতি।
লেখক/লেখিকার মতে ঘটনা ঠিক কিভাবে হ্যান্ডেল করা যেত জানা গেলে ভাল হত।
সংশপ্তক ভাই ভাল পয়েন্ট তুলেছেন হুকুমের চাকর সরকারী কর্মচারীদের সাজা হবার পয়েন্টে। এটা অবশ্যই চিন্তা করার মত ব্যাপার। আসলেই পৃথিবীর কোন দেশেই আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত কাউকে প্রকাশ্য আদালতে বিচার করে সাজা দেবার উদাহরন অতি বিরল। এখানে আমার সামান্য কিছু বলার আছে। এই দৃষ্টিভংগীতে আলোচিত সরকারী কর্মকর্তাদের ধরা হচ্ছে একেবারেই নাইভ, নিরীহ ভাল মানুষ যারা কেবল অতি উচ্চ পর্যায়ের হুকুম পালন করতে গিয়ে বলির পাঁঠা হয়েছে। হুকুম পালনের ঘটনা ঠিকই আছে, এটা বাচ্চাও বুঝে যে সরকারের অতি উচ্চ পর্যায়ের ইংগিত ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। একজন দেখলাম ফাঁসির রায় শুনে অজ্ঞান হয়ে গেছিলেন কাঠগড়ায়, নিঃসন্দেহে তারা সকলে শখ করে এই কাজে জড়াননি, হুকুমেই জড়িয়েছিলেন। কথা হল জড়িত সকলেই কি ভিক্টিম, উইলিং একমপ্লিস কেউ নেই? তাও সঠিক নয়। সরকার বদল হলেই এনএসআই, ডিজিএফআই এসব যায়গায় দলের ধামাধরা লোকজন বসানো হয়, এরা মোটামুটি দলেরই অঘোষিত সদস্যর মত আচরন করেন। যেমন আলোচিত সময়ের স্বরাষ্ট্র সচিব ওমর ফারুক, যিনি ঘোর জামাতি বলে পরিচিত। আরেকজন অন্যতম আলোচিত মেঃজেঃ রাজ্জাকুল হায়দার সাহেব ছিলেন হাওয়া ভবনের অতি বিশ্বস্ত একজন ব্যাক্তি, যাকে এমনকি ইয়াজউদ্দিন সাহেব শেষ পর্যায়ে হাওয়া ভবনের ইংগিত সেনা প্রধান করারও উদ্যোগ নিয়ে মঈনের সিভিল ক্যু ঘটনার জন্ম দেন বলে কিছু সূত্র জানায়। এমনকি মঈন ক্ষমতা নেবার কিছুদিন পরেও রাজ্জাকুল হায়দারের নের্তৃত্বে ক্যু হয়েছে বলে একবার ব্যাপক গুজব ছড়িয়েছিল। পত্রিকায় এও বেরিয়েছিল যে এই ভদ্রলোক জোট সরকার আমলে বড় রাজপুত্রের সাথে দুবাই গেছিলেন উপমহাদেশের একজন শীর্ষ মাফিয়া চিফের সংগে বিশেষ আলোচনায় যোগ দিতে। এসবের সত্য মিথ্যা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়, তবে এটা নিশ্চিত যে এই ভদ্রলোক হাওয়া ভবনের অতি বিশ্বস্ত এবং ঘনিষ্ঠ, বোধকরি এই ঘটনার একজন প্ল্যানারও। উনি ঠিক “হুকুম পালনে ফেঁসে যাওয়া” নাইভ ভিক্টিম আমি মনে করি না। আমার পক্ষে এভাবে সকলকে সার্টিফাই করা সম্ভব নয়।
সরকারী কর্মচারীরা ওপরের নির্দেশ মানবেন বোধগম্য, তার মানে এই নয় যে অন্যায় নির্দেশ মানবেন। এই কালচার আমাদের দেশে গড়তে সময় লাগবে, তবে শুরু না করলে হবে না। আচ্ছা, জেল হত্যা কান্ডে সরাসরি যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের ধরে বিচার করে সাজা দিলে তারা যদি বলে যে সব দোষ কর্নেল রশিদ এবং মোশতাকের তবে কি সেই যুক্তি স্বাভাবিক মানবিক বিচারে (সেনা রোবটিক নিয়ম বাদ দেন) খুব গ্রহনযোগ্য মনে হয়? জিয়া হত্যায় জড়িত ১৩ জনকে কেন ফাঁসী দেওয়া হয়েছিল? সব দোষ তো ছিল মঞ্জুরের, তারা তো কেবল হুকুমের দাস……সত্য হল এসব বাহিনীতে যারা চাকরি করেন তাদের এ জাতীয় রিস্ক যে কোন সময়েই থাকে।
এই বিচারে যদি অন্ধভাবে মন্ত্রী পাতি মন্ত্রী এমপি এদের অন্যায় আদেশ মানার পরিনতি যে খারাপ হতে পারে সেটার উদাহরন হলে আমি খুশীই হব। জেলহত্যা আমাদের দেশে যেভাবে হয়েছিল সেভাবে ভারতেও হওয়া সম্ভব আমার মনে হয়নি। আমেরিকায় এই সেদিন এক পুলিশী ঝামেলার ব্যাপারে রেসিজমের অভিযোগ ওঠায় প্রেসিডেন্ট ওবামা কিছু বলার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে উলটো সেই পুলিশী সংস্থার প্রতিবাদের মুখে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হয়েছে। গনতন্ত্র একেই বলে (আম্রিকান উদাহরনে অনেকের গা জ্বললেও কিছু করার নেই), কেয়ার টেকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট প্রদানই গনতন্ত্র নয়। আবারো বলি যে হুকুমের দাস অফিসাররা জেনেশুনে অন্যায় করলেও তাদের প্রতি আমার মানবিক সহানুভূতি আছে।
অবশ্যই তাহলে খালেদা বা তারেক এদের কেন বিচার হয়নি এই পয়েন্ট আসবে যা অবশ্যই বিচারের দূর্বলতা। এর কারন বোধগম্য। বিএনপি এখন ধ্বজভংগ হলেও খালেদাকে বিচার করে সাজা দেওয়ার মত মাজার জোর সরকারের নেই।
আরেকটি পয়েন্ট এভাবে বিচার করে বাহিনীর লোকদের মনোবল আহত করা হয়েছে। হতে পারে। অন্যদিকে, এই ঘটনা যে দুজন পুলিশের নিম্ন পর্যায়ের অফিসার ধরে ফেলে তাদের আচরন কি তাহলে অন্যায় হয়েছিল? মানে অস্ত্র পাচারে সহায়তাকারী অফিসাররা ছিল রাইট এবং যারা বেমক্কা ধরে ফেলেছিল তারা ছিল অন্যায়কারী? একই সাথে দুই পরস্পর বিরোধী পক্ষ নিশ্চয়ই রাইট হতে পারে না। প্রথম পক্ষর ফরে (মানে পাচারে সহায়তাকারী) রায় দিলে দ্বিতীয় পক্ষ কি এই শিক্ষাই পাবে না যে চোরাচালান দেখলেও না দেখার ভান কর? নাকি সেনাবাহিনী এক্ষেত্রে প্রিসিডেন্স পাবে? আমি খুব বেশী বুঝি না, এইটুকু বুঝি যে দুই পুলিশ অফিসার মেজর জেনারেল ব্রিগেডিয়ারের তূলনায় চূনোপুটি, কিন্তু রাইট রং এর প্রশ্নে তাদের অবস্থান অনেক বেশী পরিষ্কার। এরা কি অস্ত্রের চালান ধরে অন্যায় করেছিল? এদের চাকরিচ্যূতি, নানান হয়রানি, একজনকে এমনকি র্যাব দিয়ে পিটিয়ে লুলা করে দেওয়া ঠিকই ছিল?
আমার সার কথা, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এমনকি ভারত পাকিস্তান কাকে ট্রেনিং দেয় এসব বলে তেমন ফায়দা নেই, প্রতি দেশের কেস উইনিক। আমাদের চিন্তা করতে হবে আমাদের। প্যালেষ্টাইনী গেরিলাদের ট্রেনিং এর উদাহরনও এখানে তূল্য নয়। ইসাইলের সাথে আমাদের কোন রকম সম্পর্ক নেই, স্বীকৃতিও আমরা দেইনি, অন্যদিকে টানাপোড়েন যাইই হোক ভারত শুধু আমাদের বন্ধুই নয়, অন্যতম বড় শক্তিধর প্রতিবেশী। বিশেষ করে চারদিক ঘেরা ভারতের মত একটি বিশাল দেশ যার সেনা আক্রমন করা ছাড়াও আমাদের বিপাকে ফেলার হাজারটি উপায় আছে তার সাথে পায়ে পা বাধিয়ে ঝগড়া বাধানো চরম গাধামী। যারা মনে করেন যে এভাবে অস্ত্র পাচার ট্রেনিং দিয়ে যাবেন আর ভারত নীরবে দেখে যাবে তাদের সাথে আমার তর্কেরও কোন প্রয়োযন নেই। চোরের মত ১০ ট্রাক ২০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের ভয়ে ভারত নদীর পানি দেবে না। উলফার সমস্যা ভারতের সাথেই মেটাক, তাদের দাবী সমর্থন অসমর্থনের কাজ আমাদের নেই, পাকিস্তান তাদের যত খুশী সাহায্য করুক হু কেয়ার্স? শুধু আমরা এর মাঝে নেই, মামলা শেষ।
@আদিল মাহমুদ,
:))
ধন্যবাদ – এত বেশি বেশি মন্তব্য করার জন্য 🙂
কোন ব্যক্তি যখন বিদেশে অপরাধ করে ধরা পরে – রাষ্ট্রের চেষ্টা হল তাকে বিদেশের জেলে “পচতে” না দিয়ে দেশে ফেরত আনা – এমনকি দেশের জেলে হলেও। এটা আগে কেন হয় – ভেবে বের করুন 🙂
এখানেই মূল পয়েন্ট… ব্যাপারটা শুরু হ্যান্ডল থেকেই করা যায়নি।
আপনি সরল ভাবে চিন্তা করলে “সচ্ছ নয়ই” মনে হবে
@সংবাদিকা,
– ব্যার্থ হলাম ভেবে বার করতে। এর সাথে আলোচিত ঘটনার যোগসূত্র কিছুতেই বুঝতে পারলাম না। অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা প্রায় কেউই বিদেশের নয়, ঘটনা বিদেশে হয়নি, বিচারও বিদেশে হয়নি। নাকি বিদেশের সাথে সম্পর্কিত যে কোন ব্যাপারে আদর্শ রাষ্ট্রের উচিত অপরাধীর পক্ষাবলম্বন করা? ঝেড়ে কাশলে ভাল হত। আপনার সাথে বেশীরভাগ আলোচনাই এক পর্যায়ে এইদিকে গড়ায়।
– সে তো ছাগলেও বোঝে। “করা যায়নি” কেন বলছেন বুঝলাম না। “করা হয়নি” বলাতে কি কোন সমস্যা আছে? “করা যায়নি” দেখলাম একাধিকবার ব্যাবহার করেছেন। “যায়নি” এবং” হয়নি” শব্দদ্বয়ের ব্যাবহার এখানে অনেক কিছুই বোঝায়, সেটা সম্ভবত শেষ প্যারায় এসে বোঝা যাবে। ততকালীন বিএনপি জামাত সরকারের চাঁইরা সরাসরি জড়িত ছিল ঘটনার সাথে, তারা নিজেরা ঠিকমত হ্যান্ডেল করে নিজেদের ফাঁসাবে এমনটা আশা করা কিভাবে যায় জানি না।
– সম্পূর্ন একমত। আমি সরল ভাবেই চিন্তা করেছি এবং তাতেই মনে হয়েছে আপনি নিজের ষ্ট্যাণ্ডে নিজেই পরিষ্কার নন, যা বলতে চান তা সরাসরি প্রকাশ করতে পারছেন না। প্রাক্তন আঁধারে নীচে পয়েন্ট করে দেখিয়ে আমার কষ্ট কমিয়ে অশেষ উপকার করেছেন। আপনি এখনো মনে হয় না আলোচিত অস্ত্র পাচার সমর্থন করেন কিনা তা সরল ভাষায় বলছেন। কেবল এই প্রসংগ আসলে এটা এখানে বিবেচ্য নয় বলে এড়ানোর চেষ্টা করছেন। আবার ৭ নং কমেন্টে আসাদ সাহেবের কমেন্টে একমত প্রকাশ করে মুচকি হাঁসি দেন।
আসাদ সাহেবের কমেন্ট,
ঐক্যমত প্রকাশ করে আপনার জবাবঃ
– এই কমেন্টে একমত হবার পর আপনার দৃষ্টিভংগী কি তা আর ধারনা/অনুমানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। আপনার উপস্থিতি মুক্তমনাকে সমৃদ্ধ করে, ডানধারার চিন্তাভাবনা এখানে খুবই বিরল, আমি নিজে আপনাকে এসেট হিসেবেই মনে করি। মুশকিল হয় প্রায়ই যখন দেখি আপনি এ ধরনের পাঁকাল মাছ কৌশল ব্যাবহার করেন। কৌশলের দরকার কোন? সরাসরি বললেই তো হয় যে এই অস্ত্র পাচার ধরে ফেলাটাই অন্যায় হয়েছে, আপনি মনে করেন যে এভাবে অন্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে অস্ত্র সরবরাহে সরকারী সাহায্য সহায়তা নিতান্তই এলেবেলে গুরুত্বহীন ঘটনা, বিচার করার যোগ্যও নয়। মুক্তমনায় অন্তত সে কারনে আপনাকে কেউ গাল দিত না, অবশ্যই কিছু তীর্যক মন্তব্যসহ ভিন্নমত আসতো। অনেকের সময় তাতে বেঁচে যেত। আপনার লেখার টপিক দেখে আমার আশা ছিল তদন্ত/বিচারিক দূর্বলতাগুলি, রায়কে রাজনৈতিক সুবিধার্থে ব্যাবহারের দিকগুলিই মূখ্য হবে। সেটা না করে ইনিয়ে বিনিয়ে অস্ত্র পাচারের পক্ষেই সাফাই গাইলেন। পলিটিক্যাল কারেক্টনেস বজায় রাখতেই মনে হয় জোট সরকারকেও কিছু গালাগাল দিলেন (সম্ভবত তারা পাচারে জড়িত ছিল সে কারনে নয়, ঘটনা লেজে গোবরে করে কাঁচিয়ে ফেলেছে সে কারনে, কারন এই ধরনের অস্ত্র পাচার তো গুরুত্বহীন)। মনে রাখবেন যে অস্ত্র পাচার গুরুত্বহীন এলেবেলে তুচ্ছ ঘটনা মনে করে্ন এতে আমার তেমন কিছু বলার নেই, শুধু কায়দা করে এড়িয়ে যাবার প্রচেষ্টা নিয়েই সামান্য আপত্তি আছে, এতে সকলেরই সময় নষ্ট, বৃথা ব্যাক্তিগত রেষারেষির জন্ম দেয়।
অস্ত্র পাচার কে কোন দৃষ্টিতে দেখে তার ওপর পরবর্তি তদন্ত/বিচার (আপনার ভাষায় হয়ত হ্যান্ডেল) কিভাবে মূল্যায়ন করা যায় তা অনেকটাই নির্ভর করে। যে মনে করে অস্ত্র পাচার গুরুত্বহীন, অতি স্বাভাবিক ব্যাপার সে পুরো বিচার নিয়েই প্রশ্ন তুলবে, সেটাই স্বাভাবিক।
@আদিল মাহমুদ,
নিজ নাগরিকের উপর রাষ্ট্রের একটি দায়িত্ব হল – রাষ্ট্রের জুরিসডিকশনের বাহিরে কেউ যদি অন্যায় করে তাহলে সেই নাগরিককে উক্ত ভিন্ন রাস্ট্রের আইন হতে রক্ষা করা (যদি একান্ত প্রয়োজন হয় নিজ দেশে ফিরিয়ে এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া তার বিরুদ্ধে) এবং রাষ্ট্রের সম্মান রক্ষা করা আবার তা যদি ন্যাশনাল পলিসি রক্ষা করার জন্য হয় তাহলে তো কথাই নেই – আগে ব্র্যাকেটে আবদ্ধ বাক্যটিও ভুলে যেতে হবে।
আর আপনি যে দেশের উদাহরণ দিতে সাচ্ছ্যন্দবোধ করেন – সেই দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার কোন ফিল্ড এজেন্টের নাম প্রকাশ করলেই ফৌজদারী আসামী হতে হবে – খেয়াল করে। এটা আমি লেখাতেই উল্লেখ করেছি।
আপনি যে লেখার চেয়ে মন্তব্য গুলো বেশি পড়েছেন আবার প্রমান দিলেন!!!
আমি লেখাতেই উল্লেখ করেছিলাম –
বিএনপি প্রথমে এর থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেবার চেষ্টা করে বিরোধীদলকে ফাঁসাতে চেয়েছিল – এখন আওয়ামীলীগও একই কাজ করছে তবে যা করতে যেয়ে রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে ফেলছে। এই অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ ভাবেই বলা যায় – বহিঃশত্রুর আক্রমণে এই দুটি রাজনৈতিক দলও অত্যন্ত নীচ আচরণ করবে – হয়ত দেখা যাবে আক্রমণের সময়কার বিরোধীদল “নিরপেক্ষ” থেকে সরকার দলকে দোষারোপ করবে আর সরকারী দল উক্ত বহিঃ আক্রমণের জন্য বিরোধীদলকে দোষারোপ করবে।
বিএনপি-আওয়ামীলীগ দুটি দলই রাষ্ট্র চালানোয় চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
উপরোক্ত লাইনগুলো কি নজরে আসেনি???
কয়বার বলবো যে অস্ত্র পাচারে সহায়তা করা কি সমর্থনযোগ্য কি যোগ্য নয় এটা এই লেখার মূল উদ্দেশ্য নয় – উপরন্তু এটা খুবই দীর্ঘ আলোচনা। দুটিরই পয়েন্ট আছে… আর জেনে রাখুন এই রকম ঘটনা যা সামনে আসে – বাংলাদেশে কিংবা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তা খবুই ক্ষুদ্র অংশ।
আমি কি একমত হয়েছি ??? যেসব বিষয়ে একমত সেসব বিষয়ে “সহমত” শব্দ ব্যবহার করি। আমি শুধু মন্তব্যর সাথে বলেছি আমারও প্রশ্ন – কেননা আমিও জানতে চাই।
আমারও বলে হচ্ছে আপনি কয়েকটি বাক্য মিস করেছেন!!!
“গুরুত্বহীন তুচ্ছ ঘটনা” এই কথা আমি কোথাও উল্লেখ করিনি… “ন্যাশনাল পলিসি” কি তুচ্ছ ঘটনার কাতারে পরে !!
আপনি আবার প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলেছেন…
@সংবাদিকা,
তাহলে এই লেখার মূল উদ্দেশ্য কি, দয়া করে বলুন, প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! আপনি এখন পর্যন্ত বলেননি, এই লেখার মূল উদ্দেশ্য কি!
মুক্তমনায় প্রচলিত মতকে চ্যালেঞ্জ করা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, অস্ত্র পাচার প্রচলিত মতে খারাপ কাজ, আপনি সেই মতকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারেন, তাতে কেউ আপত্তি করত না, বরং আপনি যদি যুক্তি সহকারে তুলে ধরতেন কেন অস্ত্রপাচারের ঘটনাটি বাংলাদেশের পক্ষে যেত, কেন তা বাংলাদেশের স্বার্থে ব্যবহৃত হত, তাহলে হয়ত এই লেখাটা সত্যি সত্যি উপযোগীতা হারাত না! একটি যুক্তিশীল আলোচনা হিসেবে স্মরনীয় হয়ে থাকতে পারত।
কিন্তু আপনি তা করেননি, এই লেখাটিতে আপনি প্রচ্ছন্নভাবে এই ঘটনাটিকে জায়েজ করতে চেয়েছেন, অথচ খুব পরিষ্কার করে বলার সৎসাহস আপনার নেই, তাই কি করেছেন দেখুনঃ
১.গোয়েন্দারা এমন কাজ করতেই পারে, গোয়েন্দারা দোষী নয়, দোষ হলে খালেদা জিয়ার (শেষ বাক্যাংশটি ব্যবহৃত হয়েছে নিজের গুপ্ত মনোভাব লুকাতে)।
২.নিজামি তো কৃষি মন্ত্রী ছিল, নিজামীর ফাঁসি হল কেন, ফাঁসি হলে হবে খালেদা জিয়ার (শেষ বাক্যাংশটি ব্যবহৃত হয়েছে নিজের গুপ্ত মনোভাব লুকাতে)।
৩.এমনকি সরকার ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে অস্ত্র চালানের দায়িত্ব নিয়ে স্ট্রাটেজিকভাবে দেশের ভালই করতে চেয়েছে, যদিও সরকার এই মামলাটি নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছে (শেষ বাক্যাংশটি ব্যবহৃত হয়েছে নিজের গুপ্ত মনোভাব লুকাতে)।
তাহলে বুঝুন, প্রথম থেকেই কেন বলছি, একটি খাঁটি আসিফ-পিয়াসি লেখা এটি। গোলাম আযম, নিজামি, সাঈদি, কাদেরদের বিচার চাচ্ছেন না, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না, তাই ঘুরিয়ে বলছেন, বিচারটি স্বচ্ছ হয়নি, আন্তর্জাতিক মানের হয়নি, বিচার প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি!
গোয়েন্দা যারা উলফা সাজ ধারণ করেছে, তাদের কেন শাস্তি দেয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপনি। কিন্তু আদিল ভাইয়ের মত আপনার প্রশ্নঃ যে দুই পুলিশ সদস্য তাদের ডিউটি পালন করেছিল, এমনকি উলফার সাজ ধরা গোয়েন্দা যখন হুমকি দিচ্ছিল যে, অস্ত্র পাচার নির্বিঘ্নে হতে না দিলে বিপদে পড়বে তারা (যেহেতু সরকারের অনুমোদন আছে এই ব্যাপারে), তখনও দায়িত্ব পালনে অবিচল ছিল যে দুই পুলিশ সদস্য, তাদের দোষ কি???? বলুন? কোন নৈতিকতার দোহাই দিয়ে এই দুই পুলিশ সদস্যের উপর অত্যাচারকে জাস্টিফাই করবেন? কোন রাষ্ট্রিয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে বলবেন যে, এই দুই পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালন ছিল ধ্বংসাত্মক??? দয়া করে আসিফ-পিয়াসি কৌশল প্রয়োগ করে এড়িয়ে যাবেন না।
তুলনায় দেখুন, সাইফুল সাহেব আপনার থেকে অনেক সাহসী! উনি স্পষ্টতই বলেছেন, অস্ত্রপাচার সমর্থনযোগ্য, যেহেতু অত্যাচারিত ও স্বাধীনতাকামী একটি জাতির স্বার্থে ব্যবহৃত হত এই অস্ত্রগুলি! দেখুন, সাইফুল সাহেবের স্টান্ডটি কত ক্লিয়ার, উনি খালেদা জিয়াকে নিন্দা করছেন এইজন্য যে, খালেদা জিয়া একটি জাতির স্বার্থে এই অস্ত্রপাচার করেননি, করেছেন নিজেদের দলীয় স্বার্থে! এখানেই সাইফুল সাহেবের সাথে আপনার পার্থক্য! সাইফুল সাহেব সাহস করে মনের কথা বলতে পারেন, আপনি পারেন না!
আর একটা কথা, ম্যাতকার শব্দের প্রয়োগে খুব অবাক হইনি! বস্তুত এই শব্দটি বা এর চেয়েও বিশ্রী গালাগাল/কুরুচিপূর্ণ শব্দ বাশের কেল্লার সৈনিকেরা ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন! আর কে না জানে, বাশের কেল্লার সৈনিকেরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পুরো বাংলাদেশকেই উলফার ঘাটি বানাতে দ্বিধা করবে না!
@কাজি মামুন,
যেটার যুক্তি দেখাতে বলছেন তার সপক্ষে আমার লেখাটি আদৌ নয়!!
পুরাই ফলস ইনফারেন্স
গোলাম আযম, নিজামি, সাঈদি, কাদেরদের বিচার চাচ্ছেন না, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না, তাই ঘুরিয়ে বলছেন, বিচারটি স্বচ্ছ হয়নি, আন্তর্জাতিক মানের হয়নি, বিচার প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি!
এটাও ফলস ইনফারেন্স
প্রয়োজন হলে শুধু উলফা নয়, মরো, ফার্ক, বোকো হারাম কিংবা আইএসআই, র এমনকি সিআইএর ছদ্মবেশও ধারণ করতে হতে পারে গোয়েন্দাদের – গোয়েন্দাগিরি কিংবা গুপ্তচরবৃত্তি বাই ডেফিনেশন একটা অবৈধ ব্যাপার…
এ সম্পর্কিত প্যারাটি আমি ইতিমধ্য দুইবার পেস্ট করেছি মনে হয়… আবার আর ইচ্ছা হচ্ছেনা… মিস হয়ে গেলে আরেকবার পড়তে পারেন নোটটি!!
ওটা জনাব সাইফুল এর মত এবং আমি ওনার মতকে অ্যাপ্রেশিয়েট করি।
ম্যাতকার খুব খারাপ শব্দ আর বলাৎকার এবং তার সাথে কথায় কথায় এর ভুল উদাহরণ দেওয়া খুব ভদ্রলোকী কথা হ্যাঁ…… আপনি মনে হয় বিশ্বাস করেন – “নিজে করলে লীলা খেলা আর সে করলে পাপ…” কিংবা “নিজে করলে পবিত্র প্রেম আর, সে করলে অপবিত্র পাপ” ঐ তেব্র এবং অন্ধ আওয়ামী সমর্থক রা যেমন ভাবে আরকি যে ” “ আওয়ামীলীগ করলে মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের শক্তি এমনকি রাজাকার হলেও; আর আওয়ামীলীগ না করলে নব্য রজাকার এমনকি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও” অবশ্য এটা আপনার শেষ প্যাড়া দ্বারা নিজেকে নিজে প্রমান করার আগেই উপরে একবার বলেছিলাম। :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@সংবাদিকা,
জানেন কি, আপনি আসিফ-পিয়াসী ধারা টপকে এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছেন? স্কোপের বাহিরে, তার সপক্ষে আমার লেখাটি আদৌ নয়!! পুরাই ফলস ইনফারেন্স, ওটা জনাব ওমুকের/আপনার মত……ইত্যাদি শব্দ সেই ধারার অবশ্যম্ভাবী অঙ্গ!
আপনি শুধু অ্যাপ্রেশিয়েট করতে পারেন, কিন্তু নিজে কোন সুনির্দিষ্ট মত ব্যাক্ত করতে পারেন না! তিন তিনটি প্লিজও আপনার মূল উদ্দেশ্যটি বের করে আনতে পারেনি! কারণ আপনি শুধু কনফিউজ করতে চান, কোন একটি মতকে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা আপনার লক্ষ্য নয়!
সাইফুল সাহেব বিরক্ত খালেদা জিয়ার উপর এই কারণে যে, তিনি অস্ত্রপাচার নির্বিঘ্নে সমাপ্ত করতে পারেননি, মানে মিশন ফেইলিওর আর কি! অন্যাদিকে আপনি কতবার ক্যামোফ্লেজ করেছেন দেখুনতো? পুরো লেখা জুড়ে?
@কাজি মামুন,
আপনার মন্তব্য চিন্তাশীলতার চিহ্ন স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে, যা সত্যিই পাঠকের মননে ভাবনার খোরাক জন্মাতে সাহায্য করবে।
গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@সংবাদিকা, এখন মনে হয় সবাইকে এড়িয়ে যেতেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করবেন তাই না ? 🙂
@অর্ফিউস,
আপনার চিন্তায় চমৎকার ইন্টিউটিভনেস ফুটে উঠেছে !
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@আদিল মাহমুদ,
এটা ভিন্ন আলোচনা – লেখার স্কোপের বাহিরে।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে – নেপাল কিংবা ভুটানের কিছু কিছু পলিটিশিয়ানের সাথে অনেক মিল। উপমহাদেশে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাও নামক দুটি দেশ আছে। টক্করে যাওয়ার কথা কেউই বলেনি। টক্করে যেতে না পারার মানে এই নয় যে ক্লায়েন্ট স্টেটে পরিণত হতে হবে!!
“কিভাবে হ্যান্ডল করা গেলে ভালো হত” – এটা নিয়ে পাবলিক ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করা স্কোপের বাহিরে!!
লেখার পয়েন্টের সূত্র ধরেই সংশপ্তক এটা বলেছেন – এভাবে বিশেষ ফ্ল্যাটারি করলে তো সংশপ্তক নিজেই বিব্রত বোধ করতে পারেন। 😀
আগের প্যাড়াগুলোতে কাসুন্দি ঘেঁটে ঘুরে ফিরে পয়েন্টে আসলেন
একজন ব্যক্তিকে আপনার বিশেষ অপছন্দ – ওটা আপনার ব্যাক্তিগত মত। ফর ইউর কাইণ্ড ইনফরমেসন শাস্তি প্রাপ্ত প্রায় সবাই হাওয়া ভবন এর খুব কাছের লোক – অন্তত কাছের লোকের কাছের লোক।
ন্যায় কিংবা অন্যায় ওটা পরের ব্যাপার – এখানে এটা রাষ্ট্রীয় পলিসি।
এখানে আবার কাজী মামুনের মত ম্যাতকার করলেন – ভুল উদাহরণ। আর – শুধু জিয়া নয় – বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় একই ব্যাপার হয়েছে।
আম্রিকান উদাহরণ এ কারও গা জ্বলবেনা – হাসি পাবে…… আপ্রিকার আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের তুলনা দিলে !!!
এটাও আরেকটা পয়েন্ট – কিন্তু এটা রাজনৈতিক ভাবে এই মূহুর্তে সুবিধাজনক নয়। সুবিধাজনক যখন হবে তখন ওদেরকেও আনা হবে।
এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিলেন আপনি লেখাটাই ভালো মত পড়েনি। আবার পড়ে দেখতে পারেন… তবে স্কিমিং করে মন্তব্য না করাই শ্রেয়!!!
এটাই – কাওকে উদাহরণ নয় । আমাদের জাতীয় স্বার্থ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে – বাই হুক এন্ড বাই ক্রুক – হু কেয়ারস!!!
পুনশ্চ-
বাড়তি একটি শব্দ বারবার লেখার প্রয়োজন নেই মনে হচ্ছে… আধুনিক বাংলা ভাষায় অন্যান্য অনেক শব্দের মত “লেখক” দ্বারা স্ত্রী এবং পুরুষ দুই লিঙ্গকেই বোঝানো যায়।
@সংবাদিকা,
আদিল ভাইকে প্রশ্ন করেছেন তবে আমার কিছু বলার আছে, কারন এই কথা পরবর্তী তে আরো অনেকের দিকেই আসতে পারে।
এইটা কি বললেন ভাই? কোন মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মানটা দিতে পারা আর ফ্ল্যাটারি করা কি এক জিনিস হল? সংশপ্তক বলেন বা আদিল মাহমুদ বা যে কেউ,
আমি নিজেও সেনাবাহিনী নিয়ে নিজের উন্নাসিক ভাবটা কোনদিন দূর করতে পারতাম কিনা সন্দেহ, যদি না সংশপ্তক ভাইয়ের কিছু অসাধারন যৌক্তিক পয়েন্ট গুলো তুলে না ধরতেন।
কাজেই এখানে আমি নিজেও উনাকে সরাসরি কৃতিত্ব দিতে পারে, যে ভ্রান্তি আমার দূর হয়েছে উনার ( সংশপ্তকের) সাথে আলোচনা করে, এতে দোষের কিছু আসলেই আছে কি?
আমাদের সবারই কমবেশি সীমাবদ্ধটা আছে। আমরা যদি অন্যের দ্বারা সেটা খানিকটা কমিয়ে আনতে পারি, তবে তাকে তার( যেই হোন না কেন) প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে কার্পন্য করাই মনে হয় অনুচিত!
এইযে দেখেন দুবার quote হয়ে গেছে। এটা অনেক সময় হয় কেন জানি না। তা নিচের টা একসাথে পড়তে হবে।
তাদের সমালোচনা যদি সামনা সামনি করা যায় তবে, প্রাপ্য সম্মানটুকুও সামনাসামনি দেয়া কি খুবই দোষের কিছু?
আমি নিজেও সেনাবাহিনী নিয়ে নিজের উন্নাসিক ভাবটা কোনদিন দূর করতে পারতাম কিনা সন্দেহ, যদি না সংশপ্তক ভাইয়ের কিছু অসাধারন যৌক্তিক পয়েন্ট গুলো তুলে না ধরতেন।
কাজেই এখানে আমি নিজেও উনাকে সরাসরি কৃতিত্ব দিতে পারে, যে ভ্রান্তি আমার দূর হয়েছে উনার ( সংশপ্তকের) সাথে আলোচনা করে, এতে দোষের কিছু আসলেই আছে কি?
আমাদের সবারই কমবেশি সীমাবদ্ধটা আছে। আমরা যদি অন্যের দ্বারা সেটা খানিকটা কমিয়ে আনতে পারি, তবে তাকে তার( যেই হোন না কেন) প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে কার্পন্য করাই মনে হয় অনুচিত!
@অর্ফিউস,
এখানে কাউকে প্রাপ্য সম্মান দেয়ার জন্য এই শব্দ প্রয়োগ করা হয়নি… আর তিনি যাকে লক্ষ্য করে সম্মান দেখিয়েছেন আমিও তার সাথে আগেই সম্মত প্রদর্শন করেছি… ব্যাপার হল উনি পয়েন্টে স্ববিরোধীটা দেখিয়েছেন। যেহেতু, তিনি কোন রাখঢাক করে কিছু বলেননা – তাই আমিও কোন ইউফোমাইজেশনের চেষ্টা করিনি। আর… ওনার মন্তব্যর শুরুটাই ছিল বিয়াপক ইঙ্গিতপূর্ণ.
@সংবাদিকা, নিচের অংশটুকু আরেকবার ভাল করে পড়ুনতো।
আপনি কি সত্যি বুঝতে পারছেন না আদিল মাহমুদের বক্তব্য? এখানে ঠিক কোন শব্দ বা শব্দ গুলো কে ফ্ল্যাটারি বলা যায় বলতে পারেন? একটু বোল্ড আর ইটালিক গুলো আর সাথের অন্য কথাগুলো আরেকবার পড়ে ব্যাখ্যা করবেন কি যে এখানে প্রাপ্য সম্মানের জন্য না বলা হলেও কোন কথাটিকে আপনার কাছে ফ্ল্যাটারি মনে হয়েছে, এবং কিসের জন্য?
একজনের ভাল পয়েন্টের সাথে একমত হয়ে তার পরে তাঁর নিজের আরো কিছু বলার আছে এটা বলে, নিজের মতামত যোগ করা হচ্ছে যেখানে কিনা সংশপ্তকের অন্য পয়েন্ট গুলির বিরোধিতা করা হচ্ছে? এটা কি ফ্লাটারি মনে হয় আপনার কাছে? কেন? তাহলে আপনার সাথে যারা একমত হচ্ছে এবং কোন বিরোধিতাই করছে না তারাও কি আপনাকে আরো বেশি করে ফ্ল্যাটার করছে বলে মনে করছেন আপনি?
যাক এত কথা বলার ইচ্ছা আমার ছিল না, কিন্তু বলতে হচ্ছে এইজন্যেই যে কিছু শব্দ চয়ন করতে হলে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় বলেই আমার বিশ্বাস। তবে আপাতত কথা বাড়াবার ইচ্ছা আমার নেই। ভাল থাকবেন।
@অর্ফিউস,
“ছাগলেও জানে”, “বলাৎকার” কিংবা কোন কিছুর শুরুতেই “:-D ইমো” কিংবা “লেখক কিংবা লেখিকা” সহ আরও বেশ কিছু ইঙ্গিত…… এসব শব্দ চয়ন আপনার কাছে মধুর হতে পারে – হয়ত আপনি হলে কমপ্লিমেন্ট মনে করতেন… হয়ত আপনি কাউকে কাউকে ব্লগুরু (ব্লগিং গুরু) মনে করেন… কিংবা এসব আপনার কাছে শব্দ মধুর হতে পারে কিন্তু আমার কাছে নয়। তবে আমি এসবে কিছুই মনে করিনি – কিন্তু যারা এভাবে অন্যদের সাথে করে – তাদের নিজেদের হজম করার সহ্য ক্ষমতাও থাকা উচিৎ।
জনাব আদিল মাহমুদ এর পক্ষে আপনার সাফাই মন্তব্য আমার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
আসলে এখানে কারো সাফাই দিচ্ছি না। আমি শুধু আপনার কাছে কোন কোন জিনিস ফ্ল্যাটারি হিসাবে গন্য হতে পারে তার কিছু নমুনা চাচ্ছিলাম আর কি। আদিল ভাইয়ের পক্ষে সাফাই দিয়ে আমার কি কাজ বলেন? তবে সমর্থন আর অসমর্থন থাকতেই পারে; ব্যক্তির চেয়ে মতামতের পেছনে।
আপনি নিজেই কিন্তু গুলিয়ে ফেলেছেন ব্যাপারটা। কাউকে শ্রদ্ধা করা আর গুরু মানা এক কথা নয়। আর আমার কোন কথাটিতে আপনার মনে হল যে এসব আমার কাছে সুমধুর মনে হতে পারে বা আমি কমপ্লিমেন্ট হিসাবে নিতে পারি? না পরিষ্কার করে কথা না বললে তো সমস্যা।
যাই হোক, আদিল ভাইয়ে করা একটা মন্তব্যে তাঁকে গুরু ডেকেছি এতেই কি আপনার এই ব্লগুরু ধারনাটা জন্ম নিয়েছে মনে? তাহলে আপনার মধ্যে সেন্স অব হিউমারের অভাব আছে বলতে হবে। এরকম আমরা তো অনেকেই মজা করে বন্ধুদের বস ডাকি মাঝে মাঝে তার মানে কি এই যে আমরা সেটা মিন করে বলছি?
আমি কিন্তু কাজী রহমান কেও নবীজি বলে ডাকি মাঝে মাঝে একটু মজা করতে যেয়ে, তার মানে কিন্তু এই না যে আমি উনাকে নবী মানছি, কারন নবী রসুল কন্সেপ্ট আমার জন্য গুরত্বপুর্ণ কিছু নয় এটা জানেন আপনি আশা করি।
কাজী রহমান ভাইও কিন্তু এইসব রসিকতায় সাড়া দেন, তার মানে কিন্তু এই না যে উনি আসলেই নবুয়ত দাবী করেছেন। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
মূল্যবান মন্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
@সংবাদিকা,
blockquote>এটা ভিন্ন আলোচনা – লেখার স্কোপের বাহিরে।
– তাই নাকি? তাহলে আপনি একই মন্তব্য কেন আসাদ সাহেবকে ৭ নং কমেন্টে করেননি? সাইফুল যখন এই জাতীয় আরো বেশ কিছু কথা তার দীর্ঘ কমেন্টে করল তখনো তো আপনি “এসব স্কোপের বাইরে” বানী দেননি। কেবল আপনি অস্ত্র পাচার আপনি সমর্থন করেন কিনা সরাসরি প্রশ্নের মুখোমুখি হলেই দেখি আপনি দ্রুত “স্কোপের বাইরে” ঢালের আড়ালে আশ্রয় নেন। কেউ অস্ত্র পাচারের পক্ষে কিংবা বিচারের বিরোধী ষ্ট্যান্ড নিলে সেখানে আপনি সমর্থন দেন কিংবা নীরবতা পালন করেন।
– চমৎকার উদাহরন। নেপাল ভূটানের কোন পলিটিশিয়ান অস্ত্র মামলা নিয়ে কি বলেছে আপনিইই ভাল জানেন। টক্করে যেতে কেউ বলেনি। বাহ বা। এমন সরল মনা ব্যাক্তিবর্গ শেষ জমানায় অতি বিরল। দয়া করে সরাসরি বলেন তো, ভারতের ভেতর কার্যকর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী যে নামেই ডাকা হোক তাদের বাংলাদেশ সরকারী ভাবে সহায়তা দিয়ে যাবে আর ভারত সরকার চেয়ে চেয়ে দেখে যাবে এমনটা আপনি বিশ্বাস করেন? টক্করে যাওয়া বলতে কি বোঝায় আপনি আসলেই বোঝেন না? দুনিয়ার অপর পারে বসা আমেরিকা তার নিজ নিরাপত্তার অজুহাতে যখন তখন পাকিস্তানে ড্রোন উড়ায়, পোকা মাকড়ের মত নিরীহ মানুষ মারে আর ৮৫ ভাগ সীমানা জুড়ে থাকা ভারত পাকিস্তানী আইএসআই এর সহায়তায় আমাদের পবিত্র অস্ত্র পাচারের কবি সূলভ উদাস চোখে দেখে যাবে? কারন প্রাচীন কাল থেকেই অস্ত্র পাচার চলে আসছে, অস্ত্র পাচার সব সময়ই খারাপ নয় (আপনার নিজেরই কথা)……ভারতও নিশ্চয়ই আপনার যুক্তিতে বুঝে যাবে যে অস্ত্র পাচারে আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। টক্করে যাবার মানে আর ব্যাখ্যা করতে হবে?
আমাদের এখন নিজেদের “ক্লায়েন্ট ষ্টেট” (কারো কাছে তাবেদার) নই প্রমান করতে হলে আরেক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নিজ দেশে দাওয়াত দিয়ে এনে ভারতে অস্ত্র পাচার করিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে।
যারা এই আত্মঘাতি পররাষ্ট্র নীতির সাথে দ্বি-মত করবে তারা হল ভূটান নেপালের পলিটিশিয়ান, কিংবা তাবেদার। আদর্শ দফাদার হল যারা অস্ত্র পাচার সমর্থন করবে।
আগেই বলেছি যে আলোচিত ঘটনা সম্পর্কে যে কোন রকম আলোচনাই নির্ভর করে মূল অস্ত্র পাচার কে কিভাবে দেখে তার ওপর, কাজেই এটা স্কোপের বাইরে ছূতায় অবহেলা করার কিছু নয়।
– আপনার ওপর আমার শ্রদ্ধা আবারো বাড়লো। কেন সরাসরি বলতে পারেন না যে আপনি আমার ওপর মহা বিরক্ত হয়েছেন? আপনি টক্কর মানে যেমন বোঝেন না তেমনি মনে হয় ফ্ল্যাটারির মানেও বোঝেন না। নইলে সংশপ্তক ভাই এর মূল পয়েন্টে একমত প্রকাশ করে তার অনেক কিছুতেই যে দ্বি-মত করেছি তা বিলকুল হজম করে “ফ্ল্যাটারি” তত্ত্ব বার করিয়ে লোক হাঁসাতেন না। কারো কোন পয়েন্ট ভাল বলা মানে হল ফ্ল্যাটারি, শুনে আমি নিজেই ফ্ল্যাট হয়ে গেছি। এই ধরনের ইণ্টারপ্রেটেশন ঘোর মৌলবাদী ধরনের লোকের কাছেও শুনি না। এর চাইতে মারাত্মক ফ্ল্যাটারি আপনার সাথেও অতীতে করেছি।
– বিশেষ ব্র্যান্ডের কাসুন্দীর গন্ধে যে আপনার অরুচি নেই সে তো বিলক্ষন দেখছি।
– কোন সরকারী কর্মচারী দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রতিষ্ঠানের সমান্তরালে অন্যায়ভাবে চলা হাওয়া ভবনের কাছের লোক এটা আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ/অপছন্দ কিভাবে হয়? আমি কি রাজ্জাকুল হায়দারের মেয়ের পানি প্রার্থী হচ্ছি যে ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কথা আসছে? আপনি নিজেও স্বীকার করেন যে সাজা প্রাপ্ত প্রায় সকলেই হাওয়া ভবনের কাছের লোক, কিন্তু এতে নেহায়েত ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দের বাইরে আপত্তির কিছু দেখেন না। বড়ই চমতকৃত হচ্ছি।
– অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর কথা। কি দারুন কথা, রাষ্ট্রের পলিসি। আজ প্রধানমন্ত্রী জেলের ভেতর রাজাকার কাউকে খুন করাতে বললে সেটা রাষ্ট্রের পলিসি, ন্যায় অন্যায়ের ব্যাপার নয়? রাষ্ট্রের পলিসি প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথা নয়, এটা বোঝেন কিংবা মানেন? রাষ্ট্রের পলিসি সংবিধান। সেই সংবিধান রচনা করা হয় ন্যায় অন্যায়ের ভিত্তিতে। কাজেই ন্যায় অন্যায় পরের ব্যাপার নয়। একজন আদর্শ সরকারী কর্মচারী, এমনকি সাধারন নাগরিকেরও উচিত প্রচলিত সংবিধান বা আইন কানুনের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক এমন যে কোন ওপর ওয়ালার নির্দেশ ইগ্নোর করে পাবলিককে জানানো।
-এখানে কাজ মামুন কেন আসল? উদাহরন মানেই দুনিয়ার সব উদাহরন হাজির করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা আছে? ভুল উদাহরন কেন হল অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে, ইমো কিংবা তীর্যক ইংগিত ওয়ালা মন্তব্য করে এড়াবেন না। শুধু বংগবন্ধু হত্যার উদাহরন তুললে হয়ত সঠিক হত কারন তারা বংগবন্ধুকে ওপর ওয়ালার আদেশে হত্যা করে ফেঁসে গেছিল?
– আপনার যে হাসি না, অন্য আরো বেশ কিছু অনুভূতি হচ্ছে তার লক্ষন ভালই পেয়েছি। ওপরে ম্যাতকার শব্দের আমদানী, ফ্ল্যাটারী তত্ত্ব আবিষ্কার তারই স্বাক্ষ্য দেয়। অবশ্য আপনাকে দোষও দেওয়া যায় না।
– এটা অবশ্য আপনাকে বলা হয়নি। এটা সংশপ্তক ভাই এর উদ্দেশ্যে, তার তোলা পয়েন্ট যা আপনার কাছে ফ্ল্যাটারি মনে হয়েছিল সেখানে বলেছিলাম। উনি বাহিনীর মনোবল নষ্ট করার এই কনফ্লিক্টিং সিচুয়েশন কিভাবে মূল্যায়ন করেন তা জানার আগ্রহ আছে। আপনার কাছে সেটা জানার আগ্রহ নেই।
– বাড়তি একটি শব্দ বারবার লেখার প্রয়োজন নেই মনে হচ্ছে… আধুনিক বাংলা ভাষায় অন্যান্য অনেক শব্দের মত “লেখক” দ্বারা স্ত্রী এবং পুরুষ দুই লিঙ্গকেই বোঝানো যায়।
– বারবার নয়, বলেছি মনে হয় ২ বার। আপনার লিংগ আসলেই গুরুত্বহীন, শুধু ব্যাকরনগত শুদ্ধতার কারনেই বলতে হয়েছে। লেখক দিয়ে যে দুই লিংগই বোঝানো হয় এটা অবশ্য জানা ছিল না। ধন্যবাদ, এই লেখায় আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে হয় এটাই।
শেষ আরেকটি জেনুইন ফ্ল্যাটারি করি। লেখাটি সম্ভবত মুক্তমনায় স্মরনাতীত কালের অন্যতম সফল লেখা, অন্তত কমেন্টের সংখ্যা, বিভিন্ন দৃষ্টিভংগীর সমাবেশের দিক থেকে।
@আদিল মাহমুদ,
শুধু সাইফুল নয় নিয়মিত ব্লগারদের মধ্য সংশপ্তক এবং মনজুর মুরশেদ এর জবাবের বেলাও একই কাজ করেছি কেননা আমার মনে হয়েছে তারা “মূল পয়েন্ট” খুব ভালো ভাবেই ধরতে পেরছেন।
টক্করের কথা তো আপনিই তুললেন…
মোটেও মহাবিরক্ত হইনি… যদি বিরক্তই হতাম আমি আপনার কমেন্টের পাল্টা মন্তব্যই করতামনা – মন্তব্য লেখাতে সময় ব্যায় হয়, এটা আপনি ভালই জানেন 🙂
বেশি ভালো দেখাতো বেশি ভালো না 😀
এটা আপনার উক্তির কারনেই করা।
আপনি আবার ভুল উদাহরণ দিচ্ছেন… আগে একবার দিয়েছেন তার আগে কাজি মামুন দিয়েছিলেন।
আপনি রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে আন্তর্জাতিক বিষয় মেলাবেন না – এটা ফান্ডামেন্টাল ভুল।
আপনি কি কাপালিক নাকি টেলিপ্যাথি জানেন ??
কিন্তু আপনার আরেকটি মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে আমি এইটা আবার বলতে বাধ্য হয়েছি
কি বলব শেষে!!! মনে হয় কতগুলো আপিল টু ইমশোন করে শেসে একটা ক্ল্যাসিক আর পুরাই অ্যাড হোমিনেম অ্যাটাক করলেন 🙂
@সংবাদিকা
আপনার সাথে কথা বলা মানে বৃথা সময় নষ্ট। নিজের মনের কথা যা বলতে চান তা বলতে পারেন না, অবশ্য অন্য কেউ নিজের হয়ে বলে দিলে বেশ উল্লসিত হন। কোন ব্যাখ্যা চাইলে কোন ছেলেমানুষী ইমো, পালটা অদ্ভূত প্রশ্ন করে কি কি যেন বুঝিয়ে দেন। অদ্ভূত এক জিনিস আপনি। এখানে কি বলে গেলেন, আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আবারো হযবরলের কাকের মত হয়নি হয়নি বলে গেলেন সে আপনিই ভাল বোঝেন।
যে কোন পয়েন্ট “ভাল” শুধু এই কথার মধ্যে ফ্ল্যাটারি খুজে পায় তার মনোভাব টের পেতে টেলিপ্যাথি কিংবা জ্বীন ভূত চালা দিতে হয় না, কি বলেন?
নীচে দেখি আবার এ নিয়ে বেশ নাটুকে জবাব দিয়েছেন। আপনার সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি ব্লগে রাগারাগি করি না, কিছু ব্যাপারে অত্যন্ত বিরক্ত হই; এক ভন্ডামি দেখলে, দুই অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে এ কারনে। আপনি কোথা থেকে কি বার করবেন সে আপনার ব্যাপার, মোষ্ট ওয়েলকাম। এই ছেলেমানুষীটা ইচ্ছে করেই করেছি এই ছোট আশায় যে ভবিষ্যতে সিরিয়াস আলাপে অবান্তর বিশেষন ব্যাবহার করে হয়ত লোক হাঁসাবেন না।
আপনার সাথে মতের মিল অমিলের কোন প্রশ্নই আসে না। যে নির্দিষ্ট করে মত দিতেই জানে না বা চায় না তার সাথে আলোচনার তেমন কিছু নেই। বেহুদা টাইম লস। কথা শুরু একটাই, শুরু থেকেই হ্যাণ্ডেল করা “যায়নি”……
এবার একমত পোষন করার মত করে এই যন্ত্রনা শেষ করি, ইনশাল্লাহ পরের বার সফল ভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে অস্ত্র পাচার হ্যান্ডেল করতে পারবো, নিজেদের আর ক্লায়েন্ট ষ্টেটে পরিনত হতে দেব না।
আমিন।
@আদিল মাহমুদ,
আমিন…
@আদিল ভাই, বাপরে বাপ। তাইতো আমি সবসময়েই বলি যে আদিল মিয়া সাহেব মন্তব্য না করলে আসলে কোন লেখার বিতর্ক অংশে যেন পরিপুর্নতা আসে না। চমৎকার হইসে গুরু। :guru: :clap
খালি এই কথাটা মনে হয় না বললেও সবার কাছেই পরিষ্কার।ভাল মন্দ মিশিয়েই মানুষ। সফিক সাহেব খুবই উচুদরের লোক সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে ভাল হোক মন্দ হোক, কায়দা করে তাঁর পক্ষটা একটা দিকেই চলে যায়। যেমন আগে যায় যায় দিন পত্রিকার ছিল ( এখন কি অবস্থা জানি না) 😀
এখন মনে হচ্ছে আমরা কেন যে চুপি চুপি ভারতের ভেতরে অস্ত্রগুলি ঢুকিয়ে দিতে পারলাম না।আফসোস!যা হোক হতাশ হলে চলবে না,চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।ভারতে তো ঢুকাবোই সঙ্গে চীন,নেপাল,পাকিস্তান এসব দেশেও ঢুকাবো।পাকিস্তানি তালেবানদেরও দেবো।চীনে মুসলিম উদ্ধসিত একটা প্রদেশ আছে না,ঐখানের ঢুকিয়ে দেবে ২০ ট্রাক।উলফারা কি আমাদের মায়ের পেটের ভাই নাকি,যে শুধু উলফাকেই দিতে হবে,বরং চীনের মুসলমানরা আমাদের সৌহাদ্যের ব্রাদার,ওদেরকে কেন বঞ্চিত করবো।
সাবধান এখানে কেউ যেন আবার প্রশ্ন করবেন না যে, চীনের ভেতরে অস্ত্র ঢুকিয়ে আমাদের লাভ কি?যদি এই প্রশ্ন করেন তাহলে আপনি হবেন মথামোটা নাস্তিক।চীনরে ২০ দিলে চীনে যে আপনারে ২০০ রির্টান দেবে এই প্রশ্ন করলেই আপনারে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের সংজ্ঞা,কাজ,বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি ইত্যাদি জ্ঞানোদা বড়ি।কাঠি ঢুকানোর আগে রিটার্ন হিসেবে যে বাঁশ দেওয়া হবে তা সামলাতে পারবো কিনা, এই বিবেচনা করলে আপনি হবেন খোয়াড়ের গরু।
এতগুলো মন্তব্য করা হলো অথচ কোথাও নাকি অস্ত্র খালাসের কাজকে জায়েস করা হয়নি!সব গোস্বাই নাকি ডিজিএফএই এর চীফকে কেন বিচার করা হলো তাই নিয়ে!যে চীফ শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশের মোস্ট ওয়ান্টেট সস্ত্রাসীর সাথে সস্ত্রীক ব্যাংকক বেড়াতে যায়,যে চীফ নিজের প্রধান অফিসে বসে উক্ত মোস্ট ওয়ান্টেটের সাথে মিটিং করে,যে চীফ প্রকাশ্যে উক্ত ওয়ান্টেটের সাথে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে নিজের সহকর্মীকে দেখতে যায়,সেই চীফের উচিত ছিল আত্মহত্যা করা।এইসব যে চীফের বৈশিষ্ট্য ও কাজের নমুনা সে এর চেয়ে খারাপ কিছু ডির্জাব করে।এই চীফের হাজার বার ভাবা উচিত ছিল, কিংবা তার মুরিদ ও বসদের বোঝানো উচিত ছিল এই খালসির কাজটা করে দেওয়া আমাদের জন্য আত্মঘাতী কাজ মাত্র।এটা আইএসআই ও চীনের প্রজেক্ট মাত্র, এতে আমাদের কোন স্বার্থ নাই বরং ক্ষতি।আর অস্ত্র একবার হাতে পেলে এই উলফারাই যে তা আমাদের দিকে টার্গেট(সিলেট) করবে না তার গ্যারান্টি কি?
গোস্বার আরও কারণ আছে, এর মাধ্যমে নাকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জেনে গেল আমরা জড়িত ছিলাম!অন্যকে মাথামোটা ভাবলে নিজেকে কি খুব চালাক মনে হয়!?ভারতের র আম্রিকার সিআইএ এতদিন নাকে সরিষার তেল দিয়ে শুয়ে ছিল,কখন বাংলাদেশর আদালত রায় দেবে আর তারা সবকিছু জানতে পারবে!এই বারো বছর ধরে র, সিআইএ কি ঘরে বসে তেল সিন্দুর মাখতেছিল?যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা আমাদের আত্মঘাতী সুকর্মটি দেখিয়ে ফেলেছি বলে এত এত গোস্বা করছি,সেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২০০১ এর শেষেই আমারাই যে উক্ত সুকর্মটি করেছি সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
@প্রাক্তন আঁধারে,
আপনার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আপনি লেখার মূল আর্গুমেন্ট ধরতে পারেননি। এখানে অস্ত্রপাচার ভালো কিংবা খারাপ এটা মূল পয়েন্টই নয় !! মূল পয়েন্ট হচ্ছে এটা ফাঁস হবার পর যেভাবে হ্যান্ডল করা হয়েছে সেটা!!
@সংবাদিকা,
ফাঁস হবার পরে বিএনপি জামানার পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার আগে পর্যন্ত হ্যান্ডলিংটা ছিলো জঘন্য! এরপরে অনেকটাই যথাযথ ভাবে এগিয়েছে। আজ বিচারিক আদালতের রায়ের পরে আমরা এবং বিশ্ববাসী স্বস্তিতেই আছি যে এব্যপারে আন্তর্জাতিক ভাবে আমাদের গায়ে কেউ অন্ততঃ কাদা লেপনে হাত বাড়াবে না।
@কেশব কুমার অধিকারী,
অনেকের মত আপনিও কি ব্লগ পড়ার আগে নিজের অবস্থান ঠিক করে নেন, এরপর মন্তব্য গুলো পড়েন, তড়পর মূল লেখায় চোখ বুলিয়ে – এরপর মন্তব্য লেখার চেষ্টা করেন ?? নাহলে লেখার মধ্য নিম্নক্ত প্যাড়া চোখে না পড়ার তো কথা না :-s
আমি স্পষ্ট ভাবে লিখেছি –
উপরে সংশপ্তক আর সাইফুল ইসলাম যা বলেছেন তার বাইরে আর বেশী কিছু যোগ করার দরকার আছে বলে মনে করছিনা। লেখককে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@মনজুর মুরশেদ,
আমারও মনে হচ্ছে যে – আর ভেঙ্গেচুরে কিছু বলার প্রয়োজন আছে…
আপনাকে ধন্যবাদ।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশে যে হাওয়াই বিভাজন চলছে সেই বিভাজনে মুক্তমনা ব্লগ “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” নামক যে বায়বীয় মিথটি আছে তার প্রতিনিধিত্ব করে। অন্তত এর ব্লগাররা। সেই দিক থেকে বিচার করলে আপনার লেখাটি উলুবনে মুক্তো ছড়ানোর কাজ করছে। কারন আম্লিগ নৌকার যাত্রী তথা মুরিদ হয়ে আলোচ্য ইস্যুটির ভয়াবহতা সম্পর্কে এরা বুঝবে না। এবং আমি ব্যাক্তিগতভাবে বা বলা ভালো ব্লগিয়ভাবে যাদের চিনি সেই হিসেবে এই ব্লগে হাতে গোনা দু চারজন আছেন যারা সত্যিকারভাবেই এই বিষয়টা সম্পর্কে ধারনা রাখেন এবং এর প্রচন্ড ইমপ্যাক্ট (বর্তমান ভবিষ্যত দুটোই) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন। আপনার সৌভাগ্য তাদের একজন ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন এবং অত্যন্ত ভ্যালিড মতামত দিয়েওছেন। আবার উলটো করে বললে মুক্তমনায় যেহেতু নাস্তিকরা চরে বেড়ান কোন প্রকার রাজনৈতিক আদর্শ, চিন্তা চেতনা ছাড়াই এবং নিজেদের মহা কুতুব মনে করেন সেই বিচারে লেখাটার দরকার ছিল। কারন ধাক্কার প্রয়োজন আছে। যাই হোক।
ইস্যুটা যেহেতু “রাষ্ট্র” সম্পর্কিত এবং আলোচনায় যেহেতু অনেকেই (শুধু এই পোস্টে না, অন্যান্য জায়গাতেও) রাষ্ট্রের কথাটা নিয়ে আসেন সেহেতু আমরা ধরে নিতে পারি রাষ্ট্রতত্ত্ব সম্পর্কে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ধারনা আছে। এবং উপরে অনেকেই বলেছেন যে অন্য একটি দলের অস্ত্র আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে নিয়ে গেলে আমাদের কী লাভ (?) সুতরাং আমরা এটাও ধরে নিতে পারি যে যারা এই কথা বলছেন তারা এটা অন্তত বোঝেন যে, অন্য দল, গোষ্ঠি, জাত, সম্প্রদায়, দেশ বুঝি না, আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সবার আগে। এইটুকু যদি বুঝি তাহলে আমাদের সমস্ত সমস্যাই সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা। সাথে আরেকটু যোগ করি কিংবা একই কথা একটু ঘুরিয়ে বলি, একটা “রাষ্ট্র” যখন গঠিত হয় বাই ডেফিনিশন, বাই ডিফল্ট এটি অন্য রাষ্ট্রের শত্রু। উল্টোভাবে বললে স্বাধীন রাষ্ট্রটির বাইরে সমস্ত পৃথিবী তার শত্রু। কিন্তু এই যে বলছি শত্রু তারমানে কি আমরা অন্যদের সাথে বিনিময় করব না? অবশ্যই করব। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই শত্রু মিত্রতা ব্যাক্তি পর্যায়ের শত্রু মিত্রতা নয়। স্বাধীন রাষ্ট্রটির সাথে অন্য দেশের স্বার্থের মধ্যে যে সাধারন বা কমন জায়গাগুলো আছে সেগুলোকেই আমরা এড্রেস করব এবং সেই কাজগুলো করার মধ্যেই আমাদের বন্ধুত্ব নিহিত এবং তখনই সেই দেশের সাথে কূটনৈতিক ভাষায় কথা বলাকে বলব, বলি “বন্ধু রাষ্ট্র”। এখানে আবার মনে করিতে দেয়া যায় যে, এই বন্ধুত্বতা কূটনৈতিক বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বন্ধুত্বতা। কোনভাবেই নিজ দেশের স্বার্থ শিকেয় উঠিয়ে রেখে, নিজের পোঁদ উন্মুক্ত করার বন্ধুত্বতা নয়। এই বিষয়ে এখানেই শেষ।
গোয়েন্দাবাহিনী সাধারনত দুটো কাজে ব্যাবহৃত হয় একটি দেশে। এক, দেশের অভ্যন্তরিত ব্যাপারে সরকার প্রধানদের ওয়াকিবহাল থাকার জন্য যেটা আমাদের বর্তমান আলোচনার সাথে সম্পর্কিত নয়। দুই, রাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে অন্য রাষ্ট্রের কার্যক্রমের উপরে নজরদারী করার জন্য যেটাকে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স বলা হয় এবং যেটার অস্তিত্ব আমাদের দেশে কাজি আনোয়ার হোসেন বিরচিত সেবা প্রকাশনী প্রকাশিত বইয়ের চরিত্র মাসুদ রানা ব্যাতিত অনুপস্থিত। কিন্তু তারমানে কি এই যে একাবারেই কাজ করে না বা সরকার প্রধান বা রাষ্ট্র এই ব্যাপারে খোজখবরহীন? তাও না। তবে সেটা অত্যন্ত সীমিত সীমানার মধ্যেই এবং খুব একটা তৎপরও নয়।
কিন্তু একটা ব্যাপার আমাদের মাথায় রাখতে হবে যদি আমরা “রাষ্ট্র” বুঝে থাকি তাহলে যে, “রাষ্ট্র” তার স্বার্থ মনে করলে যে কোন কিছু করতে পারে এবং সেটাই জায়েজ হয়ে যায় তখন। এটা হতে পারে আরেক দেশের উপরে হামলা করা, এটা হতে পারে আরেক দেশে অস্ত্র সাহায্য দেয়া, এটা হতে পারে আরেক দেশ থেকে নিজ দেশের নাগরিককে কোভার্ট অপারেশনের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। ব্যাক্তি পর্যায়ের উচিত অনুচিত দিয়ে রাষ্ট্রীয় উচিত অনুচিতকে যখন আমরা বিবেচনা করতে যাব তখনই আমরা ভুল করব যেটা আমরা করেছি এবং স্বাভাবিকভাবেই সেই ভুলের খেসারত আমাদের দিতে হবে যেটা আমরা অবশ্যই দেবো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের ট্রাকভর্তী অস্ত্র মামলায় যে রায় হলো সেই রায়ের মাধ্যমে আমরা কী বুঝতে পারি? এই রায়ের মাধ্যমে আমাদের নিজ রাষ্ট্রের কো্ন স্বার্থ রক্ষা হলো? গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সিভিল কোর্টে বিচার করার মাজেজা কী এবং এতে করে কার স্বার্থ রক্ষা হয়েছে?
যদি আমাদের নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা না হয় তাহলে কার স্বার্থ রক্ষা হলো? তার পরিচয় কী? এবং এই স্বার্থটাই বা কী?
অন্যদেশের সরকারী বক্তব্যানুযায়ী একটি “বিচ্ছিন্নতাবাদী” দলের অন্যতম প্রধানকে বিচার করে আমাদের রাষ্ট্রের কোন স্বার্থ রক্ষা করলাম? এই বিচারের ফলে পালটা হামলা তথা আমাদের নিরাপত্তা ইস্যুকে যে হালকা করে ফেললাম এর বিপরীতে আমাদের কোন লাভ আছে কি? যদি থাকে তাহলে সেটা কী এবং যদি না থাকে তাহলে কার স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা এই আউলাঝাউলা কাজ কারবার করছি?
বর্তমান সরকারের আপাতত দাঁড়িয়ে থাকতে পারার পেছনের খুঁটি কে এবং আলোচ্য ইস্যুতে কোন দেশের রাজনীতির সাথে এই বিচার জড়িত এটা জানলেই বুঝতে না পারার কারন থাকে না, কেন সরকার নিজ দেশের স্বার্থ বিকিয়ে আরেকজনের স্বার্থ রক্ষা করছে। সৌভাগ্যজনকভাবে আমরা সবাই সেই দেশটাকে চিনি।
দেশটির নাম ভারত। ওরা ডাকে মহান ভারত।
বস্তুত এই বিচারের মাধ্যমে আমরা প্রমান করলাম আমাদের রাষ্ট্র কীসে পরিণত হয়েছে। উপরে সংশপ্তক
বলেছেন “বেকুব রাষ্ট্র”। আমি তার সাথে একমত হয়ে বলতে চাই, এটা একটা রাষ্ট্রকে দাস বানানোর প্রক্রিয়া। অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে এটা আমাদের “শিক্ষিত”রা বুঝতে অক্ষন। আমি সচেতনভাবেই সরকারের কথা বলছি না কারন ওরা জেনে বুঝেই এই কাজ করেছে এবং সামনেও করবে। কিন্তু এই সার্টিফিকেটওয়ালা ঘুমকামখাদ্যখানা জীবদঙ্গলরা নিজেদের বিপদ বুঝতে পারছে না। এই ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে একটা স্যালুট দিতেই হয়। এই শিক্ষিতপালগুলোকে খোয়াড়ে ঢুকাতে পেরেছে।
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। তবে সরাসরি কিছু সিদ্ধান্ত দিলে আরো ভালো লাগত।
@সাইফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ দিন ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধীতাকারী মহান বিএনপি-জামাতকে, কারণ তারাই একটি শিক্ষিত শ্রেণীকে খোয়াড়ে ঢুকিয়েছে, না হলে, কি করে দশ ট্রাক অস্ত্র দেশে ঢুকার ঘটনাকেও জায়েজ করতে পারে, ভারত ও আওয়ামী বিদ্বেষ এদের বিবেকবুদ্ধি সম্পূর্ণ লোপ করেছে, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীর ব্যবহারে অস্ত্র না হয়ে পাকি বা চায়না বিচ্ছিন্নতাবাদীর অস্ত্র হলে, এরাই আবার কেমন করে এর সমালোচনায় নেমে পারত! ভারত ও আওয়ামি বিরোধীতা/বিদ্বেষ চলতেই পারে, কিন্তু এদের হয়েছে জলাতঙ্ক রোগ, এজন্য দিশেহারে হয়ে এত বিপুল অস্ত্র খালাসের ঘটনাকেও রাষ্ট্রিয় স্বার্থের পরিপুরক ধরা হয়! ছি! ছি! ছি!
এ লেখা কাউকে ধাক্কা দেয়নি, বরং অনেককে উলঙ্গ করে দেখিয়ে দিয়েছে আসল চেহারা!
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ছিল, কারণ একবার অভিজিৎদা বলেছিলেন যে, আপনি হচ্ছেন সেই ব্যক্তি নির্মোহভাবে সব ত্রুটির সমালোচনা করতে পারেন। এর প্রমানও পেয়েছিলাম আপনার সৌদি ও ভারত কর্তৃক বাংলাদেশী নিগৃহিত হওয়ার তীব্র সমালোচনামূলক লেখা পড়ে। কিন্তু আপনি আর আপনি নন, যেভাবে কাদের সিদ্দিকিও আর কাদের সিদ্দিকি নেই!
কি করে জাস্টিফাই করতে পারলেন স্বাভাবিক গোয়েন্দা প্রবৃত্তি হিসেবে, যেখানে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে সাজ ধরেছিল উলফা নেতার???? যে দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাটিকে হাতে নাতে ধরেছিল, তাদের উপর কি অত্যাচার করেছিল খালেদা-নিজামির সরকার??? ডেইলি স্টারের উদ্ধৃতি দিচ্ছি (যদিও সন্দেহ এটি আর পড়েন কিনা, কারণ ভারতীয় আধিপত্যের বিরোধীতাকারি নয়া দিগন্ত, ইনকিলাব আর আমার দেশ তো আছেই!)ঃ
http://www.thedailystar.net/frontpage/only-very-few-knew-9086?archive=2014-01-30
http://www.thedailystar.net/frontpage/bravery-got-em-into-big-trouble-9094?archive=2014-01-30
http://www.thedailystar.net/frontpage/terror-sponsored-by-the-state-9092?archive=2014-01-30
http://www.thedailystar.net/frontpage/isi-in-thick-of-things-9095?archive=2014-01-30
@কাজি মামুন,
আমার কিন্তু মনে হয় নি সাইফুল ইসলাম অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনাটিকে জায়েজ করার চেষ্টা করছেন। তার মূল বক্তব্য এই মামলার বিচার ও রায়কে ঘিরে।
@কাজি মামুন,
আমার উপরে বলা কথাটুকু বুঝতে পারার মত যথাযথ সক্ষমতা আপনার রয়েছে বলে আমার কখনোই ধারনা ছিল না। কারন ঐ কথাটুকু বুঝলে এইমাত্র যে অভিমানী বাক্যস্ফুরন ঘটালেন সেটা করতেন না। আপনার ধারনা আমি খালেদাকে বাহবা দিচ্ছি, সমর্থন করছি। কতটুকু পিচ্চিখোকাবাবুমানুষ হলে আপনি আমাকে এটা ভাবতে পারেন বলুন তো? আরে খালেদা যদি আদর্শগত কারনে একটা স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীকে এমন সমর্থন দিতো ভারতের মত শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশের উদরমধ্যে বসে থেকে(যদিও সেটা আপনার মতনই অভিমানী কাজ হতো), তাহলে বলে কয়ে আমি বিম্পি করতাম!
আমার বিরুদ্ধে এই ব্লগে শুধু আপনিই না আরো অনেকেরই মূল অভিযোগ হলো আমি আম্লিগবিদ্বেষী। বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না, আর ক’দিন থাকতে পারে দেখেন। তারপরেই দেখবেন বিম্পি বা জলপাইবিদ্বেষী হয়ে যাব। আশা করি যাতে পরেরটা না হতে হয়। যাই হোক।
খালেদা কেন এই কাজ করেছে কিংবা কেন বিম্পি সরকার এই কাজ করেছে সেই প্রসঙ্গ এখানে মোটেই আলোচ্য বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে বাঙলাদেশ নামে যে রাষ্ট্রটি আছে, যে এনটিটি আছে, সেই রাষ্ট্র যদি মনে করে কোন সার্টেইন কাজ তার রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য করা উচিত সেটা সে করতে পারে। এখানে ব্যাক্তিগত উচিত অনুচিত বোঝাবুঝি দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে। মানে হলো সেই কাজটি করা কি নৈতিকভাবে ঠিক হয়েছে কী হয় নি সেটা “রাষ্ট্র” নামক বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকলে এমনকি আলোচনাতেই আসবে না।
প্রশ্ন আসতে পারে সেই কাজটি তারা যথার্থ যোগ্যতা, যথার্থ প্রফেশনালিজমের সাথে করতে পেরেছিল কী না। আমরা উত্তরটা জানি। পারে নি। পারে যে নাই সেটার জন্যই তো এত কথকতা। এই যে পারে নি সেটার কৈফিয়ত রাষ্ট্র কাউকে দিতে বাধ্য নয়। কাউকে বললে আমি লিটেরেলি “কাউকে”ই বোঝাচ্ছি। শুধু একটি প্রশ্ন করেন নিজেকে। এই যে একটা গোয়েন্দা তৎপরতা করতে যেয়ে একটা স্টেট-এর সম্পূর্ন শক্তি ব্যার্থ হলো (কেন হল সেই আলোচনায় যাচ্ছি না) সেটাকে যে আমরা জানান দিয়ে বিচার করছি এতে লাভ কার হচ্ছে? মিলিটারি কোর্ট বলে যে একটা কোর্ট আছে এবং সেখানে যে শুধুমাত্র মিলিটারি পার্সোন্যালদেরই বিচার হতে হয় সেটা নিশ্চই জানেন? গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরকে একটা রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এক্সিকিউট না করতে পারার কারনে সিভিল কোর্টে এনে বিচার করার ঘটনা আপনি আর কোথায় দেখেছেন যেখানে ঘটনাটা দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে ঘটিত এবং মাদার রাষ্ট্রে বিচারটা হচ্ছে? এই যে ঘটনা, বিচারটা করা হলো এর সবচাইতে বড়, মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হলো, বাঙলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে এতে আমাদের লাভ কী হয়েছে? লাভ যদি নাই হয় তাহলে বিচার কেন করা হলো? প্রশ্নগুলোর উত্তর অভিমানী মনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আম্লিগের নৌকো থেকে যুক্তির তীরে নামিয়ে রেখে খুজবেন দয়া করে।
এই বিচার প্রমান করে বাঙলাদেশ এখনও রাষ্ট্র হিসেবে সংগঠিত নয়। এখানে রাষ্ট্র মানে দুটো এনটিটি। ১. আম্লিগের রাষ্ট্র। ২. বিম্পির রাষ্ট্র। এখানে বাঙলাদেশ নামে কোন রাষ্ট্র নেই। বাঙলাদেশ হলো ৪৩ বছর বয়সের পুরোন একটি কিংবদন্তি।
@সাইফুল ইসলাম,
একটা কথা বলি যদি কিছু মনে না করেন? আপনার সাথে কথাবার্তা চালাতে বেশ আতঙ্ক হয়, স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। তবে আপনার এই কথায় আমি শতভাগ একমত। আসলেই সেনা অফিসারদের বিচার সিভিল কোর্টে হতে পারে এটা আমার ধারনার ভেতরে ছিল না।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার মতো করে যে ভাবিনি তা কিন্তু নই। একটা বিশ্লেষন আশা করছি আপনার কাছে। ধরুন অস্ত্রগুলো নির্বিঘ্নে উলফাদের হাতে পৌঁছে গেলো বাংলাদেশের হাত ধরে। তার পরে কি হতো?
@সাইফুল ইসলাম,
মাসুদ রানার ধরনের মৌলিক দেশপ্রেমিক ছেলে মেয়ে কি দেশে নাই নাকি? ওহ আর একটা কথা সাইফুল; রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়টা যে কি এইটা নিয়ে কেউ কিছু বলছে নাকি এখানে? কিছু আপোষহীন মানুষ যে চুপচাপ কখনও কখনও দেশ নিয়ে কাজ করে; ওরা যে কাউরে গুল্লিও মারে না এই সব কথা কেউ বলছে নাকি এইখানে? বলেনা ক্যান? আচ্ছা দশ ট্রাক কি একমাত্র ঘটনা না কি দশ বিশ বত্রিশ ঘটনা অনেক ঘটে? যাগ্গা পাক জনাবে সাইফুলরে বহুদিন পর দেখলাম মনে হয় (C)
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার নাতিদীর্ঘ মূল্যবান মন্তব্যর পর মনে হয়না আর কিছু ভেঙেচুরে ব্যাখ্যা করতে হবে… এর পরও যারা মূল পয়েন্ট ধরতে পারেননি তারা হয় বুঝতেই পারেননি কিংবা বুঝেও তা প্রকাশ করতে চাননি।
সমসাময়িক কালে মুক্তমনা সহ আরও কয়েকটি প্রথম শ্রেণীর ব্লগ নিয়মিত নজরে রাখা হয় – এটা একটা ওপেন সিক্রেট। এই মামলাটি এখনো সাব জুডিস…
ছদ্মনামে ব্লগ লিখে এর পরে কোন কারণে পরিচয় প্রকাশ হওয়া থেকে ওটা আরও ভালো এবং সম্মানজনক যে – এমন সব কিছু যদি লেখতেই হয় নিজের পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ সহকারেই লেখা।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তারা হুকুমের দাস। চাকুরীর শর্ত অনুযায়ী সরকারের নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য। বোঝাই যাচ্ছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সম্মতি ছাড়া এই অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা ঘটে নি। এখন এক সরকারের আমলে নির্দেশ পালন করতে যেয়ে যদি আরেক সরকারের আমলে প্রাণ হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের বেতনভুক সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বভাবতই একটি পরস্পর-বিরোধী অবস্থার সৃষ্টি হবে, আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্রই। এই রায় যে নজীর তৈরি করলো তাতে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজে সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তারা, এমনকি সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত পালনে অনীহা দেখাতে পারেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, দেশের মাটি প্রতিবেশী দেশের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে দিয়ে অতীতে বিএনপি সরকার ভুল করেছে। আমাদের যা ক্ষমতা তাতে নেহায়েত মানবতা-বিরোধী কিছু না হলে অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডে নাক না গলানোই উত্তম। শেখ হাসিনা উলফার অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করে ঠিক কাজই করেছেন। আর কিছু না হলেও এর প্রতিদান হিসেবে অন্তত ভারত বাংলাদেশের কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উত্থানে সহায়তা করবে না। তবে এইধরনের একটি স্পর্শকাতর ঘটনার বিচারে দেশের স্বার্থের কথা সবচেয়ে আগে বিবেচনায় আনতে হবে। কত মামলাই তো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে; এই মামলাটির দ্রুত বিচারে দেশের কি লাভ হয়েছে? আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী সরকার যদি সত্যি নিজেদের করিৎকর্মা হিসেবে দেখাতে যায়, তাহলে বরং বাকী যুদ্ধাপরাধীদের রায় বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করুক!
@মনজুর মুরশেদ,
বিলক্ষ না। কারন যে কোন চাকুরীতেই দায়িত্ত্ব বলে একটা কথা আছে। আপনি এমন কোন কাজ নিজ দায়িত্ত্বে করতে পারেন না যা প্রতিষ্টানটির অস্তিত্ত্বের জন্যে হুমকী হয়ে উঠবে। আর সেক্ষেত্রে যদি ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে কিছু পালিত হয় তখন তার দায় ঊর্ধ্বতনের ঘাড়েই বর্তায়। এখানে মামলার সাথে তৎকালীন প্রদানমন্ত্রীর সম্পৃক্ততা কতোটুকু তা প্রমানীত হয়নি। কুশীলবেরা নিজের দায়িত্ত্বেই তা সমাধা করেছেন বলে আপাতঃ প্রতীয়মান! তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া দায় এড়াতে পারবেন না এটিও সত্যি।
@কেশব কুমার অধিকারী,
প্রশ্ন হচ্ছে সত্যিই কি তারা নিজ দায়িত্বে এই ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছে নাকি কেবল রাজনৈতিক নেতৃ্ত্বের নির্দেশ পালন করেছে? যদি তারা নিজ দায়িত্বে এই কাজ করে থাকে তাহলে শাস্তি যথাযথ হয়েছে না’হলে নয়।
@মনজুর মুরশেদ,
অসাধারন কথা বলেছেন মুর্শেদ ভাই। আমার নিজেরো এটাই মতামত।সামরিক কর্তাদের ব্যাপার জানিনা,তবে তাদের ক্ষেত্রে নিজ দায়ীত্বে কাজ করার কথা না বলেই মনে হয়, তবে বাবর যে নিজ দায়িত্বে কাজটা করেন নি সেটা বলা যায়, যেহেতু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোতে দলের প্রধানের কথাই মোটামুটি ঐশী বানীর মত মেনে চলা হয়।
তবে নিজামীর ব্যাপারে হয়ত প্রশ্নগুলো করার অবকাশ আছে। যেহেতু বি এন পি জামায়াত জোট রাজনৈতিক এবং ভোটের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, সেক্ষেত্রে নিজামীকেও একটা পরিকল্পনাকারী হিসাবে সন্দেহ করা যেতেই পারে তাই না? সাথে অবশ্যই তার মিত্র দলের সরকার প্রধান, আর নিজামীর কথার বাইরে গিয়ে জোট টিকিয়ে রাখা খালেদার পক্ষে সম্ভব ছিল বলে মনে হয় না, আর জোট ভেঙ্গে গেলে রাজনৈতিক ভাবে যে বি এন পি ভাল অসুবিধায় পড়ত সেটা অনুমান করতে পারি; সম্ভবত সে জন্যেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়েও বি এন পি জামাতকে ধরেই বসে আছে। সে ক্ষেত্রে নিজামির কাজটা নিজ দায়িত্বে হয়েছিল এটা বলার অবকাশ আছে।
বেচারা বাবরের ব্যাপারটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না, কারন যতবড় মন্ত্রীই হোন না কেন, নেত্রীর বিরুদ্ধে যাবার ক্ষমতা তার ছিল বলে মনে হয় না। যেখানে খালেদা নির্লিপ্ত ছিলেন কাজেই অনেক প্রশ্নেরই জন্ম হচ্ছে, এটা স্বাভাবিক, এবং এটা যদি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আর তার মিত্রজোটের নেতার পরিকল্পনায় হয়, তবে বাকিদের বিচার করার পাশাপাশি অবশ্যই মাথার বিচার হওয়া খুব জরুরী ছিল। সময় অবশ্য পেরিয়ে যায় নি, কাজেই দেখা যাক যে কি হয় ভবিষ্যতে।
@মনজুর মুরশেদ,
এমন হলে তো দক্ষিণ এশিয়া তথা মহাভারত একটি স্বর্গ ভূমিতে পরিণত হত – বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ রিজিওনাল আন্তরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সার্ক একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেত।
সহমত
সহমত
@সংবাদিকা,
আর কিছু না হলেও এর প্রতিদান হিসেবে অন্তত ভারত বাংলাদেশের কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উত্থানে সহায়তা করবে না………………আন্তর্দেশীয় রাজনীতির কুট-কৌশল আর আমাদের উপমহাদেশের দেশগুলোর বাস্তব অবস্থা মাথায় রেখেই বলছি, এটি আমার বিশ্বাস। এই বিশ্বাস ভবিষ্যতে ভুল প্রমাণিত হতে পারে; তবে যতদিন ভুল প্রমাণিত না হবে ততদিন এই বিশ্বাসে আমি অটুট থাকবো।
@মনজুর মুরশেদ,
অথচ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র খালাস করে খালেদা-নিজামি সরকার ভাল কাজই করেছে, রাষ্ট্রিয় স্বার্থের পরিপূরক কাজ করেছে, কারণ এর মাধ্যমে শত্রু ভারতকে শিক্ষা দেয়া যাবে——এমনটি মন্তব্য করেছেন সাইফুল সাহেব। আবার আপনি সাইফুল সাহেব যা বলেছেন, তার বাইরে কিছু যোগ করার নেই বলে মত দিলেন, মানে, সাইফুল সাহেব ঠিক বলেছেন মনে করছেন আপনি।
এই কারণে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। আপনি পরিষ্কার করে বলুনঃ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের মাটি উলফার অস্ত্রে ভরিয়ে দেয়া আপনি সমর্থন করেন কিনা? যদি না করেন, তাহলে এদের ফাসি একদম ঠিক হয়েছে, বরং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাসির চেয়েও বেশী হলেও দেয়া উচিত ছিল। নীচে ডেইলি স্টারের কিছু লিংক দিয়েছি, দয়া করে পড়ুন, তাহলে জানতে পারবেন, কিভাবে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিজেই অস্ত্র খালাসের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, কিভাবে উলফার নেতার সাজ ধরেছিল, কি নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে দুই পুলিশ অফিসারকে যারা হাতে নাতে ধরে সব পরিকল্পণা ভন্ডুল করে দিয়েছিল!
@কাজি মামুন,
“ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের মাটি উলফার অস্ত্রে ভরিয়ে দেয়া আপনি সমর্থন করেন কিনা?”
করি না। কেবল তখনই এধরনের কাজে আমার সমর্থন থাকবে যখন দেখবো ভারত আমাদের দেশের বিরুদ্ধে একই কাজ করছে।
আমি সাইফুল ইসলামের “ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪ সময়: ৪:৪০ অপরাহ্ণ” মন্তব্যে উপরের বাক্যগুলো খুঁজে পাই নি।
যেখানে সরকারের দু’জন মন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে সেখানে প্রশ্ন থেকেই যায় এই অপরাধের দায়ভার কতটুকু রাজনৈতিক নেতৃত্বের আর কতটুকু সরকারী কর্মকর্তাদের। লিংকগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
@মনজুর মুরশেদ,
সামরিক বাহিনী সব সময় চেইন অব কমান্ড মেনে চলে। সেনা প্রধানকে না জানিয়ে কেউ কিছু করার চেষ্টা করলে তার অবশ্যই কোর্ট মার্শাল হবে। এই আসামাীরা যদি এরকম কিছু করেও থাকে তাহলে সেই ২০০৪ সালেই নিশ্চয়ই তাদের কোর্ট মার্শাল হতো। সে সময় সেনা প্রধান ছিলেন লেঃ জেঃ হাসান মশহুদ চৌধুরী এবং চট্রগ্রামের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জি ও সি ছিলেন মেজর জেনারেল ( পরবর্তীতে লেঃ জেঃ এবং জেনারেল) মঈন ইউ আহমেদ যাকে পরবর্তীতে খালেদা সেনা প্রধান বানান। জেনারেল মঈন ঐ অস্ত্র চালানের সিজার লিস্ট তৈরী তত্ত্বাবধান করেন। তাদের কোর্ট মার্শাল সে সময় না হওয়ায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে , তারা উর্ধ্বতন কম্যান্ডের নির্দেশ পালন করেছিলেন। আর্মি হেড কোয়ার্টার আবার নির্দেশ গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী থেকে যিনি আবার একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এন এস আই সরাসরি নির্দেশ পায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ।২০০৪ সালে সেনা প্রধান অথবা এন এস আই প্রধান যদি খালেদাকে না জানিয়ে এই অঘটনার সাথে যুক্ত হতেন , তাহলে নিশ্চয়ই উনাদেরকে সে সময় কোর্ট মার্শালের আওতায় আনা হত। কিন্তু সেটা ঘটেনি। এই মামলার সাক্ষী হিসেবে যদি তৎকালীন সেনা প্রধান এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জি ও সি কে যথাযথ প্রশ্ন করা হয় তাহলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয় কিন্তু আদালত সেটা করতে ইচ্ছুক নয়।
আমার প্রশ্ন : আজ পর্যন্ত ভারত সরকার কয়জন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার বিচার করেছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সহযোগীতা করার কারণে ? কয়জন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার বিচার হয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি বাহিনী গঠন করে শত শত বাঙালী সিভিলিয়ান এবং সেনা সদস্য হত্যা করার অপরাধে ?
বাই দ্য ওয়ে, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার অবদান রাখায় ১৯৭১ সালে ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল মানেক্শকে পদোন্নোতি দিয়ে ফিল্ড মার্শাল করা হয়েছিল ।
@সংশপ্তক,
‘বুল’স আই'(Y)
@সংশপ্তক ভাই,
ভারতে উলফা’র বিচ্ছিন্ন কৰ্মকান্ডের সাথে বাংলাদেশের গনমানুষের মুক্তির সংগ্রামকে তুলনা করার প্রশ্নটি কি যৌক্তিক হয়েছে? যদি যৌক্তিক হয় তাহলে পাকিস্থানে তালেবানদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগীতা করার কথাও আমাদের বলা উচিৎ, কি বলেন?? (*)
@তারিক,
কেউ কাউকে সহযোগীতা করতে বাধ্য নয়। সহযোগীতার সিদ্ধান্ত সব সময় নিজের। রাস্তার প্রতিটি ভিক্ষুককে কি ভিক্ষা দেয়া সম্ভব ? মানুষ এসব সিদ্ধান্ত নিজের সুবিধা অনুযায়ী নেয়। রাষ্ট্রও ঠিক সেটাই করে।
উলফা আসমের মুক্তিকামী গনমানুষের প্রতিনিধিত্ব করে কি না সেটা বোঝার একমাত্র উপায় আসমে গনভোট দেয়া । ভারত সরকার কি সেটা করবে ? বাঙালীদের নিজের দেশ থাকলে আসমীরা কি অপরাধ করেছে ? বাঙালীরা যেখানে পাঞ্জাবী শাসন মানে নি সেখানে আসমীরা কেন মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী মানবে ? গনভোট দিলেই বোঝা যাবে।
পাকিস্তানী তালেবানেরা পাকিস্তানী সৈন্যদের প্রতিদিন হত্যা করছে। শত্রুর শত্রু না কি বন্ধু হয় ! আমাদের শত্রু পাকিস্তানীদের সাইজ করতে আসুন সবাই তালেবানদের সহায়তা করে আরও বেশী বেশী পাকি সৈন্যদের পরপারে পাঠানোর ব্যবস্থা করি । অভিযোগ আছে যে , ভারতীয়রা এটা আমাদের আগেই শুরু করে দিয়েছে।
@সংশপ্তক ভাই,
ভাই এভাবে চিন্তা করলে তো কোন দেশের অখন্ডতা রক্ষা করাই কঠিন !! প্রত্যেক দেশের বিচ্ছিন্নবাদীরা নিজ নিজ এলাকায় তাদের পপুলারিটি বাড়িয়ে আলাদা আলাদা দেশ গঠনের চিন্তা করবে তখন ঐ সব দেশের অখন্ডতার কি হবে ?? 😕
এখানে বাংলাদেশ-পাকিস্থান বিভক্তির কথা বললে বলতে হবে যে এই দুইটি দেশ কখনোই একসাথে থাকতে পারত না, এরা আলাদা হতোই। শুধুমাত্র ধৰ্মীয় জাতিয়তাবোধের ভিত্তিতে হাজার হাজার মাইল দূরবৰ্তী দুটি ভূখন্ড মিলে একটি রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না আর এছাড়া খচ্চরের সাথে বাঙ্গালীদের বৈশিষ্ঠ্য/স্বভাবজাত বিশাল পাৰ্থক্য-ও এই দুইটি দেশ আলাদা হওয়ার পিছনে উল্লেখযোগ্য কারন!! 🙁
ঠিক আছে। এই মুহুৰ্ত থেকে তালিবানদের পক্ষে কথা বলা শুরু করতেসি। :)) :guli:
@তারিক,
আমাদের এখন বিভেদের সময় নয়। আমরা যদি এখন জামাত শিবির রাজাকারদের ছেড়ে ঘরের লক্ষী সেনা বাহিনীর কাপড় ধরে টান দেই , ক্ষতি আদতে আমাদেরই হবে আর দুর থেকে জামাত শিবির তালি বাজাবে।
যুদ্ধপরাধীদের বিচারে সেনা সমর্থনের প্রয়োজন অপরিসীম কারণ সেনা সমর্থন ছাড়া এই সরকার এক রাতও টিকতে পারবে না এবং বিচারও হবে না। যারা অযথা সেনাদের কাপড় ধরে টান দেয়ার পরামর্শ দেয় তারা বাস্তবিকই আওয়ামী লীগের বন্ধুবেশী শত্রু। তারা ১৯৭৫ এর মত আবারো সেনাদের ক্ষেপিয়ে তুলে মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এ ফাঁদে পা সরকার যেন পা না দেয় । ভারত সরকার ৭৫ এর পট পরিবর্তনের সময় যেমন নিরপেক্ষ ছিল , এবারও তাই থাকবে কারণ খোড়া ঘোড়ায় কেউ বাজী ধরে না। রাজনীতি খুবই জটিল খেলা যেখানে আবেগের স্থান নেই , বিশেষ করে বড় বড় আন্তর্জাতিক মোড়লেরা যেখানে জামাত শিবিরকে সমর্থন দিতে এক পায়ে খাড়া। অতএব সাধু সাবধান !!
@সংশপ্তক ভাই,
সঠিক কথা। সরকার ব্যাপারটা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই মঙ্গল। সরকার যেন বিজয়ের আনন্দে আবার অতীতের মত ভুল না করে এই কামনা করছি। সেনাবাহিনীর চেহারা দেখলে সন্ত্রাসী রা যে কিভাবে এলাকা ছেড়ে পালায় তা আমি প্রমান করতে হয়ত পারব না, তবে আমার ছোট্ট শহরে এটা আমি নিজে চোখে দেখেছি।
কাজেই সিভিল কোর্টে সিভিলদের বিচার করে সেনাসদস্যদের ব্যাপার সেনাবাহিনীর হাতেই ছেড়ে দেয়া খুব দরকার বলেই মনে হচ্ছে।
@সংশপ্তক ভাই,
সহমত।
এই বিষয়টির গুরত্ব বুঝতে পেড়েছি বলেই এই পোস্টের লেখকের সাথে কোন তৰ্কে যাই নাই। আপনি ঠিকই বলেছেন এই সময়ে সেনাবাহিনীকে চটানো কোনভাবেই উচিৎ হবে না।
বাঁকা দৃষ্টিতে দেখা হয়তো সবসময় দোষনীয় নয়। তবে দেশের স্বার্থকে প্রশ্নবিদ্ধকরে দেখাটা আসলেই দোষনীয়। সেই হিসেবে এই লেখাটা কোন দেশ প্রমিকের স্বদেশ প্রেম কেই প্রশ্নবিদ্ধকরবে। সামগ্রীক ভাবে মনে হয়েছে প্রতিহিংসাপরায়নতাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রশ্রয় দেওয়াটা যেনো ফরজ! আপাততঃ লেখিকা কাজি মামুনের প্রশ্নের জবাব গুলো দিলেই লেখিকার মনোভাব প্রস্ফূটিত হবে।
সাংবাদিকা কি একটি বিষয় স্পষ্ট করবেন যে, কি কারনে এই অস্ত্র চোরাচালানে আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা জড়িত হবে এবং তাতে আমাদের তাৎক্ষনিক বা সুদূরপ্রসারী কি লাভ হতো? আজকের প্রথম আলোতে “যে প্রশ্নের জবাব খালেদাকে দিতে হবে” শিরঃনামে প্রাবন্ধিক সোহরাব হাসানের লেখাটি পড়ুন। কিছুটা হলেও বোধের জায়গায় নাড়া দেবেই।
প্রশ্ন হচ্ছে এরকম একটি নোংরা ব্যাপারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কেনো জড়াবে? তাও আবার অন্যের ক্রীড়নক হিসেবে? আর আপনি কিনা সেই বিষয়টিকে যৌক্তিকতা দিতে চাইছেন? বলতে চাইছেন স্বাভাবিক!হালকা?
@কেশব কুমার অধিকারী,
আমি কিন্তু মোটেই – অস্ত্র পাচারে সহায়তা করার বিষয়টি সমর্থন করে লেখা লেখিনি –
আমার পয়েন্ট –
১. এমন ঘটনা ঘটে। এটা আন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের একটি গোপন অধ্যায় – পৃথিবীর সব দেশই কম বেশি এটার সাথে যুক্ত।
২. জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে ইউটপিয়ান নীতির ধার ধারলে – স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঠিকে থাকা যায়না – যথোপযুক্ত কাজের ধার ধারতে হবে কিন্তু একেবারে ইউটোপিয়ান আদর্শে নয়।
দশ ট্রাক অস্ত্র বাঙ্গালের জন্য ভাল না খারাপ সেটায় তর্ক করা যায় কিন্তু তৎকালীন গণতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী খালেদার হুকুম তামিল করায় এন এস আই – এর ডিজি সাহেব সহ ৮ জন সামরিক বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়ে এই বার্তাই দেয়া হয়েছে যে , গণতান্ত্রিক সরকারের হুকুম তামিল করলে ফাঁসি এবং অমান্য করলে চাকরিচ্যুতি ঘটবে। আমার মতে , এই অবস্থা চলতে থাকলে অন্তত আমাদের সামরিক বাহিনী দেশের রাজনৈতিক নেতাদের হাত থেকে সরকারী কর্মকর্তাদের বাঁচাতে যা করার তাই করবে। সরকারী লোকদের চটালে কি হয় সেটা কবরে শায়িত মরহুম জিয়া – মুজিবের চেয়া ভাল কেউ জানে না। সুশীলরা যেমন ৭১ এ সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেনি , তারা মুজিব জিয়াকেও বাঁচাতে পারেনি।
অন্যদিকে , কারও কারও চোখে এই দশ ট্রাক অস্ত্র যেহেতু দেশের নাস্তিকদের মারার জন্য আনা হয় নি সেহেতু অনেক প্রগতিশীল সুশীলের কাছে এই চালান ধরাটাও যে যৌক্তিক নয় সেটাও বলাই বাহুল্য। তবে, অস্ত্র আর টাকা যখন যার হাতে থাকে তখন তার এবং সে অস্ত্র যে কখন কার উপর প্রয়োগ হবে কেউ বলতে পারে না।
লেখকের সব বক্তব্যের সাথে একমত যদিও নই , তবে এই মামলার সমালোচনা তিনি খুবই নরম ভাষায় করেছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এই মামলা যে আত্মঘাতী একটি মামলা সময়ই তা বলে দেবে। এই মামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে যে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে। এক নয় দশ খালেদাকে ফাঁসি দিয়েও এই অপবাদের কালিমা থেকে বাংলাদেশের জনগনের মুক্তি হবে না কোন দিন। বেকুব দেশে কি না হয় !
@সংশপ্তক,
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের মতো দেশের দুটি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্থার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা উল্লিখিত আসামিগণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ও যোগাযোগ রেখে উলফাকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালানের মাধ্যমে আনয়নপূর্বক এই মামলার ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন। এতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহ-অবস্থানের ব্যত্যয় ঘটার আশঙ্কার প্রতি উল্লিখিত আসামিগণ কোনো গুরুত্বই দেননি। তাঁদের এরূপ আচরণে এটাই প্রতীয়মান হয় যে ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অব্যাহত সুসম্পর্ককে বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি নিয়েই উক্ত আসামিগণ উলফা নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।’
আদালত আরও বলেছেন, ‘এই মামলার ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে তাঁরা উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ অন্যান্য আসামির সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মামলার ঘটনা সংঘটনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তা না হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে (বেগম খালেদা জিয়া) পিডব্লিউ-৩৭ মেজর জেনারেল (অব.) সাদিক হাসান রুমি ডিজিএফআইয়ের প্রধান হিসেবে এই মামলাসংক্রান্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকের ঘটনা টেলিফোনে অবহিত করলে তিনি কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ঘটনাটি অবগত আছেন এবং একটি কমিটি করে দেবেন বলে পিডব্লিউ-৩৭-কে জানান। এত বড় একটি ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে কোনোরূপ কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে তৎকালীন সরকারপ্রধানের এরূপ নীরব ভূমিকা পালনও রহস্যজনক বলে প্রতীয়মান হয়। একইভাবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ঘটনার প্রায় এক বছর পর ঘটনাস্থলের চাক্ষুষ সাক্ষী পিডব্লিউ-৯ সার্জেন্ট আলাউদ্দিন ও পিডব্লিউ-১০ সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিনকে অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে তাঁরা আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন।’
এতে বলা হয় ‘দোষ স্বীকারোক্তি প্রদানকারী আসামি এনএসআইয়ের কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্যও বেরিয়ে এসেছে যে তাঁরা আরও কিছু দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে হাজার হাজার ডলার ও আকর্ষণীয় উপহারসামগ্রী গ্রহণ করেছেন এবং উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ অন্য দেশের আতিথেয়তা গ্রহণপূর্বক দেশ-বিদেশে একাধিক গোপন মিটিংয়ে উপস্থিত থেকেছেন। তাঁদের এসব উক্তি থেকে বোঝা যায় যে তাঁরা নিজ দেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে গোটা জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তাই সামরিক-বেসামরিক এসব বিপথগামী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে অবশ্যই তাঁদের কৃত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করাই সমীচীন হবে।’
@হাসান,
ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের মতো দেশের দুটি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্থার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা উল্লিখিত আসামিগণ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। এন এস আই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এবং ডিজি এফ আই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করে থাকে। তারা বিপথগামী নন। নিম্ন আদালত আসামীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে খালেদাকে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডাকেন নি। উচ্চ আদালতের আপীলে এ মামলা ধোপে টিকবে না এক মুহুর্ত।
@সংশপ্তক,
সম্ভবতঃ আপনার তীর্যক সমালোচনা কিছুটা বিভ্রান্ত। একটা বিষয় এখানে মাথায় থাকা জরুরী। সেটা হলো খালেদা জিয়া এ বিষয়টির সাথে ঠিক কখন থেকে জড়িত তা একটা প্রশ্ন। কারন তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশে কার্যতঃ দ্বৈতশাসন ক্রিয়াশীল ছিলো। একটি বঙ্গভবন কেন্দ্রীক অন্যটি হাওয়া ভবন কেন্দ্রীক। বঙ্গভবনের দায়িত্ত্বে ছিলেন খালেদা জিয়া আর হাওয়া ভবনের দায়িত্ত্বে ছিলেন তারেক রহমান। ক্ষমতার ভাসাম্য এবং এর ব্যাপ্তি এখানে একটি নিয়ামক। মূল চক্রান্ত সম্ভবতঃ পাকি ভূমি (আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র) থেকে উত্থিত। এবং এই চক্রান্তটি আমাদের দেশের বিরুদ্ধেও নয়। তাহলে আমরা সেখানে জড়িত হতে যাবো কেন? সর্বোপরি এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিরও পরিপন্থী। তারপরে যেটা বললেন,
সেটা আরো ভয়াবহ! আপনি কি মনে করেন যে বিশ্বসম্প্রদায় চোখ বন্ধকরে বসে আছে? আমি মনে করি এ বিচারকার্যটি যথাযথ এবং যারা এর পেছনে জড়িত তারা বুঝে হোক বা না বুঝে হোক (!)সম্পূর্ন রাষ্ট্রদ্রোহ বা রাষ্ট্রের অসামান্য ক্ষতির সাথে যুক্ত ছিলেন। বরং এই আইনী প্রকৃয়া বরং আমাদের প্রশাসনিক অবকাঠামোতে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির ভাবমূর্তির অধিকতর স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করবে। আরোও একটি ইঙ্গিত এখানে বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছুবে সেটা হলো এই ধরনের চক্রান্তের ক্ষেত্রে বহির্বিশ্ব বাংলাদেশ কে ভবিষ্যতে জড়াবার আগে একবার অন্ততঃ ভাববে।
@কেশব কুমার অধিকারী,
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কোন গেজেটে ‘হাওয়া ভবন’ নামের কোন অস্তিত্ব নেই। খালেদা সে সময় কেবল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না , তিনি ছিলেন প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এতদসংক্রান্ত সকল দায় দায়িত্ব অতএব খালেদার উপরই বর্তায়। এছাড়া চীনা নরিনকোয় যে এন্ড ইউজার সনদ সরবরাহ করা হয় , সে সনদে কে সাক্ষর করেছে সেটাও জানা প্রয়োজন।এন্ড ইউজার সনদ ব্যতীত কোন অস্ত্র চীনা বন্দর ত্যাগ করবেনা। বর্তমান সরকার এই বিষয়টা চীনাদের না চটানোর জন্য ধামাচাপা দিয়েছে বলেই মনে হয়। একই সাথে খালেদাকে মামলার আসামী করেনি মামলায় রাজনৈতিক রং লেগে যাবে বলে।
মোটেও নয় । বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এটা পুরোপুরি সমর্থন করে। প্যালেস্টাইনীদের অস্ত্র সহ ট্রেনিং প্রতিটি বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ থেকে এখন পর্য়ন্ত দিয়েছে এবং দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘকাল দিয়েছে। ত্রিপুরার টি এন ভি -কে সমর্থন দেয়া হয়েছে আশির দশকে। এর কারণ বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে পরিষ্কার লেখা আছে :
২৫।খ ) uphold the right of every people freely to determine and build up its own social, economic and political system by ways and means of its own free choice; and
২৫।গ) support oppressed peoples throughout the world waging a just struggle against imperialism, colonialism or racialism.
যাহোক , বিচারের বিষয়টা গোপনেই সমাধান করা যেন এত ঢাকঢোল না পিটিয়ে। আর্মিতে তো কত কিছুই হয় , বিচারও হয় কিন্তু কতজন মানুষ সেসবের খবর রাখে ?
@সংশপ্তক,
সহমত – এটা একটা খারাপ উদাহরণ হিসেবে থাকল। এজন্যই আমি বলেছি –
বিএনপি প্রথমে এর থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেবার চেষ্টা করে বিরোধীদলকে ফাঁসাতে চেয়েছিল – এখন আওয়ামীলীগও একই কাজ করছে তবে যা করতে যেয়ে রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে ফেলছে। এই অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ ভাবেই বলা যায় – বহিঃশত্রুর আক্রমণে এই দুটি রাজনৈতিক দলও অত্যন্ত নীচ আচরণ করবে – হয়ত দেখা যাবে আক্রমণের সময়কার বিরোধীদল “নিরপেক্ষ” থেকে সরকার দলকে দোষারোপ করবে আর সরকারী দল উক্ত বহিঃ আক্রমণের জন্য বিরোধীদলকে দোষারোপ করবে।
আমার কাছেও নির্মোহই মনে হচ্ছে – আসলে বলা ভালো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষ নিয়েই এই লেখায় বলা হয়েছে। তাছাড়া, লেখক তো বলেছেনই –
@ইমরান খান,
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@আসাদ,
হ্যাঁ ভাই,অতি অবশ্যই নির্মোহ লেখা।এবং আপনি এই নির্মোহ লেখার অব্যাক্ত ভাবটুকু ধরতে পেরেছেন এটা মোটেই কোন এক্সিডেন্ড ছিল না,এটা ছিল র এর …।
নির্মোহ লেখা। আমার কাছে মনে হয়েছে, লেখক ফ্যাক্টটা তুলে ধরেছেন।
সহজ-সরলভাবে কিছু জিনিস আমি বুঝতে পারিনা, এই অস্ত্রগুলো পুর্বভারতে চলে গেলে আমাদের রাষ্ট্রের কি বিরাট ক্ষতি হয়ে যেত? কিংবা এই অস্ত্রগুলো ধরা পড়েই আমাদের কি বিশেষ কিছু ক্ষতি হয়েছে? ব্যাপারটাকে আমাদের জাতীয়-হুমকিসরুপ কিংবা যেভাবে গর্হিত, অমার্জনীয় ও গুরুপাপ হিসেবে বিবেচনা করা হল, ঘটনাকি আসলেই এতটা গুরুত্বের দাবি রাখে?
আর এই চালান সম্পর্কে এনএসআই, ডিজিএফআই বা আইএসআই যখন অবাগত কিনবা জড়িত থাকে তখন “র” কি আঙ্গুল চুষে? আমি বুঝিনা, দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ও পলিসি মেকাররা এই সামান্য কাজটাও ঠিকমত করতে পারলনা কেন? পোর্টে ধরা পড়ার ঘটনা কি সত্যিই এক্সিডেন্ট, নাকি র-এর জয়?
@আসাদ,
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
আমারও প্রশ্ন…
র এর কারণে হোক কিংবা দৈব উপায়ই হোক – বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ উভয়ই এটা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেবার চেষ্টা করছে – দেশের দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি করেছে।
আসাম, মিজোরাম সহ সেভেন সিস্টারসের রাজ্য গুল কেউই শাসন করতে পারেনি। মুঘলরাও পারে নি, ভারতও পারছে না,তাদের কে (ভারত) জরুরি অবস্থা জারি রেখে সেখানে প্রশাসনিক কাজ কর্ম চালাতে হয়। একটা ব্যাপার চিন্তা করুন , আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যদি আমরা হেরে যেতাম তাহলে কি হত? বঙ্গবন্ধু সহ আ’লিগের নেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হত, যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় ভারতও পাকিস্তানের চাপে পরে নিজ দেশের সামরিক কর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করত …… আসলে এরকমই কিছু একটা ঘটেছে বলে মনে হয় এই দশ ট্রাক মামলা নিয়ে …………
@ফয়সাল,
সহমত (Y)
লেখিকা কি বলতে চাচ্ছেন, এই সমস্ত হালকা অস্ত্র দিয়ে পর্যাপ্ত সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি সম্ভব নয়? এসএমজি বা অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে বুলেটপিছু একজন মানুষের জীবন নেয়া সম্ভব নয়? গ্রেনেড দিয়ে একসাথে একাধিক হতাহত করা সম্ভব নয়? আরপিজি হালকা যান ধ্বংসে সক্ষম নয়?
উলফা একটি গেরিলা বাহিনী। সুতরাং এই সমস্ত হালকা অস্ত্রই তাদের ব্যাবহার করার কথা। তারা পাহাড় বা জঙ্গল এলাকায় অপারেট করে। তাদের বিরুদ্ধে ট্যাংক, এপিসি বা ভারী হেলিকপটার গানশিপ ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। তাই আরপিজি’র বিধ্বংসী ক্ষমতাই তাদের জন্য যথেষ্ট যা দিয়ে হালকা জীপ, ট্রান্সপোর্ট ট্রাক বা হালকা হেলিকপ্টার ধ্বংস করা যায়।
প্রায় ১৪০০ এসএমজি, ১৫০ টি আরপিজি লঞ্চার তার সাথে ৯৮০ টা আরপিজি, ২৫০০০ গ্রেনেড, ২০০০ গ্রেনেড লঞ্চার এবং ১১ লক্ষ রাউন্ড গুলি, এগুলো কিভাবে আপনার কাছে দুধভাত মনে হয় আমি কিছুতেই বুঝতে পারলাম না।
@এনালিস্ট,
লেখক 🙂
সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে এসব অস্ত্র লাগেনা – বড় রামদা, বাঁশ, লাঠি, পেট্রল ককটেল ই যথেষ্ট- আমরা ২০১৩ সালেই দেখেছি। সাথে ইম্প্রোভাইসড বোমা এবং ওটার সাথে আত্মঘাতী হামলা করতে ইচ্ছুক কোন মানব সন্তান পেলে তো আর কথাই নেই – একেবারে ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিস্ট হওয়া যায়।
পরিমাণ যাইহোক – সামরিক দিক দিয়ে এসব হালকা অস্ত্রের ক্যাটাগরিতেই পরে।
@সংবাদিকা, ইয়ে মানে আর পি জি হালকা অস্ত্র? এই জিনিস দিয়ে হেলিকপ্টার ফেলা যায় না?ভাল ধারনা নেই আমার!
@অর্ফিউস,
আপনার কি কোন ধারনা আছে আপনার একটা কথা বলার জন্য চোদ্দটা মন্তব্য করাটা কোন পর্যায়ের বিরক্তিকর একটা জিনিস? কিছু কিছু মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে আপনার বয়স কম না। চুল দাঁড়ি পাকায়া সাদা করলেন এখনও পোলাপানি অভ্যাস গেলো না কেন? একটা মন্তব্য করার আগে দরকার হলে দশ হাজারবার ভাববেন। আপনার একার জন্য সবাইকে বিরক্ত করবেন সেটা তো হবে না। এইটা ফেইসবুক না। ধুনফুন করবেন না, আপনার আল্লা রাসূলের দোহাই।
@সাইফুল ইসলাম,
চুলদাড়ি পাকেনি। সামনে এপ্রিল মাসে ৩২ হবে বয়স। অবশ্য এই বয়সেও অনেকের চুলদাড়ি পেকে যায় 🙂
আমার অভ্যাস পোলাপানী? এই কথা বলার ভিত্তিটা কি আপনার? এইগুলা কি ব্লগে চিল্লাফাল্লা করার চেয়েও ( যেটা আপনি প্রায়শ করে থাকেন বলে নিজেই দাবী করেন) বেশি পোলাপানী? মনে হয় না।
যা হোক মুক্ত মনা মডারেটর ছাড়া আমি কাউকে কোন কৈফিয়ত দিতে রাজী না বা বাধ্য না। কাজেই আপনার এই এই প্রশ্নের জবাব আমি দিলাম না।
আপনার মত মহাপুরুষ তো আর সবাই না যে ভুল করবে না। আচ্ছা যদি বিরক্তির কারনই হয়ে থাকে তবে আপনার কেন বিরক্ত বোধ হচ্ছে যেখানে মন্তব্য আপনার উদ্দেশ্য করা হয়নি? একটা কথা টাপ করতে গেলে টাইপো হতেই পারে, তাই না? এতে বিরক্ত হলে সিম্পলি মন্তব্য পড়বেন না।
মন্তব্য বেশি করা মুক্ত মনা নীতিবিরোধী হলে সেটা মডারেটররা জানিয়ে দিবেন, সেখানে আমি আরো সতর্ক থাকব। আপনি মডারেটর প্যানেলে থাকলে সেটা বলেন, আমি মেনে নেব, চিল্লাফাল্লা করার কোন দরকার নেই, কারন আপনি যতই বিরাট কিছু হন বা ভাবেন নিজেকে আমি আপনার কোন কথাকেই আমল দিতে রাজী নই সেটা যদি জাজমেন্টাল হয়।
তার দরকার দেখি না। এতবার ভাবতে হবে কেন বলতে পারেন? আপনার ব্লগে আমি কোন মন্তব্য করলে তখন বলবেন।
আপনার বিরক্তির কথাটাই শুধু আপনি বলতে পারেন। আর অন্যদের টা না হয় অন্যদের উপরেই ছেড়ে দিন।
জি জনাব জানি সেটা। ফেসবুকে আমি আসলে যাই না, আপনি নিজেই সেখানে সময় কাটান বেশি বলেই মনে হয়।
ধুনফুন জিনিসটা কি? বুঝিয়ে বলা যাবে কি? নাকি এটা আপনার কোন কবিতার ভাষা?
আল্লাহ রসুল যদিও আমার না, তবু যখন দোহাই দিলেন কাজেই আর কথা বাড়ালাম না।
তবে আপনি যদি ক্রমাগত উপদেশ বর্ষন করতেই থাকেন, আর জাজমেন্টাল মন্তব্য করতেই থাকেন, তবে আপনার ধুনফুন না কি যেন সেটা আরো অনেক বেশি পর্যায়ে চলে যাবে। শুনেন আমি কিন্তু অনেকটা আপনার মতই, যেটা পাই সেটাই কড়ায় গন্ডায় ফেরত দিতে পারি। আপনার পুরনো সঙ্গীসাথীদের মত অতি সভ্য লোক আমি না। আমি জাজমেন্টাল মন্তব্য খুবই অপছন্দ করি, আপনাকে এটা পরিষ্কার জানিয়ে দিলাম।
@অর্ফিউস,
যেকোন সিঙ্গেল পারসন ক্যারিড এবং অপারেটেড অস্ত্রকে বলা হচ্ছে স্মল আর্মস। তবে কয়েকটা স্মল আর্মসের নমুনা দেইঃ
১) AA-12 ৫০ রাউন্ড ড্রাম ম্যাগাজিনের একটি ১২ গেজি অটোমেটিক শটগান (ভিডিও দেখুন)
২) M32 (৪০ মিঃমিঃ) সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (ভিডিও দেখুন)
৩) NTW-20 একটি এন্টি মাটেরিয়াল রাইফেল যা দিয়ে ২০ মিঃমিঃ ক্যানন শেল ফায়ার করা হয় (ভিডিও দেখুন)
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি আসলে স্মল আর্মসকে একেবারে দুধ-ভাতের দলে ফেলা যায় না।
আরপিজি দিয়ে অ্যাপাচি, অ্যালিগেটর, টাইগার, ভাইপার এসমস্ত আর্মার্ড হেলিকপ্টার গানশিপ ফেলা সম্ভব না। কিন্তু ব্ল্যাক হক বা এর ভ্যারিয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট হেলিকপ্টার খুব সহজে ঘায়েল করা যায়, যদিও আরপিজি এরিয়াল ব্যাবহারের জন্য তৈরি অস্ত্র নয়। এটা মূলতঃ এন্টি ট্যাঙ্ক (কিছু ক্ষেত্র এন্টি পারসনাল) ওয়েপন। এন্টি ভেহিকল ওয়েপনকে স্মল আর্মস বলার কোনই কারণ নেই। লেখক তর্ক করতে পারেন কিন্তু তাহলে তথ্য নিয়ে তর্ক করবেন আশা করি।
এবার আসি প্রসঙ্গে, ছবিতে যেই আরপিজি দেখা যাচ্ছে তা হলো Type-69 (RPG-7 ভ্যারিয়েন্ট)। আর যেই রকেট রাউন্ড দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে 69-iii 85mm HEAT (High-Explosive Anti-Tank) যা প্রায় ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত আর্মার ভেদ করতে সক্ষম। অর্থাৎ অর্জুন বাদে ভারতের আর সমস্ত ট্যাংক বা আর্মার্ড ভেহিকল এর ধ্বংস ক্ষমতার নাগালে। ট্র্যাকে হিট করতে পারলে অর্জুনকেও ঘায়েল করা সম্ভব। আর তারা যেহেতু এখনো অ্যাপাচি বুঝে পায়নি, তাদের হেলিকপ্টারও এর আয়ত্বেই থাকছে
@এনালিস্ট,
ঠিক মত এবং প্রশিক্ষিত হাতের ব্যাবহারে “সুঁই” ও মারণাস্ত্রে পরিণত হতে পারে।
আগের মন্তব্যর সুর ধরেই বলি – উপযুক্ত ক্ষেত্রে এবং সময়ে – স্নাইপার রাইফেল দিয়ে আর্মাড পিয়ার্সিং বুলেট এর সাহায্য আপনার উল্লেখিত উপরোক্ত যান গুলো ভূপাতিত করা খুবই সম্ভব।
আপনি যেসব যুক্তি দিয়েছেন – আপনি ওসবের সমর্থনে একটি ট্রিটিজ লিখে ফেলেন কেননা এসব যারা আগে কম্পার্টমেন্টালাইজ করেছেন তারাও আপনার-আমার মত মানুষ। আপনারটা যদি সুধী মহলে গৃহীত হয় তাহলে আপনারও লাভ “বিখ্যাত” হয়ে যাবেন – আমরাও গর্ব করতে পারব একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ পেলে। উপরে একজনকে এই প্রস্তাব দিয়েছি – আপনাকেও দিলাম।
অফটপিক – এই সামান্য বিষয় নিয়ে তর্ক করার কি আছে !!! আমি সচেতন ভাবেই আর্ফিউসের এই সম্পর্কিত প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়েছি কেননা এটা সামান্য সাধারণ তথ্যগত প্রশ্ন। গুগলে দুটি ক্লিক মারলেই তো পরিষ্কার হইয়ে যাবে!!! মুক্তমনাতে কষ্ট করে লগ ইন করে বাংলা লেখার চেয়ে গুগলে সার্চ দেওয়া অনেক সহজ। নাকি ব্লগ জগতের ক্লাসিক্যাল “রিভার্স প্লে”???
আর যদি এর পরেও তা ইচ্ছা না হয় – দুটো লিঙ্ক দিচ্ছি – আশা করি ডাউন লোড করে পড়বেন। বিভিন্ন দেশের জাতীয় সেনাবাহিনীর গুলো দিলামনা – ইউএন স্ট্যান্ডার্ড টাই দিলাম।
A Diplomat’s Guide to the UN Small Arms Process – Sarah Parker and Marcus Wilson
Surveying the Battlefield – ILLICIT ARMS IN AFGHANISTAN, IRAQ, AND SOMALIA
এখানে কেউ মনে হয় না আপনাকে মতি রাজাকারের পক্ষের লোক বলবে, এমনকি কোন ১২ বছরের বাচ্চাও না, যেহেতু আপনার পক্ষ আগেই চিহ্নিত হয়ে আছে। আর তাছাড়াও মতির ফাঁসী অন্যভাবে আবার হবে, চিন্তা করবেন না, অবশ্য বড়হুজুর ( গোলাম আজম) যেমন মাফ পেয়েছেন, ছোট হুজুর মাফ পেলেও আমি বিস্মিত হব না।
আইন কানুন ভাল বুঝি না। অস্ত্র মামলায় ফাঁসী দেয়া দেশের আইনে আছে কিনা তাও আগে জানতাম না। তবে উলফার মত একটা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সরাসরি গনহত্যার কাজে অস্ত্র সাপালি দেয়ার শাস্তি কতটা মানবিক হতে পারে, সেটার বিচার আর করলাম না।
তবে খালেদা জিয়ার ফাঁসীর ব্যাপারে আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই আর তা হল, আপনার কথায় স্পষ্ট যে বিচারের রায় উদ্দেশ্য মুলক, আর রাজনৈতিক বিদ্বেষ প্রসূত;এটা আপনি রাজনীতিবিদ দের মত সোজা সুজি না বলে একটু ঘুরিয়ে বললেন এই আর কি।
না হলে তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলেই যে নিজামী বাবরের সব খবর ( এমনকি টয়লেট করার টাইম টেবিলও) রাখতে হবে, তবে আমার কিছু বলার নেই। আর সেক্ষেত্রে প্রতিদিনের খুনখারাবী যা দলীয় লোক জন করছেন সেজন্য দুই নেত্রীকে পর্যায়ক্রমে বার বার ফাঁসী দেয়া যেতে পারে কি মনে হয়? সমস্যা হল যে একজন লোককে একবারই ফাঁসী দেয়া যায়, তাই আপনার এই যুক্তি একেবারেই অচল।
আরো অনেক অনেক কিছু বলা যায়, কিন্তু তার আর দরকার নেই। খামোখা আপনার তালগাছ তলায় এসে বিশেষণের বিষ্ঠা ( গর্ধভ রাগিণী ইত্যাদি ইত্যাদি!) ঘাঁটার কোন ইচ্ছা নাই আমার।
@অর্ফিউস,
আমিতো বললাম – এটাকে সমর্থন করার কিছু নেই; যেমন নেই পৃথিবীর সব দেশের গোয়েন্দা কার্যক্রম। নিজামির ব্যাপারটা আপনাকে চুলকানি দিচ্ছে বোঝা যাচ্ছে – এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হল সে যে কাজে দোষী তাকে ঐ কাজের জন্যই শাস্তি পেতে হবে – অন্য কিছুতে নয়। নিজামি যুদ্ধ অপরাধে অভিযুক্ত – অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি তাঁর প্রাপ্য। যদি রুল অফ ল ই নিশ্চিত করা না যায় তাহলে আদালতের দরকার কি – রাজপথে ছেড়ে দেওয়া হোক – আমজনতাই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবে……
@সংবাদিকা,
একটু চুলকানি তো হতেই পারে তাই না? নিজামীকে হুজুর মানলে অবশ্য চুলকানই হবার কথা না।
শীর্ষ নীতি নির্ধারক আরও থাকতে পারে। তবে বাবর আর নিজামি কি শীর্ষ নীতি নির্ধারক ছিল না ?
@গীতা দাস,
তৎকালীন সরকারের যে চেহারা ছিল (এবং এখনো) সেই অনুযায়ী – মোটেও না। এই ব্যাপারে তো না ইইই…… অনেকেই এতার সাথে পাকিস্তানে সম্পর্ক খুঁজছেন – তবে এটা মূলত চাইনিজ গেম – ভারতের বিভিন্ন গেমের বিপরীতে।
ভাল কথা। এতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বার্থ কি ছিল,বাংলাদেশ এর ফলে কিভাবে উপকৃত হতো,বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিরাপত্তা তাতে কিভাবে রক্ষিত হতো, তা একটু বিস্তারিত বললে ভাল হয়।
আমিও নিশ্চিত –২০০১ এ দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানের ব্যাপারে চীনের কর্তাব্যক্তিরাও এতটা আশা করেনি – হয়ত মনে মনে হেসেছে – আশে-পাশের দেশে অবিবেচক তাঁবেদার কেউ থাকলে অনেক সুবিধা হয়!!!
এখানে ভারতের সামরিক শক্তি এবং বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যান্ত জরুরি।বর্তমানে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে ভারতের অবস্থান টপ ফোরে।আম্রিকা,রাশিয়া, চীনের পরেই ভারত।এরকম শক্তির একটা দেশে দায়িত্ব নিয়ে মাত্র দশ ট্রাক অস্ত্র ঢুকিয়ে(যেটা আবার সানজু.চাণক্য খেলা মাত্র) দেওয়া সুঁই দিয়ে গুতা দেওয়ার মত।যারা দায়িত্ব নিয়ে এই সুকর্মটি! করেছিল তাদের বোঝা উচিত ছিল এই সুঁই এর গুতার রিটার্ন ফলাফল হিসেবে যখন ইয়া বড় বড় বাঁশ আসবে তখন তা সামলানোর ক্ষমতা তাদের আছে কিনা!কাঠি যদি দিতেই হয় তাহলে আগে পিছু ভেবেই দেওয়া উচিত।
ভারতকে আজন্ম বন্ধু ভাবার কোন কারণ নেই।ভারতের সাথে আমাদের শত্রূতা হবে ভারত এবং বাংলাদেশের কমন ইস্যু নিয়ে।যেমন সীমান্তে মানুষ হত্যা বা পানির নায্য পাওনা এসব নিয়ে।সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে বিএসএফের প্রতি যুদ্ধাংদেহী মনোভাব কিংবা চরম ব্যাবস্থাও গ্রহন করা যেতে পারে।কিন্তু তাই বলে সম্পূর্ণ শত্রূরাষ্ট্রের মত আচরণ করে অন্য রাষ্ট্রটি ভাঙার চেষ্টার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা বোকামী,যেখানে অন্য রাষ্ট্রটা আমাদের তিন দিক থেকে ঘিরে আছে।এক মিয়ানমারের সাথে মাত্র ১২৮ কিমি সীমান্ত যেখানে মিয়ানমারও আবার আমাদের দৃষ্টিতে বন্ধু রাষ্ট্র না।নিজেদের ভৌগলিক অবস্থান,সামর্থ,শক্তি এসব বিবেচনায় নিয়েই রাষ্ট্রের রোল বা কৌশল ঠিক করা উচিত,শুধুমাত্র বিশেষ জোশে বলিয়ান হয়ে নয়।
ভারতের যা সামরিক শক্তি তাতে ভারত রাষ্ট্র যদি নিজে না চায় তাহলে কারও পক্ষে সম্ভব হবে না উলফার স্বপ্নকে সফল করে দেওয়া।এই ব্যাপারটা বাংলাদেশের বোঝা উচিত ছিল।আম আর দুধ ঠিকই এক হয়ে যাবে মাঝখান থেকে আঁটি চলে যাবে বাগানে।
সৈরশাসিত চীনের জন্য এটা সঠিক হলেও বাংলাদেশের জন্য তা আদিখ্যেতা ছাড়া কিছুই নয়।এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই যে চীনের অস্ত্র বাংলাদেশ, ভারতের ভিতরে ঢুকিয়ে দেবে আর ভারতীয়রা একদমই বুঝতে পারবে না যে এতে বাংলাদেশ জড়িত ছিল।
সৈরশাসিত চীন ও আইএসআই এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ লাভবান হবে না,বরং তাতে ক্ষতিই হবে।
@প্রাক্তন আঁধারে,
এটা আরেকটি ব্যাপার – অনেক দীর্ঘ এবং সময়ের ব্যাপার। তাছাড়া এই নোটটির মূল বিষয় ওটা নয়। মূল বিষয় হল “প্রকাশ্য” “মামলা” এবং “বিচার”।
আমিতো আলোচনাই করলাম…… ভারত কি করত??? আমাদের দেশে তারা কি করছে ওরা ভালই জানে। এটাকে কিভাবে কাভারআপ করতে হত – ওটা ছিল সরকার, সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রধান রাজনৈতিক দলের অবশ্যক দায়িত্ব – কেননা এটা ন্যাশনাল সিকুড়িটি ইস্যু। কিন্তু দুঃখজনক- আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এখানেও দলীও স্বার্থ দেখেছে!!
আসিফ নজরুল, পিয়াস করিমরা বাংলাদেশে একটি নতুন ভাষা রীতির জন্ম দিয়েছেন, সে ভাষাটি ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘তবে’, ‘হয়তো’ ইত্যাদি দিয়ে মোড়া এবং ভাষাটির মূল বৈশিষ্ট্য হল, ভয়ানক কনফিউজিং, উদাহরণস্বরুপঃ রাজাকারের বিচারকার্যকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পরে ক্যামোফ্লেজ করা হবে “চাই তো, কিন্তু এইভাবে না, অন্যভাবে” এই সব অনুবাক্য দিয়ে, শেষমেষ, ঐ বুদ্ধিজীবিগণ ‘রাজাকারের বিচার’-এর দায়িত্ব বিএনপির হাতেই ন্যাস্ত করে দায়িত্ব সাড়বেন।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই লেখাটা জুড়ে সদ্য প্রসুত ভাষারীতির তীব্র ছড়াছড়ি। লেখাটিতে অনেকগুলি ‘যদি’ ব্যবহার করা হয়েছে, যেউ কেউ খেয়াল করলে দেখতে পাবেন। আর এই যদির প্রয়োগে খুব সুকৌশলে দশ ট্রাক অস্ত্র আনার কাজটিকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, একেবারে খাটি আসিফ-পিয়াসি কৌশল যাকে বলে!!!
এই প্রশ্ন পাঠকদের করছেন কেন? বাংলাদেশে দশ ট্রাক অস্ত্র ঢোকার বিষয়টি যদি খারাপ মনে করেন, তাহলে বলুন, আর ভাল মনে করলে তাও বলুন, যুক্তি সহকারে! আসিফ-পিয়াসি কৌশল পরিহার করুন, দয়া করে!
স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে হালকা বা এর গৌরবকে খাটো করার জন্য এভাবেই বলে, দোসর বিএনপির অনেক নেতা-কর্মি-সমর্থকও এভাবেই ভাবতে ভালবাসে। সরাসরি উত্তর দিনঃ আমেরিকা বা সোভিয়েত রাশিয়ার উপমহাদেশীয় এজেন্ট পাকিস্তান বা ভারতের কনফ্লিক্টের জন্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল???? বাংলাদেশের স্বাধীনতা তাদের মধ্যকার কনফ্লিক্টের ফসল?? দয়া করে আসিফ-পিয়াসি কৌশলে এড়িয়ে যাবেন না!
মানে, দশ ট্রাক অস্ত্র বাংলাদেশে ঢোকার বিষয়টিও আপনার চোখে “প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরোধীদের সহায়তা প্রদান’ জনিত “খুবই স্বাভাবিক এবং” এবং “রাষ্ট্রের স্বার্থে” ঘটা ঘটনা???? “হয়ত” যোগ করে দয়া করে আসিফ-পিয়াসি কৌশলের আশ্রয় নেবেন না, দয়া করে, আমাদের জানাবেন, আসলেই আপনার চোখে তাই কিনা। আর যদি তাই হয়, তাহলে আরও ‘জানাবেন’ কেন খুবই স্বাভাবিক আর কেন আমাদের রাষ্ট্রের স্বার্থ এখানে জড়িত।
আবারও কৌশল! বলতে চেয়েছিলেন দরকারী। কিন্তু আশ্রয় নিলেন ‘সুপ্রাচীন’ এর। আর সুপ্রাচীন হলেই কি বৈধ হয়ে যায়????? বলাৎকার তো একটি সুপ্রাচীণ কর্মকান্ড, আর তাই অতি প্রয়োজনীয়, কি বলেন?
স্টাডিগুলি প্লিজ শেয়ার করেন। কেন দশ ট্রাকের অস্ত্রের সাথে সেগুলো সাযুজ্যপূর্ণ, তাও উল্লেখ করতে ভুইলেন না, প্লিজ! যদি শেয়ার করেন, তাহলে আসিফ-পিয়াসি কৌশল থেকেও বের হয়ে আসতে পারবে লেখাটা নিঃসন্দেহে!
আপনি বারবার বলছেন, পলিসি মেকারকে ধরা উচিত, এজন্য গোয়েন্দা কর্তাদের শিশু বানিয়ে ফেললেন, আবার নিজামীকে ধরা ঠিক হয়নি বলেও বলছেন, আপনি আসলে কি বলতে চাইছেন, বলুন তো????? নিজামি কি পলিসি মেকার নয়? বিএনপি সরকারে থাক বা বিরোধী দলে থাক, জামাত যে কতটা প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে দলটির পলিসি মেকিংয়ে, তা তো সবাই দেখেছে। মানে, আপনার যদি কিন্তুর লেখাটা পড়ে কেউ ভাবতে পারেন, আপনি খালেদা জিয়ার ফাসি চাইছেন, মানে, কেন খালেদা জিয়াকে ফাসি না দিয়ে ছোটদের ফাসি দেয়া হচ্ছে!!! ভাবখানা এমন! কিন্তু আসলে যে আপনি খালেদা জিয়া সহ পুরো টিমকেই বাচাতে চাইছেন, যে কেউ লেখাটা একটু ভাল করে পড়লেই বুঝতে পারবে, কারণ আপনি বারবার ‘যদি’ ‘কিন্তু’ ‘হতে পারে’ দিয়ে বলতে চেয়েছেন, এই অস্ত্র খালাস আসলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বার্থেই করা হয়েছিল। অথচ ভাব দেখাচ্ছেন, খালেদাকে বাদ নীচের সারির লোকরা কেন! একেবারে, আসিফ-পিয়াসি কৌশল!
এমনিতে তো পশ্চিমাদের ধুয়ে ফেলেন, এখন পশ্চিমারা আপনার প্রিয় দলকে সাহায্য করছে, তাই এটি খুব সহী?? দেখেন, আমরা কিন্তু কোন প্রকার পশ্চিমা সাহায্য কামনা করি না সিরিয়ায়! আমাদের কথা হল, সিরিয়াকে যদি লিবারেইট করতেই হয়, তা করবে সিরিয়ার জনগন, পশ্চিমাদের নতুন কোন স্পেস দেয়ার বিন্দুমাত্র দরকার নাই!
তাহলে সব হাল্কা???????? মানে, ঘটনাকে হাল্কা করতেই এ লেখার সুত্রপাত???
কিভাবে নিশ্চিত হলেন??? ইইপসি আয়ত্ত করেছেন, তা বলেননি তো! ভারত হেসেছে কিনা জানিনা, তবে আমরা কিন্তু এই ঘটনা পুরো জেনে ভয়ানভাবে শংকিত হয়েছি, এই ভেবে যে, পাকি তাবেদারির কোন পর্যায় অতিক্রম করলে, দশ ট্রাক অস্ত্র খালাস করা হয় রাষ্ট্রিয় মদদে, দায়িত্বরত পুলিশকে নির্যাতন করা হয় দায়িত্ব পালনের জন্য, স্বয়ং গোয়েন্দা কর্তাব্যাক্তি খালাসস্থলে উলফা সাজ ধারণ করে, আর সর্বশেষ, শিক্ষিত ও সচেতন সাংবাদিকবৃন্দের চোখে তা হয়ে যায় অতি হাল্কা ও রাষ্ট্রিয় স্বার্থে ঘটা ঘটনা!!!!
@কাজি মামুন,
মামুন ভাই, পিয়াস কে জানি না আমি, তবে আসিফ কি আসিফ মহিউদ্দিন? সেক্ষেত্রে উনার কৌশল পিঠ বাচিয়ে পিছলে যেতে খুব সাহায্য করে। উনার একটা লেখায় আমাকে করা মন্তব্যে বলেছিলেন যে, আধুনিক নারীবাদ হাজার বছরের দেনা পাওনা শোধ করার জন্য নারীপুরুষের সমানাধিকারের চেয়েও নাকি কিছু বেশি জিনিস দাবী করে।
জিনিসটা কি সেটা আমি দুবার ( একবার বোল্ড করে) জিজ্ঞেস করেও কোন উত্তর পাই নি, অথচ উনি এসেছিলেন।
অন্য পোষ্টের মন্তব্য টেনে আনার জন্য দুঃখিত, তবে পিছলে যাওয়ার উদাহরন দিতে এটা করতে হল। এখানে লেখকও ঠিক পিছলে যাবার জন্যই এই রাস্তা ধরেছেন বলেই আমার মনে হয়।
সরি আসিফ বলতে যে আসিফ নজরুল কে বুঝিয়েছেন দেখি নাই ভাল করে। যাক কাজেই মন্তব্যে কি বলেছি ভুলে যান।
তবে লেখকের লেখাইয় যদি, কিন্তু, হয়ত ইত্যাদির প্রয়োগ যে আসলে পিঠ বাচানো এই কথাটা বহাল থাকছে।
@অর্ফিউস,
মুক্তমনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ –কমেন্টে ডিলিট অপশনটি না রাখার জন্য – এতে অনেকের আসল উদ্দেশ্য নগ্ন হইয়ে পরে এবং হাতে নাতে ধরা খায়। যারা করে এক, বলে আরেক এবং হৃদয়ে বিশ্বাস করে অন্য আরেক, তারা কোন না কোন সময় একটু ভুল করবেই – মন্তব্যর মাধ্যমে কিংবা ছবি প্রকাশ করে। 😀
@সংবাদিকা, সব কিছুর মধ্যেই উদ্দেশ্য খুজলে তো ঝামেলা রে ভাই । কমেন্ট ডিলিট না করাই ভাল, কারন এতে কথা ফেরানোর জন্য আরেক মন্তব্য করতে হয়, যেটা আসলে দুঃখ প্রকাশ করা।
এইটা যেহেতু আসিফ নজরুল তাহলে ব্যাপারটা কিন্তু পিঠ বাঁচানোর চেয়েও খারাপ হয়ে যায় তাই না? এককালে জাহানারা ইমামের এত বিশ্বাসের পাত্র হয়েও যে এখন পুরো ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেছেন ওই ভদ্রলোক, এতে মনে হয় আর বিশেষ কিছু বলা লাগে না সুবিধা বাদী উপমা দেয়া ছাড়া। পিঠ যে কেউ বাঁচাতেই পারে, তাতে তেমন দোষের কিছু নেই, কিন্তু সুবিধাবাদ জিনিসটা বড়ই সাংঘাতিক। বরবাদ মজহারও একই জিনিস আর কি। :))
ভাল কথা আপনি এটা দিয়ে কি বুঝিয়েছেন? আমাকেই বুঝিয়েছেন কি? ব্যাখা করুন।
মন্তব্য দেখতে আমার ভুল হইসিল কারন শুক্রবার বলেই একটু ঘুমাছিলাম ওই সময়ে,আর মুক্ত মনা ঘুম চোখেই ওপেন করেছিলাম, এটাকে নিশ্চয়ই আপনি অস্ত্র চোরাচালানের ক্রাইমের সাথে তুলনা করছেন না? 😉
@অর্ফিউস,
বিতর্ক শিক্ষার একেবারে অ-আ-ক-খ হচ্ছে একই বিষয়ে পক্ষে এবং বিপক্ষে বক্তব্য প্রদান করার দক্ষতা অর্জন করতে শেখা – এসব আসলে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বিতর্ক শিক্ষার একটি অন্যতম ধাপ –স্কুলকলেজ ভার্সিটির বিভিন্ন ক্লাবে এটা করা হয় – যেখানে “নিজ বিশ্বাস” বিষয়টি উহ্য রেখে “বিতর্ক করতে পারাটা” শেখানো হয়, যেন কোন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কাজে লাগানো যায়। যেমন – বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষ-বিপক্ষ লটারি করে নির্বাচন করা হয় কোন দল পক্ষে বলবে কোন দল বিপক্ষে বলবে – আসলে এসব তো কেবল প্রতিযোগিতা। 🙂
তবে সমস্যা হল – এর প্রয়োগ যদি বাস্তব জীবনে কেউ করতে যায় এবং তা প্রকাশ হয়ে যায় তাহলে উক্ত ঘটনা হিপোক্রসি হিসেবে সবাই চিহ্নিত করে। 😀
যদিও এই মন্তব্য আমার উদ্দেশ্য নয় – তবে এটাতে বাম হাত ঢুকানোর লোভ সামলাতে পারলাম না 😉
@সংবাদিকা,
এইটা কি আমাকে উদ্দেশ্য করেই করলেন নাকি আমি যার রেফারেন্স দিয়েছি তার উদ্দেশ্যে? ওই বিতর্কে কিন্তু আপনি সাথেই ছিলেন, আর আমার অবস্থান কিন্তু আগের মতই আছে।
এইবার ডান হাতটাও ঢুকিয়ে ফেলেন। তালি বাজাতে দুই হাতের দরকার আছে 😀
তবে যাই বলেন সংবাদিকা, আপনার সাথে আমার অনেক মতের মিল হয়, আবার তারচেয়েও বেশি বিরোধিতাও হয়, তবে আপনার সাথে আলোচনাটা আমি বেশ উপভোগ করি 🙂
@অর্ফিউস,
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@কাজি মামুন,
আসিফ নজরুল এবং পিয়াস করিমরা নয়… এটা সুপ্রাচীন ভাষা রীতি। আমার মনে হয়, আসিফ নজরুল এবং পিয়াস করীম এটা (রিজনিং) ভালই করতে পারেন – আমার তো মনে হয় “অ্যামোং দ্যা ব্যাস্ট ইন দি কান্ট্রি”. আমিতো কেবল চেষ্টা করেছি – যদিও আমি কোনই কঙ্কলুশন দিতেই চাইনি – ওটা পাঠকের উপর।
যদি রিজনিং করার আর কোন রীতি জানা থাকে – তাহলে একটা ট্রিটিজ লেখে ফেলুন এ নিয়ে “ডিসকোর্স অন নোভাম মেথড অফ রিজনিং……” নাম দিয়ে – নতুন রীতির জন্য – তাতে সারা পৃথিবীর জ্ঞানের জগতের এক অশেষ উপকার হবে সেই সাথে বাঙালি হিসেবে আমরাও অনে গর্ব অনুভব করব।
সেই সঙ্গে ইফ, সুড, উড, কুড ইত্যাদি ইত্যাদির বদলে নতুন কোন শব্দ দিয়ে নিউলগিজমের মাধ্যমে ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।
আমিতো কোন কঙ্কলুসনেই পৌছিনি। এটা একটা রিলেটিভ ব্যাপার। ভালও-খারাপ দুটিই… আসলে উদ্দেশ্যটিই মূল – এজন্যই পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছি – পাঠক যদি ভারতীয় এক রকম, বাংলাদেশী হলে আরেক রকম এবং তৃতীয় কোন দেশ হলে ভিন্নরকম ভাবনা…
আমি এখানে একাডেমিক আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আলোচনা করার আগে আমি এটা ধরে নিয়েছি, যে, এই লেখাটি হাইস্কুলের কোন কিশোর পড়বেননা। তাছাড়া – পাবলিক পারসন হিসেবে কোন বক্তব্যও আমি রাখছিনা।
তাই আমি আলোচনায় কতগুলো ফ্যাক্টর বাদ দিয়েছি। এখানে আমি “গৌরব” মোটেও খারাপ করিনি। আমার বক্তব্য আপনি বোঝেননি কিংবা বুঝেও ব্যাপারটা বিশেষ উদ্দেশ্য অন্যদিকে নেবার চেষ্টা করছেন। যেমন তেব্র আওয়ামী সমর্থক বিশেষত ছালীগিরা হৃদয়ে সর্বদা ধারণ এবং লালন করে থাকে – “ আওয়ামীলীগ করলে মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের শক্তি এমনকি রাজাকার হলেও; আর আওয়ামীলীগ না করলে নব্য রজাকার এমনকি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও”।
যেকোন ধরণের গোয়েন্দা কর্মকান্ড – মৌলিক ভাবেই একটি অবৈধ ব্যাপার।
এখানে আপনি ইচ্ছা করে কনটেক্স এর বাহিরে চলে গেলেন এবং পুরাই ফ্যালাসিয়াস একটি উদাহরণ দিয়ে!!! আমি আরও নিচে যেয়ে এটার জবাব দিতে পারতাম – কিন্তু এটার জবাব দিয়ে লাভটা কি!!!
এটা এই লেখার স্কোপের বাহিরে – আপনার যদি আগ্রহ থাকে আপনি দেখুন। শুধু কয়েকটি হিন্টস দেই – মালয়, চীন, ইরান, কলাম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, পাকিস্তান, ভারত এমনকি বাংলাদেশ – সাথে আরও শত শত। আশাকরি পড়বেন।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক অরগানোগ্রাম, সামরিক কমান্ড স্ট্রাকচার এবং ওয়ারেন্ট অফ প্রিসিডেন্স কিংবা চেইন অফ কমান্ড – ইত্যাদি নিয়ে আরেকটু ঘাঁটাঘাঁটি করুন। আপনি নিজেই বুঝত পারবেন।
আমি কাউকেই বাচাতে চাইনি। আমি রাষ্ট্রের ব্যাপার বলতে চেয়েছি – কোন দল কিংবা
সরকারের নয়। আমি এটাও বলেছি – বিএনপিও তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগকে সাথে একই কাজ করেছে।
আমিতো বলেছি আমার পুরো আলচনাতি ক্লীব – কোন পক্ষই নেই নি – কতগুলো নিপাট ফ্যাক্ট বলেছি। পশচিচিমাদের গুনগান আমি গাইনি – তাদের স্বার্থ কষ্ট বেনেফিট রেসিও অতিক্রম করেনি এজন্য সিরিয়াতে তারা সরাসরি কিছুই করেনি। এই নোটের প্রথম কথাই ঘুরে ফিরে চলে আসে।
আপনার এই মন্তব্য সবচাইতে হাস্যকর!!! কোন আর্মসকে কিভাবে কম্পার্টমেন্টালাইজ কিংবা ক্যাটাগরাইজ করা হয় – একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখুন।
এটা আপনার মতামত।
@সংবাদিকা,
আর এটাই হচ্ছে নব আবিষ্কৃত আসিফ-পিয়াসি ধারা, তারা কোন কঙ্কুলুশন দেন না, শুধু যদি, কিন্তু, অথবা, হতে পারে দিয়ে প্যাচান, ধোয়াশা করেন বা বলা ভাল বিভ্রান্ত করেন। এই ধারাটি যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জানিক মানের হয়নি, স্বচ্ছ হয়নি ইত্যাদি বলবে, কিন্তু কিভাবে করলে স্বচ্ছ হবে, তা বলবে না। কিভাবে ৪০ বছর ধরে না হওয়া বিচারটার সুরাহা হবে, তা বলবে না। সবচেয়ে হাস্যকর হল, বিচারের ভারটি এরা বিএনপি-জামাতের হাতেই ন্যাস্ত করবে।
তাহলে নীচের কথাটি দিয়ে কি বুঝিয়েছিলেন, যেখানে “সবসময় খারাপ?” এমন প্রশ্ন রেখেছেন?
আপনি নিজামি, গোয়েন্দাদের যে বাচাতে চান, তা তো লেখাতে সরাসরিই বলেছেন। তবে খালেদা জিয়াকে ধরার কথা বলে ক্যামোফ্লেজ করতে চেয়েছেন, আসলে খালেদা ও তো দায়ী না, কারণ এ দশ ট্রাক অস্ত্র খালাসের ঘটনাটা রাষ্ট্রিয় স্বার্থে ঘটা ঘটনা, আপনি তাই বলেছেন, নীচের উদ্ধৃতি থেকে তা প্রমানিতঃ
@কাজি মামুন,
আসিফ নজরুল কিংবা পিয়াস করিম এর লেখা ছাড়া আপনি মনে হয় আর কারও লেখা, রিজনিং কিংবা রেটোরিক পড়েননি কিংবা ইচ্ছা করেই আর্গুমেন্ট দাড় করাবার একটা চেস্টা করছেন যা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ফ্যালাসি হয়ে যাচ্ছে…
হয়ত আসিফ নজরুলের ধারালো রেটোরিক গুলো আপনার শরীরে হুলের মত বিঁধে – আপনার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার মনে হয় আপনি রেটোরিক কিংবা রিজনিং হিসেবে চটি পিয়ালের লেখা গুলোকেই স্টান্ডার্ড মানেন – চটি পিয়ালের অশ্রাব্য গালাগাল পূর্ন লেখাই যে আপনার কাছে ম্যাগনাম ওপাস এবং তা যে ফলো করেন ওটার প্রমাণ উপরেই আপনি দিয়েছেন।
আপনি লিখেছেন –
ওটা তো বাশার আল আসাদের কাছে খারাপ কাজই।
ঐ যায়গায় যদি শেখ সেলিম কিংবা মোফাজ্জল মায়াও থাকতো একই কথাই বলতাম।