কথায় আছে যে, কুকুরের লেজ নাকি কোনদিন সোজা হয় না। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে হেরে, এবং দশম জাতীয় সংসদ বর্জন করার পরে বি এন পি এখন খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বলেই মনে হয়। কিন্তু ভুল থেকে যে তারা শিক্ষা নিতে রাজী নয় তার প্রমান আবার বি এন পি দিয়ে দিল।
বি এন পি আবারো প্রমান করল যে এরা কোনদিন শোধরাবে না। না হলে বি এন পির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এমনটা কেন বলবেন যে জামায়াত আছে এবং থাকবে
কিছুদিন আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে জামায়াতের সাথে জোট কোন স্থায়ী জোট নয়। অথচ এখন বি এন পির পক্ষ থেকে আসল আরেক ধরনের কথা। সাঈদি রাজাকারের ফাঁসীর রায়ের সময় থেকেই বি এন পির রহস্যময় নিরবতা তথা পরোক্ষ ভাবে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোটা দেশের সচেতন মানুষদের মধ্যে বি এন পির অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল, এবার প্রত্যক্ষ ভাবে এই কথা বি এন পির পক্ষ থেকে বলে আসলে বি এন পি প্রত্যক্ষ ভাবেই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিল।
এইবার উদার গনতন্ত্র মনাদেরকে একটা বিনীত প্রশ্ন করতে চাই যে, যদি বাংলাদেশের অনেক মানুষ রা মনে করে যে, যুদ্ধাপরাধী তথা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে হলে আমরা যেকোন বিকল্প গ্রহন করতে রাজী আছি, সেক্ষেত্রে তাদেরকে কতটা দোষ দেয়া যায়? যদি নির্বাচন মানেই হয় শুধু আওয়ামী লীগ আর বি এন পি, তবে এটাও কতখানি গনতন্ত্র মনা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ থেকেই যায়। যদি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী তে আওয়ামী লীগ আর বি এন পি অংশ নিত, কিন্তু অন্য কোন দল, যেমন জাতীয় পার্টি অংশ না নিত, তবু কি এটা নিয়ে এত সমালচনা হত? মনে হয় না, কারন যেহেতু আওয়ামী লীগ আর বি এন পি ছাড়া আমরা মনে প্রানে আসলেই আর ৩য় বিকল্প চাই বলে মনে হয় না, যদিও মুখে ৩য় বিকল্প বলে ফেনা তুলে ফেলি।
আর তাছাড়া ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন কে কি আসলেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে ফেলা যায়? যেখানে ১৯৯৬ সালে মুলধারার কোন রাজনৈতিক দল, এমনকি তাদের বর্তমান সবচেয়ে বড় মিত্র জামাত পর্যন্ত অংশ নেয় নি, অথচ ৫ জানুয়ারী ২০১৪ এ জাতীয় পার্টি অংশ নিয়েছে।
কিভাবে কি কৌশল করে জাতীইয় পার্টি কে নির্বাচনে আনানো গেছে, সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নিয়েছে, এবং এখন তারা প্রধান বিরোধী দল হিসাবে সংসদে আছে। জাতীয় পার্টি কে একেবারে তুচ্ছ চাচ্ছিল্য না করলেও চলতে পারে, কারন একক বা জোটবদ্ধ প্রত্যেক নির্বাচনেই জাতীয় পার্টি বেশ ভালই আসন পেয়েছে; হয়ত সেটি লীগ বা বি এন পির ধারে কাছে নয়, কারন যেহেতু জাতীয় পার্টি এখনও শক্তিশালী ৩য় পক্ষ হিসাবে আবির্ভুত হতে পারেনি। কিন্তু এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, একদিনেই কেউ বড় হয় না।
তবে যদি ২ দল তত্বেই আমরা বিশ্বাস করি, সেখানে আর বিশেষ কিছু বলার থাকে না। তবে একটি দল অংশ না নিলেও যদি অগনতান্ত্রিক হয়, তবে কেন বি এন পি আর জাতীয় পার্টি কে সমান ট্রিটমেন্ট দেয়া হবে না?
আর এরশাদের স্বৈরাচার নিয়ে যারা খুবই খড়গহস্ত, তাঁদের সবিনয়ে জানিয়ে দিতে চাই যে, বি এন পির জন্মও কিন্তু একই উপায়ে হয়েছে।
সেখানে বি এন পি বেশি ভোট পায়, এইসব যুক্তি খুব বেশি খাটে না এই জন্যেই যে, জার্মানীতে নাৎসি পার্টিও জনতার সমর্থনেই ক্ষমতায় এসেছিল। পরের ইতিহাস আমাদের কারোরই অজানা নয়।
যাহোক নিচে পুর্ববর্তী প্রতিটি নির্বাচনে ৩য় শক্তি হিসাবে জাতীয় পার্টির ভোট এবং আসন প্রাপ্তি
১৯৯১ সালের নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ফলাফলঃ লিঙ্ক
বি এন পি ৩০.৮ % ভোট, এবং ১৪০ আসন
আওয়ামী লীগ ৩০.১ শতাংশ ভোট এবং ৮৮ আসন
জাতীয় পার্টি ১১.৯ % ভোট এবং ৩৫ টি আসন ,
জামায়াতে ইসলামী ১২.১% ভোট এবং ১৮ টি আসন
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন সমস্ত বিরোধী দল বয়কট করেছিল বি এন পির বর্তমান রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত ইসলামী সহ।বি এন পি ভোট প্রাপ্তির হার ১০০ শতাংশ, এবং ৩০০ আসন। লিঙ্ক
১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ফলাফলঃ লিঙ্ক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩৭.৪ % ভোট এবং ১৪৬ আসন
বি এন পি ৩৩ .৬ % ভোট এবং ১১৬ আসন
জাতীয় পার্টি ১৬.৪% ভোট এবং ৩২ আসন
জামায়াতের ইসলামী ৮.৬ % ভোট এবং ৩ আসন
২০০১ সালের নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ফলাফলঃ- লিঙ্ক
চারদলীয় জোটঃ ( প্রধান দুই মিত্রের ফলাফল)
বি এন পি ৪১.৪০ % ভোট এবং ১৯৩ আসন
জামায়াত ইসলামী ৪.২৮ % ভোট এবং ১৭ আসন
বাকিদের ফলাফলঃ
আওয়ামী লীগ ৪০.০২ % ভোট এবং ৬২ আসন
জাতীয় পার্টি( এরশাদ) ৭.২২ % ভোট এবং ১৪ আসন
২০০৮ সালের নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ফলাফলঃ-লিঙ্ক
মহাজোট ( প্রধান দুই মিত্রের ফলাফল)ঃ
আওয়ামী লীগ ৪৯.০% ভোট এবং ২৩০ আসন
জাতীয় পার্টি ৭% ভোট এবং ২৭ আসন
চারদলীয় জোটঃ ( প্রধান দুই মিত্রের ফলাফল)
বি এন পি ৩৩.২ % ভোট এবং ৩০ আসন
জামায়াত ইসলামী ৪.৬ % ভোট এবং ২ আসন
২০১৪ সালের ভোটের ২০০৮ সালের প্রধান বিরোধী দল বি এন পি নির্বাচন বয়কট করে।লিঙ্ক
এখানে দেখা যায় যে বি এন পি আর জামায়াতের ভোটের চেয়েও প্রতিবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ , জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের( ইসলামিক গুলো বাদে) মোট ভোট বরাবরি বি এন পির ও তার মিত্রদের মোট ভোটের চেয়ে বেশি থেকেছে। সেখানে কি দেশের সিংহভাগ জনতাও এমনকি বড় না, শুধু বি এন পির বা জামাতের বা তাদের জোটের সমর্থকরাই আসল?
আমরা দেখতে পাচ্ছি যে জাতীয় পার্টি একক বা জোট বদ্ধ নির্বাচনে একেবারে খারাপ ফল করেনি। অন্তত সেই বিচারে ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কি পুরোপুরি ভাবে ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রিয়ারির মানের ভোট বলা যায় কিনা সেটা আমার জানা নেই।
তবে ২০১৪ সালে ভোটের আগে আমরা দেখেছি যে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু সেটার ব্যাপারে কোনপ্রকার আগ্রহ না দেখিয়ে বিরোধী দল বি এন পি নির্বাচন ঠিক করার নামে যেভাবে হরতাল আর অবরোধ দিয়ে দেশকে অচল করে দিয়েছিল, সেটা আমরা যারা বাংলাদেশে থাকা ভুক্ত ভোগী তারা জানি।
অথচ এই তথাকথিত অবৈধ নির্বাচন বাতিলের জন্য এখন বি এন পির কোন সাড়া নেই কেন? এখন তারা যদি অহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে, তবে ভোটের আগে কেন গনতান্ত্রিক অধিকারের নামে জালাও পোড়াও শুরু করেছিল ? এটা কিসের গনতান্ত্রিক অধিকার?
আগে অহিংস পদ্ধতি গ্রহন করাটা কি খুবই অগনতান্ত্রিক ছিল? গণতন্ত্রকে বেদ জ্ঞানে পুজারী সব প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছেই বিনীত প্রশ্ন রাখছি।
মানুষ পোড়ানো, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করা এবং প্রতিবারের মত ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের খুন, ধর্ষণ, সম্পদে অগ্নিসংযোগ করে এবং বাড়ি ছাড়া করে কি প্রমান দিচ্ছে?
মানবাধিকারের লঙ্ঘন যারা ( সে যেই হোক না কেন) এইরকম ভাবে করে থাকে তাদের রাজনীতি করার আদৌ কোন অধিকার থাকা উচিত কিনা সে নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলছি।
সবশেষে বি এন পি প্রমান করে দিল যে তারা জামাতের পাশেই আছে, এমন সময়ে প্রমান করে দিল, যখন, কিনা সারাদেশে ৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বি এন পি কি এই ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে আসলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষই নিল না এবার প্রত্যক্ষ ভাবে? জাতির বিবেকের কাছে আজ এটা একটা বিরাট প্রশ্ন হয় দাঁড়িয়েছে বলেই মনে হয়।
এখনো সরকারের পক্ষ থেকে বি এন পি কে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে যে আদালতের রায়ে নিবন্ধন করতে না পারা জামায়ত কে বাদ দিয়ে নতুন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে, কিন্তু এই সময়ে নি এন পির এই একগুঁয়ে স্বভাব, আর প্রত্যক্ষ ভাবে জামাতের পাশে এসে দাড়ানোর হটকারী সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কতটা ভাল ফলাফল বয়ে আনবে? নাকি সব দায় ভার শুধুই আওয়ামী লীগের একার?
আর ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এটা ঠিক, কিন্তু বি এন পি অংশ নিলেই এটা হত না। বাকি আসন গুলোতে নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে প্রায় ৪০ % ভোট পড়েছে
অবশ্য যদি আওয়ামী লীগ এবং বি এন পি এই দুই দলের একদল অংশ না নিলে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যায়, ( দুই দল তত্ব আর তাছাড়াও বি এন পির অংশগ্রহনের জন্য সরকার কম সচেষ্ট ছিল বলেও মনে হয় না, এখনো সচেষ্ট আছে বলেই মনে হয়) তবে বুঝা লাগবে যে আমরা গনতন্ত্র বলতে শুধু দুই দলীয় গণতন্ত্র বুঝে থাকি এবং সেক্ষেত্রে এটাও বুঝতে হবে যে আমরা নিজেরা যত বড় বড় কথা বলি না কেন, নিজেরাই আমরা এখনো ৩য় বিকল্প শক্তির জন্য তৈরী নই।
কারন আমরা জাতীয় পার্টিকে গোনার মধ্যে ধরছি না, অথচ তারা আজ প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভুত হয়েছে বি এন পির নির্বাচন বর্জনের কারনে, এবং অতীতেও মোটামুটি ভালই জনসমর্থন ও আসন পেয়েছে।
এখানে কিছু জাতীয়তাবাদের সমর্থক ব্লগার ( নিজেদের মধ্যে ও কিছু অতিথিকে উত্তর দেয়ার সময়ে বলেছিলেন যে যুদ্ধের মধ্যে নাকি মানবতা মানবতা করে কান্না করা হচ্ছে) ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে বি এন পি জামাতের সহিংসতাকে নির্বাচক ঠিক করার মেকানিজম বলেছিলেন, সেটা কোন মানবিক কথা ছিল না, অথচ আজ যদি মানবাধিকার রক্ষার্থে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ( ২০০১ সালের শিক্ষা নিয়ে), এবং সর্বোপরি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয়তাবাদী সুশীলদের কথার পপ্রতি উত্তরে ভিন্ন মতাবলম্বীরা মতামত দেন যে, তাঁরা এইসবের জন্য সব ধরনের সমঝোতা করতে রাজী আছেন, সেখানে তাঁদের কতটা দোষ দেয়া যায়?
মানবতার খাতিরে সাময়িক ভাবে অনেক কিছু সমঝোতা করতে রাজী হওয়াটা( অনেক মানুষ করেছেন যে চিন্তা) কতটা অপরাধ আর ধ্বংসাত্বক চিন্তা হতে পারে এই বিচার করার আগে ,
ইলেকশন মেকানিজম ঠিক করার নামে গনহত্যার প্রতক্ষ সাফাই গাওয়াটা ( জাতীয়তাবাদী সুশীল রা যেটা করেছেন) কোন মানবিক আচরন হতে পারে কিনা, সেই প্রশ্ন প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কাছে রেখে গেলাম, এবং আগে সেইটা নিয়ে ভাবতে বা কাঁটাছেড়া করার বিনীত অনুরোধ করে গেলাম।
ভালোই কইছেন!
জাতীয় পার্টি অংশ নিয়েছে, নাকি র্যাব দিয়ে মেরে ফেলা বা বিদেশ পাঠিয়ে দেয়ার হুমকির কারণে অংশ নিছে?
ভাই, আপনার মত মুক্তমনা মানুষের কিন্তু আওয়ামী ট্যাগ মানায়না।
এ ধরণের পোস্টের বিপদ হল অনেকেই চোখ বুজে লেখককে আওয়ামীলীগার বলে আখ্যায়িত করা শুরু করে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদেরকে তোষণ করছে। জিয়াউর রহমান এদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি পুনর্বাসন করেছে, বিএনপি রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে-এতোকিছুর বিপরীতে আওয়ামীলীগের ৯৬ এ জামায়াতের সাথে যুথবদ্ধ আন্দোলনের রেফারেন্স দিয়ে দুই দলকে সমান কালপ্রিট হিসেবে উপস্থাপন করতেইই হবে।নাহলে নিরপেক্ষতা থাকবে না-এরকম একটা ব্যাপার দাঁড়িয়ে গেছে এখন।
এনিওয়ে, ভাল লেগেছে লেখাটা।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
এটাই হল চরম দুর্ভাগ্য এবং হতাশার বিষয়। আপনার মত কিছু লোক যে আসল ব্যাপারটা অনুভব করছেন এজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাই।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্যের জন্যে। (F)
আওয়ামী পোস্ট।
বিএনপি তো সব সময়ই প্রত্যক্ষভাবে জামাতের সাথে থাকে।
@তামান্না ঝুমু,
সেতো বটেই। তবে যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু, গনজাগরণ মঞ্চ,এই সবের সময় বি এন পি নিরব ছিল। আশা হয়েছিল যে যেহেতু লীগ কাজটা শুরু করেছে, বি এন পি আর যাই হোক চুপ করেই থাকবে ( যেটা পরোক্ষ সমর্থন)। তার পরে আবার খালেদার বক্তব্য বেশ আশা জাগিয়েছিল। আর এইবার বি এন পির প্রকাশ্যে বলাটাই সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে। মানসিক শান্তিও কিন্তু একটা বড় শান্তি, এবার সেইটাও গেল, অফিসিয়ালী বি এন পির ঘোষনার মাধ্যমে।তার মানে দেশের বিশাল জনসমর্থন প্রাপ্ত একটা দল সরাসরি খুনীদের সাথেই থাকবেই বলেই ঘোষনা দিল। তার মানে কি? মানে ক্ষমতায় আসলে রাজাকারদের বিচার যে করবে না বি এন পি এটা সোজা বলে দিল।এর পরেও কেন চাইব না যে লীগই ক্ষমতায় থাক মরন বাড় বেড়ে উঠার আগ পর্যন্ত্য? চিন্তায় আমার ভুল আছে, স্বীকার করি, কিন্তু এই দেশের জন্য কোনটা সঠিক, সেটা তো আর কেউ বুকে হাত দিয়ে বলে দিতে পারবে না, তাই না ম্যাডাম?
আর তাছাড়াও জামাত মানেই তো আর রাজাকার সবাই না। রাজাকার দের সোজা করে এর পরে ঐযে কিছু পরিবর্তন করে যদি চলতে পারে, তবে কি আর করবেন বলেন? আদিল ভাইয়ের কথার সুত্র ধরেই বলি যে ৫/৬ % তো আর পাকিস্তানে চলে যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্তত যুধাপরাধীদের মন্ত্রী হতে দেখার হাত থেকে তো বাঁচতাম। এখানেও বলে রাখি, চিন্তা ভাবনা আমার কতটা বাস্তব সম্মত জানি না। তবে আমি মারাত্বক আতংকে আছি, কারন আমি দেশের ভিতরেই বাস করি।প্রবাসে থাকলে হয়ত অতোটা চিন্তা করতাম না, এটা ঠিক যে বাবা মা, ভাই বোন সহ সবাই হয়ত দেশেই থাকতো, কিন্তু যদি এমন দিন আসে যে বেঁচে থাকাই মুখ্য কাজ তখন মনে হয় নিজে আগে বেঁচে পরে বাপের নাম করবে। এটা কিন্তু অতিবাস্তবকথা আপনি জানেন । পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকেন।
@অর্ফিউস,
এটা যেমন ঠিক একই ভাবে এটাও ঠিক, জামাত মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অস্বীকার করা, জামাত মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে পাঁচ বছর পর পর যে নির্বাচন এবং তারপর হিন্দু বধের উৎসব শুরু হয়, এই অমানবিক জিনিস বন্ধ করতেই হবে, যে কোন মুল্যে।
জানি না সেটা এই দেশের কতটা সম্ভব, যে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মুখোশের আড়ালে আসলে চর্চা করা হয় চরম সাম্প্রদায়িকতার, আর ফলাফল হয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য নির্দোষ মানুষগুলোর মৃত্যু সহ আরো অনেক ধরনের চরম ক্ষতি। ধন্যবাদ।
অর্ফি ভাই,জামাত বিম্পি ঐক্য ভাঙার নয়।অনেকে আশা করেন বিম্পি বিদেশী চাপে বা বিভিন্ন কারণে জামাতকে ত্যাগ করবে।জামাতকে ত্যাগে বিম্পির ভোট বেড়ে যাবে এমন ভাবনাও জাগে।তবে ব্যাপারটা বেশ জটিল।গোড়া থেকে ভাবতে হবে।আমরা কেন চাই যে বিম্পি জামাতকে ত্যাগ করুক?কারণ জামাত যুদ্ধাপরাধী।কিন্তু অধিকাংশ বিম্পি সমর্থক ও বেশীরভাগ বিম্পি নেতা কি যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি চায়?সঠিকভাবে খোজ খরব নিলে দেখবেন তারা চায় না।অর্থাৎ আমারা যে কারণে জামাতকে বর্জনীয় বলে মনেকরি,অধিকাংশ বিম্পি নেতা বা সমর্থক কিন্তু ঠিক সেকারণে জামাতকে বর্জনীয় বলে মনেকরে না।এটাই হলো সমস্যা।আমারা যেটাকে জামাতের দোষ বলে মনেকরি সেটা তাদের কাছে দোষের কিছু না।বিম্পি একমাত্র তখনি জামাতকে ত্যাগ করবে যদি বিম্পি দেখে যে জামাত আম্লিগ এর সাথে কোন জোট তৈরি করছে।খালেদা জিয়া বা বিম্পি জামাতকে যে কারণে কিছুটা রিক্সি বলে মনেকরে তা হল জামাতের আম্লিগের সাথে জোট করার ভয় থেকে।আমরা জামাতের যে দোষটা নিয়ে কান্নাকাটি সেটা নিয়ে বিম্পি জামাত একমত।একারণে বিম্পি জামাতকে নিয়ে কোন নৈতিক অনুশোচনায় ভোগে না,বরং জামাত সঙ্গে আছে, এই ধরণের সমালোচনার ভয় পায় এবং কিছু ক্ষেত্রে জামাতকে হারোনোর ভয় পায়।তাই জামাত ত্যাগের আপাত কোন সম্ভাবনা নেই।এক্ষেত্রে বিম্পি নেতাদের চিন্তা তাদের দৃষ্টিকোন থেকে সঠিক। আর শুধু বিম্পি জামাত না সাঈদীর মত যুদ্ধাপরাধীর ফাসি কিন্তু দেশের অর্ধেকের বেশী মানুষও চায় না।
আর একটি বিষয় আপনি বলেছিলেন যেটা আলোচনায় আসে নি।
একদম সত্য কথা বলেছেন।আমরা জনগণ যে শুধু একে ওকে গালাগালি দিয়েই পার যায়।এসব ক্ষেত্রে কিন্তু জগগণও তাদের দায় এড়াতে পারে না।
আর রোমানটিক দের রোম্যানটিকতা বা তুচ্ছতাচ্ছিল করা চলতেই থাকবে এগুলোকে হজম করেই চলেতে হবে,তাতে বরং ভালই হবে।
@প্রাক্তন আঁধারে, পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি বলতে কি জানেন, খালেদা জিয়া যে বলেছিলেন যে বি এন পি জামাতের জোট নাকি স্থায়ী নয়, তখন একটা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম যে সত্যি হয়ত বি এন পি লাইনে আসবে। মুক্তি যোদ্ধা চিরকাল মুক্তি যোদ্ধা নাও থাকতে পারে, তবে রাজাকার চিরকাল রাজাকারই থাকবে এটা আমিও মানি। তবে যেখানে বি এন পি তে অনেক মুক্তি যোদ্ধা আছেন, আর সবার যে একসাথে পচন ধরবে এটা মানতে কষ্ট হয়। যেখানে আমাদের দেশে পরিবার তন্ত্রই আসল কথা, সেখানে অবশ্য নেত্রীর উপরে কথাও চলে না। আবার কেউ বি এন পি ভেঙ্গে নতুন দলও গড়েছিলেন। কিন্তু পরে হলটা কি? আবার বি এন পির আঁচল তলেই চলে এসেছেন।এতে সন্দেহ হয় যে দল ভাঙ্গার কারন আসলে টাকার ভাগ আর কিছুই নয়।
খুব ভাল কথা বলেছেন।সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মহান মুক্তি যুদ্ধকে তারা মোটেই গুরত্বপুর্ন কিছু মনে করে না।
কিন্তু সত্যি কি আওয়ামী লীগ আর জামাত জোট হবে এটা আশা করা যায়?হলে হয়ত মন্দ হয় না, কিছু রাজাকার কে ঝুলিয়ে দিয়ে, এবং তাদের নাম জামাতের শ্রদ্ধেয়দের তালিকা থেকে মুছে দেয়ার শর্তে যদি জামাতের ৭১ পরবর্তী নেতারা সম্মত হয়, তবে এটা হতেও পারে, তবে না হবার সম্ভাবনাই বেশি। আমি চাচ্ছি যে, যেকোন ভাবে যুদ্ধাপরাধীরা নির্মুল হোক, এবং জামাত দরকার পড়লে অন্য ব্যানাএর আত্ম প্রকাশ করুক এবং একটা সাধারন ইসলামিক দল হিসাবে থাক। যুদ্ধাপরাধীদের ঝুলানোর চেয়ে তাদের জামাই আদর করা, এইটা আমার কাছে বিষাক্ত লাগে। হ্যাঁ এটা এক ধরনের সমঝোতাই বটে, কারন এই ধর্মধামে ধর্মীয় রাজনীতি থাকবে না এটা ভাবতেও আজকাল ভয় হয়। তবু যদি লীগের সাথে জামাত অন্য নামে এবং অবশ্যই অন্তত মৌখিক ভাবে হলেই মুরুব্বি তালিকা থেকে রাজাকার দের ছেঁটে ফেললে এবং ওই নামটাই বদলালে, এবং লীগের থাকে থাকার সুবাদে যদি অন্তত ধর্মীয় সংখ্যা লঘু মারা বন্ধ হয়( যেহেতু বি এন পির আজকাল মাঠ্কর্মী বলে কিছু নেই, সব খুনাখুনি জামাতই করে থাকে, আর জামাতই যদি লীগের সাথে জোট করে,তবে হিন্দু রা হয়ত তখন জামাতের কোপানলে পড়বে না, কারন লীগে ভোট পড়লে তাদেরই লাভ হবে কারন জোটে আছে) ,তাতেই আমি আপাতত খুশি। বুঝতে পারছি আমি যা বলছি তা হচ্ছে শয়তানের সাথে সমঝোতার কথা, শুধুই শয়তানের নামটা, আর কিছু কাজ পাল্টে দেয়ার মাধ্যমে স্রেফ বাঁচার জন্য। ঈশ্বর যেখানে নিরব থাকেন, আর দেখেও দেখেন না, সেক্ষেত্রে শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে হলে, শয়তানের সাথেই থাকা মনে হয় অপেক্ষাকৃত একটা ভাল বুদ্ধি। তবে জামাতের নাম বদল সহ, সুক্ষ সংস্কার না করলে তো অন্তত একটা দাগ মিটবে না যে যুদ্ধাপরাধীরা এদেশেই রাজা, সেখানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি বলে যে আমরা যুদ্ধাপরাধী হব, সেখানে আমরা কি তাদেরকে খুব বেশি দোষ দিতে পারব?
সেটা যে আলোচনায় আসবে না, আর আসলেই যে শুধু আমি নিজেই বেকায়দায় পড়ব সেটা জানতাম। বেশিরভাগ মিলে আক্রমন শুরু করলে আমাকেই উল্টা পালাতে হত, যেহেতু প্রচলিত গণতন্ত্রের (যেটা কিনা প্রায় ঐশী বানীর মত) বিরুদ্ধে কথা, এত্তবড় সাহস!!
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনী যারে… । বুঝেনই তো ভাই, আর কি বলব।
উৎসাহ দেবার জন্য আর পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই । নার্ভাসনেসের জন্য অনেকদিন এখানে থেকেও মাঝে মাঝেই কিছু লিখব এমন সাহস করতে পারতাম না আসলেই , যদি না প্রত্যক্ষ ভাবে শ্রদ্ধেয় ফরিদ ভাই, অভিদা , আর আপনার উৎসাহ না পেতাম। লেখাটা খুব বেশি পরিপক্ক হয়নি বুঝতে পারি, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ভুলত্রুটির দিকে আরো নজর রাখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
১. পাঁড় আওয়াকমীলীগ এবং বিএনপি সমর্থক যারা তাদের ম্যাট্রিয়ার্কের বক্তব্য শোনার পর সেই অনুযায়ী ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে তা যাইই হোক – লেখাটি পরে তাই মনে হল। যেন কেউ অর্থ তসরুপ কিংবা ধর্ষণ করার পর তা জায়েজ করার জন্য সেই অপ কর্মের হোতার আজ্ঞাবহ অধীনস্থের ব্যাখ্যা…
২. “হিটলার ভোট পেয়েছিল এবং তাই বলে……” এটা বহু পুরাতন এক্সমপল। লেখক এটার অপব্যাখা দিয়েছেন কিংবা গভীরে যাওয়ারই প্রয়োজনই মনে করেনি!!!! যেন নিজের সুবিধা মত বিশাল কিছু থেকে খোপ করে কিছু একটা আলাদা করে ছিরে নেওয়া। তাছাড়া এখনো ইউরোপে হিটলারের সমর্থক আছেন এমনকি মুসোলিনির আদর্শে রাজনৈতিক দলও আছে – এসবের ধারে কাছেও লেখক যাননি।
জ্যুলজি কিংবা জ্যানেটিক ইঞ্জিঃ অনার্সের সমপর্যায়ের গরু বিষয়ক আলোচনায় সিম্পজিয়ামে যদি ক্লাশ ফাইভ মানের রচনা পঠন হয় তাইলেতো হয়না।
৩. জামাতের সাথে মিলে আন্দোলন এবং কদমবুচি এসবের ধারে কাছে দিয়েও লেখক যাননি।
৪. বি(কু??)খ্যাত ব্লগার চটি লেখক, স্বঘোষিত মুক্তিজোদ্ধ গবেষক চটি পিয়াল যেমন আওয়ামীলীগকে ডিফেন্ড করে – এই লেখাতে তেমন গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
৫. আওয়ামীলীগ কেন জামাতকে নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেনা এটাও লেখক এড়িয়ে গিয়েছেন।
@সংবাদিকা,
ব্লগে ব্লগে ঘোরাঘুরির অভ্যাস আমার নেই। চটি পিয়াল টা কে? অমি রহমান পিয়ালের কথা বলছেন? সেক্ষেত্রে বলতে চাই যে এইখানে এক ব্লগার পিয়ালের একটা লেখা পোস্ট করেছিলেন, ওটা ছাড়া পিয়ালের লেখা আমি একটাও পড়িনি। আসলে নেট ব্যবহার যতক্ষন করি, আমি শুধু মুক্ত মনার লেখাগুলোই পড়ি।
কাজেই আপনার নাকে যে অবশ্যি গন্ধ বিষয়ক একটা সমস্যা আছে সেটা বুঝাই যাচ্ছে। না হলে জাতীইয়তা বাদের রসে আপনি এতটাই সিক্ত যে, বিভিন্ন লেখায় ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতনকেও বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। আর অনেক প্রবীন লেখকদেরকেও যথাক্রমে অর্থনীতি বিদ, সমাজবিজ্ঞানী হবার পরে লেখালেখি করতে বলেন, সেখানে আমি তো দুই দিনে ছোকরা( প্রবীন লেখকদের পাশে), সেখানে আমাকে যে আরো কিছু, মানে ভারতের পেইড এজেন্ট বলেন নি সেটাই আমার সৌভাগ্য 🙂 তবে আপনার একটি জিনিস পরিষ্কার করে বলতে চাই আর তা হল এটা লীগকে ডিফেন্ড করার কোন মানসিকতা নিয়ে লিখিনি, মানবাধিকার রক্ষার্থে লীগ বা বি এন পি কেন, দরকার হলে আমি শয়তানের সাথেও সমঝোতা করতে রাজী আছি সাময়িক ভাবে; কারন কেন জানি আমার মনে হয় যে ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর চেয়ে শয়তানও ( যে কিনা ধর্মের সৃষ্ট কাল্পনিক খলনায়ক) আমার কাছে শ্রেয়তর।
কি আর করা বলুন, ফাইভ পাশ লেখকরা তো ফাইভ পাশের মতই লেখা লিখবে তাই না? তবে অনার্সের সম্পর্যায়ের লেখকদের বুঝতে হবে যে আজ যারা ফাইভ পাশ, তারাও কিন্তু একদিন অনার্স লেভেলে চলে যেতেও পারে।
অনার্স করা আর পি এইচ ডি করা লেখকরা যদি গনতন্ত্র বেদ রক্ষায় খুনখারাবির সাফাই দেয়া শুরু করেন, তবে ফাইভ পাশদেরও একটা মানবিক স্বত্বা আছে, সেটা বাধ্য হয়েই সেটা কিছু বলার চেষ্টা করে। হয়ত তাদের আরো সময় দরকার, তবে অনার্সপাশরা যদি নিজেদের বিশাল বিদ্যা বুদ্ধি নিয়ে ফাইভ পাশদের মুল বক্তব্যের ধারে কাছে না যেয়ে, শুধুই নিজেদের জ্ঞানের বহর দেখাতে আসে, তাহলেই মুশকিল। আচ্ছা ফাইভ পাশদের কেন অনার্স পাশ বা পি এইচ ডি ধারীরা এত তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করে বলতে পারেন? ফাইভ পাশদের এই অল্প স্বল্প বিদ্যা যেটাকে আসলে এলিটরা অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী বলে টিটকারী করে থাকেন, তাদের জন্য হুমায়ুন আযাদ বলে গেছেন যে অল্প বিদ্যা আসলেই ভয়ঙ্করী কারন এটা আরো অনেক বেশি জানার আগ্রহ সৃষ্টি করে। সম্ভবত নারী বইতে আছে।
আর কবি নজরুল বলেছেন যে, কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি, হয়ত উহারি বুকে ভগবান জাগিছেন দিবা রাতি। সব ফাইভ পাশ মানের নতুন আনাড়ী হয়ত এলিটদের মাপে যেতে পারবে না, তবে অনেক ফাইভ পাশ হয়ত কোনদিন এলিটদের ভাত মেরেও দিতে পারে।
বাকি থাকে রিসার্চ। যদি বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে লেখার জন্য রিসার্চ করার দরকার হয়, তবে সেটা এলিটরা না করে কেন অযথাই ফাইভপাশদের কে এটা করতে বলেন এটা আমার মাথায় আসে না। ফাইভ পাশদের ঘাটতি পুরন অনার্স বা আরো উচ্চ পর্যায়ের এলিট দেরই কি করার কথা না?
@অর্ফিউস,
আপনি তো ফাইভ পাশ ব্যাপারটা নিয়ে গোস্বা করে ফেললেন ব্যাক্তিগত ভাবে নিয়ে!!! অনেক গুলো বাক্য অপচয়ের মাধ্যমে… অনার্স/মস্টার্স/পিএইচডি কিংবা ফাইভ/এইট এই ব্যাপারটা মূখ্য নয় 🙂
আমার মূল ব্যাপার ছিল আপনার পর্যবেক্ষন নিরপেক্ষ তো নয়ই, উলটো নগ্ন দলীয় উপস্থাপন যেটাকে ব্লগীয় বেহায়াপনা বললেও ভুল হবেনা – যেমনটা চটি পিয়াল করে সহসা!! চোখে লাগে 😀 এখন সরকারের অনেক মন্ত্রীরা যেমন করছে প্রায় এটা বলে যে আর নির্বাচনের দরকার নেই – যদিও মন্ত্রী-উপদেস্টা-কমিশনার দের অনেকেই অনার্স-মাস্টার্স-পিএইচডি; পোস্ট ডক্টরেটও থাকতে পারে একজন-দুজন- একজন তো একেবারে সুম্মা কাম লোড – তাতে কি????? ক্তহা-বার্তা শুনলে মনে হয়না হীরক রাজার মন্ত্রী 😀
আচ্ছা হীরক রাজার দেশে ছবিটি কি দেখেছেন??? সত্যজিৎ রায়ের 🙂
@সংবাদিকা, আমি আরেকটা জিনিস যোগ করতে ভুলে গেছিলাম এইবার শোনেন। তা হল অনার্স পাশ করাদেরকেও ফাইভ পাশ করেই কিন্তু অনার্সে ভর্তি হতে হয়েছে।
এখানে কি একবারো বলেছি যে আর নির্বাচনের দরকার নেই? বুঝাতে আমার ভুল হতে পারে, সে ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন, এতে কারো সাথে তুলনায় যেতে হয় না।ব্লগ জগতে সরাসরি কন্ট্রিবিউট করা শুরু করি এই মুক্ত মনাতেও। এছাড়া সচলায়তনে কিছু উপকথা পড়ে দুয়েকটা ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া, বা এখানে থেকে এক মহারথী কে ফলো করে নবযুগে গিয়ে তাকে খোঁচানো ছাড়া ব্লগ জগতে আমার আর কোন উপস্থিতি নেই। ব্যাপারটা আপনার বিবেচনা করা উচিত ছিল যে আমি আপনাদের মত ঝুনা ব্লগার না। যতদুর মনে পড়ে যে আপনার একটা নিজের সাইট আছে, আপনার এই নিকেই? আপনিই মনে হয় দিয়েছিলেন মুক্ত মনার করা একটা মন্তব্যে? ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন।
নির্বাচন অবশ্যই দরকার আছে, বি এন পির নির্বাচনে আসার অবশ্যই খুবই দরকার আছে, তবে আওয়ামী লীগের সাথেও সমঝোতা করা লাগবে। সর্বদলীয় সরকার একেবারে খারাপ জিনিস না। আমি মনে করি যে একটা ভাল বিকল্প এটা হতে পারে, যদিও বি এন পিও কিন্তু এতটুকু ছাড়া দিতে রাজী নয়। আখেরে দুই দলের কচলাকচলি তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা আম পাবলিক। আপনি হয় প্রবাসী নয় উঁচু তলার মানুষ, এইসব আপনাকে বুঝানো যাবে না, কাজেই সেই চেষ্টাও আমি করব না। তবে ভোটের আগেও আমি বেশ কয়টা মন্তব্যে বলেছিলাম যে বি এন পির ও উচিত ছাড় দেয়া, সব ছাড়া যদি একা লীগ কেই দিতে বলেন, তবে কিছুই হবে না। লীগ, বি এন পি, এবং আপনারা যারা উঁচু তলার সুশীল তারা সবাই হার্ড লাইনার, কারন ভোগান্তি কি সেটা আপনারা জানেন না। আপনাদের মত হার্ড লাইনার হলে কারো চলবে না।বি এন পি আসে নি, কাজেই কোনভাবেই আমি এটাকে ভাল বা কাম্য নির্বাচন বলব না, আমিও চাই যে সর্বদলীয় সরকারের ব্যাপারটা বি এন পি মেনে নিয়ে আবার নতুন করে ১১ তম নির্বাচন যা কিনা বিদেশী পর্যবেক্ষক দের পর্যবেক্ষনে হোক এটা আমি নিজেও চেয়েছি, চাইছি আর চাইব।কিন্তু গনহত্যার সমর্থনে যে সব এলিট ইলেকশন নানা বক্তব্য দিয়ে থাকেন ইলেকশন ঠিক করার যুদ্ধ নামে, তাদের পশ্চাৎ দেশে আমি কিক করতেই থাকব আমার সাধ্য মত । আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমি মুক্ত মনাতে কন্ট্রিবিউট শুরু করেই কিন্তু সর্ব প্রথম ফিলিস্তিনের জনগনের উপর ইসরায়েলের গনহত্যাকে কোরানের আয়াত মেরে মেরে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা দুজন ব্লগার কে আক্রমন করেই শুরু করেছিলাম। সেখানে জাতীয়তা বাদীদের নগ্নভাবে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই সেটা হবে যুদ্ধের সময় কান্না কাটি? আপনি না আরেক ব্লগার যিনি মুক্ত মনায় মহারথী তিনি কাকে যেন উত্তর দেয়ার সময় বলেছিলেন। পরে প্রাক্তন আঁধারে সেটা দেখিয়ে দেন বলেই দেখতে পেয়েছিলাম। ওই গনহত্যা কে ইলেকশন ঠিক করার যুদ্ধ বলেছিলেন? ওয়েল যদি যুদ্ধই হয় এটা, তবে আমি নগ্নভাবেই মন্দের ভাল বলে যাকে মনে করি সেই অপেক্ষাকৃত অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষই নেব।
তবে আপনাকে আবার বলছি যে আমি বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে ইলেকশনের আগের গনহত্যা কে যুদ্ধ বলাটা যে পর্যায়ের অমানবিক কাজ হয়েছে, এখন এই ইলেকশন কে সাময়িক ভাবে মেনে নেয়া তার থেকে ঢের মানবিক আর গণতান্ত্রিক কাজ। আমার ব্যাখ্যা বা বলার ভঙ্গীতে ভুল থাকতে পারে, কিন্তু এইভাবে নগ্ন জাজমেন্টাল মনোভাব কেন? অবশ্য ওটা যদি সব জাতীয়তাবাদীদের স্টান্ডার্ড হয়ে থাকে, তবে আমার কিছু বলার নেই। সে খানে কল্পিত তালগাছ, নিয়ে যান, আমি কোন প্রতিবাদ করব না।
তবে আমি আবারো বলব যে নির্বাচন ভাল হয়নি, তবে এটা ১৫ ফেব্রুয়ারীর মত এতো খারাপ নয় কারন একটা অন্ত মুলধারার দল এবং সাথে বেশ কিছু প্রবীন দল যদিও তাদের জনসমর্থন অনেক কম। বলতে পারেন যারা আধা লীগ ঘেঁষা মানুষ তারা কেন আরো বেশি করেই লীগেই শান্তি খুজবে না? যদি আপনারা জাতীয়তাবাদী রা বিন্দু তে সিন্ধু দেখেন, আর মানুষ মারাকে ভোট যুদ্ধ বলে অনেক লোকের অভিযোগ কে কান্না কাটি মনে করে থাকেন তাঁদের এইসব সুবিধাবাদী নীতি কি মানুষকে আরো বিভ্রান্ত করবেনা? জবাব টা কি পাব? আর ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে যে ভদ্রলোক ইসরায়েল কে ব্লগীইয় ডলা দিতে গিয়ে, অথবা ফেলানী সংক্রান্ত ঘটনায় ভারতের দিকে থুতু ও বীর্য্য নিক্ষেপ করা ভদ্র লোককে মুক্ত মনাতে তখন গনহত্যার বিরুদ্ধে কোন লেখা কেন দিতে দেখলাম না ( নাকি দিয়েছিলেন কিন্তু আমার চোখে পড়েনি?) যেখানে কেউ এই গনহত্যাকে যুদ্ধ বলেছিলেন? আজকাল একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে, সেগুলোর একটা হল নিরপেক্ষতা কিন্তু অবশ্যই জোর গলা করে মুঝিবের কয়েকমাসের বাকশাল ধর্ষন করা, তাদের বিরুদ্ধে সবাই চুপ কেন? আর মানবতা নিয়ে কিছু যখনই ভোটের আগে বলার চেষ্টা করেছে তখন কেন নানা বিশেষণ প্রয়োগ করা? যা হোক আবার বলছি আমিও নতুন করে ইলেকশন চাই, কিন্তু এতে করে খালি লীগ ছাড় দেবে তা হবে না, বি এন পি কেও সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। আর এই ইলেকশন যে আসলেই ১৫ ফেব্রুয়ারীর মত একেবারে বাজে তা নয় এর কিন্তু প্রমান হয়ে গেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারীর পর কি হয়েছিল আর এখন কি হচ্ছে। বি এন পি কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে আসার ঘোষনা দিয়েছে। তবে কেন সংসদীয় নির্বাচনে নয়? বি এন পি সেটাও আসবে, অচিরেই আসবে, তবে একটা কথা আছে না যে গাধা ঘোলান না করে পানি খায় না? এখানে ব্যাপারটা হয়েছে এমন।
আপনার পর্যবেক্ষনের ব্যাখ্যা আমি উপরে দিয়ে দিয়েছি, আমি গনতন্ত্রের সমর্থক তবে পুজারী নই। মনে রাখবেন অতীতে রাজতন্ত্রের পতন হয়েছে কিন্তু মানবতার জয়ের মাধ্যমেই, স্বৈরতন্ত্রের পতনের পর গনতন্ত্র এসেছে এই মানবাধিকারের বিজয়ের মাধ্যমেই, কাজেই মানবাধিকার সমুন্ন থাকাটাই আসল। যদি প্রচলিত ধারার গনতন্ত্র সেটির সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে এরও বিকল্প আসবেই আজ হোক কাল।
কাজেই
আপনি ভুল প্রমানিত হয়েছেন। আমি সাময়িক সমঝোতার কথা বলেছি, সুশীলদের নির্বাচন ঠিক করার নামে গনহত্যার সমর্থনের বিপক্ষে কিছু বলতে চেয়েছি। ব্যাস এইটুকুই তার বেশি কিছু না। তবু আপনার যদি নিচের কথাটাই মনে হয়
সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এই বেহায়াপনা চলতেই থাকবে। মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার বেহায়াপনা। শুনেন আমি সুস্থ থাকতে চাই, সেটা আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমেই হোক, বা কবিরাজীর মাধ্যমে, বা পচা পুকুরের পানি পান করে সেটা বড় কথা নয়, আমার দরকার সুস্থতা। কাজেই গনতন্ত্রের বোমার চেয়ে আমার কাছে এমন কি স্বৈরতন্ত্রও কাম্য বেশি, যদি সেটা আমাকে অন্তত পেট্রল বোমার হাত থেকে মুক্তি দেয়।
পড়ুন,
আজকাল একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে, সেগুলোর একটা হল নিরপেক্ষতা, মানে কিন্তু অবশ্যই জোর গলা করে মুঝিবের কয়েকমাসের বাকশাল ধর্ষন করা, যদিও জিয়ার স্বৈরাচার ছিল গনতান্ত্রিক, আর জাতীয়তাবাদের সব অকাজের নির্লজ্জ সাফাই গাওয়া,
@অর্ফিউস,
উক্ত উপমাটি আপনার ভালই লেগেছে বোঝা যাচ্ছে, আমি আসলে এটা আপনাকে মিন করে বলিনি। আশা করি ব্যাক্তিগত ভাবএ নেবেননা।
সৈয়দ মহসীন আলী কিংবা শামীম ওসমানের মত নামকরা গুণ্ডা গদফাদার কিংবা আব্দুর রহমান বদির মত কুখ্যাত মাদক সম্রাট যে নিয়োগ দিতে পারে – ওসব নিয়ে আর্গুমেন্ট করা সময়ের অপচয়।
সর্বশেষ একটা ঘটনা প্রাসঙ্গিক হবে –
[img]http://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2014/01/27/sylhet-smoke-ministr-2-.jpg/ALTERNATES/w620/Sylhet+smoke+ministr+%282%29.jpg[/img]
[img]http://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2014/01/27/sylhet-smoke-ministr.jpg/ALTERNATES/w620/Sylhet+smoke+ministr.jpg[/img]
শিশুদের অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর ধূমপান!
উক্ত যায়গায় কাউকে তো হত্যা ইংবা জান-মাল দখল করা হয়নি – তবুও কেন এটা লিড নিউজ!!
এটা দেওয়ার উদ্দেশ্য হল – এই মন্ত্রীর এই আচরণকেও অনেকে ডিফেন্ড করার চেস্টা করছে – আসলে সব আচরণকেই ডিফেন্ড করা যায় 😛
নাহ এটা নাও হতে পারে। এমনও হতে পারে যে সরকারের ভুল ধরার চেষ্টা হচ্ছে। শিশুদের সামনে মন্ত্রী হয়ে ধুমপান করলে শিশুরা শিখবে না? যে মন্ত্রী নিজেই আইন ভাঙ্গে তাকে হাইলাইট করাই উচিত। পরে জরিমানা দাবী করা হলে এটা আরো ভাল হবে। তবে জরিমানা দেবে বলে মনে হয় না। কারন রাতারাতি বাংলাদেশের রাজনীতি বিদরা মানুষ থেকে ফেরেশতায় প্রোমোশন নিতে পারবে সে চান্স আপাতত শুন্যের কোঠায় 🙂
@সংবাদিকা, দূর এইটা আপনিই শেয়ার করে দিলেন? ওই ব্যাটা ধুমপান তো আমি নিজেই পোষ্ট করে দেব ভাবছিলাম। 😀
আচ্ছা ঠিক আছে ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সবাই একটু সাবধানে শব্দচয়ন করব যেন ভুলবোঝাবুঝি না হয়। ভাল থাকবেন 🙂
@অর্ফিউস,
[img]http://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2014/01/28/mohsin_press.jpg/ALTERNATES/w620/mohsin_press.jpg[/img]
ধূমপান: এবার সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা চাইলেন মন্ত্রী
সময় ধরলে – বোঝা যাচ্ছে ওনার নেত্রী ভালো ধাতানি দিছে সঙ্গে গদি নাড়ানোর হুমকি – যাই হোক ক্ষমা চেয়েছেন শেষ পর্যন্ত।
@সংবাদিকা, হাহাহাহা বেশ ভাল।যাক তবু বেটার বোধোদয় হয়েছে। একেই বলে ঠ্যালার নাম বাবাজী :))
লেখককে ধন্যবাদ এই ব্যাপারে লেখার জন্য। বাংলাদেশের রাজনীতির চলকগুলর ব্যাপারে আমার পরিস্কার ধারনা নেই। একটা ব্যাপার আমার সবসময় মনে হয়। বি এন পি জামাত সম্পরক আর ভারতের বি জে পি আর এস এস সম্পরক কতটা তুলনীয়? প্রশ্নটা করলাম একটা তুলনামুলক আলোচনআর আশায়।
@অরিন্দম,
পাঠের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ :-)।
ভারতের রাজনীতি সম্পর্কেও আমার তেমন কোন ধারনা নেই। তবে এদের মধ্য মনে হয় একটা কারনে অনেকটা সাযুজ্য আছে আর সেটা হল দুই জোটই সাম্প্রদায়িক শক্তি। প্রথমটা ইসলামিস্ট জোট আর পরেরটা হিন্দুত্ব বাদী।
তবে বি এন পি জামাতের সাথে বি জে পি আর এস এস একটা পার্থক্য আছে অবশ্যই আর তা হল বি এন পির মিত্র জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার সরাসরি বিরোধিতাকারী এবং যুদ্ধাপরাধী দল। আর এস এস এর সাথে নাৎসি বাদের যোগসুত্র থাকলেও, সেটা ভারত নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ছিল না বলেই মনে করি, যেমন ভারতের সুভাষ বোস যে নিজের শত্রুর শত্রু, কাজেই নিজের বন্ধু এই নীতির সমর্থক ছিলেন। দুটি দলই ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে,ধর্মীয় সহিংসতার জন্ম দিচ্ছে,তবে ভারতের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিদেশী শক্তির হয়ে কাজ করার রেকর্ড আর এস এস বা বিজেপির নেই, যেটা বাংলাদেশের জামায়াতের প্রত্যক্ষ ভাবেই আছে, আর সেই সাথে তাদের বড় পৃষ্ঠপোষক বি এন পি যাদের দ্বারা জামাত রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেই বি এন পির ভুমিকাকেও মারাত্বক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আপনার হয়ত মনে আছে যে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসীর খবরে পাকিস্তানে যে রাষ্ট্রীয় ভাবে শোক প্রকাশ করে নির্লজ্জের মত আবার বাংলাদেশের অস্তিত্বে আঘাত করার মত ন্যাক্কারজনক কাজটা করা হল, সেখানে বি এন পির নিরবতা ছিল রহস্য ময়, পরে শুধু তারা মর্মাহত এই ধরনের বক্তব্য দেয়, যখন সারাদেশে মারাত্বক বিক্ষোভ হচ্ছে। ভারতের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলা কোন বাইরের দেশকে বিজেপি এই ছাড়টা দিত না। ছোট একটা উদাহরন হল দেবযানী কে ঘিরে ঘটনাটা। যুক্তরাষ্ট্রকে যখন ভারত বেশ এক হাত নিচ্ছিল, তখন বি যে পির যে ভুমিকা ছিল, বি এন পি বাংলাদেশের ব্যাপারে এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে এমন কোন ভুমিকা রাখতে পারেনি, মনে হয় না যে রাখতে চায়।
@অর্ফিউস, প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয় আমার প্রশ্নটা পরিস্কার হ্য়নি। আমি বি জে পি এবং আর এস এস এর মধ্যে য়ে সম্পরক তার সাথে জামাত এবং বি এন পির নিজেদের মধ্যে সম্প্রকের তুলনা চাইছিলাম। আমার মনে হয়নি আপনার উদাহরন গুল সেই ব্যাপারটাকে উদ্দেশ্য করে। আমি আসলে এই সম্প্রকের স্ট্রাকচারাল দিকটায় আগ্রহী। ঠিক কিধনের বিসয় গুল বলছি তা বুঝতে হলে এই লিঙ্কটা দেখুনঃ
http://www.thehindu.com/news/national/the-shifting-sands-of-sanghbjp-relationship/article5241200.ece
আমার মনে হয় এই উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলর গঠনগত দিকটার তুলনামুলক আলচনা হয়না বল্লেই চলে। আর সেটা ছাড়া এই উপমহাদেশের রাজনীতির সমস্যাগুলর ঠিকভাবে মুখমুখি হয়া সম্ভব নয়।
সেই জন্যই এই প্রশ্নটা করা।
অনেক দিন ধরেই সচল আর মুক্তমনায় আপনার লেখা পড়ি। বেশ ভাল লাগে। ভাল থাকবেন।
@অরিন্দম,
ইয়ে দাদা মনে হয় আপনি আসলে আমার কাছে না বরং সচলায়তনের অরফিয়াসের কাছে উত্তর প্রত্যাশা করছেন। দুঃখিত দাদা, আমি আর সে এক নই। আমি মুক্ত মনাতে এই নিক নেবার আগে জানতামও না যে প্রায় একই নামে সচলায়তনে আরেক ব্লগার আছেন,জানার পরে আর ডিসপ্লে নেমচেঞ্জ করিনি কারন কারন তখন এই নামে এখানে মোটামুটি অনেকের কাছেই পরিচিত হয়ে গেছি।
এর আগেও একজন একই ভুল করেছিলেন। কেন এত নিশ্চিত করে বলছি যে আপনি অরফিয়াসের কাছে উত্তর চেয়েছেন? কারন আমি মুক্ত মনা ছাড়া কোনদিন অন্য কোন ব্লগে ছিলাম না :)), সচলায়তনে খালি গেস্ট হিসাবে কিছু লেখা পড়েছি আর ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া আমার কোন মন্তব্যও নেই, লেখালেখি অনেক দুরের ব্যাপার।
@অর্ফিউস,
বিভ্রান্তির জন্য দুহখিত। তবে আমি প্রশ্নটা এই লেখার লেখকের (মানে আপনার সাথে) আলোচনার জন্য-ই করে ছিলাম। দুই অরফিউসের কারো সাথেই আমার এর আগে কথা হয়নি।
আমার প্রশ্ন সম্পরকে আপনার ভাবনাটা সময় করে শেয়ার করলে ভাল লাগবে।
@অরিন্দম, আচ্ছা দাদা ধন্যবাদ। সেক্ষেত্রে আপনার লিঙ্কটা আমি আশা করি আজকেই কোনএক সময় পড়ে নিয়ে তার পর আমরা আলোচনা করব। দিন তো কেবল শুরু হল, একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছি কাজ নিয়ে। ভাল থাকবেন 🙂
@অরিন্দম, দাদা, আপনার লিঙ্কটা পড়লাম। আমি ভালভাবে বিন এন পি জামাতের সম্পর্কের তুলনা করতে পারব। আসলে রাজনীতি বিশ্লেষণ ক্ষমতা আমার বেশি ভাল না, তাছাড়া আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে আমি যথেষ্ট বিরক্তও বটে।
আর তাছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছে বা বি এন পি জামাতের স্ট্রাকচারাল সম্পর্কটা সবচেয়ে ভাল, সবচেয়ে নির্মোহ এবং ব্যাখ্যা দিতে পারবেন আদিল মাহমুদ উনি যদি আপনাকে এখানেই ব্যখ্যাটা দিয়ে দেন তাহলে আপনার এইটা নিয়ে আলোচনা করতে
সুবিধা হবে।আমি আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত আমার এই সীমাবদ্ধতার জন্য।
পড়ুন, আমি ভালভাবে বিন এন পি জামাতের সম্পর্কের তুলনা করতে পারব বলে মনে করি না
লেখাতে দ্বিমত করার মত কিছুই পাইলাম না । 🙁
বিএনপি ও জামাতে মধুর সৰ্ম্পক নিয়ে কিছু কথা বলি :
১. বিএনপি’র পক্ষে ঘোষনা দিয়ে জামায়াতকে ত্যাগ করা অসম্ভব। বিএনপি’র রাজনীতির উদ্দেশ্যই হল সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে এদেশের রাজনীতিতে স্থান করে দেওয়া। বিএনপি যদি এখন জামায়াতকে ত্যাগ করার ঘোষনা দেয়, তাহলে বিএনপি তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার রাজনৈতিক আৰ্দশ হতে বিচ্যুত হবে !! :-O
২. বিএনপি’র জামায়াতকে ত্যাগ না করার পিছনে আরও একটা কারন হল তারেক। ২০০৮ সালে স্বেচ্ছায় নিৰ্বাসনে যাওয়া তারেকের বৰ্তমানে যাবতীয় ব্যায়ভার বহন করছে আৰ্ন্তজাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো, আর ঐসব জঙ্গি সংগঠনের এদেশের প্রতিনিধি হল জামায়াত। অন্যদিকে জামায়াতও তাদের নেতাদের(যুদ্ধাপরাধী) বাঁচাতে এবং এইদেশের রাজনীতিতে তাদের পূৰ্বের পরিচয়ে অটল থেকে পুনরায় ফিরে আসতে, প্রত্যক্ষভাবে কোটি কোটি টাকা তারেক ও বিম্পির পকেটে ঢালছে !! :-$
@তারিক ভাই,প্রথমত পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জিয়ার আদর্শ বিচ্যুতির জন্য কিনা জানি না, তবে জামায়াতকে ছেড়ে যে আসলেই বি এন পি হালে পানি পাবে না এটা ভাল করেই বলা যায়। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা অবশ্যই জিয়া করেছিলেন, তবে বাংলাদেশে যে প্রধান সমস্যা আর সেটি হল ইসলামিকরন, এটা কিন্তু আসলে দুর্ভাগ্য বশত জিয়ার আগ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। জিয়া এসে সেটার পরিপুর্নতা দান করেছেন যুদ্ধাপরাধীদের কে রাজনইতিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে। যেমন ধরেন যে বঙ্গবন্ধু নিজে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন বলেই জানি ( ভুল হলে প্লিজ ঠিক করে দেবেন), এবং অনেক ইসলামী প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি অর্থায়ন করে গিয়েছিলেন। হ্যাঁ হয়ত তিনি এটা শুধুই করেছিলেন এই জন্য যে তিনি হয়ত ভাবতে পারেননি যে, বাংলাদেশের মানুষ সুযোগ পেলেই আবার সাম্প্রদায়িক হয়ে যেতে সময় নেবে না। বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর ভিত্তি করে, সেখানে বাংলাদেশের স্থপতি অনেক বেশি সমঝোতা করে ফেলেছিলেন, যা কিনা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক একটা অদুরদর্শিতার প্রমান। বঙ্গবন্ধু যদি আরেকটু রাজনৈতিক দুরদর্শিতার প্রমান দিতে পারতেন, এবং তাজউদ্দীন দের মত মানুষদের কে আরো চমৎকার ভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে পারতেন, তবে মনে হয় আজ আমরা ভিন্ন বাংলাদেশ দেখতে পেতাম।
আর তাছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ব্যাপারে বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের উচিত ছিল আরো বেশি প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়া কিন্তু সেটা তাঁরা করতে পারেন নি। শ্রদ্ধেয় ফরিদ ভাইয়ার অল কান্ট্রিজ এক্সসেপ্ট পাকিস্তান এই লেখা থেকেই আমরা জানতে পারি যে ইসরায়েল বাংলাদেশকে প্রথমে স্বীকৃত দিয়েছিল। এটাকে যদি মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন সরকার স্বীকার করতেন, তবে মনে হয় আমেরিকার সমর্থনও পাওয়া খুবই সহজ হত । ইসরায়েল মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে এটা ঠিক, কিন্তু সরাসরি আমাদের কোন ক্ষতি করেনি, কিন্তু মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বোধ আমাদের মধ্যে এতটাই প্রবল যে ইসরায়েলের স্বীকৃতি আমরা গ্রহন করি নি। ফরিদ ভাইয়ার ওই লেখাটা না পড়লে আমি নিজেও কোনদিন এই তথ্যটা জানতে পারতাম না। সত্যি আমরা যেন পোপের চেয়েও বড় খ্রিষ্টান!!
@অর্ফিউস ভাই,
অনেক মানুষকেই এইকথাগুলো বলতে এবং এইকথাগুলোর মাধ্যমে জিয়া কিংবা এরশাদের আমলে যেভাবে রাষ্ট্রকে ইসলামীকরন করা হয়েছে তার সাফাই গাইতে শুনি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর কি বাংলার মানুষ ধৰ্মপ্রান বাঙ্গালি হতে ধৰ্মহীন বাঙ্গালিতে পরিনত হয়েছিল? যদি না হয়ে থাকে তবে ঐসব ধৰ্মপ্রান মানুষের ব্যক্তিগত পৰ্যায়ে ধৰ্মপালনের সুব্যবস্থা করা আমারমত নাস্তিকের চোখে খারাপ কিছু না। বঙ্গবন্ধু একজন ধৰ্মপ্রান মানুষ হওয়ার পরেও উনি কখনো ধৰ্মকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন নাই কিংবা এই স্বাধীন রাষ্ট্রকে ধৰ্মের চাদরে ঢাকার চেষ্ঠা করেন নাই।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ধ্যান-ধারনা সুক্ষভাবে বুঝার মত জ্ঞান আমার নাই। তবে যতটুকু বুঝি স্বাধীনতার পর উনার আশেপাশে কিছু কুলাঙ্গার জড় হয়েছিল আর আপন মানুষগুলো দুরে সড়ে গিয়েছিল।
এই বিষয়গুলো অনেক ক্রিটিক্যাল এত সহজে হিসাব মিলানো সম্ভব না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের পাকিস্থান ভঙ্গের ষড়যন্ত্র বলে প্রচার চালানো হয়েছে, ইজরায়েলের সাথে সখ্যতা গড়লে পরে মুক্তিযুদ্ধকে মুসলিমদের বিপক্ষে ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র বলে প্রচার চালানো হতো। তখন কি অবস্থা হতো তা চিন্তা করেন?
@তারিক ভাই,
জাতীয়তাবাদী দের ব্যাখ্যা বাদ দিন, আসলেই কি সবাই এইসব বলে জিয়ার সাফাই গায়? মানুষ হিসাবে কিন্তু জিয়া জনগনের বেশ কাছে যেতে পেরেছিলেন, যা এরশাদ পারেন নি।
সেটা ঠিক আছে, তবে বঙ্গবন্ধু খুব বেশি কমপ্রোমাইজ করে ফেলেছিলেন। না হলে তাজউদ্দিন কে দূরে ঠেলে দিয়ে কেন খোন্দকার মোশতাক কে কাছে নিয়ে এলেন, যে খন্দকার মোশতাক ৭১ সালে কি করেছিল আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে? সেখানে বঙ্গবন্ধুর মন জয় করতে পেরেছিল এই লোক এর কারন কি এই না যে বঙ্গবন্ধু আসলেই প্রশংসা পছন্দ করতেন একটু বেশি? আর এই নীচ মোশতাক কে কাছের মানুষ বানানোর খেসারত কিন্তু তাকে জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে।
আসলে বঙ্গবন্ধুর সত্যি কিন্তু বেশ কিছু দুরদর্শিতার অভাব ছিল। কিছু কুলাঙ্গার কেন জড় হয়েছিল? আপনি যদি কুলাঙ্গার দের প্রশ্রয় দেন ভাল করার নামে, তবে কিন্তু কুলাঙ্গার রা আপনারই শর্বনাশ করবে। মোটের উপর বঙ্গবন্ধু মানুষই ছিলেন। ভুলত্রুটি উনার হতেই পারে এটাই স্বাভাবিক। কিছু কস্টলি মিস্টেক বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, আর তার একটা হল তিনি নিজেই তাজউদ্দিন কে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন মানে সরিয়ে দিয়েছিলেন। মোশতাকের মত ইতর আর নিচুমানের শয়তানকে বিশ্বাস করা আসলে কতটুকু প্রজ্ঞার পরিচায়ক যেখানে রাজনীতিতে বিশ্বাস জিনিসটা খুব বেশি করতে নেই?
হয়ত হত, তবে অন্যভাবেও কিন্তু চিন্তা করা যায়।আপনার নিশ্চয়ই মনে হয় না যে ওই সময় মানুষ এমন সস্তা প্ররোচনায় কান দিত!! তখন একটা যুদ্ধ হচ্ছিল, মানুষ মরছিল আমাদের মা বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছিলেন, সোজা কথায় যারা এইসব কু কথায় কান দিতেন তাঁরা ইতিমধ্যেই সাফার করছেন আর যুদ্ধ করছেন তাই না? আমি বলেছি যে ইজরায়েলের স্বীকৃতি নিলে হয়ত কিসিঞ্জার শয়তানটা অতখানি বাড় বাড়তে পারত না। ইসরায়েল স্বীকৃতি দিয়েছিল কিন্তু আসলে উল্টা স্বীকৃতি পাবার আশায়, কারন মুসলিম বিষের স্বীকৃতি তার তখন খুব দরকার ছিল।
কাজেই গিভ অ্যান্ড টেক , এই নীতিটা মনে হয় না খুব একটা খারাপ হত। যাক মুক্তি যুদ্ধের ৯ বছর পর আমার জন্ম, যুদ্ধ দেখিনি, তবে দেখুন একটু বিবেচনা করে, আসলেই কি চিন্তাগুলো একেবারে ফেলে দেয়ার মত? ইসরায়েলের স্বীকৃতি নেয়া হয় নি, কিন্তু তবু কিন্তু দেশের শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দিল না। আর বাংলাদেশকে আস্তে আস্তে বানিয়ে দিল ধর্মধামে বা এর কাছা কাছি। তার মানে এই হল যে, ইসরায়েলের স্বীকৃতি না নিয়ে বা বা ইহুদীচক্রান্তের অপবাদ না পেয়েও কিন্তু বিশেষ কিছু লাভ হয় নি কি বলেন আপনি?
@অর্ফিউস ভাই,
আসলে ভাই যখনই কোথায় ৭৫ পরবৰ্তীতে দুই সেনাশাসকের আমলে রাষ্ট্রের ইসলামীকরন নিয়ে কথা হয় তখনই ঐ এক যুক্তি শুনি যে বঙ্গবন্ধুই সমঝোতা শুরু করেছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, ওআইসি সম্মেলন,…. ইত্যাদি… ইত্যাদি। তাই আমি ঐ সাফাই গাওয়ার কথা বলেছি আপনাকে মিন করি নাই।
ঠিক বলেছেন। জিয়া ভাই আসলেই মাটির মানুষ ছিলেন !
বঙ্গবন্ধুর দেশ শাসনে অবশ্যই কিছু ভুল ছিল আর উনি মানুষ চিনতেও ভুল করেছিলেন। কিন্তু ঐ শাসনামলের সমালোচনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন সে সময় এই দেশটি ছিল এক যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ভূখন্ড। বঙ্গবন্ধু সরকারের শাসনভার গ্রহণের সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ৪০ লাখ টন। এর প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো হয়ে পড়েছিল বিপর্যস্ত। ব্যাংকগুলো ছিল বন্ধ এবং তহবিল শূন্য। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা সব কিছুই তখন ছিল বন্ধ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি ছিল নামে মাত্র। সারা দেশে অসংখ্য কালভার্ট-ব্রিজ-সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল বিধ্বস্ত।
৭১ পূৰ্ববৰ্তী সময়ে ইজরায়েলের সাথে মুসলিম বিশ্বের সৰ্ম্পক কেমন ছিল? যুদ্ধ পরবৰ্তী সময়ে এই বাংলাদেশের কি মুসলিম বিশ্বের সাৰ্পোট দরকার ছিল? এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার পড়াশুনা অল্প তাই এই বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়েছিলাম।
@তারিক ভাই,
এভাবে বললে আমি আর কি বলতে পারি বলেন? জিয়াকে আমিও পছন্দ করি না, তবে তার ভালগুন গুলো কে স্বীকার করার সৎসাহস গুলো আমার আছে, এবং আমার বিশ্বাস আপনারও আছে। একটা মানুষ কখনই ১০০ ভাগ ভাল বা খারাপ হতে পারে না।
মানুষের খুব কাছে কিন্তু লেনিন ও গেছিল বলেই জানি। পরে সাম্যবাদ এবং তারও পরে সমাজতন্ত্রের কি বাজে ফলাফল হয়েছিল তা কিন্তু আমরা জানি। মিসরের ব্রাদারহুডও কিন্তু জনতার খুব কাছেই ছিল, কিন্তু এখন দেখেন তাদের কি অবস্থা। জনতার কাছে থাকা মানেই যে খুব ভাল মানুষ তা নয়। এটা একটা (অপ)কৌশলও হতে পারে, আর সে কিন্তু সফল হয়েছিল, আর তাই আজ আমরা বি এন পি জামাত জোটের নামে পেয়েছি বিষফোঁড়া।
@অর্ফিউস, জী ভাই কোন মানুষই ১০০% খারাপ না। কিন্তু মানুষের খারাপ কাজ গুলো যখন বিশাল আকারের হয়, তখন তার কথা বলতে গেলে তার ভাল গুনগুলো আর আমাদের মাথায় আসে না। উনার ছেড়া গেন্জী আর ভাঙ্গা সুটকেসের কাহিনী ছোট বেলায় শুনতাম আর মনে হত উনি মহান একজন নেতা। কিন্তু উনার আসল কৰ্মকান্ড সৰ্ম্পকে যখন জেনেছি তখন থেকে উনার প্রতি এক ধরনের ক্ষোভ জন্মেছে। তাই মাঝে মাঝে ক্ষোভ ঝাড়ি, আগামীতে আরো সংযত হবো।
উনি উনার টেকনিকে ভয়ংকর মাত্রায় সফল। নো ডাউট !! :guru:
আমিও কষ্ট করে অর্ফিউস সাহেবের প্রথম পোষ্ট পড়লাম।
বিএনপির জামাত ছাড়ার কোন উপায় নাই। জামাতের ভোট ব্যাংক ছাড়া বিএনপির নিজ ভরসায় নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া সম্ভব নয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিলেও তাতে আশান্বিত হবার কোন কারন নাই। ‘৯১ সালের নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দল এমনকি ভিন্ন ভিন্ন মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে, কিন্তু গোপন আঁতাতে আসন ভাগাভাগি ঠিকই করেছে, যার সুফল তারা পেয়েছে। ২০০১ সালে আওয়ামী সরকারের ইমেজ খারাপ থাকলেও জামাত আলাদা নির্বাচন করলে বিএনপির পক্ষে জেতা সম্ভব হত না। ব্রুট মেজরিটি পেলেও বহু আসনে প্রতিদ্বদ্বীতা হয়েছিল খুবই কাছাকাছি।
কাজেই বিদেশীদের হুমকি ধমকিতে কিছু আশাবাদী কথাবার্তা বললেও জামাত রাজনৈতিক দল হিসেবে যতদিন থাকবে ততদিনই এই আঁতাত বজায় থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধের আবেশে এক দলীয় নির্বাচন যতটা মধুর মনে হচ্ছে খুব বেশীদিন মধুর নাও মনে হতে পারে।
@আদিল ভাই,
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আদিল ভাই, তবে এটি ২য়। প্রথমটি অবশ্য মোটেই উল্লেখ করার মত কিছু ছিল না বলেই আমার মনে হয়েছে। খুব বেশি তাড়াহুড়া করে লিখেছিলাম 🙂
এটা তো হয়ত ঠিক কথাই যে জামাত কে ছাড়া নি এন পির পক্ষে আওয়ামী লীগকে হারানো বেশ কঠিন। আর তাছাড়াও ২০০১ সালে দু দলের ভোটের ব্যবধান ছিল একেবারেই কম।
কিন্তু আদিল ভাই, আপনি কি মনে করেন যে আদৌ জামাত কে নিষিদ্ধ করা হবে? আর নিষিদ্ধ করলেই কি বি এন পির ভোট ব্যঙ্ক কমে যাবে? আমার তো মনে হয় যে জামাতের সমর্থকরা পাইকারী হারে বি এন পিকে ভোট দেবে, আপনি কি বলেন?সেক্ষেত্রে তো লীগের বিপদ নাও কমতে পারে।
সেটা আমিও বুঝি না যে তা না। তবে অন্তত চিহ্নিত রাজাকারদের ঝুলানোর আগ পর্যন্ত,এবং জামাত কে নিষিদ্ধ করার করার আগ পর্যন্ত, অন্য কিছু কেন জানি ভাবতে মন চাচ্ছে না।অবশ্য এখানে আমার ভাবা বা না ভাবাতে কিছুই যায় আসে না। তবে এখন শুধু অপেক্ষা করছি যে কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু এটা ঠিক যে, সর্ব দলীয় নির্বাচন হয়নি, কিন্তু এটাকে কি আসলেই একদলীয় নির্বাচন বলা যায়, যেখানে জাতীয় পার্টি যথেষ্ট পরিমান ভোট বা জনসমর্থন আছে?
@অর্ফিউস,
জামাত নিষিদ্ধ হলে বা ধ্বংস হলে রাজনৈতিকভাবে লাভ আওয়ামী লীগের চাইতে বিএনপিরই অনেক বেশী হবে এটা বহুবার বলেছি। জামাত গায়েব হলেই তাদের ৫/৬% ভোটব্যাংক দেশ থেকে পাকিস্তানে চলে যাবে না। সেই ভোটব্যাংক মারা গেলেও আওয়ামী শিবিরে ভোট দেবে না। ভোট দেবে বিএনপিকেই। বিএনপির আর জামাতকে ২/৪টা মন্ত্রীও ছেড়ে দিতে হবে না।
কথা হল এটা আমার মত আম পাবলিকে বুঝলে বিএনপি কেন বোঝে না?
বোঝে ঠিকই, কিন্তু কোন অবোধ্য কারনে জামাত নিষিদ্ধকরনে আওয়ামী বিএনপি সকলেরই হাত পা বাঁধা আছে।
গত নির্বাচন নিয়ে বেশী কথা না বলাই উত্তম।
@আদিল ভাই,
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।
আসলে বি এন পির এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আর জামাতের মানে এই যুদ্ধাপরাধী বা, ধর্মীয় মৌল বাদী দলের সাথে নতুন করে সরাসরি থাকার ঘোষণা দেয়াতেই আমার আক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ এটা।
তাহলে কি কোনদিনই মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, নিদেন পক্ষে এগুলোর অনেক প্রশমন বাংলাদেশে দেখা সম্ভব না?
@আদিল মাহমুদ,
বোঝে ঠিকই, কিন্তু কোন অবোধ্য কারনে জামাত নিষিদ্ধকরনে আওয়ামী বিএনপি সকলেরই হাত পা বাঁধা আছে।
আর আওয়ামীলীগ জামাত কে অস্তিত্ত্বহীন করতে চায় না কারন, দেশে মৌলবাদী জঙ্গী তৎপরতার উত্থান ঘটাটা সেখানে বিচিত্র নয়। সেটা বরং আরোও বড় ক্ষতির কারন হিসেবে দেখাদিতে পারে। জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যেভাবে নাৎসীকে উৎখাত করা হয়েছিলো, সেরকম পরিস্থিতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে থাকলেও ১৯৭৫ পরবর্তীতে সে পরিবেশ সম্পূর্ন তিরোহিত হয়। আজ আর সে পরিবেশ নেই। তবে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামাতের অস্তিত্ত্ব মুছে ফেলাটা জরুরী যদি ‘বাংলাদেশ’কে তার স্বকীয়তায় এগিয়ে যেতে হয়। আর সেজন্যেই বোধ হয় আমাদের আরোও একটু অপেক্ষা করতে হবে একটা সাংস্কৃতিক রেনেসার জন্যে। খানিকটা প্রাসঙ্গিক গতকালের বিডিনিউজ ২৪ ডট কম এ মতামত-বিশ্লেষন পাতার এই লেখাটি দেখতে পারেন।
তবে বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ফিরতে পারলে এ প্রশ্নের উদয় হতো না। বাংলাদেশে যতদিন ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ধারা প্রচলিত থাকবে ততদিন জামায়াতী নখ-দন্তের আঁচড় থেকে আমরা মুক্ত হবো না।
@কেশব কুমার অধিকারী,
উদ্ধৃতিটা ভুল, আগের লাইনে হবে। সম্মানিত মডারেটর বৃন্দের কেউ যদি একটু ঠিক করে দেন তবে কৃতজ্ঞ হবো।
বিনীত
কেশব অধিকারী।
@কেশব কুমার অধিকারী, কেশব দা, খুবই চমৎকার লিঙ্ক দিয়েছেন।খুবই কার্যকরি জিনিস এটা। আসলে নেট খুবই স্লো হবার কারনে আমার পক্ষে নেটে অনেক বেশি পড়াশোনা করা সম্ভব হয় না। যেমন একটা পেজ ওপেন হতেই যদি ৫/৬ মিনিট লাগে মাঝে মাঝে আর বার বার রিলোড করতে হয়, তবে অনেক কিছু পড়ার বা লেখার মুড চলে যায়। আসলে আমি একটা ছোট খাট শহরে থাকি, আর মফসসল শহর গুলোর নেটের যে কি হাল তা বলে বোঝানো যাবে না। আপনার দেয়া লিঙ্কের জন্যেই ওই সুন্দর লেখাটা পড়া হল আমার। ধন্যবাদ।
@কেশব কুমার অধিকারী,
– এতে আমি একমত। আমিও বহুবার বলেছি যে জামাত আইন করে নিষিদ্ধ করাকরি দিয়ে লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশী হবে। যে কারনে লোকে জামাত সমর্থন করে সেটা এড়িয়ে আইন করে কিছু হয় না। দমন পীড়ন চালিয়েও দীর্ঘস্থায়ী কোন সুফল আসবে না, জামাত পশ্চীম বংগের নকশাল জাতীয় কিছু না যে এত সহজে মূলোতপাটন সম্ভব হবে।
জামাত নিষিদ্ধ করলেই তাদের সাপোর্ট বেজ নষ্ট হবে না। তারা নুতন ব্যানারে ঠিকই বের হবে। বরং আরো সাথে জেহাদী জোশ বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৈতিক সমর্থন বেড়ে যাবে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও একই কারনেই বলপূর্বক নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না। লোকে যৎদিন না এর ক্ষতিকর দিক বুঝতে পারে ততদিন এসব গায়ের জোর ফলানো পদক্ষেপ অন্তত গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থার মধ্যে মৌলবাদীদেরই সাহায্য করবে।
‘৭২ সালের সংবিধানে ফেরারে ব্যাপারে আমার সামান্য দ্বি-মত আছে। ‘৭২ এর সংবিধানে যেতেই হবে কেন? ‘৭২ সালের সংবিধান সেক্যুলার দাবী করা হলেও সেটা উপমহাদেশীয় ভার্ষনের সেক্যুলার, কার্যত সেটা ‘৭৫ পূর্ববর্তি আওয়ামী আমলেই পরিনত হয়েছিল কাগুজে বাঘে। বংগবন্ধুর মত নেতাই সেটা থেকে বিচ্যূত হওয়া শুরু করেছিলেন। সংবিধানে কেন ধর্মের কথা ঢোকাতেই হবে? সব ধর্মের সমাধিকার জাতীয় গালভরা কাগুজে ধারার কোন প্রয়োযন নেই। সংবিধান হবে পুরোপুরি ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত। শুধু সাধারন মানবাধিকারের ধারায় সব নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের সম্পূর্ন স্বাধীনতা থাকবে, সেটা যতক্ষন না সংবিধানের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক হয়।
@আদিল ভাই,
খুবি ন্যায্য কথা বলেছেন ব্রাদার। কিন্তু সমস্যা হল এই যে বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ, এইটা চাইবে না, মানে ধর্ম এরা রাখার পক্ষপাতি। যারা পক্ষপাতি না তাদের মনে হয় হাতে গুনে ফেলা যায়। অনুপাত টা খুবই, খুবই অসম।
@অর্ফিউস,
এইবার আসল পয়েন্টে আসছেন। এই কথার ওপর আর কথা থাকতে পারে না।
বাস্তব অবস্থা যেখানে এই সেখানে এসব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, লেখালেখি এসবই আসলে অর্থহীন।
সংবিধান ধর্মের আছর মুক্ত করা যাবে না কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা যাবে, জামাত শিবির আইনী ঘোষনাতেই নিষিদ্ধ হয়ে দেশ মুক্তিযুদ্ধের জিগিরে মেতে যাবে এই রকম অবাস্তব ভাবনা আমরা বাংগালীর পক্ষেই মনে হয় কেবল ভাবা সম্ভব।
চুড়ান্তভাবে সবই অর্থহীন। খামোখা সময় নষ্ট,যা হবার তা হবেই। তার চাইতে সেটা সহজে হতে দিন,পুরোপুরি ধর্মীয় সমাজ গড়তে দিন, তাতে যদি লোকের মতিভ্রম কাটে।
@আদিল ভাই,
কিন্তু সব ধর্মীয় দলকে নিষিদ্ধ করার কথা মনে হয় না আওয়ামী এবং তথাকথিত কিছু প্রগতি বাদী সমাজতন্ত্রীরাও চিন্তা করতে পারে না আজকাল। মুক্তি যুদ্ধের জিগিরে মাতবে এমন দুরাশা করি না, যেখানে উন্নত বিশ্বেই এখনও নিও নাৎসি রা সংখ্যা ক্রমাগত নাকি বেড়ে চলেছে!! সেখানে আমাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। তাবলে কি যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়েই এগুতে হবে? নিশ্চয়ই তা নয়।
এইটা কি আদৌ হবে? আজ থেকে কত বছর পর? বাংলাদেশ যে পুরা আফগান হবে এমন চান্স দেখি না। তবে আরো যে অধঃপাতে যাবে সেটা বুঝি। আর যদি আফগান হয়েই যায়, সব কিছু নষ্টদের দখলে চলেই যায়, সেখানে আমাদের কি হবে? যেমন ধরেন আমি। ইসলামী রাষ্ট্রে মনে হয় না টিকে থাকতে পারব।
আচ্ছা আমার মত আধা মুসলিমের কথা বাদ দেন, পুরা মুসলিমদের মধ্যে বেশিরভাগই পারবে না। তবে সমস্যা হল যে তাদেরকে ঠেলা টা বুঝাতে যদি সত্যি বাংলাদেশ আফগান হয়ে যায়, তবে আমরা যারা মোটেও শরিয়া চাই না, তাদের কি শুধুই এই দেশে জন্ম হবার আজন্ম পাপে সব মুখ বুঝে মেনে নিতে হবে?জানি প্রতিবাদ করে, অন্তত ব্লগে প্রতিবাদ করে কোন লাভ নেই। বাসতবে ইসলাম কে শরিয়া কে কাটাছেড়া করতে যান, নুন্যতম মুরতাদ উপাধী থেকে সর্বোচ্চ গনধোলাই আর জেল। দেশ ইসলামী হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না, একমাত্র সাজা ফাঁসী, তবে কি করা যায় বলেন? তাই মনে ঝাল একটু মিটাই। অক্ষমের আহাজারি আর কি।
মানে আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, এতে বি এন পি আবার নির্বাচিত হয়ে,আবার যে নতুন কোন ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল্কে বৈধতা দেবে না, এবং এর পরে আবারো নতুন জামাত তৈরি হবে না, এরও কন নিশ্চয়তা নেই। তাই মনে হয় ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দিকেই আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশ কে।
সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণটি ভাল লাগল।
@গীতা দাস,
অনেক ধন্যবাদ গীতাদি। আপনি যে সময় নিয়ে কষ্ট করেএটা পড়েছেন এতেই আমি এটাই আমার জন্য অনেক বড় কিছু। (F)