আমার একটা ইঁচড়ে পাকা ছাত্র, যার সাথে গাঞ্জাগরন এবং হেফাজত ইস্যুতে আমার মাঝেমাঝেই কথা কাটাকাটি হয়
আমার ছাত্র সেদিন আমাকে বলিল,

ছাত্রঃ
ভাইয়া হেফাজত নাকি ২৪ তারিখে আবার আসছে… আসুক।
যতই লাফালাফি করুক এই দেশে জামাতের আর ভবিষ্যৎ নাই। আমাদের গণজাগরণ মঞ্চ আজ সম্পূর্ণ সফল

আমিঃ
কিসের গাঞ্জাগরণ, কিসের সফল, নাস্তিক পলাপাইনরা হারাদিন নাইচ্যা কুইদ্যা ফ্রি ফ্রি বিরনী খাইয়া আমার গুষ্ঠি উদ্ধার করসে। সফল হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের মুজাহিদদের আন্দোলন।
নাস্তিকদের ঝাটিয়ে বিদায় করেছে।

ছাত্রঃ
ভাইয়া, নাস্তিক টার্মটা ব্যবহার করবেন না।
শফিক রেহমান আর ফরহাদ মাজাহারের মত নাস্তিকদের নিয়া আপনারা “নাস্তিকতা বিরোধী ইসলামী আন্দোলন” করেন।
আমরা কি বুঝি না, কার পারপাস সাভ করতেসেন আপনারা……

আমিঃ
ফরহাদ মাজাহার নাস্তিক তোমার কাছে প্রমাণ আছে ?
উনি প্রগতিশীল…
প্রগতীর আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন

ছাত্রঃ
আমি জানতাম আপনি এই কথাটাই বলবেন… কিন্তু সমস্যাটা ফরহাদ মাজাহারের ধর্মীয় বিশ্বাস না।
সমস্যা হচ্ছে নিজে ধর্ম বিদ্রুপকারী হয়ে নাস্তিকদের বিচার চাওয়া

এই বলে আমার ছাত্র আমাকে মাজাহারের একটা বই (‘এবাদত নামা’ কাব্য গ্রন্থ) বের করে দেখালো

“বিবি খদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি:
বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খদিজার নাম নেবো।
প্রভু, অনুমতি দাও। গোস্বা করিও না, একবার
শুধু তাঁর নামে এ পদ্যখানি লিখিব মাবুদ ।

নবীজীর নাম? উঁহু, তার নামও নেবোনা মালিক
শুধু খদিজার নাম- অপরূপ খদিজার নামে
একবার দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব
তোমাকেও ভুলে যাব ভুলে যাব নবীকে আমার।”

সেই ফরহাদ মাজাহার যখন হেফাজতে ইসলামের মঞ্চে ওঠে, টিভিতে নাস্তিকদের ফাঁসির দাবিতে বক্তব্য দেয় তখন কেন আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয় না ?

আমিঃ
যাই হোক, তোমার আজকে এত দিন পরে কেন মনে হইল গণজাগরণ মঞ্চ সফল ?
কাদের মোল্লার ফাঁসীর কারণে ??
তুমি কি জানো এই কাদের মোল্লা একাত্তরের কাদের মোল্লা না ?

ছাত্রঃ
হ্যা ভাইয়া মনে আছে, গোলাম মাওলা রনি বলেছিলেন এই কাদের মোল্লা সেই কাদের মোল্লা না, তবে এইখানেই শেষ না। সাইদীর ফাঁসির রায়ের পর ড. আসিফ নজরুল বলাছিলেন এই সাইদী সেই সাইদী না।
গুঞ্জন আছে সাকা চৌধুরীও নাকি সেই সালাউদ্দিন কাদের না।
খুবই ভালো কথা, কিন্তু ভাইয়া সমস্যাটা হলো মুক্তমনার এই লেখাটা

“কসাই কাদের আর মোল্লা কাদের নাকি এক ব্যাক্তি ছিলেন না; বীরাঙ্গনা মোমেনা বেগম আমায় ক্ষমা করবেন…”

পড়েন।

আমিঃ
একটা রায় তোমাদের পছন্দ হইলো না তোমরা আইন চেঞ্জ করলা,
তারপর সেই আইনে নিরপরাধ মানুষটার বিচার করলা।
আর সেটা নিয়া এত বীরত্ব !!!

ছাত্রঃ
ভাইয়া আইনের বিশ্লেষণে আমি যাবো না,
আপনি বরং মুক্তমনার এই লেখাটা

“দি কিউরিয়াস কেইস অফ কাদের মোল্লা এবং সাক্ষী মোমেনা”
https://blog.mukto-mona.com/?p=38581

পড়েন।

আমার কথা একটাই যেই লোকটা হাজার হাজার মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করলো।
বিভিন্ন জায়গায় দম্ভ ভরে স্বীকার করল কৃতকর্ম।
যার খুনের একাধিক চাক্ষুষ সাক্ষী আছে, যার ধর্ষণের বীজ নিয়ে আজও নির্যাতিতা বেঁচে আছে।

এই স্বাধীন রাষ্ট্র কি শহীদ পরিবারদের দিকটা একবার দেখবে না ?
সব মানবাধিকার শুধু খুনিদের ??
এটাই কি আপনাদের শিক্ষা ?

আর
আজ যদি আপিলে কাদের মোল্লা বেকসুর খালাস পেত,
আপনার কি মনে হয় সে এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের আইন, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতো। ??
কক্ষনো না,

তবে এটা আমি বুঝি আপনি বুঝবেন সেটা আমি আশাও করি না।

আমিঃ
হাম্বালিগ একটা কাম করল… লক্ক লক্ক নিরীহ মুমিন হেপাজতিদের মেরে মাসাকার কৈরা দিল।

ছাত্রঃ
কি যে কন ভাইয়া, লক্ষ লক্ষ মানুষ আপনি বুঝেন ?
হেফাজতের সমাবেশে এত লোক হইতেই পারে না, অসম্ভব

আমিঃ
তুমি কি জানো ? পিচ্চি ?
আমি ফেচবুকে বাঁশের কেল্লার ছবি দেখছি,
আহারে নিরীহ মানুষ গুলোকে এভাবে মারল…… জালেম সরকার …….

ছাত্রঃ
ভাইয়া বাঁশের কেল্লার ছবি গুলা একটাও এই দেশের না,
সব মায়ানমার ভুটানের দেখেন “জাগরণ মঞ্চের” পেইজে সব পরিস্কার করে দেয়া আছে।
এই বলে আমার ছত্রাক তার স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব খানা হইতে কিছু ছবি বাহির করিয়া দেখাইল ….

আমিঃ
তাইলে তুমি কি কইতে চাও ? কয়জন মরসে ?

ছাত্রঃ
ভাইয়া মতিঝিলে হেফাজতের মোট ৭ জন এবং পুলিশ র‍্যাবের ৩-৪ জন মারা গেছেন ।

আমিঃ
ফাইজলামি !!
কম কইরা হইলেও হাজার দুয়েক তো অবশ্যই মরসে…..

ছাত্রঃ
ভাইয়া আপনি তো সাভার থাকেন ?
রানা প্লাজা ট্রেজিডির পরে অধরচন্দ্র স্কুলের মাঠেও গেসেন তাই না ?

আমিঃ
হ্যা, তাতে কি প্রমাণ হয় ?

ছাত্রঃ
ভাইয়া আপনি তো দেখেছেন, আমি যেতে পারিনি।
কিন্তু টিভিতে দেখি হাজার হাজার স্বজনের আহাজারি,
কৈ মতিঝিলে যদি হাজার মানুষ মরত তাদের আত্মীয় স্বজন কৈ ?

আমিঃ
ওরা মারদ্রাসার এতিম পোলাপাইন আত্মীয় আর কয়জনের আছে ……
আর বিরোধী মিডিয়া, সব গুলা ইসলামিক মিডিয়া তো বাকশালি সরকার বন্ধই কৈরা রাখসে…..

ছাত্রঃ
ভাইয়া সেখানে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা বলছেন কোন গুলি চালানো হয় নি।
রাবার বুলেট, গ্যাস বোমা এসব শুধু মারা হয়েছিল।

আর মিডিয়া,
ভাইয়া আপনি না বলতেন হেফাজত জামাতের বিপক্ষে, দিগন্ত টেলিভিশন তাইলে হেফাজতরে কভার করত ক্যান ?
তখন কিন্তু দিগন্ত ছিলো

আর ভাইয়া সবগুলো ইসলামিক মিডিয়া বন্ধ কথাটা ভুল,
আমি আজকেও একটু আগে পিস টিভি বাংলা দেখছিলাম…

আমিঃ
ওইটা তো ইন্ডীয়ান….

ছাত্রঃ
তাতে কি ইসলামিক তো, ইন্ডিয়ান বলে ডিজনি চ্যানেল কি বন্ধ হয় নাই।
প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামী মিডিয়া চলছে কি না ……

আর আপনি যেই কথা গুলা বলতেসেন, ভেবে বলতেসেন ?
হাজার খানিক মানুষ মারা গেলে আহত হয়েছে কমপক্ষে লাখ খানেক….

এনাম মেডিক্যালের মত অবস্থা দেখিনা ক্যান ?
ঘটনার পর বারডেমে সিট ফাঁকা ছিলো জানেন ……

আমিঃ
তুমি কি জানো, কতটুকু জানো ??

ছাত্রঃ
ভাইয়া,
এভাবে কথা বলাটাই আপনাদের সমস্যা কথার উত্তর দিতে না পারলে আপনাদের গলা বড় হয়ে যায়।

পারলে DMP কমিশনারের সংবাদ সম্মেলনটা দেখবেন, দুইটা টিভি চ্যানেল পুরো ঘটনা লাইভ টেলিকাস্ট করেছে,
হাজার মানুষ মেরে ফ্যালা এত সহজ না ……

আমিঃ
শাহাবাগীদের এই আন্দোলনে আমিও থাকতাম,
যদি রাজনীতি না থাকতো, নাস্তিক না থাকতো।
দেশে কি শুধু একটা সমস্যা ?

সীমান্তে হত্যা,
পদ্মা সেতু,
সাগর-রুনি,
ইলিয়াস আলী,
চাইলের দাম,
তেলের দাম……..

আরও অনেক কিছু।
এগুলা নিয়া কথা বললে শাহবাগ যাইতাম

ছাত্রঃ
জি না ভাইজান, আপনি যাইতেন না
আজকে মানুষ সীমান্ত হত্যা নিয়া মাঠে নামলে
আপনি আপনার টুপি খানা উল্টা কইরা পইরা বলতেন দেশে কি শুধু একটা সমস্যা ?

পদ্মা সেতু,
সাগর-রুনি,
ইলিয়াস আলী,
চাইলের দাম,
তেলের দাম
আর রাজাকার তো আছেই…..

শুধু ব্যাক্তি স্বার্থে আপনার জেনে বুঝে আন্দোলনের বিরোধিতা করছেন।
শাহবাগ আন্দোলনের ভুমিকা কি তার উত্তর ইতিহাস দেবে ।
শাহবাগ যোদ্ধারা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।

এই আন্দোলন নিয়ে গবেষণা হবে,পাঠ্য বইয়ে স্থান নেবে শাহবাগ।

বরং প্রস্তুতি নিন, আপনার নাতি নাতনীদের নিজের ভুমিকা নিয়ে কী বলবেন?
ওরা আপনাকে ঠিকই জিজ্ঞেস করবে,
সে সময় তুমি কী করেছিলে ?

আমিঃ
দেখো, এখানে ইমোশনাল হবার কিছু নাই,
দেশ আর ধর্মের মাঝে আমি ধর্মকে বেছে নিয়েছি।
সবার আগে ইসলাম,
হিন্দু আর নাস্তিকদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে হাশরের ময়দানে আল্লাহ্‌র সামনে আমি দাঁড়াতে পারবো না।

ছাত্রঃ
সেটাই ভাইয়া,
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মুকিযোদ্ধারা ছিল নাস্তিক আর হিন্দু (সংগ্রাম ৩ আগস্ট)।
আমাদের মেয়েরা ছিল গনিমতের মাল (সেইসব পাকিস্তানি, উইটনেস টু সারেন্ডার)।

নাস্তিক নাস্তিক বলে আপনারা তিরিশ লক্ষ মেরেছিলেন।

জাহানারা ইমামের আন্দোলন ছিল নাস্তিকদের আন্দোলন,
আজকের শাহাবাগীরাও নাস্তিক।
এই দেশে যেই জামাতের দিকে আঙুল দিয়েছে সেই নাস্তিক।

নাস্তিকতার নামে ধর্ষক আর খুনিদের সমর্থন দিচ্ছেন………

আমিঃ
দেখ হেফাজতে ইসলাম আর জামাত কিন্তু এক না… আল্লামা শফী পরিস্কার বলেছেন;

“আপনারা হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বদলে বুকে গুলি করে আমাকে মেরে ফেলুন। এই ভিত্তিহীন অভিযোগ শুনে ধৈর্য ধরে রাখতে পারি না। কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। আপনারা নব্য জামায়াতবিরোধী, নব্য মওদুদীবিরোধী। এই গোমরাহ গোষ্ঠীর জন্মলগ্ন থেকেই আমরা কওমি চিন্তার আলেমসমাজ তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে আসছি। জামায়াত ও মওদুদীর ইসলামবিরোধী সব তথ্য আমাদের মতো করে আর কেউ এত বেশি জানে না। তাই দয়া করে আমাদেরকে জামায়াতের সঙ্গে তুলনা করবেন না।”

ছাত্রঃ
যদি সত্যিই জামায়াতের সাথে হেফাজতের কোন সম্পর্ক না থাকত
তাহলে হেফাজতের মঞ্চে সাইদীর মুক্তির দাবীতে শ্লোগান দিল কারা ??

আসেন একটু অনলাইনে ঘেঁটে দেখি হেফাজতের সাথে জামাতের কোন সম্পর্ক আছে কি না

“যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে প্রচুর টাকা ঢালা একটি এনজিও হচ্ছে রাবেতা আল ইসলামী যার কান্ট্রি হেড ছিল জামাত নেতা রাজাকার মীর কাসেম আলী, রাবেতার অঙ্গ সংগঠন মাসিক আল-হক্ব পত্রিকা, এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক এবং রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বর্তমান বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান “আল্লামা সুলতান যওক নদভী”। আর এই “আল্লামা সুলতান যওক নদভী” হচ্ছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর”

এই কথা আপনার জন্য হজম করা কষ্টকর তাই জামাত সমর্থিত পত্রিকার থেকেই প্রমাণ করব আমার কথাগুলো

পয়েন্ট নাম্বার একঃ “মীর কাসেম রাবেতা আল ইসলামীর কান্ট্রি হেড”

ছাত্র শিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয়সভাপতি হয় মীর কাশেম আলী। এরপর রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নামে “রাবেতা আল ইসলামী” গড়ে তুলে। কক্সবাজারে এই রাবেতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আসে। “রাবেতা আল ইসলামী”র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদে ছিল কাসেম আলী। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সাহায্যের নামে আনা এই টাকায় রাবেতা হাসপাতালও করা হয়েছে। যেখানে ইসলামী জঙ্গিসহ রোহিঙ্গা ইসলামী জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা জঙ্গিদেরকে দেশে প্রশিক্ষণ ও বিদেশে পাঠিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে মীর কাসেম আলী সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। আর এই রাবেতার মাধ্যমে আসা কোটি কোটি টাকা দিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থ সহায়তা এবং জামাতে ইসলামীকে অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোর জন্য মীর কাসেম আলী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে এমন তথ্য রয়েছে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও। …..”

তথ্যসূত্র :
*মুক্তিযুদ্ধ কোষ/৩য় খন্ড (সম্পাদক : ড.মুনতাসীর মামুন)
*http://www.amarblog.com/
*mamun311/posts/150639
*এছাড়া গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে “True History Of Liberation War 1971″ এবং “স্লোগান’৭১”এর পক্ষ থেকে বিলিকৃত লিফলেটে “রাবেতা আলইসলামী” এর অঙ্গ সংগঠন “রাবেতা-তাওহিদ ট্রাস্ট” কে জামায়াত ও শিবিরের সদস্য দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করে বর্জনের আহ্বান জানিনো হয়েছে।

ভাইয়া “রাবেতা” নামটা মনে রাখেন…

পয়েন্ট নাম্বার দুইঃ “রাবেতা আল ইসলামী এনজিও’র বিনিয়োগের একটা পত্রিকা মাসিক আল-হক্ব“ মাসিক আল হক্বের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক,দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার মহাপরিচালক ও রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান আল্লামা সুলতান যওক নদভী

তথ্যসুত্রঃ
*দৈনিক ইনকিলাবঃ http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?id=92422&&+page_id=+5 “
*দৈনিক নয়া দিগন্তঃ http://www.dailynayadiganta.com/new/p=122600 “
*সাপ্তাহিক সোনার বাংলাঃ http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=8506 ″

সব কিন্তু জামাতের পত্রিকা

পয়েন্ট নাম্বার তিনঃ “মাসিক আলহক্বের সম্পাদক এবং রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বাংলাদেশ ব্যুরোর বর্তমান প্রধানই হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর”

তথ্যসুত্রঃ
*দৈনিক সংগ্রামঃ http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=110214″
*দৈনিক নয়া দিগন্তঃ http://www.amardeshonline.com/pages/printnews/2013/02/22/189070

এবার আপনারাই বলেন রাজাকার মীর কাসেমের উত্তরসুরী হেফাজতে ইসলাম কি জামাতের অঙ্গ কি না ?

আমিঃ
কিন্তু আল্লামা শফী তাকে নিয়ে কি বলবে ?

ছাত্রঃ
ভালো বলেছেন, আসেন দেখি কে এই শফি, কোথায় ছিলেন যুদ্ধের সময় ??

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী একাত্তরে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সহায়তা করেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চবিরোধী হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীকে ‘রক্ষার’ অভিযোগ আসার পর একাত্তরে সংগঠনটির আমিরের ভূমিকা তুলে আনলেন সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান।

“একাত্তরে যখন পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসররা এ দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছিল,
তখন হেফাজতের নেতারা কোথায় ছিলেন?

“হেফাজতের নেতা আহমদ শফী একাত্তরে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা আর রাজাকারদের সব কাজে সহযোগিতা করেন।”

আহমদ শফী এখন পাকিস্তানের দোসরদের রক্ষার ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন বলেও দাবি করেন ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান।

আচ্ছা ভাইয়া;
কাবা শরীফের গিলাফেরর অপব্যবহার করে সাঈদীর মুক্তির ভুয়া মানববন্ধনের ছবি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরেও
কি হেফাজত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিয়েছিলো,
একটা শ্লোগান উচ্চারিত হিয়েছিলো ??

তারা তো তখন আমার-দেশের সম্পাদক মাহমুদুরের মুক্তির জন্য শ্লোগান দিতো…

আমিঃ
বাদ দাও ভাই… এই সব রাজনীতি নিয়া কথা না বলাই ভালো।
ক্যালকুলাস বই বাইর কর,

আর যা গরম এসিটা ছাড়ো…..

এই শীতেও আমার ঘাম বের হতে থাকে, এ যুগের ছেলেদের সাথে কথায় পারিনা ………