মূলধারার পত্রপত্রিকায় এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও আমরা সবসময় সমাজ ব্যবস্থার বা রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অথবা সরকারদলীয়দের কাজের প্রচুর সমালোচনা হতে দেখি। খুব কমই উদ্যোগ বা সমাধানের কথা আসে পত্রিকায় এমনকি অনেক মৌলিক কাজ আছে যা বিশ্ববাসীকে চমকে দেয় অথচ আমাদের দেশের মূলধারার মিডিয়ার চোখ এড়িয়ে যায় আর কিছু যদি মিডিয়ার চোখে পরে তবুও সরকারের অবহেলার শিকার হয়ে অঙ্কুরেই বিনিষ্ঠ হয়ে যায় অথবা বহির্বিশ্বে মেধাটি পাচার হয়ে যায় [যেমন ২০০৫/৬ সালের আমাদের ভার্সিটির (চুয়েট-CUET) রাজীব ভাইয়ের উড়ুক্কু গাড়ির আবিষ্কার আন্তর্জাতিক এক প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বে ৩য় হয়েছিল, এখন দেখি ‘টিএফ-এক্স’ নামে নতুন আরেকটি উড়ুক্কু গাড়ির নকশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেরাফুগিয়া। রাজীব ভাইকে তখন ঐ কম্পিটিশনের ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতেই ইউএসএ(USA) যেতে দেয় নি সরকার আজ তিনি যতদূর জানি বাইরে থাকেন…]; তবে এইক্ষেত্রে ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে দেশের সমস্যা সমাধানে মৌলিক ভাবনার একটা আদর্শ মাধ্যম কেননা এইখানে কারও একান্ত ব্যক্তিগত কোন উদ্যোগ বা আবিষ্কার অথবা ভাবনা পাঠকের মতামতে এবং যুক্তি-তর্কে যাচাইয়ের পর দুর্বলতা থাকলেও তা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে সার্থক একটা ভাল উদ্যোগে।
দেশে অনেক তরুণ ব্লগার আছে যাদের প্রায় সবার মাঝেই একটা ইউটোপিয়ান স্বপ্ন রাজ্যের কল্পনা কাজ করে। “Basically if you’re not a Utopianist, you’re a schmuck” বলেছেন Jonathan Feldman!বেশীরভাগ বা অনেক ব্লগারই নিজেদের মনের মত একটা স্বপ্ন রাষ্ট্রের কল্পনা করে বলে আমার ধারণা। তাই কোন বিষয়ের সমালোচনা বা বিরুদ্ধাচার অথবা কঠোর সমালোচনা কোন সমাধান নয় মাথায় রেখেই আসুন আমরা এমন কিছু করি যা হয়তো জীর্ণ-শীর্ণ এই সমাজকে পাল্টে দিতে সক্ষম হবে অথবা অন্তত পাল্টে দিতে স্বপ্ন দেখাবে। আজ সবাই রাজনীতিকদের কঠোর সমালোচনা করি আমারতো মনেহয় তাও একই উদ্দেশ্যে। তেমন ঘৃণায় আর সমালোচনায় কি কোন পরিবর্তন এনেছে এই সমাজের? তাই আমাদের সবাইকেই উদ্যোগী হতে হবে এই দেশটির (এই পৃথিবীটির জন্যেও…) জন্যে কাজ করতে হবে। আমরা যদি তথাকথিত সুশীল সেজে সমালোচনার ঝর বইয়ে দেই তবে দেশের কোন লাভ হবে না, তারচে আপনার-আমার একটা উদ্যোগ একটা আবিষ্কার বা আইডিয়া হয়তো দেশটিকে সামনে এগুতে বহুলাংশেই সাহায্য করবে অথবা সরকারকে বা জনগনকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে বা স্বপ্ন দেখাবে (কাজ না হলেও ক্ষতি নেই কেননা কারও সমালোচনায় ও তো কাজ হচ্ছে না, কেউ কেউ না হয় ভিন্নভাবে চেষ্টা করে দেখল)।
আমি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রস্তাব করেছি গত ব্লগে আজ সেই ফাউন্ডেশনের একজন হয়েই প্রথমে কিছু প্রস্তাবনা বা আইডিয়া তুলে ধরতে চাই। হয়তো সবগুলোই নিতান্ত ছেলেমানুষিপূর্ণ স্বপ্নবিলাস অথবা যথেচ্ছাচার কিংবা প্রগালাপ কিন্তু আমার কাছে সমালোচনা থেকে এমন কিছুই বেশী পছন্দের। কেননা তথাকথিত সুশীলবাজী নৈতিকতার বুলি কপচানো বা গতানুগতিক রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ বিদ্বেষমূলক লিখা আমার কাছে নির্ভেজাল হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই নয় কেননা তা অনেকটা আবর্জনার মধ্য থেকে বের না হওয়ার প্ল্যান করে আবর্জনা ছুড়াছুড়ি করার মত দেখায়। এইবার ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’-এর প্রস্তাবকর্তা হিসেবে একান্ত নিজের কিছু গবেষণালব্ধ (হতে পারে তা অনেকের কাছেই হাস্যকর…) ফলাফল আপনাদের কাছে কয়েকটি পর্বে উপস্থাপন করব। যার জন্য ব্যক্তিগত গবেষণার প্রথমে সমসাময়িক আর্থসামাজিক সমস্যাবলীর একটা তালিকা করেই তার উপর কাজ করেছি। সমস্যাবলীর দিকে একনজর চোখ বুলিয়ে নিই-
১) সর্বগ্রাসী দুর্নীতি
২) পদ্মা সেতুর নিজস্ব (দেশীয়…)অর্থায়ন
৩) তীব্র যানজট (বিভাগীয় বা কিছু কিছু জেলা সদরগুলোতে…)
৪) বেকারত্ব
৫) দারিদ্রতা
৬) জনসংখ্যা সমস্যা
৭) সন্ত্রাস এবং বিপথগামী ছাত্র ও যুব রাজনীতি
চলমান পোস্টটিতে আমি ১ম সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব এবং ক্রমান্বয়ে আগামীতে বাকি ৬ টি মূল (এই তালিকাটি কোনপ্রকার গুরুত্বের ক্রমে সাজানো হয়নি আমার পোস্ট দেয়ার ধারাবাহিকতায় সাজানো হয়েছে…আমার কাছে কোনটার গুরুত্ব কম নয়!!) রাষ্ট্রীয় সমস্যার ব্যক্তিগত গবেষণায় প্রাপ্ত সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব। আশাকরি পাঠকেরা আমার লিখার গঠনমূলক সমালোচনা করে আমার ক্ষুদ্র স্বপ্নবিলাসীতাগুলোকে জনকল্যানকর একটি কাজে পরিণত করতে সাহায্য করবেন।
-
১) সর্বগ্রাসী দুর্নীতিঃ
দুর্নীতি কি বা কেমন সমস্যা? সেই আলোচনা করে আপনাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করব না সরাসরি আমার প্রস্তাব বা ভাবনায় যাব কেননা এই সর্বনাশা সর্বগ্রাসী সমস্যাটি নিয়ে আজ দেশ সবচে বেশী ভুগছে বলে আমার ধারনা তাই সবাই অনেক জানেন ব্যাপারটা সম্পর্কে। এইবার দেখি তাবৎ দুনিয়া জুড়ে দুর্নীতির বিরদ্ধে রাষ্ট্রীয় হাতিয়ারগুলোর দিকে; দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) বা একই ধারনার কোন দুর্নীতি দমন মুলক প্রতিষ্ঠান (Anti Crime Organization/Commossion) এবং অতঃপর মূলধারার অথবা বিকল্পধারার কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আলাদা বা সমন্বিত কোন আলাদা বাহিনীর কার্যকলাপই এমনসব সমস্যার মুকাবিলা করে থাকে। সকল ধরনের মূলধারার (পুলিশ বা সিভিল প্রশাসন…) বা বিকল্পধারার (ডিফেন্স সার্ভিস বা স্পেশাল বাহিনী…) কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মুলত তাদের আইন প্রয়োগ করে ১০-১২% কোন কোন ক্ষেত্রে ১৫% অথবা ২০% (উন্নত বিশ্বে…) দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রন করতে নিয়োগ করা হয় কিন্তু আমাদের সমাজের দিকে তাকালে আমরা কি দেখতে পাই? আমাদের সমাজের কর্মক্ষম মোট জনগণের বেশীরভাগ মানুষই প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত, এই পরিমাণটা আসলেই সঠিকভাবে নিরূপণ করা কষ্টসাধ্য না প্রায় অসম্ভবের মত। তাহলে কি আমাদের মত দরিদ্র দেশের অপ্রতুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের সীমিত সম্পদে এই বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর এমন সমস্যার কোন সমাধান করতে পারবে না? ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। এইবার আমি আমার আইডিয়াটা ব্যাখ্যা করব। একটাই স্লোগান আশাকরি তা শুধু বাংলাদেশের না তাবৎ দুনিয়ার সকলপ্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচে বড় হাতিয়ার হবে। আর তাহলঃ
“দুদক হবে ঘরে ঘরে
দুর্নীতির নির্মূল চিরতরে”
কীভাবে, কেন কাজ হবে?
আইডিয়াটির মুল শক্তিই দেশের তরুন সমাজ যারা আজ ফেসবুকে অনলাইনে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন দুর্নীতি সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বা অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে। তারাই হবে এই দুর্নীতি বিরোধী যুদ্ধের মুল শক্তি বা যুদ্ধা। তারা কয়েকজন মিলে (হতে পারে চাচাতো-ফুফাতো-মামাতো-খালাতো ভাইবোনদের সমন্বয়ের একেকটা দল…হতে পারে পাড়া ভিত্তিক বন্ধুদের সমন্বয়ে বা অন্য যেকোন উপায়ে ) অণু বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুদক গড়ে তুলবে সমাজের ক্ষুদ্রতম একক পরিবারে পরিবারে যারা নিজেদের পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে বাধ্য করবেঃ
ক) সবরকম দুর্নীতি বা অনৈতিক উপার্জন থেকে দূরে থাকতে বলবে
খ) সরকারকে কর দিতেও বাধ্য করবে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে যদি আওতায় আসে
গ) মাসিক আয় ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে সন্তানদের বা পরিবারের বাকিদের কাছে
ঘ) আভিজাত্য নয় ন্যায়বান ও সততাপরায়ন উপার্জন মুখ্য বলতে হবে।
দলের সদস্যরা নিজেরা যা যা করবেঃ
ক) আয় ব্যায়ের হিসেবে নিজেদের চাহিদা (জামা-কাপড়-গাড়ি-গহনা-বিলাস পন্য ইত্যাদি…) জানাবে
খ) এমন কোন কিছু উপার্জনক্ষম ব্যক্তির উপর চাপায় দেয়া যাবে না যা তিনি ন্যায়সঙ্গত আয় দিয়ে করতে পারবেন না
গ) অন্যকোন ব্যক্তির সাথে তুলনা করে উপার্জনক্ষম ব্যক্তির উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা যাবে না
ঘ) মনে রাখতে হবে নিজের পরিবারকে ন্যায়বান রাখতে ব্যর্থ কেউ অনলাইনে গলাবাজি করাটা নৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা।
আর এজন্যে মাদকতা বিরোধী কনসার্টের মত করে জেলা জেলায় অনুষ্ঠান আয়োজন করে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে এরুপ দল গঠনে প্রচারণা করতে হবে। কোন মা-বাবা-চাচা-ফুফু-খালা-মামা বা নিকটাত্মীয়রা এমনটা নিজের সন্তানদের কাছে শুনে লজ্জায় উপেক্ষা করতে পারবে না। আর যারা গৃহিণী তারাও হতে পারে এমন দলের সদস্য অথবা উপদেষ্টা বা পরামর্শক। গবেষণা মতে নারীরা কর্মস্থলে কমদুর্নীতিগ্রস্থ এবং অধিক মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন কেননা সন্তান মানুষ করতে গিয়ে তাদের ত্যাগ ও পরিশ্রম এমন মানবীয় গুণাবলী লাভ করে। মায়েরাও তাদের সন্তানদের সাথে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন সামাজিক আন্দোলনই পারে দুনিয়াটিকে পরিবর্তন করতে অন্যথায় কোন আইন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে এই ব্যাধিকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না। এর আরেকটা বড় সুবিধা হচ্ছে এইসব সন্তানেরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাবে তখন আর চক্ষুলজ্জায় বা নিজের বিবেকের বাধায় দুর্নীতির দিকে ঝুঁকবে না। একটা অপ্রিয় সত্য ঘটনা আমাদের সমাজের-
আমাদের সমাজের সবাই মুরব্বিদের সামনে ধূমপান করে না, প্রেমিকাকে আদর করে না, মদ্যপান করে না কিন্তু ঠিকই খোলা সত্যের মত ঘুষের টাকা তুলে দেয় ছেলে বাবার হাতে, জামায় বউয়ের হাতে, বউ জামায়ের হাতে, বাবা সন্তানের হাতে বা ভাই বোনের হাতে অথবা বোন ভাইয়ের হাতে। রিকশায় কোন প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে চুম্বনরত দেখলে সবার রাগে-ক্ষোভে গায়ে আগুন লেগে যায় কিন্তু পুলিশ থেকে বাসের হেল্পার, রাস্তার ঠিকাদার থেকে হাসপাতালের ডাক্তার, বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে আদালত পাড়ার উকিলসাব সবাই সবার মত করে দুর্নীতি করে যাচ্ছে। কারও ভ্রূক্ষেপ নেই, এই যেন স্বাভাবিক অথচ এই শিক্ষক-চিকিৎসক-প্রকৌশলী-ঠিকাদার-উকিল-ব্যাংকার সবাই বাসায় আড্ডায় রাজনীতিকদের দুর্নীতির জন্য কোন গালমন্দ করতে বাদ দেন না। আমি নিজে যদি শিক্ষক হয়েও দুর্নীতি করি তবে বাসায় সন্তানের সামনে সাধু সেজে রাজনীতিবিদদের গালমন্দ কতটা বিবেচনাপ্রসূত? এমন পরিস্থিতি সবার ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান।
তাই ধূমপান, মদ্যপান, প্রকাশ্যে চুম্বন থেকে দুর্নীতিকে অধিক অনৈতিক জ্ঞান করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া এই বিষবৃক্ষ থেকে সমাজকে মুক্ত করা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। ফেসবুকে -ব্লগে নীতি কথা বলে বা নৈতিকতার পক্ষে কথা বলে এমন মানুষের সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক (এইখানে উল্লেখ্য বাংলাদেশের ফেসবুক একাউন্ট আছে এমন মানুষের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ তাও ৪/৫ মাস আগের কথা!) এছাড়াও জাফর ইকবাল স্যারের গনিত অলম্পিয়াডের কয়েক লক্ষাধিক ছাত্র ছাত্রি আছে, অন্যদিকে আবু সাইয়িদ স্যারের আলোকিত মানুষ চাই পাঠাগারের পাঠকও আছে অনেক এদের মধ্যে অনেক কমন তরুনও আছে তারপরও মোট সংখ্যাটা ৫০ লক্ষাধিক হবে। এমন বিশাল জনগোষ্ঠী সমাজ থেকে ঘৃণাভরে দুর্নীতিকে বিদায় বলতে পারবে না আমি বিশ্বাস করি না।
“দুদক হবে ঘরে ঘরে
দুর্নীতির নির্মূল চিরতরে”
-এমন স্লোগানই যেন হয় এই এমন সর্বনাশা সর্বগ্রাসী সমস্যাটির সমাধান।
নোটঃ আগামী পর্বে ২) পদ্মা সেতুর নিজস্ব (দেশীয়…)অর্থায়ন এবং ৩) তীব্র যানজট (বিভাগীয় বা কিছু কিছু জেলা সদরগুলোতে…); সমস্যাদ্বয় নিয়ে একান্ত নিজের কিছু প্রস্তাব বা ভাবনা তুলে ধরব। এইসবই ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামের প্রস্তাবিত বা কাল্পনিক প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কিছু গবেষণার ফসল আর এমন প্রতিষ্ঠানটির ভাবনা এবং গবেষণার শুরু জুন’১৩ এর মাঝামাঝি থেকে। আপনাদের সবার সহযোগিতা ,উপদেশ বা পরামর্শ হয়তো এমন উদ্যোগটিকে সফলতার মুখ দেখাতে পারে। সবার সহায়তা কাম্য…
প্রাসঙ্গিক পূর্বের পোস্টটিঃ
“বঙ্গবন্ধুর ইউটোপিয়া ‘বাংলাদেশ’ গঠনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অনিবার্যতা”-একটি প্রস্তাব ও সম্ভাবনা”
(Y)
পুরো লেখাটিতেই রয়েছে এমন অনেক সুন্দর অবজার্ভেশন! আমাদের সমাজের তরুণেরা এমনভাবে চিন্তা করছে দেখলে খুব ভাল লাগে!
আপনার এমন মহৎ ইচ্ছাকে জানাই অভিনন্দন! সবাই স্বপ্ন দেখতে পারে না, যদিও স্বপ্নের বেসাতি করে কম-বেশী সবাই! আপনার স্বপ্নের জনকল্যাণকর কাজগুলো বাস্তবে পদার্পণ করবে একদিন, এই প্রত্যাশা থাকল!
বিঃ দ্রঃ আপনি লেখা প্রকাশের আগে সামান্য এডিটিং করে নিতে পারেন কিন্তু। তাহলে পাঠকের পাঠ আরও নিশ্ছিদ্র হবে!
@কাজি মামুন,
আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ পাশে থেকে প্রেরণা দেয়ার জন্য…
আর এডিটিং এর ব্যাপারটা আমি নিজেও ভেবেছি! লিখতে বসলে এক বসায় যা লিখি তাই পোস্ট দিয়ে দিতে হয় কেননা আপাতত আমার কাছে গাঁথুনি থেকে বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ !! যদিও আমি নিজেই এমন দুর্বল গাঁথুনির লিখা পড়তে পছন্দ করি না কিন্তু লিখায় আসলে তেমন পারদর্শী নই বলে আপাতত পাঠকদের মুলভাবটা দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি আর যেহেতু এইখানে আমি কোন সাহিত্য চর্চা করছি না আপাতত দেশের বর্তমান সঙ্কট নিরসনে কিছু ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা তুলে ধরতে চাচ্ছিলাম তাই সময়কম হওয়ায় মৌলিক ভাবনাগুলোকে বেশী সময় দিতে হচ্ছে লিখনির শিল্পমান বা কৌশলের দিকে নজর না দিয়ে…
আপনার সাজেশন বা আদেশ শিরোধার্য, আমি চেষ্টা করব আগামী পোস্ট থেকে যথাসাধ্য ভাল লিখনি উপহার দিতে… শুধু একটা অনুরোধ আমার লিখার লিখনি থেকে বিষয়টার দিকে বেশী নজর দিবেন আর সকল ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!!
@তারিক লিংকন, পুরো লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে এগুলো বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব? “ঘরে ঘরে দুদক” আপনার এই কথাটা ঠিক আছে। কারণ পরিবার থেকেই মানুষ নৈতিকতার শিক্ষা পায়। এসব এখন পরিবার থেকে উঠে গেছে। আমাদের স্কুল বেড়েছে, আগের চেয়ে ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি স্কুলে যায়। কিন্তু আসল শিক্ষাটাই হয় না। পথে টাকা পয়সা কুড়িয়ে পেলে সেটা কখনো নিজর জন্য নিতে হয় না, টাকাটার আসল মালিককে খুঁজতে হবে, না পেলে সেটা ভিক্ষুক অথবা কোন ধর্মালয়ে দান করতে হবে- এই ছিল আমাদের পারিবারিক নৈতিকতার শিক্ষা। ক্লাশ টেন পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার জন্য পাঁচ টাকা করে পেতাম। আমরা শহুরে মানুষ। বড় বড় রাস্তা পার হয়ে অনেকটা পথ হেঁটে স্কুলে যেতাম। রিকশায় যাবার ব্যাপারটা বাড়িতে কখনই গুরুত্ব দেয়নি। রোজার ঈদে শুধু জামা পেতাম। কোরবানীর ঈদে রোজার ঈদের পোশাকটাই পরে ঘুরতাম। এখন দুই ঈদেই ছেলেমেয়েরা জামা নেয়। দশ মিনিটের পথও হাঁটতে পারে না। রোজ ফাস্টফুডই খায় একশো টাকার। মোবাইল ফোনের বিলই দেয় রোজ একশো-দেড়শো…।
এরা পরবর্তী জীবনে চাকরির সীমিত পয়সায় চলতে পারবে না। ব্যবসায় অধিক লাভের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠবে। এখন যেমন এদের বাবা তাদের জীবনের এই স্বাচ্ছন্দের জন্য দু’নম্বরী-তিন’নম্বরী সবই করে চলেছে। পারিবারিক নৈতিকতার অভাব আমাদের দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়। জানেন তো, বিয়ের সময় ছেলের রোজগারপাতির খবর দিতে গিয়ে আমাদের সমাজে এভাবে বলার চল আছে, “ছেলে ভাল চাকরি করে। মাসে “উপরি-টুপরি” মিলিয়ে মন্দ না।” এই উপরি-টুপরি হলো সোজা বাংলায় ঘুষ। আর এটাই বিজ্ঞাপন হচ্ছে একটা যোগ্যতা হিসেবে!
সামাজিক যে আন্দোলনের কথাটা লিখেছেন সেটা আদৌ সম্ভব কিনা আজকের নগর জীবনের কথাটা মাথায় রেখে। যেখানে আমরা ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি প্রত্যেকের কাছ থেকে। আমার পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশিকেই চিনি না জানি না। অথচ বছরকে বছর একসঙ্গে থাকছি এই ফ্ল্যাটে!
ভাবনাগুলো ভাল। কিন্তু আমার কাছে এত সহজ মনে হয়নি। আমি মনে করি, রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর এসব অনেক বেশি নির্ভরশীল। উন্নত বিশ্বে কয়েক মিনিট বিদ্যু না থাকলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে রাহাজানি-লুটতরাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। মানে বলতে চাচ্ছি তারা যে খুব সভ্যভব্য তা নয়। কিন্তু একটা কঠিন নিয়ম আর সুশৃঙ্খলের মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়। রাষ্ট্র সেটা করতে বাধ্য করে। তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় দেখি বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই হঠাৎ সিধে হয়ে গেছে! পাবলিক তখণ আক্ষেপ করে বলে, এই তত্ত্বাবধায়কটাই রেখে দেই! …
অনুগ্রহ করে সম্পাদকেরা করার আগেই নিজে করে ফেলুন। আগের লেখাটা নিজ ব্লগে সরিয়ে নিন।
মুক্তমনা নীতিমালা
২.১৫। প্রথম পাতায় একই লেখকের একটির বেশি লেখা সমীচীন নয়। একটি লেখা প্রকাশিত হয়ে গেলে লেখককে অপেক্ষা করতে হবে, একটি লেখা যখন প্রথম পাতা থেকে চলে যাবে তখনই কেবল আরেকটি লেখা লেখক পোস্ট করতে পারবেন।
@সংশপ্তক,
আমি এই নীতিমালা সম্পর্কে জানি। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য…
বিপ্লব রহমানের ‘সুপ্রভাত বাংলাদেশ’ এবং ‘শঙ্খ যাইও বন্ধুর বাড়ি, শঙ্খ কইও আমি তারই…’ পোস্টদ্বয় ২৪ ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে প্রথম পাতায় ছিল!! আমি আমার পূর্বের পোস্টে যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তা প্রশমিত করতেই এই পোস্টটি আজই দিয়েছি!! আশাকরি চলমান পোস্টটি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন… ধন্যবাদ!!
@তারিক লিংকন,
উপরে সংশপ্তক নীতিমালা দেখিয়ে দিয়েছেন বলে এখানে আর উল্লেখ করা হল না। আপনার আগের পোস্টটি আপনার ব্যক্তিগত ব্লগে নিয়ে যাওয়া হল।
আপনাকে আগেও বোধ হয় জানানো হয়েছিল একবার। সামনে আশা করছি আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কেমন? 🙂
ধন্যবাদ।
-মুক্তমনা মডারেটর