শিরোনামে মূলত দুটি বিষয়ের কথা বলা আছে। প্রথমটি নিয়ে কি বলবো তা বেশ সহজোনুমেয় হলেও এর সাথে ‘বিএনপির জনপ্রিয়তা’ কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো তা নিয়ে বেশ ভ্রু কোচকানোর জোগাড় হতে পারে। পুরো লেখাটি পড়লে আশা করি এদের মধ্যে সম্পর্কটি পরিষ্কার হয়ে উঠবে।
বাঙ্গালির দ্বিচারিতাঃ
ফেসবুকের এই যুগে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের আপডেট বেশ সহজেই পাওয়া যায়।এই রমজানের শুরুতে হোম ফিডে দেখলাম আমার বন্ধুতালিকার একজন এক জনপ্রিয় নারী মডেলের একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে। আবেদনময়ী নারী মডেলটির স্ট্যাটাসটি অনেকটা এরকমঃ ‘এই রমজান মাসে কোন ফটোশুটের কাজ করবো না। ওপরওলার এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো’; কমেন্ট বক্সে দেখলাম অনেকেই আলহামদুলিল্লা,সুভান আল্লাহ ইত্যাদি কমেন্ট করছে। আবার আরেক নারী মডেলের স্ট্যাটাস দেখলাম এরকমঃ ‘আজকে দুটি ম্যাগাজিনের অফার পেয়েছি। রোজার মাসে এ তো মহান আল্লাতালার কুদরত’; ঈদের পর পূজা আসলে আবার দেখা যাবে অনেক হিন্দুধর্মাবলম্বী বন্ধুরা কলকাতার নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে কে মন্দিরে গিয়ে উলুধ্বণি দিচ্ছে কিংবা গড় করে প্রণাম করছে দেবী দুর্গাকে এরকম ছবি শেয়ার করছে আর ঈশ্বরের কৃপার প্রশংসায় মেতে উঠেছে।
উপরের প্যারা থেকে আমরা কতগুলো কনট্রাডিকশন লক্ষ্য করতে পারি। ১)মডেলিং (ধর্মপ্রচারকদের ভাষায় শরীর প্রদর্শন) কি ধর্ম দ্বারা স্বীকৃত? একজন রমজান মাসে শরীর প্রদর্শন করবেন না,ফলে কি বাকি ১১ মাস তার জন্য তার ধর্মমতে শরীর দেখানো জায়েজ হয়ে গেল?
২)যে সেলিব্রেটির জীবনাচরণে হিন্দু ধর্মের অন্য নিয়ম মানার কোন পায়তারা নেই তিনি একদিন গিয়ে মা দুর্গাকে গড় করে প্রণাম করলেই কি সে ধর্মের পথে আসলো? সে ধর্মাচারণের মডেল হয়ে গেল?
৩) রোজার মাস আসলে কি শুধু শোবিজের নারী তারকাদেরই ধর্মের পথে সাময়িকভাবে অবস্থান নিতে হবে? কোন পুরুষ সেলিব্রেটিকে বলতে শুনিনা এই রমজানে সিনেমার দৃশ্যে কাউকে চুমু খাবো না কিংবা জড়িয়ে ধরবো না। অর্থাৎ ছেলেদের ক্ষেত্রে ধর্ম মানার ক্ষেত্রে সমাজ বেশ ছাড় দিয়েছে বলা যায়। যেমন অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়-সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির পর সিগারেটে টান দেয়ার অনুভূতিই আলাদা। কথা হচ্ছে,সিগারেটে টান দেয়াটা কতটা ধর্মসম্মত?
৪)উপরোক্ত আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে বড় কনট্রাডিকশন হচ্ছে,যারা নিয়মিত এই ধর্মের কুদরতের কথা ফেসবুকে শেয়ার করে তাদের অধিকাংশই আবার ভার্সিটিতে প্রেম করে,মাঝে মধ্যে বন্ধুদের সাথে পানাহারেও যায়,কেউবা আবার রোজা রেখে সারাদিনটা পাড় করে দেয় হলিউডি মুভি দেখে।তার চেয়েও বড় কন্ট্রাডিকশন-রোজা রেখে সোয়াব আদায় করে সন্ধ্যায় ইফতার পার্টি করে ফেসবুকে রাতে বসে বন্ধু-বান্ধবীর জড়াজড়ি পার্টি ফটো আপ্লোড করে।
সবগুলো কন্ট্রাডিকশনকে একত্রিত করলে এক বাক্যে বলা যায়, বাঙ্গালিদের ধর্মাচরণ কতটুকু মৌখিক আর কতটুকু বাস্তবিক? কেউ যদি নিজের কাছে সৎ থেকে ধর্ম পালন করতে চায় তাহলে সে যে সেলিব্রেটির ধর্মপালনকে মাশাল্লাহ,ঈশ্বরের কৃপা বলে প্রচার করছে তাকে তো তার চেনারই কথা না!!!!! কিন্তু আপনি এই কন্ট্রাডিকশনকে এড্রেস করতে যদি সরাসরি কোন প্রশ্ন করেন তবে সেটিকে ইনিয়ে বিনিয়ে কিংবা সরাসরিই ‘ধর্মানুভূতি’তে আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়! নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি। এক ফেবু বন্ধু জার্মানির তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিলের প্রার্থনারত একটি ছবি শেয়ার করেছিল ফেসবুকে,ক্যাপশন অনেকটা এরকম-‘আল্লাহর ইবাদতরত অবস্থায় বিশ্ব কাপানো ফুটবলার-আমাদের ভাই-বল সুভানাল্লাহ’; আমি সেখানে মেসুত ওজিলের তৎকালীন গার্লফ্রেন্ড,যিনি কিনা জনপ্রিয় জার্মান মডেল,তার একটি নগ্নবক্ষা ছবির লিঙ্ক দিয়ে বলেছিলাম-এই হচ্ছে তোমাদের মুমিন ভাইএর গার্লফ্রেন্ড। ব্যাস। বাড়া ভাতে ছাই বলে কথা।এরপর মালাউন,ডান্ডি,মালুর ব্যাটা ইত্যাদি ইত্যাদি গালি বর্ষণ শুরু হয়ে গেল। ৯০% মুসলমানের দেশে থেকে কিভাবে আমি এক মুমিন মুসলমানের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারলাম-সেইটাই হয়ে গেল ঐখানকার প্রধান আলোচ্য বিষয়। অথচ কি করে একজন মুমিন মুসলমানের একজন টপলেস মডেল গার্লফ্রেন্ড থাকতে পারে সে নিয়ে তাদের কোন ভাবান্তর হতে দেখা গেল না।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে একটা স্ট্রেটলাইন উপসংহারে আসা যেতে পারে।সেটি হচ্ছে,ধর্ম হচ্ছে বাঙ্গালির ফ্যাশন। ফ্যাশন আমরা করি মানুষকে দেখানোর জন্য,ইউনিকভাবে সমাজে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য।বাঙ্গালির ধর্মকর্মও পুরোটা না হলেও অনেকটাই তাই। যেমন ধরা যাক-হিন্দুদের পরিবারের কেউ মারা গেলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাছ-মাংস বর্জনের নিয়ম। আমার দাদু মারা যাওয়ার পর আমি পরিবারে বিদ্রোহ করে বসলাম।আমার লজিক হচ্ছে,দাদু মারা গিয়েছে এই জন্য আমার ‘শোক প্রমাণ’-এর জন্য কেন আমাকে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানে আমি কতটুকু শোকগ্রস্ত সেটার মানদন্ড কি আমি মাছ-মাংস না খেয়ে আছি সেটা প্রদর্শন করা? আমার লজিকে পেরে উঠতে না পেরে মা বললেন-‘বাবা,এরকম করলে লোকে কি বলবে?’ হ্যা! এইখানেই হচ্ছে আসল কথা। লোকে কি বলবে।অর্থাৎ অন্তর্নিহিত ধর্মবিশ্বাস নয়,লোকে কি বলবে,সমাজ কিভাবে নেবে-এটাই রিচুয়াল পালনের প্রধান দায়বদ্ধতা!! অথচ,বিষয়টা শুধুই ‘বিশ্বাস’-এর উপর নির্ভর করলে লোকের বলাবলি কোন ফ্যাক্টরই হওয়া উচিত না। লোকে ভাল বললেও করবো-খারাপ বললেও করব-এই হওয়া উচিত বিশ্বাসের শক্তি। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে উলটো!!!
তাহলে দেখা যাচ্ছে,লোকে কি বলবে সেটাই ধর্মপালনের ফ্যাক্টর। আর এ কারণেই লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ণ দেখাটা আমাদের ধার্মিকদের কাছে হারাম না কারণ লোকে তো দেখছে না; পার্কের চিপায় গিয়ে প্রেম করাটাও অধর্ম না কারণ লোকে তো দেখছে না(কিংবা অন্য লোক দেখলেও পরিচিত কেউ তো দেখছে না); সিগারেট খাওয়াও পাপ নয় কারণ এটা লোকে দেখলেও লোকে এটাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরে নিয়েছে! তবে মদ-গাজা খেতে গেলে আবার একটু লোকচক্ষুর অন্তরালে যেতে হবে কারণ লোকে এখনও এটা মেনে নিতে পারে নি। প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া আস্তিকদের এই দেশে পাপ কারণ লোকে মেনে নেয়নি কিন্তু ঘুষ খাওয়া তেমন কোন গুণাহ নয় কারণ লোকে ধরেই নিয়েছে এক আধটু উপরি খাওয়া যেতেই পারে। কাজেই ধর্ম হচ্ছে এখানে Coating বা বর্ম ,সময়ে সময়ে অস্ত্র।নিজেদের এই দ্বিচারী অবস্থানকে বাঙালি খুব পরিতৃপ্তির সাথে মেনে নিয়েছে এবং ‘মডারেট’ নামে বেশ গর্বের সাথে জীবনে প্র্যাকটিস করে যাচ্ছে।সচলের চরম উদাসের ব্লগের রেফারেন্স এনে বলা যায়,আমরা সময়ে সময়ে টুপি পড়ি আবার প্রয়োজন মিটে গেলেই খুলে পকেটে রাখি। অত্যন্ত কার্যকর একটা ফ্যাশন। ধর্মও বাঁচে আবার নিজের আকাংক্ষাও বাস্তবায়িত হয়!!!!
বিএনপির জনপ্রিয়তাঃ
এবারে আসি আমার এই লেখার সবচেয়ে বিতর্কিত অংশে।জানি এটা নিয়ে কমেন্ট বক্সে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যাবে,কারণ এই তত্ত্বের বিপরীত তত্ত্বও থাকবে নিশ্চিত।কাজেই কিছুটা সাহস করেই এবং এক অর্থে এই বিষয়ে অন্যদের মতামত কেমন সেটা জানার কৌতুহল থেকেই এই লেখার আবির্ভাব। এই তত্ত্বের মালিকানা পুরোপুরি আমার না। আমার বাবার কৃতিত্ব আছে এখানে। আমি একটা হিসাব মেলাতে পারতাম না কখনও যে, বিএনপি আমাদের দেশে এতো অল্প সময়ে কিভাবে এতো জনপ্রিয় হল। একটা রাজনৈতিক দল জন্মানোর পেছনে একটা শক্ত আদর্শিক অবস্থান থাকতে হয়,জনসম্পৃক্ততা থাকতে হয়। বিএনপি জন্ম নিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে,সেই দলকে জনগণের সাথে পুরোপুরি সম্পৃক্ত করার আগেই ১৯টি বুলেটের আঘাতে শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে মৃত্যবরণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু,সময়ের ব্যবধান সাকুল্যে ৫ বছর। এই সময়ের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থেকে উৎপন্ন একটা দল কি এক মহীরুহ অতিক্রম করে ফেললো যে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া একটি দলের সমান্তরালে চলে গেল তারা! হ্যা,এখানে আওয়ামীলীগের অগণতান্ত্রিক আচরণ,স্বজনপ্রীতি, এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে আওয়ামীলীগের নেতাদের ব্যার্থতা,দুর্নীতি এইসব ঘটনা আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করতে বাধ্য।কিন্তু এর বিপরীতে বিএনপি কি এমন গণতান্ত্রিক আচরণ (দলের উৎপত্তি কিন্তু সংবিধান স্থগিত রেখে ক্যান্টনমেন্টে),সমতা,এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে সফলতা,সুনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো যে দেশের জনগণের মধ্যে বিপুল সংখ্যক বিএনপির Core ভোটার তৈরি হল? এখন অবস্থা এরকম যে যেকোন আসন থেকে ধানের শীষ মার্কায় যদু মধু রহিম করিম দাঁড়ালেও ওই এলাকার একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পাবেই সে।অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট অংশ(অংশের পরিমাণটা অবশ্যই বড়)-এর ভোটারের মাঝে বিএনপির একটি চিরস্থায়ী আসন তৈরি হয়ে গেছে খুব অল্প সময়েই। অথচ এই রাজনৈতিক দলটির উৎপত্তি,ক্রমবিকাশ,কার্যকলাপ এবং ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এতো কম সময়ে এতো বিপুল core জনপ্রিয়তা অর্জন করাটা বিষ্ময়কর বৈকি। আমি আবারও বলছি,এখানে আওয়ামীলীগের অবশ্যই ব্যর্থতা আছে।দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,আদর্শচ্যুতি ইত্যাদি।কিন্তু এর বিপরীতে বিএনপি এমন কোন সুনীতি বা আদর্শিক অবস্থান দেখাতে পারে নি যে এরকম বিপুল সংখ্যক core ভোটার তৈরি করে ফেলবে।
তো এই বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে আমার বাবা একটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট এর কথা বললেন যা apparently আমার কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য মনে হল। আর এখানেই কাজে লাগছে পূর্বোক্ত আলোচনার সেই দ্বিচারী বাঙ্গালির ভূমিকা। এই লেখার প্রথম অংশে খুব ভালোভাবে বাঙ্গালির ধর্মকেন্দ্রিক দ্বিচারিতার কথা তুলে ধরেছি। হাফপ্যান্ট পরা লুলপুরুষ আর নাইট পার্টি করা মেয়েরাও ফেসবুকে ধর্মপ্রচার করে।আগের স্ট্যাটাসে দীপিকা পাডুকোনকে নিয়ে লেখে,পরের স্ট্যাটাসে ইসলাম প্রচার করে। বিএনপি জন্মগতভাবে এই দ্বিচারিতা ধারণ করে রাজনীতি করছে।ফলে দেখা গেছে বাঙ্গালির কমন চরিত্রের সাথে বিএনপির একটা মজ্জাগত সাদৃশ্য আছে।মানে নিজে ব্যক্তিজীবনে ধর্ম অনুসরণ করব না কিন্তু নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করব বা ধর্মকে ব্যবহার করব বা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করব। এইজন্য কোন আদর্শগত ভিত্তিভূমি না থাকা সত্ত্বেও বিএনপি বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এইকারণে চুলের ফ্যাশন করা আর শিফনের শাড়ি পড়া খালেদা জিয়া ইসলাম গেল বলে চিৎকার দিলেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে জরো হয়,ভোটের রাজনীতিতে তার প্রত্যক্ষ প্রতিফলনও দেখা যায়। একারণেই আল্লামা শফির ভক্তকুল হয় ঢাকা শহরের শিক্ষিত জেনারেশন,ঢাবি-বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। যে ছেলেটিকে সন্ধ্যার সময় ক্যাম্পাসের চিপায় গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় প্রেম বিনিময় করতে দেখি রাতের তাকেই দেখি ১৩ দফার পক্ষে ফেসবুকিং করতে। এই অবিশ্বাস্য দ্বিচারিতার প্র্যাকটিস বাঙালি খুব ভালোভাবে পারে। আর এই ব্যাপারটির জন্যই বিএনপি বাঙ্গালির জন্য একটি সুবিধাজনক রাজনৈতিক দল। কারণ এই দল অসাম্প্র্দায়িকতার নাপাক চর্চার কথা বলে না,ধর্মকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে বাংলাদেশকে একটা সেমি-ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত করার কথা বলে আবার ব্যক্তিজীবনে বা আচরণে পুরোপুরি ধর্ম ফলো করে না,বা নিজের সুবিধামত ফলো করে।বাঙ্গালির জন্য এর চেয়ে আরামদায়ক ও সুবিধাজনক দল তো আর হতে পারে না!!!!!!
লেখাটা বেশ বড় হয়ে যাওয়ার জন্য দুঃখিত।শেষাংশ নিয়ে সহমত-বিপরীতমত কমেন্টে দেখতে পাবো আশা করছি। অনেকের কাছ থেকেই বিপরীতমত আসবে সেটাই স্বাভাবিক,সেক্ষেত্রে বিপরীত তত্ত্বগুলো কি সেটা দেখার জন্য কৌতুহল আছে আমার,কারণ আসলেই আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি-বিএনপি কেন এতো জনপ্রিয়? কি তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আর কি তাদের এচিভমেন্ট? বিতর্কের দ্বার উন্মুক্ত রইল। সবাইকে ধন্যবাদ। 🙂
আগেই জানিয়ে রাখি, এই থ্রেডের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়িনি। শুধু নোটটি পড়েই লিখছি। লেখায় ভাবনাসমূহের প্রকাশ আরো খানিকটা স্বচ্ছতা দাবি রাখে। তবে অহেতুক যথেচ্ছ ইংরেজী শব্দের ব্যবহার পীড়াদায়ক। খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা কি?
বাংলাদেশে ধর্ম যে একটি দর্শনজাত বিষয়ের চেয়ে মূলত আচরণগত বিষয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে নানান দর্শনজাত গোঁজামিলের সমাবেশ বিএনপিতে তো বটেই, আওয়ামী লীগেও কম নেই।
এরই ফলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সংশোধিত সংবিধানটি এখন একই সঙ্গে বিসমিল্লাহ+ধর্ম নিরপেক্ষতার সহাবস্থানে গজকচ্ছপের দলিলে পরিনত হচ্ছে।
গোঁজামিল বাম নামক মূলো-কমিউনিস্টদের মধ্যেও কম নেই। সিপিবি নেতা কমরেড [লাল কম?] ফরদাহ যেদিন মারা যান, সেদিন দিনভর পল্টনের অফিসে মাইক দিয়ে কোরান খতম করানোর মতো ভণ্ডামী নিজের চোখে দেখা।
এসব দিক বিচারে নোটের রাজনৈতিক অংশটুকু বেশ খানিকটা একেপেশে।
বিএনপির জনপ্রিয়তা [?] শুধু আওয়ামী বিরোধীতায় নয়, ভারত বিরোধীতা ও ধর্মের যথেচ্ছ ব্যবহারে। এই তিন বিষয়ে মতৈক্য পোষণকারী ব্যক্তি ও দলের জোট বিএনপিতে মিশেছে। …
ভাবনাটিকে উস্কে দেওয়ায় লেখককে সাধুবাদ। চলুক।
আমি প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানে দুইটি কমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু আমার কমেন্টগুলো সেখানে থেকে উধাও হয়ে গেছে, আর দেখা যাচ্ছে না। কেন এমন হল জানিনা। সম্ভবত ব্লগার তা কেটে দিয়েছেন।
ঐ ব্লগারের নৈতিকস্খলতা ও সৌজন্যবোধের অভাব আমাকে পীড়া দিয়েছে।
@ লেখক,
আপনার এই লেখাটি হুবহু অন্য একটি ব্লগে (সামহয়্যারইন ব্লগ) প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কোথাও আপনার নাম দেখলাম না।
লেখা চুরি হয়ে থাকলে প্রতিবাদ জানান।
Link : http://somewhereinblog.net/blog/akil24/29858578
@আ,র,জা, ধন্যবাদ তথ্যটির জন্য।প্রতিবাদে কোন কাজ হবে কিনা জানি না,তবে কমেন্টে জানিয়ে দিচ্ছি সেখানে। অনেক ধন্যবাদ তথ্যটির জন্য। মন্তব্য পড়ে বেশ মজার জিনিস পেলাম। যে কপি পেস্ট করেছে সে একবারে ভালোমত না পড়েই কপি পেস্ট করেছে।ফলাফল পাওয়া গেছে মন্তব্যেঃ
একজন মন্তব্য করেছেঃ ইয়েন বলেছেন: একটা সত্যি কথা বলি!!!!!!!!! আপনার লেখাটা ভালই লাগল কিন্তু যখন জানলাম আপনি হিন্দু তখন আমার অবচেতন মন কিছুতেই আপনার লেখা মেনে নিতে চাচ্ছিল না :/ …..মানে আপনি মুসলিম নামধারি হলে আমার কোনই সমস্যা হত না সমালোচনা শুনতে কিন্তু এখন একটু হলেও খারাপ লাগছে!!!
উত্তরে আমার লেখা চুরি করা লেখকটি লিখেছেঃ লেখক বলেছেন: কোথায় আমি তো মুসলিম..হয়ত কিছু ভুল হয়েছে।
হাহাহাআআআ……
@আ,র,জা, সামুতে একাউন্ট ছিল না।মন্তব্য করার জন্য একাউন্ট খুলে দেখি নতুনদের জন্য মন্তব্য উন্মুক্ত নয় :/
প্রথমত লেখাটা মোটেও বড় হয় নি। একটানেই পড়ছি। খুব ইন্টেরেস্টিং লেখা। বিএনপি বাঙ্গালির দ্বিচারিতাটা কাজে লাগিয়েই এতটা (! ?) জনপ্রিয়। আসলে যাদের স্বভাব যেরকম তারা তো সেরকমি কথা বলবে সেই রকম দলের কাছেই যাবে।
@তারছিড়া বিদ্রোহী, বাঙ্গালির দ্বিচারিতাকে বিএনপি ইফেক্টিভ ওয়েতে ব্যবহার করেছে।সাথে সাথে অন্যান্য ফ্যাক্টরও আছে অবশ্যই।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
ইশশ, এখানে দেখি রীতিমত ম্যাসাকার হয়ে যাচ্ছে!
বাকশাল যেইই করুক, তাতে জিয়া যোগ দিক কি নবী রসূলে যোগ দিক গনতন্ত্রের সাথে বাকশালের খাপ খায় না। বাকশাল গঠনের সংবাদে তাজউদ্দিনের প্রতিক্রিয়া ছিল, মুজিব ভাই, আপনি আর কোন উপায়ই খোলা রাখলেন না……বুলেট শুধু আপনাকেই নয়, আমাদের কাউকেই ছাড়বে না (শব্দ কিছুটা ভিন্ন হতে পারে)।
কথা হতে পারে যে তত্ত্বীয়ভাবে গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা ছাড়াও স্বৈরাচারী ব্যাবস্থা দিয়েও বহু ক্ষেত্রে বৈপ্লাবত্মক উন্নতিই দেখা গেছে। অন্যদিকে গনতন্ত্র মানেই দুধ মধু ঝরে পড়বে এমন নয়। এটা মাথায় রেখে বাকশালের তত্ত্বীয় আলোচনা হতে পারে, তবে এটাকে গনতন্ত্রের কোন ফর্মূলায় ফেলা যায় না।
বাংগালী জাতির দ্বি-চারিতার তত্ত্ব মনে করি ঠিকই করি, এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের ভূমিকা এখানে প্রকট তাও মনে করি। ভারতীয়দেরও একই স্বভাব আছে বলে বাংগালীরটা আলোচনায় সমস্যা হবার কারণ নেই। বিশেষ করে প্রেক্ষাপট বাংগলাদেশ হলে।
কোন সন্দেহ নেই যে বিএনপির ভোট ব্যাংকের এক উল্লেখযোগ্য অংশের মোটিভেশনে ধর্মীয় ভূমিকা আছে। তাই বলে এটাই একমাত্র, এমনকি প্রধান কারণ ভাবা ঠিক নয়। জিয়ার সাথে বংগবন্ধু হত্যার পরোক্ষ হলেও যোগ আছে, খুনীর পূণঃবাসন, সেনা হত্যা, রাজাকারদের পূণ:বাসন, পরে আওয়ামী লীগকে দমনের কারনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মোটামুটি জিয়াকে সম্পূর্ন ভিলেন বা পিশাচ ছাড়া আর কিছু কল্পনা করতে নারাজ। তাই তারা বিস্ময়ে ভোগে যে এমন পিশাচসম চরিত্রেরও কিভাবে সমর্থন জোটে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি প্রথম থেকেই আজ পর্যন্ত অনেক সময় অবাস্তব জগতে বিচরন করে বলেই জিয়ার জনপ্রিয়তায় বিস্মিত হতে হয়।
শুধু ধর্ম ঘেঁষা রাজনীতি মূল কারণ হলে জিয়া নয়, এরশাদের আরো জনপ্রিয় হবার কথা ছিল। ধর্ম নিয়ে ভন্ডামী, রং তামাশা তার চাইতে বেশী আর কেউ করেনি। ব্যাক্তি জিয়ার মিঃ ক্লিন ইমেজ আসলে জিয়ার জনপ্রিয়তার মূল কারন। দেশের সাধারন লোকে তত্ত্ব কথা অত চিন্তা করে না, কে ক্যান্টনমেন্টে কাকে মেরেছে, কিছু রাজাকারকে ক্ষমতায় বসাচ্ছে এসবের চাইতে কার আমলে মোটামুটি সুখে স্বস্থিতে ছিল সেটাই বড় করে দেখে। জিয়ার আমলে তূলনামূলকভাবে দেশের লোকে বেশ স্বস্থিতে ছিল (এটা মানতে তো বটেই, শুনলেও অনেকে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন)। ৭২-৭৫ কার্য কারন যাইই হোক দেশের লোক সামগ্রিকভাবে সুখে ছিল না। সব দায় গেছে আওয়ামী লীগের ঘাড়েই। তাদের কাছে জিয়ার শাসন আবিভূর্তি হয়েছিল দেবদূতের মত। তার মৃত্যুর পর বহু বয়ষ্ক মানুষকেও চোখের পানি ফেলতে দেখেছি। শুধু রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যাবহার করে অপপ্রচার কারো জানাজায় সব শ্রেনীর লাখ লাখ লোক আনতে পারে না। তবে এটা সত্য যে জিয়ার অনেক কীর্তি সে সময়কার লোকে জানত না। সেসব জানলে জনপ্রিয়তায় কতটা ভাটা পড়ত কে জানে। ব্যাক্তি জিয়ার ক্যারিশমাটিক, সত, ডায়নামিক ইমেজের সাথে ধর্মীয় চেৎনা কাজ করেছে কেকের আইসিং হিশেবে। জিয়া সেনাবাহিনীর লোক হবার কারনেই মনে হয় পাক জান্তাদের থেকে আগেই মনে হয় এই কায়দা রপ্ত করেছিল।
গনতন্ত্রে অবশ্যই অন্তত সম শক্তির দুটি দল লাগে। ৭২ এর পর আওয়ামী লীগ যে কায়দায় দেশ চালিয়েছিল তাতে সেটা আরো ভালভাবে প্রমান হয়। তাই বিএনপির জন্ম প্রত্যাশীত এবং স্বাভাবিক। মুশকিল হল যে প্রক্রিয়ার ভেতর এই দল জন্ম নিয়েছে সেটাই খুবই বিতর্কিত। এরপর দলটি এমন কিছু নীতি নিয়েছে যা মৌলবাদী চেতনার বিকাশে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে, বর্তমানে যে দেশ দ্বি-ভাজিত, রাজাকারদের সমর্থনে এক বড় লোকে সরাসরি দাঁড়িয়েছে এদের বিকাশে জিয়ার দলই অগ্রনী। জন্ম হোক যথা তথা কথাটি বিএনপির জন্য বলতে পারছি না।
@আদিল মাহমুদ,
একমত।উদাহরণস্বরূপ, একদম শুরুর দিকের কমেন্টে রিজওয়ান রক্ষণশীলতা ও পশ্চাদপদতাকে ফ্যাক্টর হিসেবে উল্লখ করেছি। পাশাপাশি আপনার যোগ করা ফ্যাক্টরগুলোও গুরুত্বপূর্ণ স্বীকার করি।এজন্যই আমি দ্বিচারিতা তও্বকে অন্যতম(একক নয়) ফ্যাক্টর হিসেবে উল্লেখ করেছি।আরও কয়েকজনের আলোচনায় আরও কিছু ফ্যাক্টরের উল্লেখ এসেছে।
উপরে ‘প্রাক্তন আধারে’ মন্তব্য করেছেন- “জিয়ার মৃত্যুর প্রেক্ষাপটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।মৃত জিয়া,জীবিত জিয়ার চেয়ে বেশী জনপ্রিয়।কারণ জিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হুজুগে বাঙলীকে বেশী টানে।”
এটাও একটা কারণ হতে পারে।আমার কাছে তাই মনে হয়। আর শাসনামলে দৃশ্যমানভাবে দেশের মানুষ কতটা শান্তিতে ছিল সেটা ডেফিনিটলি একটা কারণ কোন সন্দেহ নেই।এ বিষয়ে আপনার সাথে একমত। তবে জিয়ার সময় যেহেতু গণতন্ত্র ছিল না তাই তার অধিকাংশ অপকর্মগুলোই মানুষের কাছে ধোয়াশাপূর্ণ ছিল।যেমন এয়ারফোর্সে হত্যাকান্ড কিংবা রাষ্ট্রীয় শক্তি ও অর্থ ব্যবহার করে দল গঠন ও শক্তিশালীকরণ। এইসব বিষয়গুলো সেভাবে দিবালোকের মত পরিস্ফুটিত হয়ে উঠতে পারেনি সে সময়। আপনাকেই কোট করিঃ
একমত।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
মৃত জিয়ার ব্যাপক সহানুভূতি পাওয়ার কথা সত্য। তাই বলে উনি যে শুধু মৃত্যুর পরই জনপ্রিয়তা পান সেটাও সঠিক নয়। জিয়া বেঁচে থাকলে আমি নিশ্চিত যে ৯০ পরবর্তি বিএনপি থেকে প্রথম বহিষ্কৃত হতেন জিয়া।
জিয়া যেসব কালো দিকের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হন সেসব সে আমলেও আলোচিত হলে তার প্রভাব গনমানসে ঠিক কতটা পড়ত তাতে আমি নিশ্চিত নই। জিয়ার যেসব দিক কালো দিক আছে সেগুলি নিয়ে সাধারন পাবলিক খুব মাথা ঘামায় আমার তেমন মনে হয় না। সাধারন পাবলিকের কাছে জনপ্রিয়তার জন্য যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ন সেগুলি জিয়ার ছিল ঠিকই। ক্যান্টনমেন্টের ভেতর নিষ্ঠূর হত্যাকান্ড, রাজাকারদের কোলে তোলা এসবের চাইতে লোকের কাছে স্বস্থিতে জীবন যাপনের নিশ্চয়তা অনেক বড়। বর্তমান সময়েও আওয়ামী সরকারের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ধ্বসের কথা চিন্তা করেন। রাজাকারদের বিচারের মত মনুমেন্টাল এচিভমেন্টের মূল্য ভোটের বাজারে কতটা প্রভাব রেখেছে? লোকের কাছে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে সরকারের নানান ব্যার্থতা, কুকীর্তি……সর্বোপরি ধর্মীয় আফিম।
@আদিল মাহমুদ,
জী আদিল ভাই। আর বিভাজনের রাজনীতি চাই না।
আমাদের আর আমাদের সন্তানদের একটু শান্তিতে থাকার পরিবেশ দেন
@আদিল মাহমুদ,
অপ্রিয় হলেও অত্যন্ত সত্যি কথা। 🙁
@আদিল মাহমুদ,
এ দেশে বেশী বেশী লালা ঝরা চির-খাড়া শ্লিশ্নের তেঁতুল শাঁফির প্রয়োজন। জাতির —তে তার ঢুকিয়ে দেয়া আইক্ষ্যাওয়ালা বাঁশের কি সেক্সি পুলক মানুষ টের পাইছে। তার সমালোচনা করলে আপনি নিশ্চিত ইসলামের শত্রু, মুসলিম বিদ্বেষী। ঠিক না? আরে খন না ভাই। মহিলারা তেঁতুলের ছাইতেও খারাফ। হাছা কি না? আরে খন না ভাই। এ দেশে বেশী বেশী লালাঝরা খাড়া শ্লিশ্নের তেঁতুল শাঁফিদের প্রয়োজন।
শুনেছি হাসিনা তার নির্বাচণী প্রচারের একটা টার্গেট রেখেছেন ঘন ঘন ইফতার পার্টি, মসজিদ মাদ্রাসা ভিজিট,
আলেম উলামা মাশায়েখদের সাথে আলোচনা বৈঠক। এক ইসলামী অনুষ্ঠানে শাহজাহান মন্ত্রী ওয়াজ কইরা জুতার বাড়ি খাইছিল, এবার মোল্লারা সমূলে আস্ত বাঁশ ঢুকাইবো। মিশরের মুরসি ওমর ইবনে খাত্তাব হইতে চাইছিল। দিছে মানুষে তারে কাবাব বানাইয়া। হাসিনা কইলেন, দেশ চলবে মদীনার সনদ অনুযায়ী। ঢাকা জ্বালাইয়া, কোরান পুড়াইয়া, গরীবের দোকান-পাট ধ্বংস কইরা, হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন কইরা বাবু নগরী এ সপ্তাহে সমাবশে করে বলেছে- প্রধান মন্ত্রী আপনার কথা মত মদীনার সনদ অনুযাইয়ী দেশ চালালে প্রথমেই সুরঞ্জিত গুপ্তকে এরেষ্ট করে তার হাত দুটো কেটে ফেলুন। ভন্ডামী কে করছেন? হাসিনা না বাবু নগরী। মদিনার সনদ, শারিয়া আইন হাসিনা বেশী বুঝেন না শাফি? বাপরে বাপ! মতিয়া দেখি নতুন মুসলমান সংসদে নাজিল হইছে। কী বলে রে আবালিটা? হেফাজত যখন গাছ কাটে, তখন গাছের পাতা নাকি আল্লাহর জিকিরে মত্ত ছিল। ছাগলি কোথাকার। দুই লাইনের একটা ওয়াজ শিখছে আওয়ামী লীগের মহিলা ভন্ডরা- ‘ইসলামের প্রথম নারী একজন নারী হজরত খাদিজা, আর জিহাদের ময়দানে ইসলামের প্রথম শহিদ নারী হজরত সুমাইয়া’। দিপু মণি, মতিয়া আরো একজন মহিলা নাম ভুলে গেছি বারবার ঐ একই ওয়াজ করে মানুষের সামনে। থাবড়াইয়া মনে হয় জিজ্ঞেস করি, সুমাইয়া কোন জিহাদে শহিদ হইছিলেন? এই ইডিয়টরা আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে তার পর ক্ষান্ত হবে।
@আদিল মাহমুদ,
কিছু মনে করবেন না ভাই, আপনার মন্ত্যবের এই অংশটা আমি বুঝতে পারিনি!একটু বুঝিয়ে বলবেন দয়া করে।আমি কনফিউজড!!
@দারুচিনি দ্বীপ,
অতি সরল। জিয়া যে কারনে জনপ্রিয় হয়েছিলেন; অর্থাৎ সততা স্বজনপ্রীতির বলয়ের বাইরের এক ব্যাতিক্রমী নেতা হিসেবে ৯০ এর পর তার দল দ্রুত সে পথ থেকে সরে গিয়ে দূর্নীতি স্বজনপ্রীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিবর্তিত বিএনপিতে জিয়ার ঠাঁই হত না। তাকেই বহিষ্কৃত হতে হত। জিয়ার সমসাময়িক বিএনপির অন্য সিনিয়র নেতাদের অবস্থা তো জানেনই। যারাই এই ধারার সাথে খাপ খাওয়াতে পারেননি তাদেরি কপালে নেমে এসেছে হুমায়ুন আজাদের ভাষায় হাই হিলের আঘাত।
@আদিল মাহমুদ, আমার মতে জিয়া বেঁচে থাকলে তাকে এরশাদের মতই কোন এক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে হত। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হতেন কিনা সন্দেহ আছে,কারণ আমাদের দলগুলো অনেক বেশি ব্যক্তিকারিশনা নির্ভর। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে জিয়া বেঁচে থাকলে পরিণতি এরশাদের বর্তমান অবস্থার মত হত অনেকটা (এতোটা খারাপ নয়) এবং বিএনপি ভেঙ্গে কয়েক টুকরা হত।
উদ্দীপনামূলক লেখা।
বাঙালি জাতির পরবর্তী ইতিহাস কী বিশ্বমানচিত্রে আমাদের দ্বিচারী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে? আর এর কান্ডারীর নাম ভূমিকায় কি বি এন পি থাকবে?
@পংকজ, উদ্দীপনামূলক লেখা! আর আমি লিখেছি কনফিউশন থেকে!
এনিওয়ে,মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এসব আদিখেত্য ভাবনা ছেড়ে দিন।
সে কেন এত ভালো- তা না ভেবে ভাবুন আপনি কেন এত খারাপ।
কি কারনে দ্বিচারিক বাঙ্গালি আপনাকে/ আপনাদের ত্যাগ করলো তা বিশ্লেষন করুন।সবকিছুতে ক্যান্টনমেন্ট, শিফন শাড়ি, হেফাজত খুজে কিছুক্ষনের জন্য শান্তি পাবেন। কিন্তু মনের গহীন কোনা আপনাকে বলবে সামহয়ার সামথিং রং।
জটিল হইছে……………………………………
@রিদম শাহারিয়ার, থ্যাঙ্কু 🙂
নায়িকা শাবানা নাকি অনুরোধ করেছেন যাতে রোজার মাসে তার অভিনীত ছবি টিভিতে না দেখায়। এতে নাকি তার পাপ বোধহয়। হায় রে বাঙ্গালীর দ্বিচারিতা! আরেকটি নমুনা হল, রোজার মাসে টিভিতে খবর পড়ে ঘোমটা মাথায় দিয়ে তবে গলার চেনের লকেটটি দেখিয়েই রাখে।
@গীতা দাস, 😀
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ধর্ম মানলে কন্ট্রাডিকশন বা দ্বীচারিতা থাকবেই, হউক সে বাঙ্গালী মুসলমান কিংবা অন্য জাতি বা ভাষার মুসলমান। কারণ ধর্ম নিজেই কন্ট্রাডিকশনে ভরপুর। সময়-কাল পরিবেশ, স্থান-গুষ্টি ও ব্যক্তি্র স্বার্থ- সুবিধানুযায়ী একই শ্লোক বা আয়াতের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বা ব্যাখ্যা এর প্রমাণ।
প্রশ্নটা করে নিজেই উত্তর দিয়েছেন-
আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক আচরণ, স্বজনপ্রীতি, ব্যার্থতা, দুর্নীতি এ সবের প্রতিবাদে কোন গনঅভ্যুত্থান, গনআন্দোলনের মাধ্যমে মুজিব সরকারকে উৎখাত করা হয়েছিল? যে ৫ বছরের কথা বলছেন, তখন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল এবং তখন দেশে আর কোন্ কোন্ রাজনৈতিক দল ছিল আর তাদের অবস্থা বা কার্যক্রম কেমন ছিল? সামরিক শাসন, হ্যাঁ না ভোট, জাতীয় চার নেতা হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতাশুণ্য করা, কর্ণেল তাহের হত্যা, জিয়ার বিরোধী মতের হাজার হাজার রাজনৈ্তিক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, মুজিবপুত্রের মেজর ডালিমের বউ অপহরণ ও বেংক ডাকাতির মিথ্যা কাহিনি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, পাঠ্যপুস্তক, সিনেমাপর্দা থেকে মুজিবের নাম ও ছবি মুছে ফেলা, মুজিব পরিবারের নামে সীমাহীন মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা এসব কথা নিশচয়ই মনে আছে? এবার নতুন করে হিসেবটা করে দেখুন তো বি এন পির সাফল্যের চাবিকাঠীটা কোথায়? ২১ বৎসর রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ নেই, তারপরও ১৭ দলকে বি এন পির পেছন থেকে আর ১৩ দলকে আওয়ামী লীগের পেছন থেকে সরিয়ে দিয়ে উভয় দলকে ভোটের পাল্লায় ওজন করে দেখুন তো পপুলারিটি সমান হয় কি না? দুই সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট আওয়ামী লীগকে বারবার মরে মরেই প্রমাণ করতে হয়েছে সে এখনও মরে নাই।
@আকাশ মালিক, @আকাশ মালিক, আপনার বক্তব্যের সাথে আমার দ্বিমত নেই। বরং আপনার মন্তব্য আমার এই লেখাকেই সাপোর্ট করছে। আপনি আমার পুরো লেখাটি পড়ুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। আমি বলেছি, “হ্যা,এখানে আওয়ামীলীগের অগণতান্ত্রিক আচরণ, স্বজনপ্রীতি, এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে আওয়ামীলীগের নেতাদের ব্যার্থতা, দুর্নীতি এইসব ঘটনা আওয়ামীলীগের প্রতি মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করতে বাধ্য।”
কিন্তু সাথে সাথে এই প্রশ্নটাও করেছি,
কিন্তু এর বিপরীতে বিএনপি এমন কোন সুনীতি বা আদর্শিক অবস্থান দেখাতে পারে নি যে এরকম বিপুল সংখ্যক core ভোটার তৈরি করে ফেলবে।ব
কাজেই আপনার এবং আমার কনফিউশনের জায়গাটা আসলে একই।শব্দগত ভিন্নতা থাকলেও আপনার বক্তব্য আর আমার বক্তব্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মোটামুটিভাবে একই। আমি স্পষ্টতই উল্লেখ করেছি আওয়ামীলীগের অতীত ইতিহাস আছে,একটি আদর্শিক অবস্থান আছে। বিপরীতে বিএনপির কিছুই নেই।তারপরও কেন বিএনপি আওয়ামীলীগের প্যারালাল হয়ে গেল। প্রশ্নটা এখানেই।সেই প্রশ্নের উত্তর খোজাই এই লেখার উদ্দেশ্য। আমি এক দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তর খোজার চেষ্টা করেছি,আপনি সেটা সাপ্লিমেন্ট করেছেন আরও কিছু ফ্যাক্টর যোগ করে এবং সেগুলোর সাথে আমি সহমত। আমি দাবি করিনি যে যে আমার উত্তরটাই একমাত্র বা আল্টিমেট।আমি অনেক কারণগুলোর মধ্যে একটি বিষয় উপস্থাপন করেছি যেটা নিয়ে সাধারণত আলোচনা হয় না।
পুরোপুরি একমত। আর একারণেই যে জাতির জীবনাচারণে ধর্মের প্রভাব যত বেশি তাদের মধ্যে দ্বিচারিতাও তত বেশি,আর তার উদাহরণ হিসেবেই আমরা বাংলাদেশের কথা বলতে পারি। কিন্তু আমার পয়েন্টটা ছিল আরও সূক্ষ্ম। এদেশের মানুষ ধর্ম মানে আবার ক্ষণে অধার্মিকের দেয়া সুবিধাগুলোও অধিক মাত্র্য গ্রহণ করতে পছন্দ করে।তারা তারাবীর নামাজ পড়ে বউএর জন্য মাসাককালি কিনতে মার্কেটে যায়। এই কারণে এদেশে মৌলবাদী জামায়াতে ইসলাম অপেক্ষা ভন্ড ও মডারেট বিএনপি বেশি জনপ্রিয়।বিএনপি কিন্তু ইসলামিক দল নয়। এরপরও ধার্মিক মানুষের দ্বিচারিতা বিএনপিকে জনপ্রিয় করেছে। (আমার লেখার শেষের প্যারা দেখুন।)
পরিশেষে,আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে আপনার এবং আমার বক্তব্যের জায়গাটা আসলে একই।শব্দগত ভিন্নতা থাকলেও আপনার বক্তব্য আর আমার বক্তব্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মোটামুটিভাবে একই।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
আমি জানি এই লেখায় আপনি কী বুঝাতে চেয়েছেন, কী মেসেইজ দিতে চেয়েছেন। আজকাল মনে প্রাণে চেষ্টা করি অহেতুক কুতর্ক এড়িয়ে থাকতে, ইচ্ছে করেই কোন তর্কে জড়াতে চাইনা। আর এমনিতেই বর্তমান আওয়ামী লীগের উপর নানা কারণে আমি তিক্ত-বিরক্ত। কিন্তু আজ আমার সন্দেহ হয়েছে শফিক রহমান, বদরুদ্দিন ওমর আর আল্লামা ফরহাদ মাজহারের মত চীনা বাদামী নব্য মুসলমানেরা এখানে লেদাইতে আসতে পারে। একটি বৃক্ষ পল্লব অকালে ঝরে পড়লে সেখানেও এরা শেখ মুজিবের দোষ খোঁজে। কলিমুদ্দিন তার বউকে তালাক দিলে, সলিমুদ্দিন মোল্লার নুরজাহানকে পাথর মেরে হত্যার ফতোয়ায়ও আমেরিকার ষঢ়যন্ত্র খোঁজে। এদের কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধে দুই কুত্তার কামড়া কামড়ি দেখতে পেয়েছিল।
তীব্র জাতীয়তাবাদী চেতনা, অন্ধ দেশপ্রেমের আবেগে, বাকশাল গড়া বঙ্গবন্ধুর ভুল চিন্তা ছিল। দুই মাস ছিল তার স্থায়ীত্ব। কারা ছিলেন বাকশালে একবার খোঁজ নিয়ে দেখেন তো। সেখানে ডঃ কামাল হোসেন থেকে মেজর জিয়াকেও পাবেন। চীনা বাদামীরা দেশ স্বাধীন করবে সসস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে, শেখ মুজিব ও তার বাকশালের বিরোদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারেনা। রাতের অন্ধকারে খুন করা হয় শেখ মুজিবকে সপরিবারে। তারা বিয়াল্লিশ বছরেও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মত এক মুঠো মাটি এই দেশ থেকে জোগাড় করতে পারেনি, সারাটা জীবন শুধু শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের বিষোদাগারই করেছে। আর এর সুবিধাটা সঞ্চয় করেছে স্বাধীনতার শত্রুরা। এরা সুযোগ পেলেই শেখ মুজিবকে কখনও কাপড় কাচা দেয় আহমেদ ছফা সাবান দিয়ে কখনও হুমায়ুন আযাদ পাউডার দিয়ে। উচ্চিষ্টভোগী পরজীবীরা এখন আশ্রয় নিয়েছে হেফাজতের কোলে। এদের লেদা ছড়ানো বন্ধের জন্যে তথ্য-রেফারেন্সের দিক থেকে আপনার এই লেখাটি তেমন শক্তিশালী নয় বলে আমি তর্ক বাড়াতে চাই নি।
যৌবনে তাসলিমা নাসরিন, দাউদ হায়দারের পক্ষে রাজপথে মিশিলের সামনে আর বার্ধক্যে হেফাজতের পেছনে, এর কারণ অন্য কিছু। চোর, বেশ্যারাও আল্লাহ বিশ্বাস করে বিপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করে এবং বিশ্বাস করে তার প্রার্থনা মঞ্জুর হয়। একসময়ের চিত্র নায়ীকা শাবানা আজ ইসলামের এম্বাসেডর, এটা দ্বিচারিতা কিনা, আর হলে এর কারণ কী, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন ইস্যু।
@গীতা দাস,
😀
বাকশাল যদি গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরে- তাহলে ওটাও স্বৈরশাসনের একটা পর্যায়। আমাদের দেশে স্বৈরশাসনের শুরু ৭ই জুন ১৯৭৫ সালে। তথা আমাদের দেশের প্রথম স্বৈরশাসক কে ?????
এর উত্তর অনেকের আসলে হজম হবেনা- যদিও ফ্যাক্ট, ফ্যাক্টই 😕
@সংবাদিকা,
আপনি নিশ্চয়ই বিএনপির মাঠকর্মিদের মত এক বাক্যে চিন্তাশূণ্য রায় প্রদান করছেন না যে, বাকশাল মানেই এক দলের শাসন?
বাকশাল সামান্য স্টাডি করা প্রয়োজন। এটি ছিল কিছু লোকের মস্তিষ্কপ্রসুত তৎকালীন সমাজ ও রাষ্ট্রের খুঁত ও ক্ষোভ নিরাময়ের জন্য একটি ব্যবস্থাপত্র, যা শতভাত ব্যর্থ হয়েছিল! কিন্তু তাই বলে ব্যবস্থাপত্রটি নিজে স্বৈরতন্ত্রের সমার্থক, এমন হালকা চিন্তাভাবনা আপনি নিশ্চয়ই করছেন না?
দেখুন, সমাজতন্ত্র নামক ব্যবস্থাপত্রটির কি হাল! কিভাবে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে একে দেশে দেশে! তারপরও সমাজতন্ত্র কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ একটি তন্ত্র, এর আদর্শিক জায়গাটি কে অস্বীকার করতে পারে?
@কাজি মামুন,
বাকশাল আর সমাজতন্ত্র, এই দুটি নিয়েই আপনার পড়াশোনা কতটুকু বোঝা যায়। নিজে চিন্তাশুন্য আবেগ নিয়ে চলেন বলেই কদিন পর পর ভগ্নহৃদয়ের সম্মুখীন হন।
শুনুন, বাকশাল এক দলের শাসন ছিলো না। বাকশাল ছিলো একলোকের শাসন। হুজুরে আলা, শাহেনশাহ শেখ মুজিবের শাসন। সম্রাট মুজিবের হুকুমের শাসন।
আপনার নিশ্চই বাকশাল নিয়ে অনেক পড়াশোনা। তাহলে একটু সংক্ষেপে জানাবেন কি, বাকশাল সিস্টেমে চেক এন্ড ব্যালেন্স কি ছিলো? মহামতি মুজিবের ইচ্ছাকে কোন পন্থায় আটকানো যেতো?
আর সমাজতন্ত্র নিয়ে কথা বাড়ালাম না। অবাস্তব একটা জিনিষ, যেটা কোথাও চলছে না সেটাকে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি তন্ত্র বলে চালিয়ে দিচ্ছেন কি না জেনেই!
সমাজতন্ত্রের অবাস্তবতা নিয়ে জানতে হলে পড়াশোনা করুন। একটা সাজেশন, মার্ক্স এবং এংগেলস, সমাজতন্ত্রে division of labor নিয়ে কি চিন্তাভাবনা করেছিলেন এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
@সফিক, আমার মনে হয় আপনি oversimplified way তে over-exaggeration করে বাকশালকে উপস্থান করছেন। আমার ব্যক্তিগত মতামত।বাকশালকে সমর্থন করছি না,কিন্তু আপনার শব্দচয়নকেও নির্মোহ বলতে পারছি না।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
আপনার ব্যাক্তিগত মতামতকে সম্মান জানাতাম যদি একটু কষ্ট করে জানাতেন যে কোন ধরনের দ্বিচারিতায় ভারতের মতো আধুনিক গনতান্ত্রিক দেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসে অথবা আসতে পারে? এত জনকে উত্তরদিলেন অথচ আমাকে সযতনে এড়িয়ে চললেন।
বিএনপিকে ভোট দেয়ায় যত দোষ বাংগালীর আর পাশের দেশে বিজেপি’র রমরমা ভোটে কোনো দ্বিচারিতা নেই?
নির্মোহ নিয়ে কথা বলবেন না। আপনি নিজে কি নির্মোহ? খামোকা নির্মোহ, নিরপেক্ষ এসব ফাকা কথা বলবেন না দয়াকরে।
@সফিক, এখানে ভারত প্রসঙ্গই অপ্রাসঙ্গিক। তবে আপনি যেহেতু এনেছেনই আমি আমার বক্তব্য জানিয়ে রাখতে পারি।হ্যা,আমাদের দেশে বিএনপির ক্ষেত্রে যেমন ঘটছে,ভারতের ক্ষেত্রেও বিজেপির বিষয়ে এমন দ্বিচারিতার নিদর্শন দেখতে পাই। বিজেপিও নানা সময়ে হিন্দুত্ববাদের মুখোশে রাজনীতি করেছে আবার সময়ে সময়ে ভোলও পাল্টেছে। তবে বিজেপির সাথা জামাতকে এক করে দেখলে চলবে না।বিজেপি মৌলবাদকে তোষণ করলেও স্বাধীনতাবিরোধী নয়।সেক্ষেত্রে জামাত সরাসরি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং যুদ্ধাপরাধ করা রাজনৈতিক দল ।
আর ভারতকে মোটাদাগে আধুনিক বলাও সম্ভব না।সেদেশে এখন সত্যসাইবাবাদের ধর্মব্যবসা অলিতে গলিতে চলে।কাজেই ধর্মান্ধ মানুষের সংখ্যা সেখানে মোটেও কম নয়।
আপনার প্রশ্ন এড়িয়ে যাইনি।উত্তর দেয়া অপ্রয়োজনীয় মনে করেছি।কারণ আপনার circumlocution দিয়ে আপনি ঘুরে ফিরে এক আওয়ামীলীগএর নানা ব্যার্থতা, ও ত্রুটির ব্যবচ্ছেদ করেছেন।সেগুলা অস্বীকার করছি না,কিন্তু সেগুলোর প্রয়োজন এই আলোচনায় ছিল না। আমার লেখায় খুব স্পষ্ট করেই উল্লেখ করা আছে,”আমি আবারও বলছি,এখানে আওয়ামীলীগের অবশ্যই ব্যর্থতা আছে।দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,আদর্শচ্যুতি ইত্যাদি”;আমার প্রশ্ন ছিল, এর বিপরীতে বিএনপি এমন কোন সুনীতি বা আদর্শিক অবস্থান দেখাতে পারে নি যে এরকম বিপুল সংখ্যক core ভোটার তৈরি করে ফেলবে। আপনি সেই উত্তর না দিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাকশাল,ভারত,মুজিব এই প্রসঙ্গ এনে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিয়েছেন। অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনী বিষয়ে আলোচনা করতে চাইনা বলেই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিই নি। ধন্যবাদ।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
এক, ভারতেও যে দ্বিচারিতা রয়েছে, বাংলাদেশেও যে দ্বিচারিতা রয়েছে, সেটিকে তাহলে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাঙ্গালির দ্বিচারিতা বলে প্রচার করা সাজে না, এটিতো বোঝেন?
দুই: আমি মন্তব্যে স্পষ্ট দেখিয়েছি যে মুক্তবাজার অর্থনীতি আর প্রাতিষ্ঠানিক গনতন্ত্র বিএনপি’র আদর্শ ছিলো এবং আছে। সেই আদর্শ তারা কতটুকু ফলো করেছে সেটা অবশ্যই প্রশ্নসাপেক্ষ। কিন্তু আপনি যে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন যে আদর্শবিহীন বিএনপি’র এতো সমর্থন কোথা থেকে এলো। এই প্রশ্নের উত্তর দিলেও সেটা আপনার মধ্যে রেজিস্টার হলো না।
আমি স্পষ্টই উত্তর দিয়েছিলাম যে এপরিমানে বিপুল সংখ্যক core ভোটার তৈরী হয়েছে। কারন বাংলাদেশে মুক্ত অর্থনীতি, গনতন্ত্র আর ইসলামমেশানো জাতীয়তাবাদের এক বিশাল সমর্থন রয়েছে। আপনি সেটিকে অগ্রাহ্য করেছেন কারন গ্রাহ্য করলে পিতৃপ্রদত্ত জ্ঞানকে প্রশ্ন করা হয়।
@সফিক,
এর চেয়ে হাস্যকর কথা শুনিনি। আপনার লজিক মাননে, সোমালিয়াতে দুর্নীতি হয়,কাজেই বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে কোন প্রবন্ধ রচনা করা যাবে না,কিংবা আফগানিস্তানে মৌলবাদ আছে,সে কারণে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশে মৌলবাদের বিস্তার নিয়ে আলাদা করে কোন কিছু লেখা যাবে না। এই অদ্ভুত লজিকের উত্তর দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছি না।
আপনি বলেছেনঃ
বিএনপির এই আদর্শ না আছে কাগজে কলমে না আছে চর্চায়।বিএনপির কোন এসটাবলিশড আদর্শ নাই। তাদের কোন মুখপাত্রের কাছে এরকম শুনলাম না আর আপনি বায়বীয় এই আদর্শ নিয়ে হাজির। আর আপনি যদি বিশ্বাস করেন দেশের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী মুক্তবাজার অর্থনীতি আ প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের ফাকাবুলিতে আকৃষ্ট হয়ে বিএনপির প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে তাহলে বলবো আপনি অসম্ভব কল্পনার স্বর্গে বাস করছেন। আর আওয়ামীলীগও আদর্শগতভাবে মুক্তবাজার অর্থনীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের বিপক্ষে নয়। কাজেই these creates to huge margin as you are insisting to be. আপনার কেতাবি জ্ঞান মাঠের রাজনীতিতে কার্যকরী না এটা গত ৪২ বছরে প্রমাণিত। অন্তত বিএনপির অর্থনৈতিক আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ আওয়ামীলীগকে ছেড়ে বিএনপিকে ভোট দেয় এটা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না। যারা Quixotic ধারণা থেকে তর্ক করে তাদের সাথে তর্ক করা বৃথা।
আমি কি নিয়ে লিখবো সেটার একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার এনালজি বা লজিকে ভুল থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে,কিন্তু আমি বাংলাদেশ নিয়ে লিখবো না প্রশান্ত মহাসাগর নিয়ে লিখবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।এখানে আপনার অনাহুত কমেন্টের কোন স্থান বা গুরুত্ব নেই।
আর আপনার মন্তব্যের শেষ বাক্য নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না।অক্ষমের শেষ অস্ত্র ব্যক্তিগত আক্রমণ। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে উৎসাহী নই।কাজেই আপনার সাথে কথোপকথনে এখানেই ইতি টানলাম। আপনি শেষ কমেন্ট দেয়ার তৃপ্তি পাবার উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক আরেকটি কমেন্ট দিয়ে যদি খুশি হন তাহলে go ahead. আমার পক্ষ থেকে এই অর্থহীন অপ্রাসঙ্গিক un-courteous
তর্কে নিজেকে ব্যস্ত রাখা সম্ভব নয়। বিদায়।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
তর্কে নামুন বা না নামুন সেটা আপানর অভিরুচি। ফাকা মাঠে গোল দিতে পারবেন না।
যে জিনিষটি সবখানেই দেখা যায় সেটিকে একটি বিশেষ জাতির উপরে চাপিয়ে দেয়া হলো জাতি বিদ্বেষ। এই ব্লগে এই কারনে অনেকে ধরা খেয়েছে মুসলিমবিদ্বেষপনা দেখাতে গিয়ে। যে দ্বিচারিতা (?) সবজাতির মধ্যে আছে সেটাকে বাংগালীর দ্বিচারিতা বলা বাংগালীবিদ্বেষ।
এবার আপনাকে একটু ইতিহাস পাঠ দেই। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে, যেখানে গনতান্ত্রিক রাজনীতি কিছুটা বিকাশ করেছে, সেখানে দেখা যায় যে রাজনীতিতে মধ্য ডান আর মধ্য বামের মধ্যে বড়ো একটা বিভাজন থাকে। মধ্য ডান পার্টিটির মূল আদর্শ থাকে ব্যবসা-বান্ধবতা, ব্যাক্তিসম্পদের রক্ষন, সামাজিক রক্ষনশীলতা, ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ এরকম আরো কিছু। মধ্যডান পার্টি বিপুল সমর্থন পায় ব্যবসায়ী, ভূস্বামী, পেশাজীবি মধ্যবিত্ত, সামরিক বাহিনী ও ধর্মীয় রক্ষনশীলদের মধ্য হতে। পৃথিবীর প্রতিটি গনতান্ত্রিক দেশে একই চিত্র।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এখানে কোনো মধ্য ডান পার্টির ছিলো না। আওয়ামী লীগ ছিলো মধ্য বাম আর চিলো অনেক অতি বাম দল। অতি বামদের মোকাবেলা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই অতিবামের পথে হাটা দেয়। এতে জনগনের মধ্যভাগে ও ডানভাগে বিপুল শুন্যতা সৃষ্টি হয়। অনেক খান থেকেই জানতে পারবেন যে ৭৪-৭৫ এ দেশে নগরবাসী মধ্যবিত্তের কাছে আওয়ামী লীগে কিরকম জনপ্রিয়তা হারায়।
জিয়াউর রহমান মধ্যডানের এই বিপুল শুন্যতাকে কাজে লাগিয়েই এক্স মুসলীম লীগার, আওয়ামী বিরোধী বাম আর নগরবাসী মধ্যবি্ত্তদের সমন্বয়ে গড়ে তোলেন বিএনপি। শুন্যতার কারনে অতি দ্রুতই পার্টিটি মধ্যডানের একক প্রতিনিধি হতে সক্ষম হয়। বিএনপি যদি না হতো, জিয়াউর রহমান যদি না প্রেসিডেন্ট হতো, তবু বাংলাদেশে অতি দ্রুতই একটি মধ্যডান প্রধান পার্টি দাড়িয়ে যেতো গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে কয়েক বছরের মধ্যেই।
এটি একটি অত্যন্ত সহজ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আশাকরি আপনার পিতার দেয়া রহস্যটুকুর সমাধান হয়েছে।
@সফিক, একজন পোষ্ট লিখল বাঙালী(বাঙালী মানে শুধু মুসলমান না হিন্দুরাও বাঙালী,উনার পোষ্টে উনি হিন্দু বাঙালীদের দ্বিচারিতা নিয়েও লিখেছিলেন) আর বিএনপির দ্বিচারিতা নিয়ে,আর আপনি সেখানে খুঁজে পেলেন মুসলিমবিদ্বষপনা!চমত্কার ,আপনার থলেতে আরও যা যা আছে সবকিছু নিয়ে ফেসবুকে ঝুলায়া দেন,লাইকের বন্যা বয়ে যাবে।
@সফিক,
আপনি কি বস সর্ব রোগের চিকিৎসক, নাকি সর্ব বিষয়ে পন্ডিত?ইতিহাসের পাঠ দান আই কিউ পরীক্ষা আরো কত বিষয়ে আপনি পারদর্শী? জানাবেন কি দয়া করে?আপনার পায়ের ধুলি নিয়ে নিজেকে ধন্য করতে ইচ্ছা হচ্ছে।(H)
@সফিক,
সে কি! আপনি কি সত্যই জানেন না যে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, মহামতি জিয়া বাকশাল সিস্টেমের একজন সমর্থক ছিলেন?? মহামতি জিয়া থাকার পরও আপনি চেক এন্ড ব্যালেন্সের অভাব বোধ করছেন? জিয়াকে এভাবে অবমূল্যায়ন না করলেও পারতেন কিন্তু সফিক ভাই!!!
সেজন্যই বুঝি বিকল্প না পেয়ে বংশসুদ্ধ উপড়ে ফেললেন? মুজিবের ইচ্ছা সাপ হয়ে আপনাকে ক্রমাগত পেঁচিয়ে যাচ্ছিল, তাই পনেরই আগস্টের পর বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলেন, আর গলা ছেড়ে শুরু করলেন জন্মদিনের গান, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, তাই তো?
না, সফিক ভাই, আমি ঠিক করেছি, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ নিয়ে আটঘাট বেঁধে পড়াশুনো শুরু করব। আশির দশকের শেষভাগে বাংলার মাটিতে জন্ম নেয়া এই তন্ত্রটি কি যাদু দিয়া মাখা যে, সমাজতন্ত্রসহ দুনিয়ার তাবৎ তন্ত্র এর কাছে ফেল মারে! পলিটিক্স হয়ে যায় ডিফিকাল্ট! মানি পরিণত হয় নো প্রবলেমে! ডাইন-বাম হয় মিলেমিশে একাকার! আমায় জানতেই হবে, সফিক ভাই!
@কাজি মামুন, I follow this rule in my life: never argue with stupid because he/she will drag you down to his level and defeat you with his/her experience! :p 😀 :guli:
আশা করি আমার কথা নিগুঢ় তাৎপর্য বুঝতে পেরেছেন।কাজেই অযথা সময় নষ্ট করে উলু বনে মুক্তো ছড়ানোর দরকার নেই। সার্বিকভাবে বাঙ্গালির দ্বিচারতা নিয়ে লিখলাম,সেখানে একজন মুসলিম বিদ্বেষ খুঁজে পায়। কতটা অগভীর চিন্তাভাবনা হলে একটা মানুষ এমনটা ভাবতে পারে। বাকশালকে যারা স্বৈরশাসন বলে তারা প্রকারান্তে জিয়াকে আড়াল করতে চায় কিংবা জিয়ার ক্ষমতা দখলকে জাস্টিফাই করতে চায়।বাকশালের সমালোচনা হতেই পারে,তাই বলে কোন rational logic এই বঙ্গবন্ধুকে স্বৈতশাসকের তকমা দেয়া যায় না।যারা এটা করে তারা অতি নির্বোধ অথবা অতি চালাক।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,আমি যে মুসলিম বিদ্বেষকে একটি জাতিবিদ্বেষের তুলনা হিসেবে দেখিয়েছি, আপনার সাথে কোনো রকম ট্যাগ করি নি, সেটা বোঝার মতো আই কিউ আপনার এখনো হয় নি।
কাজি মামুন ভাইয়া, তুমি তোমার উপযুক্ত উত্তরই দিয়েছো। তোমার কাছে এটাই আশা করেছিলাম।
@সফিক,
প্রত্যেকেই নিজের উপযুক্ত জবাবটিই দেয়। এটিই তো দুনিয়ার নিয়ম, তাই না, ভাইয়া?
নাকি আমরা আপনার কাছ থেকে এমন কুনো জবাব পেয়েচি, যার একেবারেই উপযুক্ত নন আপনি? দয়া করে তেমনটা বিশ্বাস করতে বলে অযথা কষ্ট দেবেন না যেনো, সফিক ভাই!
@সফিক, অক্ষমের শেষ অস্ত্র ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অপ্রাসংগিক ত্যানা প্যাচানো। sympathy.
@সফিক,
কি রুড আর অশালীন উক্তি।সফিক সাহেব আপনি কি এখানে মানুষের আই কিউ নিয়ে গবেষণা করতে এসেছেন?
আপনার নিজের আই কিউ কতটা বেশি সেইটাই আগে মেপে আসেন না কেন?
এখন আপনার কিছু মন্তব্যকে কটাক্ষ করে যদি কেউ আপনাকে ছদ্মবেশী উপাধী দেয় আপনার কি ভাল লাগবে?
নুন্যতম সৌজন্য আপনার ভিতরে নেই,এই ধারনাটা দয়া করে সবার মধ্যে সঞ্চারিত করবেন না। ধন্যবাদ।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
অবশ্যই। বাকশাল ছিল একটি ব্যবস্থাপত্র। এবং এটি চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। ইতিহাসই তার সাক্ষী।
কিন্তু আমার আপত্তিটা ছিল, বাকশালকে স্বৈরতন্ত্রের সমার্থক বা প্রতিশব্দ বানানো (যা মাঠকর্মিদের কাছে প্রত্যাশিত হলেও মুক্তমনাদের কাছে নয়)। দেখুন, যেকোনো ব্যবস্থাপত্রেরই ভাল-মন্দ রয়েছে। এবং জায়গা ভেদে, সমাজ ভেদে এইসব ব্যবস্থাপত্রের উপযোগীতা হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র – কোনটির নেই হাজার হাজার সমালোচনা? একইভাবে, বাকশালের তত্ত্বীয় দিকটিরও হতে পারে তীব্র সমালোচনা। আর বাস্তবে যে এটি শতভাগ ব্যর্থ হয়েছিল, তা তো আগেই বলেছি। কিন্তু বাকশালের মধ্যেও কি কিছু ভাল বের করা যায় না? বাকশালের প্রবর্তকরা সবাই হিটলার হওয়ার খায়েসে এই ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছিলেন, আমি তা বিশ্বাস করতে পারি না। নিশ্চয়ই অন্তত কেউ কেউ এর মধ্যে বিশৃঙ্খলার চোরাবালিতে ডুবতে বসা জাতির মুক্তি দেখতে পেয়েছিলেন! কিন্তু তাদের চিন্তা/দর্শন ছিল শতভাগ ভুল- ইতিহাসই তো তার সাক্ষী।
@কাজি মামুন,
এটা খুব চিপ শট হয়ে গেছে মামুন। সফিক সাহেবের রাজনৈতিক পক্ষপাতটাকে বড় করে না ধরে উনার যুক্তির মূল জায়গাটা বোঝার চেষ্টা করো। স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ ডানদিকের বিশাল একটা জায়গাকে উপেক্ষা করেছিল, খালি রেখে দিয়েছিল আত্ম অহমিকায় বা বুদ্ধিহীনতায়। বিএনপি সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিল পুরোপুরি। সেই ফাঁকা জায়গাটা দখল করে নিয়েছে অতি দ্রুত। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুটোই ক্ষমতার বাইরে। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত ছাত্র ছাত্রলীগ করতো, তার তিনগুণ করতো ছাত্রদল। এখানে দ্বিচারিতার কিছু নেই। সব দেশেই কিছু মানুষ বাম ঘেষা থাকে, কিছু মানুষ ডান ঘেষা থাকে। বামের ব্যর্থতায় ডানের উত্থান ঘটে। এই যেমন ধরো গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জিতেছে। এখন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে কী ঘটবে বলে তোমার ধারণা? আমারতো ধারণা গো হারা হারবে তারা। একশো আসনও আওয়ামী লীগ পাবে না এবার দেখো। এখন তুমি কি বাঙালিদের দ্বিচারিক বলবা বিএনপিকে ভোট দেবার কারণে? এরাই কিন্তু গত টার্মে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
বাকশালকে ডিফেন্ড করার আগে ভেবে-চিন্তে করো। শেখ মুজিব বাকশাল করে গেছেন বলেই একে ডিফেন্ড করতে হবে, এটা কোনো কাজের কথা নয়। কেশবদার এই লেখায় বাকশাল নিয়ে কিছু আলোচনা আছে দেখতে পারো। মুক্তমনার আরেকটা লেখায় বাকশাল নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক ছিল। আপাতত মনে পড়ছে কোন লেখা। আদিল মাহমুদ বা ইরতিশাদ ভাইয়ের হয়তো মনে থাকতে পারে। ওনাদের কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
@ফরিদ ভাই,
আমিও মোর ওর লেস একই কথা বলার জন্য আসছিলাম। আইসা দেখি আপনিই বলছেন।
এই পোস্টের লেভেল এলাকায় চায়ের দোকানে করা রাজনৈতিক আলোচনার যে লেভেল তার থেকে একটুও উপরে নয়। বরঞ্চ এর থেকে ভালো আলোচনাও আমি চায়ের দোকানে দেখেছি। কিন্তু সফিকের সাথে করতে থাকা ছেলে মানুষির কোন তুলনা নাই।
সফিক যে প্রশ্নগুলো তুলল তার ধারে পাশে না গিয়েও আশেপাশে তুমুল জোশে কাজি মামুন আর পোস্টের লেখক বুক ডন দিয়ে যাচ্ছে। এমন কি পোস্টের লেখক সফিকের বলা মুসলিমবিদ্বেষ কথাটা যে উদাহরন হিসেবে বলল সেটাও বুজতে সক্ষম হচ্ছে না। চিন্তাহীনতা আর আবেগের লেভেল এমন পর্যায়ে আছে! ভারতের উদাহরন দিয়ে সফিক পরিষ্কারভাবেই দেখালো যে তাহলে বাঙালির কথা আলাদাভাবে কেন আসছে। লেখক ঝোপঝাড় পিটায়েই যাচ্ছে, পিটায়েই যাচ্ছে, কোন ক্রেডিবল, যোগ্যতাসম্পন্ন আলোচনা করতে পারছে না।
বাকশালকে স্বৈরতন্ত্র বলার জন্য অনেকেই গোস্বা করেছে। কী হাস্যকর এই আবেগ! স্বৈরতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র বলবে না কী বলবে?
আর কাজি মামুন, সমাজতন্ত্রকে অত্যন্ত বিপদজনকভাবে আপনি শ্রেষ্ঠতন্ত্র নামে একটা ধর্ম বানিয়ে ফেলছেন। দয়া করে এটা করবেন না। আমাদের পাতি বাম নেতাদের কথায় এতই সহকেই ভুলে যাবেন না। খালি আদর্শ থাকলেই সেটা শ্রেষ্ঠ হয় না। আদর্শে ওজন থাকতে হয়। আপনার কথায় যে কারো মনে হবে সমাজতন্ত্র আদর্শভিত্তিক একটা মতবাদ। সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এর থেকে বড় ভুল কথা হয় না।
লেখকের উদ্দেশ্যে বলি, লেখকের যদি লিখতে ইচ্ছেই করে তাহলে তথাকথিত শিক্ষিত(বস্তুত অক্ষরজ্ঞ্যান সম্পন্ন)আমাদের মধ্যবিত্ত বাঙালিরা কেন কিছু না জেনেই সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে যাই সেই ব্যাপারে একটা লেখা দিতে পারেন। অত্যন্ত আনন্দের সাথে যোগ দেব সেই আলোচনায়।
@সাইফুল ইসলাম, চায়ের দোকানের চেয়ে নিন্মমানের আলোচনা হচ্ছে এমন একটি পোষ্টে আপনার মত জ্ঞান-ই-শায়েংসা যে ক্ষুদ্র জ্ঞানো স্ফূরণ ঘটালেন তাতে,আমি অভিভূত,ধন্য ও গর্ব বোধ করছি।দায়া করে অতীতের মত ভবিষ্যতেও কোন মন্তব্য আপনার মনোপূত না হলেই(যেহেতু আপনি জ্ঞান-ই-চিরন্তনি ও বটে) মন্তব্যকারীর শিক্ষা,জ্ঞানের লেবেল ইত্যাদি নিয়ে ভত্সনা করে আমাদেরকে আলোকিত করবেন।
@পাতা,
জনাব, আপনি হয়ত খেয়াল করেন নি আমি আপনার উপদেশে বলা ঠিক এই কাজটিই দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি ক্লান্তিহীন ভাবে। এবং এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আপনার মতন বহু পাতারা আমাকে ফাতাফাতা করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। ব্যার্থ চেষ্টা বলা বাহুল্য। আশা করি সামনেও করবে। কিন্তু আপনাকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আমি এতে আমার লক্ষের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হব না। হাগুকে হাগু আর মধুকে মধু আমি বলে যাবই। কেউ আমাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না!
জনাব, এবার কি আমার করা প্রশ্নগুলো(যেগুলো মূলত সফিকের, আমি শুধু পুনরাবৃত্তি করেছি)র উত্তর দেবেন? আমার হয়েছে এই এক জ্বালা, আগে কিছু বললেই বলত আমি নাকি অভদ্রদের মত কথা বলি। এই অভিযোগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিতো না। আর এখন কত কষ্টে “ভদ্র”দের মতন শুদ্ধভাষায়(?!) কথা বলছি তাতেও কেউ উত্তর দেয় না। আরেক পোস্টে এক ধর্মবিজ্ঞানীর সাথে কথা বলছি, উনি এখন দোষ দিচ্ছে মুক্তমনা নাকি তার মন্তব্য ছাপায় না। মডারেটরকে ধন্যবাদ তার মিথ্যা অভিযোগ সাথে সাথেই খন্ডন করেছে। এখন দেখি তেনার জবাব কী হয়।
তো জনাব পাতা, উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আমাকে ফাতাফাতা করে কচু কাটা করার মতন যথেষ্ট রশদ আপনার গোডাউনে আছে। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ওরফে জ্ঞান-ই-অবদমিত,আমার কাছে সমাজতন্ত্র একটা পচা আপেল আর বাকশাল স্বৈরতান্ত্রিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ।বাকশাল ডিফেণ্ড করতে আসি নাই।যা বলতে চেয়েছি তা হইল, সমাজতন্ত্র বা বাকশাল বা রাজনিতি নিয়ে আমার বা আপনার বা যে কারও মতের সাথে অন্য যে কারও দ্বিমত থাকতে পারে,তাই বলে দ্বিমতকারীকে ব্যাক্তিগতভাবে অশিক্ষিত,শিক্ষিত হলেও অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন,ভণ্ড, জ্ঞানের লেবেল চা- দোকানির নিচে এসব বলেন কোন বিবেচনায়?শুধুমাত্র একটি পোষ্ট বা মন্তব্য পড়েই।ওহ চরি,আপনি তো জ্ঞান-ই-ক্লান্তিহীন,জ্ঞান-ই-ভদ্রভাষী,জ্ঞান-ই-পথপরিক্রমাকারী আপনি বলতেই পারেন।
@পাতা,
লেখককে আমি অশিক্ষিত বা শিক্ষিত হলেও অক্ষরজ্ঞ্যানসম্পন্ন বলি নি, আপনার ভুল রিডিং। এবং অত্যন্ত বিপদজনক ভুল রিডিং, যেগুলো সাধারনত পা দিয়ে হাটার বদলে যারা পা দিয়ে চাটে তারা করে থাকে। এ বক্তব্য আবিষ্কারের কৃতিত্ব সম্পূর্নটাই আপনার। আর কোন ভাগিদার নেই। এই সম্মান থেকে আমাকে মাফ করতে হবে জনাব। আপনি ভালোভাবে পড়লে দেখতে পাবেন আমি বলেছিঃ
এইকথায় যদি আপনার মনে হয় আমি লেখককে তথাকথিত শিক্ষিত(বস্তুত অক্ষরজ্ঞ্যান সম্পন্ন) বলেছি তাহলে ইউ মাস্ট গো ব্যাক টু প্রাইমেরি স্কুল। অন্য কোন অপশন নাই এই ক্ষেত্রে। মুক্তমনা বাঙলা শুদ্ধভাবে লিখিতে এবং পড়িতে শেখানোর পরম পবিত্র ব্রত নিয়ে কাজ করছে না বলেই আমি জানি।
আরেকটি মৌলিক আবিষ্কারের কৃতিত্ব আমি আপনাকে দিতে চাই, লেখকের জ্ঞ্যানের লেভেল চা-দোকানির নীচে এটাও সম্পূর্ন আপনারই আবিষ্কার এবং আমাকে স্বীকার করতেই হবে মৌলিক আবিষ্কার। আমার বলা লাইনটি আমি এখানে কোট করছিঃ
এই লাইন থেকে কীভাবে আপনার মনে হল আমি লেখককে এ কথা বলেছি? কোন লেখকের কোন নির্দিষ্ট লেখার সমালোচনা মানে লেখকের সমালোচনা নয়। তার শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে কটুক্তি নয়। আপনার উদ্ভাবনী শক্তির নজির দেখে আমি শঙ্কিত জনাব পাতা!!
@সাইফুল ইসলাম, লেখার লেভেল নিয়ে বলেছেন।সেটা বলার স্বাধীনতা আপনার আছে। চায়ের দোকানেও এর চেয়ে ভালো আলোচনা দেখেছেন জানানোর জন্য ধন্যবাদ।কিন্তু এতো নিম্নমানের পোস্টে আলোচনা করতে ছুটে এলেন দেখে অবাক লাগলো।
আপনাকে আনন্দ দেয়ার আমার উদ্দেশ্য না।আমার লেখায় আনন্দ সহকারে আলোচনা করতে আসার জন্য আপনাকে কেউ আমন্ত্রণ জানায় নি।
আপনার উপদেশ এখানে কেউ চায়নি। আমার কি লিখতে ইচ্ছা করে সেটা আপনার মেজাজ মর্জির উপর ভিত্তি করে হবে না।অনাহুত আগন্তুকের মত একের পর এক ব্যক্তিগত উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেনas if আপনার উপদেশ না জানি কত গুরুত্ব সহকারে নেব। হাস্যকর। sympathy থাকলো আপনার জন্য।
আপনার সাথে আর অহেতুক অনর্থক ব্যক্তিগত বাদানুবাদে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।ধন্যবাদ।
@ সাইফুল ইসলাম,
হে জ্ঞান-ই-শঙ্কিত,আপনার শঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।আমি আপনার পরামর্শ মত অতি অবশ্যই প্রাইমারি স্কুলে ফিরে যাব এবং আশা করছি আপনাকে হাই স্কুলের ময়দানে দেখতে পাব।আমি পাঠ নেব কিরূপে বাংলা ভাষা শুদ্ধভাবে পড়তে হয়।আর আপনি পাঠ নেবেন কিরূপে অশ্লিল ও নোংরা ভাষা(২৪ এপ্রিলে করা আপনার পোষ্টটা একটু দেখে নিতে পারেন) পরিহার করে লিখতে হয়।আর কোন লেখক বা মন্তব্যকারীকে ব্যাক্তিগতভাবে অক্রমন না করার যে অতীত ঐতিহ্য বা সুনাম আপনার আছে তা বজায় থাকবে আশা করি।
@কাজি মামুন,
আমিতো বললামই এটা অনেকরই হজম হবেনা। তবে ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট- ফ্যাক্টই- তাছাড়া টাইম মেশিন দিয়ে পেছনে যেয়ে- স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে বুঝিয়ে এই ব্যাপারটা পরিবর্তন করানোর জন্য আবেদন করাও সম্ভব নয়। এটা একটা ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট…… ঘটনা ঘটে গিয়েছে ৭ই জুন ১৯৭৫ সালে।
তবে আপনার আবেগ কে আমি সম্মান জানাই।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
আপনার আবেগকেও আমরা সন্মান জানাই। যদিও আপনি আবেগহীনতার ভান করছেন, তবু আপ্নিও তো মানুষ (নাকি মানুষী?)। প্রচলিত মানদ্বন্ডে স্বৈরতন্ত্রের সবগুলো শর্ত পূরণ করে ক্ষমতা লোটা, উর্দি পড়া উর্দু-মুখি শাসকদের আগে মুজিবের নামটি জুড়ে দিতেই হবে যেনতেন-ভাবে, কতটা বিদ্বেষী (নাকি বিদেশী?) আবেগ ধারণ করলে এমনটা করা যায়?? আবেগের আতিশয্যে ভেসে আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না, কিন্তু যেকেউই আপনার আবেগ-মথিত টানগুলো সহজেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।
ভাল থাকুন, আর বেশী বেশী আবেগ করুন।
@সংবাদিকা,
মুজিব। ৭ জুন থেকে ১৪ আগষ্ট ১৯৭৫, এই সুদীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছর !!! যাবত বাকশালী অপশাসনে জর্জরিত নিস্পেষিত আমরা, আসুন শেখ মুজিবের মরনোত্তর বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ফাঁসী দাবি জানাই।
@আকাশ মালিক, বাকশাল নিয়ে সমালোচনা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়।ব্যক্তিগতভাবে আমিও সেটা সমর্থন করি না।কিন্তু অধিকাংশ বাকশালবিরোধী আলোচনা শুনলে আমার মনে হয় বাকশাল যতটা না ভয়ংকর তার চেয়ে বেশি জিয়ার কর্মকান্ডকে জাস্টিফাই করার ঢাল। জিয়ার স্বৈরশাসনকে যারা বাকশাল দিয়ে জাস্টিফাই করতে চায় তারা আপাদমস্তক জ্ঞানপাপী।
@আকাশ মালিক,
এখানে আবেগ বিচ্ছুরণের তো কিছু নেই!!! ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট- ফ্যাক্টই। অনেকে আমাকে রাজনৈতিক লেবেল লাগাতে সচেষ্ট থাকতে পারেন, তবে আমি কোন রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার্ড কিংবা অন্ধ সমর্থক নই। এজন্য রাজনৈতিক নির্মোহ ভাবনা হজম হতে আমার সমস্যা হয়না।
আর জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ- এই দুজনই যে সামরিক একনায়ক এবং স্বৈরশাসক ছিলেন এটাতেও সন্দেহ নাই। আর ১৯৯১ সাল থেকে যা চলছে তা হল স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নির্বাচন- রাজনৈতিক দল গুলোর অভ্যন্তরে কোন গণতন্ত্রের চর্চাই নাই। এটাও একরকম কুয়েজি স্বৈরতন্ত্র।
@সংবাদিকা,
আমারতো মনে হয় যে এখানে শুধু আপনি একা না, আরো কয়েকটা বি এন পির রেজিস্টার্ড সমর্থক আছে। 🙂
@দারুচিনি দ্বীপ,
কিছু উপরেই আপনি একজনের মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত বাক্য সমষ্টি চয়ন করেছেনঃ
এখন আমার ব্যাপারে না জেনেই – আন্দাজি বললেনঃ
আপনার কি মনে হচ্ছেনা- এই প্রবন্ধের লেখক, যিনি সমাজের যে কিছু ব্যক্তির দ্বিচারিতায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে এই যে লেখাটি লেখলেন তার মধ্য আপনিও পরে পরে যান ?? দিলেন তো খুলে- তবে জানিনা এটা কি শার্টের বোতাম নাকি শাড়ির আঁচল!! তবে আপনার ভেতরের দ্বিচারিতা দেখিয়ে দিলেন 😕
@সংবাদিকা,
সবাইকে বিনীত অনুরোধ, এই সমস্ত খোলাখুলি বন্ধ করুন। মুক্তমনা কোন খোলাখুলির জায়গা নয়। খোলাখুলি দেখতে হলে আরো অনেক জায়গা আছে, সেথায় যান।
মুক্তমনা মুক্ত মত ও চিন্তাকে আহবান জানায়, কাপড় খোলাকে নয়। সুতরাং, প্লিজ……..
@কাজি মামুন,
এটা তো বেসুরা বেতাল, সময়ের অনুপযোগী কথা হয়ে গেল কাজী সাহেব। সঠিক কথা হতো- ‘চুদুরবুদুর অনেক দেখছি, আমরাও চুতমারানী গাইল দিতে জানি’। সার্ভাইবল অফ দ্যা ফিটেষ্ট। টিকে থাকতে হলে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে ফিট থাকতে হবে, নইলে বুলুপ্তি।
@সংবাদিকা,
আপনার কি একবারো মনে হচ্ছে না যে অনুমান করে কোন কিছু বলা, আর নিশ্চিত ভাবে আইকিউ পরীক্ষা নেয়া, ইতিহাসের পাঠদান করার মধ্যে বিস্তর ফারাক? কেউ আপনার বা আমার দলীয় সমর্থন করাকে আপনার বা আমার মন্তব্য থেকে অনুমান করেই নিতে পারে, কিন্তু নিশ্চিত ভাবে কারো আইকিউ বিচার করা অথবা ইতিহাসের পাঠদানের সাথে আসলেই কি এর মিল পাচ্ছেন আপনি?
খুবই চিন্তার মধ্যে ফেলে দিলেন। :-s
যদি লিঙ্গ জানতে চান তবে পুংলিঙ্গের ভেতর পড়ি আমি। তবে স্ত্রী লিঙ্গ হলেই যে শুধুই শাড়ির আঁচল খুলতে হবে এর কিন্তু কোন মানে নেই। যাক আমি কি আপনার কথার ভুল বুঝেছি?বুঝলে জানাবেন কারন আমার আইকিউ ও খুবই সাধারন মানের ( সফিক সাহেবের তত্বানুসারে)।
@দারুচিনি দ্বীপ,
কারন ট্র্যাডিশনাল ড্রেস শাড়ি হলেও অনেক বঙ্গ ললনাই পশ্চিমা পোশাকে সচ্ছ্যন্দ।কাজেই……
@আকাশ মালিক,
কিছু মনে করবেন না।এইসব অতি আবেগপুর্ন কথাবার্তাই আমার মতে প্রতিপক্ষের বিজয়ের চান্স টা বাড়িয়ে দেয়।
@সংবাদিকা,
দেখেন, নিরপেক্ষ ভাবে ধরলে শেখ মুজিবকেই আপনি স্বৈরশাসক বলতে পারেন?আরো মানবিক ভাবে ধরলে আপনি এটাকে তার ভুল বলে ধরতে পারেন। আর এই ভুলের মাশুল উনি জীবন দিয়ে চুকিয়ে গেছেন( যদিও এর জন্য জীবন দিয়ে মাশুল দেয়ার দরকার নেই) তবু বার বার এই একটা মাত্র মানুষ কে পচিয়ে কিছু মানুষ কেন যে এত বিমলানন্দ লাভ করে বুঝি না। উনার দোষের পাশাপাশি উনার গুন গুলো তুলে ধরাও কি নিরপেক্ষতার পরিচয় বহন করে না?
@দারুচিনি দ্বীপ,
ওনার অবদান সবাই খুবই শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করে। কিন্তু পৃথিবীতে কেউই দোষ ত্রুটির উর্ধে নন। উনি যেসব রাজনৈতিক ভুল করেছেন – ঐসবও আলোচনায় আসতে হবে। এটাই উচিত – আমাদের জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই।
@সংবাদিকা,
ঠিক। দোষ গুণ দুটোই নিয়েই আলোচনা হতেই হবে।তবে মাঝে মাঝে কেন জানি একপেশে ভাবে উনার দোষ গুলিকেই দেখানো হয় বড় করে; এতটাই বড় করে যে সেখানে আর মনে হয় গুন নিয়ে আলোচনার জায়গা থাকে না। 😀
বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ ও বিএনপির রাজনীতিক সমর্থনের বিস্তার নির্ভর করে দুটি ভিন্ন আফিমের পারস্পরিক কার্যকারিতার উপর: (১) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা (ভাবের কথা), (২) এন্টি-আওয়ামীসম, যা সেক্যুলারিজম বিরোধী ইসলাম মনা চেতনা।
হাজার বছরের প্রবঞ্চনা, দারিদ্র, অশিক্ষা বাংগালীর যে প্রতিক্রিয়াশীল, সংকীর্ণ ও সন্দেহবাতিক নেতিবাচক মানস নির্মান করেছে, সেখানে ভাবের কথার আফিমের কার্যকারিতা তলানিতে। অপরপক্ষে, প্রতিক্রিয়াশীলতা (এন্টিজম) ও ধর্মাশ্রয়ী আফিম দুর্বল, প্রতারিত মননে বেশ কাজ করে। বিএনপি খুব সহজেই বিরোধীদের অপপ্রচারে সফল হয়, কারন একটা গোষ্ঠি অলরেডি এন্টি-আওয়ামীসম আফিমে আসক্ত যাদের নেশাদ্রব্য পেলে আর কোনো বিবেচনার বালাই থাকে না। পাশাপাশি আওয়ামী ব্যর্থতা আরো টনিকের মতো কাজ করে।
বিএনপির ইতিবাচক, নেতিবাচক দুই প্রকারের ভোট আছে, আবার তারা মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার সবার কাছেই যেতে পারে কেননা তাদের অস্পষ্ট অবস্হানই তাদের আদর্শ ও ক্ষেত্রবিশেষে বিরাট অস্ত্রও বটে। বিপরীতে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক ইতিবাচক ভোট ছাড়া (যা আবার ৭৫-৯৬ এ ক্ষতিগ্রস্হ), শুধু এন্টি ভোট কি খুব বেশি? আওয়ামী আফিমে এই এন্টি উপাদান কম থাকায় সুস্পষ্ট প্রমান ছাড়া নেতিবাচক ভোট তেমন পাওয়া যায় না।কিন্তু মানুষের মন নেতিবাচক জিনিস খুঁজে কিন্তু আসক্তিটা মুলত এন্টি-আওয়ামিজমে।
@গোরা,
একমত। এজন্য বিএনপি পশ্চাদপদ এই দেশে ভোটের রাজনীতিতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। কিছুভোট অটমেটিকালি বিএনপির ঘরে চলে যায়,আর আওয়ামীলীগকে অর্জন করে নিতে হয়।অর্জনের প্রতিদান দিতে না পারলে আবারও বিএনপির ঘরে সেই ভোট চালিত হয়। কিন্তু এর ভাইস ভার্সা দৃশ্যত খুব বেশি দেখা যায় না। বিএনপি সবার কাছেই যেতে পারে,খালেদা জিয়া মন্দির দর্শন করতেও যান আবার আল্লামা শফির সাথে হাতে হাত মেলান।এটা তারা করতে পারে সমালোচিত হওয়া ছাড়াই কারণ তাদের কোন এস্টাবলিশড আদর্শিক অবস্থান নেই। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামীলীগের নামেমাত্র হলেও একটা আদর্শিক অবস্থান রয়েছে।সেকারণে তারা চাইলেই মৌলবাদীদের সাথে এক হতে পারে না,পারলেও এর জন্য শত সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যেটা বিএনপিকে ফেস করতে হয় না।এ কারণে পশ্চাদপদ এই দেশে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির ধোয়াশাপূর্ণ আদর্শিক অবস্থান বেশ চটকদার এবং ইফেক্টিভ।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ভিলেজ পলিটিক্স শব্দটি জানা আছে? আপনি দুনিয়ার জ্ঞান, নীতি, শ্রম দিয়েও তলারামপুরের স্হানীয় মতলববাজ চেয়ারম্যানের ভিলেজ পলিটিক্সে পেড়ে উঠবেন না। ভাবের কথার চেয়ে কোট-টাই পরা বিএনপির ভিলেজ পলিটিক্সের স্বীকার বেশির ভাগ শহূরে- গ্রামীন মানুষ, আর ধীরে ধীরে বড় একটি অংশের কাছে এটা আসক্তি হয়ে গেছে। যে কোনো রাজনীতিক বিশ্লেষণের কেন্দ্রে কোনোভাবে আওয়ামী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে এদের পরিবেশনা করতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, এই নেশাগ্রস্হ আঁতেলদের নিত্যদিন সব ইস্যুতে আফিম সরবরাহ করা বিএনপির জন্য বড় লায়াবিলিটি হয়ে গেছে, এরা কম ফাঁপরে নাই ভাই। আর এদের রাজনীতিক সচেতনতা হলো কোনোভাবে কারও কাছে এমন একটি ষড়যন্ত্রর গাল-গপ্পো শোনা আর বিশ্বাসের খুব গভীরে তা জপ করা। কোনোরূপ পড়াশুনা না করেই ফটর-ফাটর করা ভুরি ভুরি আঁতেলের দেশ এখন বাংলাদেশ। এই আঁতেলের প্রিয় উক্তি, “ভাবের কথার দেশ চলে ন…। আমরা ছা-পোষা মানুষ….ইত্যাদি।
@গোরা,
কথা সত্যি
🙁
জিয়াউর রহমান স্বৈর শাসক তাই না ? একজন স্বৈর শাসকের জানাজাতে অংশ নিতে দেশের চিপাচাপা থেকে কোটি কোটি লোক আসে জানাজা দিতে । মনে রাখবেন তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার । ইতিহাস আমরা সবাই জানি খুব ভালভাবেই ।
@জয়, এখানে তো বলা হয়নি যে জিয়া সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। উনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং পরবর্তীতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।ইতিহাস সেই কথাই বলে।সুপ্রিম কোর্টের রায়েও জিয়ার শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেনাপ্রধান হিসেবে যারা ক্ষমতার মসনদে বসে তাদেরকে স্বৈরশাসকই বলে।যেমন এরশাদ একজন স্বৈরশাসক ছিলেন।
@জয়, জিয়ার মৃত্যুর প্রেক্ষাপটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।মৃত জিয়া,জীবিত জিয়ার চেয়ে বেশী জনপ্রিয়।কারণ জিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হুজুগে বাঙলীকে বেশী টানে।”মনে রাখবেন তিনি একজন সেক্টর কমান্ডর ছিলেন”এখানে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন তিনি কুখ্যাত গো আযমকে এদেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
@জয়,
একেবারে কোটি কোটি মানুষ গুনে ফেললেন? স্ট্রেঞ্জ! গণনায় এই অতিপ্রাকৃত দক্ষতা নিয়ে কি করে ঘুমান ভাই??
ইতিহাস তো আপনি ভালই জানেন, তাই আপনার কাছে ইতিহাস জানার অভিপ্রায়ে কতিপয় প্রশ্নঃ
১. জিয়া যখন নিহত হন, তখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল কোন দল? হত্যাকারীরা?
২.এরশাদের আমল দেখেছেন? এরশাদের মা মারা যাবার পর কেমন ঢল নেমেছিল, বলুনতো?
৩.মুজিবকে কবর দিয়ে কারা ক্ষমতায় বসেছিল? বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ নাকি? এজন্যই বোধহয় মুজিবের মৃত্যুর পর তার পাশে কুনো মানুষ দেখা যায়নি?
৪. কি কি করলে একজন চিরস্মরনীয় সেক্টর কমান্ডার হওয়া যায়? যুদ্ধ শেষে বিশিষ্ট রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রি বানালে? স্বাধীনতার স্থপতির আত্মস্বীকৃত খুনীদের রাষ্ট্রদূতের পুরুষ্কার প্রদান করলে? তাহেরের মত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাইকারি হারে হত্যা করলে? স্বাধীনতার মূল নীতি বদলে দিলে? রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ দিলে? তাদের বিচার স্থগিত করলে?
আশা করি, প্রশ্নগুলোর উত্তর জানাবেন ভাইয়া। যারা ইতিহাস জানে না, তাদের ইতিহাস শেখানোর দায়িত্বটুকু হেলায় হারাবেন না কিন্তু ভাইয়া।
@কাজি মামুন, প্রশ্নগুলো যথাযথ এবং উত্তরগুলোও ইতিহাস জানামাত্র লোকই জানে।কিন্তু এসব ক্ষেত্রে নীরব থেকে বাকশাল,মুজিব,একনায়ক-এইসবে মোহাবিষ্ট হয়ে যারা তর্ক চালায় তারা শুধু দ্বিচারীই নয়,অতিচালাক। জিয়ার স্বৈরশাসনকে যারা বাকশাল দিয়ে জাস্টিফাই করতে চায় তারা আপাদমস্তক জ্ঞানপাপী।
খুব সুন্দর হয়েছে।
@নেমু, ধন্যবাদ। 🙂
হ্যা,বাঙালী মনন ও বিএনপি উভয়ের মধ্যে দ্বিচারিতা প্রবল।এখন,প্রশ্ন একজন দ্বিচারি বাঙালী যখন বিএনপিকে সার্পোট করে, তখন কি, সে নিজে বিশ্বাস করে যে, বিএনপি একটা দ্বিচারিগ্রস্থ দল?আমার মনে হয় ‘না’।তারা বিশ্বাস করে বিএনপি দ্বিচারিগ্রস্থ নয়।কারণ স্বাভাবিক ভাবেই এক দ্বিচারি অন্য এক দ্বিচারিকে পছন্দ করবে না।তাই দ্বিচারিকতায় দুজনের মিল থাকলেও,বিএনপিকে বাঙালী পছন্দ করে ভিন্ন কারণে।এই কারণ গুলোকে বিএনপির আদর্শও বলতে পারেন। ১.ধর্মীয় আফিম(যে আফিম বাঙালী মুসলমানরা খেতে খুবই পছন্দ করে এবং এটা জামাতী আফিমের চেয়ে বেশিক্ষণ বুঁদ করে রাখতে পারে)বিতরণে অত্যান্ত পারদর্শী বলে।২. প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আস্ফালন জাহির করে(আমারা যেমন আমাদের পাশের গ্রাম, পাশের বাড়ি নিয়ে,বা তাদের স্বাভাব নিয়ে হাস্যকর উক্তি বা সমালোচনা করে থাকি।স্বাভাবগত ভাবে এটা সব জাতির মাঝেই কাজ করে এবং বিএনপি এর সুবিধা নিয়েছে)।সারা দেশে স্থায়ী ভোট ব্যাংক তৈরি পেছনে এই দুটি কারণ মূখ্য।এছাড়া এলাকা ভিত্তিক(ফেনী,বগুরা)আ.লীগ বিরোধিতা ইত্যাদি নানা কারণও আছে।
@প্রাক্তন আঁধারে, তারা যে মনে করে বিএনপি দ্বিচারীগ্রস্ত নয় বলে বিশ্বাস করে বা বিশ্বাস করে বলে প্রদর্শন করে সেটাও একটা বড় দ্বিচারিতা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে ত্যানা প্যাচানোর জন্য তারা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সময়ের দ্বিচারী ভূমিকা যেমন-জামায়াতের সাথে যূথবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলে আওয়ামীলীগের তিরস্কার করে,অথচ বিএনপি যে জামায়াতের সাথে নির্বাচন করে নিজামী মুজাহিদকে মন্ত্রী বানায় তখন সেটা তাদের কাছে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে দ্বিচারিতা নয়!!! এটাই একটা ভয়াবহ রকমের দ্বিচারিতা!!!!
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। 🙂
লেখকের সাথে অনেকটাই একমত, আরও কিছু ফ্যাক্টর যোগ করতে হবে বলে মনে হয়। বি এন পি ধর্ম পালন করে কম কিন্তু রক্ষার দায়িত্ত পালন করার ভান করে। আর আওয়ামীলীগ অনেক বেশী পালন করেও মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনা। আসলে ধরমের ব্যাপারে মানুষ খুবই আজব আচরণ করে। ব্যাখ্যা করা মুশকিল।
@বাসার,
কঠিনভাবে একমত। (Y)
প্রথমত, পৃথিবীর প্রতিটি গনতান্ত্রিক দেশে সাধারনত একটি বড়ো রাইট ওফ সেন্টার পার্টি ও একটি লেফট ওফ সেন্টার পার্টি থাকে। বাংলাদেশও তাই। বাংলাদেশে ব্যাতিক্রম হলো যে লেফট ওফ সেন্টার পার্টিটি নিজেকে দেশের একমাত্র উত্তরাধিকারী বিবেচনা করে রাইট ওফ সেন্টার পার্টির অস্ত্বিত্ব নিয়েই প্রশ্ন করে।
দ্বিতীয়ত: ৭১ এর পরে লেফট ওফ সেন্টার আওয়ামী লীগ নিজেকে রাজনৈতিক দল থেকে একটি পারিবারিক কাল্টে পরিনত করে ফেলেছে। এটি এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় দল। হজরত মুজিবের অলৌকিকতাই এই ধর্মের মূলমন্ত্র। আর সেটাকে পরিবেশন করা হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নামের এমরফাস একটি কনসেপ্ট দিয়ে যা সতত পরিবর্তনশীল। এই পারিবারিক কাল্ট প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রিআ্যাকশন বিএনপি’র পালে বড়ো হাওয়া গত তিরিশ বছর ধরে।
তৃতীয়ত: আমাদের পাশের দেশে সামনের ইলেকশনে বিজেপি আবারো ক্ষমতায় হয়তো আসছে। এই লেখার সূত্র অনুযায়ী লেখক তখন নিশ্চই বলবেন বাংলাদেশ একটি আপাদমস্তক রক্ষণশীল দেশ। ভারতের রাজনীতির একটা বিশেষ দিক হলো যে শিক্ষিত নগরবাসী মধ্যবিত্তদের মধ্যে বিজেপি’র জনপ্রিয়তা কংগ্রেসের চেয়ে অনেক বেশী। এই জনপ্রিয়তা প্রবাসী শিক্ষিত ভারতীয়দের মধ্যেও ব্যাপক। ভারতের রাজনীতির এই ধারার অন্যতম কারন বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মতঐ কংগ্রেস পার্টি একটি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিনত হওয়া। যেহেতু ভারতের রাজনীতির বিবর্তন বাংলাদেশের চাইতে বেশী একারনে এখন গান্ধী পরিবারকে আগের মতো আর কাল্ট ফিগার হিসেবে দেখানো হয় না। কিন্তু বিশ বছর আগেও এমন প্রচারনা চলতো যে নেহেরু-গান্ধী বংশই ভারতের একমাত্র রক্ষাকর্তা। এই পারিবারিক কাল্টের বিরুদ্ধে রিআ্যাকশন বিজেপি’র উথ্থানে বড়ো ভূমিকা রাখে। এখনো ভারতের মধ্যবিত্তরা বিজেপি’র প্রতি বেশী সহানুভুতিশীল আর গরিব-মাইনরিটিরা কংগ্রেসের প্রতি।
চতুর্থ, ভারতের মতো বাংলাদেশেও ধর্ম জাতীয়তাবোধের একটি বড়ো উপাদান ঐতিহাসিকভাবেই । ভারতে বিজেপি আর বাংলাদেশে বিএনপি এই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বড়ো সুফলভোগী। বাংলদেশে বসে একজন মাইনরিটির বিএনপিকে পছন্দ করার কোনো কারন নেই। ভারতেও একজন মুসলিম বিজেপি’র সমর্থক হওয়া অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু ভোট আর সমর্থনের রাজনীতিতে এরা মেজরিটির মধ্য শক্ত পজিশনেই আছে।
পন্চমত: প্রতিষ্ঠা থেকেই বিএনপি’র অর্থনৈতিক আদর্শ ছিলো মুক্তবাজার অর্থনীতি ও প্রাইভেট খাতে শিল্পোন্নয়ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির সাথে যারা জড়িত তারা সবাই এটি মেনে নিয়েছে। গত চল্লিশ বছরে দেশের ও আর্ন্তজাতিক পরিপ্রেক্সিতে বলা যায় যে মুক্তবাজার ও ব্যাক্তিখাত এর প্রসার অবশ্যই একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিলো। এটা এখন কনসেনসাস। আওয়ামী লীগও একি জিনিষ ফলো করে। কিন্তু নিজস্ব ধর্মীয় কারনে এখনো সমাজতন্ত্র নামের নিজস্ব একাট জগাখিচুরীকে কলেমার মতো আওড়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যেয়ে যে রকম আচড়ঐ করুক, কখনো গনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে নি। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ এখনো বাকশাল নামের বাংলাদেশের কুৎসিততম অধ্যায়টি নিয়ে মিন মিন করা বাদ দিতে পারে নি। এর কারন অবশ্যই ধর্মীয়। হজরত মুজিব যা করেছেন তাকে যদি ভুল-বিভ্রান্ত বলা হয় তবে পুরো ধর্মের ভিত্তিতেই ফাটল ধরে।
স্বাভাবিক মানুষেরা কখনো একটি ইস্যুতে কোনো দলকে অন্ধ সমর্থন করে না। বিভিন্ন ইস্যুতে প্লাস-মাইনাস করেই সাধারন মানুষেরা একটি দলের দিকে ঝুকে পড়ে। রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় দলে পরিনত হওয়া উচিৎ নয় যে ৫টি ইমানের প্রতিটিতে টিকমার্ক না হলে সেই ধর্মে আর বিশ্বাস থাকে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র বিপুল সমর্থক রয়েছে যারা নিজস্ব কারনে একেক দিকে ঝুকে পড়ে। কেবল মৌলবাদীরাই একেক ইস্যু নিয়ে ইমান আছে নাকি নাই এই প্রশ্ন তোলে।
আওয়ামী লীগপন্থীদের ধর্মীয় আবেগ প্রবল হওয়াতে তাদের মধ্যে একটি দিক বার বার দেখা যায়। তারা নিজের কল্পিত এক বাংলাদেশে অধিকাংশ সময়ে বাস করে, যেখানে মুজিব আছেন তার আসনে আর দেশের অধিকাংশ লোকেরা একনিষ্ঠভাবে তার স্তবগীত গাইছে। ৯৬, ২০০৯ প্রতিবার একই জিনিষ দেখা যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই সমর্থকেরা মনে করে যে অবশেষে সত্যধর্মের জয় হয়েছে। এবার মুজিবনাম ঠিকমতো প্রচার করতে পারলেই মানুষের মন থেকে অন্ধকার চিরকালের মতো দূর হবে। বছর ঘুরতে ঘুরতে যখন দেখে নিজেদের বিরুদ্ধে জনপ্রিয়তা সংগঠিত হচ্ছে, তখন নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ব পল্লবিত হতে থাকে। সুশীল, আমেরিকা, চীন, সারা দুনিয়া, শেষ পর্যন্ত মনে করে ভারতও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেগেছে। আর সেই সাথে দেশের জনগনের প্রতি বিষোদগার তো রয়েছেই। পরাজয়ের সম্ভাবনা যতোই বারতে থাকে ততই অকৃতজ্ঞ, নির্বোধ, মৌলবাদী জনগনের উপরে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। নিজের কল্পিত বাংলাদেশ আর আসল বাংলাদেশের ফারাক বুঝতে বুঝতে মাথা খারাপ হয়ে যায়।
এই নাটক আগেও হয়েছে, আবার হচ্ছে। হয়তো আবারো হবে।
@সফিক, আ.লীগ একটি পারিবারিক কাল্টে পরিণত হয়েছে,অতি সত্য কথন। যদি বলা হয়,বিএনপি একটি সুন্দরী কুকুর ও তার দোদুল্যমান লেজ এই কাল্টে পরিণত হয়েছে,তাহলে কি অতি কথন হইবে?আর সমাজতন্ত্র শুধু মোটা বইগুলোতেই ভাল মানায়,বাস্তবে বেমানন।যেমন মুজিব মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বললেও আমেরিকা,ভারত( অসমাজতন্ত্রী) ও আরব দেশ গুলোর(ওআইসি তে যোগদান) সাথে সম্পর্ক মিষ্টি মধুর করতে তত্পর ছিলেন।তেমনি সমাজতন্ত্র বিরোধী বিএনপির কম্যুনিষ্ট শাসিত চিনের(বর্তমানে আমেরিকার গোডাউন)সাথে এত প্রিত কিসের?কারণ দুই দলই ভণ্ড এবং সামাজতন্ত্র একটি মাখাল ফল।
ইন্টেরেস্টিং লেখা। প্রথমত, লেখা মোটেও বড় হয়নি খুব একটা। এক টানেই পড়ে ফেললাম। 🙂
যাই হোক, দ্বিচারিতা সবার মধ্যেই টুকটাক আছে, ধর্মীয় বিশ্বাসী লোকজনের দ্বিচারিতা একটু প্রকট আকারে চোখে পড়ে আর কী!
হাহাহা, আপনার এই উক্তি দেখে স্যাম হ্যারিসের ব্লগের কথা মনে পড়লো। সে ব্লগে কখনো মন্তব্য করেনা কারণ সে মনে করে সে মন্তব্য করতে থাকলে পাঠকের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে এরকম একটা চিন্তা তার মধ্যে চলে আসতে পারে যা তার লেখাকেই আক্রান্ত করতে পারে এক সময়। তাই সে লেখাতেই তার যা বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করে, পরবর্তীতে কোন সমস্যা চোখে পড়লে একটা ফলোআপ লেখা দেয়, কিন্ত তবুও কখনো মন্তব্য করেনা। যুক্তিটা ভালোই লেগেছিল। যাই হোক, আপনার কথা থেকে অবশ্য বুঝতে পারছি যে আপনি চাইছেন একটা জমজমাট আলোচনা হোক।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে আমার অত পড়াশোনা নেই, তাই কমন সেন্স থেকেই মন্তব্য করতে হচ্ছে। আমি বড় হয়েছি বগুড়ায়, একেবারে খাঁটি বিএনপি’র ঘাঁটি। বগুড়ার মানুষ বিএনপিকে ভোট দেয় প্রধানত যে কারণে তা হল জিয়া নিজেই বগুড়ার ছেলে। মূলত এ কারণেই কলা গাছ দাঁড়ালেও বগুড়ার ৭ টা আসনের মধ্যে মিনিমাম ৫ টা এমনিতেই পাবে।
সারা দেশে কেন বিএনপি’র সমর্থক আছে সেইটা অবশ্য বিশ্লেষণের দাবি রাখে। খোদ আমেরিকাতেও কিন্তু রিপাবলিকান দল আছে যাদের অনেক সিনেটরই দুই দিন পর পর অবিশ্বাস্য সব রক্ষণশীল চিন্তা চেতনা প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেয়(ধর্ষণ, অ্যাবরশন, গে ম্যারেজ ইস্যু ফর এক্সামপল), একটা ভিন্ন মত বোধ হয় আপনা আপনিই গড়ে উঠে সব জায়গায়, আর সমাজে ধর্মের অবস্থান শক্ত হলে রক্ষণশীল মতই শক্তিশালী হতে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিএনপি’র সমর্থক গোষ্ঠীদের অধিকাংশই আমার ধারণা বিএনপি কেন সমর্থন করে সেইটা ব্যাখ্যা করতে পারবেনা( দিন দিন আওয়ামী সমর্থকদের জন্যও অবস্থা একই রকম ধারণ করছে মনে হচ্ছে) তাই মূলত আওয়ামী বিরোধিতা করতেই তারা হয়ত আওয়ামী লীগ বেছে নেয়। আপনি যে দ্বিচারিতার অ্যানালজি টেনেছেন, সেই করেলেশন যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মানতাম যদি না আওয়ামী লীগ দ্বিচারিতা থেকে বহু দূরে অবস্থান করত। আমাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিন্তু সেইটা বলেনা, আওয়ামী লীগও মাঝে মাঝেই রাজনৈতিক স্বার্থেই তাদের আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়।
সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশ একটি আপাদমস্তক রক্ষণশীল দেশ। এই দেশে কোন লিবারেল দলের পক্ষে প্রগতিশীল আদর্শ সমুন্নত রেখে রাজনীতি করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যেমন ধরেন, আমরা ব্লগে যতই লাফাই না কেন, নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে জনমানুষের মধ্যে বিশাল কনসেনসাস ছিল। এরকম সময়ে যে রকম শক্ত মেরুদণ্ড নিয়ে সরকারের ফ্রিডম অফ স্পীচের পক্ষে অবস্থান নেবার কথা ছিল, উল্টো তারাও ডুগডুগির সাথে তাল মিলালো জনগণকে কিছুটা শান্ত করতে।
অপরপক্ষে কনজারভেটিভ ভ্যালুকে চ্যাম্পিয়ন করা বিএনপি দেশের মানুষের মাঝে একটা অটোম্যাটিক অবস্থান করে নেয় যেহেতু আমরাও অধিকাংশই বাই ডিফল্ট কনজারভেটিভ। বিএনপির একটা কৃতিত্ব(?!) যে আপাত নিরীহ লিবেরাল ধারণা(যেমন, সেকুলারিজম)কেও তারা
এমনভাবে প্রচার করেছে যে মানুষ এখন ভাবে সেকুলারিজম মানে দেশে কোন ধর্ম না থাকা। আর এই দেশে যে প্রপাগান্ডা চালানো কত টেম্পটিং সেইটা গত কয়েক মাসে টের পাইছি। ৫ মে হেফাজত ”গণহত্যা” ইস্যু, রেশমা ইস্যু, সাইদির চাঁদে গমন ইস্যু এ সব গুলাই ঢাকার বাইরে(অবশ্য ঢাকার ভিতরেও কম না একেবারে) গিয়ে দেখেন অধিকাংশ মানুষই এগুলা বিশ্বাস করে।
ভুল লিখেছি, শেষে আওয়ামী লীগের বদলে বিএনপি হবে।
@রিজওয়ান,
বিএনপিকে বেছে নেয় বলতে চেয়েছিলেন মনে হয়।
সত্যি।
সত্যি।
@রিজওয়ান,
বিএনপি একজন শিক্ষিত নেতা এ্যানি সাহেবকে (সম্ভবত ইনডিপেনডেন্ট চ্যানেলের) এক অনষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয় ,
প্রশ্নকৰ্তা : সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এটাকি বিশ্বাস করেন ?
এ্যানি সাহেব : God knows … দেখা যেতেই পারে !!! :-O :-O :-O
@রিজওয়ান, উত্তর দিতে একটু দেরিই হয়ে গেল।শুরুতেই জানিয়ে দেই,তোমার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই।
প্রথমত,
তুমি যেটা বলেছ এ ব্যাপারে সেটা আংশিক ঠিক,তবে মূল কারণটা হচ্ছে,রাজনীতির আসলেই শেষ কথা বলে কিছু নেই।কাজেই রাজনৈতিক তত্ত্বেরও শেষ কথা বলে কিছু নেই।কাজেই এটা আমার একটা প্রি-এজাম্পশুন ছিল যে আমি যে বিষয়ে আলোচনা উত্থাপন করেছি সে বিষয়ে সকলের অংশগ্রহণে হয়তো আরও সুইটেবল কোন তত্ত্ব বের হয়ে আসবে যেটা একই সাথে অভিনব কিছু দেবে আবার আমার থিওরিকেও ওভাররাইট করে ফেলতে পারবে। আর স্বাভাবিকভাবেই দেখেছি রাজনীতির আলোচনায় কেন জানি আমি যেকোন কিছুতেই দ্বিমত পোষণ করতেই বেশি পছন্দ করি! :p এইটাও একটা কারণ হতে পারে আমার উক্ত বক্তব্যের! 😀
এনিওয়ে,এবার বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আসি। দ্বিচারিতার সাথেই তুমি রক্ষণশীলতা ও পশ্চাদপদতাকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে উল্লেখ করেছ।উদাহরণ হিসেবে ২৫০০ মৃত্যুর গুজব কিংবা নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির জন্য জেনারেল কনসেনসাসের কথা বলেছ। অত্যন্ত শক্ত একটি পয়েন্ট এবং আমি পুরোপুরি সমর্থন করি তোমার বক্তব্য।
তবে একটা কথা না বললেই নয়, বিএনপি পশ্চাদপদ এই দেশে ভোটের রাজনীতিতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। কিছুভোট অটমেটিকালি বিএনপির ঘরে চলে যায়,আর আওয়ামীলীগকে অর্জন করে নিতে হয়।অর্জনের প্রতিদান দিতে না পারলে আবারও বিএনপির ঘরে সেই ভোট চালিত হয়। কিন্তু এর ভাইস ভার্সা দৃশ্যত খুব বেশি দেখা যায় না। বিএনপি সবার কাছেই যেতে পারে,খালেদা জিয়া মন্দির দর্শন করতেও যান আবার আল্লামা শফির সাথে হাতে হাত মেলান।এটা তারা করতে পারে সমালোচিত হওয়া ছাড়াই কারণ তাদের কোন এস্টাবলিশড আদর্শিক অবস্থান নেই। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামীলীগের নামেমাত্র হলেও একটা আদর্শিক অবস্থান রয়েছে।সেকারণে তারা চাইলেই মৌলবাদীদের সাথে এক হতে পারে না,পারলেও এর জন্য শত সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যেটা বিএনপিকে ফেস করতে হয় না।এ কারণে পশ্চাদপদ এই দেশে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির ধোয়াশাপূর্ণ আদর্শিক অবস্থান বেশ চটকদার এবং ইফেক্টিভ।
মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ। 🙂
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
আল্লামা শফি’র সাথে কে যেন দুইবার দেখা করে হাত মিলাইসে ?
চটকদার। ইফেক্টিভ ও বটে। তবে ধোয়াশাপূর্ণ নয়।
কারন জামাত কে সাথে রেখেছে বলে কয়ে। তাদের কথা দিয়েছে সাথে রাখবে। রেখেছে।দুনিয়া ঊল্টে গেলেও কথা রেখেছে।
সে জন্যই রাতের আধারে মার্কিন ডিপ্লোমেটে’র বাসায় গোপন দরদাম করে।
মন্ত্রী মিনিস্টার পাঠিয়ে হেফাজতের কাছে সংসদের ৫০টা আসন বিক্রি করে আসে।
নির্বাচনের আগে মৌলবাদিদের সাথে লিখিত চুক্তি করে।
গোলাম আজম কে শাস্তি দিতে ভয় পায়।
@দশরথ, আমার মন্তব্য আংশিক পড়েছেন সম্ভবত। “সেকারণে তারা চাইলেই মৌলবাদীদের সাথে এক হতে পারে না” -এর পরেই লিখেছিঃ পারলেও এর জন্য শত সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যেটা বিএনপিকে ফেস করতে হয় না। যেই সমালোচনাটা এখন আপনি করছেন।অর্থাৎ আমি যেটা লিখেছি সেটা ফ্যাক্ট হিসেবে প্রমাণিত হল।
২য়ত,আমার বক্তব্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য সম্ভবত আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। আমি এটা কখনই বলিনি যে আওয়ামীলীগ কখনই মৌলবাদীদের সাথে হাত মেলায় না।আমার পয়েন্টটা ছিল,মৌলবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে আওয়ামীলীগকে যতটা সমালোচনায় পড়তে হয় বিএনপিকে ততটা পড়তে হয় না। এইটা ফ্যাক্ট।
আওয়ামীলীগ গোলাম আজমের ফাঁসী দিতে ভয় পাচ্ছে,একারণে আমরা আওয়ামীলীগের সমালোচনা করছি।আমিও করছি। কিন্তু বিএনপি যে গোলার আজমের সাথে রাজনৈতিক সহবাস করছে বা তাকে বিএনপিই দেশে এনেছে এজন্য বিএনপির সমালোচনা ততটা হচ্ছে না-অর্থাৎ আমরা ধরেই নিয়েছি বিএনপি তো এমন করবেই।কিন্তু আওয়ামীলীগ তো এমন করতে পারে না,আওয়ামীলীগের কাছ থেকে এটা এক্সপেক্টেড না-এইজন্য আওয়ামীলীগের কঠোড় সমালোচনা করছি। এখানেই পার্থক্যটা। দুই দলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে এই সূক্ষ্ম পার্থক্যই আমি এড্রেস করেছি।আপনি আমার বক্তব্য আংশিক তুলে ধরে ভুল ব্যাখ্যা করেছে অথবা আমার পয়েন্টটি ধরতে পারেন নি।
এরকম কোন খবরের সোর্স কি? রিলায়েবল কোন সোর্স থাকলে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ভাইজান। বিএনপি করে উপরে উপরে।আ’লীগ তলে তলে।
এইবার বুঝেছি আপনি দ্বিচারিক বলতে কাকে বুঝিয়েছেন
তবে যাই হোক আমাদের দেশের “এসব” পৃথিবীর অনেক দেশের “ঐসব” থেকে অনেক কম…… 🙂 শোনা যায় “মুজরা” নৃত্য নাকি পাকিস্তানের একটা ন্যাশনাল কালচারের মর্যাদা পায় :p