বাংলাদেশের ভবিষ্যত ও আমরা
আকাশ মালিক
বাংলাদেশের ভবিষ্যত ভাগ্যনির্মাতা হেফাজতে ইসলামের সহ সেক্রেটারী জুনায়েদ হাবিবি ইংল্যান্ড এসেছেন সপ্তাহ দু এক আগে। ৫/ ৬ তারিখের শাপলা চত্বরে পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম নৃসংশ গনহত্যার বর্ণনা বয়ান করে করে এ পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ পাউন্ড সংগ্রহ করেছেন। যথারীতি আমাদের মসজিদেও এসেছিলেন, স্বতস্ফুর্থভাবে মুক্তহস্তে মানুষজন মোট তিন হাজার পাউন্ড তার হাতে তুলে দিয়েছেন। এর মধ্যে একজন আওয়ামী লীগার একাই দিয়েছেন ৫ শো পাউন্ড। টাকাগুলো খরচ হবে শাপলা চত্বরে শহিদ হওয়া হেফাজতের তিরিশ হাজার শহিদদের পরিবারের সাহায্যার্থে। তিরিশ হাজার সংখ্যাটা অবশ্য জুনায়েদ হাবিবি বলেন নি, বলেছেন তাদের সমর্থকেরা। উল্লেখ্য ৬ তারিখের গনহত্যায় এই জুনায়েদ হাবিবি শহিদ হওয়ার পর তার গায়েবানা জানাজা বাংলাদেশে একবার পড়া হয়েছিল যদিও তিনি এখনও জীবিত। গত সপ্তাহে এসেছিলেন হাবিবি আর এই সপ্তাহে এসেছেন তারেক মনোওয়ার। বিরাট বিরাট ইসলামী সম্মেলনের লিফলেট-পোষ্টারে আমাদের টাউনের সকল গ্রোসারী শপ, মসজিদ, সেন্টার সয়লাব হয়ে গেছে। দুই হাজার বাংলাদেশী মুসলমানের বসতি এই শহরে। প্রত্যেক ফ্যমেলির প্রায় সব ঘরেই ট্রান্সমিটার আছে, ৫ ওয়াক্ত মসজিদের আজান আর ওয়াজ এখন ঘরে বসেই শুনা যায়। ইসলামী সংস্কৃতি সচেতন আমাদের মহিলাগণ গুরুত্বপূর্ণ এ সব ওয়াজ শুনা থেকে মোটেই বঞ্চিত হচ্ছেন না। আশ্চর্য ব্যাপার হলো, জুনায়েদ হাবিবি ও তারেক মনোওয়ার দুইজনই ৬ তারিখের শাপলা চত্বরের গনহত্যার কথা উল্লেখ করেছেন কিন্তু কেউই নিহতের আসল সংখ্যাটা একবারও বললেন না। জুনায়েদ বলেছেন, নিহতদের আত্মীয়্স্বজন নাকি ভয়ে মুখ খুলছেন না কারণ, যে কেউ তার খুন হওয়া আপনজনের খোঁজে পুলিশের কাছে গেলে সেও আর ফিরে আসেনা, তাকে সাথে সাথে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। গুম হওয়ার ভয়ে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন মিডিয়াগুলো শাপলা চত্বরের কোন খবর ছাপাতে সাহস করছেনা। হেফাজতের জুনায়েদ হাবিবি আর জামাতের তারেক মনোওয়ারকে আগে থেকেই চিনি, তাদের উভয়ের ওয়াজ অনেক শুনেছি। মিথ্যা বানোয়াট কাহিনি বর্ণনায় দুজনই বেশ দক্ষ পারদর্শী। এদের মিথ্যা কিচ্ছা কাহিনির বিশেষত্ত্ব হলো তাদের অনেক গল্পের নায়ক ও বাস্তব সাক্ষী তারা নিজেরাই। তাই সাধারন অশিক্ষিত মানুষ তা অবিশ্বাস করতে পারেনা কিন্তু ইউনিভার্সিটির বায়োলজি, কেমিস্ট্রি, ফিজিক্সের ছাত্র-শিক্ষকেরা তা হজম করেন কী ভাবে আমি বুঝিনা। জুনায়েদ হাবিবি হাফেজজি হুজুরকে নিয়ে যে কিচ্ছাটি বললেন তা হুবহু মুহাম্মদের হিজরতের রাত্রির কাহিনিই। তিনি ওজুর ফজিলত আর হাফেজ্জি হুজুরের কেরামত যে ভাবে বর্ণনা করলেন তা মোটামুটি এরকম-
‘বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার হাফেজজি হুজুরকে গৃহবন্দী করে রেখেছে, বাসার চতুর্দিকে কড়া পুলিশ পাহারা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটা পিঁপড়াও রাস্তা ক্রস করতে পারবেনা। হুজুরকে একটি মাহফিলে যেতে হবে আমরা তাকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছিনা। বেরুলেই তো গুলি করবে, না হয় এরেষ্ট করে জেলে নিবে। হুজুর বললেন, অজুর পানি আনো। ওজু করে হুজুর দু-রাকাত নফল নামাজ পড়লেন। বাহিরে রাস্তার দু-ধারে অস্ত্রহাতে লাইন বাঁধা পুলিশ। হাফেজজি হুজুর বললেন, মুসলমান শত শত দেশ জয় করেছে অস্ত্র ছাড়াই। মুসলমানের অস্ত্র হলো ওজু। হুজুর ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লেন আমরা তার পেছনে। তাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আমরা কয়েকজন ঘরে ফিরে এলাম। হুজুর চলে যাওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পুলিশ আমাদের কাছে এসে অনুরোধ করলো- ‘তোমাদের সাথে হুজুরের মোনাজাতে আমরা কি শরিক হতে পারি’? আমরা বললাম হুজুর তো ঘরে নাই। এর পর পুলিশের কাছে ওয়ারলেসে হাইকমান্ডের ওয়ার্নিং আসলো- ‘হাফেজ্জি হুজুর ওয়াজ মাহফিলে আর তোরা তার বাসায় কাকে পাহারা দিস’?
তারেক মনোওয়ারের বাঁদরামী ওয়াজ শুনলে মনে হয় যেন বাংলা সিনেমার মগজহীন জৌকারের অভিনয়। ইংল্যান্ডের এক ১০/১২ বছরের ইংরেজ বালক নাকি তার বাংলা ওয়াজ শুনে অশ্রুভরা নয়নে তার কাছে এসে মুসলমান হওয়ার মিনতি করেছিল। ঐ ইংরেজ বালকের মুসলমান হওয়ার কিচ্ছার কাছে আরব্য উপন্যাসের গল্প ফেইল্ড। ওয়াজ জীবনে অনেক শুনেছি, আপনারাও শুনেছেন কিন্তু আজ এমন একজনের ওয়াজ শুনাবো যিনি সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে সব চেয়ে আলোচিত, সম্মানিত ও সর্বশ্রেষ্ট আলেম হিসেবে পরিচত। হ্যাঁ, উনি বাংলার ষোল কোটি তাওহিদী জনতার সপ্নের আমিরুল মোমেনিন বাংলার ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম খলিফা হজরত আল্লামা শাফী, যাকে মসনদে বসানোর জন্যে বাংলার ১৬ কোটি মুসলমান শ্বাস-নিশ্বাস বন্ধ করে, দানা পানি প্রায় এক প্রকার ছেড়ে দিয়ে, নাকের জল চোখের জলে সিক্ত হয়ে নির্ঘুম দিবস রজনী অতিবাহিত করে চলেছেন। মহরম মাসে মানুষ যেমন হায় হোসেন হায় হোসেন বলে চিৎকার করে বুক চাপড়ায়, রক্তে রঞ্জিত করে সারা দেহ, তেমনি আজ কয়েক মাস যাবত ১৬ কোটি মুসলমান মাতম করছে, হায় হেফাজত হায় হেফাজত, হায় শাফি হায় শাফি বলে। তার ভক্তকুল ও তার দল হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের অসংখ্য তর্জন গর্জন, সরকার পতনের হুমকি, শরিয়া আইন কায়েমের হুংকার দেখে শুনে মনে হয়েছিল, নদী-নালা খাল-বিলে ঘেরা এই সবুজের দেশে মরুভুমির বদর, ওহুদ, সিফফিন কিংবা কারবালা আসন্ন। আর তা যদি না হয়, খোলাফায়ে রাশেদিনের শাসন বা খলিফা ওমরের যুগের আরবের অবস্থাটা জীবিত থাকতেই দেখে যেতে পারবো। আমি মনস্ত করলাম এমন হুজুরের ওয়াজটা একবার শুনেই দেখি।
তার আগে একনজরে হেফাজতে ইসলামের সেই ঐতিহাসিক তেরো দফা দাবীগুলো দেখা যাক-
১। সংবিধানে ‘আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
২। আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
৩। কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
৭। মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
৯। রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।
১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
১১। রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
১২। সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
১৩। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
দুঃখের বিষয়, শাফি সাহেব ও তার হেফাজত যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকারের শাস্তি দাবী করে একটা দফাও লিখলেন না। উপরের দাবীগুলো নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, আমরা বরং হুজুরের ওয়াজেই চলে যাই। নিচের ভিডিওটির প্রথম ভাগের কিছু কথা যে ভাবে বুঝেছি তা নিম্নরূপ-
“এই মহিলারা আল্লাহর কোরানকে যদি বিশ্বাস করেন, কোরান বলতেছে এই মহিলারা ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে তোমরা থাক। ঘরের বাইরে ঘুরাফিরা কইরো না। উলঙ্গ হইয়া ঘুরাফিরা কইরো না, রাস্তাঘাটে হাটে মাঠে মার্কেটিং কইরতে যাইও না। স্বামী আছে ছেলে আছে, এদেরকে বইলবেন মার্কেটিং করার জন্য, তোমরা কেন মার্কেটে যাইবা। তোমরা শুধু অর্ডার কইরবা, আপনে কেন কস্ট কইরবেন। আপনে স্বামীর ঘরের ভিতর থাইকা স্বামীর আসবাব পত্র এসব গুলার হেফাজত কইরবেন, ছেলে মেয়েদের লালন পালন কইরবেন, এইগুলা আপনার কাজ, আপনে কেন বাইরে যাবেইন। আপনার মেয়েকে কেন গার্মেন্টসে দিছেন? ফজরে ৭-৮ টায় চলে যায়, রাত ৮-১০ টা ,বারটায়ও আসে না, কোন পুরুষের সঙ্গে ঘুরাফিরা করতেছে, তুমিতো যান না, কত জ্বেনার মধ্যে মুকতালা হচ্ছে। তোমার মেয়ে আর জ্বেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করতেছে, কি বরকত হইবে? আপনার মেয়ে স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে পড়তেছে। আরে, ক্লাস ৪/৫ পর্যন্ত লেখা পড়া করান, যাতে বিবাহ শাদী দিলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পাইরবে, এমত এতটুকু। মেয়েরা হইলো তেতুলের মত। দেখলেই দীলের মইধ্যে লালা বাইর হয়। তেতুল গাছের নিছে দিয়া গেলে জিফরায় লালা আসে। এই মহিলাদের সঙ্গে লেখাপড়া কইরতেছেন দিল ঠিক রাখতে পাইরবেন না। যতই বুজুর্গ হউন মহিলাকে দেখলে, তাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলে তোমার দিলের মইধ্যেও কূভাব আইসা যাবে, খারাপ খেয়াল এইটা মনের জ্বেনা, দিলের জ্বেনা, দিলের জ্বেনা, হইতে হইতে এইটা আসল জ্বেনায় পরিনত হবে। কেউ যদি বলে,আমি বূড়া মানুষ, হুজুর মহিলাকে দেখলে আমার দিল খারাপ হয় না, কূ খেয়াল দিলের মইধ্যে আসে না, তা হলে আমি বইলবো’ এই ভাই, তোমার ধ্বজভঙ্গ বিমার আছে, তোমার পুরুষত্ব নস্ট হইয়্যা গ্যাছে। সেই জন্য মহিলা দেখলে তোমার কূভাব আসে না। আপনার বিবি ‘যাদের সঙ্গে বিবাহ হতে পারে……………..তাদের কাউকে দেখা দিতে পারবে না। আপনার বিবি যদি দেখা দেয় তবে যদি আপনে বাধা না দেন তবে আপনার জন্য বেহেস্ত হারাম হইয়া যাবে।”
উল্লেখ্য উনি ছেলেদেরকে বলেন ‘ফুয়া’ আর মেয়েদেরকে ডাকেন ‘ মাইয়া ফুয়া’। এটা হয়তো তার আঞ্চলিক ভাষা এতে দোষের কিছু নাই। কিন্তু নারীদের তেঁতুলের সাথে তুলনা করার পর থেকে আর বার্থ কন্ট্রোল নিয়ে শুরু থেকে তিনি আঞ্চলিক ভাষায় যা বলেছেন, আমি এর আগামাথা কিছুই বুঝি নাই। যদি কোন পাঠক পারেন তো এর উপর একটু আলোকপাত করবেন। আল্লামা শাফি সাহেবের লক্ষ কোটি ভক্তের ব্লগের পত্রিকার, ফেইসবুকের অগণিত বক্তব্য মন্তব্য থেকে একটি মাত্র মন্তব্য এখানে তুলে দিলাম-
দেশের আলেমওলামা তথা তাওহীদি জনতা এবং সাধারণ ধর্মভীরু জনগণের কাছে আল্লামা শফি একটি অতি সম্মানিত নাম। যাঁর এক ডাকে সারা দেশের এক এক জেলায় লক্ষ লক্ষ জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসে তাঁর চেয়ে আলোকিত মানুষ আর কে হতে পারে ? এই মূহুর্তে বাংলাদেশের ইতিহাসে জনপ্রিয়তম একটি নাম হচ্ছে আল্লামা শফি। উনি এবং ওনার ডাকে মানুষ কাফন পরে শাহাদাতের জন্য তৈরি হয়ে যায়, এখনো ডাক দিলে আবার আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ হবে। একমাত্র ইসলামের খাঁটি দুশমন যারা তারা ছাড়া আর বাকি সবার কাছে উনি শুধু আলোকিত না, জ্যোতির্ময় একটি নাম।
জীবনে অনেক ওয়াজ শুনেছি, আমার মনে হলো সারা জীবনে এমন নিকৃষ্ট ভাষার, এত অশ্লীল নোংরা ওয়াজ আর কোনদিন শুনি নাই। যার ডাকে সারা বাংলাদেশ রাজধানীতে এসে জড়ো হয়, যিনি ৭১এর ৭ মার্চের সমাবেশের চেয়ে বড় সমাবেশ ঘটাতে পারেন, এই হুজুর কোরান হাদিস জানেন না, ওমরের শাসন বুঝেন না, রসুলের তরিকায় শরিয়ার আইনে দেশ পরিচালনা বুঝেন না তা বিশ্বাস করিনা। সেই আলোকিত, জ্যোতির্ময় ব্যক্তির পবিত্র মুখের পুণ্য ওয়াজের ভিডিও সরাসরি যারা দেখতে পারবেন না তাদের জন্যে লিংক।
এ রকম ওয়াজ শুনে শুনে এই শিক্ষা পেয়ে এই মানসিকতায় ধীরে ধীরে তিলে তিলে এক বিরাট জনগুষ্টি তৈরী হয়েছে আমাদের দেশে। তারা এই দেশের মাটির উৎপাদিত খাদ্য ফসল, ফলমুল শুধু ভক্ষনই করতে জানে কোনদিন এই মাটিতে একটি ধানের চারাও রোপণ করেনি। তারা শুধু দেশের ক্ষয় করতে জানে দেশটাকে কিছু দিতে জানেনা। অসৎ নষ্ট রাজনীতিবিদরা জাতীয় সংসদে বসে চুদুর বুদুর চুতমারানীর ভাষা জাতীকে শেখালো এই মানুষগুলোকে শিক্ষিত কর্মজীবি করে গড়ে তোলার চেষ্টা করলোনা। এদেরকে দুধ-কলা দিয়ে তাদের রাজনৈ্তিক স্বার্থে ব্যবহারের অস্ত্র হিসেবে শুধু পোষে বড় করেছে, আমরা আমাদের কষ্টার্জিত উপার্জনের টাকা দিয়ে তাদের ভরন-পোষন করেছি, আমাদের সুশীল সমাজের মগজ ব্যবসায়ী বুদ্ধীজীবিরা মুখ বন্ধ করে নীরবে তা হজম করেছেন। হে সুশীল ধর্মপিপাসু বঙ্গসন্তানেরা, তো বানিয়ে দেন শাফি সাহেবকে বাংলার প্রধান মন্ত্রী, যে আমাদের গার্মেন্টস কর্মচারী মা-বোনদের বুকের উপর পা দিয়ে কথা বলে, যে তার নোংরা মুখে আমাদের কলেজ ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া কোমলমতি নিস্পাপ সন্তানদের অপমান করে। আজ স্বার্থক হউক আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন আর তিরিশ লক্ষ শহিদের আত্ম্যত্যাগ।
(ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
আকাশ মালিক
ইংল্যান্ড-
জুলাই ২০১৩।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংক্ষিপ্ত মন্তব্যঃ অপূর্বর সাবেক সাহসী(!) ex-wifeদের ছানা-পুনো ছাড়া আর কারো আল্লামা শফির বক্তব্যে চুলকুনি হওয়ার
কথা না।
পাদটীকাঃ (বাংলার বাঘ) শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক বন্য পশু নন। নারীও খাদ্য বস্তু নয়।
উপমার ক্ষেত্রে উপমান is equal to উপমেয় বুঝানো হয় না -এটা বুঝতে সিল মারা শিক্ষিত হলেই হয় না ঘিলুও থাকা লাগে। তা না হলে টাইগার খ্যাত
কাদের সিদ্দিকী থেকে ক্রিকেটার সবাই বন্য পশু হয়ে যাবে।
পুনশ্চঃ তেতুল কথনের ব্যাপারে সবচেয়ে পীড়াদায়ক নিউজটি হল- ভারতে চলন্ত বাসে নির্মম ধর্ষনের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার মামলার প্রধান আসামীর
মাত্র ৩ বছরের সাজা হয়েছে(!) কারন কোনো আইনেই একজন কিশোরের নির্মম শাস্তি দেয়া সম্ভব নয়। যদিও অনেকে তাকে ব্রাশফায়ার সহ
ইসলামী আইনে পাথর ছুড়ে হত্যার দাবী জানিয়েছিল।
আইনের নিস্ক্রিয়তা, সেক্যুলারবাদী সামাজের মূল্যবোধহীনতা, কতিপয় নারীর অসংযত চলাফেরা, পারিবারিক মূল্যবোধ হীনতা, অশিক্ষা, দারিদ্রতা,
পুজিবাদিদের মিলিয়ন ডলারের নগ্র নারী ব্যাবসার মত ব্যাপক বিশ্লেষণ মূলক বিষয় থাকা সাপেক্ষে সংক্ষেপে এতটুকুই বলতে হয়, ‘তেতুল নয়; কিন্তু
তেতুলের মত, তেতুলের মত এবং তেতুলের মত বলেই মেয়েরা রাস্তায় দাড়িয়ে টীজ, রেপ করে না। উল্টটাই ঘটে। যার অধিকাংশ ভিকটিম হয় অভিজাত
ভদ্র ঘরের মেয়েরা আর অপরাধী পুরুষ গুলো হয় মূর্খ অভদ্র নিম্ন/নিম্ন মাঝারী ঘরের সন্তান। পিরানহা মাছের ডোবায় যেতে নেই। সব মাছ বা পুরুষ
পিরানহা নয়। তবে কোনটি যে পিরানহা সেটা বুঝা দুষ্কর।
বলা হয়ে থাকে, “সতর্কতা নিরাপত্তার মাতা।”
মহাকবি শাইখ সাদী বলেছেন, “মানুষের আচরণ দেখে তার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।কিন্তু অভ্যন্তর সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হয়ো না।
ধোকা খেয়ো না। অন্তরের দুষ্টামী বহু বছরেও চেনা যায় না।”
Note: মাছের সাথে তুলনা করে পুরুষকে খাদ্য বস্তু বুঝাই নি
পাদটীকা 2:
“নারী দেবী, নারী লোভী; এক পেয়ে সুখী নয় যাচে বহুজন।” -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
@প্রযুক্তা,
ইসলামের পুটু মারাইতে আইছেন, না নিজেই তার পুটু মারছেন?
উটের মুতের কী নেশা? নজরুলের কবিতা রবির নামে চালিয়ে দিলেন? উটের মুত খাইয়া নজরুলের কবিতা বুঝার ঘিলু হয়না, খিয়াল কইরা।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/images_zpsf0026dc7.jpg[/img]
কবিতাটির শেষাংশ নিচে তুলে দিলাম। দেইখেন আবার নারীর গায়ের তেঁতুল গন্ধ পেলে আমার দোষ নাই। কবিতা পড়ে যদি আপনার শীশ্ন থেকে লালা না ঝরে, শাফি সাব কিন্তু আপনাকে ধ্বজভঙ্গ বিমারী অপবাদ দিতে পারে।
একটা গান মনে পড়ে গেল
তেতুল পাতা তেতুল পাতা তেতুল বড় টকরে
তোমার সাথে প্রেম করিতে আমার বড় শখরে
তেতুল চফি :lotpot:
ভাই ২৫ মিনিটের ভিডিও, ১৩ মিনিট শোনার পর আর শোনার রুচি হয়নাই।
খুব অন্যায় কথা; ওই টাকায় মাদ্রাসা বানাইয়া জঙ্গি ফলানো উচিৎ।
যে ব্যাক্তির পরিপুর্ন যুবতী দেখার পর কামভাব জাগে এবং তাহার বৈধ স্ত্রীর কাছে গিয়ে সেই জ্বালা মিটায় তিনি নায়েবে রাসুল । এর বিপরীত হলে সে অবস্যই নায়েবে রাসুল নয় কারন সে শয়তানের অনুসারী । এই মতের সাথে দ্বীমত পোষন কারী পাক্কা কাফের।
তেঁতুল দেখলে লালা ঝরবে সেটাই স্বাভাবিক; কিন্তু এই লালা যদি রাস্তা ঘাটে মুখ হতে বের হয়ে আসে, আপনাকে উত্তেজিত করে ফেলে তবে আপনি আর কার্তিক মাসের কুকুরের মধ্যে পার্থক্য রইল কই? আমি অবশ্যই পার্থক্য দেখি না কারন মুমিনদের মাঝে তো অনেক আগে থেকেই রাস্তা ঘাটে ইহা হয়ে আসছে। যার প্রমানঃ
সহিহ মুসলিম , বই নং ৮ , হাদিস নং ৩২৪০ : জাবির হতে বর্নিত :
“আল্লাহর রাসূল একবার একজন স্ত্রীলোক দেখতে পেলেন । সুতরাং তিনি তাড়াতাড়ি তার স্ত্রী জয়নবের নিকট গেলেন এবং তার সাথে সঙ্গমে মিলিত হলেন । জয়নব তখন একটি চামড়া ট্যান করছিলেন । সঙ্গম শেষে রাসূল সাহাবীদের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন সাক্ষাৎ শয়তান মেয়ের রুপ ধরে আমার কাছে আসল । সুতরাং তোমরা কেউ যদি এরুপ মেয়ের মুখোমুখি হও , তৎক্ষনাৎ নিজের স্ত্রীর নিকট চলে যাবে । এভাবেই কেবল অন্তরের কু বাসনার নিবৃত্তি সম্ভব ।”
সফিরে ক্যান গাইল পারি? তার কী দোষ ? হে তো ইচলামের বিধানগুলাই বর্ণনা করছে 😛
নবম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে “তেতুল বন্দনা ” কবিতা দেওয়া হোক। রচয়িতা কপ্টারবাবা তেঁতুলচফি ! :hahahee:
(Y) আকাশ মালিক :guru:
এই মানুষটার (আহমদ শফি) প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ উঠে গেল এক নিমিষেই তার ওয়াজ শুনে। নারীদের প্রতি এমন জঘন্য মন্তব্য …. ছি ছি।
আকাশ মালিক ভাই,
শফি সাহেব সত্যিই একজন খাটি উম্মতে মুহাম্মদী।
আই বহুত মনোযোগ দি ইতার ওয়াজ য়ুইন্নি। বেবাকরে কইতে অইবো-
মলৈ অলর ব্যাপারে সাবধান অই-যগু, তারা লম্বা লম্বা জুব্বা পড়ি বেড়াইতে, হাটবাজারত সালাম পাইতে আর মসজিদের প্রধান আসনত ও হাইবার সমত্ ইজ্জুতুর জাগাত্ বইস্তু চায়। একডদি তারা বিধবাঅলর ঘরবাড়ি দখল গড়ে, অন্যডদি দেহাইবার লায় লম্বা লম্বা মুনাজাত গড়ে। নিশ্চয় ইতারার উত্ কঠিন আজাব অইবু।
@মাহফুজ,
বহুদিন পরে এলেন। কেমন আছেন? আপনি তো দেখি চট্টগ্রামের ভাষা বুঝেন। আজ একাত্তর টিভির টক শো দেখলাম। হুজুরের নোংরা চেহারা উন্মুক্ত হয়ে গেছে সারা বাংলাদেশে। সম্পূর্ণ ক্লিপটা দেখুন-
আর এখানে তিনি বলেছেন-
নাস্তিকরা জারজ সন্তান-
@আকাশ মালিক ভাই,
আমি চিটাগাং-এর আঞ্চলিক ভাষা বুঝি। ২০১১ এর বইমেলা থেকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার একটি অভিধান (অ্যাডর্ন পাবলিকেশান্স) কিনেছিলাম। কোন শব্দ বুঝতে না পারলে ডিকশনারী খুজি। আহমদ শফির প্রতিটি শব্দই আমি বুঝেছি; ডিকশনারীতে হাত দেয়া লাগে নাই।
আমাদের গ্রামের মানুষ এই মাওলানাকে খুবই শ্রদ্ধা করেন। এবার গ্রামে গিয়ে ভিডিওটা দেখাবো। আমি ধারণা করছি- গ্রামের মানুষ বলবে, হুজুরের নামে নাস্তিকরা বদনাম ছড়াচ্ছে। বিজ্ঞানের যুগে কম্পুটার দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব!
আমার কাছে মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসুদ- এর কিছু অডিও ক্লিপ আছে। সেখানে এক জায়গায় তিনি বলছেন- “জামাত শিবির আরো বড় নাস্তিক মুরতাদ।”- এই কথা তিনবার উচ্চারণ করেছেন।
পবিত্র সফির মুখ দিয়ে আর নোংরা কথা ছড়ায়ে পরিবেশটাকে নষ্ট না করার অনুরোধ জানাচ্ছি কারণ- নোংরা কথা বলা যেমন জায়েজ নাই; তা নকল করাও জায়েজ নাই। কী বলেন?
তবে একটা কথা বলতে পারি- বিনোদন পাবার জন্য এখন থেকে আর ধর্মকারীতে না গেলেও চলবে; আহমদ সফিই যথেষ্ট।
@মাহফুজ,
অনেকে অলরেডি বলছে, এটা শাফি সাহেবের ভয়েস না। উপরের লিংকে আরেকবার ক্লিক করে শ্রোতাদের মন্তব্যগুলো দেখুন কী অবস্থা। দেশে বিদেশে সারা দুনিয়া যখন থু থু করছে তখন এক অন্ধ বিশ্বাসীর এখানে দেখুন তাকে কভার-আপ দেয়ার নমুনা। দূর্ভাগ্য জগতের ১৫শো বছর আগে ইনটারনেট, ভিডিও কেমেরা, ইউটিউব ছিলনা।
@আকাশ মালিক,
সত্যি বলতে কী হেফাজতের পীর,হোক আর মুর্শীদ হোক, আর ভবিষ্যত নবী হোক, এমন কুতসিত
কথা বলাতে আমিএকটুকু অবাক হয়নি। পর পর ইলেকশনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবিতেওরা
বিএনপির ছত্র ছায়ায় থেকে লেজ মোটা হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এমন বলা আর আরো কু-কর্ম
করা, মোটেই অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়?।
দুঃখ লাগে এই হেফাজত( নাকি জামাত) এদের এতটা স্পর্ধা বাড়াল কিন্ত পরোক্ষ ভাবে সরকার।
আর বিদেশী বাংগালীদের কী বলি। ধর্মের নাম শুনলে যা করে। মনে হয় ওদের পাপ স্খালন করার কারনেই
এই চেষ্টা।
সব মিলিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে হতাশ। আগামীতে বিএনপি, হেফাজত ক্ষমতায় আসবেনা জোর দিয়ে বলা যায়না। সেই বিভীষীকাময় দিনের অপেক্ষায় আছি।
@আফরোজা আলম,
আমি হতাশ হতে পারিনা নানা কারণে। হতাশ হলে যে সামনে পথচলা বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু আজ সত্যি আমিও হতাশ। ভাবছিলাম একটা লেখা দিবো শেষ ভোটভিক্ষা চেয়ে। হাসিনার লাগামহীন অসংলঘ্ন, অযৌক্তিক এমন কি কিছু সাম্প্রদায়ীক মন্তব্য আমাকে হতাশ করেছে। তিনি এখনও একটুও বদলান নি। ‘পৃথিবীতে একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে সমান অধিকার দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়েছে’ এটা তার গতকালকের উক্তি। একমাত্র ইসলাম! এই কথার দ্বারা অন্যান্য ধর্মকে অপমান করা হয়েছে। নারীর সমান অধিকার আমাদের সংবিধান দেইনি? যুদ্ধাপরাধীর বিচার আমদের সংবিধান দিয়ে হয় না? তাহলে কেন সংবিধানে বিসল্মিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, মদিনার সনদ, শরিয়া আইনে বিচার? এখানে শাফি আর হাসিনার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। সাতক্ষীরা যখন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়, রামু যখন ধ্বংস হয় আওয়ামী লীগের নেতারা তখন কোথায়? অন্য ধর্মের মানুষ তাকে তার দলকে ভোট দিবে কোন দুঃখে? শাফির নারী অবমাননার বিপরীতে হাসিনা একখানা ইসলামী ওয়াজ শুনাইলেন। ‘ইসলামের প্রথম মুসলমান নারী, ইসলামের প্রথম শহিদ নারী’। এইটা কলা সাঈদী আর তেঁতুল শাফিরা কম জানে কম বুঝে? দিপু মণি, হাসিনা সহ বেশ কয়েকজন নারী এই ওয়াজখানা বেশ ভালই মুখস্ত করেছেন। এই ইসলামী মালজোড়া গাওয়ার জন্যে যে লোকে ভোট দেয়না, চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরেও আওয়ামী লীগ তা বুঝতে পারলোনা। এই ইসলামী ভুত আওয়ামী লীগকে সমূলে ধ্বংস করে তারপর তাদের মাথা থেকে নামবে।
@আকাশ মালিক, (Y) :guru:
আল্লামা শাফি’র ভিডিও টি দেখে হাসি চাপানো দায় হয়ে পড়েছিল।
অনেকেই বেশ আনন্দের উপকরণ পেয়েছেন এই লেখায় এবং মন্তব্য অংশে অনেকে দোষাদুষী’র খেলায় মেতেছেন ও বটে। ক্ষণিক চটুল এই আনন্দের রেশ কেটে যেতে না যেতেই লেখাটির শিরোনামে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিলে যে অনুভুতিটা হয় তা ভীতিকর। এই আল্লামা শাফিরা যদি বাংলাদেশের বর্তমান হয় তবে ভবিষ্যতটা কেমন???
চার দশক আগে আফগানিস্তান এর বিশ্ববিদ্যালয়এ আধুনিক শিক্ষার সকল উপকরণ ছিল, ছিল প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা ছাত্র ছাত্রী। সেই আফগানিস্তানের আধুনিক শিক্ষাকে মাদ্রাসা শিক্ষা কিভাবে গলাধকরণ করেছে সেই ইতিহাস আমাদের অজানা নয়। এখন হিজাব ছাড়া আফগানিস্তানের রাস্তায় কোনো বালিকা’র পথচলা তার আত্মহত্যারই সামিল।
এক যুগ ধরে বি এন পি’র মধ্যে মৌলবাদী দলগুলোর শিকড় যেভাবে গেথে গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে এই দল ক্ষমতায় আসলে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা’র কিছু দাবিকে যে আস্কারা দেয়া হবে সে বেপারে নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের যে সার্বিক ব্যর্থতা মানুষকে বিমুখ করেছে, বি এন পি সেই ক্ষত কতটুকু সারিয়ে তুলতে পারবে সেই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের চেতনায় অনুপস্থিত।
” যেই যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন “….কিন্তু তবুও ইসলামের হেফাজত্কারীদের এমন হুঙ্কার টঙ্কারে প্রকম্পিত বাংলাদেশের জন্য এবারের নির্বাচন সত্যিই বিশেষভাবে ক্রান্তিকর।
@রুদ্রাভ,
মৌলবাদী দলগুলোই বি এন পি’র বেঁচে থাকার অবলম্বন। আওয়ামী লীগ যত ধর্মের দিকে ঝুঁকবে বাংলাদেশ তত অশান্তির দিকে আর আওয়ামী লীগ তত ধ্বংসের দিকে এগুবে।
আপনাদের মসজিদে মানে? আর এক মসজিদে যারা নামাজ পড়ছেন তারা তো সবাই ভাই ভাই। কাজেই আপনিও কি পরোক্ষভাবে হেফাজতের দাতা নন?
কেউ কি কখনো নিজের শাস্তি চায় মালিক ভাই।
আপনাকে আমি কি করে যা বুঝাই?
@গীতা দাস,
আরে দিদি মসজিদ কে বানাইছে? আল্লার কি ক্ষমতা আছে একটা মসজিদ বানাইবার?
এবার বুঝেছি, আর ভুল হবেনা।
সেটা অগ্রীম জানাজা। 😀 😀
@তামান্না ঝুমু,
আপনি হাসছেন! লেখাপড়া ক্লাস ফৌর/ফাইভের উপরে করেন নাই তো? করলে খবর আছে হ্যাঁ। রাস্তায় চলাফেরায় সাবধান থাকবেন শাফী হুজুরের নজর যেন না পড়ে। যুগের শ্রেষ্ট আউলিয়া এই হুজুর কিন্তু ধ্বজভঙ্গ বিমারি না, ৮০ বছরের পুরনো হলেও তার মেশিন স্টার্টিংয়ে আল্লাহর মর্জি কোন প্রবলেম নাই, নারী দেখলেই :guli: :guli: :guli: মেশিন স্ট্রাট, একটু খেয়াল কইরা।
একবার চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া জনম ভরা চলিতেছে——-
আওয়ামী লীগ যদি বার বার ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তবে বিএনপি’র ‘ইসলামী চেতনা’ ব্যবহার করায় দোষ কি?
আকাশ মালিক, আজকের এই হেফাজতের উথ্থানের জন্যে সবচেয়ে বড়ো দায়ী আপনার মতো সমর্থকেরা। নিজ দলের প্রতি অন্ধ মৌলবাদী আবেগের কারনে বাস্তবতাকে কখনো দেখতে পারেন নি। মনে করেছিলেন ২৬০ সিট পেয়ে আওয়ামী লীগ অবশেষে দেশে পাকাপোক্তভাবে তাদের ন্যয্য স্থান পেয়ে গেছে।
ধর্মীয় মৌলবাদ ঠেকানোর সবচেয়ে ভালো পথ হলো গনতন্ত্র। মানুষ যদি নিজের অসন্তোষ, সমর্থন বাধাহীনভাবে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে পারে তবে কখনোই তারা নিজের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো পথে যাবে না। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকার কলমের এক খোচায় উঠিয়ে দিয়ে নিজেই নিজের কবর খুড়ে রেখেছে। আপনার কি এখনো মনে হয় যে প্রথম আলোর জরীপে পাওয়া তত্বাবধায়ক সরকার এর পিছনে ৯০% সমর্থন একটি মতি ষড়যন্ত্র? গত দুই বছরে আপনি কয়বার তত্বাবধায়ক সরকার এর জন্যে কথা বলেছেন? আপনি তো বরং ব্যস্ত ছিলেন বিএনপি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই আনন্দে ডুগডুগি বাজাতে। আরো দশ বছর কমপক্ষে মানুষকে নির্বিঘ্নে মুজিব-হাদিস শোনানো যাবে এই বিভোরে। এখন ছয় মাস বাকী থাকতে ভয়ে হতাশায় হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের মৌলবাদ ঠেকাতে বিএনপি আরো ভয়ানক এক মৌলবাদের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু ইলেকশনের এই বছরে, আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে তত্বাবধায়কে বাধ্য করতে হেফাজত-জামাত ছাড়া বিএনপি’র কি উপায় ছিলো? বিএনপি’র আওয়ামী লীগের মতো অন্ধ ক্যাডারগোষ্ঠী নেই যে লগি বৈঠার আঘাতে সরকার নামিয়ে ফেলবে।
আপানার প্রিয় ব্লগার এবং দ্বীতিয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডারের প্রিয় উক্তিটিই স্বরন করছি
“”When you play with gentlemen, you play like a gentleman. But when you play with bastards, make sure you play like a bigger bastard. Otherwise you will lose”
@সফিক,
তক্ত্বাবধয়ক সরকার তুলে দেওয়া নিঃসন্দেহে খারাপ কাজ হয়েছিল, আমরা যারা চেতনার সৈনিক তারা যুদ্ধপরাধীদের বিচারে্র মূলায় আওয়ামী লীগকে ব্ল্যাঙ্ক কার্ড দেওয়ার জন্য কেউ প্রতিবাদ করতে পারিনি, সত্য। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন গুলিতে আওয়ামী ভরাডুবির পর নানান এনালাইসিসে এই কারনে সাধারন ভোটাররা আওয়ামী বিরোধী হয়ে গেছে বা বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠেছে এমন বলছে না। তক্তাবধয়ক ইস্যুতে আমি যতটা বুঝি সাধারন ভোটাররা তেমন মাথা ঘামায় না যতক্ষন না মাঠ পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে তোলা যায়। ‘৯৬ সালেও লোকে মাথা ঘামাতো না, আওয়ামী লীগ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারার কারনেই গনজোয়ার তক্ত্বাবধয়ক সরকারের দিকে এসেছিল।
তক্তাবধয়ক ব্যাবস্থা বহাল রাখলেও বর্তমানে হেফাজত কেন্দ্র করে যে মেরুকরন হয়েছে তা এড়ানো যেত (অন্য কথায় বিএনপি হেফাজতক্যা ব্যাকিং দিত না) তা আমি বিশ্বাস করি না।
@আদিল মাহমুদ,এই ব্যপারে আমার দ্বিমত আছে। আমার মতে তত্বাবধায়ক না থাকা এবং শাহবাগে জয় বাংলা’ই বিএনপি’কে হেফাজত এর উপরে এতটা ডিপেন্ডেন্ট করেছে। শাহবাগের আগ পর্যন্ত বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বেশী কোন উচ্চ বাচ্য করেনি।
গ্রাম বাংলার ভোটারদের কথা আমি বলতে পারবো না তবে আমার দেখা শিক্ষিত বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মোটেই এক, দুই, তিন কিংবা চার নম্বর ইস্যুও নয়। কিন্তু বিচারের উপরে ভর করে তত্বাবধায়ক ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনের বৈতরনী পার হওয়ার চেষ্টা অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ইস্যু।
@সফিক,
এখানে আমি মোটেই মুজিবের স্তব গাইনি, তার প্রতি অন্ধ ভক্তিও দেখাইনি, আওয়ামী লীগের সমর্থনেও কোন কথা বলিনি। বি এন পি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে ডুগডুগিও বাজাইনি। অপ্রাসঙ্গীক এই দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে আপনার অন্তরজ্বালাটা বুঝতে আমার মোটেই কষ্ট হয় নি। ‘জয় বাংলা’ ‘আওয়ামী লীগ’ ও ‘শেখ মুজিব’ নিয়ে আপনার মনে যত ক্ষোভ ঘৃণা আছে আপনি আলাদা একটা লেখায় প্রকাশ করুন। কথা দিলাম আলোচনায় শামিল হবো ইনশাল্লাহ। বেচারা মুজিবকে এখানে খামোখাই টেনে এনেছেন। আর ঐ ইংরেজি উক্তিটা বোধ হয় Anthony Mascarenhas এর ‘Bangladesh A Legacy of Blood’ থেকে নেয়া। কিন্তু আপনি বলেছেন-
জানি আপনি কী আশা করছেন আর কী ইঙ্গীত করছেন কিন্তু এখানে আমি আপনার সাথে এ নিয়ে কোন তর্কে যেতে রাজি নই। Mascarenhas এর কথা মত মুজিব যদি সেই উক্তিটি করেই থাকেন তাহলে তিনি তার কথা রাখতে পারেন নি, কারণ তিনি আসল bastards দের চিনতে ভুল করেছিলেন, যার মাশুল তাকে দিতে হয়েছে নিজের জীবন দিয়ে।
@আদিল মাহমুদ,
আমি কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে কোন যুক্তি খুঁজে পাইনে। যে দেশের প্রতিটি মানুষের দুর্নীতির গর্ভে জন্ম, সেখানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কি বাড়তি উপযোগীতা আছে? এযাবৎ কালের যে কয়টা নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে হয়েছে কোনোটি কি অবিতর্কিত ছিলো? প্রতিটি ক্ষেত্রেই কি ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলেনি? রাজনীতিকরাই আজ আর তত্ত্বাবধায়কদের উপড়ে আস্থা রাখতে পারছেন না। সেখানে কি এমন বাড়তি উপযোগীতা আশা করা যাবে? জনগন রাষ্ট্রের মালিক, কথাটি বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে কতোটুকু সত্যি? শেষ সত্যিটা হলো, সেই ‘জনগন’ যারা রাষ্ট্রের মালিক বলে খ্যাত, তাদের দেশের ক্ষমতা হয় জামাত-বি এন পি নতুবা আওয়ামী লীগের হাতেই দিতে হবে শেষপর্যন্ত। আর যাঁরা তত্তাবধায়কের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতার পিঁড়িতে বসেন, তাদের কর্মকান্ড কি অবিতর্কিত থাকে? এবারে ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতার কারন আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলো-
১। লাগামহীন ছাত্রলীগ আ্যক্টিভিটি। অতীতে ছাত্রদল-যুবদলও একই করতো। কিন্তু ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রনহীনতা বা ক্ষমতা বলয়ের পারষ্পরিক দ্বন্দ্ব এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্তরায় ছিলো।
২। শাহবাগের গনজাগরণকে অন্তিমে ক্ষমতাসীনদের নিজেদের জন্যেই হুমকী হিসেবে দেখা, যার ফলশ্রুতিতে আজকের তরুণদের তথা ব্লগ লিখিয়েদের কিছু অশিক্ষিত মুর্খের কথায় নাস্তিক শিরোপা দেওয়া।
৩। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাপুরুষতা তথা আদর্শহীনতা! উদাহরণ, অতীতে ক্ষমতাসীন প্রধান মাথায় পট্টি বেঁধে রীতিমতো ধার্মিক সেজেছিলেন (অনেকটা বেহায়া এরশাদের স্বপ্ন দেখে মসজিদে যাবার মতো!), কিংবা অতি সম্প্রতি হেফাজতকে নির্লজ্জ্বভাবে কোলে টেনে নেবার প্রতিযোগীতা! ফলাফল জানা সত্ত্বেও! যেখানে আজকের তরুণ প্রজন্মের কিছুটা হলেও আস্থার জায়গাটি সম্পূর্নই ধ্বংস হয়েছে!
আল্লামা শাফির ওয়াজের ভিডিও আমার শেষ লেখার সময় ঘাটাঘাটি করেছিলাম, ওনার সৌজন্যে আবারো অসীম ইসলামী জ্ঞান দর্শনের সন্ধান পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেছিলাম। নাস্তিক মুরতাদ রাম বামদের ষড়যন্ত্রে এই ধরনের মূল্যবোধ থেকে আমরা বিচ্যূত হয়ে গেলেও আল্লামা শাফি সাহেবের সমর্থনে তৌহিদী জনতার বিশাল উত্থানে আমিও যার পর নাই আনন্দিত হয়েছি, সুদিন ফিরে আসার আর খুব একটা বাকি নেই।
বিশ্বাস করুন, আমি নিজে দেশে থাকলে এবং আল্লামা শাফি বা হেফাজত ভোটে দাঁড়ালে তাদেরকেই ভোট দিতাম। সহশিক্ষা বন্ধ করা হবে, আধুনিক শিক্ষায় ডিগ্রী অর্জন করা মানে সর্বনাশ ডেকে আনা, মেয়েরা জানে বাইশ তাল যাদের কারনে পুরুষদের চরিত্রের শুভ্রতা রক্ষা করা যাচ্ছে না এমন ধরনের চেতনার বাহকদের হাতে সমাজ নিয়ন্ত্রনের দায়ভার লোকে দিতে চাইলে আমরা তাতে বাগড়া দেবার কে? বাধা দিয়ে মামলা হামলার শিকার হবার চাইতে মূল স্রোতে ভিড়ে যাওয়াই নিরাপদ।
আমি ঐকান্তিক ভাবে দোয়া করি আল্লামা শাফি বাবুনগরীরা নির্বাচিত হয়ে দেশ শাসন করুন। আমি নিজে জ্ঞানবুদ্ধির অভাবে ওনাদের ভালভাবে বুঝতে পারিনি, কিন্তু আম জনতার রায় তো আর ভুল হতে পারে না। মার্চ মাস থেকেই আমার রাজনৈতিক দর্শন বদল করতে বাধ্য হয়েছি, আমি মনে প্রানেই এখন চাই আল্লামা শাফি সাহেবরা অন্তত দুই টার্ম দেশ শাসন করুন। লোকে যখন জেনেশুনে নিজের সাথে আদিখ্যেতা অভিনয় করতে থাকে এবং সেটা দেখালে গায়ের দিকে তেড়ে আসে তখন এছাড়া আর তেমন কোন রাস্তা নেই। বরং এইই ভাল।
আমি এটাও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আল্লামা শাফি বা হেফাজত মুনাফিক নন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও ১৩ দফা কার্যকর করার আগে ইনশাল্লাহ শাফি সাহেবরা মাঠ ছাড়বেন না। ওনারা নিজেরাই আগে ঘোষনা দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় থাকতে কিংবা আসতে হলে সকলকেই ১৩ দফা মানতে হবে। বিএনপি বহু আগেই বলেছে যে তারাও ১৩ দফার সব মানে না, যদিও চালাকি করে ঠিক কি মানে আর কি মানে না তা বলছে না। হেফাজত বিএনপি জামাতের আমলে ঘেরাও ফেরাও করলে আমিও দেখি শহীদ হয়ে যাবার একটা সুযোগ পাওয়া কিনা।
নাস্তিক মুরতাদ রাম বাম নিয়ন্ত্রিন লীগ সরকার ইসলাম বিদ্বেষী, কিন্তু বিএনপি জামাতের মত ইসলাম দরদী সরকার নিশ্চয়ই ১৩ দফা মেনে নিবে। নইলে তো শফি সাহেবরা তাদের কথা রাখবেন, ১৩ দফা নিয়ে ধানাই পানাই করলে তাদেরও নিশ্চয়ই ক্ষমতায় থাকতে দেবেন না। আমাদের সকলেরই উচিত ১৩ দফা বাস্তবায়নে উচ্চকন্ঠ হওয়া। আমিন।
@আদিল মাহমুদ,
বলতে ভুলে গেছি, আপনি তো মনে হয় একবার বলেছিলেন যে, আপনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা কিছুটা বুঝেন। কসম আল্লাহর, আমি ওয়াজের শেষের দিকের কিছুই বুঝি নাই। শুধু আন্দাজে অনুমান করেছি, তিনি পুরুষদের খাসি বানানো আর নারীদের যৌনাঙ্গ সেলাই জাতীয় কিছু বর্ণনা করেছেন। আর বোধ হয় বলেছেন, কলেজ ইউনির ছাত্র-ছাত্রীরা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয় কারণ তারা নাকি আগেই বীর্য শুকিয়ে ফেলে। আমার বুঝার ভুলও হতে পারে। আর কিচ্ছায় কি যেন বললেন একজন নাকি তার নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছিল? একটু তরজমা করে দেন না প্লিজ।
@আকাশ মালিক,
না, আমি নিজেও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা তেমন বুঝি না। সম্ভবত কখনো বলেছিলাম যে নিজে চট্টগ্রামে বড় হয়ে কিংবা এখনো আত্মীয়তার সূত্রে চট্টগ্রামের লোকের সাথে গভীরভাবে জড়িত হয়েও সে ভাষা তেমন বুঝি না।
আর বুঝেও বা কি করবেন? একটা বড় দাবী ছিল যে আল্লামা শাফি বা হেফাজত মাঠে নেমেছিল নাস্তিক মুরতাদ ব্লগারদের ইসলাম বিদ্বেষী কথাবার্তার কারনে, যুদ্ধপরাধীদের বিচারে নাকি ওনাদের কোনই আপত্তি ছিল না। আমি দেখিয়েছি যে ওনারা আসলে রাজীবের মৃত্যুর আগ থেকেই শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। এতে কি কোন লাভ হয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের অনেকেও এটা জেনে শুনেই আল্লামা শাফিদের সমর্থন করে যাবেন, কারন এভাবে ইসলামী শক্তিকে সমর্থন করে পরকালের পাথেয় জোগাড় করা যাবে।
@আদিল মাহমুদ, ভালই বাঁশ দিলেন বাঙালী কে। 😀
আল্লামা সফির ভিডিও টা দেখলাম, আমার মনে হল এটা একটা ভাল কৌতুকের ভিডিও। আর বুঝলাম তার প্রিয় খাবার তেঁতুল। জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই। সরকারের উচিত তাকে এই সমস্ত হুজুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জ্ঞান দেয়া। তার যুক্তিটাও হাস্যকর তিনি বললেন মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়, বেশী সন্তান থাকলে মানুষের মৃত্যুর পর সেই বেশী সন্তান বেশী বেশী চিল্লাতে পারবে বাবা বাবা বলে তাই বেশী সন্তান দরকার :lotpot: ।
নজরুলের ভাষায় বলতে হয়- ‘ধর্ম গাধার পৃষ্ঠে এখানে শূন্য পুণ্য ছালা’।
@আম্মানসুরা,
আপনার মন্তব্যের সাথে আগে থেকেই পরিচয় আছে। আমার ধারণা আপনি একজন বিশ্বাসী। একজন বিশ্বাসীর কোন কথা বা কাজ যদি দেশ ও মানুষের জন্যে ক্ষতিকর না হয়, যদি তিনি মানবতা বিরোধী কোন পদক্ষেপ না নেন, তাহলে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী মিলে মিশে একটি সমাজে শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করতে পারেন। যেমনটা পশ্চিমে হচ্ছে।
এ কেমন বিশ্বাস যে, একজন লোক এই ভিডিও দেখার পরেও শাফির সব কথাকে কোরান ও হাদিসের সঠিক বাণী, রাসুলের আদর্শ বলে জাষ্টিফাই করছেন? সঙ্গত কারণে মন্তব্যের লিংকটা এখানে দিলাম না। এই শাফি সাহেবের কি রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা সেক্স মাথায় উঠে থাকে? বলে কী- মেয়েরা তেঁতুলের চেয়েও খারাপ! দেখলেই দিলে লালা আসে। কোন্ স্পর্ধায় উনি আমাদের গার্রেমেন্টস কর্মী রেশমাদের বেশ্যা জেনাকারী বললেন? তাদের দেহের ঘামে ঝরা, রক্ত মাংস পানি করা, কষ্টার্জিত উপার্জনকে বেশ্যার উপার্জন বললেন? এই ওয়াজ শুনার পরে নারী শ্রমিকরা যখন সারা দিন পরিশ্রম করে ঘরে ফিরবেন, তাদের মা-বাবা স্বামী তাদের সন্তান স্ত্রীদের দিকে কি সন্দেহের চোখে তাকাবে না? আমাদের নারীদেরকে কোথায় তিনি উলঙ্গ হয়ে ঘুরাফিরা বা মার্কেটিং করতে দেখলেন? না কি তার চোখে সর্বক্ষণ উলঙ্গ নারীই ভাসে? আমাদের ছেলেরা কি কলেজ ইউনিভার্সিটির ক্লাসে মেয়েদের দিকে চেয়ে থাকে? কোরান হাদিস দিয়ে বুঝায়ে পড়ায়ে লক্ষ লক্ষ ছাত্রদেরকে কামুক বদমায়েশ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। কওমী মাদ্রসা থেকে একটা পঙ্গু সমাজ গড়ে উঠছে। এ সব দেখে শুনেও একদল জ্ঞানপাপী শাফির মত আপাদমস্তক পার্ভার্টদের হাতে তুলে দিতে চায় আমাদের দেশের শাসনভার।
আপনি বলছিলেন না একটা লেখা দিবেন। এখনো সময় পান নি বুঝি? থাক, না দিলে নাই, লেখা পড়া করেন আর মাঝে মাঝে আলোচনায় আমাদের সঙ্গ দিবেন।
@আকাশ মালিক,
সক্রেটিসের একটা কথা আমার ভীষণ ভালো লাগে- ‘জ্ঞান ই পুণ্য’। আসলেই তাই, আমজনতা যতদিন জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী না হবে ততদিন এই সমস্ত সফি, সাইদি রা মানুষ কে বোকা বানাবে আর নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নানান আবর্জনা টাইপ বানী ছড়াবে।
আমি বিশ্বাসী কিন্তু আমি যুক্তি দিয়ে সব কিছু বিচার করতে পছন্দ করি। আমার বিশ্বাসের ভিত্তি বা তার উপযোগিতা কি টা আমি ব্যাখ্যা করছি না। তবে এটুকু বলি যা কিছু সত্য ও সুন্দর দেখেছি তাই বিনা অহংকারে মেনে নিয়েছি।
আমি যেহেতু মুক্তমনার ব্লগার নই তাই অন্য ব্লগে লেখাটা দিয়েছি এবং আপনাকে কমেন্টের মাধ্যমে লিঙ্ক ও দিয়ে গেছি। আপনি বোধ হয় খেয়াল করেননি। আবার দিচ্ছি এখানে পাবেন। আপনার সুচিন্তিত সমালোচনা আশা করছি। আমার মত সর্বশ্রেষ্ঠ এই দাবি করি না।
“মিথ্যা” কে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না,কারন মিথ্যা প্রচার করেও জয়ী হওয়া যায় (টিকে থাকা স্থায়ী না অস্থায়ী সেটা পরে)। আর মিথ্যাটা প্রচার হয় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ম কে সাথে নিয়ে।
বাঙালি জন্মগতভাবেই হুজুগে জাতি।ধর্মব্যবসায়ীরা এই জিনিসটার খুব সদব্যবহার করছে। আর বাঙ্গালির মধ্যে দ্বিচারিতাও প্রকট। যেমন হাফপ্যান্ট পরা লুলপুরুষ আর নাইট পার্টি করা মেয়েরাও ফেসবুকে ধর্মপ্রচার করে।আগের স্ট্যাটাসে দীপিকা পাডুকোনকে নিয়ে লেখে,পরের স্ট্যাটাসে ইসলাম প্রচার করে। আমার ভার্সিটির সবচেয়ে উশৃংখল ছেলেটা আর ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়া মেয়েটা হেফাজতের সবচেয়ে বড় সমর্থক। তারা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড জড়াজড়ি করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে আবার ‘৫ মে গণহত্যা’র জন্য জালেম সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিবাদী হওয়ার আহবান জানিয়ে পোস্ট শেয়ার করে। এই হিপোক্রেসিটা হচ্ছে বাঙালি জাতির কমন বৈশিষ্ট্য। নিজে ব্যভিচার করবে,নিজে বিকেলটা রমনা পার্কের চিপায় গার্লফ্রেন্ডের সাথে কাটিয়ে আসবে আর রাতে ফেবুতে বসে হেফাজতের সমর্থনে পোস্ট দিবে। এই দ্বিচারিতা বাঙ্গালির মজ্জাগত বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। বিএনপি জন্মগতভাবে এই দ্বিচারিতা ধারণ করে রাজনীতি করছে।ফলে দেখা গেছে বাঙ্গালির কমন চরিত্রের সাথে বিএনপির একটা মজ্জাগত সাদৃশ্য আছে।মানে নিজে ব্যক্তিজীবনে ধর্ম অনুসরণ করব না কিন্তু নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করব বা প্রগতির বিরুদ্ধে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবো।। এইজন্য কোন আদর্শগত ভিত্তিভূমি না থাকা সত্ত্বেও বিএনপি বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিএনপির দেখাদেখি আওমীলীগও এই ধরণের জনপ্রিয়তার পিছনে ছুটছে।কারণ মস্তিষ্কবিহীন ধর্মভীরু বাঙ্গালির কাছে জনপ্রিয় হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পীর-আওলিয়া সাজা!!!!!!!! এদেশের মানুষ যতদিন না নিজেদের মধ্যেকার এই হিপোক্রেসি দূর না করবে ততদিন দেশের গুণগত কোন পরিবর্তন হবে না। আর আমার মতে এটা মোটামুটিভাবে অসম্ভব একটা ব্যাপার এবং তার প্রমাণ পাই প্রগতিশীলতার পথে আমাদের পশ্চাদমুখী যাত্রা থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি হেফাজতের সমর্থনে মানববন্ধন করে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও কি এমন দৃশ্য কল্পনা করা যেত? যে বুয়েট ছিল এই ৯০-এর দশকেও বাম রাজনীতির অন্যতম তীর্থস্থান সেই বুয়েটে এখন নিয়মিত হিযবুত তাহরীরের সদস্য ধরা পড়ে। এরকম আরও অনেক ঘটনা প্রমাণ করে যে প্রগতির পথে আমাদের যাত্রা পশ্চাৎমুখী এবং ক্রমাগত আমাদের রাজনীতি ও জীবনচর্চায় ধর্মীয় ভন্ডামির মাত্রা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে চলেছে।আর আপনি ধর্মীয় ভন্ডামির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই সমাজ আপনাকে শত্রু আখ্যা দিয়ে কোতল করার জন্য মৌন/সরব দাবি তুলবে। তাই আমি এই দেশকে নিয়ে সামগ্রিকভাবে কোন স্বপ্ন দেখি না।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
কেন এমন হলো, কে বা কারা এই জন্যে দায়ী বলে আপনার মনে হয়? এ নিয়ে একটা গবেষণামূলক লেখা মুক্তমনায় ছাড়ুন। সমাজ আমাকে কতল করতে আসবে না, ডিপেন্ড করে আপনি সমাজ বলতে কাদের বুঝাচ্ছেন। স্বর্গের লাস্যময়ী বিলাসী জীবনের লোভে বা ইসলামের জন্যে যারা আপন বুকে বোমা বাঁধে, নির্দোষ মানুষ খুন করে নিজে আত্মহত্যা করে, তাদের মধ্যে কয়জন পাড়াগাঁয়ের অশিক্ষিত কৃষাণ কৃষাণী, জেলে,বাইদা, দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা? আমি ভয় করি সেই সকল জ্ঞানপাপী তথা শিক্ষিত ভন্ডদের যারা ধর্মগ্রন্থের সমালোচনা সইতে পারেনা, আর সেই সকল নাস্তিকদের যারা হেফাজতের কোলে বসে মুসলমানের সকল সমস্যার জন্যে আমেরিকা ও পুঁজিবাদ বা অমুসলিমদেরকে দায়ী করেন।
লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
সবই সাম্রাজ্যবাদীদের (অন্য কথায় আমেরিকা) ষড়যন্ত্রের ফসল। জবাব সোজা।
@আদিল মাহমুদ,
এই লেখার প্রথম ড্রাফটা দেখালে আপনি হাসবেন। শিরোনাম ছিল- ‘আদিল মাহমুদের কাছে খোলা চিঠি’। কারণ ব্লগের এই নীরবতা ভাল লাগছিলনা। এই নীরবতার কারণটা অবশ্যই আঁচ করতে পারি তবে এখানে কিছু বলবোনা। আপনার সাম্প্রতিক লেখার আলোচনায় আশানুরূপ শামিল হতে পারিনি। ভেবেছিলাম সেই লেখাটার বিষয়কে টেনেটুনে এই লেখার সাথে মিশায়ে একটা চিটিই লিখে দিবো। কিন্তু এরই মধ্যে শাফি সাহেবের কুৎসিত উক্তিগুলো নজরে আসায় খুবই দুঃখ পেয়েছি। বিশেষ করে তিনি আমাদের গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের যে ভাবে বেশ্যা, জেনাকারী বলেছেন তা বরদাশ্ত করা যায় না। লেখাটার থিম তখন বদলাতে বাধ্য হলাম।
সে যাক, আপনি কেমন আছেন, কিছু বোরিং কিছু হতাশায় পেয়েছে বুঝি?
@আকাশ মালিক,
ব্যাক্তিগত কারন, মূলত কাজের কারনে অত্যন্ত ব্যাস্ত। দিনের বেলা সময় তো একদমই দিতে পারি না।
আমার কাছে খোলা চিঠি দিয়ে কি করবেন? আমার এখন একটাই কামনা সামনের বার বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসুক, আল্লামা শাফি, মাওলানা বাবুনগরী ওনাদের টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হোক, নয়ত অন্তত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রাখা হোক। তৌহিদী জনতার দাবীর প্রতি আমার পূর্ন শ্রদ্ধা আছে।
খালি খারাপ লাগে আমার প্রিয় অনেক ব্লগারের কপালে সামনে শনি আসছে, তারা নিজেরাও এখনো টের পাচ্ছে না। মাঝে মাঝে খারাপই লাগে যে হয়ত আগে আরো সরাসরি বললেই পারতাম যে যুদ্ধপরাধী বিচার ফিচার নিয়ে এত লাগালাফি কোর না, যে খেলায় আগেই হেরে আছো সে খেলায় খেলতে নেমে হাত পা ভাংগার কোন মানে নেই।
আমার গত লেখার গুরুত্ব তেমন কেউ বুঝতে পারবে এমন ভরসা আমার ছিল না। এসব লেখা বোঝার মত সময় ব্লগ সৈনিকদের তেমন নেই। ধর্মকে ব্যাক্তিগত গন্ডির বাইরে টেনে এনে ধর্ম দিয়ে জীবন সমাজ নিয়ন্ত্রনের দর্শন প্রচারনার দাবী যে কত ভয়াবহ পরিনতির দিকে নিতে পারে তা শুধু আমাদের দেশেই নয়, সব মুসলমান প্রধান দেশ যেখানে যেখানে গনতন্ত্র গোছের কিছু আছে সেসব দেশেই দেখা দিতে বাধ্য। মিশর, তুরষ্ক, আমাদের দেশ সবই নিয়মের ভেতর পড়ে। সেই ধর্ম দিয়ে দেশ সমাজ চালাতে হবে, একদল পূর্নভাবে প্রাচীনপন্থী সব আদেশ নির্দেশ মানতে চাইবে না……লেগে যাবে সঙ্ঘাত। ধর্মনিরপেক্ষ ধারার ধার্মিকদের গাল দেওয়া হবে মুরতাদ, মুনাফেক নাস্তিক ইত্যাদী (আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বোনাস হিশেবে রাম বাম)। সঙ্ঘাত লাগলে কার দোষ কতটা সে প্রশ্ন অবান্তর। কট্টর ধার্মিকদের দমন করতে ধর্মনিরপেক্ষ ধারার লোকেও অত্যাচার কম করে এমন নয়। দোষ কোন পক্ষের সেটা গৌন, মূখ্য হল পরিপূর্ন ভাবে ধর্ম দিয়ে জীবন সমাজ চালানোর মত দর্শন অন্ধভাবে বিশ্বাস এবং প্রচারের বিপদটা এত পরিষ্কার হবার পরেও লোকে কেন স্বীকার করতে চায় না? আমাদের দেশে হয়ত অন্তত এই সঙ্ঘাত আরো বহুদিন ঠেকিয়ে রাখা যেত, কিন্তু রাখা যায়নি। উদারপন্থী আম জনতা বহুদিন ধরেই প্রতিক্রিয়াশীলদের ব্যাপারে ইচ্ছেকৃতভাবে উদাস থেকেছে, যার মাশুল এখন দিতে হচ্ছে। বলা যায় দেওয়া শুরু হয়েছে মাত্র।
ইতোমধ্যে আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজেরও এক বড় অংশের মতামত হল আওয়ামী লীগ যারা সমর্থন করে তারাও মুনাফেক এবং ইসলাম বিদ্বেষী। সামনেরবার আওয়ামী লীগ গো-হারা হারলেও ভোটের শতকরা হার এমন কিছু কমে যাবে না। দুটো তত্ত্ব এক করলে বলতে হয় যে দেশের এক বড় সংখ্যক মানুষ মূনাফিক এবং ইসলাম বিদ্বেষী। এই বিদ্বেষীদের ব্যাপারে কি করা যেতে পয়ারে বিশুদ্ধ ধর্মের আলোকে তারও বেশ কিছু ফতোয়া আসছে। নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি প্রবাসী হবার কারনে। ধর্ম কেন্দ্রিক এই যে উন্মাদনাময় সঙ্ঘাতের বীজ থেকে বৃক্ষের উত্তরন চোখের সামনে ঘটছে মনে হয় না তেমন কেউ এ নিয়ে চিন্তিত আছে। ব্লগীয় বুদ্ধিজীবিগন এখনো ঘাতক দালালের বিচারের জগতে পড়ে আছে, কেউ আবার নিজেদের ভেতর একে অপরের পশ্চাত মর্দনে কিংবা গরু খাঁসী জবেহ করায় ব্যাস্ত আছেন। দেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ বহু আগ থেকেই গর্তে ডুব দিয়েছেন।
@আদিল মাহমুদ,
দাদা আপনি ভাগ্যবান যে আপনি প্রবাসী। কিন্তু আমাদের কি হবে? আমরা তো এই দেশেই থাকছি।
আমার স্ত্রীকে আমাদের বিভিন্ন প্রতিবেশী মানা করছে বেপর্দা চলাফেরা না করার জন্য।
@আকাশ মালিক, আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।জ্ঞানপাপীরাই সবচেয়ে বড় ভাইরাস। এনিওয়ে, ভবিষ্যতে সময় এবং সুযোগ পেলে অবশ্যই এ নিয়ে লিখবো।তবে আপনার মন্তব্যের মাঝেই কিন্তু এর উত্তর আপনি নিজেই দিয়ে গেছেন। 🙂
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
এমন অদ্ভুত পাকিএলিট-স্বভাব চিড়িয়া মনে হচ্ছে ঢাকায় কম না…… মেজাজ খারাপ হয়ে যায় যখন দেখি হাফ প্যান্ট-টি শার্ট পরা তরুণী যখন রেস্টুরেন্টে এদের পক্ষ নিয়ে জোড়ে জোড়ে কথা বলে!!!! আর লম্পট কতগুলা আছে – মদ-নারী-পার্টি কিছুই বাদ দেয়না;- বৌকে নিয়েও নাইট ক্লাবে যায়- আবার বড় গলায় বলে, “আমি হেফাজত সমর্থন করি” 😛 😛
@সংবাদিকা,
মেজাজ খারাপ করলে তো হবেনা,এর কারণ অনুসন্ধান করে এ থেকে বের হবার পথ খুঁজে বের করতে হবে। একটি উপায় লেখালেখি করা। সমস্যার সমাধানকল্পে আপনার মতামত পরামর্শ সকলকে জানিয়ে দিন। আপনি বীজ বপন করে যান, সময়মত প্রকৃতির উপযুক্ত পরিবেশে অঙ্কুর একদিন বিকশিত হবে।
@আকাশ মালিক, একটি উপায় লেখালেখি করা। হুম অবশ্যই একটা উপায় লেখালেখি করা। এমন বিষয় নিয়ে নিরোদ চৌধুরি থেকে হালের হুমায়ুন আজাদ লেখালেখি করে গেছেন,কিন্তু বাঙ্গালির স্বভাবেই পরিবর্তন হয়নি। আমি লেখালেখির প্রয়োজন নেই একথা বলছি না,কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে লেখালেখি করতে পারলেই এগুলো পড়ে বাঙালি এই হিপোক্রেসি ত্যাগ করে পুত পবিত্র হয়ে যাবে!!!!! আমি এতোটা আশাবাদী মানুষ না। দুঃখিত 🙁
@সংবাদিকা, এই হিপোক্রেসিই বাঙ্গালির চলার পথের পুজি। 🙁
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
হয়েছে। তিরিশ বছর আগে বাংলাদেশে নাস্তিক কতজন ছিল আর এখন কতজন? আপনার আমার আমাদের মত আরো অনেকের পরিবর্তন কোত্থেকে কী ভাবে এলো? শাহবাগের গণজাগরণ কি কোন ইঙ্গীত বহন করেনা? বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে আপনার লেখা পড়ে যে কারো ভাবনায় পরিবর্তন আসেনি তা জানবেন কী ভাবে? এখান থেকেই একদিন একজন রামমোহন, বিদ্যাসাগর বেড়িয়ে আসবে। আমার এই লেখাটা পড়ার আগে মৌলানা শাফি সম্মন্ধে মানুষের যে ধারণা যে ভক্তি ছিল এখন অনেকেরই আর তা নেই। অর্থাৎ অজ্ঞতাই সমস্যার মূল কারণ। বিস্তৃত বিশাল পরিধির অন্ধকারের তুলনায় পর্যাপ্ত আলো আমরা ছড়াতে পারছিনা কিন্তু এ আঁধার দূর হবে। রাতের আঁধার যত ঘন হয়, আমরা জানি প্রভাত ততই নিকটবর্বতি হয়। বিবর্তনের মতই এই পরিবর্তন ধীর গতিতে হয়, হতে বাধ্য।
আলোচনায় অংশ গ্রহন করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক, আপনার আশাবাদী ও ইতিবাচক চিন্তাভাবনাকে আমি স্বাগত জানাই। আপনার মন্তব্যের অন্তর্নিহিত যুক্তিতে আমার দ্বিমত নেই,একটাই বিভক্তি আপনার সাথে আমার-সেটা হচ্ছে আপনি আশাবাদী,আমি নৈরাশ্যবাদী। আমার মনে হয় এই দুই-এর মধ্যে তর্ক চলতে পারে না।
২য়ত,৩০ বছর আগে নাস্তিক বেশি ছিল না এখন বেশি একথা নিশ্চিত করে বলার কোন উপায় নাই। ৩০ বছর আগে ব্লগ ছিল না বলে যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হত না এমনটা থাম্ব রুল হিসেবে মেনে নেয়াটা যুক্তি সঙ্গত নয়। বরং ৩০ বছর আগে যেভাবে দেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হত এখন সেরকম দেখা যায় না। আমার বাবা তার স্নাতক শিক্ষার সময়কালীন যে পরিবেশের বর্ণনা দিয়েছেন তার সাথে এখন অনেক তফাৎ দেখতে পাই। সেসময় ধর্ম কর্মের বিপরীতে প্রগতিশীলতা চর্চার একটা ট্রেন্ড ছিল,এখন আছে উলটা ট্রেন্ড। আজ থেকে ৬০ বছর আগে আওয়ামী মুসলীম লীগ এর নাম পরিবর্তন করে মুসলীম শব্দটা বাদ দেয়া হয়েছিল,বাংলাদেশের পরিবর্তিত আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে একবার চিন্তা করে দেখুন তো ২০১৩ সালে এই কাজটা করা সম্ভব কিনা!!!! প্যাশনেট না হয়ে বাস্তবিকভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করছি। সাংস্কৃতিক চর্চা উদারমনা মানসিকতা চর্চার একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলন এখন বাংলাদেশে নেই। প্রথম আলোতে কার্টুন আকার জন্য কার্টুনিস্টকে দেশ ছাড়তে হয়েছে-সেটা কিন্তু এই আধুনিক বাংলাদেশেই। অথচ এর আগে এর চেয়েও অনেক ভয়াবহ জিনিস খুব সহজেই বিভিন্ন পত্রিকায় আসতো। বাংলাদেশের মানুষ ৩০ বছর আগে এতো প্রতিক্রিয়াশীল ছিল না। ৩০ বছর আগে প্রকাশ্যে বস্তুবাদ চর্চা করা খুবই স্বাভাবিক ট্রেন্ট ছিল-এখন ঘোষণা দিয়ে কেন গোপনেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বস্তুবাদ চর্চা করার উপায় নেই। অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি কথাগুলো। এখন মানুষ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কথা বললেও সেটাকে ধর্মদ্রোহিতা আখ্যা দেয়। মাওলানা শফির কথা বললেন।গ্রাম গঞ্জের ওয়াজ মাহফিলে এর থেকে অনেক বেশি হেট স্পিচ দেয়া হয়, বহু স্বঘোষিত পীর/পীরের বংশধর পীর নিজেকে নবী দাবী করেন, পুলসিরত পার করায়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেন। ইসলামের বিধানে পীরচর্চার কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই, কিন্তু কোন এক আজিব কারণে ধর্মপ্রান মুসুল্লীরা এর কোন প্রতিবাদ করেন না। বিশাল বট বৃক্ষে আল্লামা শফি একটি শাখা মাত্র। আর শফির এই বক্তব্য শুনে শফি ভক্তদের কোন বোধদয় হয়েছে বলে মনে হয় না,লাজ লজ্জায় আপাতত চুপ আছে,ভবিষ্যতে নতুন কোন শফির হয়ে ঢাক বাজাবে এরাই।
এনিওয়ে,আপনি আশাবাদী।আমি এই ক্ষেত্রে নৈরাশ্যবাদী।সুতরাং এখানে তর্ক করা বৃথা। ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
আগে মোহাম্মাদ টাকি মাছের কৌতুক লেখার জন্য কাউকে জেলে জেতে হয়নি। বর্তমান কালে মুহাম্মদ বিড়াল লেখার অপরাধে কার্টুনিস্ট আরিফ নাটকটা কি আপনার জানা নেই?এই পরিবর্তনই দেশে হয়েছে।
কাজেই নাস্তিক সঙ্খ্যায় বেশি হলেই সেইটা বিরাট কিছু হাসিলের পর্যায়ে পড়ে, এমনটা ভাবার কোন যৌক্তিকতা দেখি না।
তাছাড়াও অনেক ফ্যাশনেবল নাস্তিক কে চিনি যারা বর্তমানে ভুল(!) বুঝে পাক্কা মুসলিম হয়ে গেছে যদিও নামাজ মাশাল্লাহ ২ ঈদ ছাড়া পড়ে না। এমন একজন নাস্তিক হল আমার নিজের খালাতো ভাই।
হেফাজত বাবাজীরা তো মনে হয় এই শাহবাগেরই ফসল। শাহবাগের একজন বড় সমর্থক হয়েও সেখানে যেতে পারিনি বউয়ের অত্যাচারে, কারন ওখানে নাকি অশ্লীল কাজ হয়( অবশ্যই আমার দেশ পত্রিকা পড়েই তার মধ্যে এই ধারনা হয়েছে),আর তাই সেখানে নাকি ভাল মানুষের চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়, কাজেই অনেক বুঝিয়ে প্রমান দেয়ার পরেও আমার ইর্ষাকাতর বউ আমাকে যেতে দেয়নি।আজ মনে হয় যে কাজ টা সে একেবারে খারাপ করেনি।শাহবাগের প্রাপ্তিটা আসলে কি?পরের জামাতী তান্ডব আর সরকারী বাহিনীর বীরত্বের কাহিনী আমাদের সকলেরই জানা আছে।
আপনার লেখা কয়জন পড়েছে জানি না, তবে শাফি হুজুর কে ভক্তি করে এমন অসংখ্য লোক এখনও গিজ গিজ করছে। কারো কারো ধারনা আছে যে গো হুজুর( গো আজম) সম্পর্কে রাজাকারী অপবাদ মিথ্যা কারন যে নাকি টুপি পড়ে সে কোন অন্যায় কাজ করতে পারে না, আর করলেও কিছু ভাল তার মধ্যে থাকতে বাধ্য।কথাটা একজন শিক্ষকের।এই শিক্ষকরাই নাকি জাতির মেরুদণ্ড? তো একটি জাতির মেরুদণ্ডেরই যদি এই অবস্থা হয়, তবে জাতিটির ভবিষ্যৎ কি?
বাংলাদেশের মানুষের ৰ্ধমান্ধতা কি কাটবে না ? আর কতদিন ঐসব পাগল(শইপ্যা) তাদের বানীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে ? আরও খারাপ লাগে যখন দেখি শিক্ষিত মানুষেরা ঐসব পাগল(শইপ্যা) এর কথায় উঠাবসা করে ।
হায় হেফাজত হায় হেফাজত, হায় শাফি হায় শাফি । :-Y :-Y :-Y
@তারিক,
ভিডিও লিঙ্কে ক্লিক করে ইউটিউবের মন্তব্যগুলো দেখুন।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আকাশ মালিক, এই শফিকে উচ্চ শিক্ষিত মানুষরাও বাংলাদেশে প্রফেটের মত সম্ভ্রম করে। হেফাজতের প্রথম ঢাকা দখলের সময় লিফলেট বেরিয়েছিল ইমাম মেহেদী নাকি এই শফি সাবই। বাংলাদেশে সম্প্রতি যে চারটা সিটি নির্বাচন হয়ে গেলো সেখানে মূল প্রচারণা ছিল যে, মুসলমান হত্যাকারী এই সরকারকে ভোট না দিতে। গাজীপুর নির্বাচনেও সেই একই প্রচারণা- মুসলমান হত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ভোট না দিতে। তৌহদী জনতা বোধহয় আওয়ামী লীগের ঘাটি বলে খ্যাত গাজীপুরেও মুসলমান হত্যাকারী সরকারকে বিমুখ করবে। আওয়ামী লীগের জন্য আমার একটুও অনুকম্পা নেই।কিন্তু আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে হারলে বিএনপি-জামাত এবং হেফাজত ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বটিকা বেচার ব্যবসায় এখন আর হালে পানি পাচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন গণভোট দিলে কোরআনী শাসন বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে। এর থেকে উত্তরণের পথ কি? শিক্ষিত মানুষ কেমন করে শফির এইরকম ওয়াজ শুনেও এই মধ্যযুগীয় বদমাশটাকে সার্পোট করে? যে সত্তর বছরের বুড়োর এখনো মহিলা দেখলে জিভে পানি এসে যায়। এই সেই নেতা আমাদের, যে ৪/৫ ক্লাশ পর্যন্ত নারী শিক্ষা বেধে দেয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারীকেও দেখেছি শফির ভক্ত! এসব কি মূর্খতা? আমার কিন্তু মনে হয় এগুলো আমাদের মানিসক বৈকল্যতা। পুরো জাতি এই মানসিক বৈকল্যতায় ভুগছে। ইসলাম যার সূতিকাগার। তাহলে আমাদের উত্তরণের পথ কোথায়?
@সুষুপ্ত পাঠক,
একমত, কিন্তু-
না করবেনা। যতই আমরা রাগের বশে, ক্ষোভের বসে, অভিমান করে বলিনা কেন, মানুষ ওদেরকে ভোট দেবেনা। স্মরণ করুন আমাদের গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের কথা ‘মোল্লারা কি আমাদেরকে ভাত দেবে’? মুখে যতই ধর্মপ্রেম নবীপ্রেম বলুক, আখেরে পেটপ্রেমের উপরে কোন প্রেম নাই। সবার উপরে ক্যাপিট্যাল, অর্থই সত্য। ধর্মের চাকা নয় অর্থের চাকা যে দিকে ঘুরে পৃথিবী সেই দিকেই ঘুরে। মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদার কাছে ধর্ম কিছুই না। মানুষ ধর্ম ত্যাগ করে বাঁচতে পারবে, ভাত ত্যাগ করে বাঁচতে পারবেনা এটা সবাই বুঝে।
@আকাশ মালিক,মোল্লাদের বিরুদ্ধে এই পাল্টা প্রচারণা চালাবে কে? গণজাগরণ মঞ্চকে `নাস্তিক’ তকমা সেটে দিয়েছে জামাত। আওয়ামী লীগকে দিয়ে হবে না। আপাতত হেফাজত নারীর বিরুদ্ধে বলবে না। শুধু এটাই প্রচার চালাবে, এই আওয়ামী লীগ সরকার মতিঝিলে হাজার হাজার ইসলামের আলেম-ওলামাদের হত্যা করেছে। গার্মন্টেস নারী শ্রমিকরাও তখন এই ইস্যুতে হেফাজতের পক্ষে যাবে। ঠিক একইভাবে ইসলামী শাসন চান কিনা এই প্রশ্নেও তারা একমত হবে। ইসলামী শাসন প্রকৃতপক্ষে কি, শফির ওয়াজে সে নারীকে কি করতে চায়, সেসব তখন তুলে ধরবে না। আল্লার আইনে দেশ চলবে এতে দ্বিমত হওয়ার কি আছে? যারা আল্লা বিরোধী তাদের ভোট না দিয়ে যারা আল্লা আর ইসলামের পক্ষে তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিবো। আওয়ামী লীগ তো শফিকে ডিফেন্স করতে পারেনি। পারবেও না। যে কোন মূল্যে এইবার জামাত আর হেফাজতকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এটা তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। আর একবার আসতে পারলেই হলো…
আকাশ মালিক, আমি নিশ্চিন্ত হতে পারছি না কিছুতেই। যারা পাকিস্তান সৃষ্টি করেছিল ভারত ভেঙ্গে কেন তাদের আপনি বিশ্বাস করছেন তারা ফের ইসলামী রাষ্ট্রের দাবী তুলবে না? পাকিস্তান করে পরে বলেছে ঠকেছে। আবার না হয় ইসলামী রাষ্ট্র করে ফের বলবে ঠকেছে! চান্স কিন্তু একটা থেকেই যাচ্ছে। শফিরা খুব ভাল করেই জানে, ইসলাম এই শব্দটিই খুব ভাল বাণিজ্য করে বরাবর এই দেশে…।
@আকাশ মালিক,
– পুরো ব্যাপারটার এটাই সবচেয়ে দূঃখজনক দিক। হেফাজতের পেছনে সিভিক সমাজের বিশাল সমর্থনের পেছনে আছে মূলতঃ আত্মপ্রতারনা। ভোটে দাঁড়ালে আল্লামা শফি বাবুনগরী নয়, যতই চোর ছ্যাঁচড় গালি দিক সেই খালেদা হাসিনাকেই লোকে নির্বাচিত করে আনবে। ইসলামের বিজয় ঘটাবার মহান লক্ষ্য নিয়ে অন্ধভাবে কি জিনিস খাল কেটে ডেকে আনছে তা বোঝার মত স্যানিটি সাধারন ভাবে বিলিনপ্রায়।
অবশ্য এক দিক দিয়ে এইই ভাল বলতে হয়। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ ধারার দৌড় কেবল লেখালেখির পাতায় সীমাবদ্ধ, বড়জোর শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন। আমরা মহাসমাবেশ ঘেরাও ভাংচুর, দেশের আগুন জ্বালাবার হুমকি দিতে পারি না। কি বস্তু লোকে কোমল অনুভূতি রক্ষার্থে লালন পালন করে নিজেরাই গড়ে তুলেছে তা বুঝতে হলে সেই জিনিসের স্বাদ আস্বাদন ভিন্ন তেমন রাস্তা নেই। আমরা লেখালেখি করলে সিভিল সমাজের প্রতিক্রিয়া হয়, কিছু অশিক্ষিত গ্রাম্য মোল্লার রেফারেন্সে ধর্ম সমালোচনা করা অন্যায়, জামাতে ইসলামী মানেই ইসলাম নয় ইত্যাদী নানান কথা। লোকে সুশিক্ষিত দেশের শীর্ষ আলেমে দ্বীন আল্লামা শাফির ভাব দর্শনে নিশ্চয়ই প্রকৃত ইসলামের সন্ধান পাচ্ছে।