নির্ঘুম রাত,
দু’চোখে অশ্রুজল!
স্বজন হারা ব্যথা-
বেদনায় বুক ভার!
বুক ফাটে তো মুখ ফুটেনা!
চারপাশে, বোবা-কান্নার বুকফাটা মাতাম!
-সকরুণ আর্তনাদ! বাক্হীন, নির্বিকার আহাজারি!
হতবাক!… ভাষা নেই মুখে!
আশাও নেই, নিরাশা-হতাশায় দুর্বিষহ জীবন!
দু’চোখে কেবল অশ্রুজল!
মৃত্যুর-মিছিলে স্বদেশীয় স্বজনেরা একসাথে
স্বদেশ আজ মৃত্যুপুরী, মরার-দেশ!
চারদিকে গুম- হত্যা-খুন,
দেশে-থাকা মানে নির্ঘাত আত্মহত্যা!
মরার স্বদেশ হতে পালিয়েছি দূর-পরবাসে,
বেশ আছি?
দূর থেকে ছল-ছল অশ্রু সজল চোখে
দেখি, স্বদেশীর লাশের মিছিল!
‘শত্রুর গলাগলি ধরে তাঁরা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা!”
এভাবে-
প্রতিনিয়ত মরার-দেশে মরার-স্বদেশীরা মৃত্যুর সাথে
লড়াই করে বেঁচে আছে, বেঁচে থাকে, বাঁচতে হয়……;
মরতে যখন শিখেছে তাঁরা কেউ কি তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না?”…
সর্বনাশী-বঙ্গজননীর সর্বনাশ
পরবাসে আমরা সবাই হতাশ!
কারা কেড়ে নেয় ১৬কোটির গ্রাস?
গর্জে ওঠরে বীর বাঙালি, ধর হাল!
দূর করো যারা কেড়ে খায় যারা ১৬ কোটির প্রাণ!
চেতনায় ৫২’র-৭১’র যাঁদের,
তাঁদের রুখে কোন জানোয়ার?
বাংলা, আমার-তোমার-সবার।
:clap
@এম এস নিলয়, (Y)
খুব ভালো লাগল।
@ফোবিয়ান যাত্রী, আপনার ভালা লাগা আমার অনুপ্রেরণার উৎস! :thanks:
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মামুন ভাই,
আপনি আপনার আপন সহজাতে স্বভাবসিদ্ধ! (মানে রাজেস ভাইয়ের মতে, “মুক্তমনায় উদারহস্তে মন্তব্যে করায় ম্যান অব দ্যা সিরিজ দেয়ার যদি কোন সুযোগ থাকত সেটির অন্যতম প্রধান দারিদার হত মামুন”।) অথচ আমার ধারণাতে ছিল,
“মডারেট’র চোখ পেরিয়ে
শ্লোগানধর্মী অকবিতা-ছড়ায়, দলছুট মিছিলে
কেউ তো এলো না সংযোগে।
চোখ বুলিয়ে সবাই যেন খালাস!
কবিতা লেখায় মিছে মোর অভিলাষ!
ব্যর্থ প্রচেষ্টা! আসেনা গো কোন লেখা, আসেনা গো কোন ভাব-
কাব্যরসে শৈল্পিক সৌন্দর্যে রূপকদর্শনে ভরপুর, টইটুম্বর কাব্যের স্বভাব”!
বাংলাদেশের ইতিহাস রক্তের বা মৃত্যুর মর্মান্তিক নির্মম করুণ ইতিহাস! যুগযুগ ধরে আজোব্ধি বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন শাসক গোষ্ঠী বা যমদূতের শোষণ-নিপীড়ন-হত্যার মধ্যদিয়ে আজকের এই ‘বাংলাদেশ’!!! অসংখ্য মৃত্যুর মধ্যদিয়ে জীবন অতিবাহিত বাংলাদেশীরা মরণ খেলায় মেতে উঠেছে সেই সে কবে!! ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে রক্তবন্যায় এক মৃত্যু-প্রবাহ!
মানুষ নিত্যদিনের মৌলিক-জৈবিক চাহিদাগুলি পূরণ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুরমুখে পতিতঃ অন্ন সংস্থানের জন্য ঘর হতে বাইরে এলে শহরের কালো ধোয়া, বাতাসে ধূলাবালি, বিষাক্ত গ্যাস নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে গ্রহণ বর্জন করছে, যানবাহনের চড়ে সড়ক দুর্ঘটনা স্বীকার হয়ে যে কোন মুহূর্তে নিহত হচ্ছে। ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে খুন হচ্ছে। অপরাজনৈতিক অপতৎপরতায় ধ্বংসাত্মক ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের স্বীকার হয়ে মারা যাচ্ছে।
শিশুদের খাবার সহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বা খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ভেজালে সয়লাব, ফরমালিন সহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত অখাদ্য খেয়ে মানুষ অসুস্থ, নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ধীরেধীরে মৃত্যুপথযাত্রী…।
ব্যাঙের ছাতার মত গজে উঠা নগরের আবাসন, কলকারখানা, পোশাকশিল্প, বহুমুখি শিল্পায়ান, নগরায়ন কোন রকম ভূ-অবকাঠামো নিয়ম নীতি ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে যা অস্বাস্থ্যকর, ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো সময় অগ্নিসংযোগ, ভূমিধ্বস, ভবনধ্বস, ভুমিকম্পের স্বীকার হয়ে অসংখ্য জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে।
শিক্ষালয়ে রকমারি-বাহারি শিক্ষা ব্যবস্থায় নাই কোন একক শিক্ষানীতি, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে পরিণত হয়েছে অশিক্ষা, কুশিক্ষায় আঁকড়াস্থল! সেখানে ছাত্রজীবনের নাই কোন নিরাপত্তা। অনেক ছাত্র পড়াশুনা করতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে!
চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সেবার নামে চলছে বানিজ্য, চিকিৎসক ও সেবাকর্মীদের কসাইরূপ আচরণ এবং সুচিকিৎসা অভাবে ভুল চিকিৎসায় ও বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছে অসংখ্য রোগী!!
তাই আমার মনে ধারণা জন্মেছে, “মৃত্যু দেখে দেখে আমরা মরতে শিখেছি, মারতেও শিখেছি; আমাদের মধ্যে কেউ কি নাই যে, আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে?
এ কথার মানে ঠিক বুঝলাম না!
আর কবিতার ব্যাপার বলতে পারি, আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের সবার, যেমন করে এই ‘বাংলা, আমার-তোমার-সবার।’
মে দিবসের শুভেচ্ছা! মুক্তমনা পরিবারকেও জানাই শুভেচ্ছা!