কয়েকদিন আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য জামাতী ইসলামের নেতা ও সাবেক সাংসদ রাজাকার দেলওয়ার হোসেইন সাঈদির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের প্রতিবাদে সারা দেশে চরম নৈরাজ্য ও বর্বরতা সৃষ্টি করে জামাত-শিবির। এই সহিংসতায় প্রায় ৮০ জন মানুষ মারা যায় এবং ৭ জন পুলিশ অফিসার প্রাণ দেন। সহিংসতার পাশাপাশি সারাদেশে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে জামাত-শিবির। রাজাকার সাঈদীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর দেশব্যাপি সহিংসতার পাশাপাশি চলে সাম্প্রদায়িক হামলা। সাতক্ষিরা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে অন্য ধর্মের মানুষের বাড়িতে আগুন, হামলা, মন্দির লুট চলতে থাকে। এমনকি চট্টগ্রাম থেকে ধর্ষণের খবরও আসতে থাকে। কিন্তু এই সাম্প্রদায়িক হামলাকে তেমন ভাবে আমলে নেয়নি বাঙলাদেশের মিডিয়া। অন্য দিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সরাসরি জামাতের পক্ষ অবলম্বন করে। জামাত-বিএনপির সংসার ২০০১ থেকে। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীতে যে গণআন্দোলনের সৃষ্টি হয় তাতে অনেকেই আশা করেছিল বিএনপি হয়তো জামাতের সঙ্গ ছাড়বে। প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনসমাবেশে মুজাহিদ, গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লাসহ আরো অনেককে নিরপরাধ বলেছিলেন। তিনি এও দাবী করেন এরা কোন যুদ্ধাপরাধ করেন নি। এখানে একটা জিনিস মনে রাখা দরকার জিয়াউর রহমানের কল্যাণেই কিন্তু এই দেশে যুদ্ধাপরাধীরা রাজনীতি করার সুযোগ পায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা হত্যা, নারী নির্যাতন, লুট ও অগ্নিসংযোগ করে যুদ্ধাপরাধ করেছিল বঙ্গবন্ধু তাদের বিচারের জন্য ‘দালাল আইন’, ৭২-র সংবিধানে সংযোজিত করেছিলেন। দালাল আইনের আওতায় প্রায় ৩৮ হাজার পাকিস্তানি দালাল গ্রেফতার হয়েছিল। তবে এসব দালালদের ভিতর যারা শুধু নীতিগতভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো আলামত পাওয়া যায় নি তাদের বঙ্গবন্ধু ৭৩-এর ৩০ নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তবে যারা হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা এই ক্ষমার আওতার বাহিরে ছিল। সাধারণ ক্ষমতার আওতায় ২৬ হাজার ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছিল। তবে ১১ হাজারের বেশি দালালের বিরুদ্ধে হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় তাদের বিচার কার্য বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে বিদেশী প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার নিয়ে জিয়া ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন। ‘যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা’ ছিল এজেন্ডাসমূহের অন্যতম। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য ’৭৫-এর ৩১ ডিসেম্বর সামরিক শাসনের অধীনে বিশেষ অর্ডিন্যান্স জারি করে ‘দালাল আইন’ তুলে নেন। ফলে চল্লিশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার আমিনুর হক এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার চিকন আলীর মতন ঘৃণিত ব্যক্তিরা জেল থেকে বের হয়ে এসে শহীদ পরিবারগুলোকে উপহাস করতে থাকে। জিয়াউর রহামান দালাল আইন তুলে নেয়ার পাশাপাশি সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগীতার জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকার গোলাম আযমসহ ৩৯ জন শীর্যস্থানীয় দালাল ও যুদ্ধাপরাধীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন। এর ফলে সৌদি আরব সহ প্রতিক্রিয়াশীল দেশে এসব ঘাতকরা পালিয়ে যায়। কিন্তু দালাল আইন রহিত হওয়ার ফলে তারা দেশ ফিরতে শুরু করে। পাকিস্তানের পাসপোর্টধারী গোলাম আযম ’৭৮ সালে অসুস্থ মাকে দেখার কথা বলে তিন মাসের ভিসা নিয়ে বাঙলাদেশে এসে আর ফিরে যান নি। উপরন্তু পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হয়ে গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত এক জোট হয়ে নির্বাচন করে। ঐ নির্বাচনে জয়ী হয় বিএনপি এবং তার-ই সাথে সাথে রাজাকারদের গাড়িতে বাঙলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে।
২০০১ সালের ১লা অক্টোবর এর নির্বাচনের পর ব্যাপকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভোটার, সমর্থক, সদস্য, কর্মী ও নেতাদের শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি অন্যধর্মের মানুষের উপর চলে সাম্প্রদায়িক হামলা। বিশেষ করে নারীদের উপর। নির্যাতনের ঘটনা নির্বাচনের আগে ও পরে ঘটেছে। এর কারণ ছিল নির্বাচন। যদিও নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনা একই ধরনের ছিল কিন্তু নির্বাচনের পরের ঘটনাগুলো সংখ্যায় ও ব্যাপকতায় অনেক বেশি। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে যেসব সংবাদ ছাপা হয় তাতে বোঝাই যায় কারা এই কাজ গুলো করেছে। নির্বাচনের পরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকেরা নিজ গ্রাম ছেড়ে নিরাপত্তার জন্য আশেপাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়। অনেকে এলাকা ছাড়া থাকে। নির্বাচন পরর্বতি সময়ে গণধর্ষণ থেকে শুরু করে মানুষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, লুট চলতেই থাকে। আর এসব কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যে মদদ দেয় তৎকালীন প্রশাসন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশ ব্যাপী সংখ্যালঘু নারীদের উপর যে অত্যাচার হয় তার মধ্যে পূর্ণিমা নামটি আলোচিত। সাতজন মিলে এই বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করে। বাধ্য হয়ে মেয়ের মা’কে বলতে হয়-বাবারা তোমরা একজন একজন করে যাও। আমার মেয়েটা অনেক ছোট! দীর্ঘ ১০ বছর পর বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্যাতনের শিকার দেশব্যাপী বহুল আলোচিত উল্লাপাড়ার পূর্ণিমা রানী ধর্ষণ মামলার রায় হয়েছে। সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় প্রদান করেন। মামলার রায়ে অভিযুক্ত ১১ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার এই টাকা পূর্ণিমাকে প্রদানেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে রায়ে। এ সময় দ-প্রাপ্তদের মধ্যে ৬ জন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। ৫ জন ছিল অনুপস্থিত।
২০০১ সালে নির্বাচনী পরবর্তি সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষুদ্র চিত্র।
৪ অক্টোবর ২০০১ প্রথম আলো
বরিশালে বিএনপির দখল অভিযান।
বরিশাল অফিস: সরকার গঠনের আগেই বরিশালে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দখল অভিযানে নেমেছে বিএনপি। গতকাল রাত থেকে শহরের কয়েকটি আওয়ামী লীগ অফিস ক্লাব দখল করে নিয়েছে বিএনপির ক্যাডাররা। এছাড়াও শহরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকা থেকেও বিএনপি কর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মঙ্গলবার রাতে শহরের ভাটিখানা ও কাউনিয়া এলাকায় বেশ কিছু হিন্দু পরিবারকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৮ অক্টোবর ২০০১ প্রথম আলো
সরিষাবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনোত্তর তাণ্ডব।
আ.লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সংখ্যালঘুরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর প্রতিনিধি জানা, জেলার সরিষাবাড়ীতে নির্বাচনোত্তর বিএনপির সন্ত্রাসী তাণ্ডবলীলা, লুট ও হুমকি ধামকি অব্যাহত রয়েছে। ওই সন্ত্রাসের শিকায় হয়ে অনেক আওয়ামি লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে জামালপুর শহরসহ সরিষাবাড়ির আশেপাশে আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের অভিযোগ থানা পুলিশ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সরিষাবাড়ীর পিংনা ইউনিয়নের বাড়ইপটল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য সুলীল চন্দ্র ঘোষ গত শনিবার রাতে এ প্রতিনিধিকে জানান বিএনপির স্থানীয় ২০/২৫ জন সশস্ত্র যুবক গত ২ অক্টোবর সকালে মিছিল নিয়ে গিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয়। পরদিন সন্ত্রাসীরা বাড়ইপটল বাজারের রিন্টু ঠাকুর ও লিচু মিয়ার দুটি কাপড়ের দোকান ও মোতালেবের মনোহারী দোকানে ভাঙচুর লুটপাট করে। বাড়ইপটল এলাকায় ২২৫ জন সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। সন্ত্রাসীরা তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে আতঙ্গে অনেকে গ্রাম ছেড়ে শহরে আশ্রয় নিচ্ছে।
৯ অক্টোবর ২০০১ মঙ্গবার প্রথম আলো
আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুরা অসহায়
বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় নির্যাতিন অব্যাহত, প্রশাসন নীরব
তৌফিক মারুফ, বরিশাল: বরিশাল জেলাসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের পরদিন থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী, সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলা, বাড়িঘর দোকারপাট ভাঙচুর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এসব সহিংসতা বন্ধে প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরিশালের উজিরপুরে শুধু আওয়ামী লীগই নয় ওয়ার্কাস পার্টি, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপরও চলছে নির্যাতন। কেবল হামলা, ভাঙচুর, লুট বা হুমকিই নয়, নারী নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে গেছে ভোটের দিন থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা।
১০ অক্টোবর ২০০১ প্রথম আলো
লুটপাটের পর বাড়ির সামনে ‘বিক্রি হবে’ সাইনবোর্ড!
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিনে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে তারা প্রাণ বাঁচাতে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সদর উপজেলার চরাঞ্চল নলবিনিয়াকান্দিতে বিএনপি সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুদের গরু-ছাগল ও নৌকাসহ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়।
১২ অক্টোবর ২০০১ আজকের কাগজ
গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী বিজয়ের পাশবিক উল্লাস, প্রশাসন নীরব
কাগজ প্রতিনিধি: অষ্টম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগেই গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্ম ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, নির্বাচনের পর তা আরো বেড়ে গেছে। সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেত-কর্মীরা কেউ কেউ নির্যাতনের শিকার হয়ে আবার কেউ কেউ নির্যাতনের আশঙ্কায় ভীত সন্ত্রাস্তভাবে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। গৌরনদী-আগৈলঝাড়া থানার বিভিন্ন গ্রামে লুট-পাট, অগ্নিসংযোগ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় গৌরনদী থানায় বিএনপির কতিপয় নেতা-কর্মী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টির জিয়া গ্রুপের আঞ্চলিক নেতা রেজাউল করিম, সেকান্দার মৃধা, জাহাঙ্গির মৃধা ও জাহাঙ্গির গোমস্তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার নিপীড়ন চালাচ্ছে, এরা চাঁদাবাজি লুটপাট, ধর্ষণসহ গরুছাগল পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
১২ অক্টোবর ২০০১ প্রথম আলো
বরিশালের হিজলায় বিএনপি ক্যাডারদের দাপট
গ্রামছাড়া নিতাই মায়ের মৃত্যুর খরব পেয়েও ঘরে ফিরতে পারেননি।
বরিশাল অফিস: বরিশালের হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারের ক্ষুদ্র সেলুন ব্যবসায়ী নিতাই শীল বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে শেষ দেখাও করতে পারেননি। ধর্মীয় বিধান অনুসারে মায়ের মৃত্যুর পর শেষ কৃত্যানুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারেন নি তিনি। বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাকে গ্রাম ছাড়া করেই ক্ষান্ত হয় নি, উপরন্ত মায়ের মৃত্যুর পর নিতাইকে নিজ গ্রামে ঢুকতে দেয়নি।
২০ অক্টোবর ২০০১ জনকণ্ঠ
নির্বাচনের পর নির্যাতন। পার্বতীপুর নৌকার সমর্থকরা হাটে যেতে না পেরে বসিয়েচে আলাদা বাজার
পার্বতীপুর, ১৯ অক্টোবর, সংবাদদাতা: নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় পার্বতীপুরের পরিস্থিতি এখনও অশান্ত ও উত্তপ্ত। আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। সুযোগ পেলেই নৌকার সমর্থক বলে তাদের মারধর করা হচ্ছে। এই অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত বাজার-হাট করার জন্য আলাদাভাবে বাজার বসানো হয়েছে।
৭ নভেম্বর ২০০১ আজকের কাগজ
মীরসরাই দাশপাড়ায় মধ্যরাতে বিএনপি সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব। নিহত ১ আহত ৩০
চট্টগ্রাম অফিস: মীরসরাই উপজেলার মিঠানালার দাশপাড়ায় সোমবার মধ্যরাতে বিএনপি সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী সুনিল দাস সাধু (২৮) নিহত এবং প্রায় ৩০ জন নারী ও শিশু আহত হয়েছে। জানা গেছে হামলা ও লুটপাটে ৫১টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১৭ নভেম্বর ২০০১ যুগান্তর
চট্টগ্রামে নিজ বাসভবনে অধ্যক্ষ গোপাল মুহুরীকে গুলি করে হত্যা
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামাত-শিবির ক্যাডাররা জড়িত, পুলিশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টায় নগরীর কেন্দ্রস্থল জামাতখান রোডে নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছে হাটহাজারী উপজেলা নাজিরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোপালকৃষ্ণ মুহুরী (৫৮)। সস্ত্রাসীরা সকালে তার বাসায় ঢুকে মাথায় রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করে তাকে তাকে হত্যা করার পর বেবিট্যাক্সি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
১২ ডিসেম্বর ২০০১ জনকণ্ঠ
সাকা ক্যাডাররা পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে অপহরণ করেছে নলিনী মাস্টারকে
স্টাফ রির্পোটার, চট্টগ্রাম অফিস: রাউজানে নলিনী মাস্টার বলে পরিচিত এক ব্যক্তিতে সা’কার ক্যাডাররা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় রাউজানের ডাবুয়া এলাকার জগন্নাথহাট হতে ক্যাডাররা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
উপরের ঘটনাগুলো ২০০১ সালের সামগ্রিক ঘটনার ক্ষুদ্র অংশ। শুধু ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তীতেই নয় এমন হামলা হচ্ছে অহরহ। এদেশে অন্যধর্মালম্বীদের মারার জন্য কোন অজুহাতের দরকার হয় না তাই দেখা যাচ্ছে বারে বারে। দলী সংঘাত হোক আর আদর্শে সংঘাত হোক বা ক্ষমতার দ্বন্ধ হোক ঝড় যায় অন্যধর্মালম্বিদের উপরই। সামনে আবারো নির্বাচন আসছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী সহ রামুর মতন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এসব হামলার কোন বিচার হয় নি এবং হয় না। এটাই যেন আমাদের সমাজের নির্মম বাস্তবতা। ৭১-এ চেতনায় আবারো জেগে উঠে সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ নির্মূল করতে হবে। এছাড়া বাঙলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করা কখনো সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ বিম্পির মুখোশ উন্মোচনের জন্য।
বিএনপি শুধুমাত্র মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে দুইবার ক্ষমতায় এসেছে।২০০১ সালে যখন দেখল শুধু মিথ্যাচারে কূলাবেনা তখন রাজকার-জামাতের সাথে জোট করে তত কালীন তত্তাবধায়ক সরকার ও প্রসাসনের পরোক্ষ মদদে নিবার্চন এর আগেই আওয়ামী লীগ নেতা কমীদের হত্যা, পিটিয়ে আহত করে মাঠ ছাড়া করে আর ও অনেক মেকানিজম করে জিতেছিল | যার প্রমান এখন মিথ্যাচার চলছে | ব্যরিস্টার মওদুদ, খালেদা জিয়া সহ বিএনপি নেতারা বলছে কি সম্প্রতি টান্ডব ও ভাংচুর চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, পাহারা দিচ্ছে বিএনপি। কত বড় মিথ্যাচার! বাংলাদেশের মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে নিজ চোখে সব দেখেছে। তারপর ও মিথ্যাচার! আজ বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে মওদুদের মত একটা রাজনৈতিক বে…র নিকট থেকে উপদেশ শুনতে হয়!
রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে বিএনপিকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হবার মূল কারণ হচ্ছে গত সাঁইত্রিশ বছরে আওয়ামী লীগ এটা খুব স্পষ্ট করে জনগণকে বোঝাতে পারেনি যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করলেও জেনারেল জিয়াই বাংলাদেশবিরোধীদেরকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানো থেকে শুরু করে সর্বস্তরে ঢুকে শক্তিশালী এক পক্ষ হিসাবে দাঁড় করানোর কাজটি শুরু করেছে, খালেদা জিয়া শুধু তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে। বিএনপি’র স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঝোঁকার গতি ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়াটা অভিকর্ষক ত্বরণের দরুণ পড়ন্ত বস্তুর গতিবেগ বৃদ্ধির সাথে তুলনীয়।
একজন সামরিক শাসক হিসাবে ও বাংলাদেশবিরোধীদের পালনকর্তা হিসাবে জেনারেল জিয়ার অপকর্মকে ঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারার দরুণ বত্রিশ বছর আগে নিহত জিয়া এখনো আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ।
তো আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করতে পারলো না কেন? কারণ, আওয়ামী লীগ আদর্শবাদী দল নয় এবং এর শ্রেণীচরিত্র বিএনপি’র চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। পার্টিতে বেনোজল ঠেকানোর কোন মেকানিজম আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই, সেই চেষ্টাও তাদের নেই। পার্টিতে অবস্থানকারী দুর্বৃত্তের দুষ্কর্মের দায়ভার যে পার্টির ওপর বর্তায় না সেই বোধ তাদের নেই। পার্টির সৎ ও অসৎ উভয় প্রকার নেতার জন্য এরা সমান জোরে কোমর বেঁধে ঝগড়া করে। এর জন্য বার বার পার্টিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। তবু এরা নিজেদের নীতি সংশোধন করেনি।
আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার দায় পার্টি হিসাবে আওয়ামী লীগকে যতোটা না ভোগ করতে হয় তারচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। যতদিন পর্যন্ত না একটি জনমূখী, প্রগতিশীল, বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক দল সাধারণ নির্বাচনে জিতে দেশের শাসন ক্ষমতায় যাবার মতো শক্তি অর্জন করতে পারবে ততোদিন পর্যন্ত আমাদেরকে এই অন্ধচক্রের মধ্যেই বাস করতে হবে।
@ষষ্ঠ পাণ্ডব,
বর্তমান আওয়ামী লীগ তাই বটে। আহমদ ছফা একটা কথা বলেছিলেন; আওয়ামী লীগ যখন হারে তখন সবাইকে নিয়েই হারে।
সহমত
Amra 1986 are 1996 er kotha mone korina keno?
বাঙরেজি কোন মন্তব্য পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
নষ্ট রাজনৈতিক আশ্রয়ে জামাত বেড়ে উঠেছে।
আর সেক্ষেত্রে দেশের শক্তিধর দু’দলই জামাতকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হেমলক আমরা এখন পান করছি। একদিকে আওয়ামীলীগের আপোষকামী রাজনীতি অন্যদিকে দেশের শত্রু সাম্প্রদায়িক দলগুলো নিয়ে বিএনপির সহবাস। আমাদের শঙ্কিত করে আশ্বানিত করতে পারে না।
আবার নিরবাচন হলে কি হবে কে জানে।খুন,রেপ,আগুন লাগানো,লুট পাট যারা কোরেছে তাদের বিচার হোক এটাই আমরা চাই।আবার জেনো ২০০১ না আসে।মাডাম জিয়া জামাত এর সংঘ ছারুন ভোট পাবেন।
@ইউসুফ রেজা, OK
যে দেশের সরাষ্টমন্এী পাকিস্তানের সিএসপি রাজাকার ছিল এখন মন্এি তারা দেশ থেকে রাজাকার মুক্ত করবে বিষয়টা হাস্যকর হয়ে গেছে। জিয়াউর রহমান যদি চাইত তবে আওমীলীগ কখনো রাজনৈতিক দল হিসেবে মাথা তুলে দাড়াতে পাড়ত না। তার সমস্যা একটাই বেশি সুযোগ দিতে দিতে রাজাকার দেরও সুযোগ দেয়া। বিনপির সাথে জামাত দেখতে যাদের খারাপ লাগে তাদের বলছি ৯৬ সালে আওমীলীগের শেখ হাসিনা গোলাম আজম এর দোয়া নিয়ে তারপর নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছিল। তখল হাসিনা আর গোলাম আজমের সহবাস অনেক আনন্দ দায়ক ছিল কিন্তু এখন এরশাদের লাঙল আর কাজে লাগছে না তাই খালেদার আচলে থাকা মায়াস্এো নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। আর আওমীলীগের সময় তো কোন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি; টিকাতলীতে মন্দিরে চুরি হয়নি?
পুলিশ রাইফেল ঠেকিয়ে যে মানুষ মারল এটা কোন মানবতাবাত জানার ইচ্ছা রইল। এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য লেখা ছেড়ে দিন। সুধু কয়েনের এক পাশ দেখাবেন আর একপাশ ঢেকে রাখবেন এই সুযোগ শেষ।
@ইফতেখার মাহমুদ বুলবুল,
জানার জন্য বলছি এ বিষয়ে কোন লেখার লিংক কী দিতে পারবেন?
আর আওয়ামীলীগ হলো স্যাকুলারের পোশাকে মোল্লা দল। আওয়ামীলীগ কে স্যাকুলার আর অসাম্প্রদায়কি দল যারা বলেন তারা ভুলে যান; ৭১ পরবর্তিতে হিন্দুবাড়ি দলখে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল। আগেও বলেছি এখনো বলছি আওয়ামী লীগ অসম্প্রদায়কি দল নয় তবে আমাদের হাতে অন্য অপশান না থাকায় এই দলে কিছু অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ বেশি এই যা।
আর তৎকালীন সরাষ্টমন্এী পাকিস্তানের সিএসপি কী পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন নাকি পাকিস্তানের চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন তা পরিষ্কার হওয়া উচিত বলে বোধ করছি। নিজ উদ্দোগে জেনেছি তিনি নাকি মুক্তিবাহিনী কে সাহায্য করতেন। কতোটুকু সত্য জানি না তবে একজন গবেষকের কাছেই জেনেছি। তবে আপনার কাছে আরো বেশি কিছু থাকলে জানাবেন, এই আশায় রইলাম।
@সুব্রত শুভ,
আমি যতটুকু শুনেছিলাম শেখ হাসিনা গোলাম আজমের পা ছুয়ে সালাম করেছিল সেদিন। আপনি যেমন সরাষ্টমন্তী নিয়ে বললেন আমার তথ্যটাও প্রমাণ বিহীন। আদালতের কাঠগড়ায় হয়তো প্রমাণ করা সম্ভব না কিন্তু এটা তো সত্য আওমীলীগ কিংবা বিনপি জামায়াতকে রাজনৈতিক সার্থরক্ষার জন্য ব্যবহার করে গিরগিটির মত রং বদলায়। রাজনীতি হতে হয় স্বার্থ বিহীন; ব্যক্তি কিংবা দলের জন্য রাজনীতির স্বার্থ দেখতে গেলে জনগনের স্বার্থ ব্যহত হয়।
আওমীলীগ তাদের ভোটের রাজনীতির জন্য বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা যুদ্ধ এসব কিছু নিজেদের ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে বল্গাহীনভাবে ব্যবহার করছে। তাই তাদের প্রতিপক্ষ দল তাদের সমালোচনা করতে গিয়ে স্বাধীনতার সমালোচনা করছে কিছুটা বাধ্য হয়ে অথবা প্রকৃতিগত ভাবেই।
ইন্ডিয়া কিংবা পাকিস্তানের জাতির পিতা নিয়ে সমস্যা না হলেও আওমীলীগের কারণেই বাংলাদেশে হচ্ছে।
আপনাকে একটা হাইপোথেটিকাল প্রশ্ন করি,
(১) জামায়াত ইসলামী দল যদি স্বাধীনতার পর সংগঠিত না হত; তারা যদি আওমীলীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী না হত; তবে কি আওমীলীগ গোলাম আজম সহ অনান্য রাজাকারদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাত?
এখন ভেবে দেখুন একটু পিছনে,
(২) জিয়ায়র রহমান যদি জামায়াত কে সংগঠিত না করত তবে কি আজ এই রাজাকারদের এ ধরনের বিচারের সম্মুক্ষীন হতে হত?
(৩) কিন্তু জিয়ায়র রহমানের তিল পরিমাণ ইচ্ছা কি ছিল এই রাজাকারদের বিচার করার?
কাকতালীয়ভাবে, খুব সম্ভবত তিনটি প্রশ্নের উত্তর হল, না।
এবার আসল কথায় আসি; প্রবাদে আছে- ‘পাপ বাবকেও ছাড়ে না।’
প্রবাদটি আপনি কোন বৈজ্ঞানিক ল্যাবটারিতে প্রমাণ করতে পারবেন।
দুঃখজনকভাবে খুব সম্ববত এই প্রশ্নের উত্তর বরাবরের মত, ‘না’।
উত্তরটা ল্যাবটারিতে প্রমাণ করা না গেলেও একটা জলজ্যান্ত ব্যবহারিক প্রমাণ আছে আমাদের কাছে।
ধন্যবাদ সুব্রত শুভ ভাইকে, আমার মন্তব্যটির জবাব দেয়ার জন্য। (F)
@ইফতেখার মাহমুদ বুলবুল,
কথাটার সাথে পুরাপুরি একমত। সত্য কথা হল আওয়ামী লীগ যে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য খুব আগ্রহী ছিল বিষয়টি তাও নয়। বরং যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মূলা আবার জনগণের সামনে ঝুলছে। আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থে হোক বা দেশের স্বার্থে হোক যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সেই হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে জনগণ অনেকে কিছুতেই ছাড় দিচ্ছে। বিচারের ভংচংয়ের জন্যই কিন্তু শাহবাগ আন্দোলনের জন্ম। বিচার যদি সুষ্টু হতো তাহলে এই শাহবাগ আন্দোলন করতে হতো না। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি বিএনপিও করত তাহলে তখন বিএনপি সার্পোট দিতাম। কারণ আমরা চাই দেশ কলঙ্কমুক্ত হোত। এই কাজ যেই করবে তাকেই অভিনন্দন দিতাম।
@সুব্রত শুভ,
আপনার সাথে আমি এই বিষয়ে একমত।
🙂
বাংলাদেশের রাজনিতিবিদ্দের খপ্পরে পড়ে সতিইয় মিছা এক করে ফেলেন না, ৭১ সাল থেকেই
এদের নির্বাচনী পুরব ওয়াদা ও পরবত্তি কাজ দেখলেই বুঝবেন কতবড় মুনাফিক এরা
রাজাকার আলবদররা নিসন্দেহে অপরাধি কিন্তু বিচারের নামে এদের রাজনেতিক মতলব থেকে
দূরে থাকুন নুতবা নিজেকে অপরাধী হওয়া বাচাতে পারবেন না কারন পাপ করা আর সহয়তা করা
এক
@নুরুজ্জামান, উপরের কোন বিষয়টি মিথ্যা? প্রমাণ দিন। আমি এখানে বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের গুণগান করতে আসি নাই। ২০০১ এ কী ঘটেছিল তা বলেছি। আমরা ভুলে যাই নি অসহায় মায়ের সেই কথা;
হায়রে দেশ!!! দেশের রাজনিতি!!! (D)
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য ৰ্ধমভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে … কিন্তু আওয়ামীলীগ বা বিএনপি কোন দল কি সেটা করবে ??? তাহলে বাংলাদেশীরা এই মৌলবাদীদের থেকে মুক্তি কিভাবে পাবে ??? :guli: :ban:
@তারিক, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ এমনেই হয় কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউ নিষিদ্ধে পক্ষে না। যদি পক্ষেই থাকত তাহলে ১৯৯২ সালেই করত বা এই গণজাগরনের পরেই নিষিদ্ধ করত। দেখা যাক করে কিনা। অন্য আরেক টা বিষয় শুনতেছি তা হল; জামাতকে নিষিদ্ধ নয় বরং নির্বাচন করতে দেবে না এমনই একটা আইন করার চিন্তায় আছে সরকার। :-X
বাঙলাদেশে জামাতের উত্থান আম্বালীগের হাত ধরে হয় নি হয়েছে বিম্পির হাত ধরে। এমনকি রাষ্টের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সুযোগ করে দেয় বিম্পি। আর বর্তমানে আম্বালীগ বিম্পির কথা আসলে মুখ কালো করে আম্বালীগে দিকেই ঝুকতে হয় কারণ হাতে আর অপশান নেই আর এই জিনিসটাই আমাদের রাজনৈতিক দল কাজে লাগায়। আর জামাত আছে বলে জামাতের জুজু দেখিয়ে আম্বালীগের রাজনীতি করতে সুবিধা হচ্ছে। জামাতের উত্থান মদদ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে সাম্প্রদায়িক হামলা তো আর আম্বালীগ করে নি। তাহলে আমি কেন এখানেও আম্বালীগ আনেত যাব। আর এখানে তো বলেছিই যে; বিম্পির অবস্থান নিয়ে যারা বিস্মিত তাদের জন্য এই লেখার উদ্দেশ।
হয়তো।
আম্বালীগ সরকারের বিরুদ্ধে সবাই দম ধরে বসে আসে শুধু। আল্টিমেটামের ভেতর যদি নিষিদ্ধ না হয় তাহলে বুঝবে গদাম কাকে বলে। এদের সব রাজনৈতিক দলের ধান্ধাবাজির মুখোশ খুলে দিতে হবে। আশা করি কাজটি আপনি শুরু করবেন। 🙂
আর
পোস্টে কিন্তু কোথাও আম্লিগের রাজাকার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে কিছু নাই। বরঞ্চ বিম্পির আমলে কোথায় কোথায় অসহায় মানুষের উপরে বিম্পির হামলার সাথে কীভাবে আম্লিগের নেতাকর্মীর উপরেও হামলা হয়েছে সেটা বেশ কয়েকবার দেখলাম। সেজন্যই বলা আর কী। কারন এই ক্রান্তিকালে শুধু এক দলের দোষ দেখানো মানে আপনি আরেকদলের প্রশংসা করছেন। অন্তত সাদা চোখে সেটাই মনে করতে পারে যে কেউ। 🙂
কথাটা সাম্প্রদায়িক বলতে চাইলেন কি?
আম্লিগ বিম্পি কেউই তো আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বলে কয়ে করে না। নিজেরদের স্বার্থে কাজ করে। করতে যেয়ে যদি কাউকে হত্যা করলে সুবিধা হয়, করে। না হলে করে না। এটাই সহজ এবং সরল সত্য। বাঙলাদেশে কি সাম্প্রদায়িক হত্যা ছাড়া আর কোন হত্যাকান্ড হয় না? হয়ই তো। সুতরাং প্রশ্নটা রাজনৈতিক সুবিধার, অর্থনৈতিক সুবিধার। এটার জন্য এই সমস্ত দলেরা সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রদায়িক সবই হতে পারে। নির্ভর করে কোন সুবিধা তারা পাচ্ছে।
প্রকাশ্যে তো অবশ্যই বিম্পির সাথে, সেটা সবাই জানে। আপনি বর্তমান গোপন প্রণয়ের কথা না জানলে(বলা ভালো না বুঝলে) এবং অতীত প্রণয়ের কথা ভুলে গেলেও এটার মানে কিন্তু এই না যে আম্লিগ জামাতের সাথে ভালোবাসাবাসি করে নাই এবং সেটা আর কেউ জানে না বা ভুলে গেছে।
আর এখানে যেহেতু রাজনৈতিক দলের ব্যাপার কথা হচ্ছে সেজন্য অন্য কারা দিগন্ত টিভিতে কী করেছে সেটা অপ্রয়োজনীয় মনে করেই আলোচনার বাইরে রাখলাম।
সেজন্যই আমি তিন নম্বর প্রশ্নটা করেছিলাম। আপনি হয়ত ধরতে পারেন নাই। আবার করছিঃ
৩. বিম্পি জামাতকে ছেড়ে দিলে আওয়ামি লিগের একটি ভোটও কি বিম্পি পাবে? আপনি দিবেন?
মানে, বিম্পি জামাত ছাড়লে কি আম্লিগের কেউবিম্পিকে ভোট দিবে? আপনি দেবেন? শাহবাগের কেউ দেবে? উত্তর তো জানা কথাই, না।
তাহলে বিম্পি কোন যুক্তিতে জামাতকে ছাড়বে? ৫, ৭ ভাগ ভোটতো আর মুখের কথা না। যেটা নেওয়ার জন্য আম্লিগ বিচারের নামে বেশ্যাবৃত্তি করল আর সাধারন জনগন শাহবাগের আন্দোলন শুরু করল প্রতিবাদে। সে জন্যই বলেছিলাম, তাহলে বিম্পিকে আসলে দোষ দিয়ে লাভ কী? আদর্শের রাজনীতি তারা করে না। সুতরাং এইদিক দিয়ে সমস্যা নাই। অন্যদিকে আম্লিগও আদর্শের রাজনীতি করে না, এবং সাথে সাথে জামাতের সাথে লদকালদকি করতে চায়। তাহলে বেসিক তফাতটা কোথায়? আম্লিগও চেয়েছে জামাতের সাথে থাকতে। আবার বিম্পিও চেয়েছে জামাত সাথে রাখতে। কিন্তু দোষ দেয়া হচ্ছে কাদের? বিম্পিকে!
এটা কতটুকু যৌক্তিক? আর এই আওয়াজ মেরে আমরা কাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি? মনে রাখা দরকার মনে হয় আমাদের সবার।
@সাইফুল ইসলাম, বিম্পি যদি জামাত ছেড়ে শাহবাগ আন্দোলনে আসত তাহলে অনেকে তরুণের কাছে বিম্পি গ্রহণযোগ্যতা পেত। বিম্পির ছাত্র দলের সভাপতি শাহবাগ এসে বসে থাকে। কিন্তু কিছু বলতে পারে না কারণ দল এটার বিরুদ্ধে তাই।
এটা আপনাকে মানতেই হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাতকে নিষিদ্ধ করার সময় আম্বালীগে আমলেই তাই সরকারকে চাপ দিয়ে কাজটা করাতে হবে। সরকার সহজ ভাবে কাজটা করবে না তা জানা কথা। আমাদের হাতে যেহেতু অপশান নেই তাই আম্বালীগ কেই চাপ দিয়ে কাজটা করতে হবে। আপনি অবশ্যই স্বীকার করবেন যে; আম্বালীগের আমল হওয়াতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে এবং ব্লগ ফেসবুকে কিছু স্বাধীনতা পাচ্ছি। আমি বলছি না এটা অনেক তবে অন্য দল থেকে কিছুটা ভাল। একটা দলে পোঁকা হয়েছে আরেকটা নষ্ট হয়েছে। তফাৎ এতোটুকুই। আর এদেশের হিন্দুরা সবসময়ই অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে কারণ বিম্পি আসলেও বিপদ আর আম্বালীগ আসলেও বিপদ তবে তুলনা মূলক কম কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই কমটুকুও নেই। তাই বাঙলাদেশে সকল দলের কুকর্মের মুখোশ খুলে দিতে হবে।
@সুব্রত শুভ,
এটাই হল আসল কথা। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, সেটাই চাই। ২৬ তারিখ পর্যন্ত বসে আছি তারপর আম্বালীগকে ধরতে হবে। কারণ আম্বালীগ স্যাকুলারের কথা বলে মোল্লা টাইক আচরণ করছে সবসময়। দেশে মানুষের নিরাপত্তা নেই। একের পর এক লাশ পড়ছে। কিন্তু সরকার আছে “ইসলামের কটূক্তিকারীদের শনাক্ত করতে কমিটি” নিয়ে।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে যারা মাঠে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নেই। অথচ সরকার আছে ধর্ম নিয়ে। কারণ সরকার ভাল মতন জানে ধর্ম ছাড়া রাজনীতি হবে না।
আমার কথা হল ইসলামের কটূক্তিকারীদের জন্য কমিটি হলে অন্য ধর্ম বাদ যাবে কেন? অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের চেহারা খানি এমন কেন? আমি তো প্রতিটি ওয়াজ মাহফিলে শুনি অন্য ধর্মের মানুষ ও তাদের দেব দেবী নিয়ে কী রকম হাসি ঠাট্টা হয় তাহলে কী ওগুলা করা অধিকার নাকি। নাকি ধর্ম মানেই ইসলাম?
স্যাকুলার আধুনিক রাষ্ট্রের পথে বাঙলাদেশ তবে আমরা গাধার পিঠে করে যাচ্ছি।
এই হচ্ছে আম্বালীগ তাই এদের সকলের মুখোশ খুলে দিতে হবে। এটাই কথা 🙂
আওয়ামীলীগ অবশ্যই ধোয়া তুলশি পাতা না,তবে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এই যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছে,সেটা করেছে আওয়ামীলীগই।আওয়ামীলীগকে যতই গালি দিন না কেন,বাংলার মাটিতে কোন দল যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তবে সেটা আওয়ামীলীগই। অন্তত বিএনপি যে কোন কালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না তা তো পরিষ্কারই। এতোদিন পরিষ্কার না হলেও গত ১ সপ্তাহের আচরণে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপি স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করছে।আর আওয়ামীলীগ স্বাভাবিকভাবেই চাচ্ছে গত ৪ বছরের কলঙ্কমোচন করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের ইস্যুটা সামনে আনতে এবং নির্বাচন পর্যন্ত এই জাগরণ জিইয়ে রাখতে। ইস্যুটা সামনে এনে যদি সাঈদী নিজামীর ফাসী নিশ্চিত করতে পারে তাইলে আমি তো আপত্তির কিছু দেখি না। বিএনপির যদি মনে হয় এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগ লাভবান হবে তাহলে তারা জামাতের পক্ষ ছাড়ুক,বলুক আমরাও কাদের মোল্লার ফাসী চাই।সেটা তারা বলছে না। অর্ধশতাধিক হিন্দু বাড়ি পোড়ানো হল,সে বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই। জাতীয় পতাকা পোড়ানো হল,শহীদ মিনার ভাঙ্গা হল,কুপিয়ে কুপিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হ সে বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নাই।যেই মাত্র সাঈদীকে বাঁচানোর জন্য তার ছানাপোনারা ওয়ার এগেইন্সট স্টেট ঘোষণা করল ওমনি তারা বলা শুরু করল সরকার গণহত্যা করছে।এমন দলের কাছ থেকে কি আশা করতে পারি?
এই পোস্টের প্রথম উদ্দেশ্য; সামনে আবারো নির্বাচন আসছে অতএব এমন ঘটনা আবরো ঘটবে। আম্বালীগে রাজাকার ছিল এবং আছে। কয়দিন আগে সম্ভবত ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে যুদ্ধাপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেফতার করা হল।
এখানে শুধু নির্বাচন পরবর্তি সাম্প্রদায়িক হামলার কথা বলা হয়েছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কোটাতেই আম্বালীগ বিম্পি থেকে কম না। আর জামাত থেকে কে সুযোগ সুবিধা নেয় নি? হাতে গুনা কয়েকজন ছাড়া সবাই জামাত থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে।
এই পোস্টের প্রথম উদ্দেশ- জণজাগরণের পরও বিম্পি কেন রাজাকারদের ছাড়ছে না, এবং অতীতের সাম্প্রদায়কি হামলার ঘটনা সবাইকে স্মরণ করা কারণ আমরা সবাই সব কিছু ভুলে যাই।
আম্লিগের যে সবাই অসাম্প্রদায়কি তা ভাবাও ভুল কারণ রামুর ঘটনা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। যেখানে সবদলের মানুষজনই হামলা চালায়।
জামাতের প্রকাশ্যে প্রণয় বিম্পির সাথেই। গোপন প্রণয় কার সাথে নেই। শাহবাগে এসে গণজাগরণ মঞ্চে এসে একাত্তরা ঘোষণা করে কিন্তু পরের দিনই আবার দিগন্ত টেলিভিশনে গান গায়, টক শো করে তারাই আবার দেশের আদর্শ সেলিব্রেটি।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিম্পির আদর্শের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। সবাই নিজের ধান্ধায় ব্যস্ত। সন টা মনে আসছে না, সম্ভবত ৯২ -তে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার জন্য সংসদে প্রস্তাব উঠেছিল। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুই দলই চেয়েছিল জামাত নিষিদ্ধ হোক। কিন্তু যখন নিষিদ্ধ করার কাজ হাতে নেওয়ার দায়িত্ব আসল তখন আওয়ামীলীগ বলেছিল এটা সরকারের কাজ আর বিম্বি বলেছিল এটা বিরোধী দল থেকে আসতে হবে। এবং পরিশেষ জামাত-শিবির আর নিষিদ্ধ হয় নি।
বর্তমানে জামাত শিবির নিষিদ্ধ নিয়েও একই খেলা দেখা যাচ্ছে। জামাত-শিবির একটার পর একটা মানুষ মারছে, হিন্দু-বৌদ্ধদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে চট্টগ্রাম উত্তাল করার চেষ্টায় আছে, জনসম্মুখে পুলিশ মারছে এর পরও এর মতন একটা জঙ্গি দলকে নিষিদ্ধ করার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কোন দল। আর নির্লজ্জ বিম্পি তো জামাতের সাথে বাসর ঘরে সঙ্গমে লিপ্ত। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় ছাত্রশিবির নাম ওঠার পরও সরকার ও বিরোধী দল তাদেরকে মাতৃভূমি ধর্ষণ করার অধিকার দিয়ে রেখেছে।
গোল্ডফিশ জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
কয়েকটা প্রশ্নঃ
১. বাঙলাদেশের দুটো বড় রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য কী? এরা কি আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করে?
২. বাঙলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহন করা এমন কোন দল কি আছে যারা আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করে?
৩. বিম্পি জামাতকে ছেড়ে দিলে আওয়ামি লিগের একটি ভোটও কি বিম্পি পাবে? আপনি দিবেন?
৪. এই সংসার করার আগে জামাত কারো সাথে প্রণয়ে লিপ্ত ছিল কি? থাকলে কার সাথে? নাকি জামাত অনাঘ্রাত কুমারী?
৫. আম্লিগে কি কোনদিন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ছিল? বা এখনও কি আছে?
৬. বিম্পির করা কর্মকান্ডের যে তালিকা(খুবই ছোট্ট আকারে) এখানে দিলেন সেই পরিমানের আম্লিগ তালিকা কি আপনি দিতে পারবেন?
৭. এই পোস্টের উদ্দ্যেশ্য কী?
বাঙলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র বানানোর জন্য পরামর্শ?
তাহলে শুত্রু হিসাবে শুধু বিম্পিকে দেখানো হল কেন? নাকি যত অন্যায় শুধু বিম্পির আমলেই হয় আর আম্লিগ কিছুই করে না? রামুর ঘটনাটা যেভাবে বললেন তাতে যে কেউ মনে করতে পারে এই হামলা কারা করেছে কেউ জানে না। আসলেই কি তাই?
@সাইফুল ইসলাম, বিম্পির বর্তমানে অবস্থান দেখে অনেকে বিস্মিত তাদেরকেই মনে করিয়ে দিলাম যে; বিম্পিই ইতিহাস টুকু। কারা গোলাম আজকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভুলের কারণে আপনার কমেন্টের জবাব নিচে চলে গেছে। নিচে আমার মন্তব্য আছে। আর পড়া ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
বুঝতে বাকি থাকেনা আপনি কি চান। আশ্চর্য হই যখন আপনাদের মত কথিত যুক্তিবাদী মানুষের কথা শুনি। হুম, এখন আমারে কি বোর্ডের গুতা দেন। কিছু বলার নাই ভাই, এইতো আমার দেশ, বাংলাদেশ।