“আল্লার আসীম রহমতে হযরত আল্লামা সায়দী
কারাগারে আছেন কয়েদী।
অতি শীঘ্রই তার হবে যখন ফাঁসি
আল্লাহ তাকে বাঁচাইবেন কি সাত আসমান হ’তে নেমে আসি?”

কিছুদিন আগে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসখানা দেবার পরে আমার ইনবক্সে অসংখ্য গালি ও হত্যার হুমকি আসছে অবিরত সাইদীর মুরিদদের কাছ থেকে। সুদীর্ঘ ৪২ বছর পর আজ সে হায়েনার ফাঁসির রায় ঘোষিত হলো। কিছু্টা স্বস্তি পেলাম। আরও অনেক হায়েনা বিচারবিহীন সুখে-শান্তিতে মরে গেছে, অনেকই রয়ে গেছে এখনও বেঁচেবর্তে। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হায়েনা-মুরিদগণের তাণ্ডবলীলা।

রাজাকারের ঔরষজাত জারজ সন্তানেরাই শিবির। এই সকল নিম্ন প্রজাতির জীবেরা নিরীহ মানুষকে অতর্কিত হামলা ক’রে হত্যা করে দা, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে। বাংলার মাটিতে জন্ম গ্রহণকারী ও বাংলায় বসবাসকারী কিছু নিচু নিমকহারাম জীব রাজাকারদের মুক্তির দাবী করে! সে ঘৃণ্য প্রাণীদের উদ্দেশ্যে বলছি;

“ওহে নির্বীয, কাপুরুষ, নিমকহারামের দল
বল আমায় বল,
তোরা কোন যুক্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চাস?
ভাইয়ের বাবার হত্যা, মায়ের বোনের সম্ভ্রমহানী তোরা কি ভুলে গ্যাছিস?
হে পার্থিব গেলমানের দল,
বল, তবে কি সেই সকল ধর্ষণপটু রাজাকাদের সাথে তোরা করতে চাস
প্রকাশ্য সহবাস?”

দেশের উপর, দেশের নিরীহ জনগণের উপর যে সকল পিশাচেরা বর্বর নির্যাতন করেছিল, এবং তাদের সহায়তা করেছিল পাকি হায়েনাদের আরও ভালভাবে নির্যাতনের জন্য তাদের জন্য বাংলার মাটিতে জন্ম নেয়া কিছু কলঙ্কিত জীবের এত দরদ কেন উথলে উঠে? তাই বলছি, সর্বশেষ রাজাকারটি পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত হোক। যাতে আর কখনও রাজাকার উৎপাদিত হতে না পারে।

আজ বুকের আগুন জ্বালিয়ে জেগে উঠেছে জনতা, জেগে উঠেছে কোটি কোটি তরুণ। তারা বিচার চায়।

বাংলামায়ের পলিমাটির বুকে বর্বরেরা একদা রচেছিলো
তারই লক্ষ সন্তানের মহাশ্মশান।
সন্তানের লাশভরা বধ্যভূমি আর শ্মশানের ধিকি ধিকি জ্বালা
বুকে নিয়ে বেদনায় মূক-পাথর হয়ে ছিল বাংলা।
আজ তার নবীন লাখো সন্তানের জেগে উঠেছে প্রাণ।
তারা করছে অনবদ্য শৈল্পিক প্রতিবাদ।
দিন, রাত্রি তাদের কাছে আজ একাকার।
দাবী তাদের একটাই, অসাম্প্রদায়িক, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ।

আজ জোয়ার এসেছে গণসমুদ্রে।
হে বাঙালি, দেশ ও দেশের মানুষের নির্যাতনের
যে তীব্র শিখা জ্বলছে তোমাদের
বুকে ৪২ বছর ধরে; সে আগুনের
স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দাও অন্তরীক্ষে।

প্রতিটি দেশদ্রোহী জ্বলে পুড়ে হয়ে যাক অঙ্গার।যারা আমার সোনায় মোড়ানো সবুজ বাংলাকে শ্মশান বানাতে চায়
তাদের বাংলায় বাস করার কোনও অধিকার নাই।

যাহারা বঙ্গে জন্মে ছিঁড়ে বঙ্গের পতাকাখানি,
সেই সব কুলাঙ্গার জারজ কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি।

জয় বাংলা,
বাংলার জয়।
রক্তে ভেজা এই বাংলামায়ের মাটি বিশ্বাসঘাতক কুলাঙ্গারদের জন্য নয়।

প্রতিটি দেশদ্রোহীর বিচার হোক।