শাহবাগের এই জাগরণ যদি থেমে যায়, যদি খুনি-হন্তারকদের কালো হাতে থেমে যায় জনতার দৃঢ় কণ্ঠস্বর, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল ব্যাপি ছড়ানো শ্যামলিমা যদি বেদখলে চলে যায়, তবে আমরা সবাই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে যাবো।
যদি বাঙলাদেশ হয়ে ওঠে সিরিয়া-আফগানিস্তান, সমস্ত নদি জলশূন্য রোদনে হাহাকার করে, মানচিত্র হয়ে যায় সংকুচিত এক বর্বর কুটির, যদি মধ্যযুগিয় মঙ্গাক্রান্ত হয় সব ফসলি জমিন, তবে আমরা সবাই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে যাবো।
যদি বাঙলার নারীদের সৌন্দর্য বস্তাবন্দি করে রাখা হয়, অন্ধ করা হয় রমনীর নক্ষত্র চোখ, যদি হেরেমে সেবাদাসী হয় মা-বোন-প্রেমিকা, মহিলারা হয় পাল পাল শুয়োরের জননী, তবে আমরা সবাই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে যাবো।
প্রতিবাদী মিছিল যদি থেমে যায়, পা বাড়ায় ভুল পথে, যদি দেশ ফিরে যায় একাত্তরে আবার, দেশদ্রোহী, বৈদেশিক দালালের খপ্পরে পড়ে ‘তোমার আমার ঠিকানা/ পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, যদি মুছে যায় পরিচয়, ‘তুমি কে আমি কে/ বাঙালি বাঙালি’, আমরা সবাই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে যাবো।
যদি রাজাকার ও দেশদ্রোহী, মানবতা বিরোধী অপরাধির ফাঁসি না হয়, যদি সুষ্ঠু বিচারে ঘুচানো না হয় কলঙ্কের ইতিহাস, বারবার যদি পার পেয়ে যায় অপরাধি-জঙ্গি চক্র, যদি গণজাগরণ মঞ্চ হয়ে পড়ে ব্যর্থ, আমরা সবাই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে যাবো।
@ বাংলাদেশ,
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি, তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। (L) (FF)
@অর্ফিউস, তুমি কে আমি কে? বাঙালি বাঙালি…
@মাহমুদ মিটুল, ঠিক।
যার ভিতর রয়েছে কাব্যের এই দুরন্ত দ্রোহ, সে আরো কেন লিখে না, বুঝতে অক্ষম।
সময়ের কবিতা লেখার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা।
বসন্ত ও ফেব্রুয়ারির শুভেচ্ছা!
@কাজি মামুন, ফাল্গুন এর রক্তিম শুভেচ্ছা আপনাকেও কাজি মামুন। আপনাদের প্রেরণা থাকলে লিখে যাবো যতোদিন বাচি। আর লিখি না সেটা কিন্তু ঠিক নয় মামুন ভাই। এই বইমেলায় আমার একটি নতুন কাব্যগন্থসহ দুটো কাব্যগ্রন্থ আছে। তবে এবারের আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা প্রচারণা ছিলো না। এছাড়া ফেইসবুকে নিয়মিত লেখা হয়। আমি মূলত কবিতায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করি বলে মুক্তমনায় পোস্ট কম দেয়া হয়। আশাকরি গদ্যও লিখবো সামনের দিকে।
সকল মুক্তমনার জন্য শুভকামনা ও মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত। বরিশালে আসলে দেখা হবে।
@ লেখক,
ভাইজান কি বাংলার নারীদের সৌন্দর্য বস্তাবন্দি করে রাখার বিরোধী,
নাকি বাংলার নারীদের বস্তাবন্দী করে রাখার বিরোধী?
২টার অর্থ কিন্তু সম্পুর্ন দুরকম। কাজেই খুব সাবধান।
@অর্ফিউস, সৌন্দর্য্য বস্তাবন্দি হলে নারীরা কীভাবে বাকী থাকে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। একটু বুঝিয়ে দিলে উপকৃত হতাম।
@মাহমুদ মিটুল, এখানে বোধগম্য না হবার কিছু নেই। আপনি সেটা বলতে পারতেন যে, নারীরা বস্তাবন্দি হবে না।নারীদের সৌন্দর্য বস্তা বন্দি হবে না এটা থেকে কিন্তু এটাই ধরে নেয়াটা বিচিত্র কিছু না যে নারীদের সৌন্দর্য যেন আপনার কাছে উন্মুক্ত থাকে, আর এইটাই অনেক বিতর্কিত ব্যপার হতে পারে।ব্রাজিলের মত দেশ গুলো দেখেন, সেখানে বিকিনির ঢল( ব্রাজিলিয়ান বিকিনি কি জিনিস তা আশা করি বুঝিয়ে বলার দরকার নেই)।ওথচ ব্রাজল কিন্তু রীতিমত ধর্ম প্রবন একটি দেশ। যেহেতু বর্তমান খ্রিষ্টান ধর্ম মেয়েদের কাপড় ধরে টানাটানি করে না, তাই এখানে এইগুলা নিয়ে কেউ কোন মাথা ব্যথা কারো নেই। কিন্তু ভাল করে চিন্তা করে দেখুন এইসব দেশেই কিন্তু গর্ভপাতের সাজা হিসাবে চার্চ কর্তৃক একঘরে করে রাখার নজির আছে।কাছেই এখানে সৌন্দর্য্য বন্দী না হলেও কিন্তু প্রথা দ্বারা নারীরা বেশ ভাল ভাবেই বন্দি হয়ে আছে। আয়ারল্যান্ডে কিন্তু গরভপাত পুরাই নিষিদ্ধ( উইকি দেখুন ),অথচ এখানে কিন্তু মেয়েদের মুসলমানি কায়দায় বস্তা তথা বোরকায় বন্দি করে রাখা হয় না, তবু ভ্রুন হত্যা মানে প্রান হত্যা, এই মারাত্বক বাজে একটা ধারনার জন্যেই কিন্তু এখানেও নারীরা ( রেপ ভিক্টিমরাও) গর্ভবতী হয়ে পড়লে এই দেশে গর্ভপাত করা যাবে না।এটাকে আপনি নিশ্চয়ই মুক্ত নারী বলবেন না? বরং এখানে নারী সৌন্দর্য্য বস্তাবন্দি হচ্ছে না, খোলা আছে, তবে সেটা কিন্তু পুরুশদের চাহিদার জন্য।
বাংলাদেশে খুব কম পুরুষ আছে যারা প্রেমিকা বা বউকে খোলা মেলা কাপড় পড়তে উৎসাহ দেবে, কিন্তু ওই দেশে ধর্মেই যেহেতু এটা নিয়ে তেমন কিছু কড়াকড়ি নেই, কাজেই পুরুষদেরও মাথা ব্যাথা নেই। কাজেই এরা তাদের রমনীদের বস্তা বন্দি করতে চায় না। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে কিন্তু গর্ভপাত ঠিকই বন্ধ করতে চায়। মানে আবার পুরুষ তন্ত্রের জয়।
নারী খোলা মেলা কাপড় না পরেও যেমন প্রগতিশীল হতে পারে, তেমনি খোলামেলা পোশাক পরেও প্রতিক্রিয়াশীল হতে পারে।
কাজেই নারীকে বস্তা বন্দি না করা হোক নারী মুক্তির জন্য;এখানে সৌন্দর্য দেখা যাবে না তাই বস্তা বন্দি করা যাবে না, এমন চিন্তার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।
@অর্ফিউস, আরোভাল করে বললে, নারী বস্তা বন্দি না হলে স্বাভাবিক ভাবেই সৌন্দর্য্য উন্মুক্ত থাকবে, কাজেই এখানে নারী কে বস্তা বন্দি করা যাবে না নারী মুক্তির জন্য,সৌন্দর্য্য বস্তাবন্দি হবে তাই নারীকে প্যাকেট করা যাবেনা, এতে কিন্তু নারীকে সৌন্দর্য্য সর্বস্ব ভোগ্য বস্তু ভাবার অবকাশ থেকে যায়। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস, আপনার যুক্তি অকাট্য অবশ্যই। কিন্তু আমি যে প্রেক্ষাপটে লিখেছি সেটা কেনো আপনার বিবেচনায় আসলো না, বুঝলাম না। এখানে শুধুই বাঙলার নারীদের বুঝানো হয়েছে এবং মুসলিম আগ্রাসনকেই বুঝানো হয়েছে।
আশাকরি বুঝাতে পেরেছি। না পারলে দুঃখিত…
@মাহমুদ মিটুল, ধন্যবাদ, আসলে আমি আপনার প্রেক্ষাপট বুঝেছি, কবিতায় কিছুটা রস আসবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু কিছু শকুন আছে না? মুক্ত মনা ব্লগে যা লেখা হয়, সেটাকেই বিকৃত করে প্রচারের চেষ্টা করে?এটাও সমস্যা না, সমস্যা তখনই বাধে যখন কাউকে মুক্ত মনার রেফারেন্স দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয় এইভাবে যে, যাও পারলে অমুক লেখকের লেখার যুক্তি গুলো খন্ডাও।তখন তারা এই সাইট ব্রাউজ করতে এসে সাধারণত দোষ ত্রুটি খুজতে থাকে।পাক্কা ইমানদার রা যাই লিখুক সেটা কাব্যিকতা, মুক্ত মনা আর সম মনা ব্লগে যাই লেখা হোক সব ইহুদী নাসারা ষড়যন্ত্র, এই ধারনা ন্যেই যেহেতু চলে কাজেই এরাই কুতসা রটাতে পারে, ফলে মৌলবাদীরা ফিল্ড পায় অনেক ক্ষেত্রেই।
@অর্ফিউস,
তার ফলে মুক্ত মনার রেফারেন্স হোঁচট খেয়ে যায় প্রায়শই।
@অর্ফিউস, হুম, মৌলবাদীদের বিষয়ে সচেতন থাকা অবশ্যই বাঞ্চনিয়। বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি এভাবে আমরা একে অন্যের সাথে মিলে সমস্ত মৌলবাদকে রুখে দিতে পারবো।
এখন আপতত মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। খাওয়াতেও। আপনাকেসহ সকল মুক্তমনাকে আমার পক্ষথেকে মিষ্টি খাওয়ার নিমন্ত্রণ রইলো।
জয় বাঙলা, জয় জনতা
@মাহমুদ মিটুল,
আমারো।জয় বাঙলা, জয় জনতা (FF) (FF)
মানে আমার এবং আমার পক্ষ থেকেও
@মাহমুদ মিটুল,
অবশ্যই পারব। (FF)
@অর্ফিউস,
হ্যাঁ, ঠিক। নারীর সৌন্দর্যের সাথে রয়েছে বিপননের নিবিঢ় যোগযোগ।
তবে আরও একটা বিষয় আছে। যখন নারীর সৌন্দর্য বস্তাবন্দী করা হয়, বিপণনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য করা হয় না, যেমনটা দাবী করা হয় প্রায়শ। (অবাক হতে পারেন, অনেক পুরুষ নিজের বউয়ের সৌন্দর্য অন্যদের কাছে ধরা পড়ুক, তা-ই চায়, সুন্দর বউয়ের অধিকারী হিসেবে তার ভিতর বিরাজ করে এক প্রকার অহমিকা, যা তাকে তৃপ্তি যোগায়)।
আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত, বস্তাবন্দী নারীর সৌন্দর্যের সাথে বরং রয়েছে আবহমান পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্বের নিবিঢ়তম যোগাযোগ।
@কাজি মামুন,
ঠিক।আসলে এটা ভন্ডামী।বিপণনের হাত থেকে বাচানোর নাম করে যা করা হয় সেটা হল নারীর নুন্যতম প্রানী সত্বা( নারী সত্বা বা মানব সত্বা না হয় বাদ দেন)টাও অস্বীকার করা হয়।সবাই বিকিনি পড়া সুপার মডেলদের দেখবে,আবার প্রেমিকার সাথে সেক্স করে, তাকে ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করবে বোরখাওয়ালীকে, এমন কমপ্লেক্সে মুসলিমদের মধ্যে সিংহভাগ পুরুষ ভোগে।এটাই হয়ত ম্যাডোনা হোর কপ্লেক্স।
এখান থেকেই বুঝা যায় যে,বোরকা পরার সাফাই দেয়া বা নগ্ন, প্রায় নগ্ন থাকার সাফাই দেয়া; ২টাই আসলে পুরুষতন্ত্রের দ্বারা নারীকে নিজেদের মত করে ব্যবহার একটা প্রয়াস ছাড়া কিছুই না। সোজা কথায় আমি বিশ্বাস করি যে কে( নারীরা অবশ্যই) কি পড়বে সেটা তার নিজেকেই ঠিক করতে দেয়া ভাল; ধর্মীয় বা অন্য কোন প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে।
কাব্যিক ব্লগ এবং কমেন্ট।
@ডাইনোসর, আপনার কমেন্ট কিন্তু পুরোই বাস্তব সম্মত 😉
শাহবাগের এই জাগরণ আর থামবে না, খুনি-হন্তারকদের কালো হাত থেমে যাবে জনতার দৃঢ় কণ্ঠস্বরে, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল ব্যাপি ছড়ানো শ্যামলিমা আর বেদখল হবে না, তবে তার আগে আমরা দেইল্লা রাজাকারের ফাসিটাই দিব, দিতে হবে।
বাঙলাদেশ হবে না আর সিরিয়া-আফগানিস্তান, সমস্ত নদি জলশূন্য রোদনে হাহাকার করে উঠবে না, মানচিত্র হয়ে যাবে না সংকুচিত এক বর্বর কুটির, মধ্যযুগিয় মঙ্গাক্রান্ত হবে না আমার সব ফসলি জমিন, তবে তার আগে আমরা দেইল্লা রাজাকারের ফাসিটাই দিব, দিতে হবে।
বাঙলার নারীদের আর বস্তাবন্দি করে রাখা হবে না, অন্ধ করা হবে না রমনীর নক্ষত্র চোখ, হেরেমে হেরেমে সেবাদাসী হয় মা-বোন-প্রেমিকারা আর হবে না পাল শুয়োরের জননী, তবে তার আগে আমরা দেইল্লা রাজাকারের ফাসিটাই দিব, দিতে হবে।
প্রতিবাদী মিছিল আর থামবে না, পা বাড়াবে না ভুল পথে, দেশ আর ফিরবেনা একাত্তরে র হানাদারের কোলে, দেশদ্রোহী, বৈদেশিক দালালের খপ্পরে পড়ে ‘তোমার আমার ঠিকানা/ পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, আর মুছে যাবে না পরিচয়, ‘তুমি কে আমি কে/ বাঙালি বাঙালি’, তবে তার আগে আমরা দেইল্লা রাজাকারের ফাসিটাই দিব, দিতে হবে।
রাজাকার ও দেশদ্রোহী, মানবতা বিরোধী অপরাধির ফাঁসিই হবে, সুষ্ঠু বিচারে ঘুচানো হবে কলঙ্কের ইতিহাস, আর পার পাবে না অপরাধি-জঙ্গি চক্র, গণজাগরণ মঞ্চ হবে না ব্যর্থ, তবে তার আগে আমরা দেইল্লা রাজাকারের ফাসিটাই দিব, দিতেই হবে।
@অনিগিরি, আপনার সাথে আমিও আশাবাদী। এই গণজাগরণ বদলে দেবে আমাদের ইতিহাসের গতি। গড়ে দেবে জাতির ভবিষ্যৎ।